মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০

রূপক রায়ের কলাম ( পনেরো )






রূপক রায়ের কলাম ( পনেরো )



শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু

ইসলামে প্রশ্ন করা কেনো নিষেধ ?
 
এই বিষয়ের প্রেক্ষাপটটা বুঝতে হলে, নিচে দেওয়া আমার অন্য একটা পোস্টের কিছু অংশ আগে পড়ে নিন :
জন্মসূত্রে জায়েদ এর পুরো নাম জায়েদ বিন হারিথ। এর মানে হলো সে হারিথ নামে কোনো এক ব্যক্তির পুত্র। এই জায়েদ ছিলো জন্মসূত্রে সিরিয়ার অধিবাসী এবং বাল্যকালে তাকে কেউ চুরি ক’রে ক্রীতদাস হিসেবে মুহম্মদের ৪০ বছর বয়স্কা খালাম্মা টাইপের স্ত্রী খাদিজার কোনো এক আত্মীয়ের কাছে বিক্রি করে দেয়, পরে সে ঐ নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে খাদিজার কাছে হ্যান্ডওভার হয় এবং খাদিজার কাছেই বড় হতে থাকে।
এরপর ২৫ বছর বয়সী মুহম্মদের সাথে খাদিজার বিয়ে হলে জায়েদ ও মুহম্মদের খুব ভাব হয় এবং খাদিজা, জায়েদকে, মুহম্মদের অধীনে দিয়ে দেয়, ফলে জায়েদ ক্রীতদাস অবস্থা থেকে মুক্ত হয়। পরে, জায়েদের বাবা, তার ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে মক্কায় আসে এবং জায়েদের সন্ধান মুহম্মদের কাছে পেলে, জায়েদকে যেকোনো মূল্যে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু মুহম্মদ, যেহেতু তার কোনো পুত্র সন্তান জীবিত ছিলো না, সেহেতু সে, জায়েদকে দত্তক পুত্র হিসেবে নেয় এবং মক্কায় সর্বসমক্ষে ঘোষণা করে,
“হে লোক সকল, আমি জায়েদকে আমার পুত্র হিসেবে সর্ব সমক্ষে স্বীকার করে নিচ্ছি, আর তোমরা তার সাক্ষী থাকো, আজ থেকে আমি তার উত্তরাধিকারী, আর সে আমার উত্তরাধিকারী।”- (মিশকাত হাদিস, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা-৩৪০)
এই ঘোষণার পূর্বাপর ঘটনার কারণে জায়েদ তার জন্মদাতা পিতার সাথে যেতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তার পিতা, পেয়েও সন্তান হারানোর শোক ও গভীর মনোবেদনা নিয়ে চোখের জলে মক্কা ত্যাগ করে।
যা হোক, এরপর জায়েদ বিবাহযোগ্য হলে, মুহম্মদ তারই ফুফাতো বোন জয়নাবের সাথে তার বিয়ে দেয়। মুহম্মদ যখন জয়নাবের জন্য বিয়ের প্রস্তাব জয়নাবের বাড়ি পাঠায়, তখন জয়নাব ভেবেছিলো মুহম্মদই তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু যখন সে শুনে তার বিয়ে হচ্ছে জায়েদের সাথে তখন সে একটু মনক্ষুণ্নই হয়; কারণ, জয়নাবের স্বপ্ন ছিলো মুহম্মদের সাথেই তার বিয়ে হবে। কেননা, মুহম্মদ তখন মদীনার একচ্ছত্র রাজা, আর রাজা যতই বৃদ্ধ হোক, রাজাকে বিয়ে করে রাজরানী হওয়ার সুখ ও প্রভাব প্রতিপত্তি কে না চায় ? কিন্তু রাজাকে না পেলেও রাজার ইচ্ছাকে পাশ কাটানোর ক্ষমতা শুধু জয়নাবেরই নয়, মদীনার কারোরই ছিলো না; তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও জয়নাবকে জায়েদের ঘরে যেতে হয়। জয়নাব ও জায়েদের এই বিয়ে হয় ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে, মুহম্মদের মক্কা থেকে মদীনায় পলায়নের ৭ বছর পর।
বিয়ের কিছু দিন পরেই, মুহম্মদ কোনো একটা কাজে জায়েদের বাড়ি যায় এবং হঠাৎ করে ঘরে ঢুকে পড়ায় জয়নাবকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে মুহম্মদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে,
“সকল প্রশংসা আল্লাহর, হৃদয় যেভাবে চায় তিনি সেভাবে বদলে দিতে পারেন।”
আপনারা বাস্তব অবস্থা একটু বিশ্লেষণ করলেই বুঝবেন, জীবনে দুই একবার ঘরের লোকদের সামনে এরকম ঘটনা ঘটা অসম্ভব কিছু নয়; কোনো সভ্য পুরুষ যেমন এই ধরণের ঘটনাকে দেখেও না দেখার ভান করে বা করবে, তেমনি কোনো সভ্য মহিলাও এসব ঘটনা ঘটার পর তা ভুলে যেতে চেষ্টা করে বা করবে, সেটা অন্যকে বলা তো দূরের কথা। কিন্তু জয়নাব, জায়েদ যখন বাড়িতে আসে তখন তাকে সব বলে দেয়- যেন পাড়ার কোনো লোক তাকে টিজ করেছে বা কুপ্রস্তাব দিয়েছে!
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব শুনে জায়েদ তার স্ত্রীকে বলতো- যা হয়েছে ভুলে যাও, ঘরের লোকেদের সামনে ওসব হয়েই থাকে, এরপর থেকে কেয়ার থাকবে যাতে এমন আর না ঘটে।
কিন্তু সব শুনেই জায়েদ তার পিতার কাছে ছুটে যায় এবং বলে, “আপনার মনে হয় জয়নাবকে পছন্দ হয়েছে, আমি ওকে তালাক দিচ্ছি, আপনি ওকে বিয়ে করুন।”
জয়নাবের কাছ থেকে সব ঘটনা শুনে জায়েদের কি এমন হয়েছিলো যে- সে নিজের পিতাকে, তারই স্ত্রীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে ? মানুষ তার নিজের স্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করে, জীবন দেয়; কারণ, রক্তের সম্পর্কের কেউ না হলেও স্ত্রী ই যে কোনো মানুষের কাছে একসময় হয়ে উঠে সবচেয়ে আপন, তাই স্ত্রীর তুলনায় পিতা-মাতা-ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন সবাই তুচ্ছ হয়ে যায়। সেই স্ত্রীকে জায়েদ কেনো স্বেচ্ছায় তার পিতার বিছানায় তুলে চাচ্ছে, এর পেছনের ঘটনাটা আসলে কী ? এই স্বেচ্ছাদানের পেছনে জায়েদের মনে আসলে কী কাজ করছিলো ?
প্রকৃতপক্ষে জায়েদ খুব ভালো করেই জানতো তার পিতা মুহম্মদের মনস্তত্ত্ব। জায়েদ যখনই জয়নাবের কাছে শুনেছে যে, তাকে ঐ স্বল্প বসনে দেখেই মুহম্মদ বলে উঠেছে-
“সকল প্রশংসা আল্লাহর, হৃদয় যেভাবে চায় তিনি সেভাবে বদলে দিতে পারেন।”
তখনই জায়েদ বুঝে গিয়েছিলো যে, তার পিতা, তার স্ত্রীকে পছন্দ করে ফেলেছে, আর কোনো উপায় নেই, আর বেশি সময়ও নেই, এখন একমাত্র কাজই হলো অপেক্ষা না করে নিজেই গিয়ে পিতার কাছে এই প্রস্তাব দেওয়া। জায়েদের এতটা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ হলো, জায়েদ নিজের চোখে দেখেছে, নিজের উদ্দেশ্য সাধনে তার পালক বাপ কী পরিমান নিষ্ঠুর ও নৃশংস হতে পারে। কারণ, মুহম্মদ ৬২৭ খ্রিষ্টাব্দে একদিনে ৮০০ কুরাইজা ইহুদিকে হত্যা করে গনিমতে মাল হিসেবে তাদের সকল নারী শিশু এবং তাদের সম্পদ দখল করেছিলো এবং সেই গণহত্যার রাতেই কুরাইজা গোত্রের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে রিহানাকে শয্যা সঙ্গিনী বানিয়েছিলো। এরপর ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে খয়বরের যুদ্ধের সময় গোত্রপতি কিনানার স্ত্রী সাফিয়াকে দখল করার জন্য, কিভাবে কিনানার বুকের উপর জ্বলন্ত কাঠ রেখে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে কিনানাকে হত্যা করে তার স্ত্রী সাফিয়াকে দখল করে সেই রাতেই তাকে ভোগ করেছিলো, এসব ঘটনা মুহম্মদ ঘটিয়েছে জায়েদের চোখের সামনেই। তাই জায়েদ ছিলো আতঙ্কিত, সে ভেবেছিলো, আর কোনো রক্ষা নেই, এখনই স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন না করলে যে কোনো প্রকারেই হোক তাকে খুন করে হলেও তার পিতা, তার স্ত্রীকে হস্তগত করবেই, যেহেতু তার পিতার মনে তার স্ত্রীকে লেগে গিয়েছে এবং এর জন্য যদি প্রয়োজন হয় আরবের প্রচলিত রীতি নীতি উল্টাতে এবং তাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য কোরানের নামে বাণী নাজিল করতেও মুহম্মদ দেরি করবে না; বাস্তবে হয়েছিলোও তাই। নিজের স্ত্রীকে, মুহম্মদের বিছানায় তুলে দিয়েওজায়েদ তার শেষ রক্ষা করতে পারে নি ।
যা হোক, আতঙ্কিত হয়ে জায়েদ যখন তার বাপের কাছে গিয়ে বলে, আমি জয়নাবকে তালাক দিচ্ছি, আপনি ওকে বিয়ে করুন। তখন মুহম্মদ ভদ্রতা দেখিয়ে বলে,
“তোমার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করো না এবং আল্লাহকে ভয় করো।”
মুহম্মদ যদি কোনো সভ্য মানুষ হতো তাহলে এই কথা না বলে বলতো, “তুমি এমন প্রস্তাব আমাকে দেওয়ার সাহস কী করে পাও ? তুমি আমার পুত্র, আর জয়নাব আমার মেয়ের মতো।”
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মুহম্মদ যদি নৃশংস সন্ত্রাসী না হয়ে কোনো সভ্য মানুষ হতো, তাহলে সে জয়নাবের সামনে- কখন কার মন পরিবর্তন করিয়ে দেয় – ঐ কথা না বলে বৌমাকে ঐ অবস্থায় দেখেও তার পোষাক ঠিক করার জন্য তাকে সময় দিয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে থাকতো, আর জায়েদকে তার পিতার কাছে এসে এই ধরনের প্রস্তাব দেওয়ার প্রয়োজনই পড়তো না।
