মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭

ফেসবুকে কবিতা


ফেসবুকে কবিতা


ফেসবুকে কবিতা যথাযথ ভাবে প্রকাশ করা যায় না !

কারণ
দুই স্তবকের মধ্যে, কবিতার ফাঁকা জায়গা ইত্যাদি, গায়েব হয়ে,  ভরাট হয়ে যায় !

এতে কবিতার সৌন্দর্যহানি হয় !

প্রণব কুমার কুণ্ডু।

হাঁচি কাশি নাকঝাড়া ( গদ্য )




সাদা কথায় স্বাস্থ্য ভাবনা


হাঁচি কাশি নাকঝাড়া




হাঁচি কাশি নাকঝাড়া, রোগজীবাণু আর ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম হতে পারে !
হাঁচবার সময়, কাশবার সময়,  মুখে কাপড়চাপা  দেওয়াই উচিত।
সেটা স্বাস্থ্যসম্মত একটা  সু্প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া।
স্বাস্থ্য সম্বন্ধে আগেকার পাঠ্য পুস্তকে লেখা থাকত।
এখন আমরা অনেক এগিয়েছি, অথচ সঠিক স্বাস্থ্যবিধি পালন করছি না।

দেখবেন, কেউ আপনার মুখের সামনেই হেঁচে দিল।
কেশে গয়ের রাস্তায় ফেললো, পাশের নর্দমাতেও নয়।

নাক ঝাড়লো।
জোরে হ্যাঁচ-চো করে নিঃস্বাস ফেললো পাঁচজনের সামনে বাতাসে।

হাঁচি কাশি, নাক ছ্যাঁত-এর ক্ষুদ্রক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলো, ষ্ঠীবন-নিষ্ঠীবন, বাতাসে বাতাসে ভাসলো।

সুসভ্য দেশে, ভদ্র, বাঞ্ছিত নাগরিকদের, ওটা, ঈপ্সিত ইচ্ছা কখনই হতে পারে না !

বাড়িতে ঘরের মেঝেতে কী  কেউ,  কফ-শিকনি, নাসারন্ধ্র থেকে নির্গত শ্লেষ্মা, নাকের পোঁটা ইত্যাদি ফেলে ?
কিংবা নাকের নিচের শিকনিদানিতে ঝোলা শ্লেষ্মা, সজোরে নাকের ভেতর টেনে নিয়ে, নাসাবিলের মাধ্যমে, মুখ দিয়ে
যেখানে সেখানে ওয়াক-থু করে ?

শিশুর পোঁটা নাক চিপে বার করে নিয়ে, দেয়ালে পুঁছে দেয় !
হাতও  ঠিকমত ধোয় না।

এভাবে রোগসৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস একজনের থেকে অন্যজনে সংক্রমণ হতে পারে।

বললাম হতে পারে।
তাহলে তো রোগও হতে পারে !

কাজেই সাবধান !
এভাবে যত্রতত্র,  যেখানে সেখানে,হাঁচি কাশি নাকঝাড়া,  ফেনাযুক্ত মুখলালা,  ইত্যাদি ছড়ানো বন্ধ হোক !

ওটা অনিষ্ঠকর বদ অভ্যেস !
একজনের দেখাদেখি অন্যেরাও  শিখবে !
স্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্যবিধি সবাই মেনে চলুক।
সবার ভালো হবে।
অসুস্থতা দূরে থাকবে।




Pranab Kumar Kundu

কেদারনাথজি ( গদ্য )


কেদারনাথজি  ( গদ্য )




কেদারনাথজি



শ্রীকেদারনাথজি !
শ্রীকেদারনাথজি বিগ্রহ মহিষের পৃষ্ঠ সদৃশ, একটি কালোবর্ণের বড়ধরণের শিলাখণ্ড, লম্বা চ‌ওড়া উচ্চতা বিশিষ্ঠ।
রেলিংঘেরা মনোরম উঁচু চত্বর সমৃদ্ধ সুদৃশ্য মন্দিরে স্থাপিত।
উত্তরাখণ্ডের বদরীক্ষেত্রের অন্তর্গত, কপালী ও শিখরযুক্ত অনুপম মন্দির।
ভগবান কেদারনাথজির নামেই জায়গার পরিচয়।
যাওয়ার সময় দেওদখনি থেকে মন্দিরশীর্ষ দেখা যায়।
মন্দিরটি সূচনায় মহাভারতের পাণ্ডবদের হাতে তৈরি।
সেই হিসাবে অতি প্রাচীন মন্দির।

কুরুক্ষেত্রেরযুদ্ধ যদিও ধর্মযুদ্ধ, সেই যুদ্ধক্ষেত্রে যদিও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন, তবু যুদ্ধে আত্মীয়স্বজন, পরিবার-পরিজন,  পরিচিত-অপরিচিতদের হত্যার পাপ থেকে মুক্ত হ‌ওয়ার জন্য, পাণ্ডবেরা অধরা কেদারনাথজির আরাধনা করেন।

কেদারনাথজির বিগ্রহ শিবলিঙ্গের মত না হলেও, ওটাই দেবাদিদেব মহাদেবের শিবসদৃশ শিবলিঙ্গ !

কেদারনাথজির বিগ্রহে পঞ্চদশকলা বিদ্যমান !
যেখানে চন্দ্রের ষোড়শ কলা !
সূর্যের দ্বাদশ কলা !
অগ্নির দশ কলা !
কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের চৌষট্টি কলা !

মন্দিরে কেদারনাথজির  দর্শন পূজন স্পর্শন আলিঙ্গন,  এগুলো করতে হয়।

মহিলারা এটা মনে রাখেন ! এই প্রক্রিয়াগুলি ভালোভাবে সম্পাদন করেন।

বদরির তুলনায় কেদারে শীত বেশি।
কেদার বছরে প্রায় ছ'মাস বরফে আচ্ছাদিত থাকত।
এখন উষ্ণায়নের উষ্ণতায়,  তা প্রভাবিত হচ্ছে !

শ্রীশ্রীকেদারনাথজিকে আমার অসংখ্য প্রণাম।

আমি


আমি



আমি মূলত ফেসবুক লিখিয়ে নই !

আমি প্রাথমিক ভাবে,  'ব্লগ' লিখিয়ে !

ফেসবুক-এ আমার সংযোজনা থাকে !

ট্যুইটার-এ আমার সংযোজনা আছে !

গুগুল+-এও তাই রয়েছে !

আমার ব্লগগুলি

pranabk.blogsoot.com

pranabk2.blogspot.com

pranabk3.blogspot.com

ধন্যবাদ !

প্রণব কুমার কুণ্ডু।

সীতা-কী-রসুই


সীতা-কী-রসুই



সীতা-কী-রসুই !
সীতার রান্নাঘর !

তৎকালীন, উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে, ইব্রাহিম সাহ, আনুমানিক  ১৪০০  খ্রিস্টাব্দে, ঐ রসুইঘরের সৌধটি, জুম্মামসজিদ-এ, পরিবর্তিত করেন !

জুম্মা। জুমা। শুক্রবার।
শুক্রবার, মুসলমানদের নামাজ পড়ার বিশেষ বার।
জুম্মা। জুমা। শুক্রবারের মুসলমানি নাম।

জুম্মা মসজিদ। জুমা মসজিদ।
যে মসজিদে মুসলমান জনসাধারণ একত্রিত হয়ে, জুম্মার/জুমার নামাজ পড়েন।

ইসলাম ও পশ্বাচার


ইসলাম ও পশ্বাচার


Soure     WORLDNEWSDAILYREPORT.COM 




Tweet
A New Zealand sheep farmer has been arrested after authorities were warned by the CIA and MI6 that he was doing business with ISIS militants in Syria.

Allan Seymour, 52, was sending an “intriguing large number” of livestock to Syria, destined to locations in Syria which are not controlled by the local government but are presently under the rule of ISIS forces, which alarmed CIA and MI6 officials monitoring the region.

Instead, CIA and MI6 reported that the sheep “were not used for food” but instead “were used for satisfying ISIS soldiers sexual appetite” confirmed a spokesman for the New Zealand’s Ministry of Defense to reporters this morning.

 sheep farmer ISIS
Allan Seymour sold thousands of sheep to Syria to “satisfy ISIS soldiers sexual appetite” according to a joint CIA and MI6 report has admitted New Zealand’s Ministry of Defense
The lust for sheep

According to political analyst and Middle Eastern expert Dave Wellsborough, the demand for livestock in the region is nothing new.

“ISIS soldiers are importing large quantities of livestock from other regions in the area because ISIS soldiers have a high libido giving that there are not many women around,” he explains.

“Islamic law permits to sleep with goats, sheep or other livestock as long as the animal is killed afterward, which explains the high numbers,” he adds.

Bestiality and Islam

In a controversial interview last year, Dr. Zakir Naik – a noted Quranic scholar – explained why bestiality is permitted under certain conditions in Islam.

“A man is still considered pure when he releases his lust with a sheep or goat. If there is no woman, then there is no true lust or sexual sin. Then the animal becomes tainted and so must die. So says the Prophet Mohammed”.

According to New Zealand Customs services, over 20,000 sheep were shipped by Allan Seymour in the last year, but hundreds of thousands more could have been sent from other New Zealand farmers to ISIS forces which are presently unaccounted for.

রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭

সমাধি ২






সমাধি ২




Pranab Kumar Kundu
Public

সমাধি


চেতনার যে আলো, আমাদের মনের আয়নায় এসে পড়ে, তাকে স্বচ্ছ ও একাগ্র করে তুলতে হবে তিনটি স্তরে !

সবিতর্ক ও নির্বিতর্ক সমাধি হলে, ফুটে উঠবে, স্থূল বিষয়ের যথার্থ জ্ঞান !

সবিচার ও নির্বিচার সমাধি হলে, ফুটে উঠবে, সূক্ষ্ম বিষয়ের যথার্থ উপলব্ধি !

সানন্দ সমাধিতে ইন্দ্রিয় বা করণবর্গের পূর্ণ জ্ঞান প্রাপ্তি সম্ভব হলেও হতে পারে !

স্বম্বিত সমাধিতে, গ্রহীতা বা জ্ঞাতার শুদ্ধরূপ পরিষ্কার ভাবে ফুটে উঠবে !



* সূত্র ও সংযোজনা  : গোবিন্দলাল মুখোপাধ্যায়,  'চেতনার আরোহিণী'।


শিবও বিপত্নীক হয়েছিলেন !


শিবও বিপত্নীক হয়েছিলেন !



শিব কিন্তু একবার বিপত্নীক হয়েছিলেন !

সতী আগুনে পুড়ে মারা গেলেন !

শিব তারপরে পার্বতীকে বিয়ে করেছিলেন !

সুতরাং মহিলারা যাঁরা শিবপূজা করেন, সাবধান ! তাঁরা সতীর মতো আগুনে পুড়ে মারা যেতে পারেন ! তাঁদের স্বামিরা, বিপত্নীক হতে পারেন ! তাঁরা আবার বিবাহও  করতে পারেন !

বিপত্নীক। মৃতদার ! পত্নী মারা গেছেন, এমন !

সুতরাং বিপত্নীকরা, শিবের মতো, অন্তত আরেকটি বিয়ে করুন ! সপত্নীক হোন ! শিবের মাহাত্ম্য স্বীকার করুন !

তবে শরৎ চ্যাটুর্জের সৃষ্টি,  পার্বতীর জীবন-কাহিনীর সাথে,  দেবদাসের মতো,  নিজেদেরকে জড়াবেন না !


তবে একথা সত্যি, সত্যি সত্যি সত্যি, তিন সত্যি, শিব কিন্তু একবার বিপত্নীক হয়েছিলেন !

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

অসীমা বড়ালের কলাম


অসীমা বড়ালের কলাম





অসীমা বড়ালের কলাম             শেয়ার করেছেন        শ্রী প্রণব কুমার কুণ্ডু।










Pranab Kumar Kundu

Pranab Kumar Kundu

Pranab Kumar Kundu

Pranab Kumar Kundu

Pranab Kumar Kundu

Pranab Kumar Kundu
·

Pranab Kumar Kundu




Baral Asima


"""""ধর্মত্যাগী নরকের কীট,, মহাপাপিষ্ট!! মহা উন্মাদদের পাপ বাহনকারীরদল :---

আপনাদের মধ্যে যে টুকু মানবিকতা,, ভদ্রতা,,সভ্যতা,,শালীনতা,, বিবেক,, চেতনাবোধ দেখতে পাচ্ছি,, সেটুকুও, আমাদের মহান সনাতন হিন্দু সভ্যতার কাছ থেকে পেয়েছেন!

