সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

ইসলাম সম্বন্ধে







প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু

    ইসলাম সম্বন্ধে    

    ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন                   প্রণব কুমার কুণ্ডু                                              
   


Subho Dey গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥



    ইসলাম সম্বন্ধে              
Subho Dey  একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন : 💥ALL BENGAL RSS💥রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ।

 ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন                   প্রণব কুমার কুণ্ডু                                              
Subho Dey গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥
Who is Allah বা কে আল্লা ?
“ইন্নাদ্দিনা ইংদাল্লাহিল ইসলাম”
এর অর্থ- আল্লাহর নিকট একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম।(আল কোরআন)।

আল্লার কাছে ধর্ম হিসেবে একমাত্র ইসলামের মনোনয়ন এবং তা নিয়ে মুসলমানদের গর্ব, অহঙ্কার ও আহ্লাদের কোনো শেষ নেই।
কিন্তু তারা কি জানে আল্লা কে এবং তারা কোন আল্লাহকে সর্ব শক্তিমান হিসেবে মানছে ?
মুসলমানদের সেই আল্লার পরিচয় পাবেন আমার এই পোস্টে-

হে নবী, ওদেরকে বলো, আমি কেবল মক্কার অধিষ্ঠাতা আল্লাহর আরাধনা করতে আদিষ্ট হয়েছি (কোরান, ২৭/৯১)।

এখানে, মক্কার কোন আল্লার কথা বলা হয়েছে ? জানতে হলে পড়ুন এই পোস্টটি।
মুসলমানরা নিজেরা যেমন আল্লাকে ভয় পায়, তেমনি অন্যকেও সেই আল্লার ভয় দেখায়, যেন আল্লা একটা সাংঘাতিক ভয়ংকর জাতীয় কিছু, সাংঘাতিক ভয়ংকর তার ক্ষমতা!