কিন্তু মুখে মুহম্মদ লোকলজ্জার ভয়ে জায়েদকে ঐ কথা বললেও তার মনের কথা ওটা ছিলো না, মুহম্মদ সব সময় ভাবছিলো কিভাবে জয়নাবকে কব্জা করা যায়। ভাবনাতেই তো মানুষের মনে বাণীর উদয় হয়, তাই কয়েক দিন ভাবনার পর মুহম্মদের ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করার জন্য তার দালাল আল্লাও মুহম্মদের ইচ্ছা পূরণের বাণী নিয়ে এসে হাজির! সেই দিন মুহম্মদ ছিলো আয়েশার ঘরে, আয়েশার বয়স তখন মাত্র ১৪/১৫, খাদিজা মারা যাওয়ার পরেও মুহম্মদের ঘরে তখন পাঁচ ৫ টা বউ। মুহম্মদের উপর নাজিল হলো কোরানের ৩৩/৩৭ আয়াত-
“হে নবী, সেই সময়ের কথা স্মরণ করো, যখন তুমি সেই ব্যক্তিকে যার প্রতি আল্লাহ এবং তুমি অনুগ্রহ করেছিলে, বলেছিলে যে, তোমার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করো না এবং আ্ল্লাহকে ভয় কর। তখন তুমি নিজের মনে সেই কথা লুকিয়েছিলে, যা আল্লা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। তুমি লোকদেরকে ভয় করেছিলে, অথচ আ্ল্লাহর অধিকার সবচেয়ে বেশি যে, তুমি তাকেই ভয় করবে। পরে জায়েদ যখন তার নিকট হতে নিজের অধিকার পূর্ণ করে নিলো, তখন আমি তাকে তোমার সহিত বিবাহ দিলাম, যেন নিজেদের পোষ্যপুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে মুমিন লোকদের কোনো অসুবিধা না থাকে… যখন তারা তাদের নিকট হতে নিজেদের প্রয়োজন পূর্ণ করে নিয়েছে। আল্লার নির্দেশই তো পালিত হওয়া উচিত ছিলো।”
এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর মুহম্মদ হাসি মুখে বলে, “কে জয়নবের কাছে যাবে ও তাকে সুসংবাদ দিবে? তাকে বিবাহ করার জন্য আল্লাহ্ আমাকে আদেশ করেছেন।”
উপরে আমি আল্লাকে মুহম্মদের দালাল বলেছি, এতে আল্লাকে কম সম্মান দেওয়া হচ্ছে বা তাকে কম উপাধি দেওয়া হচ্ছে, আসলে বলা উচিত………….দালাল।
এই আয়াত এবং এই কথা বলার পরপরই আয়েশা মুহম্মদকে বলেছিলো, “আমার মনে হয় আল্লা আপনার ইচ্ছা পূরণ করতে খুবই উদগ্রীব এবং একটুও সময় নেয় না।” (মুসলিম- ৮/৩৪৫৩)
যা হোক, জায়েদ তো ভয়-ত্রাসে আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো জয়নাবকে তালাক দেওয়ার। আয়েশার ঘরে ঐ আয়াত ডাউনলোড হওয়ার সাথে সাথে যখন জয়নাবের কাছে ঐ খবর এলো যে আল্লা নিজে মুহম্মদ ঔ জয়নাবের বিয়ে দিয়ে দিয়েছে, তখন তা শুনেই জায়েদ জয়নাবকে তালাক দিয়ে দেয় আর এতে জয়নাবও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না; কারণ, তার তো শুরু থেকেই মুহম্মদকে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিলো, এখন সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছে দেখে জয়নাব বেশি খুশিই হলো। মুহম্মদের বয়স তখন ৫৮ আর জয়নাব সদ্য যুবতী।
আরবের মেয়েদের রুচি কোনো লেভেলে ছিলো সেটা একটু চিন্তা করুন; যুবক জায়েদকে ফেলে অনায়াসে জয়নাব বাপের বয়সী এবং বাপতুল্য শশুর মুহম্মদকে বিয়ে করে তার বিছানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো! আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের মেয়েদের রুচি এখনও সেই লেভেলেই আছে। পৃথিবীর সকল দেশে এমনকি অন্যান্য মুসলিম দেশের মেয়েরাও এখন স্বামীর ভাগ কাউকে দিতে চায় না, কিন্ত আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশের মেয়েরা অনায়াসে চার সতীনের সাথে সংসার করে এবং যখন তখন তালাক খেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষাও করে। যে ইসলাম, নারীদেরকে একটা নিশ্চিন্ত সংসারের অধিকার দেয় নি, একান্ত আপন করে তাকে একজন পুরুষের অধিকার দেয় নি, সেই ইসলামের অনুসারী মুসলমানরা আবার জোর গলায় বলে- একমাত্র ইসলামই নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা। এরা আসলে এই কথাগুলো মুখ দিয়ে বলে না পাছা দিয়ে বলে, সেটা নিয়ে একটা গবেষণা হওয়া দরকার।
তালাকের প্রসেস সম্পন্ন হলে, মুহম্মদ, সাবেক পুত্রবধূ জয়নাবকে নিয়ে গিয়ে ঘরে তুলে, আল্লা যেহেতু নিজে তাদের বিয়ে দিয়েছিলো, সেহেতু মনে হয় কবুল টবুল বলার অনুষ্ঠানের আর দরকার হয় নি। যা হোক, আগের বিয়েগুলোতে না করলেও, এই বিয়ে উপলক্ষে মুহম্মদ তিন দিন ব্যাপী ভোজসভার আয়োজন করে। কারণ, মুহম্মদ এটা জানতোই যে এই বিয়ে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠবে, তাই খাইয়ে দাইয়ে যদি লোকজনকে কিছুটা ঠাণ্ডা রাখা যায়; কিন্তু তবুও মুহম্মদকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
বিয়ে উপলক্ষে লোকজন খাওয়া দাওয়া শেষ করেও উঠে না গিয়ে গল্পে মশগুল ছিলো, এদিকে বিছানায় জয়নাবের কাছে যাওয়ার জন্য মুহম্মদের আর তর সইছিলো না; যা হোক, সেক্স না করলে ইসলামের বিবাহ আবার পূর্ণতা পায় না, লোকজন চলে গেলে মুহম্মদ, জয়নাবের সাথে রাত কাটিয়ে তার ও জয়নাবের বিবাহকে পূর্ণতা দেয়।
এর পরেই শুরু হয় আসল ঘটনা।
হুরলোভী বান্দাদের লেখা ইসলামের ইতিহাসে, আরবে, মুহম্মদের পূর্ববর্তী সময়কে আইয়ামে জাহেলিয়া বলা অন্ধকার যুগ বলা হলেও, প্রকৃতপক্ষে আরবে এবং ইসলামের দখল করা দেশগুলোতে আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ শুরু হয়েছে ইসলামের প্রাদুর্ভাবের পর। একটা মাত্র উদহারণ দিই, মুসলমানরা বলে ইসলামের পূর্বে আরবে কন্যা শিশুদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো; এটা একটা চরম মিথ্যা প্রচার। যদি এটা সত্য হয়, তাহলে আরবের মানুষগুলো তাদের অপরিসীম সেক্স মেটানোর জন্য মেয়ে পেতো কোথায় ? আর মুহম্মদও তার জীবদ্দশায় অসংখ্য যুদ্ধে গনিমতের মাল হিসেবে অসংখ্য অমুসলিম মেয়েকে বন্দী করে ভোগ করেছে, তাদেরকে যৌনদাসী হিসেবে বাজারে বিক্রি করেছে, আরবের লোকজন যদি তাদের মেয়েদেরকে জন্ম হওয়া মাত্র মাটিতে পুঁতে ফেলতো, তাহলে এই মেয়েগুলো এসেছিলো কোথা থেকে।
তাছাড়া সেই সময় আরবের মেয়েরা কী পরিমান স্বাধীন ও ক্ষমতাবান ছিলো, তার সবচেয়ে উদহারণ মুহম্মদের প্রথম স্ত্রী খাদিজা; যার জন্ম মুহম্মদের জন্মের অন্তত ১৫ বছর আগে। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর এই খাদিজা, নিজের ইচ্ছাতে পর পর ২ টি বিয়ে করে, যার মধ্যে মুহম্মদ একজন, সে নিজে স্বামীর ব্যবসার দেখাশোনা করতো, মুহম্মদ ছিলো যেই ব্যবসার চাকর। তাহলে মুসলমানদের দাবী মতো, ইসলামের পূর্বে যদি কন্যা শিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়া হতো, তাহলে খাদিজার এমন জীবন যাপন কী সম্ভব ছিলো ? তাছাড়া মুহম্মদেরও দাদারও ছিলো একটা বিশাল বংশ, এই বংশেরও কি এমন একটা ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে আছে, যেখানে কোনো কন্যা শিশুকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে ? না, নেই। তাই মুসলমানদের বলা ঐ সব গল্প শুধু গাল গল্প নয়, বাল গল্প।
এখানে আরও একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, মুহম্মদই শুরু করে পর্দার নামে মেয়েদেরকে ঘরে বা বস্তায় বন্দী করে রাখার প্রথা, তার আগে মেয়েরা স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারতো, এখনও যেমন অমুসলিম মেয়েরা ঘুরতে পারে, আর এটাকে কি অস্বীকার করা যাবে যে, যখন কোনো মেয়েকে বোরকা পরানো হয়, তখন আসলে তার ডানা কেটে দেওয়া হয়, যাতে সে আর মুক্তভাবে চলাফেরা করতে না পারে। তাহলে নারীদের জন্য প্রকৃত আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ কোনটা ?
যা হোক, ফিরে আসি আজকের মূল প্রসঙ্গে, মুহম্মদ যখন নিজের পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করে, সেই সময় আরবে এই ধরণের কাজ কেউ করতো না, এটা ছিলো একটা নিন্দনীয় ব্যাপার এবং লোকজন পালক পুত্রের স্ত্রী হোক বা নিজের পুত্রের স্ত্রী হোক, তাকে নিজের কন্যার মতোই বিবেচনা করতো; এখনও যেমন ইসলামী প্রভাব ছাড়া যেকোনো সভ্য সমাজের লোকজন তা বিবেচনা করে। নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে মুহম্মদ যখন জয়নাবকে বিয়েই করে ফেললো, তখন লোকজনের মনে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করলো, যদিও মুহম্মদ তাদের সেই মনোভাব বুঝতে পেরে তাদেরকে খাইয়ে দাইয়ে তাদেরকে ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করেছিলো, কিন্তু তারপরও মুহম্মদকে তাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হয়, একদিন বেশ কিছু লোক মুহম্মদকে এসে প্রশ্ন করে-