মূর্তিপূজোর ব্যাপারে আপনাদের মধ্যে বিরাট একটা কুৎসিত নারকীয় মনোভাব আছে!

কিঞ্চিত একটু ধারনা দিয়ে খুব সামান্য একটা অনুরোধ করছি":-:-:-:-:-

""পবিত্র দেহ, মন ও আত্মা নিয়ে ""সুনির্দিষ্ট কোন নির্জন পরিবেশে ""চোখবুজে ৩০মি: বসে থাকুন""!!
কিছু সময় পরে আপনি পার্থিব ও অপার্থিব জগতের অনেক কিছু দেখতে পাবেন!
""এবং তখন যদি গভীর মনোনীবেশ করতে পারেন তবে আপনি যা দেখতে চাইবেন, তাই আপনার তৃতীয় নয়নে ভেসে উঠতে থাকবে!
""নিজের আত্মাকে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে চালিত করতে পারবেন!!
""দেখতে পাবেন"জীবনের হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছু"!!
উন্মাদ সাহেব হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় এভাবেই গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন!
কিন্ত উনার দ্বারা বিশ্বমানবের শান্তি ও কল্যাণকর কিছুই হয়নি!
শুধু মাত্র ইসলামের জন্যে একটা কট্টরপন্থী দল গঠন করে,, বিশ্বের বাকী মানুষদের সংগে চিরস্থায়ী বিরোধ সৃষ্টি করে গেছেন!
সল্পমাত্রার ধ্যান সাধনায় তিনি ৯০ ফুট উচ্চতার এক বিশাল ঈশ্বরের মূর্তি প্রত্যহ্ম করেছিলেন বটে কিন্তু সেই বিশাল মূর্তিগড়ার শিল্পী বা কারিগর তৎকালিন সময়ে,, সারা বিশ্বে পাওয়া যাবেনা বলে উনি ধারনা করলেন!
অতএব ""আল্লা নিরাকার""!তার কোন শরীক নেই!বাঃ! অতি সহজ সমাধান! বাঃ বাঃ!
মাত্র ৪০ দিনের ধ্যান সাধনায় হুজুর ওর বেশী আর কিছু পেলেন না!
তারপর তো উনি ওনার ইচ্ছামত ধর্মের চাকা ঘুরাতে থাকলেন!

বৈদিক শাস্ত্রে নিরাকার পরমব্রহ্মকে কোন সাকার মৃন্ময় রুপে দেখা যায়নি!
তার কারণ"" পরমব্রহ্ম ঈশ্বর"" অনন্ত কোটি ব্রহ্মান্ডের মধ্যে সর্বত্রই বিরাজমান অবস্থায় নিরাকার থেকেছেন!
""""" তিনিই ভক্তের ভগবান ভগবান"""" শ্রীনারায়ন,,শ্রীরাম,,শ্রীকৃষ্ণ,,শ্রীহরি,,মহাদেবসহ সকল দেবদেবী!
আবার সমস্ত জীবাত্মার অংশ স্বরুপও বটে!
কিন্তু আমাদের ""চিন্ময় ঈশ্বর মৃন্ময় রূপে""অন্যান্য সকলেই স্বরূপদেহে সর্বত্র ধরা দিয়েছেন! এবং হিন্দুরা সাকার পূজারী কিন্তু নিরাকার সাধনায় কোন বাঁধা নেই!
আমরা সত্য সুন্দর অনন্ত সনাতন ধর্মালম্বিরা সে ভাবেই নিরাকার থেকে সাকারের সন্ধান পেয়েছি!ইসলাম পারেনি!তার ব্যর্থতা ইসলামের!

কিছু বুঝলেন মুসলিম ভায়েরা?
সকলকে নিয়ে ভালো থাকুন!
"""""হরে কৃষ্ণ"""""

সনৎকুমার


সনৎকুমার



সনৎকুমার। সনৎ সর্বদা।
সনৎকুমার। নিত্যকুমার।
সনৎকুমার, ব্রহ্মার মানসপুত্রবিশেষ।
ব্রহ্মার ধ্যানপূত মানস থেকে, সনৎকুমারের জন্ম !
সনৎকুমার, জরা-মরণ-বিবর্জিত !

সনৎকুমার, এবং অন্যান্য তিনজন, শাস্ত্রে ওঁনারা,  'চতুঃসন' ! চতুঃসনের চারজনই ছিলেন, ব্রহ্মার মানসপুত্র !

সনৎকুমার। ইঁনি ভগবানের অবতার ! ইঁনি 'কৌমার সর্গ'-এর একজন মহাপুরুষ ! গাত্ররঙ,  গৌরবর্ণ !


ভারতের আদিবাসিরা নাকি কালো ! কিন্তু সনৎকুমারের কথা চিন্তা করুন ! তিঁনি ফর্সা ! ফর্সা শুধু উঁনি একা নন, চতুঃসন বলতে আমরা যাঁদের বুঝি, সেই সনক, সনন্দ ( সনন্দন ), ও সনাতনও, ফর্সা !

এটা তো হতে পারে, তখন তো কেবল, সৃষ্টির শুরু ! তাই চামড়ায়   melanin synthesis-এর কাজ,   তখনও শুরু হয় নি !
Melanin. A black pigment found in hair, skin,  and the  choroid of the eye.
Melanin. A natural sun-protector, in the skin !

হয়তো ব্রহ্মার মনে, মেলানিন সম্বন্ধে, কোন ধারণাই ছিল না !

বা, মেলানিন-এর পরিমাণ কম ছিল !

এমনও হতে পারে,  ওঁনারা চারজনই হয়তো  albino  ছিলেন ! অ্যালবিনো। অস্বাভাবিক রকম, শ্বেতচর্ম !

Albinism. Failure of the tyrosine system of our body, to oxidise  dopa  to melanin, so that the skin is fair, the hair white, and the eyes are pink !



*ব.শ.কো./২১১৫।

মানস পূজা 2


মানস পূজা 2




মানস পূজা



Pranab Kumar Kundu

1 ঘন্টা ·

মানস পূজা ( গদ্য )

মানস পূজা
ফলমূল, দুধ-কর্পূর, ধূপ-দীপ, ফুল দূর্বাদল, গঙ্গাজল, পুরোহিতে দক্ষিণা, তোরণসহ মেরাপ খাটানো, বসবার জন্য প্লাস্টিকের লাল চেয়ার,
প্রসাদ পাওয়ার জন্য, প্লাস্টিকের লাল টেবিল, প্রতিমা মূর্তি,
লোক খাওয়ানো, হ্যাপা পোয়ানো, ঢাক-ঢোল-কাঁসি ইত্যাদির
সমস্ত ধরণের খরচখরচা ছাড়াও, অন্য বিশেষ ধরণের সুউচ্চ ধারণার
পুজা পদ্ধতি আছে !
সেই পুজা পদ্ধতি, মানস পূজা !
মানসপূজা পদ্ধতিতে, সব পূজাটাই, মনের কল্পনা দিয়ে, নিগূঢ়তা দিয়ে করতে হয়।
তাতে, একটি পয়সাও
খরচা হবে না !
পাই পয়সারও, দরকার নেই !
তবে, পুরোহিতের দরকার না পড়াতে, পুরোহিতের রোজগার হয় না !
মানস পূজায়, পুরো পুজাটাই, মানস লোকে উদ্ভাসিত হয়।
মানস সরোবরে, সে পূজা ভাসতে থাকে !
মানস পূজায়, মনঃকল্পিত দ্রব্যাদি দিয়ে, মনঃকল্পিত গন্ধপুষ্প ইত্যাদি দিয়ে,
পূজা আরাধনা ইত্যাদি করতে পারা যায়।
আবার, বা্হ্য উপকরণ দিয়ে, বা বাহ্য উপকরণ ছাড়াই, কেবল মনে মনে
পূজা করতে পারেন।
তখন আপনার মানসমন্দিরই, আপনার মনোরূপ দেবালয় !
মানসপূজা, মনঃসম্বন্ধী পূজা।মানসিক ভাবের পূজা।ওটা শারীরিক ভাবের
পূজা নয় !
মানসপূজা, মন বিষয়ীভূত।আবার ধ্যান বিষয়কও, হতে পারে ! সেটা আপনার যেমন ইচ্ছা।
মানস পূজা নিখরচা !




* প্রব্রাজিকা বেদান্তপ্রাণার, ' প্রচলকথা ( অখণ্ড ) ', অবলম্বনে।

Pranab Kumar Kundu


মহর্ষি নারদ


মহর্ষি নারদ



মহাভারতের বর্ণনায়, যুধিষ্ঠিরকে, ধর্মজ্ঞান, নারদ ঋষিই শেখান !

সনাতন ঐতিহ্যে,  যে বারোজন ব্যক্তিকে,  'অমর'  বলে মনে করা হয়, নারদ, তাঁদের মধ্যে অন্যতম !

বিষ্ণুভক্ত নারদ, স্বয়ং নারায়ণের কাছ থেকে,  'ভক্তিসূত্র'  শিক্ষা করেন !

সেই দর্শন,  'নারদভক্তিসূত্র'  হিসাবে পরিচিত !

এই গ্রন্থ,  'বৈষ্ণব ধর্মের'  মূল তত্ত্ব !

মহর্ষি নারদ, বিভিন্ন দেবলোকের মধ্যে আর মর্ত্যলোকেও, যাতায়াত করতে পারতেন !

নারদের ঢেঁকি ছিল, আন্তঃঅন্তরিক্ষ মহাকাশ যান !



* বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগৃহীত।

মানস পূজা ( গদ্য )


মানস পূজা ( গদ্য )



মানস পূজা



ফলমূল, দুধ-কর্পূর, ধূপ-দীপ, ফুল দূর্বাদল, গঙ্গাজল, পুরোহিতে দক্ষিণা, তোরণসহ মেরাপ খাটানো, বসবার জন্য প্লাস্টিকের লাল চেয়ার,
প্রসাদ পাওয়ার জন্য, প্লাস্টিকের লাল টেবিল, প্রতিমা মূর্তি,   
লোক খাওয়ানো, হ্যাপা পোয়ানো, ঢাক-ঢোল-কাঁসি ইত্যাদির
সমস্ত ধরণের খরচখরচা ছাড়াও, অন্য বিশেষ ধরণের সুউচ্চ ধারণার
পুজা পদ্ধতি আছে !


সেই পুজা পদ্ধতি, মানস পূজা !


মানসপূজা পদ্ধতিতে, সব পূজাটাই, মনের কল্পনা দিয়ে, নিগূঢ়তা দিয়ে করতে হয়।

তাতে, একটি পয়সাও
খরচা হবে না !
পাই পয়সারও, দরকার নেই !


তবে, পুরোহিতের দরকার না পড়াতে, পুরোহিতের রোজগার হয় না !



মানস পূজায়, পুরো পুজাটাই, মানস লোকে উদ্ভাসিত হয়।



মানস সরোবরে, সে পূজা ভাসতে থাকে !



মানস পূজায়, মনঃকল্পিত দ্রব্যাদি দিয়ে, মনঃকল্পিত গন্ধপুষ্প ইত্যাদি দিয়ে,
পূজা  আরাধনা  ইত্যাদি করতে পারা যায়।



আবার, বা্হ্য উপকরণ দিয়ে, বা বাহ্য উপকরণ ছাড়াই, কেবল মনে মনে
পূজা করতে পারেন।



তখন আপনার মানসমন্দিরই, আপনার মনোরূপ দেবালয় !



মানসপূজা, মনঃসম্বন্ধী পূজা।মানসিক ভাবের পূজা।ওটা শারীরিক ভাবের
পূজা নয় !



মানসপূজা, মন বিষয়ীভূত।আবার ধ্যান বিষয়কও, হতে পারে ! সেটা আপনার যেমন ইচ্ছা।



মানস পূজা নিখরচা !



