সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০২০

গান্ধি ও আরএসএস

গান্ধি ও আরএসএস


2 বছর আগে

শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু

Ashish Bhattacharya

গান্ধি ও আরএসএস

সেকুলার গান্ধী বনাম আরএসএস এর বর্ণবৈষম্য

সাল 1930 । স্থান : নাগপুরের কাছে ওয়ার্ধা নগর। পরাধীন ভারত মাতা। ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীর রমরমা। যা বলেন তাই সাধারণ মানুষ অন্ধবিশ্বাসের সাথে মেনে নেয়। সেই গান্ধী গেলেন ওয়ার্ধা নগরে। ভাষণ দিতে। থাকলেন ঘনাস্যামদাস বিড়লার বাড়িতে। হাঁ ইনি সেই বিড়লা কোম্পানির মধ্যে বিড়লা কোম্পানির একজন প্রতিষ্ঠাতা। এখন আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী নামে পরিচিত। গান্ধী দিল্লীতে গেলে বিড়লা হাউসেই থাকতেন। ঘনস্যামদাসের সাথে গান্ধীর ভালোই হৃদ্যতা ছিল । ঘনশ্যমদাস কংগ্রেসের একজন সক্রিয় নেতাও ছিলেন।
সে যাই হোক , গান্ধী এলেন ওয়ার্ধা নগরে। খবর পেলেন কাছেই হচ্ছে আরএসএস এর প্রশিক্ষণ বর্গ বা ট্রেনিং ক্যাম্প। তা ঠিকই, কাছেই সেই ঘনস্যামদাসের আস্তাবল মাঠে আরএসএসের একটি প্রশিক্ষণ বর্গ চলছিল তখন। আরএসএসের আবেদনে সাড়া দিয়ে ঘনশ্যমদাস তার ফাঁকা মাঠে বর্গ করার অনুমতি দেন।
বর্গ বিষয়ে খবর পেয়ে গান্ধী নিজে সেই বর্গে যাওয়ার জন্য ঘনস্যামদাসের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ঘনশ্যমদাস সংঘের কার্যকর্তাদের সাথে কথা বলে গান্ধীর আসার আর বর্গ পরিচয়ের ব্যবস্থা করেন। সনয়মত ঘনস্যামদাসের সাথে গান্ধী বর্গ পরিচয়ে যান। বর্গের মাঠ, তাঁবু, রন্ধনশালা, শৌচালয় পরিদর্শন করেন ও খুব অনুপ্রাণিত হন। গান্ধী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তারজির সাথে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু ডাক্তারজি সেদিন অন্য বর্গে থাকার জন্য সাক্ষাৎ হয় নি। পরের দিন শুধুমাত্র ডাক্তারজির সাথে দেখা করার জন্য গান্ধী আবার বর্গে যান।
সেই বর্গেরই একটি ঘটনা কংগ্রেসের সেকুলারি ও সংঘের বর্ণবৈষম্যের তত্ত্ব পরিষ্কার করে দেয়। বর্গ পরিদর্শনকালীন বর্গের পংতিভোজন চলছিল। স্বয়ং সেবকরা সারি দিয়ে মাটিতে বসে ভোজনমন্ত্র উচ্চারণের পর ভোজন শুরু করে। এখনো সেই বর্গের পংতিভোজন বৈচিত্র্য ময়। ডাল ভাত আর হাতা ভর্তি সবজি। লবন লঙ্কা পাওয়া যায়। তবে লেবুটা বিলাসিতা। সাধারণ এই পংতিভোজন পরিদর্শনের সময় গান্ধী স্বয়ং সেবকদের বর্ণ লক্ষ্য করে 4 জন স্বয়ং সেবককে প্রশ্ন করলেন। তাদের কি জাত ? কেউ বলল ব্রাহ্মণ কেউ ক্ষত্রিয় কেউ শূদ্র। গান্ধীর দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, তোমরা যে একসাথে একই পংতিতে বসে ভোজন করছো তাতে তোমাদের জাত যাবেনা তো ? গান্ধীর এই প্রশ্নের আগ্রহ কংগ্রেসের আসল চরিত্র বর্ণনা করে দেয়। কিন্তু এটা আরএসএস। গান্ধী উত্তর পেলেন। সেই 4 জনের 1 জন উত্তর দিলো। সেই স্বয়ং সেবক বললো, গান্ধীজি আমরা ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র অবশ্যই ছিলাম। কিন্তু আরএসএস এর সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে আমরা সবাই হিন্দু স্বয়ং সেবক। তারপর আর কোনো পরিচয় নেই।

জয় মা ভারতী।।

রূপক রায়ের কলাম ( ছয় )


রূপক রায়ের কলাম ( ছয় )



রূপক রায়ের কলাম ( ছয় )
#
ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
#
প্রণব কুমার কুণ্ডু