বাংলাদেশের এক বিখ্যাত সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চোধুরী 2015 সালের জুলাই মাসে একবার বলে ফেললো, ‘হযরত মুহম্মদ ‘আল্লাহ’ নামটি নিয়েছিলেন প্যাগানদের এক দেবতার নাম থেকে’। এখানে উল্লেখ্য যে, ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে মক্কায় যারা মূর্তি পূজা করতো তাদেরকে বলা হয় প্যাগান।
গাফফারের ওই কথা শুনে মুসলমানদের মধ্যে সে কী প্রতিক্রিয়া ! না, এটা হতেই পারে না, নবী, মুশরিকদের দেবতার নাম থেকে আল্লার নাম নেবে কেনো ? এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, তাই পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই আল্লা শব্দটি আছে, হযরত মুহম্মদ সাল্লায়লাহু ওয়া সাল্লাম  প্যাগানদের দেবতার থেকে আল্লা নাম নিতে যাবে কেনো ? গাফফার নাস্তিক হয়ে গেছে, ও কাফের মুশরিক, ওকে হত্যা করা দরকার, ইত্যাদি ইত্যাদি।
যে সত্য কথা বলে বা সত্যকে ধারণ করে, মুসলমানদের কাছে সে ই- নাস্তিক, কাফের, মুরতাদ; কারণ, আগা গোড়া সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর মুসলমানদের বসবাস, তাই সত্য কথা শুনলেই তাদের গা জ্বালা করে, এলার্জি বেড়ে যায়; কারণ, প্রকৃত সত্য ও মুসলমান দুটাই সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুটো ব্যাপার।
আমার লেখায় আমি ইসলামের গোমর ফাঁস করি ব’লে মুসলমানদের সেটা সহ্য হয় না, কিন্তু তারা তার জবাব  লেখার মাধ্যমে দিতে না পেরে  পাইকারিভাবে রিপোর্ট করে, ফলে আমার কোনো আই.ডি ই আমি বেশিদিন চালাতে পারি না, মাঝে মাঝেই ব্লক হয়ে যাই। আমি জানি এই পোস্টের জন্যও হাজার হাজার রিপোর্ট পড়বে এবং আইডি ব্লক হবে, কিন্তু তবু সত্য প্রকাশ থেকে আমি বিরত হবো না; কারণ, ইসলামের রীতিই তো, যে সত্য প্রকাশ করবে  সেটা যদি মুহম্মদের বিরুদ্ধে যায়  তবে তাকে হত্যা করে তার মুখ বন্ধ করা, সেক্ষেত্রে এরা না হয় আমার শুধু আই.ডি ই ব্লক করতে পারছে, এটা এমন আর কী ক্ষতির বিষয় ?
কিন্তু এইসব হিজড়েপনা বাদ দিয়ে প্রকৃত পুরুষের মতো কাজ করার জন্য মুসলমানদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, এই পোস্টে আমি যেসব যুক্তি তুলে ধরবো, প্রত্যেকটার রেফারেন্সসহ পাল্টা যুক্তি তুলে ধরতে পারলে, আমি কথা দিচ্ছি ইসলামের বিরুদ্ধে লিখা আমি বন্ধ করে দেবো; শুধু তাই-ই নয়, ইসলামের বিরুদ্ধে আমার যত পোস্ট আছে সবগুলোর যুক্তি খণ্ডন যদি মুসলমানরা করতে পারে আমি ইসলাম গ্রহণ করে আমি মুসলমান হয়ে যাবো। কাপুরুষের মতো পেছন থেকে ছুরি মেরে আইডি ব্লক করার জন্য রিপোর্ট না করে পুরুষ হওয়ার জন্য তোদেরকে একটা সুযোগ দিলাম, চেষ্টা করে দ্যাখ।
অনেকেই জানেন যে, কাবা একসময় মন্দির ছিলো এবং তাতে ৩৬০টি দেব-দেবীর মূর্তি ছিলো, কুরাইশদের সাথে ১০ বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকা সত্ত্বেও, মাত্র ২ বছরের মাথায় সেই চুক্তি ভঙ্গ ক’রে, কুরাইশদেরকে কোনো পূর্ব সিগন্যাল না দিয়ে অর্থাৎ কুরাইশদের অপ্রস্তুত অবস্থায়, মুহম্মদ জনশক্তির জোরে প্রথমে রাতের বেলা মক্কা আক্রমণ ক’রে কাবা দখল করে এবং পরদিন নিজের হাতে কাবার মধ্যে থাকা মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলে। এই ৩৬০টি দেব-দেবীর মধ্যে প্রধান দেবতা ছিলো মহাদেব শিব। এই মহাদেব শিব যে কত গুরুত্বপূর্ণ দেবতা ছিলো, তার প্রমাণ পাবেন নিচের এই ঘটনায়-
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ‘মাকতেব-এ-সুলতানিয়া’ নামের একটি গ্রন্থাগার আছে, যেখানে পশ্চিম এশিয়ার অনেক পুঁথি রাখা আছে। এরকম একটি পুঁথির নাম ‘সায়র-উল-ওকুল’, যার মধ্যে প্রাক ইসলামী যুগের আরবের অনেক কবিদের কবিতা আছে। সেই গ্রন্থে মুহম্মদের এক চাচা, ‘উমর-বিন-হাসনাম’ এর একটি কবিতা আছে; এই কবিতাটি একবার মক্কার নিরকটবর্তী ওকাজের মেলায় শ্রেষ্ঠ কবিতা বলে বিবেচিত হয়েছিলো। নিচে কবিতাটির প্রথম ৬ লাইন আরবিতে এবং পরে তার বাংলায় অনুবাদ দেখে নিন:
“ওয়া আহলোলাহা আজাহু আর্মিমান মহাদেব ও,
মানাজেল ইলামুদ্দিনে মিনজুম ওয়া সয়াত্তারু,
ওয়া সাহাবি কেয়ম ফিম কামিল হিন্দে ইয়োমান,
ওয়া ইয়াকুলুন লাতাহাজান ফৈন্নাক তারাজ্জারু,
মায়াসেয়ারে আখলাকান হাসনান কুল্লাহুম,
নাজমুল অজ্জাত্ সুম গবুল হিন্দ।"
এর অর্থ- যদি কেউ একবার শ্রদ্ধাভরে মহাদেব এর পূজা করে, তবে সে ন্যায় ও আধ্যাত্মিকতার চরম শিখরে পৌঁছতে পারে। হে প্রভু, তুমি আমার এই জীবন নিয়ে নাও, বদলে আমার এই প্রার্থনা পূরণ কর যে, আমি অন্তত পক্ষে একদিনের জন্যও হিন্দে (ভারতে) যেতে পারি এবং সেখানকার আধ্যাত্মিকতার পবিত্র পরিবেশে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারি। কারণ, হিন্দে তীর্থ করার ফলে মানুষ অনেক মহৎ কাজ করার পুণ্য অর্জন করে এবং সেখানকার পুণ্যাত্মা শিক্ষকের স্পর্শে জীবন ধন্য করতে পারে।”
আপনার অনেকেই জানেন, মহাদেব শিব এর মাথায় শোভা পায় চন্দ্র। এই চন্দ্রের আরেক বাংলা নাম ‘সোম’, এই সূত্রেই কোথাও কোথাও শিবের মন্দিরকে বলা হয় সোমনাথের মন্দির, যার মধ্যে একটি মন্দিরকে গজনীর সুলতান মাহমুদ ১৭ বার আক্রমণ করে ধ্বংস এবং তার সম্পদ লুঠপাঠ করেছিলো।