* প্রব্রাজিকা বেদান্তপ্রাণার,  ' প্রচলকথা ( অখণ্ড ) ', অবলম্বনে।
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                             
 

বেদান্ত দর্শন


বেদান্ত দর্শন



নারদ বিষ্ণুভক্ত।

নারদ, প্রজাপতি ব্রহ্মা ও দেবী সরস্বতীর সন্তান !

ব্রহ্মা ও দেবী সরস্বতীর, নিয়ম মাফিক, বিবাহ হয়েছিল কিনা, জানা যায় না !

তবে, দেবী সরস্বতী, ব্রহ্মাকে, বরণ করে নিয়েছিলেন !

নারদ,  সনৎকুমারের কাছ থেকে, ব্রহ্মবিদ্যা লাভ করেন !

ছান্দোগ্যোপনিষদ্-এ,  সেই সম্বন্ধে, পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আছে !

সেই বিবরণই, বেদান্ত দর্শনের মূল কথা !

সেখান থেকেই, বেদান্ত দর্শনের শুরু ! এবং জন্ম !


স্বামী বিবেকানন্দ, শিকাগো থেকে, ফেরবার পথে, জাফনায়, বেদান্তদর্শনের ওপর, একটা সরল-সুন্দর, সাধারণ লোকের উপযোগী, বক্তৃতা দিয়েছিলেন !
বেদান্তদর্শনের ওপর, আধুনিক যুগের উপযোগী, বিবেকানন্দের বক্তৃতাটি,  'স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা', বইটির, পঞ্চম খণ্ডে, পৃষ্ঠা সংখ্যা  ১৫-য় সন্নিবিষ্ট আছে !
পাঠক-পাঠিকারা, আগ্রহী হলে, ওটি দেখতে পারেন !
ঐ পঞ্চম খণ্ডেই, বেদান্ত সম্বন্ধে, আরও সংবাদ আছে ! দেখুন, পঞ্চম খণ্ডের  'নির্দেশিকা', পৃষ্ঠা, ৪৯৯-৫০০।



* সূত্র : 'বঙ্গীয় শব্দকোষ',  এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত।

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৭

ত্রিযামা


ত্রিযামা



ত্রিযামা।
রাত্রি।

তিন যাম, অর্থাৎ, তিন প্রহর বিশিষ্ট,  রাত্রি।

বস্তুত, চার যামে, এক রাত্রি হয় !

প্রথম প্রহরের, প্রথম অর্ধ, ও , শেষ প্রহরের, শেষ অর্ধ, যথাক্রমে,  সন্ধ্যা ও ঊষার মধ্যে, ধরা হয় !

তাই, রাত্রি, তিন যাম বিশিষ্ট। অর্থাৎ,  ত্রিযামা !



*সংসদ/৩৯০।

নেতাজি


নেতাজি




মাননীয় মিন্টু ঘোষ-এর সংগ্রহ          শেয়ার করেছেন      শ্রী প্রণব কুমার কুণ্ডু



Mintu Ghosh

ঐতিহাসিক নিলাম
======================

1944 সালের 26 শে জানুয়ারী। রেঙ্গুনের মিউনিসিপ্যাল বিল্ডিং প্রাঙ্গনে নেতাজীর সম্মানে আয়োজিত হয়েছিল এক বিশেষ সভা। বর্মায় এটি প্রথম জনসভা। গণ্যমান্য ব্যক্তি থেকে সাধারণ মানুষের মিলনে সভা তখন জনসমুদ্র। নেতাজী নামের এমন জাদু।

সভার প্রথমে বর্মার অধিবাসীদের তরফ থেকে নেতাজীকে একটি মালা পরানো হয়। তারপর নেতাজী প্রায় দু ঘণ্টা বলে গেলেন। কখন যে এতটা সময় কেটে গেছে কেউ টের পায়নি। শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ।

এবার নেতাজী মালাখানি নিয়ে উদাত্ত কণ্ঠে বল্লেন --এই মালাখানি সমস্ত বর্মাবাসী মানুষের শুভেচ্ছার প্রতীক হিসাবে অমূল্য। কালে এটি শুকিয়ে হয়ে যাবে মূল্যহীন। তাই এই মুহূর্তে এর যথার্থ মূল্যায়নের জন্যে আমি এটি নিলাম করতে চাই। যে অর্থ পাওয়া যাবে তা দিয়ে রেঙ্গুনে খোলা হবে আজাদ হিন্দ সংগ্রহশালা।

সর্বপ্রথম আকুল কণ্ঠে চিৎকার করল এক শিখ যুবক হরগোবিন্দ সিং -- 'নেতাজী,ঐ মালা আমি কিনতে চাই,এক লাখ ডলার মূল্য দেব'।

স্হানীয় বিখ্যাত ব্যবসায়ী ব্রিজলাল হরগোবিন্দ কে পিছনে ফেলে বলেন --'আমি চাই ঐ মালা,দাম দু লাখ ডলার'।

আর একজন হেঁকে ওঠেন --আড়াই লাখ।

ব্রিজলাল গলা চড়ান --তিন লাখ ডলার--- তিন লাখ দশ হাজার.....।

মালার মূল্য ক্রমশ ঊর্ধমুখি ,হরগোবিন্দ নাছোড়বান্দা। চিৎকার করেন --চার লাখ।

সভার জনতা হরগোবিন্দকে সমর্থন করে।

ব্রিজলাল এসেছেন ব্যবসায়ী ও অহংকারী মনে, তিনি এটাকে পরাজয় মনে করে বলেন--'তব পাঁচলাখ এক হাজার....।


হরগোবিন্দ বুঝলেন তাঁর আশা পূর্ণ হবার নয়, প্রায় সর্বস্ব পণ করেও পারলেন না ঐ পরম সম্পদের মালিক হতে।

নিলাম চলতে থাকে দুই ধনকুবেরের মধ্যে, শেষে দাম উঠলো সাত লক্ষ ডলার।

দিয়েছেন ব্রিজলাল। ব্রিজলাল এগিয়ে চলেছেন সম্পদটি নিতে।

নেতাজী আসছেন সমর্পন করতে।

ঠিক সেই মুহূর্তে আর্তকন্ঠে চিৎকার করে উঠলেন হরগোবিন্দ----- 'নে---তা---জী' ......।


ব্রিজলাল বললে -নেতাজীকে ডেকে কি হবে? ক্ষমতা থাকে তো দাম বাড়াও।

হরগোবিন্দ বলল -তোমার সঙ্গে আমার কথা নেই। যা বলার নেতাজীকে বলব।


নেতাজী বললেন--বলো ,কি বলতে চাও?

হরগোবিন্দর চোখে তখন জল আর আগুন--- 'ভিক্ষা করার ভঙ্গীতে বললেন, "নেতাজী,সিঙ্গাপুরে আমার কখানা বাড়ী আছে। গ্যারাজে আটখানা ট্রাক আছে। তিনচার লক্ষ ডলার আছে। আরও হয়ত কিছু আছে--জানিনা সব যোগ করলে সাত লক্ষ ডলার ছাড়িয়ে যাবে কিনা ! তবে এই নিলামে আমার শেষ ডাক। যেখানে আমার যা কিছু আছে, শেষ কপর্দক পর্যন্ত--সব আমি আজাদ হিন্দ ফান্ডে লিখে দিচ্ছি। বিনিময়ে ঐ মালাখানি আমার চাই"।


হরগোবিন্দর দুচেখে বর্ষার ধারা। দেহ কাঁপছে।

নেতাজীর চোখে আনন্দ। মঞ্চ থেকে নেমে এলেন। বুকে জড়িয়ে ধরলেন হরগোবিন্দকে। মালাখানি পরিয়ে দিতে গেলে হরগোবিন্দ বললেন, "আপনার গলার মালা কি আমি গলায় পরতে পারি নেতাজী? আমার মাথায় রাখুন"।


ব্রিজলাল ছাড়তে চান না তার অধিকার।

তাকে নেতাজী শান্ত করেন। বলেন---" ওহ তো নঙ্গা ফকির বন চুকা। ওর সঙ্গে তোমার আর লড়াই চলে না ভাই। টাকা দিয়ে ভিখিরিকে ডিঙোনো যায় না "।


এবার হরগোবিন্দ একটি আর্জি পেশ করল। নেতাজী ," আর একটি ভিক্ষা"।

 "বলো হরগোবিন্দ", আশ্বাস দিলেন নেতাজী।

হরগোবিন্দ বললেন-- এখন গাছতলা ছাড়া আমার তো আর দাঁড়াবার স্হান রইল না। দিনে দু মুঠো গমও তো চাই জীবন ধারনের জন্য। তাই আপনি আমাকে আশ্রয় দিন। আজাদ হিন্দ ফৌজে ভর্তি করে নিন দয়া করে"।


অভিভূত নেতাজী বুকে টেনে নিলেন এই সর্বস্ব ত্যাগী যুবককে।


এমন দৃশ্য, এমন ইতিহাস আর কেউ কি কোন ও দিনও গড়তে পারবে !!!!!


# কৃতজ্ঞতা --- মিঃ বরুন দত্ত।


বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

ভগদত্ত-প্রক্ষিপ্ত বৈষ্ণব-অস্ত্র


ভগদত্ত-প্রক্ষিপ্ত বৈষ্ণব-অস্ত্র



কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের দ্বাদশ দিবসে, ভগদত্ত-প্রক্ষিপ্ত, বৈষ্ণব-অস্ত্র নিবারণে, অর্জুন, অসমর্থ ছিলেন !
ভগদত্ত, নরক রাজার জ্যেষ্ঠ পুত্র !
বৈষ্ণব-অস্ত্র। বৈষ্ণবাস্ত্র ! বিষ্ণুর শক্তিতে শক্তিমান, অস্ত্রবিশেষ !

কৃষ্ণ স্বয়ং, বিষ্ণুর অবতার হিসাবে, বৈষ্ণবাস্ত্র নিবারণ করেন !
কৃষ্ণ, অস্ত্রটিকে, অর্জুনকে,  আঘাত করতে বারণ করেন, যাতে অস্ত্রটি, অর্জুনের কোন ক্ষতি না করে !

শ্রীকৃষ্ণের কথায়, বৈষ্ণব-অস্ত্রটি, কণ্ঠে তুলসীর মালা চড়িয়ে, বিষ্ণুর, অষ্টাধিক শতনাম জপতে জপতে,  আকাশের শূন্যে ভেগে পড়ে !



*সুবল/৩৮০/১।

মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭

আচমন


আচমন



পূজা প্রভৃতির আগে, তিনবার জল খেয়ে, এবং, দুইবার  জলে ওষ্ঠাধর ( নীচের ও ওপরের ঠোঁটদু'টি ) পরিষ্কার করে,
মাথাসহ ষড়ঙ্গ বা মাথাসহ অষ্টাঙ্গ স্পর্শ করে, শুদ্ধিজনক প্রক্রিয়াবিশেষ !
ওটাকে স্পর্শ বলবেন, না, উপস্পর্শ বলবেন, তা আপনারাই ঠিক করবেন !

ষড়ঙ্গ। মনুসংহিতা অনুযায়ী, মুখ চোখ কান নাক হৃদয় ও  মাথা। এই ছয় অঙ্গ।

অষ্টাঙ্গ। গড়ুরপুরাণ মতে, ওপরের ঐ ছয় অঙ্গ এবং নাভি ও হাত।এই আট অঙ্গ।

আচমনি জল। আচমনের জন্য জল।

ভোজনের আগে ও পরে জলপান, সেটাও আচমনীয় জলপান !

ভোজনের পরে হাত-মুখ ধোওয়া, সেটাও আচমন। সাদা বাংলায়,  আাঁচান !



*ব.শ.কো./২৪৮।

সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭

সহস্রার


সহস্রার


সহস্রার !
শিরোমধ্যস্থ সুষুম্না নাড়িতে অবস্থিত !

তান্ত্রিক মতে কল্পনা করা হয়, সহস্রার মধ্যে, সুষুম্না নাড়িতে, অধোমুখ সহস্রদল পদ্ম রয়েছে !

এটাও ধরে নেওয়া হয়, সহস্রার অন্দরে, সুষুম্না নাড়িতে,  পরম শিবের অধিষ্ঠান !