“আল্লা্র রসূল, আপনি নবী হয়ে কিভাবে নিজের পালকপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করার মতো অসম্মানের ও নোংরা কাজ করতে পারেন ?আপনি তো নিয়মিতভাবে যুদ্ধ বন্দিনীদের ২০% নিজের ভোগের জন্য রাখেন, তাছাড়াও আপনার হারেমে তো যুবতী সুন্দরী স্ত্রী ও দাসীতে ভরা; আল্লার রসূল, আপনার এই জঘন্য কাজ, আরবে, পালক নেওয়ার মতো সম্মানজনক সংস্কৃতিকে লজ্জিত করেছে।”
শুনে মুহম্মদ বলে, আমার কাছে একমাত্র সম্মানজনক কাজ হলো আল্লার আদেশ মেনে চলা এবং আল্লাই আমাকে আদেশ করেছেন, জয়নাবকে বিয়ে করার জন্য, এই দেখো আয়াত,
“আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম, যেন মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে, সে সব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোনো অসুবিধা না থাকে।”- (কোরান, ৩৩/৩৭)
মদীনার লোকজন বলে, এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে, আল্লা আমাদেরকে আমাদের পালকপুত্রের স্ত্রীদেরকে বিবাহ করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। যদি আল্লা এটা চায়, তবে তাই না হয় হোক, কিন্তু আপনি কিভাবে চারটার বেশি স্ত্রী গ্রহন করতে পারেন, এটা তো কোরানের স্পষ্ট লংঘন (৪/৩)। এটা কি ব্যভিচার নয় ?”
মুহম্মদ বলে, মোটেই নয়। আমার জন্য খালাতো ফুফাতো মামাতো বোনকে বিয়ে করা বৈধ, আর জয়নাব আামার ফুফুর মেয়ে। এই দেখো আয়াত,
“আপনার বিবাহের জন্য বৈধ করেছি, আপনার খালাতো, মামাতো, ফুফাতো বোনকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে।”- (কোরান, ৩৩/৫০)
-কিন্তু এটা তো প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন হলো আপনার স্ত্রীর সংখ্যা নিয়ে। কোরানের নির্দেশ লংঘন করে কিভাবে আপনি চারটার বেশি স্ত্রী রাখতে পারেন ?
মুহম্মদ এর কোনো জবাব দিতে না পেরে চুপ করে থাকে।
মদীনার লোকজন আরো বলে, আল্লার রসূল আপনাকে আরো একটি প্রশ্ন করবো, শুনেছি, যে মুসলিম নারীই এসে আপনাকে বিয়ে করতে চায়, আপনি তাকেই অল্প সময়ের জন্য বিয়ে করেন আর তারপর তালাক দিয়ে দেন, এটা কি সত্যি ?
মুহম্মদ বলে, হ্যাঁ সত্যি। মুসলিম নারীরা আমার কাছে নিজেদেরকে উৎসর্গ করে আত্মশুদ্ধি আর মৃত্যুর পর আল্লার কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশায়। আর আল্লা আমাকে তাদের আশা পূর্ণ করার অনুমতি দিয়েছে, এই দেখো আয়াত-
“সেই মুমিন নারীও তোমার জন্য হালাল যে নিজেকে নবীর জন্য উৎসর্গ করেছে, যদি নবী তাকে বিয়ে করতে চায়। এই সুবিধাদান খালেসভাবে কেবল তোমারই জন্য, অন্য ঈমানদার লোকদের জন্য নয়।”- (কোরান ৩৩/৫০)
এরপর তাদেরকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য মুহম্মদ বলে, তোমরা জানো আমি খুব ব্যস্ত মানুষ, সবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তোমরা এখন আসতে পারো, তাছাড়া আমার স্ত্রীরাও আমার বাড়ির সামনে তোমাদের লম্বা লাইন দেখতে পছন্দ করে না।
শুনে লোকজন বলে, আসলে আপনার স্ত্রীরাই আমাদের কাছে এ ব্যাপারে অভিয়োগ করেছে, আপনি একের পর এক বিয়ে করে স্ত্রীর সংখ্যা বাড়াচ্ছেন, কিন্তু তারা বলে যে, আপনি কাউকেই ঠিকমতো সন্তুষ্ট করতে পারেন না; আমরা চাইলেই কিন্তু এই অবস্থার সুযোগ নিতে পারি, যেমন একবার জিহাদে গিয়ে আয়েশার উপর সুযোগ নিয়েছিলো সাফওয়ান বিন মুয়াত্তাল।
মুহম্মদ বলে, আল্লা সব জানেন, এজন্যই তিনি আমার স্ত্রীদেরকে হুকুম দিয়েছেন পর্দা করতে, যেন তোমাদের দৃষ্টির আড়ালে তারা থাকতে পারে। আর এরপর আমার অনুমতি ছাড়া তোমরা কেউ আমার বাড়িতে আসবে না। আর যদি আমার স্ত্রীদের সাথে একান্ত প্রয়োজনে কথা বলতেই হয়, তাহলে পর্দার আড়াল থেকে বলবে।
মুহম্মদের কথা শুনে মদীনার লোকজন বলে, ঠিক আছে, আপনার মৃত্যুর পর কি আমরা অন্তত তাদেরকে বিয়ে করতে পারবো ? কারণ, আপনি বৃদ্ধ হয়ে গেছেন, আর আপনার স্ত্রীরা এখনও যুবতী, আর তাদেরকে অসন্তুষ্টও মনে হয়।
মুহম্মদ বলে, কখনো নয়। কেউ আমার স্ত্রীদেরকে ছোঁবে না, এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও নয়।
-কিন্তু আপনি তো অন্যদের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন, তাহলে আমরা আপনার বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবো না কেনো ?
- কারণ, এটা আল্লার পছন্দ নয়।
উপরের এই সমস্ত ঘটনার জন্যই মুহম্মদ ডাউনলোড করে নিচের এই আয়াত, দেখে নিন এবং মিলিয়ে নিন উপরে বলা ঘটনাগুলো-
“হে বিশ্বাসীগণ, ভোজন সম্বন্ধে নিমন্ত্রণ হওয়া ব্যতীত, তোমরা নবীর গৃহে প্রবেশ করো না, কিন্তু যখন তোমাদেরকে আসতে বলা হয়, তখন এসো এবং ভোজন শেষে চলে যেও, গল্পগুজব করে বসে থেকো না, এটা নবীকে কষ্ট দেয়, কিন্তু নবী তোমাদেরকে লজ্জায় কিছু বলতে পারে না, কিন্তু আল্লা সত্য প্রকাশ করতে লজ্জা বোধ করেন না, এবং যখন কোনো কিছু নবী পত্নীদের নিকট থেকে তোমরা চাইবে, তখন পর্দার অন্তরাল থেকে চাইবে, এটা তোমাদের এবং তাদের হৃদয়ের বিশুদ্ধতার জন্য আবশ্যক। নবীকে কষ্ট দেওয়া এবং তার অবর্তমানে তার পত্নীদেরকে বিয়ে করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়, এটা আল্লার নিকট গুরুতর পাপ।– (কোরান, ৩৩/৫৩)
যা হোক, মদীনার লোকজন আরো বলে, কিন্তু আল্লার রসূল, কোনো মুসলিম নারী যদি আমাদের কাছে আসে, তাদেরকে বিয়ে করার অনুরোধ নিয়ে এবং আমরা যদি আপনার মতো অল্প সময়ের জন্য বিয়ে করি, তাহলে কী হবে ?
-না, এটা হবে না।
-কিন্তু কোরানেই কি বলা হয় নি যে, আপনি আমাদের জন্য আদর্শ স্বরূপ ? (কোরান, ৩৩/২১) এছাড়াও কোরানে কি এটা বলা হয় নি যে, আমরা যেন আপনার করা কাজকে উদাহরণ হিসেবে গ্রহণ করে আল্লাহকে ভালোবাসি ? (কোরান, ৩/২১)
যুক্তিতে হেরে গিয়ে মুহম্মদ ক্ষেপে গিয়ে বলে, আমাকে বিরক্ত করবে না, বুঝেছো ?
মদীনার লোকজনও বলে, তাহলে ঐ আয়াতগুলো কী ? আপনি যখন যা কিছু করেন, তা আল্লা সাথে সাথে মেনে নেয় এবং তাতে আপনার কোনো দোষ নেই, কিন্তু সেগুলো আমরা করতে চাইলেই দোষ ? আমরা আপনার আদর্শকে অনুসরণ করবো, না কোরানের নির্দেশকে ?
এটা শুনে মুহম্মদ বলে- খামোস, আল্লা তোমাদের উদ্দেশ্যে বলেছে নবীকে বিরক্ত না করতে (৩৩/৫৩), আর এখন তোমরা আমাকে অসম্ভব বিরক্ত করছো।
লোকজন বলে, আমরা আপনাকে বিরক্ত করলাম কোথায়, আমরা তো শোনার জন্য আপনাকে জাস্ট প্রশ্ন করছি মাত্র। আমরা কি আপনাকে প্রশ্নও করতে পারবো না ?
- না, প্রশ্নও করতে পারবে না।
-এটা কোরানের কোথায় লিখা আছে ?
-এই দেখো, কোরানে বলা আছে, তোমরা নবীকে কোনো প্রশ্ন করো না, কারণ প্রশ্ন করলে তোমরা তোমাদের বিশ্বাস হারাবে (কোরান- ৫/১০১,১০২)। আর যারা আমার উপর থেকে বিশ্বাস হারাবে, তারা মুনাফেক হিসেবে গন্য হবে, আর মুনাফেকদের গর্দান কাফেরদের চেয়ে আগে কাটতে আল্লা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এরপরই মুহম্মদ, লোকজনের মুখের উপর তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় এবংপরে তার অনুসারীদেরকে নির্দেশ দেয়, যে ইসলাম ত্যাগ করবে তাকে হত্যা করো- (বুখারি, ৪/৬৩/২৬০)।
এরপর থেকেই মুহম্মদের কোনো কিছু সম্পর্কে প্রশ্ন করা ইসলামে নিষেধ এবং কোনো মুসলমান বেহেশতের ৭২ টা হুর হারানোর জন্য কোন প্রশ্ন না করে না; কারণ প্রশ্ন করলেই তারা ঈমান হারাবে, আর ঈমান হারালে ইসলাম মতে, বেহেশতে ঢোকার তো কোনো চান্স ই নেই, সোজা জাহান্নামে। তাই কোনো মুসলমান চায় না ইসলাম ও মুহম্মদ সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করতে, ভাবখানা এমন, কী দরকার বাবা এমন রিস্ক নিয়ে ? নবী বলেছে, তার উপর বিশ্বাস রাখলেই বেহেশতে যাইয়া ফুর্তি করার জন্য ৭২ টা ন্যাংটা হুর নিশ্চিত; একারণেই মুসলমানরা একটি নির্বোধ ও সিলগালা মানসিক প্রতিবন্ধী জাতি এবং সাথে সাথে চুড়ান্ত লম্পটও, যাদের চুড়ান্ত লক্ষ্য হলো ইহকালে জিহাদের নামে কোপাকুপি আর পরকালে আল্লার পতিতালয়ের ৭২ খানা হুরের সাথে পোকাপুকি।
জয় হিন্দ।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜

পদবি

পদবি
 
 
 
 
অভিরূপ মুখার্জী এতে BoiPoka (বইপোকা)
 
 শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু


Elomelo Alochona - এলোমেলো আলোচনা
১.নন্দী পদবি সম্ভবত শিবের ভক্ত হিসেবে ব্যবহৃত। আবার অনন্দী, হৃষ্ট কিংবা আনন্দদানকারী হিসেবেও পদবিটির উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে।কেউ কেউ মনে করেন যে , নেপালের বিখ্যাত নেওয়ার ও নায়ারগন একই জনজাতি ভিন্ন ভিন্ন শাখা থেকে উদ্ভূত।
আবার লোকেশ্বর বসু তাঁর বইতে উল্লেখ করেছেন যে , প্রকৃতপক্ষে নন্দী কায়স্থাদি বহু বর্ণ হিন্দু জাতির পদবি।ক্ষত্রিয়দের মধ্যেও নন্দী পদবি পাওয়া যায়।
২.মোগল আমলের মনসবদারি পদবি হাজারী বা হাজারি বা হাজারিকা। হাজারি থেকে হাজরা। পদবিগুলো এদেশে প্রচলিত আছে। হাজার সৈনোর অধিপতির পদবি হাজরা, হাজারি বা হাজারিকা । এটি ফারসি শব্দ । মোগলযুগে সেনাপতি ছাড়াও রাজপরিবারের সদস্য, স্হানীয় শাসনকর্তা, সম্ভ্রান্ত সামন্ত, যুবরাজ ইত্যাদি মানুষকে মর্যাদা অনুযায়ী বিভিন্ন সংখ‍্যায় অশ্বারোহী সৈনিকের কতৃত্ব দেয়া হতো মনসবদার প্রথা অনুসারে। সহস্র গ্ৰামের মণ্ডল ও হাজারি।
৩. বাংলার বণিকজাতির বংশ পরিচয়জ্ঞাপক বিশেষ উপাধি হল সাহা । এদের সুপ্রাচীন বংশতালিকায় সাধুকুলোদ্ভব, সাউকুলোদ্ভব ইত্যাদি বংশপরিচয় পাওয়া যায় । অতীত কালে সাহারা সাধু, সাহু এবং তার অপভ্রংশ সাউ নামে পরিচিত ছিল। উড়িষ্যা, মেদিনীপুর ইত্যাদি দক্ষিনাঞ্চলে সাহু নামে এবং বৃহত্তর সিলেট তথা বাংলাদেশের পূবপ্রান্তে সাউ নামে সাহাদের অস্তিত্ব আছে। দক্ষিণাত্যে মহাজনগন সাউকর বা সাওকর নামে আখ‍্যাত।উওর-পশ্চিম ভারতে সাহ্- মহাজন নামে ও পরিচিত ছিল। সাধু থেকে কালের বির্বতনে সউ,সাউ এবং সাহা নাম জাতিগত পদবিতে রূপান্তরিত হয়েছে‌। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত রচয়িতা অচ‍্যুতরণ তত্ত্বনিধি(১৮৬৬-১৯৫৪খ্রি.) মনে করেন যে, বৈশ‍্য সার্থবাহ থেকে সাহা শব্দের উৎপত্তি।
৪. বাঁকুড়া জেলার মুকটি থেকে মুখটি। মুখটি গ্রামের নামের সাথে উপাধ্যায় যুক্ত হয়ে মুখোপাধ্যায় পদবি । মুখোপাধ্যায় রাঢ়ী ব্রাহ্মণের পদবি । এদের আদি বাসভূমি বাঁকুড়া জেলায়।
৫. সিপাইদের নায়ক হিসাবে হাবিলদার বা হাওলাদার খ্যাত ছিলেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর অপভ্রংশ হিসেবে হালদার শব্দ ব্যবহৃত হতো এবং আজও হয়। বিজয়গুপ্তের পদ্মপুরাণ বা মনসামঙ্গলে (১৪৯৪-১৫২৫খ্রিঃ)পাই। মাঝি বা জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে হালদার পদবি লক্ষ করা যায়।হালিক বা হালচালক চাষি, নৌকার মাঝি এবং জেলেদের মধ্যে প্রচলিত হালদার পদবি বাংলাদেশে অপ্রতুল নয়।
তথ্য সূত্র- ১.পদবীর উৎস সন্ধান - সমর পাল।
২. আমাদের পদবীর ইতিহাস- লোকেশ্বর বসু।