Rupok Roy
#
মুহম্মদের ইহুদি বিদ্বেষ, একটি মিথ্যাগল্প ও কিছু নৃশংস ঘটনা :
"এক ইহুদি বুড়ি নবীর যাতায়াতের পথে কাঁটা দিতো। নবী প্রতিদিন সেই কাঁটা সরিয়ে যাতয়াত করতো। একদিন নবী দেখলো, পথে কাঁটা নেই। লোকজনদেরকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জানালো, যে বুড়িটা কাঁটা দিতো, সে অসুস্থ। নবী ঐ বুড়ির বাড়ি গেলো, তার অসুস্থতার খোঁজ-খবর নিলো এবং তার সেবা-যত্ন করলো। নবীর এই মহানুভবতায় ঐ বুড়ি ইহুদি ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করলো।"
- পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কী অবস্থা জানি না, কিন্তু বাংলাদেশের বাচ্চা থেকে বুড়ো এমন কোনো মুসলমান নেই যে এই গল্প জানে না এবং মুসলমানদের কাছ থেকে শুনতে শুনতে আমার মতো অনেক হিন্দুরও এই কাহিনী একেবারে মুখস্থ। শুধু তাই নয়, এই কাহিনীর উদাহরণ দিয়ে মুসলমানরা বলার চেষ্টা করে যে, তাদের নবী কত মহৎ -মহান ! এবং এভাবে মুসলমানরা হিন্দুদেরকে ইসলাম ধর্মে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। ইসলাম সম্পর্কে এক পাতাও না পড়ে মুসলমানদের এই মিথ্যা প্রচারণার ফাঁদে পড়ে হিন্দুরাও মনে করে, আরে বাহ! নবী তো একজন মহান মানুষ, নিশ্চয় ইসলামও একটি মহান ধর্ম হবে। পরিশেষে হিন্দু মুসলমান সবারই এই ধারণা জন্মায় যে, যে মানুষ এমন মহান দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারে, সে নিশ্চয় খারাপ হতে পারে না। মুহম্মদ নিশ্চয় ভালো মানুষ।
২০০১ সালে, লাদেন, আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলা করলে মুসলমানরা উৎফুল্ল হয়ে ভেবেছিলো, মুসলমানদের চিরশত্রু আমেরিকার উপর হামলা করা সম্ভব হয়েছে, এবার তাদের ধ্বংস করা সম্ভব হবে এবং সুপার পাওয়ার আমেরিকাকে ধ্বংস করতে পারলে সারা পৃথিবীতে ইসলামের বিজয় পতাকা উড়ানো তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু নির্বোধ মুসলমানরা সেদিন বোঝে নি, ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার নয়, লাদেন আসলে আঘাত করেছে, ইসলামের ভিত্তিমূলে। কারণ, ২০০১ এর আগে উৎসাহী দু'চার জন ছাড়া কেউ, কখনো, কোরান-হাদিসে কী লেখা আছে, তা পড়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করে নি। তাই বেশির ভাগ অমুসলিম আগে জানতে পারে নি ইসলামের মূল কথা এবং মুসলমানদের চরিত্র। কিন্ত টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর সারা পৃথিবী হামলে পড়ে ইসলামের উপর, সবাই জানার চেষ্টা করতে থাকে, আসলে কী লেখা আছে কোরান ও হাদিসে ?
২০০১ সাল পর্যন্ত মুসলমানরা ইসলাম সম্পর্কে যা বলেছে, বাকি পৃথিবী তাই বিশ্বাস করেছে। এভাবেই উপরের বহুল প্রচলিত গল্পটি বিশ্বাস না করে কোনো উপায় ছিলো না। কারণ, কোরান হাদিস কারোই পড়া ছিলো না। কিন্তু এখন কোরান হাদিস পড়ে জানা যাচ্ছে উপরোল্লিখিত ইহুদি বুড়ি ও নবীর গল্পটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ, ৬টি সহীহ হাদিসের বই এবং কোরানে এই ঘটনার কোনো উল্লেখ নেই। শুধু তাই নয়, নবী, ইহুদিদের সাথে যে আচরণ করেছে, তাদের যেভাবে হত্যা করেছে, যেভাবে তাদের জমি বাড়ী দোকান দখল করে তাদেরকে বাস্তুভিটা থেকে উৎখাত করে তাড়িয়েছে, তার প্রত্যেকটি ঘটনা রীতিমতো শিউরে উঠার মতো।
খুব সংক্ষেপে সেগুলোর কয়েকটি বর্ণনা করার আগে মুহম্মদের ইহুদি বিদ্বেষ সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করছি : মুসলিম শরীফের ৪৩৬৬ নং হাদিসে আছে,
"একমাত্র মুসলমান ছাড়া ইহুদি খ্রিষ্টান সবাইকে আমি আরব ছাড়া করবো।"
মুসলিম শরীফের ৪৩৬৩ নং হাদিসের বর্ণনা এরকম : "একদিন আল্লাহর রাসূল সঙ্গী সাথীদের নিয়ে ইহুদিদের এলাকায় গিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকলেন যে, 'ওরে ইহুদির দল, ইসলাম গ্রহণ কর, তাহলে তোদের কোনো বিপদ হবে না।' এ প্রস্তাবে তারা সম্মত না হলে আল্লাহর রাসূল বললেন, 'তোরা হয়তো জানিস না, এই পৃথিবীর মালিক আল্লাহ এবং তার রাসূল এবং আমার ইচ্ছা এই দেশ থেকে তোদের বিদায় করি।"
মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও মুহম্মদ বলে গেছে, 'পৌত্তলিকদের আরব থেকে তাড়াও।' এই হাদিসটি আছে মুসলিম শরীফের ৮০১৮ নং এ। এছাড়া মুহম্মদ আরও বলেছে, "আল্লা, ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের ধ্বংস করুন।...ইসলাম ব্যতীত আর কোনো ধর্ম যেন আরবে না থাকে।" এজন্যই আরবের ১০০% মানুষ মুসলমান। সৌদি আরব কাউকে কোনো দিন নাগরিকত্ব দেয় না। অন্য কোনো ধর্ম পালনের অধিকার আরবে নেই এবং সেকারণেই কোনো মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা আরবে নেই। যে ঘটনাগুলোর মাধ্যমে মুহম্মদ এবং তার পরবর্তী খলিফারা আরবকে ১০০% মুসলমানের দেশে পরিণত করে, সে ঘটনাগুলো এরকম :
তিন ইহুদি কবিকে গুপ্ত হত্যা :