সুষুম্না নাড়িতে, বিশেষত কুণ্ডলিনীতে, কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগরিত করে ও ষটচক্রভেদ করে,  যোগী,   সহস্রারস্থ শিবের সঙ্গে মিলিত হন,  ও, সহস্রারক্ষরিত অমৃতধারা, পান করেন, এবং অনির্বচনীয় পরমানন্দ লাভ করেন !

এখন আমাদের যেমন চাচক্র, তন্ত্রে সেই রকম, ভৈরবচক্র, ভৈরবীচক্র !

ভৈরবীচক্র।
যে চক্রের মধ্যে, অর্থাৎ, তান্ত্রিক সাধকমণ্ডলীর মধ্যে বসে, অংশগ্রহণ করে,  পঞ্চ ম-কার সাধন করা হয় !

মানুষের মূল বৃত্তি






মানুষের মূল বৃত্তি



মানুষের মূল বৃত্তি  পঞ্চাশটি !

এগুলো অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে,  দশদিকে, কুড়িটি গতিধারায় প্রবাহিত !

সেই হিসাবে, আসলে, বৃত্তি এক হাজারটি !

মানুষের শরীরের মস্তকের সহস্রার-চক্র দ্বারা, এই একহাজারটি বৃত্তি, সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে, নিয়ন্ত্রিত হয় !

নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, মানব মনের অচেতন স্তরে অবস্থিত !

এই এক সহস্র বৃত্তিমূলক অভিব্যক্তি, স্নায়বিক এবং অতিস্নায়বিক স্তরের স্মৃতির এবং অনুভূতির সঙ্গে, অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্বন্ধিত !



* সূত্র : 'শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তির, "আনন্দরচনামৃত"।

ধ্যান


ধ্যান



ছান্দোগ্য উপনিষদের অষ্টম অধ্যায়ে, হৃদয়কমলে, সগুণ ব্রহ্মের ধ্যান করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে !

কঠ মুণ্ডক ইত্যাদি উপনিষদেও, আত্মধ্যানের কথা আছে !

এছাড়া, ধ্যানবিন্দু, গোপালোত্তরতাপনী প্রভৃতি উপনিষদগুলিতেও, বিশেষ ধ্যানের কথা আছে !



* তথ্যসূত্র : 'স্বামী ধ্যানানন্দের  'ধ্যান' গ্রন্থ।

অণুমন


অণুমন



অণুমন এবং স্থূল জাগতিক অস্তিত্ব এবং পরমসত্তার চিত্তধাতু সঞ্জাত, সংকর্ষণে, সম্যকভাবে সংমিশ্রিত হয়ে সৃষ্টি হয়
মানব মন !

মানব মনের দু'ইটি জগৎ ! বাহ্যিক ও অাভ্যন্তরিক !

মানব মন যখন বাহ্যিক জগতের সাথে যুক্ত হয়, তখন মনে তার একটা অভ্যন্তরীণ উৎকর্ষের উদয় হয় !

মানব মন যখন অভ্যন্তরীণ জগতের সাথে সংযুক্ত হয়, তখন ভক্তি-প্রেম-শ্রদ্ধা প্রভৃতি উদীর্ণ হয় !



* ( সংগৃহীত )।

মানস


মানস



আমাদের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয় !
স্থূল শরীর !
সূক্ষ্মশরীর, যার অস্তিত্বের মধ্যে পড়ে, মন-বুদ্ধি !
আর কারণগত অস্তিত্ব, আধ্যাত্মিক !

আধ্যাত্মিক প্রগতির শেষ বিন্দু, দীনবন্ধু !

তিনটি স্তরেই, যোগের মাধ্যমে যোগাযোগ হতে পারে !

আমাদের স্থূলতম অস্তিত্ব, দেহ !

জাগতিক অস্তিত্বগুলির অভ্যন্তরীণ প্রক্ষেপণ হয়ে যায়, মনের মধ্যে ! মন, সুক্ষ্ম শরীরের অংশ ! সুক্ষ্ম শরীরের অংশ হলেও, মন বিরাট ! মন স্বরাট নয়, তবে মনের স্বরাজ্য আছে, সেই স্বরাজ্যও বিরাট ! মনের পরিধিও বিরাট ! আসলে মনের বিরাট ব্যাপ্তি !
মন শুধু দিগন্ত বা পৃথিবী ছাড়িয়ে নয়, মনের ব্যাপ্তি. তার বিস্তৃতি, প্রসার, অন্ত্যরিক্ষ্ ছাড়িয়েও দূরে, বহু দূরে, মনের সাথে জ্ঞানের মিশেল হয়ে, চলে যায় ! চলে যায় !

( সংগৃহীত )।

চলচিত্র


চলচিত্র



১৯১৩  সালে ভারতে প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘের চলচিত্র মুক্তি পেয়েছিল,  'রাজা হরিশচন্দ্র'  !
তারপর থেকে, ভারতে, চলচিত্র-জগতের,  নতুন যুগের, সূচনা হয়েছিল !

রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭

রামায়ণের খণ্ডচিত্রে বিবাহ


রামায়ণের খণ্ডচিত্রে বিবাহ



রামের সাথে রাজর্ষি জনকের কন্যা সীতাদেবীর বিবা্হ !
রাজর্ষি জনকের নাম  'সীরধ্বজ'।
সীর। লাঙ্গল।
জনক। 'জনক রাজ্যের' রাজার উপাধি !
জনক। মিথিলাধিপতি !

কুশধ্বজ, রাজর্ষি জনকের সহোদর ভ্রাতা !
কুশধ্বজ-এর জ্যেষ্ঠা কন্যা, মাণ্ডবীদেবীর সাথে, ভরতের বিবাহ !

সীতাদেবীর সহোদরা ভগিনী, ঊর্মিলাদেবীর সাথে, লক্ষ্মণের বিবা্হ !

কুসধ্বজ-এর কনিষ্ঠা কন্যা, শ্রুতকীর্তিদেবীর সাথে, শত্রুঘ্নের বিবা্হ !

 রাম লক্ষ্মণ ভরত শত্রুঘ্ন, এঁদের বিবাহ, একই পারিবারিক পরিচিতির গণ্ডির মধ্যে !

বিবাহের প্রথম এবং প্রধান উদ্যোক্তা, বিশ্বামিত্র মুনি !

বিবাহের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বশিষ্ঠ মুনি !

জনক। নিমি থেকে জন্ম হেতু,  'জনক' !

বিদেহ নিমি থেকে জাত বলে, জনকের আর এক নাম, 'বৈদেহ' !

মৃত নিমির দেহমন্থনে উৎপত্তি হেতু,  'মিথিল' !

মিথিলা রাজ্য, রাজা জনকের নির্মিত !

আবার, অন্য মতে, মিথিলরাজ, হ্রস্বরোমার পুত্র ! ইনি কুশধ্বজের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ! সীতা এঁনার পালিতা কন্যা !

জনক,  ব্রহ্মবিৎ এবং রাজর্ষি ছিলেন !

যাজ্ঞবল্ক্য, এঁনার সভায় নিয়মিত অবস্থান করতেন !

'মিথিপুত্র', রাজর্ষি জনকের পূর্বপুরুষ ছিলেন !



* তথ্যসূত্র : 'শ্রীরামচরিতমানস', পৃষ্ঠা ৪০৫। ব.শ.কো., পৃষ্ঠা ৯২০।


শিব [ চার ]


শিব [ চার ]



পর্বতরাজ হিমালয়ের সঙ্গে, পিতৃগণদুহিতা, মেনকার বিবাহ হয় !
মেনকার গর্ভে, মৈনাক নামক পর্বত-পুত্র, এবং,  গঙ্গা ও উমা নাম্নী দু'ই কন্যার জন্ম হয় !

গঙ্গা ও উমা, দু'ই সহোদরা বোন !

শিবের সঙ্গে, গঙ্গা ও উমা, এই দুই হিমালয়-মেনকার কন্যার,  বিবা্হ হয় !



*সুবল/১৩১১৯।

হিমাজ্ব


হিমাব্জ



হিমাব্জ !
হিমকালজাত পদ্ম !
হিমালয়জাত পদ্ম !
ওটা নীলোৎপল !
নীল পদ্ম !
হনুমান, হিমালয় থেকে,  এনে দিয়েছিলেন,  ১০৮টি  নীলপদ্ম !

দুর্গার অকাল বোধনের পূজার জন্যে, যা, শ্রীরামচন্দ্রের প্রয়োজনে পড়েছিল !



*ব,শ.কো./২৩৬৫।




হিমালয়


হিমালয়



হিমালয়, পর্বতদের রাজা।
হিমালয়কে, হিমাদ্রিও বলা হয়।
হিমালয়, নানাপ্রকার ধাতুর খনি।

হিমালয় শুভ।

হিমালয়কে, দিব্যদেহ ধারণ করিয়ে, সর্বাঙ্গসুন্দর রমণীয় দেবতা হিসাবে রূপ দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়, হিমালয়, ভগবান বিষ্ণুর অংশোদ্ভূত !

তুষার মণ্ডিত হিমালয়।

হিমালয় ভগবান শিবের, অত্যান্ত প্রিয় তপস্যার স্থান।

যোগী-মহাযোগিদেরও !

আর সাধারণ মানুষদের বেড়াবার জায়গা।

হিমালয়, শিবের শ্বশুর মশাই !

শিবের বাসস্থান কৈলাস।

কৈলাস পর্বতও হিমালয়ের একটি শৃঙ্গ !

শিবের নিবাসস্থল বলে, কৈলাস, হিন্দুদের ক্ষেত্রে, সর্বপ্রধান লৌকিক ও বাস্তবিক, তীর্থস্থান ! কৈলাস পর্বতের বাস্তব অস্তিত্ব আছে ! কৈলাস পর্বত অলৌকিক অবাস্তব নয় ! কৈলাস  'শিবলোক' ! কৈলাস পর্বতের পাদদেশে তীর্থযাত্রিরা পৌঁছতে পারেন ! কৈলাস পর্বতকে বেষ্টন করে, একটি পায়ে চলা পাহাড়ি পধ আছে ! সেই পথটি পরিভ্রমণ করতে সাধারণ তীর্থযাত্রিদের, সাধারণত তিন সপ্তাহের বেশি সময় লাগে !



*শিবপুরাণ/১৬২। সুবল/১৩১৯।

শিবলিঙ্গের পূজা


শিবলিঙ্গের পূজা



শিবলিঙ্গের পূজা করার অধিকার, নারী পুরুষ নপুংসক, সকলেরই আছে !

শাস্ত্রীয় অধিকার যখন রয়েছে, তখন শিবলিঙ্গ পূজায়, পুরুতের প্রয়োজন অপ্রাসঙ্গিক !

ব্রাহ্মণ
ক্ষত্রিয়
বৈশ্য
শূদ্র
অনুলোম
বা বিলোম সঙ্করদেরও, শিবলিঙ্গের পূজার,  সেই অধিকার আছে !

ব্রাহ্মণেরা, বৈদিক মন্ত্রে পূজা করবেন !

অব্রাহ্মণেরা এবং নিম্নবর্গীয়রা, তান্ত্রিক মন্ত্রে পূজা সারবেন !



* তথ্যসূত্র : 'সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ', পৃষ্ঠা ৫৩।

লেখকের সংযোজন---
লেখকের মতো লোক,  কিছুই করবেন না,  না বৈদিক মতে পূজা, না তান্ত্রিক মতে পূজা !

লেখকের অতিরিক্ত সংযোজন---
শিবলিঙ্গ পূজা, বা শিবসতী লিঙ্গ পূজা,  বা শুধু লিঙ্গ পূজা,  যদি করতেই হয়, তাহলে, মনুষ্য-মনুষী লিঙ্গই তো, আছে, লেখকের জানা !

লেখকের তদ্-অতিরিক্ত সংযোজন---
ওখানেই লেখক, ফুল ছড়াবেন, কয়খানা !

তার বাইরেও সংযোজন---
অন্যেরা কে কী করবেন, তা লেখকের, সম্পূর্ণরূপে অজানা !

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭

পরমেশ্বরপদ প্রাপ্তি


পরমেশ্বরপদ প্রাপ্তি


বেদের শাস্ত্রীয় কর্মের সুষ্ঠু অনুষ্ঠান করে, তার মহান ফল, পরমেশ্বরের শ্রীচরণকমলযুগলে, সমর্পণ করে দেওয়াই, পরমেশ্বরপদ প্রাপ্তি !

