সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৯

লঙ্কার রাবণরাজার যমদেব দর্শন


লঙ্কার রাবণরাজার যমদেব দর্শন

* সূত্র : বাল্মীকি রামায়ণ। পৃষ্ঠা ৮৯৩, হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য অনুদিত।

রাবণ রাজা সাক্ষাৎ 'মৃত্যু'র মুখোমুখি হয়ে, প্রেতরাজ যমকে দেখেছিলেন।

যমের হাতে পাশ।
চোখ লাল।
জিব বিদ্যুতের মতো লকলকে, তীক্ষ্ণ ও তেজি। দেখতে অতিমাত্রায় ভয়ানক।
চুলগুলো খাড়া খাড়া।
সাপ ও বিছে গায়ের লোম।
দাঁতগুলো অস্বাভাবিক এবং ভয়ানক।
সারা গা জ্বালা ধরায়।
যমের দিকে দৃষ্টিপাত করা যায় না।
 তবে যম যুদ্ধে পিছপা হন না।
যম পাপের দণ্ডদাতা।

রাবণরাজা সেই যমকে নাকি যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন !








প্রণব কুমার কুণ্ডু

প্রণব কুমার কুণ্ডু বৃদ্ধ বয়সে


প্রণব কুমার কুণ্ডু বৃদ্ধ বয়সে
তবে থাকেন আয়াসে এবং আয়েসে !



প্রণব কুমার কুণ্ডু

সুকুমার রায়


সুকুমার রায়




সুকুমার রায়।

কালাজ্বর ( Visceral Leishmaniasis ) নামক মারাত্মক আসুখে মারা গিয়ে ছিলেন।

কালাজ্বর, যা লিশম্যানিয়াসিস রোগের কয়েকটি প্রকারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর।
লিশম্যানিয়া ( Protozooan Parasites of the Genus Leishmania donovani ) গণভুক্ত একপ্রকার পরজীবী প্রোটোজোয়া ( Protozoa ) কালাজ্বর রোগটি ঘটায় এবং বেলেমাছির ( Sandfly ) কামড়ের দ্বারা রোগটি ছড়ায়।
পরজীবীগুলো মানুষের যকৃত-এ, প্লীহা-য়, অস্থিমজ্জা-য় সংক্রমণ ঘটায়।

কালাজ্বরের লক্ষণ :-
কালাজ্বরের লক্ষণ হোল জ্বর, তা ছাড়া, ছাড়া ছাড়া জ্বর, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমা, শরীরে সৃষ্টি হওয়া ক্ষত-ঘা, দৈহিক অবসাদ, রক্তাপ্লতা, গায়ের চামড়া কালচে হওয়া এবং যকৃত ও প্লীহার আকার-আয়তন বৃদ্ধি প্রভৃতি।

প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসক, ড: উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী, যিনি তৎকালীন বৃটিশ সরকারের কাছ থেকে, রায়বাহাদুর এবং স্যার উপাধি পেয়েছিলেন, কালাজ্বরের চিকিৎসার ওষুধ, ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কার করেন।

মৃত‍‍্যুর নয় দিন পরে,  সুকুমার রায়ের প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছিল।

কালাজ্বরে সুকুমার রায় ভুগেছিলেন, তাঁর ৩৪ বৎসর বয়স থেকে, ৩৬ বৎসর বয়স পর্যন্ত।

ইউ রায় এন্ড সন্স থেকে ১৯২৩ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর তাঁর প্রথম বই, নমসেন্স ছড়ার সংকলন, 'আবোল তাবোল' প্রকাশিত হয়।

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন, সুকুমার রায়ের বাবা।



প্রণব কুমার কুণ্ডু