মদীনায় হিজরতের পর মুহম্মদের- ডাকাত বাহিনী গঠন ক‘রে, মক্কার কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলার উপর হামলা, লুঠপাট ও তাদের হত্যা করার বিরোধিতা ক‘রে কবিতা লিখে মানুষকে সচেতন করছিলো মহিলা কবি আসমা, কবি আবু আকাফ ও কবি কাব বিন আশরাফ। বদর যুদ্ধে জয়লাভ করার কিছুদিনের মধ্যেই গুপ্ত ঘাতক পাঠিয়ে এই তিনজনকেই নৃশংসভাবে খুন করায় মুহম্মদ।
কানুইকা গোত্রের ইহুদিদের মদীনা থেকে বিতাড়ন :
বাজারের মধ্যে এক মুসলমান মহিলাকে নিয়ে হাসাহাসি করার এক তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে, এক মুসলমান প্রথমে খুন করে এক ইহুদিকে, পরে ইহুদিরা খুন করে ঐ মুসলমানকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহম্মদ কানুইকা গোত্রের ৭০০ জন ইহুদিকে মদীনা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দখল করে।
নাজির গোত্রের ইহুদিদের মদীনা থেকে বিতাড়ন :
একবার এক খুনের ঘটনার আপোষ মীমাংসা করার জন্য মুহম্মদ, মদীনা থেকে ৩ মাইল দূরে নাজির গোত্রের ইহুদিদের বসতিতে গিয়েছিলো। কথা বার্তার মাঝে হঠাৎ ই সে উঠে মদীনায় চলে আসে এবং এভাবে তার চলে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে বলে, ইহুদিরা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিলো, এদেরকে উৎখাত করতে হবে। এর পর ২/৩ সপ্তাহ ঐ ইহুদিদের দুর্গ অবরোধ করে থাকার পর, ইহুদিদেরকে তাদের বসতি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে এবং তাদের বিশাল উর্বর ভূমি এবং বাড়ি-ঘর মুহম্মদ একাই দখল করে ভোগ করতে শুরু করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুহম্মদ কোরানের ৫৯ নং সূরা ২ থেকে ৯ নং আয়াত ডাউনলোড করে। আমার কথায় সন্দেহ থাকলে কোরান খুলে দেখে নিতে পারেন। এই নাজির গোত্রের ইহুদিরা মদীনা থেকে বিতাড়িত হয়ে মুহম্মদের এলাকার বাইরে খয়বর নামক স্থানে বসতি গড়ে। পরে ওমর খলিফা হয়ে খয়বর থেকেও নাজিরদেরকে আরবের বাইরে বের করে দেয়। কারণ, মুহম্মদের ইহুদি বিদ্বেষ এতই সাংঘাতিক ছিলো যে, মৃত্যু শয্যায়ও সে ইহুদিদেরকে ক্ষমা না করে বলে গেছে, "হে আল্লাহ, আরবে ইসলাম ছাড়া আর যেন কোনো ধর্ম না থাকে।" যে কথা আগেই উল্লেখ করেছি, মুহম্মদের এই কথা স্মরণ করেই ওমর, নাজিরদেরকে আরব থেকে বিতাড়িত করে।
কুরাইজা গোত্রের ইহুদিদের গণহত্যা :
এই ঘটনাটা একটু বিস্তারিত বলা দরকার। তাহলে মুহম্মদ যে কী পরিমান নৃশংস ছিলো তা উপলব্ধি করা যাবে।
মদীনা সনদে সকল ধর্মের লোকেদের মদীনায় বসবাসের সমান অধিকার দিয়ে সকলের সম্মতিতে চুক্তি হওয়ার পরও তুচ্ছ সব ঘটনা নিয়ে মুহম্মদ শুধু ইহুদি কবিদের হত্যা ই নয়, কানুইকা ও নাজির গোত্রের ইহুদিদেরকে, তাদের সকল সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে মদীনা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরই প্রেক্ষাপটে খন্দকের যুদ্ধে কুরাইজা গোত্রের ইহুদিরা মক্কার কুরাইশদের পক্ষ নেয়। কিন্তু এই যুদ্ধেও কুরাইশরা, মুসলমানদের ছল-চাতুরি ও ধোকাবাজির জন্য জিততে না পেরে অবশেষে হাল ছেড়ে দিয়ে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করে এবং মুহম্মদ তার বাহিনী নিয়ে কুরাইজাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য মদীনা থেকে ৩ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে কুরাইজাদের দূর্গ অবরোধ করে। প্রায় দেড় মাস অবরুদ্ধ থাকার পর কুরাইজারা বলে পাঠায়, তাদের ছেড়ে দিলে, তারাও কানুইকা ও নাজির গোত্রের মতো সকল সম্পত্তি ফেলে খালি হাতে মদীনা ছেড়ে চলে ইচ্ছুক। এরপর কুরাইজারা যখন দূর্গ থেকে বেরিয়ে আসে তখন মুহম্মদের ইচ্ছা অনুসারে তাদের মহিলা-শিশুদের ও পুরুষদের আলাদা করা হয় এবং পুরুষদের পিঠ মোড়া করে বেঁধে ফেলা হয়। মহিলাদের মধ্যে মুহম্মদের চোখ সুন্দরী রিহানার উপর উপর পড়ে এবং মুহম্মদ তাকে তার জন্য আলাদা করে রাখে। আত্মসমর্পনের আগেই কুরাইজারা মুহম্মদের কাছে আবেদন করে জানিয়েছিলো, তারা যদি ভুল করে থাকে তাহলে তাদের বিচারের ভার আউসগোত্রের কাউকে দিয়ে করানো হোক। নবী সঙ্গে সঙ্গে বিচারক হিসেবে আউসগোত্রের সাদ ইবনে মুয়াজ এর নাম প্রস্তাব করে। কারণ, সাদ ইতোমধ্যেই ইসলাম গ্রহন করেছিলো এবং খন্দকের যুদ্ধে কুরাইজারা, কুরাইশদের পক্ষ নেওয়ায়, সাদও কুরাইজাদের উপর ক্ষেপে ছিলো, এসব খবর কুরাইজারা জানতো না, কিন্তু মুহম্মদ ঠিকই জানতো।
ইতোমধ্যে কুরাইজাদের সকল অস্থাবর সম্পত্তি দুর্গের বাইরে এনে স্তুপ করে রাখা হয়েছিলো। একদিকে পিঠমোড়া করে বাঁধা মৃত্যু ভয়ে ভীত ৮০০ পুরুষ, অন্যদিকে ভয়ে ম্লান প্রায় ১২০০ নারী ও শিশু। মাঝখানে গনিমতের মালের স্তুপ। অত্যন্ত বিষাদময় পরিস্থিতি। সবাইকে ঘিরে আছে মুসলমান বাহিনী; তাদের চোখ, নারী শিশু ও গনিমতে মালের উপর। মুহম্মদ, সাদকে তার রায় জানাতে বললো, অন্যদিকে কুরাইজারাও সাদকে, তাদেরকে দয়া করার আবেদন জানিয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সাদ কুরাইজাদের উদ্দেশ্যে বললো, "আমি যে রায় দেবো, আল্লার রায় বলে তোমরা কি তা মেনে নেবে ?" কুরাইজারা সম্মতি জানালে সাদ বললো, 'আমার রায় হলো, সকল পুরুষদেরকে হত্যা করা হবে, সকল নারী ও শিশুকে ক্রিতদাস হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হবে এবং গনিমতের মাল মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করা হবে।" মুহম্মদ তৎক্ষণাৎ এই রায়কে সম্পূর্ণ সঠিক বলে ঘোষণা করে বললো, "সপ্তম স্বর্গ থেকে স্বয়ং আল্লাহর বিচারই যে সাদ এর বিচারের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।"