সেটাই হল, সালোক্য ইত্যাদি ক্রমে পাওয়া, ক্রমান্বয়ে মুক্তি !



*শিব/১৬।

মনন


মনন



যে প্রক্রিয়া দ্বারা, ঈশ্বরের পূজা, তাঁর নামরূপ, জপ তপ, ঈশ্বরের গুণ, বিলাস ইত্যাদির, যুক্তিপরায়ণতাতে, চিত্তের যে নিরন্তর পরিশোধন,  সংশোধন, ও  পরিমার্জনা হয়, তাকে বলে  'মনন' !

মনন, সমস্ত সাধনগুলোর মধ্যে, প্রধান ও শ্রেষ্ঠ !

মনন প্রক্রিয়া, চলতেই থাকে, চলতেই থাকবে !

মহাসাধন


মহাসাধন



ঈশ্বরের নাম গুণ লীলা ইত্যাদি তত্ত্ব শ্রবণ, এটিই প্রথম সাধন !

ঈশ্বরের গুণ কীর্তন, এটি দ্বিতীয় সাধন !

এবং মন দ্বারা ঈশ্বরের মনন, এটিতে, মননের সিদ্ধি ঘটায় ! এটি তৃতীয় সাধন !

একত্রে, প্রথম সাধন, দ্বিতীয় সাধন, তৃতীয় সাধন, একসাথে করলে,  সেইটি  মহাসাধন !



*শিব/১৬।

মামদো


মামদো



মামদো।
প্রেতযোনিতে পরিণত মুসলমান !
বিশেষণে
মোহাম্মদীয় মুসলমান !
আরবিতে
মোহাম্মদ + বাং. ঈয় =  মোমাম্মদীয় !
তুলনায়
মামুদ + ঈয় !

মামদো। ভূতযোনিপ্রাপ্ত মুসলমানের আত্মা !
কখনো, নীল মামদো !+

মামদোবাজি !
ইয়ারকি !
ফাজলামি !



* সূত্র : সংসদ বাংলা অভিধান পৃষ্ঠা ৭০০।
+ সূত্র : বশকো/১৭৭৪।

জন্মান্তর দেবতা মানুষ


জন্মান্তর দেবতা মানুষ



জন্মান্তরে, সুকর্মের প্রভাবে, কোন মানুষ, দেবতায় উন্নীত হতে পারেন !

আবার দেবতাদেরও মৃত্যু হয় !

'ব্রহ্ম' কি দেবতা ?

না, দেবতাদের অনেক ঊর্ধ্বে ?

ব্রহ্মের মৃত্যু নেই !

তাহলে হিন্দুধর্ম রসাতলে যাবে !

শিব মৃত্যুর ঊর্ধ্বে !

শিবের মৃত্যু নেই !

বিষ্ণুর মৃত্যু আছে ?

না, বিষ্ণু মৃত্যুহীন ?

সম্ভবত মৃত্যুহীন !

তবে ব্রহ্মার মৃত্যু আছে !

১০০ ব্রাহ্ম বছর, ব্রহ্মার আয়ু !

শক্তিদেবতাদের, বলুন, শক্তি দেবীদের,  মৃত্যু নেই !

মৃত্যু হলে, দেবতারা, ফের মানুষ হিসাবেও জন্মাতে পারেন !

আবার নাও পারেন !

বা অন্য কোন প্রাণী হিসাবে জন্মাতে পারেন ?

যদিও বলা হয়, মানুষ জন্মই শ্রেষ্ঠ জন্ম !

এই পৃথিবী কর্মভূমি !

কর্মযোগের কর্ষণ স্থান !



*ভাবনায়  'বিবেকানন্দ',পঞ্চম, ২৪।

চটি জুতো







চটি জুতো


Pranab Kumar Kundu


Pranab Kumar Kundu


শুধু হাওয়াই চটি নয়,যে কোন রকমের চটি, হাঁটাচলায় অসুবিধা সৃষ্টি করে !

Locomotor system-এর ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটায় !

Gait-এর পরিবর্তন ঘটায় !

শিরদাঁড়া থেকে, পায়ের পাতা পর্যন্ত, নানান ধরণের সমস্যার সৃষ্টি করে !

জুতো পরতে হবে, 'টাইট' করে বাঁধা এবং হিলযুক্ত !

গোড়ালি সদর্পে মাটিতে ফেলে, হাঁটতে হবে !

তাতে পায়ের 'মাসলগুলো' এবং শিরদাঁড়ার নিম্ন ভাগ পর্যন্ত মাসলগুলোর ব্যায়াম হবে !

কে শুনবে ?

বয়স বাড়লে বুঝবে !

পরে পস্তাবে !



বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭

ব্রাহ্মণের প্রকারভেদ


ব্রাহ্মণের প্রকারভেদ



সদাচার পালনকারী, বিদ্বান, বিচক্ষণ,  ব্রাহ্মণ,  প্রকৃত পক্ষে,  ব্রাহ্মণ পদবাচ্য !

যিনি কেবল বেদে বর্ণিত আচার পালনকারী, এবং বেদ অভ্যাসী, তিনি  'বিপ্র' !

যিনি সদাচার, বেদাচার, ও  বিদ্যা, এই তিনটির মধ্যে, মাত্র একটি গুণে, গুণবান, তিনি হলেন  'দ্বিজ' !

যে ব্রাহ্মণ, রাজকুলের সেবক, তিনি  'ক্ষত্রিয়-ব্রাহ্মণ' !

অন্যের দোষ দর্শনকারী এবং অন্যের অনিষ্টকারী ব্রাহ্মণ,  'চণ্ডাল-দ্বিজ' !

যে ব্রাহ্মণ, বাণিজ্যে লিপ্ত, তিনি,  'বৈশ্য-ব্রাহ্মণ' !

যে ব্রাহ্মণ, জমি চাষ করেন, তিনি,  'শূদ্র-ব্রাহ্মণ' !



* সূত্র : সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ২৬-২৭।

অতিরিক্ত, লেখকের সংযোজন, 'যে ব্রাহ্মণ চাকুরিজীবী, তিনি অ-ব্রাহ্মণ' !

বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

ব্রাহ্মণ


ব্রাহ্মণ



অতীতে, বাঙালি জাতিতে, একজনও, বৈদিক  ক্রিয়াকলাপে দক্ষ, ব্রাহ্মণ ছিলেন না !

তাই, পাঁচজন 'শিক্ষিত'  ব্রাহ্মণকে, কান্যকুব্জ থেকে নিয়ে এসেছিলেন, তৎকালীন বাংলার সেনবংশের প্রতিষ্ঠাতা, আদিশূর !

রাঢ়ি ও বারেন্দ্র ব্রাহ্মণরা, এঁদেরই বংশধর !

এখন পর্যন্ত পুরোহিত ব্যাবসা, তাঁদের বংশধরেরা, ভালোই চালাচ্ছেন !

কান্যকুব্জ।
কনৌজ দেশ !
কনৌজ, উত্তর প্রদেশের ফারাক্কাবাদ জেলার, তহসিলবিশেষ ছিল।
কান্যকুব্জ, প্রাচীন আর্যসভ্যতার কেন্দ্রগুলির মধ্যে, অন্যতম ছিল !
অতি প্রাচীনকাল থেকে, খ্রিস্টিয়  ৬ষ্ঠ শতাব্দ পর্যন্ত, কান্যকুব্জ, আর্যগৌরবের সাক্ষ্য বহন করেছিল !
খ্রিস্টাব্দ ১০১৮ অব্দে, দেশটি,  গজনির সুলতান, মহম্মদ মামুদের হাতে বিধ্বস্ত হয়েছিল !



* সূত্র : 'বঙ্গীয় শব্দকোষ',পৃষ্ঠা ২৭৩। অভিধান 'সুবল',  পৃষ্ঠা ৩৩৮।

ষোড়শোপচারে শিবের পূজা


ষোড়শোপচারে শিবের পূজা



ষোড়শ উপচার দিয়ে, ভগবান শিবের পূজা করলে, পূজার ফলের সিদ্ধিলাভের সম্ভাবনা, সহজ হয় !

কাজেই ষোলো উপচার দিয়ে, ভগবান শিবের, পূজা করাই উচিত !

উপচার। পূজার সামগ্রী।

দেবতা ভেদে উপচারে কিছু কিছু পার্থক্য আছে !

যেমন, শিবকে দেওয়া হয়, গাঁজা-ছিলিম এবং আধুনিক যুগে দেশলাই !

শক্তিদেবীকে,  দেওয়া হয়, মদ্য ! আধুনিক যুগে, চোলাই !

পূজায়, দেবতার অভিষেক করলে আত্মশুদ্ধি হয় !

অভিষেক।
পূজার বেদিতে, দেবতার সংস্থাপন। মন্ত্রপূত তীর্থজলে, দেবতাকে স্নান করানো বা মানস-স্নান করানো !

ফুল দিয়ে এবং মন্ত্রপাঠে, পূজা করতে হয় !

অঘ্রাত অক্ষত দিয়ে, নৈবেদ্য প্রস্তুত করতে হয় !

নৈবেদ্য দিলে, আয়ুবৃদ্ধি ও তৃপ্তি হয় !

গন্ধদ্রব্য দিলে,  পুণ্যলাভ হয় !

ধূপ নিবেদন করলে, ধনলাভ হয় !

দীপ দেখালে, জ্ঞানের উদয় হয় !

পান-সুপারি দিলে, ভোগের উপলব্ধি হয় !

পূজার শেষে জপ করা ও প্রণাম করা উচিত !

সকলকে প্রসাদ দেওয়া উচিত !



* সূত্র : 'সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৩৫।

সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭

ঈশ্বরের ছোঁওয়া


ঈশ্বরের ছোঁওয়া



ঈশ্বরকে ডাকলে, ঈশ্বর কাছে আসেন !

তবে দশ আঙ্গুল দূরে দাঁড়িয়ে থাকেন !

ঈশ্বরের মহান শক্তি !

Very High Voltage Potential Difference !

ঈশ্বর ছুঁয়ে দিলে, মানুষ, উচ্চ বিভবের তড়িতাহতের মতন, বজ্রাহত হয়ে, নিঃশব্দে,  মুহূর্তে মারা যান ! ভস্মীভূত হয়ে,  বাষ্পীভূত হয়ে যান !

ঈশ্বরলোকে, চলে যান !







* সূত্র : 'সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৪২১।

হৃদয়ের প্রাণবায়ু


হৃদয়ের প্রাণবায়ু



আমাদের হৃদয়ের প্রাণবায়ু, সদা-সর্বদা, আমাদের দেহের অভ্যন্তরের অগ্নিকে, মৃদু ভাবে উদ্দীপ্ত করে !

বা্যুতে অক্সিজেন থাকে, অক্সিজেন, অগ্নির মৃদু দহনে সহায়ক হয় !

এই বায়ু, শরীরের ভিতরে এবং শরীরের বাইরে, যাতায়াত করে !

জ্ঞান
বিজ্ঞান
উৎসাহ
এই সবেরই প্রবৃত্তি, এই বায়ু থেকেই হয় !



* সূত্র : 'সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ' গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৪২১।

জয়-বিজয়


জয়-বিজয়



বিষ্ণুলোক, অর্থাৎ,  বৈকুণ্ঠ-এর  দারোয়ান, জয়-বিজয়,  ব্রাহ্মণ-সনকদের অভিশাপে, হিরণ্যাক্ষ ও হিরণ্যকশিপু নাম ধরে, অসুর হিসাবে, মর্ত্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন !

দু'জনেই ছিলেন সমর নিপুণ ও বিখ্যাত যোদ্ধা !

হিরণ্যাক্ষকে বধ করার জন্য, ভগবান শ্রীবিষ্ণু বরাহরূপ অবতার ধারণ করেছিলেন !

হিরণ্যকশিপুকে বধ করার জন্য, ভগবান শ্রীবিষ্ণু নৃসিংহরূপ অবতার ধারণ করেছিলেন !

জয়-বিজয়-ই অাবার, মহাবীর ও অমিত বিক্রম, রাবণ ও কুম্ভকর্ণ রূপে, জন্মগ্রহণ করে, দেবতাদেরও পরাজিত করেছিলেন !
তাঁদের বিরত্বের কথা, পৃথিবী শুদ্ধ লোক জানে !