বাংলা সাত বারের নাম এসেছে আমাদের সৌরজগতের সাতটি গ্রহের নাম থেকে, এর মধ্যে ‘রবি’ হলো সূর্য আর ‘সোম’ মানে চন্দ্র, অন্য ৫টি নাম, ৫টি গ্রহের নামে। এই ৭ বারের নাম, মানব সভ্যতায় হিন্দু মুনি ঋষিদের অবদান; কারণ, এই বার প্রকরণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিষয়, যে জ্যোতিষ শাস্ত্র বেদের একটি অংশ এবং যা পৃথিবীতে আছে প্রায় ৮/১০ হাজার বছর যাবৎ। সুতরাং সপ্তাহের ৭ বারের জন্য শুধু মুসলমানরা নয়, পৃথিবীর সকল জাতি হিন্দুদের কাছে ঋণী।
যা হোক, এই চন্দ্রের বাংলা প্রতিশব্দ যেমন সোম, তেমনি এর আরবি প্রতিশব্দ হলো ‘আল্লাত’।
শিবের মাথায় চন্দ্র থাকে বা থাকতো বলে আরব এলাকায় এর আরেক নাম ছিলো চন্দ্রের দেবতা বা ‘চন্দ্রদেবতা’। চাঁদ, পৃথিবীর প্রাচীন সমাজে ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কারণ, তখনও সৌর ক্যালেণ্ডার চালু না হওয়ায় দিন ও মাস গণনায় এবং বিকল্প আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতের আঁধার কাটাতে চন্দ্রের ভূমিকা ছিলো অপরিসীম এবং একারণেই মুহম্মদ তার ইসলামে চাঁদের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে; এজন্যই এই আধুনিক যুগেও যেখানে চাঁদের আলোর আর সেরকম কোনো দরকারই নেই, সেখানেও প্রাচীন ধ্যান ধারণার অধিকারী মুসলমানরা চাঁদ না দেখে রোযা ও ঈদ পালন করতেই পারে না। কেননা, মুহম্মদ যেহেতু বলে গেছে যে, "তোমরা চাঁদ দেখে রোযা ও ঈদ পালন করো"। এইসব মুহম্মদীয় আদেশ নির্দেশের প্রকৃত কারণ না বোঝার কারণেই, এই আধুনিক যুগে বাস করেও মুসলমানরা কোনোদিনই আধুনিক হতে পারে নি আর পারবেও না। কারণ, মুসলমানরা এইটুকুও বোঝে না যে, তখন দিনের হিসেব রাখার জন্য মুহম্মদ চাঁদ দেখে রোযা ও ঈদ পালন করার কথা বলে গেছে; কেননা, তখন দিন ও মাসের হিসেব রাখার জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা ছিলো না। কিন্তু গরু খেয়ে খেয়ে গরুতে পরিণত হওয়ায় এসব যুক্তি তাদের মাথায় ঢোকে না, আর যাদের মাথায় এসব ঢোকে, আর যখন তারা এসব বলতে যায়, তখনই তারা মুসলমানদের চোখে হয়ে যায়- নাস্তিক, কাফের, মুরতাদ; মুসলমানদের ভবিষ্যৎ কী ?
অবশ্য মুসলমানদের ভবিষ্যতের দরকারই বা কী ? জিহাদের নামে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ আর নাস্তিকদের কুপিয়ে মারতে পারলেই তো তাদের ৭২ হুর সমৃদ্ধ বেহেশত নিশ্চিত, সাথে গেলমান নামের কিছু হিজড়াও ফ্রি; পৃথিবীতে মুসলমানদের উদ্দেশ্যই তো এটাই- জিহাদে গিয়ে মরা অথবা মারা। কোনোটাতেই তাদের কোনো লস নেই। বেঁচে থাকলে গনিমতের নামে লুটের মাল আর তার মধ্যে অমুসলিম নারী, আর মরে গেলে তো বেহেশতের ৭২ ন্যাংটা হুর।
যা হোক, শিবের মাথায় চন্দ্র থাকার কারণেই আরবদের মধ্যে, কাবায় রক্ষিত চন্দ্রদেবতা, তাদের কাছে প্রধান দেবতা হয়ে উঠেছিলো এবং চন্দ্রের আরবি নাম ‘আল্লাত’ থেকে বিবর্তিত হতে হতে আস্তে আস্তে ঐ দেবতার নাম হয়ে উঠেছিলো আল্লা বা আল্লাহ, যে আল্লাহকে মুহম্মদ তার আল্লাহ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলো কিন্তু তার মূর্তিকে করেছিলো অস্বীকার এবং প্রচার করেছিলো- আল্লা নিরাকার, তার কোনো মূর্তি নেই; যে কথাটি গাফফার চৌধুরী ব’লে লতিফ সিদ্দিকীর মতো একপ্রকার প্রায় ফেঁসে যেতে লেগেছিলো। যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি, বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী আমেরিকায় গিয়ে হজ বিরোধী মন্তব্য করায় এখন জেলে, জেল থেকে সে কোনোদিন মুক্তি পাবে কি না সন্দেহ, আর মুক্তি পেলেও অন্ধ মুসলমানরা তাকে বাংলাদেশে বাঁচতে দেবে কি না সন্দেহ। বাঁচতে হলে লতিফকে তসলিমা নাসরিনের মতো বিদেশে গিয়েই বাস করতে হবে, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলায় যে তসলিমা নাসরিন ১৯৯৩ সাল থেকে দেশ ছাড়া।
এখন কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, কাবার মধ্যে রক্ষিত প্রধান দেবতার নামই যে ছিলো আল্লা, তার প্রমাণ কী ? যাদের মনে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাদেরকে দুটো প্রশ্ন করছি, আপনার কি মনে হয় তথ্য প্রমাণ যুক্তি যোগাড় না করেই এটা নিয়ে আমি লিখতে বসে গেছি ? আর রেফারেন্স ছাড়া এরকম একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়ের অবতারণা করে, এটাকে একটা রাবিশ পোস্ট বানানোর জন্য কি সময় নষ্ট করে লিখছি ? অপেক্ষা করুন, সব প্রমাণ পাবেন; কারণ, আমি যা বলি তা প্রমাণ করার ক্ষমতা আমার আছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যাচ্ছে, কাবায় রক্ষিত ঐ চন্দ্রদেবতা বা আল্লার তিনজন মেয়ে ছিলো এবং যাদের নাম ছিলো লাত, উজ্জা ও মানাত। এদের মূর্তি শুধু কাবার মধ্যেই ছিলো না, আরবের বিভিন্ন এলাকাতেও ছিলো এবং সেসব জায়গাতেও তারা পূজিত হতো। নাখালায় উজ্জার মূর্তি ছিলো, মুহম্মদের নির্দেশ খালেদ নামের এক মুসলমান সেই মূর্তি ধ্বংস করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- লাত, উজ্জা ও মানাত ব’লে যাদের কথা বলা হচ্ছে এবং এদের পিতা হিসেবে যাকে বলা হচ্ছে, সে ই যে মুহম্মদের আল্লা বা তার নাম থেকেই যে মুহম্মদ আল্লা নামটি নিয়েছে, তার প্রমাণ কী ?
