সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০

তিলি তাঁতি কামার কুমোর প্রভৃতিরা সৎশূদ্র


তিলি তাঁতি কামার কুমোর প্রভৃতিরা সৎশূদ্র












প্রণব কুমার কুণ্ডু



তিলি তাঁতি কামার কুমোর প্রভৃতিরা সৎশূদ্র !

সৎশূদ্র : যাদের কাছ থেকে, উচ্চতর জাতের লোকজন, খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করতে পারত !

এই সৎশূদ্রদের গুণ ও সঙ্গতি দেখে, বল্লাল সেন, তাসের মধ্যের শ্রেষ্ঠ লোকদের 'কুলীন' উপাধি দিয়েছিলেন ! অর্থাৎ কুলীন করেছিলেন !
তারাই 'মানী' বা 'পরামানিক' নামে পরিচিত হয় !

 সেই সময়ে প্রতি ছত্রিশ বছরের 'গেরো'তে, কৌলীন্য পরিবর্তন হোত !
বল্লাল সেনের নিয়মে, প্রতি ছত্রিশ বছর শেষে, কৌলীন্যপ্রথা, একবার ঝাড়াইবাছাই হোত ! এবং তাতে, গুণ কর্ম ও দোষ অনুযায়ী, কুলীন ও 'অকুলীন' নির্ধারিত হোত !
ফলে ভালোরা আরও ভালো, আরও ধার্মিক ও আরও গুণবান হওয়ার চেষ্টা করতো !

বল্লাল সেনের সেই আশা, প্রথম প্রথম সফল হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তিতে, লক্ষ্মণ সেনের আমলে, তা, বংশানুক্রমিক হয়ে যায় !

কুলীন ব্যবস্থা, পঞ্চদশ শতাব্দর শুরু থেকে অষ্টাদশ শতাব্দর শেষ অবধি, সুদীর্ঘ চারশ বছর, এই বল্লালি কুলমর্যাদা চালু ছিল !