ব্রাহ্মণদের অভিশাপ কি বস্তু,  তা আলোচ্য আখ্যান থেকে, জানা গেল !

সুতরাং, ব্রাহ্মণদের থেকে সাবধান !



* সূত্র : 'শ্রীরামচরিতমানস', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ১৬৩-১৬৫।


রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

পার্বতী


পার্বতী



দক্ষকন্যা সতী। 

তাঁর পরের জন্ম, হিমাচলের কন্যা, দেবী পার্বতী !

পার্বতীর অন্য নাম, উমা দেবী !

অম্বিকা, ভবানী প্রভৃতি নামেও, পার্বতী খ্যাতা !



* সূত্র : 'শ্রীরামচরিতমানস', পৃষ্ঠা ৯৭।



ভগবান শংকর-এর সমাধি


ভগবান শংকর-এর সমাধি



ভগবান শংকর, সমাধিতে মগ্ন হতেন !

সাতাশি হাজার দিব্য বছর জুড়ে, শংকর ভগবান, সমাধিতে মগ্ন ছিলেন !

এর পরে ব্রহ্মা, দক্ষকে, প্রজাপতি পদে নিয়োগ করলেন !

তারও বহু পরে, দক্ষকন্যা সতীকে, শংকর ভগবান বিবাহ করলেন !

তারপর শংকর ভগবান, সংসারী হয়ে, সেই অর্থে, তপস্যা ছেড়ে দিলেন !



* সূত্র :  'শ্রীরামচরিতমানস', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৮৭।

কিং কোবরা


কিং কোবরা


বাংলা উইকি থেকে পোস্টটি  শেয়ার করেছেন      শ্রীপ্রণব কুমার কুণ্ডু।

https://bn.wikipedia.org/s/yz1

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শঙ্খচূড়
KINGCOBRA.jpg


বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Reptilia
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: Serpentes
পরিবার: Elapidae
গণ: Ophiophagus
প্রজাতি: O. hannah
দ্বিপদী নাম
Ophiophagus hannah
ক্যান্টর, ১৮৩৬
Distribution O. hannah.png

শঙ্খচূড়, পদ্ম গোখরা, রাজ গোখরা (ইংরেজি: King Cobra) (বৈজ্ঞানিক নাম: Ophiophagus hannah) হচ্ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিষধর সাপ। যার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৫.৬ মিটার (১৮.৫ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে।[১] এটি মূলত সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার বনাঞ্চল জুড়ে দেখা যায়। ইংরেজি নামে কোবরা শব্দটি থাকলেও এটি কোবরা বা গোখরা নয়। এটি সম্পূর্ণ আলাদা গণের একটি সাপ। এই সাপের আকার পর্যবেক্ষণ এবং ফণার পেছনের অংশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গোখরার সাথে এটির পার্থক্য খুব সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। গোখরার তুলনায় শঙ্খচূড় আকৃতিতে যথেষ্ট পরিমাণ বড়। এর ফণার পেছনে প্রচলিত গোখরা বা খড়মপায়া গোখরার মতো চশমা বা গোক্ষুর আকৃতি চিহ্ন থাকে না। শঙ্খচূড়ের গণের নাম হচ্ছে Ophiophagus, যার আক্ষরিক অর্থ "সাপ খাদক", এবং প্রাথমিকভাবে এটি অন্যান্য সাপ ভক্ষণ করেই তার খাদ্য চাহিদা মেটায়। যেসকল সাপ এটি ভক্ষণ করে তার মধ্যে আছে র‌্যাট সাপ, এবং ছোট আকৃতির অজগর। এছাড়াও অন্যান্য বিষধর সাপও এটি ভক্ষণ করে, যেমন: ক্রেইট, গোখরা, এবং নিজ প্রজাতিভুক্ত অন্যান্য ছোট সাপ। এই সাপের বিষ মূলত নিউরোটক্সিক, অর্থাৎ এটির বিষ আক্রান্ত প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে। শঙ্খচূড়ের একটি সাধারণ দংশন-ই যেকোনো মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট।[২] এর কামড়ের ফলে সৃষ্ট মৃত্যু হার প্রায় ৭৫%।[২][৩][৪] বাংলাদেশের সুন্দরবনের গভীরে এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়।[৫]
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৬]
পরিচ্ছেদসমূহ  [লুকিয়ে রাখুন]
প্রজনন
সম্পর্কিত প্রজাতি
বাসস্থান ও বিচরণ
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
প্রজনন[সম্পাদনা]
ডিম পাড়ার আগে স্ত্রী শঙ্খচূড় তা শরীর পাকিয়ে কুণ্ডুলী তৈরি করে, এবং তা মৃত পাতা ব্যবহার করে উঁচু ঢিপির মতো তৈরি করে। পরবর্তীকালে সেখানে ২০ থেকে ৪০টির মতো ডিম পাড়ে। কুন্ডুলী পাকানো দেহটি ইউকিউবেটররের মতো কাজ করে। বাচ্চা ফোটার আগ পর্যন্ত শঙ্খচূড় তাঁর ঢিপিটিকে বিরামহীনভাবে পাহারা দিতে থাকে, এবং কোনো প্রাণী যেনো কাছে আসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখে।[৭]
ঢিপির মধ্যে প্রায় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ডিমগুলোকে তা দেওয়া হয়। বাচ্চা ফোটার পর তা নিজে নিজেই ডিমের খোলস ভেঙে বেরিয়ে যায় এবং নিজেই নিজের শিকার খুঁজতে থাকে, এজন্য মাকে তাঁর নিজের বাচ্চা ভক্ষণ করতে হয় না।[৮] শিশু শঙ্খচূড়ের দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ৫৫ সেন্টিমিটার এবং এদের বিষ প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মৃত্যুঘাতী।
সম্পর্কিত প্রজাতি[সম্পাদনা]
শঙ্খচূড় এলাপিডি পরিবারভুক্ত একটি সাপ। ইউরোপ ও এন্টার্কটিকা ব্যতীত এই পরিবারে সারা পৃথিবীতে প্রায় ২০০-এর বেশি প্রজাতি দেখা যায়। এদের সবগুলোই বিষধর, এবং এদের সবারই ছোট, স্থায়ী বিষদাঁত রয়েছে। কিন্তু অঞ্চলভেদে এদের মধ্যে বাসস্থান, আচরণ, এবং বর্ণ ও গঠনগত অনেক পার্থক্য দেখা যায়। এলাপিডি পরিবারভুক্ত চারটি খুবই প্রচলিত সাপ হচ্ছে কোরাল সাপ, ডেথ অ্যাডার, ব্ল্যাক মাম্বা, এবং শঙ্খচূড়।
বাসস্থান ও বিচরণ[সম্পাদনা]
শঙ্খচূড় ভারত উপমহাদেশের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার(বারমা), কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে বেশি পরিমাণে দেখা যায় । এটি ঘন জঙ্গল ও উঁচুভূমিতে বিশেষ করে হ্রদ ও স্রোতস্বিনী পরিবেশে থাকতে বেশি পছন্দ করে[১][৯]।এই সব এলাকায় বন নিধন ও আন্তর্জাতিক প্রাণী চোরাচালানের জন্য শঙ্খচূড়ের প্রজাতি দিন দিন বিলুপ্তির পথে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
↑ ঝাঁপ দাও: ক খ Mehrtens, John (১৯৮৭)। Living Snakes of the World। New York: Sterling। আইএসবিএন 0806964618।
↑ ঝাঁপ দাও: ক খ Capula, Massimo; Behler (১৯৮৯)। Simon & Schuster's Guide to Reptiles and Amphibians of the World। New York: Simon & Schuster। আইএসবিএন 0671690981। |coauthors= প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)
ঝাঁপ দাও ↑ "Ophitoxaemia (venomous snake bite)"। সংগৃহীত ২০০৭-০৯-০৫।
ঝাঁপ দাও ↑ Sean Thomas। "One most Dangerous Snakes in the World"। সংগৃহীত ২০০৭-০৯-০৫। "mortality varies sharply with amount of venom involved, most bites involve nonfatal amounts"
ঝাঁপ দাও ↑ সুন্দরবনের প্রাণী বৈচিত্র — প্রথম আলো
ঝাঁপ দাও ↑ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫০৮
ঝাঁপ দাও ↑ Piper, Ross (2007). Extraordinary Animals: An Encyclopedia of Curious and Unusual Animals. Westport, Conn.: Greenwood Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩১৩-৩৩৯২২-৬.
ঝাঁপ দাও ↑ National Geographic Program 17 May 2009
ঝাঁপ দাও ↑ Miller, Harry (সেপ্টেম্বর ১৯৭০)। "The Cobra, India's 'Good Snake'"। National Geographic 20: 393–409।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
Real Audio format of a King Cobra hissing
উইকিপ্রজাতির সম্পর্কিত তথ্যে রয়েছে: Ophiophagus hannah
উইকিমিডিয়া কমন্সে শঙ্খচূড় সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
বিষয়শ্রেণীসমূহ: আইইউসিএন লাল তালিকার সংকটাপন্ন প্রজাতিএলাপিডিবাংলাদেশের সরীসৃপভারতের সরীসৃপসাপ
পরিভ্রমণ বাছাইতালিকা

 পৃষ্ঠায় শেষ পরিবর্তন হয়েছিল ২০:৩১টার সময়, ১০ জুলাই ২০১৭ তারিখে।

শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭

পার্বতী সীতা ও রাধা


পার্বতী সীতা ও রাধা



প্রজাপতি দক্ষের ষাটটি কন্যা ছিল !
যাঁরা সৃষ্টি-উৎপত্তির কারণ হয়েছিলেন !
দক্ষের সেই ষাটজন কন্যাদের মধ্যে একজন ছিলেন স্বধা !
দক্ষ, স্বধার বিবাহ, পিতৃগণের সঙ্গে দেন !

পিতৃগণ।
পিতৃলোকবাসী মুনিগণ, যাদের থেকে, মানবগোষ্ঠী উৎপন্ন হয়েছিল !

স্বধার তিনটি কন্যা হয়েছিল !
জ্যেষ্ঠা কন্যা মেনকা !
মধ্যমা কন্যা ধন্যা !

কনিষ্ঠা কন্যা কলাবতী !
এই তিন কন্যাই যোগিনী ছিলেন !

যোগিনী।
তপস্বিনী। যোগসাধনকারিণী !

এই তিন কন্যা, মেনকা, ধন্যা, ও কলাবতী, ছিলেন,আসলে পিতৃগণের মানসী কন্যা !
পিতৃগণের মন থেকে, তাঁরা, প্রকটিত হয়েছিলেন !
কন্যারা সবাই, অযোনিজ ছিলেন !
কোনো মাতার গর্ভ থেকে তাঁদের জন্ম হয় নি !

পিতৃগণের জ্যেষ্ঠা কন্যা, মেনকার সাথে, হিমালয় গিরির বিবাহ হয় !
তাঁদের কন্যা পার্বতী ।
দক্ষকন্যা সতীর দেহত্যাগের পরে পার্বতী শিবের পত্নী হয়েছিলেন !

মেনকা এবং পার্বতী, মা এবং মেয়ে ছিলেন !

পিতৃগণের দ্বিতীয়া কন্যা ধন্যা, যিনি, রাজা সীরধ্বজ-এর ( রাজা জনকের ), পত্নী হয়েছিলেন !

ধন্যার কন্যার নাম, সীতা !

সীতার সাথে, রামচন্দ্রের বিবাহ হয়েছিল !

পিতৃগণের কনিষ্ঠা ( তৃতীয়া ) কন্যা, কলাবতী, দ্বাপর যুগের শেষের দিকে, বৃষভানু বৈশ্যেরর পত্নী হয়েছিলেন !

কলাবতীর কন্যা ছিলেন রাধা !
রাধার সাথে অয়ন ঘোষের বিবাহ হয়েছিল !

যদিও রাধা গুপ্তপ্রেমে আবদ্ধ হয়ে, শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়তমা হয়েছিলেন।

দেখা যাচ্ছে, পার্বতী সীতা ও রাধা, পরস্পর-পরস্পরের মাসতুতো বোন ছিলেন !