কোরানের ৫৩ নং সূরা, ‘আন নাজম’ এর ১৯, ২০ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“এখন বলো, তোমরা কি এই ‘লাত’ ও ‘উজ্জা’ এবং তৃতীয় আর একটি দেবী ‘মানাত’ এর প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে কখনো কিছু চিন্তা-বিবেচনা করেছো ?”
সম্ভবত আল্লার নাম ভাঙিয়ে কোরানের বাণী হিসেবে মুহম্মদ এই প্রশ্নটি তার বিরোধী মক্কাবাসীকে করেছিলো। তখন মক্কাবাসী সম্ভবত এই উত্তর দেয় যে, কেনো, এরা তো আল্লার কন্যা। এর পর মুহম্মদ আবার আল্লার নাম ভাঙ্গিয়ে কোরানের বাণী হিসেবে বলে,
“তোমাদের জন্য কি পুত্রসন্তান! আর কন্যাগুলো শুধু আল্লার জন্য ?” (কোরান, ৫৩/২১)
এখানে কিন্তু স্পষ্টভাবে এই প্রশ্ন করা হচ্ছে যে, “কন্যাগুলো শুধু আল্লার জন্য?”
তাহলে এখানে কোন কন্যার কথা বলা হয়েছে এবং কোন আল্লার কন্যার কথা বলা হয়েছে ?
প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, মুহম্মদ যখন মক্কাবাসীকে এই প্রশ্ন করে যে, লাত, উজ্জা ও মানাত, এরা আসলে কারা ? মক্কাবাসী উত্তর দেয়, এরা আল্লার কন্যা। কিন্তু মানুষের তো সাধারণভাবে কন্যা ও পুত্র উভয়ই থাকে, তাই মুহম্মদ উল্টো প্রশ্ন করে, তোমাদের জন্য পুত্র সন্তান আর আল্লার জন্য শুধু কন্যা ? এই কথোপকথনের বিষয়টিই ৫৩নং সূরার ১৯, ২০ ও ২১ নং আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
আরেকটি ঐতিহাসিক তথ্য- মুহম্মদের যে বংশে জন্ম, বংশ পরম্পরায় সেই কুরাইশ বংশের কাছে ছিলো কাবার রক্ষণাবেক্ষণ ও কাবা উপলক্ষে মক্কায় আগত লোকজনের দেখা শোনা ও তাদের সেবাযত্নের ভার। মক্কায় একটি কূপ ছিলো, যাকে বলে জমজম কূপ, এই কূপের জলের জন্যই মক্কায় প্রথম জনবসতি গড়ে উঠে। ইসলামের ইতিহাস তো দখলের ইতিহাস। ৬১০ খ্রিষ্টাব্দের আগে পৃথিবীতে ইসলামের নাম বা দুর্গন্ধ না থাকলেও; মুহম্মদ, তওরাত ও বাইবেলের সৃষ্টিতত্ত্বকে দখল করে কোরানের মধ্যে ঢুকিয়ে বললো আদম ও হাওয়া ই পৃথিবীর প্রথম মানব মানবী, যাদেরকে সৃষ্টি করেছিলো আল্লা। অথচ আদম ও হাওয়া পূর্ববর্তী সংস্করণ এ্যাডাম ও ইভের কাহিনীর যখন জন্ম, তখন কোরানের আল্লার জন্মই হয় নি। খ্রিষ্টানরা তাদের সৃষ্টিকর্তাকে বলতো গড আর ইহুদিরা বলতো জেহোবা বা জিহোবা। তারপর, মুসারও পূর্ববর্তী নবী, যে মুসা ইহুদি মতবাদের প্রবর্তক, সেই মুসার আগের নবী ইব্রাহিমকে দখল করার জন্য তার সম্পর্কে মুহম্মদ বলে,
“ইব্রাহিম না ছিলো ইহুদি, আর না ছিলো খ্রিষ্টান, বরং সে তো ছিলো একনিষ্ঠ মুসলিম।” (কোরান, ৩/৬৭)
অথচ মুসার আমলে ইসলাম এবং আল্লার নাম-গন্ধও ছিলো না।
ইসলামকে বানাতে মুহম্মদের যা কিছু দরকার, এইভাবে তার সব কিছু ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের থেকে মুহম্মদ দখল করেছে, আর যখনই সেই সব বিষয় নিয়ে ইহুদি খ্রিষ্টানরা কোনো প্রশ্ন তুলেছে, তখনই মুহম্মদ তাদের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ করেছে, তারা তাদের ধর্মগ্রন্থ বিকৃত করে ফেলেছে। বোঝেন ঠেলা। জোর যার মুল্লুক তার, এই কথাটি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য ইসলাম ও মুসলমানদের বেলায়।
যা হোক, এই দখল প্রক্রিয়ায় ইসলাম দাবী করে যে, ইব্রাহিম যখন তার স্ত্রী হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাইলকে মক্কার মরুভূমিতে নির্বাসন দিয়েছিলো, তখন একদিন পানির জন্য হাজেরা, সাফা ও মারওয়া পর্বতের মধ্যবর্তী জায়গায় সাতবার দৌড়াদৌড়ি করেছিলো, যার জন্য মুসলমানরা এখনও হজ করতে গেলে সাফা ও মারওয়ার মধ্যে দৌড়ায়; হাজেরার সেই দৌড়াদৌড়ির সময় জিবরাইল ফেরেশতা সেখানে উপস্থিত হয় এবং নিজের পায়ের খুর দিয়ে মাটি খুড়লে সেখানে জমজম কূপের সৃষ্টি হয়। জিবরাইলের পায়ের খুর আছে, এটা আবার কী অদ্ভূত জন্তু কে জানে, ইসলামের তো একটা অদ্ভূত জন্তু আছে, বোরাক, যার দেহ ঘোড়ার কিন্তু মুখটি নারীর।
যা হোক, ইসলাম মানুষকে তার কর্মের স্বীকৃতি দিতে ভীষণভাবে কৃপণ; কারণ, সকল মুসলমান এটা বিশ্বাস করে যে, মানুষের কোনো ক্ষমতা নেই, যা ক্ষমতা তা শুধু আল্লার, আর মানুষ যা করে তা আল্লা ই করায়। তো সব কিছু যখন আল্লা ই করায়, তখন ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বা কিছু লিখলে তোদের পাছায় এত লাগে কেনো, হ্যাঁ ?
যা হোক, এটা নিশ্চিত যে, কেউ না কেউ কোনো এক সময় মক্কার ঐ জমজম কূপ খনন করেছিলো, কারণ, মক্কা ছিলো তৎকালীন বাণিজ্য নগরী সিরিয়ায় যাওয়ার পথে, সিরিয়ার বিপরীত দিকের অন্যান্য এলাকার মানুষের বিশ্রামস্থল। একারণে মক্কায় সকল ধর্মের লোকদের জন্য কাবা মন্দির স্থাপিত হয়, যাতে লোকজন বিশ্রাম করার সাথে সাথে ধর্মকর্মও করতে পারে। এজন্যই কাবার মধ্যে শুধু হিন্দুদের মূর্তিই ছিলো না, ছিলো সেই সময়ের মানুষের বিশ্বাসের সকল দেব-দেবী, এমন কি যীশুর মা, মেরি এবং যীশু খ্রিষ্টের মূর্তিও ছিলো। এভাবে বিভিন্ন মানুষের বিশ্বাসের দেব-দেবীকে স্থান দিতে দিতে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ৩৬০টিতে, বিষয়টা কখনো কল্পনা করেছেন ৩৬০ টা মানে কতগুলো মূর্তি ? বর্তমানেও পৃথিবীতে এমন কোনো মন্দির বা সংগ্রহশালা সম্ভবত নেই, যেখানে এতগুলো মূর্তি আছে। প্রকৃতপক্ষে কাবা ছিলো এক বিশাল সংগ্রহশালা এবং এই সংগ্রহের মধ্যে মহাদেব শিব ছিলো প্রধান দেবতা, যার আরবি নাম হয়ে উঠেছিলো আল্লাহ।