রায় ঘোষণার পর প্রায় ১২০০ নারী ও শিশুকে আলাদা করে এবং ৮০০ পুরুষকে একটি বড় গুদাম ঘরে বন্দী করে রাখা হলো।
সেই দিন রাতেই মদীনার বাজারে ৮০০ লোককে মাটি চাপা দেবার মতো একটি বিশাল গর্ত খোঁড়া হলো এবং পরদিন ভোর থেকেই শুরু হলো কোতল পর্ব। পিছনে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ৫/৬ জন বন্দীকে সেই গুদাম ঘর থেকে বের করে আনা হতে থাকলো এবং আলী ও নবীর আর এক চাচাতো ভাই জুবায়ের তাদের গলা কেটে কেটে সেই গর্তে ফেলতে থাকলো। গুদাম ঘরের বন্দীরা প্রথমে বুঝতেই পারে নি, ৫/৬ জন করে করে তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যে ব্যক্তি তাদের ডেকে নিয়ে যাচ্ছিলো, তাকে একজন বৃদ্ধ ইহুদি জিজ্ঞেস করলো, ডেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো ? তখন সে বললে, এখনও মাথায় ঢোকেনি ? যাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,তারা কি আর ফিরে আসছে ?” তখন তারা হত্যার বিষয়টি বুঝতে পারলো এবং এক অসহায় ক্রন্দনে গুদাম ভরে উঠলো।
এই হত্যাকাণ্ড ভোর থেকে শুরু হয়ে সারাদিন চললো। সন্ধ্যার পর অন্ধকার হয়ে এলেও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হলো না, গর্তের চারপাশে মশাল জ্বালিয়ে আলোকিত করা হলো, এভাবে মধ্যরাত পর্যন্ত হত্যাকাণ্ড চলার পর ৮০০ ইহুদির কোতল পর্ব শেষ হলো। এই পুরো ঘটনা মুহম্মদ এক জায়গায় বসে বসে প্রত্যক্ষ করলো।
আমার এই বর্ণনায় কারো যদি সন্দেহ থাকে বুখারি শরীফের ২৬০৩ নং হাদিস এবং মুসলিম শরীফের ৪৩৬৪ নং হাদিস বের করে দেখতে পারেন। আরো সন্দেহ থাকলে কোরানের ৩৩ নং সূরার ২৬ নং আয়াত দেখতে পারেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুহম্মদ এই আয়াতটি ডাউনলোড করে। এই আয়াতে বলা হয়েছে,
"আহলি কিতাবদের (ইহুদি খ্রিষ্টান) মধ্য যারা এই আক্রমনকারীদের সাহায্য করেছিলো (অর্থাৎ কুরাইশদের) আল্লাহ তাদেরকে তাদের গহ্বর (দুর্গ) হতে উঠিয়ে আনলেন এবং তাদের অন্তরে এমন ভীতির সঞ্চার করে দিলেন যে, আজ তাদের একদলকে (পুরুষদেরকে) তোমরা হত্যা করছো, অপর দলকে ( নারী ও শিশুদেরকে) বন্দী করে নিচ্ছো।"
কোতল পর্ব শেষ হওয়ার পর, পরদিন সকালে গনিমতে মালগুলো চার ভাগে ভাগ করা হলো। জমি-জায়গা বা স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তি, গৃহপালিত পশু এবং নারী ও শিশু অর্থাৎ ক্রীতদাস। মুহম্মদ সব ভাগ থেকেই তার ২০% নিয়ে নিলো। মুহম্মদের ভাগে যেসব নারী পড়লো, তাদের মধ্য থেকে সুন্দরী কয়েকজনকে, মুহম্মদ তার ক্লোজফ্রেন্ডদের উপহার দিলো, বাকিদের বিক্রি করার জন্য নেজাদে পাঠিয়ে দিলো। সবচেয়ে সুন্দরী যে মেয়েটি, রিহানা, তাকে তো মুহম্মদ আগেই নিজের জন্য আলাদা করে রেখেছিলো। এই রিহানাকে মুহম্মদ বিয়ে করতে চাইলে রিহানা মুসলমান হতে অস্বীকার করে এবং মুহম্মদকে নাকি চড় মারে , ফলে তাকে মুহম্মদের যৌনদাসী হিসেবেই জীবন কাটাতে হয় এবং নিজ গোত্রের সমস্ত পুরুষকে খুন হতে দেখা রিহানা শোক সইতে না পেরে কয়েক বছর পর যুবতী বয়সেই, মুহম্মদের আগেই মারা যায়। এই গনিমতের মাল সম্পর্কিত একটি আয়াত দেখতে পারেন কোরানের ৩৩ নং সূরার ২৭নং আয়াতে। সেখানে বলা হয়েছে,
"তিনি তোমাদেরকে তাদের যমীন, ঘর-বাড়ি এবং তাদের ধন মালের উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিয়েছেন, আর তাদের সেই সব অঞ্চল তোমাদের দিয়েছেন, যেখানে ইতিপূর্বে তোমরা কখনো পদসঞ্চার করো নি।"
এই সব নারী ও শিশুদেরকে আরবের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাস কারী ইহুদিরা মানবিকতার দায়ে চড়া দামে কিনে তাদেরকে মুক্ত করে। ফলে এই মানুষ বিক্রি থেকেও মুসলমানরা প্রচুর টাকা আয় করে।
দেখা যাচ্ছে জিহাদে গেলে মুসলমানদের শুধুই লাভ, আর লাভ; একবার আক্রমন করে পরাজিত করতে পারলেই তাদের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি লাভ, পরে বন্দী নারী শিশুদেরকে বাজারে দাস হিসেবে বিক্রি করেও লাভ। বিনা পুঁজির এই ব্যবসার একমাত্র আবিষ্কারক, নিঃসন্দেহে, হযরত মুহম্মদ। ইহকালীন লাভ ও পরকালের কল্যানের জন্য, এজন্যেই জিহাদ হচ্ছে, মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পূণ্যময় কাজ এবং বেহেশতে যাওয়ারও সবেচেয়ে সহজ উপায়। কারণ জিহাদকারীর মর্যাদা আল্লা ও নবীর কাছে সর্বোচ্চ।
উকল গোত্রের ৮ ইহুদিকে হত্যা :
একবার উকল গোত্রের ৮ ইহুদি মদীনায় এসে ইসলাম গ্রহন করে। কিন্তু মদীনার আবহাওয়া সহ্য না হওয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে মুহম্মদ তাদের উটের দুধ ও প্রস্রাব খাওয়ার পরামর্শ দেয় এবং উটের আস্তাবলে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। কিছুদিন পর তারা সুস্থ হয়ে উঠলে ঐ আস্তাবলের দারোয়ানকে খুন করে কয়েকটি উট নিয়ে পালিয়ে যায়। কয়েকদিনের মধ্যেই মুহম্মদের বাহিনী তাদেরকে ধরে এনে মুহম্মদের সামনে হাজির করে।