আমার কবিতা প্রার্থনা ( তিন )। শেয়ার করতে গেলাম। ফেসবুক কি জানাল দেখুন !

আমার কবিতা প্রার্থনা ( তিন )। শেয়ার করতে গেলাম। ফেসবুক কি জানাল দেখুন !

This content is no longer available

আপনি যে সামগ্রীর অনুরোধ জানিয়েছেন এই মুহুর্তে তা প্রদর্শন করা যাবে না৷ এটি সাময়িকভাবে উপলব্ধ নাও হতে পারে, আপনার ক্লিক করা লিঙ্কের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হতে পারে বা তার সময়সীমা উত্তীর্ণ হতে পারে অথবা এই পৃষ্ঠাটি দেখার জন্য আপনার কাছে অনুমতি নাও থাকতে পারে৷
ফেসবুক-এর মাথায় গন্ডগোল !!!

প্রার্থনা ( তিন )
প্রার্থনা করুন।
প্রার্থনা
একটা শক্তি।
প্রার্থনার
শক্তি দিয়ে
প্রার্থনা করুন।
অপেক্ষা করুন।
দেখুন
প্রার্থনায় কি হয় ?
নিরাশ
হবেন না !
আশা জিইয়ে রাখুন !
প্রার্থনার
পৌনঃপুনিকতায়
বিশ্বাস রাখুন !
1 বছর আগে


Pranab Kumar Kundu
 প্রণব কুমার কুণ্ডু

এসাসিন্স বা নিজারী ইসমাইলি গোষ্ঠীর কাহিনী অথবা মধ্যযুগের জঙ্গি কর্মকান্ডের কথন

এসাসিন্স বা নিজারী ইসমাইলি গোষ্ঠীর কাহিনী অথবা মধ্যযুগের জঙ্গি কর্মকান্ডের কথন
শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু

 
 
 
 
Pushpal Roy এতে BoiPoka (বইপোকা)
 

 

এসাসিন্স বা নিজারী ইসমাইলি গোষ্ঠীর কাহিনী অথবা মধ্যযুগের জঙ্গি কর্মকান্ডের কথন
 
এই ভয়াবহ এবং মধ্যযুগের ত্রাসের গোষ্ঠীর নামেই আজকে ইংরেজিতে আত্মঘাতী কোনো আততায়ী জঙ্গি কে নামকরণ করা হয়েছে।এদের এই নামকরণের পিছনে আছে এক পরিচিত মাদকের নামের।এই আত্মঘাতী ভয়ানক এক দল তৈরী হয়েছিল হাসিস নামের এক মাদকের প্রয়োগের মাধ্যমে।আরবি শব্দে হাসিসি/আল হাসাসুন ইত্যাদির থেকে আসা এই কথার মানে হাসিস সেবী বোঝানো হয়।পরবর্তীতে ইউরোপীয় ক্রুসেডের অভিযান করতে আসা খ্রিস্টান সেনাদের এই হাসিসির পরিবর্তে রূপ হয়েছে ল্যাটিনে এসাসিনাস(assassinus) হিসেবে আর পরবর্তিতে আমরা ইংরেজিতে এই এসাসিন(assassin)নাম পেয়েছি।আজকের দুনিয়াতে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক কারণে হত্যাকারী কে এই নামে ডাকা শুরু হয়।
এই কুখ্যাত গোষ্ঠীর ইতিবৃত্ত :
এই গোষ্ঠী এসেছে ইসলামের এক শিয়া সম্প্রদায়ের উপশাখার থেকে।এদের ইসমাইলি গোষ্ঠী বলা হতো।হ্যাঁ ,আজকের ইসমাইলি গোষ্ঠীর একটি শাখা ছিল এই লোকগুলো।এই ত্রাসের সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অবসান হয় মঙ্গোলদের হাতে ত্রয়োদশ শতকের মাঝামাঝি।এর আগে প্রায় আড়াইশো বছর এরা সন্ত্রাসের রাজত্ব আর একের পর এক হত্যা চালিয়েছে আজকের সিরিয়া এবং ইরানের নানান জায়গায়।যা বলছিলাম,এই গোষ্ঠীর কাজ একই রকম ভাবে পূর্বপরিকল্পিত আর নির্দিষ্ট লক্ষ্যের মানুষকে ধরে হতো তাই সেই সময়ের বিশাল সেনা বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করার কোনো বড় কাজের দরকার হতো না।এরা হয় ফাঁকাতে পেয়ে অথবা কোনো উৎসব বা উপলক্ষে ভিড়ের মধ্যে মানুষের মধ্যে ঢুকে মূল লোকটিকে হত্যা করতো।উদ্দেশ্য সেই একটাই,আজকের মতো একই,ধর্মীয় বা রাজনৈতিক এক বৃহত্তর উদ্দেশ্য সাধন করা।
কেন মাদকের প্রয়োজন ?
একই ভাবে, যা আজকের সন্ত্রাসবাদী তাদের আত্মঘাতী গোষ্ঠীর জন্য প্রয়োগ করে।অর্থাৎ একটা একমুখী চিন্তার এবং এক অলীক বিশ্বাস কে মানুষের মধ্যে গেঁথে দিয়ে তাঁকে দিয়ে এই কাজ করানো।আবার আগেই ভেবে বসবেন না স্রেফ আক্রমণ করার সময়েই ওই মাদক সেবন করিয়ে করানো হতো।এর প্রয়োগের পিছনে বেশ ভালো ভাবেই পরিকল্পনা করা হতো।এই মাদকসেবী লোকদের ক্ষেত্রে আজো যা দেখা গিয়েছে তা হলো এরা সুস্থ স্বাভাবিক যৌক্তিক পথে আর চলতে পারে না।একই সাথে একটা অদম্য ইচ্ছা চরিতার্থ করার মানসিকতা ও তৈরী হয় এই মানুষদের মধ্যে।সোজা কথায় মানুষকে নিছক একটি জীবিত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো এদের মিথ্যা এক প্রতিশ্রুতি কে মগজে ঢুকিয়ে দিয়ে ঠিক যে ভাবে আজকেও এই ধর্মীয় মৌলবাদী জঙ্গি আত্মঘাতী তৈরির কারবারে ব্যবহার করে।এই ‘মেরে মরবো’ গোছের একবগ্গা ধারণা তৈরী করে প্রায় অপ্রতিরোধ্য এক আততায়ীর দল তৈরী করেছিল এই ইসমাইলি গোষ্ঠী যাঁকে মোঙ্গলদের সার্বিক অভিযানে খতম করার আগে অন্য কেউ নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি কয়েকটি শতক!
শুরুর কাহিনী :
উপরে যেমন বলেছি,এক শিয়া মুসলমানদের উপশাখা এই ইসমাইলি গোষ্ঠীর সূচনা হয় অষ্টম খ্রিস্টাব্দে(৭৬০ ইংরেজি সালে)ইমামতির উত্তরাধিকারী নিয়ে ঝামেলার সময়ে।যাঁরা একটু আধটু খবর রাখেন এই ইসলামের মূল দুই গোষ্ঠীর বা শাখার বিষয়ে তাঁরা জানেন যে নবি মহম্মদের মৃত্যুর পরবর্তীতে একটা বিভাজন আসে। সুন্নি বা মূলধারার থেকে প্রাচীন পারস্যের বা আজকের ইরানের এক সদ্য ইসলাম গ্রহণ করা মানুষদের মধ্যে এক মত পার্থক্য শুরু হয়।এর কারণ,এই শিয়া মতের অনুসারীরা মহম্মদের পরবর্তীতে মোহাম্মদের বংশধরের মধ্যে তাদের পথ প্রদর্শক বেছে নেওয়ার এক মতবাদ শুরু করে আর ওটা আবার সংখ্যা গুরু সুন্নি অনুসারীদের কাছে গ্রাহ্য ছিল না।শিয়া গোষ্ঠীর পথ প্রদর্শক বা ইমাম বেছে নেওয়ার সূত্রে এক ইমাম ইসমাইলের পরবর্তী উত্তরাধিকারী বেছে নেওয়ার সময় এক সমস্যার সৃষ্টি হয়।ষষ্ঠ ইমাম জাফর আল সাদিকের ভাই না তার ছেলে এই জায়গা পাবে তাই নিয়ে বিবাদ শুরু হয়।এই ইসমাইলি গোষ্ঠী চেয়েছিল উত্তরাধিকারী এই লোকটির ভাই ইসমাইল কে করা হোক করা হোক কিন্তু অন্য শিয়া গোষ্ঠী এর বদলে তার ছেলে মুসা আল কাজিম কে ওই জায়গায় বসায়।এক পর্যায়ে এই গোষ্ঠী সরাসরি খিলাফতকে অস্বীকার করে আর নিজেরাই উত্তর আফ্রিকার তীরবর্তী অঞ্চলের দেশ গুলো ধরে নিজেদের খিলাফত শুরু করে।আব্বাসীয় খলিফা অনুগত সুন্নিরা এবং বিভাজিত শিয়া গোষ্ঠী এদের পথভ্রষ্ট গোষ্ঠী বলে মনে করতো।
পরবর্তীতে এই ইসমাইলি গোষ্ঠী আবার আরো শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়।দশম শতকের সময়ে ফাতেমীয় খলিফা শাসক যখন এই ইসলামিক শাসন পরিচালনা করছিল,এই সময়ে ক্ষমতার বা উত্তরাধিকারীর বিবাদে বা আরো সোজাসুজি বললে মুসলমান সমাজে একাধিপত্য পাওয়া নিয়ে বিভাজনের কারণে পূর্ব দিকের মানে আজকের ইরানের দিকের গোষ্ঠী তাদের নেতা বা খলিফা আবু মানসুর নিজার এর নেতৃত্বে নিজারিও গোষ্ঠী তে আলাদা হয়ে যায়।এই গোষ্ঠী ছিল অতীব জঙ্গি আর আলোচ্য এসাসিন এর উৎপত্তি এদের থেকেই হয়।