মক্কা যেহেতু মরূভূমি এবং সেখানে যেহেতু কোনো চাষবাস হতো না বা এখনো হয় না, তাই ইসলাম পূর্ববর্তী মক্কার লোকজনের আয়ের প্রধান উৎস ছিলো এই পথচলতি মানুষের সেবার বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ। এ কারণে মক্কার লোকজন সব ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধা করতো এবং তাদের কাবায় ঐ সকল মানুষের বিশ্বাসের মূর্তি স্থাপন করতো বা করতে দিতো, যাতে তারা সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে বেশি বেশি অর্থ দেয়, ঠিক যেমন পর্যটন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল দেশ বা জাতি এখনও করে; এই কাবার ইতিহাস এবং কাবাকেও; মুহম্মদ- আদম, ইব্রাহিম, ইসমাইলের নামে নানা কাহিনী বানিয়ে দখল করে।
যা হোক, মক্কার সেই জমজম কূপ, মুহম্মদের জন্মের কিছু আগে ভূ প্রাকৃতিক কারণে হারিয়ে যায়। জল না থাকায় মক্কায় আগের মতো লোক জন আর আসছিলো না বা থাকছিলো না। তখন কাবার দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলো মুহম্মদের দাদা আব্দুল মোতালেব এর উপর। বলা যায়, সে ই ছিলো কাবার প্রধান সেবায়েত বা পুরোহিত। তো জলের অভাবে লোকজন আগের মতো আর না আসায় মক্কার লোকজন পরে ভয়াবহ অভাবের মধ্যে। তাই জমজম কূপ পুনরুদ্ধারের জন্য মোতালেব বেপরোয়া হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তার প্রচেষ্টা যদি সফল হয়, তাহলে সে তার ১০ পুত্রের মধ্যে থেকে একজনকে কাবার প্রধান দেবতা আল্লার উদ্দেশ্যে বলি দেবে; এরকম বিশ্বাস ও ঘটনা প্রাচীন সমাজের জন্য অসম্ভব কিছু নয়।
মানুষ বেপরোয়া বা ডেসপারেট হলে কি না করতে পারে, মোতালেবও তার প্রচেষ্টায় সফল হয়, পুনরায় খুঁজে বের করে জম জম কূপ বা এমনও হতে পারে, সে আরেকটি কূপ ই খনন করে, এ আর অবিশ্বাস্য বা অসম্ভব কী, মাটি খুঁড়লে পানি তো পাওয়া যাবেই, এই ৫০/১০০ বছর আগেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার কূপ ছিলো। কিন্তু এইসব বাস্তব ইতিহাস দিয়ে তো আর ইসলাম বানালে হবে না, ইসলামের জন্য দরকার ছিলো কোনো এক অদৃশ্য আল্লার সাথে সবকিছুর এক অদৃশ্য কানেকশন। এজন্য মুহম্মদ- কাবা, জমজম সবকিছুকে দখল করে নিজের মতো তাদের ইতিহাস বানিয়ে তার সেই কল্পিত আল্লার সাথে জুড়ে দিয়েছে।
যা হোক, জমজম কূপ যখন ফিরে পাওয়া গেলো, তখন কোন পুত্রকে বলি দেওয়া হবে তার জন্য একটা লটারী করা হলো এবং সেই লটারীতে নাম উঠলো মুহম্মদের বাপ আব্দুল্লাহর। তখন হয়তো তার নাম ছিলো শুধু আব্দুল বা আব্দুল এর সাথে আরো কোনো শব্দ থাকলেও থাকতে পারে; কিন্তু ইসলামের ইতিহাস থেকে সেটা সম্ভবত হারিয়ে গেছে, তাই তা আর জানার কোনো উপায় নেই।
তো মোতালেব যেহেতু প্রতিজ্ঞা করেছে যে, জমজম কূপের বিনিময়ে সে তার এক পুত্রকে কোরবানী দেবে, সেই কোরবানীতে নাম উঠেছে এক পুত্রের, তাকে কি এখন সত্য সত্যই হত্যা করা হবে ? এরকম প্রশ্ন উঠতে থাকে মক্কাবাসীদের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত মক্কাবাসীদের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত হয় যে মোতালেব এর কোনো পুত্রকে কোরবানী দেওয়া বা হত্যা করা হবে না, তার বিনিময়ে ১০০ উট কোরবানী দেওয়া হবে এবং যেহেতু মোতালেব এর পুত্র আব্দুল এর নাম কোরবানীর জন্য সিলেক্ট হয়েছে, তাই আব্দুলকে কাবার প্রধান দেবতা আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হবে, অর্থাৎ সে হবে আল্লাহর দাস, এজন্য আব্দুল+আল্লাহ এই দুই শব্দ মিলে তার নাম হয় আব্দুল্লাহ, যার পুত্রের নাম মুহম্মদ এবং যে মুহম্মদের জন্মের পূর্বেই মারা যায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মুসলমানরা এইসব ইতিহাস না জানলেও, তারা তো এটা স্বীকার করে যে, আব্দুল্লাহ মানে আল্লাহর দাস, তাহলে এই আল্লা কোন আল্লা, যার দাস বানানো হচ্ছে কোনো একজন মানুষকে এবং সেটাও পৃথিবীতে ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে ?
এই আল্লা, সেই আল্লা ই, যে কাবার মধ্যে স্থাপিত প্রধান দেবতা, যার কথা বলেছে গাফফার চৌধুরী, কোরানে যার সম্পর্কে এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তোমাদের জন্য পুত্র আর আল্লার জন্য শুধু কন্যা ? এই আয়াতের মাধ্যমে তো বলেই দেওয়া ই হচ্ছে যে, কে আল্লা।
তো এখন শেষ কথা হচ্ছে যে, মুসলমানদের যে আল্লা হিন্দুদের একজন দেবতা, সেই দেবতা্র ভয় আবার মুসলমানরা দেখায় হিন্দুদেরকেই। আমি এই বিষয়গুলো জানি বলে, যখন কেউ আমাকে আল্লার নাম দিয়ে ইহকাল বা পরকালের ভয় দেখায়, সেটা বাস্তবেই হোক আর নেট দুনিয়ার কমেন্টেই হোক, শুনলে বা পড়লেই হাসি পায়। ভাবি, কার কাছে কিসের গল্প শোনাচ্ছে ? যে পাথরের মূর্তির নাম ছিলো আল্লাহ, সেই মূর্তিকে ভেঙ্গে ফেলে আল্লাকে অদৃশ্য কোনো সত্ত্বা বানিয়ে দিলেই যে সে সর্বজ্ঞানী ও সর্বশক্তিমান হয়ে যাবে, এটা মূর্খরা বিশ্বাস করতে পারে, আমি করি না।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় মা শ্যামা
🙌জয় হোক সনাতনের🙌