চোরের উপর বাটপারি বলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, কিন্তু ডাকাতের উপর ডাকাতিকে প্রকাশ করার জন্য বাংলায় কোনো প্রবাদ না থাকায়, এখানে সেই উদাহরণটি দিতে পারলাম না।
এই ৮ জন, একজনকে খুন করে উট নিয়ে পালিয়ে নিশ্চয় অন্যায় করেছিলো। কিন্তু মুহম্মদ, যিনি নাকি দয়ার নবী, সেই মুহম্মদ তাদের নিজের হাতে কী রকম নৃশংস শাস্তি দিয়েছিলো, সেটা একবার সেই সময়ে গিয়ে কল্পনার চোখে দেখুন। উপলব্ধি করতে পারবেন, নৃশংসতা কাকে বলে ? এই ঘটনাগুলোর বর্ণনা পাওয়া যাবে মুসলিম শরীফের ৪১৩০ ও ৪১৩৩ নং হাদিসে এবং বুখারী শরীফের ৬৩৩৩ থেকে ৬৩৩৬ নং পর্যন্ত হাদিসে।
মুহম্মদ প্রথমে দুটি লোহার রড চেয়ে নিলো এবং সেগুলোকে তাদের সামনেই আগুনে লাল করে গরম করলো এবং তারপর ৮ জনের চোখেই একের পর এক ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের অন্ধ করে দিলো। এরপর একটি ধারালো তলোয়ার দিয়ে তাদের প্রত্যেকের হাত পা কেটে আলাদা করে ফেললো এবং মরুভূমির বালির মধ্যে দুপুরের তপ্ত রোদের মধ্যে ফেলে রাখলো। তারা জল খেতে চাইলেও মুহম্মদ তা কাউকে দিতে নিষেধ করলো , এভাবে পড়ে থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবাই মারা গেলো।
একজন মানুষ কী পরিমান নিষ্ঠুর হলে এরকম শাস্তি কাউকে নিজ হাতে দিতে পারে, সেটা একবার কল্পনা করুন আর প্রথমেই উল্লেখ করা ইহুদি বুড়ির গল্পের সাথে এই ঘটনার তুলনা করে দেখুন, ঐ রকম দয়ালু লোকের পক্ষে এরকম নিষ্ঠুর হওয়া সম্ভব কি না ? বা এরকম নিষ্ঠুর লোকের পক্ষে ঐ রকম দয়ালু হওয়া সম্ভব কি না ? এই সব নিষ্ঠুরতার পক্ষে হাদিসে কিন্তু সব রকম প্রমান আছে, কিন্তু নবীর ওই দয়ালু চরিত্রের পক্ষের কোনো হাদিস কিন্তু নেই। এই ঘটনাকে জায়েজ করার জন্যই মুহম্মদ কোরানের ৫ নং সূরার ৩৩ নং অয়াত ডাউনলোড করে। আয়াতটির ভাষ্য এরকম :
" যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি উৎপাদন করে, নিশ্চয়ই তাদের শাস্তি এই যে, তাদেরকে হত্যা করো কিংবা শুলে বিদ্ধ করো, অথবা তাদের হস্ত ও পদসমূহ বিপরীত দিক হতে কর্তন কর, কিংবা তাদের দেশ হতে বহিষ্কার করো। ইহাই তাদের পার্থিব প্রতিফল এবং পরকালে তাদের জন্য বিষম শাস্তি আছে।"
বস্তুত মুহম্মদের এই নৃশংসতাগুলোকে আড়াল করার জন্যই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো ঐ রকম দয়ালু নবীর গল্পের। মুহম্মদের চরিত্রের প্রশংসা করার জন্য কোনো কাহিনী বানিয়ে মিথ্যা বললেও তাতে কোনো অপরাধ নেই; কিন্তু বর্তমানে এসব সত্য কথা, যেগুলোর রেফারেন্স হাদিস কোরানে আছে, সেগুলো বলাও মারাত্মক অপরাধ। বর্তমানে- অন্ধ, সীলগালা ও বিৃকত মুসলমানদের কাছে হাদিস কোরানের রেফারেন্সেরও কোনো দাম নেই। এখন তাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য হচ্ছে, ইসলাম সম্পর্কে বলা আপনার কোনো কথা, নবীর পক্ষে গেলো, না বিপক্ষে গেলো ? যদি পক্ষে যায়, তাহলে ভালো; আর বিপক্ষে গেলেই আপনার ঘাড়ে চাপাতির কোপ।
এই তরোয়াল আর চাপাতির কোপের ভয়েই মুহম্মদের এই নৃশংসতাগুলো এতদিন চাপা পড়েছিলো, আর মুসলমানরা তা কাউকে কোনো দিন জানতে না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো রচনা করেছে মুহম্মদের চরিত্র আর ধোকা দিয়েছে সারা পৃথিবীর মানুষকে। কিন্তু এখন ইন্টারনেট আর ফেসবুকের কল্যানে সেই ধোকাবাজির দিন শেষ হয়েছে। সত্যকে সামনে আনার সময় হয়েছে, সেই সাথে কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে ইসলামের পতনের। মুসলমানরা ১০% সত্য আর ৯০% মিথ্যা প্রচার করে ইসলামকে টিকিয়ে রেখেছে। এই ৯০% মিথ্যাকে যদি ঠিক মতো প্রচার করা যায়, তাহলে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ইসলামের ধ্বংস অনিবার্য।
ধ্বংস হোক মিথ্যার, জয় হোক সত্যের এবং সকল সনাতনী জানুক ইসলামের এই সব নৃশংস ঘটনা, তারা সচেতন হোক ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে; এই কামনায়-
জয় হিন্দ।
জয় শ্রী রাম। জয় শ্রী কৃষ্ণ।
শুরুতেই কোরান হাদিস থেকে দুটি রেফারেন্স দিয়েছি, দেখে নিন সেগুলো-
কোরান, ৫/৬৪ = “আমি তোমাদের মধ্যে ও ইহুদিদের মধ্যে কেয়ামত পর্যন্ত শত্রুতি সৃষ্টি করে দিয়েছি।”
“রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, "কিয়ামত সংঘটিত হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না মুসলমানেরা ইহুদীদের সাথে লড়াই করবে। তারা (মুসলমানেরা) ইহুদীদেরকে হত্যা করবে। ইহুদীরা পাথর খণ্ড ও গাছের আড়ালে লুকাবে। তখন পাথর ও গাছগুলি বলবেঃ হে মুসলিম! এই যে ইহুদী আমার পিছনে। এসো, ওকে হত্যা করো।" - (সহীহ মুসলিম, হাদীস- ৮২, কিতাবুল ফিতান; মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস- ৫১৪৪)
💜 জয় হোক সনাতনের 💜
প্রণব কুমার কুণ্ডু শেয়ার করেছেন