অসুর দেবতা ব্রা্‌হ্মণ বিষ্ণু ব্রহ্মা শিব এবং অন্যান্যরা


অসুর দেবতা ব্রাহ্মণ বিষ্ণু ব্রহ্মা শিব এবং অন্যান্যরা



অসুররা ভীষণদর্শন ছিলেন না ! তাঁরা স্বাস্থ্যবান শক্তিধর বলশালী যুদ্ধে পারঙ্গম ছিলেন !
রাবণ ব্রাহ্মণ ছিলেন !

দেবতারা যাঁদের পছন্দ করতেন না, তাঁদের গালাগালি দিয়ে  'অসুর'  বানিয়েছেন !
দেবতারা স্বার্থপর ! অলস ! খুঁটে খেতে পারেন না ! অসুরদের তুলনায় বলহীন ! দেবতারা যুদ্ধে, অসুরদের সাথে পেরে উঠতেন না ! হেরে যেতেন !
দেখুন না, পূজা, ফলমূল, মন্ত্র ইত্যাদি প্রশংসা বাক্য না দিলে, দেবতারা  'বশ'  মানেন না !

দেবতাদের  'এজেন্ট  '  হচ্ছেন, ব্রাহ্মণরা ! বিশেষত পূজারি ব্রাহ্মণরা !
তাঁরা বংশ পরম্পরায়, সাধারণ মানুষদের ভুল বুঝিয়ে, লোক ঠকিয়ে, চলেছেন !

দেবতা বিষ্ণু বলুন, বা বলুন, ভগবান বিষ্ণু, মোটেই  'ভালো' লোক নন ! বিভিন্ন পুরাণের গল্প থেকে তা জানতে পারবেন !

ভগবান ব্রহ্মা সম্বন্ধেও, সেই একই কথা খাটে !

দেবতা আর অসুরদের মধ্যে লড়াই মোটেই  'গাঁজাখুরি'  ছিল না ! লড়াই ছিল সত্যি সত্যি !

ভগবান ব্রহ্মা, নিজে আবার  দেবতাদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন !

ওপর মহলে, ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং কখনো কখনো শিব-কে নিয়ে ছিল একটা জোরদার  " সিন্ডিকেট " !

এঁদের মধ্যে, শুরুতে শিব ছিলেন, অপাঙ্‌ক্তেয় ! সেই জন্য, শিব-কে নিয়ে,সনাতন ধর্ম ভাবনায়, বিরোধ ছিল !

শিব-এর ক্ষেত্রে বলব, ওঁনার অনেক ক্ষেত্রে, 'সঙ্গ দোষে বঙ্গ নষ্ট'-এর ব্যাপারগুলো ঘটেছিল !
শিব, দু'নৌকোয় পা দিয়ে চলতে বাধ্য হয়েছিলেন ! শেষমেশ বিষ্ণু ভগবান আর ব্রহ্মা ভগবানের দিকেই ঝুঁকেছিলেন ! কাজেই শিব-ও, সিণ্ডিকেট-এর সাথে ছিলেন ! তিনিও ভগবান শিব হয়েছিলেন !

স্ত্রী-ভাগ্যে, শিব ছিলেন, সর্বেরসেরা ! তাঁর স্ত্রীরা ছিলেন, অতীব মহিমান্বিত ! দুর্গা কালি প্রভৃতিরা শিবের ঘরণী হয়েছিলেন ! তাঁরা সব  'ভগবতী'  ছিলেন ! তাঁরা ছিলেন শক্তির আধার ! যুদ্ধবিদ্যায় পটু !

অমন স্ত্রী-ভাগ্য, বিষ্ণুর বা ব্রহ্মার, ছিল না !

শিবের নিজস্ব বাহিনী ছিল ! শিব-দুর্গার তন্ত্র আছে ! শিবের নিজস্ব পুরাণ, শিবপুরাণ আছে ! দুর্গার সপ্তশতী আছে ! কালীর, কালি-মাহাত্ম্য আছে !

শিবের পুত্রকন্যারা, সকলেই, এক একজন, প্রতিভাসম্পন্ন ! তাঁরা তাঁদের নিজস্ব ক্ষেত্রে, সবাই প্রবল মহিমান্বিত ও অতিপ্রভাবশালী !

বিষুব যোগ


বিষুব যোগ



বিষুব যোগ, বছরে দু'বার হয় !

বিষুব যোগ-এর সময়ে, সূর্য, পৃথিবীর কল্পিত বিষুব রেখায় পৌঁছায় !

বিষুব যোগ-এর সময়ে, পৃথিবীর দিন ও রাত্রি, উভয় সময়ই, সমান হয়ে যায় !

বিষুব যোগ, সৌর চৈত্রমাসের নবমী তিথিতে এবং সৌর আশ্বিন মাসের নবমী তিথিতে, হয়ে থাকে !
দুই ক্ষেত্রেই নবমী তিথি !

ইংরেজি ক্যালেণ্ডারে, যথাক্রমে,  ২১শে মার্চ ও  ২২শে সেপ্টেম্বর, বিষুব যোগ হয় !



*শিব/৩৩।

বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭

মেঘনাদ


মেঘনাদ




মেঘনাদ !
মেঘগর্জন !
মেঘের নাদের মতন নাদ ( শব্দ, ধ্বনি ) যাঁর !

মেঘনাদ, দেবরাজ ইন্দ্রকে জয় ( বন্দি ) করে, ইন্দ্রজিৎ নাম পান !

রাম-রাবণের যুদ্ধে, মেঘনাদ, বেশ কয়েকবার, রাম-লক্ষ্মের হাতে, প্রায় নি্হত হয়েছিলেন !
মেঘনাদ ছিলেন মায়াবী রাক্ষস ! প্রায় মরে গিয়েও, মর মর হয়েও, তিনি বেঁচে উঠতেন !
রাম-লক্ষ্মনকে তিনি বরাবর ঠকাতেন !
মেঘনাদ ছিলেন, মায়াযুদ্ধে পণ্ডিত ! দুর্ধর্ষ বীর !
রাম ও লক্ষ্মণও, মেঘনাদের  মায়াপাশ নাগবন্ধনে, মৃতপ্রায় হয়েছিলেন !

মেঘনাদ।মা মন্দোদরী !
 উনি রাবণের পুত্র।
মেঘনাদের স্ত্রী, রাক্ষসী প্রমীলা দেবী !

মেঘনাদ, মেঘের আড়ালে থেকে, বিপক্ষের অদৃশ্য থেকে, যুদ্ধ করতে পারতেন !

নিকুম্ভিলা যজ্ঞকালে, রাম-ভ্রাতা মহাবীর লক্ষ্মণ, মেঘনাদকে বধ করেন !

মেঘনাদকে বধ করার ঘটনা নিয়ে, 'মেঘনাদবধ', কাব্য লিখে, কবিবর মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বাংলা কাব্য-সাহিত্যে অমরত্ব লাভ করেছিলেন !




বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

Facebook


Facebook


It appears
that
Facebook
is blocking
my entries
owing to
" We had trouble
using
URL
you provided. "

" Please
try again
later. "

Google+


Google+


It appears that
Google+
is blocking
my entries !


Pranab Kumar Kundu.

ধর্মকর্ম


ধর্মকর্ম



কলিযুগে,  দ্রব্যসাধ্য ধর্মকে, অর্থাৎ, দান ইত্যাদিকে, সঠিক বলে মনে করা হয় ! মান্য করা হয় ! তাই দানের জন্য প্রস্তুত থাকুন ! দান এবং চাঁদা দেওয়ার জন্য হোন,  সর্বং সহন !
কলিযুগে দানই ধর্ম !
যেখানে সত্যযুগের মূল ধর্ম ছিল,  ধ্যান !
ত্রেতাযুগের মূল ধর্ম ছিল,  তপস্যা !
আর দ্বাপরষুগের মূল ধর্ম ছিল,  যজ্ঞ !

কাজেই কলিযুগে, অতি দরিদ্র এবং অভাবগ্রস্থদের দান করুন !
সেটাই হবে আপনার ধর্ম ! এবং আপনার ধর্মকর্ম !

তবে লক্ষ্য রাখবেন, সেই দান করতে গিয়ে, কারোর দ্বারা যেন প্রতারিত না হন !



* সূত্র : 'সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ২৯।

মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

রাম সীতা লক্ষ্মণ শিব ও মায়ামৃগ


রাম সীতা লক্ষ্মণ শিব ও মায়ামৃগ

( রামায়ণের পটভূতিতে স্বকপোলকল্পিত গল্প ! )

দণ্ডকারণ্যে
মায়াবী মারীচ হলেন মায়ামৃগ !
মারীচ মৃত তারকা রাক্ষসীর পুত্র !

মায়ামৃগ সোনালি রঙের !

সীতার অনুরোধে
সেই সোনালি মায়ামৃ্গ ধরতে
রাম
মৃগটির
পিছু পিছু দৌড়লেন !

ধরতে না পেরে
মায়ামৃগের পা লক্ষ্য করে
তির ছুঁড়তে লাগলেন !

একটা তির
মায়া মৃগের বুকে গিয়ে বিঁধলো !

তাতে মায়ামৃগ
ছটফট করতে করতে
রক্তাক্ত হয়ে
মারা পড়ল !

রাম
লক্ষ্মণের সাহায্যে
মৃত মায়ামৃগটাকে আশ্রমে নিয়ে এলেন !

রাম-লক্ষ্মণ
দুজনে মিলে
হরিণটার
ছাল ছাড়ালেন !

মায়ামৃগের মাংস
টুকরো টুকরো করে
কাটলেন !

সীতা রান্না করলেন !

রাম লক্ষ্ণণ সীতা
তিনজন মিলে
জমাটি করে
মাংসের কষা-রান্না খেলেন !

মায়ামৃগের
সোনালি ছালটি
রাম

নেংটা শিবের কাছে
পাঠিয়ে দিলেন !

গোধরা


গোধরা
Facebook
Pranab Kumar
শুভদীপ গাঙ্গুলির ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে !
শেয়ার করেছন   প্রণব কুমার কুণ্ডু।
·Subhadip Ganguli
##@@@গোধরা এক অন্য ইতিহাস @@@##