প্রাক্-স্বাধীনতা আন্দোলন






প্রাক্-স্বাধীনতা আন্দোলন


ফেসবুক থেকে       শেয়ার করেছেন         প্রণব কুমার কুণ্ডু


Somen Sharma Ek Mushfir

: সভাপতি নির্বাচিত হলেন রাসবিহারী বসু :
.
তখনও সিঙ্গাপুরের পতন হয়নি।খবর এল,ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগ(Indian Indipendence League)এক নতুন পরিকল্পনা নিয়ে গঠিত হয়েছে। যুদ্ধের আগে ১৯৩৬ সালে পন্ডিত জহরলাল নেহরু মালয় ভ্রমণে এসেছিলেন।মালয়ে তখন আমাদের ইন্ডিয়ান অ‍্যাসোসিয়েশন (Indian Association) নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। পন্ডিত নেহরুর উৎসাহ ও উদ্দীপনায় সারা মালয়ে এটি একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হল।
.
বিপ্লবী নেতা শ্রদ্ধেয় রাসবিহারী বসু ১৯১৬ সাল থেকে জাপানে নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন। জাপানিরা যখন প্রথম মালয় আক্রমণ করল ভারতহিতৈষী রাসবিহারী সেদিন টোকিও শহরে স্থির থাকতে পারেননি। এখানে তিনি স্বামী সত‍্যানন্দপুরী,প্রিতম সিং,ক‍্যা: আক্রম খান, দেবনাথ দাস প্রমুখ প্রবাসী ভারতীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে ভারতকে কিভাবে স্বাধীন করা যায় তার পরিকল্পনা স্থির করতে লাগলেন।এ সময় রাসবিহারী বসু এদের একান্ত ও একনিষ্ঠ সাহায্য না পেলে আজাদ হিন্দ সংঘ, আজাদ হিন্দ ফৌজ বা আজাদ হিন্দ সরকার গঠিত হতে সম্ভবত আরও প্রচুর সময় লাগত ও সেই সঙ্গে নানারকম বাধারও সৃষ্টি হত।
.
স্বামী সত‍্যানন্দপুরী বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অধিবাসী।বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলার বুকে ১৯০৫ সালে যে বিপ্লবী শক্তি আত্মপ্রকাশ করেছিল স্বামী সত‍্যানন্দপুরী তারই একজন বিশিষ্ট সদস্য।রাসবিহারী বসুর মতো তিনিও দেশকে স্বাধীন করার আকাঙ্ক্ষায় বাইরের শক্তির সাহায‍্যলাভের জন্য বিদেশে নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন।শ‍্যামরাজ‍্যের রাজদরবারে ও উচ্চপদস্থ কর্মচারিদের মধ্যে তার বেশ প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল।তারই প্রভাবে ও চেষ্টায় শ‍্যামদেশে ভারতীয়রা প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন।
.
রাসবিহারী বসু ব‍্যাঙ্ককে বসে Indian Independence League গঠন করলেন এবং সারা মালয়ে শাখা-প্রশাখা গঠনেরও ব‍্যবস্থা পাকা করে ফেললেন।মালয়ের Indian Association-এর কর্মীরা অনেকেই এই নবগঠিত লীগে যোগ দিয়ে বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ কাজের ভার নিলেন। নবগঠিত সংগঠনের কাজ দেখতে দেখতে বেশ জোরদার হয়ে উঠল।
.
এই সময় Indian Independence League-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বৃটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ক‍্যাপ্টেন মোহন সিং-এর নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর পতনের পরের দিনই আজাদ হিন্দ ফৌজ(Indian National Army) গঠিত হল। রাসবিহারী বসু ও আরও অনেকের চেষ্টায় এই ফৌজ Indian Indipendence League-এর সঙ্গে একত্রে কাজকর্ম শুরু করল।লীগ(সংক্ষেপে I.I.L) এবং ফৌজ (I.N.A) বৃটিশ শক্তিকে ভারতের মাটি থেকে উৎখাত করার জন্য স্বাধীনতার প্রস্তুতি চালাতে লাগল। নিপীড়িত,লাঞ্ছিত ভারতবাসী অনেকেই জন্ম থেকে বৃটিশ শক্তির প্রবল প্রতাপ দেখে বিষ্ময়ে অভিভূত হয়েছে। তাদের কাছে ইংরেজরা ছিল অসীম শক্তি ও সাহসের প্রতীক। কিন্তু এখানে সেই প্রবল পরাক্রান্ত প্রভূ ও মহাবীরদের উল্কাবেগে পলায়ন ও ক্ষুদ্রাকৃতি জাপানিদের হাতে তাদের করুণ অবস্থা দেখে আমাদের মতো গৃহসুখি আপাত-শঙ্কিত মানুষেরাও স্বাধীনতার বাস্তব কল্পনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠল। আমাদের মনে হল, ভারতের স্বাধীনতা আর অবাস্তব আকাশ-কুসুম কল্পনা নয়। বরং একতা, বিশ্বাস ও আত্মোৎসর্গের নীতি নিয়ে এগিয়ে চললে বিজয়লক্ষ্মী নিশ্চয় আমাদের জয়মাল্য দেবেন।
.
১৯৪২ এর এপ্রিল মাস। আমাদের রবার বাগানের কাজকর্ম কিছু কিছু শুরু হয়েছে। এমন সময় সিঙ্গাপুর থেকে আমার বোন আমাকে সেখানে যাবার জন্য খবর পাঠাল।একই সঙ্গে উত্তর মালয় থেকে আমার বন্ধু ডঃ সুধীরানন্দ রায়ের (রাজশাহী) চিঠি পেলাম। তিনি আমাকে তার সঙ্গে দেখা করতে লিখলেন।এর কিছুদিন পরেই মোটামুটি নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হল এবং ডাকও নিয়মিত বিলি হতে থাকল।ফলে আমরা প্রবাসী বাঙালী বন্ধুরা একত্রে মিলেমিশে নিজেদের সমস‍্যাবলী সম্পর্কে আলোচনা ও পরামর্শ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। Indian Indipendence League কতটা কাজ চালাতে পারবে এবং আমাদেরই বা কি কর্তব্য তাও স্থির করার প্রয়োজন হল।
.
ব‍্যাঙ্ককে তখন লীগের উদ্যোগে সমগ্র পূর্ব এশিয়ার প্রবাসী ভারতীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সম্মেলনের ব‍্যবস্থা হয়েছিল। ডঃ রায়ের অনুরোধে ওই সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে আমি সিঙ্গাপুর গেলাম। পথে যেতে যেতে অসংখ্য ভাঙ্গা,পোড়া, আধপোড়া নানা আকারের মিলিটারি ট্রাক ও দামী দামী সব মোটরগাড়ি চোখে পড়লো। আশেপাশে লোকেরা নিজেদের খেয়ালখুশিমতো কেউ চাকা,কেউ মেশিনের অংশ,ব‍্যাটারি ইত‍্যাদি খুলে নিয়ে যাচ্ছিল। সিঙ্গাপুরে ঢোকার সময় দেখলাম অগ্নিদগ্ধ বড় বড় বহু পেট্রোল ডিপোর ধ্বংসাবশেষ।
.
সিঙ্গাপুর যুদ্ধে জাপানি গোলাবর্ষণে মাত্র একজন বাঙালি মারা গিয়েছেন। তিনি আমার ভগ্নিপতির ছোট ভাই, ডঃ অনিল সিংহ।তার বাবা বৃদ্ধ ডাক্তার কিরণ চন্দ্র সিংহ শেলের আঘাতে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। ইংরেজ সমরনায়করা সিঙ্গাপুরের সরকারি হাসপাতালকে অন‍্যায়ভাবে সৈন‍্যাবাস করার ফলেই এইসব শোচনীয় দূর্ঘটনা ঘটে।আহতরা চিকিৎসার সুযোগ পাননি।
.
সিঙ্গাপুরে কাংডান কারবাউ হাসপাতালের পিছনেই পরাজিত অস্ট্রেলিয় ও ইংরেজ সৈন‍্যদের বন্দী শিবির খোলা হয়েছিল।দেখলাম বিশাল মাঠে বন্দীদের বিভিন্ন ক‍্যাম্পে রাখা হয়েছে। চারপাশে পাহারা দিচ্ছে জাপানি সৈনিকরা। জীবনে এরকম দৃশ্য এর আগে কখনও দেখিনি। স্বীকার করতে কুন্ঠা নেই এই দৃশ্য দেখে বেশ আনন্দই পেয়েছিলাম। একটা দৃশ্য এখনও ভুলিনি।বন্দীশিবিরের একদিকে বড় রাস্তার পাশে আমাদের মতো অনেক কৌতুহলী পথচারী দাঁড়িয়ে আছে।অন‍্যদিকে নগ্নপদ,নগ্নগাত্র বন্দী ইংরেজ সৈন্যরা করুণ চোখে তাদের দিকে তাকাচ্ছে। কোথায় গেল তাদের ঔদ্ধত্য আর অহংকার ! মাঝে মধ্যে দুএকজন চীনা জাপানি মিলিটারি পুলিশের চোখ এড়িয়ে অতি সন্তর্পনে নিজেদের কাপড়ে লুকনো পাউরুটির টুকরো কিংবা বিস্কুটের দলা পথের এপাশ থেকে শিবিরের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছে। রুটি বা বিস্কুটের টুকরো মাটিতে পড়তে না পড়তেই পাঁচ সাত জন সাহেব উন্মাদের মতো তা হস্তগত করার জন্য সে কি ভীষণ মারামারিই না করছে!অথচ এরাই এই যুদ্ধ শুরুর আগে নোংরা এশিয়াটিকদের সঙ্গে এক ট্রামে বাসে ট্রেনে চলা খুবই আপত্তিজনক - তাদের ইংরেজি দৈনিক মারফত এ কথা প্রচার করতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হয়নি।
.
সিঙ্গাপুরে তখন Indian Independence League ও আজাদ হিন্দ ফৌজের কাজ পুরোমাত্রায় চলছে। আমরা আজাদ হিন্দ ফৌজের বহু সৈনিককে কাফে,হোটেল,রেস্তোরাঁয় এবং রাজপথে প্রকাশ‍্যে সগর্বে চলাফেরা করতে দেখেছি। সিঙ্গাপুরের কয়েকজন ভারতীয়র বাড়িতেই আজাদ হিন্দ ফৌজের বহু বাঙালি সেনার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। এদের সকলের নাম আজ মনে পড়ে না। তবে এদের মধ্যে একজনের সঙ্গে আমার গভীর বন্ধুত্ব হয়েছিল। তার নাম সঞ্জীব ব‍্যানার্জী। তার বাড়ি ছিল কলকাতা। তিনি রাওয়ালপিন্ডিতে মিলিটারি ট্রেনিং শেষ করে বৃটিশ ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে আসেন।জাহাজে আসার সময় জাপানি বিমানের অভ্রান্ত বোমাবর্ষণে সিঙ্গাপুর থেকে প্রায় সত্তর আশি মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে তাদের জাহাজডুবি হয়। সমুদ্রে তারা প্রায় দশ ঘণ্টা লাইফবেল্টের সাহায্যে ভেসে থাকেন।পরে ইংরেজদের আরেকটি জাহাজ এসে তাদের সকলকেই উদ্ধার করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যায়।
.
সঞ্জীবের সঙ্গে পরে আর আমার দেখা হয়নি। কিন্তু আমি গুপ্ত বিভাগে যোগ দেওয়ার পর শুনেছিলাম যে, তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের গুপ্ত বাহিনী " বাহাদূর গ্রুপে "কর্ণেল বুরহানুদ্দিনের অধীনে স্থলপথে ভারত অভিমুখে রওনা হয়েছেন।পরে বুথিডং-এ ইংরেজদের হাতে ধরা পড়েন। তার প্রাণদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ফাঁসির আদেশ মুকুব করে তাকে দ্বীপান্তরে পাঠানো হয়েছিল।১৯৪৬-এর সেপ্টেম্বর মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
.
সিঙ্গাপুরে অস্ট্রেলীয় সেনাদের একটি ক্লাব ছিল-এনজাগ ক্লাব।ওই পরিত‍্যক্ত ক্লাব বাড়িটিকেই আমাদের আজাদ হিন্দ সংঘের(Indian Independence League) অফিস করা হল।ব‍্যাঙ্কক সম্মেলনে যাব বলে এখানে এসেছি। সেজন্য লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলাম।সঙ্ঘের সম্পাদক সভাপতিরা তখন সিঙ্গাপুরেই । কিন্তু লীগের অফিসে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ সুবিধা না হওয়াই তাদের সদর দফতর Mount Pleasant অফিসেই রওনা হলাম। এসব অঞ্চল তখন আজাদ হিন্দ ফৌজের অধীনে। পথে যেতে যেতে দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সেনারা পাহারা দিচ্ছেন। অদূরে জেনারেল মোহন সিং-এর অট্টালিকায় আমার পক্ষে ব‍্যাঙ্কক সম্মেলনে যোগদানের নানাবিধ অসুবিধার কথা আলোচনা হল।তারা আমাকে নিজের এলাকায় আজাদ হিন্দ সংঘকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দিলেন। আমি সিঙ্গাপুর থেকে স্ত্রী-পুত্র কে নিয়ে আবার আমাদের পুরনো রবার বাগানে ফিরে এলাম।
.
১৯৪২ সালের ১৫ই জুন ব‍্যাঙ্কক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সম্মেলনে রাসবিহারী বসুকে সভাপতি করে একটি সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হল ।
.
ক্রমশ............
তথ্যসূত্র - নেতাজির সিক্রেট সার্ভিস ।
লেখক - ডঃ পবিত্রমোহন রায় ।