ইসলাম সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ও রাজা রামমোহন রায়

ইসলাম সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ও রাজা রামমোহন রায়


শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু

প্রণব কুমার কুণ্ডু







পৃথিবীর দুইটি ধর্ম সম্প্রদায় আছে অন্য সমস্ত ধর্মমতের সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধতা অত্যুগ্র-- সে হচ্ছে খৃষ্টান আর মুসলমান ধর্ম। তারা নিজের ধর্ম পালন করে সন্তুষ্ট নয়, অন্য ধর্মকে সংহার করতে উদ্যত। এই জন্য তাদের ধর্ম গ্রহন করা ছাড়া তাদের সঙ্গে মেলবার অন্য কোন উপায় নেই।" --------#রবীন্দ্রনাথ।  (রবীন্দ্র রচনাবলী, জন্মশতবার্ষিক সংস্করণ, ত্রয়োদশ খণ্ড, পৃ-৩৫৬)।
"বস্তুত মুসলমান যদি কখনও বলে হিন্দুর সহিত মিলন করিতে চাই, সে যে ছলনা ছাড়া আরা কিছু হইতে পারে ভাবিয়ে পাওয়া কঠিন।" "হিন্দু মুসলমান মিলন একটি গালভরা শব্দ, যুগে যুগে এমন অনেক গালভরা বাক্যই উদ্ভাবিত হইয়াছে, কিন্তু ঐ গাল ভরানোর অতিরিক্ত সে আর কোন কাজেই আসে নাই।" --------#শরৎচন্দ্র । (শরত রচনাবলী জন্মশতবার্ষিক সংস্করণ, তৃতীয় খণ্ড, পৃ-৪৭৩)।

"ইসলাম ধর্মীরা কোরানের দুইটি আয়াত, 'পৌত্তলিকদের যেখানে পাও হত্যা কর' এবং 'অতএব ধর্মযুদ্ধে তাদের বন্দী কর, হয় বশ্যতার অঙ্গীকার করাও,  নতুবা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দাও, আল্লার দোহাই দিয়ে বলো যে, বহু দেবদেবীতে বিশ্বাসী পৌত্তালিকদের হত্যা বা নির্যাতন করা আল্লার নির্দেশ এবং তা পালন করা অবশ্যিক। সুতরাং ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় উন্মাদনা এবং আল্লার নির্দেশ পালনে অত্যুতসাহিতা,   সেই পৌত্তলিকগণকে হত্যা ও নির্যাতন করতে একালে বা সেকালে কখনই বিরত হয় নাই।" ------ #রাজা_রামমোহন_রায়। (তুহাফাত-উল-মুওয়াদ্দীন, রামমোহন স্মরণ, মার্চ ১৯৮৯, পরিশিষ্ট, প্ৃ-৩১)।

আমাদের সব লেটেস্ট ভিডিও দেখতে পারেন ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করুন- https://www.youtube.com/মুখওমুখোশ আর ফেইসবুকে দেখতে এই ফেইজটিকে ফলো করে রাখুন।। https://web.facebook.com/mukh.mukhos

শেখ আবদুল্লা, আসাদুদ্দিন ওবিসি ও মুহাম্মদ আলি জিন্না


প্রণব কুমার কুণ্ডু


শেখ আবদুল্লা, আসাদুদ্দিন ওবিসি ও মুহাম্মদ আলি জিন্না


শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু


Prosenjeet Sarker
Kanika Mondal
এবং আরও 18
জনের সাথে।



সবার জানার দরকার এই লেখা

#হিন্দু_যখন মুসলিম হয় তখন তারা কতটা বিপদজ্জনক হয়??