গুজরাটের দাঙ্গার কথা সবাই জানে। গোধরার নাম জানে কজন?? গোধরার ট্রেন অগ্নিকাণ্ড এর খবর বিস্তারিত ভাবে বেশির ভাগ বাঙালিই জানে না। গোধরায় 2002 সালে ট্রেন অগ্নিকাণ্ডের আগে সেখানকার ইতিহাস একটু জেনে নিই। 2002 সালে প্রথম হিন্দু নিধন যজ্ঞ হয়েছিল তা কিন্তু নয়। গোধরা বরাবর ভারতবিরোধী কার্যকলাপের জন্য কুখ্যাত।
গোধরায় আগেও অনেক দাঙ্গা হয়েছে। 2002 সালের আগে 1947, 1952,1959, 1961,1967, 1972, 1974, 1980, 1983, 1989, 1990 এবং 1992 সালেও দাঙ্গা হয়।
কিছু ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিচ্ছি যাতে গোধরার মানসিকতা বুঝতে পারা যায়।
1. 1948 সাল: এই বছর 24 শে মার্চ এক দুধওয়ালাকে হত্যা করা হয় ও সাথে হিন্দুদের বাড়ি দোকান সব জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
2. 1948 সাল: এই বছর 15 ই আগস্ট ভারতীয় পতাকায় আগুন লাগানো হয়। এই জঘন্য কাজে অভিযুক্ত ছিল এক শিক্ষক ও স্থানীয় হোটেলের মালিক এম কে হুসেন সৈয়দ। ওই একি দিনে এক মুসলিম স্কুলের শিক্ষক নিরঞ্জন নটবর শাহকে বরখাস্ত করা হয়। অপরাধ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া।
3. 1965 সাল : হিন্দুদের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় হোটেল মালিক বিদানী ও ভোপা। আক্রমণ করা হয় সাব ইন্সপেক্টর রাওয়ালকে। আক্রমণকারী ছিল সিকন্দর মেওয়ান ও আবদুল আজিজ খাদা।
4. 1980 সাল: ফালিয়া সিগন্যালে 5 জনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয় যার মধ্যে 5 ও 7 বছরের দুজন শিশুও ছিল। আমিনা বিবির নেতৃত্বে ওই নৃশংস ঘটনা ঘটে। এই সেই ফালিয়া সিগন্যাল যেখানে 2002 সালে ট্রেনে আগুন লাগানো হয়।
5. 1990 সাল: এই বছর 28 শে নভেম্বর বোরওয়াদ সাফিয়া মাদ্রাসার চার হিন্দু শিক্ষককে হত্যা করা হয় যার মধ্যে 2 জন মহিলাও ছিল। এদের নাম হলো প্রবীণ শাহ, কমলেশ পাণ্ডা, প্রবীণা দাভে ও সরোজ বারোট।
ট্রেন অগ্নিকাণ্ডের ঠিক কিছুদিন আগে 15 ই ফেব্রুয়ারি, 2002 সালে গুজরাট ATS তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে এক জন তবলিঘ-ই-জামাত এর সদস্য আসাদ আহমেদ মুনশী। তাকে সুরাটের কাছে দাভেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য দুই ব্যক্তি ছিল ইনাম উল হক বানারসী ও হুসেন আহমেদ মনিয়ার। এদের কাছে 4.2 কেজি বিস্ফোরক, 9 টি 30 mm পিস্তল, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়। কোনো বড় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল বোঝাই যায়।
তবলিঘ-ই-জামাত হলো একটি মৌলবাদী সংগঠন, 1920 সালে এর প্রতিষ্ঠা হয়। এরা মুসলিম সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণ দাবি করতো।
ট্রেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা :
27 শে ফেব্রুয়ারি 2002 সালে সবরমতী ট্রেন গোধরা স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চার ঘন্টা পরে সকাল 7:43 এ পৌঁছায়। ট্রেন স্টেশন থেকে ছাড়তে শুরু করলে বারবার চেন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করা হলে এমারজেন্সি ব্রেক ব্যবহার করে ট্রেন থামানো হয়। ট্রেন থামতে 3 মিনিট সময় লাগে ও ট্রেনটি ফালিয়া সিগন্যালে এসে থেমে যায়। হাজার খানেক মানুষ ট্রেনটিকে ঘিরে আকবর এর আওয়াজ দিতে থাকে। এরি মাঝে স্লিপার কোচ S6 এ উঠে কেউ প্রায় 140 লিটার পেট্রল ঢেলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন লাগিয়ে দেয়। উন্মত্ত জনতা পাথর ছুঁড়তে থাকে। ট্রেনের জানলা দরজা দিয়ে শুধু আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসে। জীবন্ত মানুষের পুড়ে যাবার আর্তনাদ ঢাকা পড়ে যায়।
2011 সালে ফেব্রুয়ারিতে 31 জন প্রধান অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনায় ট্রায়াল কোর্ট সঙ্গে 63 জন সহযোগীকে। পূর্ব পরিকল্পিত হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে IPC এর ধারা 302 ও 120B লাগানো হয়। সঙ্গে আরো অন্য ধারা 149, 307, 323, 324, 325, 332, 395, 397 এবং 436। 11 জন যারা আগের রাতে এক মিটিং এ উপস্থিত থেকে ষড়যন্ত্র করেছিল, কোর্ট তাদের ফাঁসির সাজা শোনায়। 20 জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মোল্লারা পনরাই গুজরাটের হাইকোর্টে আপিল করে। গতকাল বিচারক সাজা শুনিযেছেন; 11 জনের মৃত্যু দণ্ড রোধ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ।। এই হল আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা!!
গোধরার এক মৌলভী হুসেন হাজী ইব্রাহিম উমরজি ও CRPF এর এক বরখাস্ত অফিসার নানু মিঁয়া ছিল এই নারকীয় ঘটনার মাস্টার মাইণ্ড। ট্রেন আসার ঘন্টা কয়েক আগে রাজ্জাক কুরকুরের গেস্ট হাউসে মজুত করে রাখা হয় 140 লিটার পেট্রল।
অনেক মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদী জির হাত রক্তে লাল বলে। তাদের একবার এই ইতিহাস পড়তে অনুরোধ করছি। আর যারা বিরোধিতা করবে তাদের দুই গালে কষে দুটো থাপ্পড় লাগালাম। আমার এই মারার কথায় যে অনুভূতি হবে রাগের সেটা হলো " সব ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া থাকবেই" । এটাই জীবনের নিয়ম। আঘাত করলে প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। মিডিয়া দেখায় না। দেখালে তাদের খবরের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। এই দেশে অখলাক খবর হয়। পুরস্কার ফিরিয়ে দেয় বুদ্ধিহীন তাঁবেদাররা। প্রতিবাদ একপেশে। প্রতিবাদ নির্বাচিত। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সবার আগে ধর্ম দেখা হয়। আক্রান্ত মুসলিম হলে সেটা উল্লেখ করা হয়। আক্রমণকারী হিন্দু হলেও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আক্রান্ত হিন্দু আর আক্রমণকারী মুসলিম হলে সবার চোখ, কান, মুখ, বুদ্ধি সবেতেই মরচে পড়ে যায়। আসলে তালা লাগিয়ে সাধারণ বুদ্ধিকে ক্রীতদাস করে রেখেছে এরা। কাজেই আমাদের এত জোরে চিৎকার করতে হবে যে ওই তালা নিজে থেকেই খুলে যাবে এক দিন।
বন্দে মাতরম
জয় হিন্দুসথান ।।
বন্দে মাতরম ।।
শুভদ্বীপ গাঙ্গুলী


বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭

মন্তব্য


ফেসবুক শ্রীপ্রশান্ত কুমার মণ্ডল-এর জবাব !

ঠিক বলেছেন !
অতীত বলতে, আমি, অতীত ঐতিহ্যকেই, বোঝাতে চেয়েছি !

আপনার বিবেচনায়,  যেসব অতীত-ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা করা যায় না,  সেগুলোকে  "শ্রদ্ধা" করবেন না !

আমি তো আপনাকেও,  শ্রদ্ধা করি !

শ্রদ্ধা করাটা মনুষ্যত্বের অঙ্গ !

কাউকে সকাসরি  'ভুল'  বলাটা অপরাধ !

রামমোহনের জীবনের অন্যান্য দিকগুলোও দেখুন ! তাঁর ব্যক্তিগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট,  ইংরেজদের সাথে অতিরিক্ত সখ্যতা,  বাবা বা দাদাকে কিছু অর্থের জন্য জেল খাটানো, ইত্যাদি ইত্যাদি !

তবু অমি রমমোহনকে শ্রদ্ধা করি ! শুধু রামমোহনকেই নয়, সবাইকে শ্রদ্ধা করি !

 আম্বেদকর, কত বছর  'হিন্দু'  ছিলেন ? কত বছর  'বৌদ্ধ' ? তারপর কতদিন বেঁচে ছিলেন ?

'লাথি মারা', অভব্যশব্দদ্বয়, গ্রহণ ! আমি ওটার প্রশংসা করি না !

'ব্রা্‌হ্মণ ডেকে ভূতের পূজা করছেন', তাহলে ভূত আছে মানছেন ?

'ব্রহ্মণদের এঁটো এবং পদোদক পান করছেন',  এটা ব্রাহ্মণদের  "ইতরামি" !

শুভেচ্ছা সহ--

প্রণব কুমার কুণ্ডু ।

মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭





ফেসবুকের পোস্টিং




Facebook


Facebook




Pranab Kumar Kundu


Pranab Kumar Kundu






Pranab Kumar Kundu, আপনি এই বছর 30 জনের সাথে বন্ধুত্ব করেছেন!
বিশ্বকে আরও একটু কাছে আনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা মনে করি এটি সেলিব্রেট করা উচিত!
Krishna Kundu এর ফটো
মার্চ
Kiran Bjp এর ফটো
এপ্রিল
Guriya Kumari এর ফটো
মে
Manas Saha এর ফটো
মে
বাবাসাহেব ড.বি.আর. আম্বেদকর এর ফটো
জুন
Jitendra Tiwari এর ফটো
জুন
Asit Baran Gorai এর ফটো
জুলাই
রেজাউল রেজাউল এর ফটো
জুলাই
Partha Sarathi Sen এর ফটো
অক্টোবর
আপনি এটি শেয়ার না করা পর্যন্ত শুধুমাত্র আপনিই এটি দেখতে পারবেন !


Pranab Kumar, আপনি এই বছর 30 জনের সাথে বন্ধুত্ব করেছেন!
বিশ্বকে আরও একটু কাছে আনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা মনে করি এটি সেলিব্রেট করা উচিত!
Krishna Kundu এর ফটো
মার্চ
Kiran Bjp এর ফটো
এপ্রিল
Guriya Kumari এর ফটো
মে
Manas Saha এর ফটো
মে
বাবাসাহেব ড.বি.আর. আম্বেদকর এর ফটো
জুন
Jitendra Tiwari এর ফটো
জুন
Asit Baran Gorai এর ফটো
জুলাই
রেজাউল রেজাউল এর ফটো
জুলাই
Partha Sarathi Sen এর ফটো
অক্টোবর
আপনি এটি শেয়ার না করা পর্যন্ত শুধুমাত্র আপনিই এটি দেখতে পারবেন !

সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

যিনি


যিনি


বুঝতে পারছেন, ইনি  'কিনি' !


শেয়ার করলাম, প্রণব কুমার কুণ্ডু।

☛'#অহিংসা_পরম_ধর্ম' বলে যিনি কোটি কোটি হিন্দুকে নিবীর্য করে হিংস্র জানয়ারদের মুখে নিক্ষেপ করেছিলেন
☛যিনি স্বাধীনতার আন্দোলনের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক বিদেশীয় ঘোর সাম্প্রদায়িক খিলাপত আন্দোলনকে যুক্ত করেএ দেশে মুসলিম #তোষণবাদ_মুসলিম_সাম্প্রদায়িকতা_জেহাদিতত্বের বীজ বপন করেছিলেন এবং
যার প্রতিক্রিয়ায় কেরলে '#মোপলা_বিদ্রোহের' নামে শত শত #হিন্দুকে_হত্যা করা হয়েছিল এবং যিনি এই জেহাদি কর্মের একবিন্দু বিরোধিতা করেন নি।
☛যিনি স্বদেশী বিপ্লবীদের বিপথগামী বলে উপহাস করেছিলেন।
☛যিনি ভগৎ সিং এর ফাঁসি রদ করতে পদক্ষেপ নিতে অস্বীকার করেন।
☛যিনি বিপ্লবী মহানায়ক নেতাজি সুভাষকে spoiled child বলে ব্যঙ্গ করেন অথচ জিন্না ছিলেন তাঁর কাছে কায়েদ ই আজম।
☛যিনি কলকাতা দাঙ্গা ও নোয়াখালী দাঙ্গায় হাজার হাজার হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে একটাও প্রতিবাদ শব্দ উচ্চারণ করেন নি
☛যিনি মুসলিম দুর্বৃত্ত দ্বারা ধর্ষিতা হিন্দু নারীদের ধৈর্য্য ও দুর্বৃত্তদের কাছে সমর্পনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
☛যিনি দেশভাগের সময় একটাও অনশনে বসার প্রয়োজন মনে করেন নি।
☛যিনি পাকিস্থান থেকে আগত অসহায় হিন্দু শরণার্থীদের মসজিদে আশ্রয় নিলে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
☛যিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্যে মন্দিরে মন্দিরে কোরান পাঠের ব্যবস্থা করতেন কিন্তু কোনো মসজিদে গীতা পাঠ করার সাহস দেখাতে পারেন নি।
☛যিনি পাকিস্থানের প্রাপ্য 55 কোটি টাকা দেবার জন্যে অনশনে বসেছিলেন ............
☛এ হেন ব্যক্তি মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীর আজ জন্মদিন
☛এই কুকীর্তিগুলো যিনি সম্পন্ন করে দেশের সর্বনাশকরেছিলেন তার আত্মা মহান না পাপে পরিপূর্ণ তা ইতিহাস বিচার করবে।
🔶🕉🌷আবেগ নয় সত্যের মুখোমুখি হোক রাষ্ট্র🔶🕉🌷
সংগৃহীত:-
Chittaranjan Mukhopadhyay বাবুর পোস্ট থেকে।