এই নরহত্যার শুরু হয় মিশরের থেকে ইরানে আগত এক ধর্ম গুরু হাসান ইবন আল সাব্বাহর মাধ্যমে।এই লোকটি ইরানে নিজের ডেরা বানিয়ে একটি ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক দল তৈরী করে একদল অনুগত কে নিয়ে।এরা তার প্রতি আনুগত্য এবং নিজেদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য গুরুর এবং কাজের প্রতি অখন্ড আনুগত্য দেখাবে এই শর্তে কাজ করা শুরু করে অতীব সহিংস উপায়ে।রীতিমত প্রশিক্ষণ আর এই গোষ্ঠীর মধ্যে নানান পদ আর কাজের ভাগ করে একটি মধ্যযুগীয় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর কাজ শুরু করে এই ধর্মগুরু।
এই সময়ে ইউরোপ আর মধ্যপ্রাচ্যে চলা দশকের পর দশকের ক্রুসেড বা ধর্ম যুদ্ধে খ্রিস্টান আর মুসলিম পক্ষের মধ্যে ক্রুসেডের একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যেই এই গোষ্ঠীর কাজ শুরু।খ্রিস্টান সেনা বা তাদের মাথাদের কাছে এক আতঙ্কের কারণ হয়ে যায় এই গোষ্ঠী আর এর মাথা।এই নিজারী জঙ্গি গোষ্ঠী উত্তর সিরিয়ার তৎকালীন ক্রুসেডের রণাঙ্গনের সীমান্তে জাবাল আনসারিয়া  অঞ্চলে বেশ অনেকগুলো পাহাড়ের উপরের দুর্গ দখল করে নিজেদের ডেরা বানায়।এর মধ্যে,সিরিয়ার দুর্গ ভিত্তিক মাসায়েফ নগর কে রাজধানী করে এই নাজারী গোষ্ঠী।
দ্বিতীয় ক্রুসেডের সময়ে(১১৪৭-৪৯ খ্রিস্টাব্দে)তৎকালীন জার্মান রাজা কনরাড তৃতীয় আর ফ্রান্সের রাজা সপ্তম লুই মিলিত ভাবেও ওই অঞ্চল মানে এডেসা মুসলিমদের থেকে দখল করতে ব্যর্থ হয়।এই সার্বিক যুদ্ধের সময়ে এই মিলিত খ্রিস্টান সেনাদের সার্বিক হার এই নিজারি গোষ্ঠী কে এই অঞ্চলে প্রায় খোলা ময়দান দিয়ে দেয় নিজেদের প্রতিপত্তি বাড়িয়ে একাধিপত্য কায়েম করতে।মজার কথা হলো এরা খ্রিস্টান সেনার মাথাদের নানান সময়ে কর প্রদান বা বিরুদ্ধ সুন্নি গোষ্ঠিকে আক্রমণ করে ক্রুসেডের খ্রিস্টান পক্ষকে এক অর্থে সাহায্য ও করছিল।ত্রয়োদশ শতকের মধ্যেই এই গোষ্ঠীর আলাদা আলাদা করে ঘাঁটি তৈরী হয় মিশর,সিরিয়া,ইয়েমেন এবং দক্ষিণ ইরাকে বা দক্ষিণপূর্ব ইরানে আর আমাদের এই দিকের আফগানিস্তানে।খেয়াল করুন,সেই একই ধরণের একটা সন্ত্রাসবাদী কারবার খালি সময় আর কুশীলব আলাদা।একটা সার্বিক ধোঁয়াশা ছিল এদের বিষয়ে, এদের কাজ কারবার এতোই গোপনীয় যে গুজব আর কল্পনার উপর ভর করেই এদের সমন্ধে খবর ছড়ায়।প্রত্যেকটি ঘাঁটি অবশ্য নানান দুর্গ বা পাহাড়ের অঞ্চলে হয়েছিল যাতে সহজে এদের পাল্টা আক্রমন করা না যায়।এই সময়ে এদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি বৃদ্ধ কে চিহ্নিত করা হয়।শেখ রাশিদ আল দিন্ ছিল এই গোষ্ঠীর সেই পাহাড়ের দুর্গে বসে থাকা মাথা।এই লোকটির বা ওই সময়ের এই এসাসিন গোষ্ঠীর সদর দফতর হয়েছিল
ক্যাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণে বর্তমান ইরানের আলমুট দুর্গ।পাহাড়ের উপরে এই দুর্গ ছিল এই গোষ্ঠীর প্রথমদিকের মানে একাদশ শতকে নিজেদের কারবার শুরু করার সময়ের দখল করা দুর্গ।এই জায়গাটি এতটাই দুর্গম ছিল ওই সময়ে যা ওটা কে ঈগলের বাসা ও বলা হতো।
এই এসাসিনদের রণ কৌশল :
উপরে যেমন বলেছি,এদের সুবিধে ছিল যে এরা কোনো সেনাবাহিনী গঠন করে আক্রমন করতো না।ছোট ছোট আত্মঘাতীর দল আক্রমন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো ছুরি বা ওই ধরণের হাতিয়ার।মূল লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছাতে এরা ভিক্ষুক বা সন্ন্যাসীর(ওই সময়ের ফকির বা দরবেশ)ছদ্মবেশ ধরতো। আজকের সন্ত্রাসবাদী আক্রমনের মতোই এরাও ভিড়ের জায়গা বা কোনো উৎসবের সময়ে অনেক বেশি মানুষের মনে নিজেদের ছাপ ফেলতে আক্রমন করতো।হ্যা,আজকের মতোই এই আক্রমন করার পর এরা নিজেরাও জানতো যে আর প্রাণে বাঁচবে না।মানে এই লোকগুলো আত্মঘাতী আততায়ী বা আজকের ওই ফিদায়েন গোষ্ঠীর রূপ হিসেবে কাজ করতো।
এই ফিদায়েন বা আত্মঘাতী বাহিনী এই শেখ রাশিদ আল দিন্ এর জন্য প্রাণ দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতো। পশ্চিমের বা আজকের মানুষ এই গোষ্ঠীর উপরে জানতে পারে ত্রয়োদশ শতকের শেষের দিকের অভিযাত্রী মার্কো পোলোর পর্যটনের সময়ের লেখা থেকে।এছাড়া একই সত্যতা উঠে এসেছিল ওই সময়ের এক চৈনিক সরকারী কর্মী এবং পর্যটক চ্যাং এর ঝিন সি বলে একটি পর্যটন বর্ননা থেকে।এই শেখ রাশিদ আল দিন্ কে সংক্ষেপে আলাদিন বলে ডাকা হতো।
কি ভাবে এই আত্মঘাতী বাহিনী তৈরী করতে কাজ করেছিল এই শেখ রাশিদ ?
এই কর্মকান্ড থেকেই আজকের ইসলামী জঙ্গি তৈরির একই সূত্র আপনি পাবেন।ওই আলোচিত দুর্গের পাশেই ছিল পাহাড়ে ঘেরা একটি সুন্দর উপত্যকা।এতে লোকটি একটি অপরূপ বাগান বানিয়েছিল যাতে ওই সময়ে যত রকম ফল পাওয়া যেত তার একটি বাগিচা বানিয়েছিল।একই সাথে সুগন্ধি ছড়ায় এমন সব গাছ দিয়েও ভরিয়ে দিয়েছিল ওই জায়গা।নানান আকারের প্রাসাদের মতো ঘর বাড়ি ও তৈরী করেছিল এই জায়গায়।এর সাথে এনে রেখেছিল সুন্দরী সব মেয়ে আর অন্য সেবকদের যাদের কাজ ছিল সেই সময়ের নানান বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে চিত্তাকর্ষক গান বা অন্য আমোদ পরিবেশন করা।কাদের জন্য? একদল কিশোর বা যুবক যাদের এই শেখ 'তৈরী' করতো আত্মঘাতী বাহিনী বানানোর জন্য।হাসিস সেবন করিয়ে আধা চেতনায় এই জায়গায় এনে এদের একটি ইসলামী ধর্মের বেহেস্ত মানে জন্নত দর্শন আর উপভোগের সুযোগ করে দিয়ে মগজ ধোলাই করতো এই লোকটি।বলা হতো, এই বিনোদন ঐশী পদ্ধতিতে এই ধর্মগুরু এদের জন্য তৈরী করেছে যাতে বাস্তবিক অভিজ্ঞতা হয়।আর ওই আত্মঘাতী হামলা করে মারা গিয়ে শহীদ হলে এই উপভোগ অনন্ত হবে। ভাবুন,কি সুচারু এক পরিকল্পনা।পাচ্ছেন কি আজকের সাথে কোনো মিল ?