একজন ছিলেন রাঘব রাম কৌল #কাশ্মীরি_ব্রাহ্মণ যিনি গরুর মাংস খেয়ে মুসলমান হয়েছিলেন! তাঁর ছেলের নাম শেখ ইব্রাহিম। শেখ ইব্রাহিম ছেলের নাম শেখ আবদুল্লাহ! শেখ আবদুল্লাহর ছেলের নাম ফারুক আবদুল্লাহ .... ফারুক আবদুল্লাহর ছেলে ওমর আবদুল্লাহ।
এটি রাঘব রাম #কৌলের আবদুল্লাহ পরিবার।।
যতক্ষণ তাদের ক্ষমতা ছিল #কাশ্মীরে
ততখন হিন্দুদের উপর অত্যাচার।
সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ করতো।
70বছর ধরে কাশ্মীর কে নরক বানিয়েছে।
হিন্দুদের ঘর বাড়ি লুটপাট করেছে।।

তুলসিরাম নামে এক #চিতপাবন_ব্রাহ্মণ ছিলেন! টিপু সুলতানের হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর গ্রামের নাম ওয়েসকে তাঁর সুরনেম #ওবেসি করেছিলেন! তুলসিরামের ছেলের নাম আবদুল ওয়াহিদ ওবেসি!
আবদুল ওয়াহিদের ছেলের নাম ছিল #সুলতান_ওবেসি!
সুলতান ওবেসি ছেলের নাম রাখা হয়েছিল #সালাহউদ্দিন_ওবেসি!
সালাহউদ্দিন ওবেসি ছেলের নাম #আসাদুদ্দিন_ওবেসি এবং #আকবরউদ্দীন_ওবেসি
এবং যে বিড়ম্বনাটি দেখুন যে গডসে কে ওবেসি ভাইরা ঘৃণা করেন
ওবেসি আর #নাথুরাম_গডসে একই সমাজের, অর্থাৎ #চিতপাবনের ব্রাহ্মণ উভয়েরই।
ওবেসিদের অন্যান্য লোককে ভয় দেখাতে এবং 😁😁প্রতি বছর 15 মিনিটের জন্য সময় চাই ।

একজন ছিলেন #মুহাম্মদ_আলী_জিন্নাহ, যাকে #পাকিস্তানের জনক বলা হত!
তাঁর বাবার নাম #পুঞ্জলাল_ঠাক্কর!
উনি ছিলেন গুজরাটি হিন্দু।
তারা অর্থের জন্য #ধর্ম ত্যাগ করেছিলো! তিনি একই ন্যারেটিভ ছিলেন এবং আজও আছেন! নিজে টাকার জন্য বাটি ধরে রাখে এবং অন্যকে ধরে রাখতে বলে।

#ভারত, #পাকিস্তান#বাংলাদেশের প্রায় সকল মুসলমানের পূর্বপুরুষেরা আসলে হিন্দু ছিলেন যারা মোগল #শাসকদের ভয় ও লোভের কবলে মুসলমান হয়েছিলেন, আজ তাদের সন্তানরা অজান্তে ইসলামের নামে #সন্ত্রাস করছে বা হত্যা করছে।
আমি আশা করি তারা তাদের #পূর্বপুরুষদের ভুল সংশোধন করবে, সনাতনে ফিরে তাদের আত্মায় শান্তি আনতে কাজ করবে।।

সত্য যা আছে তা ছিল এবং থাকবে…
Prosenjeet Sarker

প্রণব কুমার কুণ্ডু



অণু-পরমাণু বিজ্ঞানের জনক ‘ঋষি কণাদ’

অণু-পরমাণু বিজ্ঞানের জনক ‘ঋষি কণাদ’


Update Time : বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২০ ৭৫৯৮ Time View

অণু-পরমাণু বিজ্ঞানের জনক 'ঋষি কণাদ'

দি নিউজ ডেস্কঃ

.শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু


আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর আগে জন্ম নিয়েছিলেন এক ঋষি। তাঁর নাম কণাদ। ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায় অনু-পরমাণু বিজ্ঞানের জনক মুলত তিনিই। আমরা যে কণা নামে চিনি পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশকে তা তাঁর নাম থেকেই চিনি, তিনি হলেন বৈশেষিক দর্শনের জনক ঋষি কণাদ। প্রাচীন গ্রীসে যখন দর্শনের ফুলঝুরি ঝড়াচ্ছিলেন এরিস্টটল সেই সময়ে প্রাচ্যে তার স্নিগ্ধ বাতাস বইয়ে দিচ্ছিলেন জগতবিখ্যাত এই ঋষি। সর্বপ্রথম আলাদাভাবে অভিকর্ষ শক্তি(গুরুত্ব,Gravity) এর কথা বলার জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। পদার্থের গঠন নিয়ে তাঁর আবিষ্কার ও অবদানের কথা সবাই জানেন।

কণাদ-
“সংযোগাভাবে গুরুত্বাত্ পতনম্”
বাইরের কোন শক্তির প্রভাব ব্যাতিত একটি বস্তুর পতন হতেই থাকবে।
(বৈশেষিক সূত্র,অধ্যায় ৫,আহ্নিক ১,শ্লোক ৭)

নিউটনের প্রথম সূত্র: বাইরে থেকে কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে চলতেই থাকে।

কণাদ-
“নোদনবিশেষাভাবাত্নো উর্ধ্বং ন ত্রিয়েজ্ঞমনম্”
(শ্লোক ৮)
বাইরে থেকে বিশেষ শক্তি(নোদন বিশেষ) না থাকলে বস্তু উপরে,নিচে বা কোন পাশে(তিনদিকের কোন দিকেই) যেতে পারেনা।

নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র: কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং
“বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে।” অর্থাৎ বলের প্রভাবেই বস্তু নির্দিষ্ট দিকে গতিশীল হয়।

কণাদ-
“প্রযত্ন বিশেষত্নোদন বিশেষঃ”
(শ্লোক ৯)
বিশেষ বলে কাজ হলে(প্রযত্ন বিশেষ) তার বিপরীত কাজও(নোদন বিশেষ) ঘটিত হইবে।

নিউটনের তৃতীয় সূত্র: প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে৷

আর্যভারত শুরু করেছিল হাজার হাজার বছর আগে,আজ জ্ঞানের সে মশাল এগিয়ে নিয়ে চলেছে ইউরোপ ও আমেরিকার সৈনিকরা। আর আর্য ভারত আজ শ্রীরাম ও শ্রীকৃষ্ণের মত তার বীর সন্তানদের নামে আজগুবি বানানো গল্প ফেঁদে ভক্তির ব্যবসা করে খাচ্ছে,বিজ্ঞান আজ চলে গেছে পেছনে। প্রাচীন গৌরব স্মরণ করে সামনে এগিয়ে চলুন বেদ এর পথ ধরে।

তথ্য- অগ্নিবীর







BHAGAVAT GITA RECOLLECTING "THE FATHER OF ATOM BOMB"...JAGADEEPKUMAR.


BHAGAVAT GITA RECOLLECTING "THE FATHER OF ATOM BOMB"...JAGADEEPKUMAR.


হিন্দুশাস্ত্র

হিন্দুশাস্ত্র




শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু


Rahul Barmon এতে 🚩卐 Hindu Network - হিন্দু নেটওয়ার্ক 卐 🚩

#যেসব শিক্ষিত হিন্দুরা মনে করেন ধর্ম ও বিজ্ঞান আলাদা সেইসব মহাশিক্ষিত হিন্দুরা জানুন আংশিক
#ভাগবত গীতা পড়েই পরমাণু বোমার আবিস্কার করেন পরমাণু বোমার জনক রবার্ট ওপেনহেইমার।

১/ পরমাণু বোমার জনক রবার্ট ওপেনহেইমার বলেছেন আমি হিন্দুদের ভাগবত গীতার স্ক্রিপ্ট পড়েই পরমাণু বোমার আবিস্কার করি - ওপেনহেইমারের সেই বক্তব্যের লাইভ ভিডিও লিংক - https://youtu.be/EnlOCFcJa4I
২/ রবার্ট ওপেনহেইমার ভাগবত গীতার কোন বিষয় পড়ে এবং কি কি সুত্র মিলিয়ে পরমাণু বোমার আবিস্কার করেছেন তিনি। তার লাইভ ভিডিও লিংক - https://youtu.be/Ut2fS5LYoiY
৩/ রবার্ট ওপেনহেইমারের পরমাণু বোমার আবিস্কার সম্পর্কে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের
মতামতের ভিডিও লিংক - https://youtu.be/486MZC8596g
# সনাতন ধর্মের পবিত্র বেদে বিজ্ঞানের ব্যাপারে আলোচনা -
১/ পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে ।
যজুর্বেদ - ৩/৬ । -
২/ চাঁদ সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়ে পৃথিবীতে আলো দেয় ।
ঋগ্বেদ - ১ | ৮৪ | ১৫ । -
৩/ সূর্য ঘুরছে তার নিজ কক্ষপথে সাথে নিয়ে সকল গ্রহকে আকর্ষণ শক্তির বলে ।
যজুর্বেদ - ৩৩.৪৩ । -
৪/ মহৎ সূর্য দিন এবং রাত্রির নির্মাণ করে। এটি পৃথিবীর অর্ধেক অংশকে আলোকিত করে এবং বাকি অর্ধেক অংশকে অন্ধকারে ঢেকে দেয় ।
অথর্ববেদ - ১৩ / ২/ ৪৩ । -
৫/ এই প্রত্যক্ষ পৃথিবী অন্তরীক্ষে সূর্যের চারিদিকে আবর্তন করে ।
যজুর্বেদ - ৩/৬ । -
পবিত্র বেদ পড়েই ভারতের বিখ্যাত সাইন্টিষ্ট,দাশর্নিক ও আবিস্কারক হয়েছেন যারা-
১- মহর্ষি আর্যভট - আজ থেকে প্রাচীন ভারতের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি।
# মহর্ষি আর্যভটের আবিস্কার- শুন্যের (০) আবিস্কারক, দশমিক পদ্ধতির আবিষ্কারক, নির্ভুল ভাবে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ মাপা, পাই এর নির্মাণ, বীজগণিত, পাটিগণিত, সমতল ত্রিকোণমিতির আবিস্কারক।
জ্যোতির্বিদ্যা- নির্ভুলভাবে পৃথিবীর আক্ষিক গতির হিসাব করেছিলেন। তার হিসেবে পৃথিবীর পরিধি ছিলো ৩৯.৯৬৮ কিলোমিটার যেটা সে সময়ের মতে বের করা যেকোনো পরিমাপের চেয়ে শুদ্ধ। ভুল মাত্র ০.২%। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ এর সঠিক কারণ আবিস্কার করেন মহর্ষি আর্যভট । ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম আর্যভটের নামে রাখা হয়।

# চরক ঋষি - মেডিসিনের জনক। ২০০ বা ৩০০ খ্রিষ্টপর্বে জন্ম। চরক মুনি তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শাস্ত্রের অধ্যাপক ছিলেন। পবিত্র অথর্ববেদের চিকিৎসা বিদ্যায় বর্ণিত আয়ুর্বেদ সম্পর্কিত বিষয়গুলো থেকে চিকিৎসা কৌশল গুলোকে একত্রিত করে চরক সংহিতা নামক আয়ুর্বেদের আকর গ্রন্থ রচয়িতা করেন৷ চরক সংহিতা নামক গ্রন্থে বিভিন্ন রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও তার চিকিৎসা সম্পর্কিত ১২০ টি অধ্যায় ৮ ভাগে বিভক্ত রয়েছে। এতে ১১২০ টি অসুস্থতার কারণ ও ৭০০ টি ঔষধের বর্ণনা এবং খনিজ পদার্থজাত ৬৪ টি ও প্রাণীর উৎসজাত ৫৭ টি ঔষধের বর্ণনা রয়েছে।
# মহর্ষি সুশ্রুত -  সুশ্রুত কে শল্য-বিদ্যা বা অস্ত্রোপচার জনক (The father of surgery) বলা হয়। মহর্ষি সুশ্রুত কে প্লাস্টিক সার্জারির জনকও বলা হয়।
শিক্ষিত হিন্দুরা মনে করে ধর্ম এবং বিজ্ঞান আলাদা। শিক্ষিত হিন্দুরা মনে ইউরোপ আমেরিকার বিজ্ঞানকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে দেখে। কিন্তু সেই সব শিক্ষিত হিন্দুরা জানেই না পৃথিবীর যত সব আবিস্কার তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো ভারতের মহর্ষি রা হাজার হাজার বছর আগে আবিস্কার করে গেছেন।