Pranab Kumar Kundu



আল্লা কি ভাবে হিন্দুদের নরকে নিয়ে যান ?







আল্লা কি ভাবে হিন্দুদের নরকে নিয়ে যান ?


আল্লা কি ভাবে 
হিন্দুদের 
নরকে নিয়ে যান ?

আল্লা কোন সাহসে 
হিন্দুদের 
নরকে নিয়ে যান ?

আর বিভিন্ন
শাস্তিভোগ
করান ?

হিন্দুরা তো
আল্লার
এক্তিয়ারের বাইরে !

তাই ভয় নাইরে !
তাইরে নাইরে
তাই-রে !



* সূত্র :
 'এক নজরে ইসলাম', পৃষ্ঠা ১০, ডঃ রাধেশ্যাম ব্রহ্মচারী, সেভ ইণ্ডিয়া মিশন, বিই - ৩০০, সল্ট লেক সিটি
 কলকাতা - ৭০০ ০৬৪।
তুহিনা প্রকাশনী, ১২সি, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলিকাতা - ৭০০ ০৭৩।
মূল্য চল্লিশ টাকা !




'এক নজরে ইসলাম', ডঃ রাধেশ্যাম ব্রহ্মচারী, সেভ ইণ্ডিয়া মিশন, বিই - ৩০০, সল্ট লেক সিটি
 কলকাতা - ৭০০ ০৬৪।
তুহিনা প্রকাশনী, ১২সি, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলিকাতা - ৭০০ ০৭৩।
মূল্য চল্লিশ টাকা !

Ek Nojore Islam.pdf
drive.google.com

JANUARY 2019




JANUARY 2019

ফেসবুক থেকে  শেয়ার করেছেন  প্রণব কুমার কুণ্ডু।




JANUARY 2019
MONTUEWEDTHUFRISATSUN
123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031