এই মগজ ধোলাই করার কিশোর বা যুবকদের ওই নিজের তৈরী জন্নতে দিন চার পাঁচেক রাখার পরে আবার এদের অজান্তে একই ভাবে আচ্ছন্ন করে নিয়ে আসতো নিজের কাছে।এই অজ্ঞ মানুষগুলো যখন তাদের এই সময়ের অভিজ্ঞতার সমন্ধে তাকে বলতো তখন তার উত্তর ছিল সে তাদের জন্নত দর্শন করিয়েছে।ইসলামের পথে তার দেখানো জেহাদে অংশ নিলে তাদের এই জন্নত পাওয়ার দরজা খুলে যাবে অনন্ত কালের জন্য তাদের মৃত্যুর পরে।
কিছু উল্লেখযোগ্য হত্যাকান্ড:
এদের নানান হত্যাকাণ্ডের মধ্যে প্রধানতম কয়েকটি হচ্ছে, একাদশ শতকের ইরাকের বাগদাদের এক শাসক বা নিজাম আল মূলক কে খতম করা।এছাড়া ভিন ধর্মী মানে খ্রিস্টান ধর্মের মাথা রেমন্ড দ্বিতীয়,ত্রিপোলির এক ধনাঢ্য জমিদার যারা ক্রুসেডের সময় খ্রিস্টান পক্ষকে সাহায্য করেছিল তাদের খুন করা।ত্রিপোলির ওই লোকটিকে মারার পরে ওই অঞ্চলে এক সার্বিক খুনোখুনি শুরু হয় কে এই মানুষটিকে মেরেছে তার ঝগড়ায়। এরপরে জেরুসালেমের নতুন নিযুক্ত এক রাজা কে দ্বাদশ শতকে দু দল এসাসিন একই সাথে এক রাতে আক্রমন করে খুন করে।এই ক্ষেত্রে এই আততাতয়ীরা সন্ন্যাসীর বেশে তৎকালীন ক্রুসেডের প্রধান ইংল্যান্ডের রিচার্ডের একটি নকল চিঠি দেখানোর অছিলায় তার দেহরক্ষী দলের থেকে আলাদা করে এই কাজ করে।এই সময়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ডে আরো একটা বিশেষ জিনিস হতে থাকে।এই ঘাতকরা এতটাই দক্ষ হয়ে ওঠে যে অনেক সময় হত্যাকারীকে সনাক্ত করাও মুশকিলের হতে থাকে।এর কারন এরা ঘটনার বেশিরভাগ জায়গা গুলো ভিড়ের মধ্যে বেছে নিচ্ছিল।এই সময়েই মসুল এর এক মাথা মওদুদ কে হত্যা করে যখন সে দামাস্কাস এর জামা মসিজদ থেকে নামাজ পড়ে সবার মধ্যে বেরিয়ে আসছিল।এই ক্ষেত্রে অবশ্য আততায়ী ধরা পড়ে যায়, ভিখারির বেশে মওদুদের কাছে ভিক্ষা চাওয়ার অছিলায় তার পেটে ছুরি মেরে মেরে ফেলার পরে।জনতা এই ঘাতক কে মাথা কেটে পরে পুড়িয়ে এর দেহ শেষ করে দেয় তবে এই আত্মঘাতী দল কত যে খুন করে চলেছিল তার কোনো ইয়ত্তা কেউ খুঁজে পায় না।এছাড়া এরা মক্কা নগরীর প্রশাসক কে মারতে গিয়ে তার মতোই দেখতে তার ভাইপো কে খুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এই এসাসিন বা আত্মঘাতী ঘাতক গোষ্ঠী আবার সেই সময়ে প্রচারের আলোতে আসে যখন এই ক্রুসেডের মুসলমান বাহিনীর নেতা সালাদিন কে প্রায় হত্যা করার কাজ করতে যায়।এই লোকটি মিশরের আর সিরিয়ার ওই সময়ের অধিপতি ছিল।সেই সময়ে নানান গোষ্ঠির বা সুন্নি মতের বাইরের ইসলামী গোষ্ঠীগুলোকে ক্রুশে হত্যা করার ফরমান দেওয়ার পরে এই ঘাতক গোষ্ঠীর কাছে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।প্রথমে ১১৭৫ এ ১৩জনের একটি দল চেষ্টা করে যদিও এরা সালাদিনের কাছে যাওয়ার সুযোগ পায় নি।এরপরে ১১৭৬ এ চার জনের একটি দল সালাদিনের কাছাকাছি পৌঁছে যায় আর তার বর্মের উপর আঘাত আর তার মুখে ছুরি চালালেও প্রাণ হানির কাজ করতে পারে নি।স্বাভাবিক ভাবেই সালাদিনের দেহরক্ষীরা এদের ঐখানেই কতল করে।
এরপরে সালাদিন এদের পাল্টা আক্রমন করতে এদের ঘাঁটি মাসায়েফ আক্রমন করে দুর্গটিকে অবরোধ করে।মজার কথা হলো এই অবরোধ এক সপ্তাহ পরেই তুলে সালাদিন চলে যায়।এর কারন হিসেবে বলা হয় , এক রাতে ওই আত্মঘাতী দলের কোনো একজন বা একাধিক লোক এর তাঁবুতে ঢুকে সালাদিনের মাথার বালিশের নিচে একটা ছুরি রেখে যায় তাকে না মেরে।ইঙ্গিত দিয়ে যায় যে ইচ্ছা করলেই তারা তাকে খুন করতে পারে।একই ভাবে সেই সময়ের আলেপ্পো আর এডেসা নগরীর শাসক নুরুদ্দিনকে ও শাসিয়ে যায় এই গোষ্ঠী।আরো একটি কাহিনী প্রচলিত যে ওই আত্মঘাতী গোষ্ঠী সালাদিনের খাওয়ার একটি কেকে বিষ মিশিয়ে একটা চিঠিতে ওটা লিখেও যায় যে তাকে তাঁরা চাইলেই খতম করে দিতে পারে।আরো একটি কাহিনী প্রচলিত যে এই ঘাতকদের এক ধর্মীয় প্রতিনিধি সালাদিনের কাছে গিয়ে তার সব থেকে অনুগত দুই দেহরক্ষীকে প্রশ্ন করে যে ওই ইসমাইলি গুরুর আদেশে কি এই দুই দেহরক্ষী তাদের সুলতান কে খতম করবে? উত্তর আসে হ্যা!কাহিনী যাই হয়ে থাক,একটা বিষয় যে এই গোষ্ঠী নানান ক্ষমতার অলিন্দে ঢুকে গিয়েছিল।
এরপরে সালাদিন একটি আপোষ করার চুক্তি করে এই গোষ্ঠীর সাথে।একই সাথে এই সময়ে নানান ধর্মের বা গোষ্ঠীর সব মাথা বা রাজারা নিজেদের উপরের পোশাকের ভিতরে সুরক্ষার বর্ম পরিধান করা শুরু করে। খোদ সালাদিন তাবুতে না থেকে আলাদা কাঠের বহন যোগ্য ঘর সঙ্গে নিয়ে নানান যুদ্ধের জায়গায় যাওয়া শুরু করে আর একান্ত পরিচিত কেউ না হলে তাকে তার কাছে আসতে দেওয়া বন্ধ করে।পাঠক,সন্ত্রাসের সেই সময়ের রূপ সমন্ধে ধারণা পেলেন?
এসাসিন বা এই গুপ্তঘাতকদের অন্তিম পরিণতি
