শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০

শক্তিবাদ

শক্তিবাদ


বাংলার বিশেষ সম্পৎ শক্তির উপাসনা। গৌড়ীয়া-বিদ্যা তন্ত্রের আর এক নাম। বর্ত্তমানে তন্ত্রবিষয়ে গবেষণা বা আলোচনা নাই বলিলেই হয়। আত্মভোলা বাঙালী জাতি নিজ সম্পদ্‌ সম্বন্ধে যদিও একেবারে উদাসীন, তাহা সত্ত্বেও তন্ত্রের সাধনার ধারা একেবারে মৃত নহে। আমাদের স্মরণকালের মধ্যেই রামপ্রসাদ, বামাক্ষেপা ও ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তন্ত্রধারায় সিদ্ধিলাভ করিয়া এই সাধনাকে উজ্জ্বল করিয়াছেন। শক্তিবাদ তন্ত্রবিজ্ঞানের বিরাট দান। দার্শনিক দ্বৈতবাদ বা অদ্বৈতবাদের মত শক্তিবাদ একটা মতবাদ নহে। কারণ, ইহা বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। দার্শনিক মতবাদের ভিত্তি তর্ক, বিচার ও শাস্ত্রীয় প্রমাণ। বৈজ্ঞানিক মতবাদের ভিত্তি পরীক্ষিত সত্য। ব্যক্তিগত অনুভূতি ও সর্ব্বজনীন অনুভূতি। কোন বিশেষ ব্যক্তির নিজস্ব অনুভূতির সত্যতা প্রতিষ্ঠিত করিতে বিচার, তর্ক ও যুক্তির প্রয়োজন হয়। যাহা সর্ব্বজনীন তাহা ব্যক্তিনিরপেক্ষ, অন্য প্রমাণের অপেক্ষা স্বতঃপ্রমাণ বলিয়া উহা অখণ্ডনীয়। শক্তিবাদ অনুরূপ একটি অখণ্ডনীয় সিদ্ধান্ত।
শক্তিবাদের প্রথম সিদ্ধান্ত শক্তি আছে। ইহা সকলের অনুভববেদ্য। ব্রহ্ম, আত্মা বা ঈশ্বর আছেন ইহা সাধারণের অনুভবের অতীত, যুক্তিতর্কের দ্বারা স্থাপন করিতে হয়—তীক্ষ্ণতর যুক্তির দ্বারা আবার উহা খণ্ডিতও হইতে পারে। শক্তিবাদ সেরূপ নহে, ইহা অখণ্ডনীয়। শক্তি নাই বলিবার সামর্থ্য কাহারও নাই। শক্তি অস্বীকার করিতেও শক্তির প্রয়োজন। শক্তিবাদ খণ্ডন করিতে বুদ্ধিশক্তি, বিচারশক্তি, বাক্‌শক্তির দ্বারস্থ হইতে হইবে। ভগবান্‌ আছেন আপত্তি হইতে পারে, শক্তি আছে ইহাতে আপত্তি করা যায় না। সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, শক্তিবাদ খণ্ডন করিতে গিয়া যে-বস্তুর আশ্রয় লইতে হইতেছে তাহাও শক্তি। অতএব উহার অস্তিত্ব অনস্বীকার্য্য।
শক্তি আছে, ইহা শক্তিবাদের চরম কথা নহে। শক্তিবাদের অন্তরের কথা, একমাত্র শক্তিই আছে, নিখিল বিশ্বে শক্তি ছাড়া আর কিছুই নাই। জগতের প্রত্যেক বস্তুই শক্তির সমবায় (Conglomeration of energy) বস্তুমাত্রই শক্তি ভিন্ন আর কিছু নহে। এক একটি বস্তু, শক্তির এক এক ধরণের প্রকাশ। ‘যা দেবী সর্ব্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা’—দেবী মহাশক্তি সর্ব্বভূতে শক্তিরূপেই বিরাজিতা— ইহাই তন্ত্রের মহতী ঘোষণা। পাশ্চাত্ত্য বিজ্ঞানের সহিত তন্ত্রের এই সিদ্ধান্তের সাদৃশ্য বিস্ময়কর বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। নিউটন সাহেবের সময় হইতে তিনশত বর্ষের জয়যাত্রার মধ্য দিয়া আজ বৈজ্ঞানিকেরা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছেন, উহা একান্তভাবে তন্ত্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। পারমাণবিক আবিষ্ক্রিয়ার ফলে একটি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরমাণুর মধ্যে যে প্রচণ্ড শক্তির খেলা প্রত্যক্ষ করা যায় তাহাতে বস্তু (matter) সম্বন্ধে আমাদের ধারণার আমূল পরিবর্ত্তন সাধিত হইয়াছে। বস্তুমাত্রই যে শক্তির সমবায় উহাতে এখন আর কাহারও সংশয় নাই।
শক্তিবাদের তৃতীয় কথা, সর্ব্বভূতে অর্থাৎ এই নিখিল বিশ্বচরাচরে একটিমাত্র শক্তিই আছে। বহু যে দেখি—তাপ (heat), আলো (light), বৈদ্যুতিক শক্তি (electricity)—উহা দৃষ্টির ভ্রমবশতঃই। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি লইয়া দেখিলে সবই একই শক্তির অভিব্যক্তি বলিয়া জ্ঞান হয়। কিছুদিন পূর্ব্বেও পরমাণু (atom) জগতের মূল কারণ— বিজ্ঞানের এইরূপ সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আজ এই মতের পরিবর্ত্তন হইয়াছে। সকল বস্তুই যে এক শক্তির পরিণতি, ইহা এখন সর্ব্ববাদিসম্মত বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত। আলো, তাপ, বিদ্যুৎ প্রভৃতির মূলে যে একটি মাত্র শক্তি বিদ্যমান, ইহা আজ বিশেষভাবে প্রমাণিত হইয়াছে। বহুকালের গবেষণার পর পাশ্চাত্ত্য-বিজ্ঞান আজ যে সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছে—বিশ্বের মূলে একই শক্তি কাজ করিতেছে, ইহা ভারতীয় তন্ত্রশাস্ত্রী বহু পূর্ব্বেই দ্বিধাহীনকণ্ঠে ঘোষণা করিয়াছে।

মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর ‘চণ্ডী চিন্তা’ থেকে।
( বর্তমান )।
 
 
শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু
 









প্রণব কুমার কুণ্ডু

Music can kill & heal - Dr.B.M.Hegde latest speech | environment | epige...


Music can kill & heal - Dr.B.M.Hegde latest speech | environment | epige...

Music can kill & heal - Dr.B.M.Hegde latest speech | environment | epige...


Music can kill & heal - Dr.B.M.Hegde latest speech | environment | epige...

পদবি ( দুই )

পদবি ( দুই )

Elomelo Alochona - এলোমেলো আলোচনা

১. মিত্র হলো মূল নামের শেষ অংশে ব্যবহৃত শব্দ যা পরবর্তীতে পদবীতে রূপান্তরিত । মিত্র শব্দে বন্ধু বোঝায়। আবার মিত্র হলেন আর্যদের উপাস্য সূর্যদেবতা ।প্রাচীন ইরানীদের কাছে তিনি মিথ্র বা মিহির বা মেহের।
২. সেন হলো বীরত্বব‍্যঞ্জক উপাধি। সাধারণত সেন একটি অন্ত‍্যনাম। কারন সেনা শব্দটি সমাসে সেন হিসাবে উওরপদে উচ্চারিত হয়। ফারসি সর শব্দের অর্থ প্রধান। সর -ই- নৌবত বা নৌসেনাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন সরনোবত বা সেরনিয়াবত। মহারাষ্ট্রে সরনোবত ছিলেন সর্বসেনাধ্যক্ষ বা প্রধান সামরিক সচিব।
৩. পাঠক উপাধিধারী বাঙালি দুর্লভ নয় । সংস্কৃত পাঠক শব্দের অর্থ হলো পাঠকারী, আবৃত্তিকারী, ছাত্র, পড়ুয়া, পুরাণ পাঠকারী, কথক, উপাধ‍্যায়, শিক্ষক বা অধ‍্যাপক। তবে পুরাণ বা ধর্মগ্ৰন্থ পাঠকারী ও কথকদের সাধারণ পরিচয় ছিল পাঠক হিসেবে।
৪. প্রাচীনকালে রাজদরবারে রাজা এবং গন্যমান্য সভাসদগনের উপস্থিতিতে বেদ ও শাস্ত্রধর্মের ব‍্যাখ‍্যা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিতেন জ্ঞানী ব্রাহ্মণেরা। শাস্ত্র ব‍্যাখ‍্যাকালে আয়োজিত সভা বা চক্রে উপস্থিত হয়ে ঐ ব্রাহ্মণ এই মহৎ কাজটি করতেন বলে তাকে চক্রবর্তী বলা হতো । চক্রবর্তী উপাধি বাঙালি ব্রাহ্মণদের মধ্যেই লক্ষ করা যায়।
৫. সরকার শব্দটি ফার্সি থেকে আগত। এর অর্থ প্রভু ,মালিক, ভূস্বামী ,শাসনকর্তা ,রাজা । অর্থ আদায় ও ব্যয় সংক্রান্ত কর্মচারীও সরকার ।মোগল আমলে এদেশের স্থানীয় রাজকর্মচারীদের এ পদবী দেওয়া হত। প্রধান কর্মচারী এবং সম্পত্তি দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিকে সরকার বলা হতো।
তথসূত্র - পদবীর উৎসসন্ধান - সমর পাল।
 
শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু

প্রণব কুমার কুণ্ডু

পাপাত্মা গান্ধীর আসল রুপ জানুন, নপুংশক গান্ধী বচন।

 পাপাত্মা গান্ধীর আসল রুপ জানুন, নপুংশক গান্ধী বচন।

 

পাপাত্মা গান্ধীর আসল রুপ জানুন, নপুংশক গান্ধী বচন।
 
গান্ধী বলেছেন, কোন মুসলমান আমার ঘরে ঢুকে যদি আমার বোনকে ধর্ষণ করে, তাহলে আমি সেই মোসলমানের পায়ে চুমু খাবো। 
 
#ভারত ভাগের প্রাক্কালে এই হিজড়া পাঞ্জাবের মেয়েদের উদ্দেশ্য বলেছিল, কোন মোসলমান যদি তাদের ধর্ষণ করতে চায়, তবে তাদের উচিৎ হবে সেই ধর্ষণকারিদের সঙ্গে সহযোগিতা করা, তাদের নিরাশ করা নয়। তখন তাদের কাজ হবে দু পাটি দাতের মধ্যে জিভ কামড়ে মরার মত শুয়ে থাকা।
 
#লেখাটি বিপথগামী হিন্দু ধর্ম ও হিন্দুর ভবিষৎ, ড: রাধেশ্যাম ব্রহ্মচারি, পৃষ্ঠা -১৬ হতে সংগৃহীত।।
 
এখন বুঝতে পারছেন কেন নাথুরাম গডসে, গান্ধীকে মেরেছিলো? এই নপুংশকের জন্যই ভারত ভাগের সময় বর্তমান পশ্চিম পাকিস্তানে ২০ লক্ষ হিন্দু ও শিখ মুসলিমদের হাতে খুন হয় এবং ৭৫ হাজার হিন্দু ও শিখ মেয়ে ধর্ষিতা হয়ে গর্ভবতী হয়। অনেক মেয়েকে লাহোরের রাস্তায় উলঙ্গ করে ঘোরানো হয়। অন্ত:সত্ত্বা মেয়েদের ভারতে উদ্ধার করে আনা হয় ও ২৫ হাজার মেয়ের গর্ভ নষ্ট করা হয় এবং বাকি ৫০হাজার মেয়ে সন্তানের জন্ম দিলে সরকারের নির্দেশে নবজাতকের হত্যা করা হয়। এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পেরেছিলো এই নপুংশক গান্ধী এবং তার অপদার্থ শিষ্য নির্বোধ লম্পট ও পরকীয়ায় পন্ডিত জওহরবাল নেহেরুর জন্য।
 
অনেকবার বিষয়টি ভাবি আসলে এরা কারা ছিলো??
...........স্বয়ং বিচার করবেন.......
 
Collected


শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু 



'সরকারের নির্দেশে নবজাতকের হত্যা করা হয়।' এ কথা কি সত্যি ?