প্রবাদ আছে , লোহা দিয়েই লোহা কাটা যায়।ত্রয়োদশ শতকের মাঝামাঝি প্রবল পরাক্রান্ত মঙ্গোলরা যখন পরিচিত সব অঞ্চলেই তাদের আধিপত্য বজায় করছে ঠিক ওই সময়ে মোঙ্গি খান ,এই মঙ্গোল সাম্রাজ্যের ওই সময়ের সম্রাট তার ছোট ভাই হালাকু খান কে ইরানের প্রধান করে সাম্রাজ্য পশ্চিমে বিস্তার করতে বলে। হালাকু সফল ভাবে একের পর এক দেশ জয় করে আর পথে এই এসাসিনদের ঘাঁটি গুলো শেষ করতে থাকে।এসাসিন বা এই ইসমাইলি গোষ্ঠী একটা বড় ভুল করেছিল মঙ্গোলদের কয়েকটি সেনা প্রধানদের উপরে এর আগে গুপ্ত ঘাতক দিয়ে হামলা করিয়ে।এর আগে ইরানের চাগতাই অঞ্চলের প্রধানের উপরে হামলা করার সময়েই এদের খতম করার জন্য ভেবে নেয় মঙ্গোলরা।একসময়ে অপরাজেয় ভাবা এই এসাসিনদের হালাকু খান হারিয়ে দেয় ১২৫৬ খ্রিস্টাব্দে।শুধু তাই না,এদের একের পর এক কুখ্যাত ডেরা মানে দুর্গ ও দখল করতে থাকে এই হালাকু।
এই সাফল্যের কারণ ও সেই প্রযুক্তির উন্নতি।সেই সময়ে যুদ্ধের জন্য চলে আসে বিশেষ যুদ্ধ গুলতি যা আজকের মিসাইলের মতো অগ্নি বর্ষণ বা সামগ্রিক ধ্বংস সাধন করতে সক্ষম ছিল।মঙ্গোলরা এদের দুর্গে হামলা করতে আসে পাশের পাহাড়ে ওই গুলতি বা শক্তিশালী বিশেষ ধনুক দিয়ে টানা আক্রমন করা শুরু করতো। হালাকু এক পর্যায়ে এদের প্রধান ঘাঁটি আলমুট এর দুর্গ পর্যন্ত দখল করে নেয়।
এক পর্যায়ে এদের পালের গোদা ওই রুকন আল দ্বীন কে ধরে ফেলে আর ওই দুর্গ গুলোর পাশে নিয়ে ভিতরে থাকা বাকি জঙ্গি লোকদের মনবল ভেঙে দেয়। এরপরেই ওই আল দ্বীন কে কান ধরে নিয়ে যায় মঙ্গোল রাজধানী কারাকোরাম এ। মঙ্গোল রাজা জন সমক্ষে এই লোকটির দুর্দশা দেখিয়ে আবার ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়।ফেরার পথে এই আল দ্বীন কে কতল করিয়ে দেয় কোনো রাজনৈতিক সমাধানের তোয়াক্কা না করেই প্রসঙ্গত এই আল দ্বীন নিজেও একই কাজ করে এসেছিল আর তার পরিণতি ও হয়েছিল নিজের পথেই। মোঙ্গি খান কে হত্যার জন্য এই আল দ্বীন নিজেও এর আগে প্রায় চারশো বার ঘাতক বাহিনী পাঠিয়েছিল সুতরাং মঙ্গোলরা এর পাল্টা ব্যবস্থা নেবে ওতে কোনো আশ্চর্যের কি?মঙ্গোলরা শত্রুর শেষ রাখতো না।
মঙ্গোলরা চরম নির্মম তাই এই মাথা কে সরিয়ে দেওয়ার পরে একের পর এক আত্মঘাতী ইসমাইলি এই গোষ্ঠীর দুর্গ দখলের সময়ে দুর্গে থাকা লোকদের মানে স্ত্রী পুরুষ নির্বিশেষে খতম করে দেয় আর যে কটি ভাগ্যবান কোনো ভাবে বেঁচে যায় তাদের ভাগ্যে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি হয়ে যাওয়া হয় পরিণতি।এক পর্যায়ে পুরো পারস্যে এরা নির্মূল হয়ে যায়।দু একটি দুর্গ সিরিয়ায় ধরে রাখতে পারলেও পরবর্তীতে এই নিজারি ইসমাইলি গোষ্ঠীর ওই সব দুর্গ আক্রমন করে মিশর আর সিরিয়ার সেই সময়ের সুলতান আল জাহির এবং ওই জায়গাগুলো ও হাতছাড়া হয়।মোটামুটি ১২৭০ এর মধ্যে প্রায় সব দুর্গ এদের হাতছাড়া হয়ে যায়। মঙ্গোলরা যদিও এদের মূল দুর্গের মানে আলমুট দুর্গের গ্রন্থাগারের পুঁথিগুলো ধ্বংস না করলেও পরবর্তীতে এই অঞ্চলের মূল সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায় এইগুলো পুড়িয়ে শেষ করে দেয়।এর ফলে এদের কার্যপদ্ধতি বা অন্য বিশ্বাস ইত্যাদির উপরে আজকের ইতিহাসবিদ বা সম্পর্কিত পন্ডিতদের গবেষণার কোনো অবকাশ থাকে না।
এই প্রসঙ্গে একটা মজার কথা বলি, অনেক সহি মানুষের বড় ঘৃণার জায়গা এই ভারত কিন্তু এর পরেও এই ইসমাইলি গোষ্ঠীর একটি অংশ কে নিজের ভূমিতে আশ্রয় দিয়েছে,যে ভাবে অন্য সব ধর্মের মানুষ এই সর্বংসহা দেশে আশ্রয় পেয়েছে।
আজকের নিজারি ইসমাইলি গোষ্ঠীর মানুষরা কিন্তু একদম অন্য ধরণের।এদের ধর্মীয় মাথা যেমন প্রিন্স শাহ করিম বা বিখ্যাত আগা খান(এক দুই করে অনেক ক্রমিকে এখন চতুর্থ ) বরং দানবীর বা অনেক দেশের কাছে এই টাকা পাওয়ার কারণে বেশ সম্মানের লোক।
লেখাটির মূলত বর্ননামূলক হলেও একটা অন্তর্নিহিত বার্তা আছে,অনেক পাঠকের ধারণা যে এই আজকের সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি বোধহয় স্যাম চাচা বা তার গোষ্ঠির কারণেই হয়।না,একদম ভুল, বাগদাদী থেকে অন্য যত প্রাণী আছে তাদের শুরুর জন্য কাল্পনিক বা অন্য ধর্মের মানুষের উপরে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হলো উটপখির মতো মুখ ঢুকিয়ে নিজের সাথে প্রতারণা করা।আমার অল্প বুদ্ধিতে যা বুঝি তা হলো,কিছু স্নেহান্ধ মানুষ যেমন বলে “আমার কালু বা কলিমুদ্দিন বড় ভালো লোক,পাশের বাড়ির সামু বা সামসুদ্দিন ওকে খারাপ করেছে” এদের জন্য একটাই কথা,ভুবন তৈরী করলে ভুবনের মাসি হিসেবে আপনার কান আগে কাটবে সেই ভুবন।সুতরাং আত্মপ্রবঞ্চনা বা অন্য কে প্রবঞ্চনা করার অভ্যেস ত্যাগ করুন।
লেখার তথ্যসূত্র :
১. স্বল্পে বর্ণিত এদের ইতিহাস http://www.historyworld.net/wrldhis/PlainTextHistories.asp…
২. এই সুত্রে ও দেখতে পারেন তবে আমি এই সূত্র ঠিক মিলিয়ে দেখি নি https://www.nationalgeographic.com/…/nizari-ismaili-muslim…/
৩. এই জায়গায় ও দেখতে পারেন https://www.thoughtco.com/history-of-the-assassins-hashshas…
৪. আরো কিছু https://www.historynet.com/holy-terror-the-rise-of-the-orde…
৫. ভালো বর্ননা আর কিছু ছবির সূত্র এই জায়গা ছিল https://todayinhistory.blog/tag/nizari-ismaili/
 
 
 
   কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু