শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

মোহাম্মদ


মোহাম্মদ



Ramprasad Goswami        Krishna Kumar Das এর পোস্ট শেয়ার  করেছেন৷

শেয়ার করেছেন                  প্রণব কুমার কুণ্ডু। 
Krishna Kumar Das
মুসলমানদের মতে- পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, মুহম্মদের এমন যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু কেন ?
মুসলমানরা ইসলামের যে কয়টি বিষয় খুব যত্ন করে গোপন রেখেছে,  তার মধ্যে একটি হল,  মুহম্মদের মৃত্যুর ঘটনা। এ বিষয়ে তাঁরা যেটুকু জানেন বা তাঁদের যেটুকু জানানো হয়,  এবং এর ভিত্তিতে তারা যা বলেন, তা হলো---  খয়বরের যুদ্ধের পর,  নবী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাতেই তার মৃত্যু হয়। যদিও মুহম্মদের মৃত্যুকে যতটা মহিমান্বিত করে তোলা যায়, মুসলমানরা তা করে তোলেন এবং তার মৃত্যুর দিনকে সম্মান জানিয়ে বলেন,  ‘ওফাত দিবস’।
এছা্ড়াও মুহম্মদের মৃত্যু সম্পর্কে মুসলমানরা বলেন, আল্লা নবীকে বলেছেন, আল্লার সান্নিধ্য অথবা দুনিয়াকে বেছে নিতে। মুহম্মদ আল্লার সান্নিধ্যকে বেছে নিয়েছেন। আরও বলা হয়, মৃত্যুর দিন জিব্রাইল এসে নবীকে জানান,  যে মৃত্যুর ফেরেশতা আযরাইল তার ঘরের দরজায় এসে দাঁড়িয়ে আছে এবং ঘরে ঢোকার জন্য আপনার অনুমতি প্রার্থনা করছে। নবী অনুমতি দিলে আযরাইল ঘরে ঢুকে নবীকে বলে, “আপনি অনুমতি দিলে আপনার আত্মাকে নিয়ে যাবো,  আর যদি বলেন,  তো রেখে যাবো।” এমন সময় পাশে থাকা জিব্রাইল বলে উঠে, “হে মুহম্মদ, আল্লা আপনার সঙ্গ লাভ করার জন্য খুবই ব্যাকুল হয়ে আছেন।” এই কথা শুনে নবী আযরাইলকে বলেন, “আপনার উপর যে আদেশ আছে তা পালন করুন।” এরপর জিব্রাইল ও আযরাইল, দু'জনেই,  নবীকে সালাম দিয়ে বিদায় নেন এবং নবী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এসবই গালগল্প, কারণ,  ফেরেশতা ও নবীর মধ্যে হওয়া এইসব কথাবার্তা, কেউই শোনেন নি।
মুহম্মদের মৃত্যু দিন সম্পর্কেও অধিকাংশ মুসলমান সঠিক তথ্য জানেন না। তারা মনে করে ১২ রবিউল আওয়াল হলো নবীর মৃত্যুর দিন এবং এই দিনই তার জন্ম দিন এবং একই দিনে জন্ম ও মৃত্যুকেও তারা মুহম্মদের জীবনের একটা ঐশ্বরিক ঘটনা হিসেবে তুলে ধরেছেন, যেন এটা খুবই অসাধারণ একটা ঘটনা, যা একমাত্র আল্লার প্রিয় বান্দা মুহম্মদের ক্ষেত্রেই ঘটেছে।
কিন্তু এরকম ঘটনা খুঁজলে সারা পৃথিবীতে অন্তত কয়েক হাজার পা্ওয়া যাবে, যা তাদের প্রকৃত জন্ম ও মৃ্ত্যু দিন, মুহম্মদের জন্ম দিনের সাথে মিলিয়ে বানানো মৃত্যু দিন নয়।
এখানে আরও একটা ব্যাপার বোঝবার মতো যে, মুহম্মদের জন্ম ও মৃত্যু দিন যদি একই দিনও হয়, অর্থাত ১২ রবিউল আওয়াল হলেও তা কিন্তু সৌরজগতের হিসেব মতে এক নয়। কারণ, হিজরি সালের হিসেব হয় চন্দ্র মতে, আর চন্দ্রের বছর ৩৬৫ দিনে নয়, ৩৫৪ দিনে। তার মানে হল,  পৃথিবী সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে যে বছর পূর্ণ করে, হিজরি সালে,  তার বছর পূর্ণ করে,  ১১ দিন আগেই। একারণে হিজরি সালের মাস অনুযায়ী হিসেব করলে ঋতুর কোনো ঠিক ঠিকানা থাকে না, এই হিজরি সালের চক্করে পড়েই মুসলমানদের দুই ঈদ সহ যে কোনো ইসলামিক অনুষ্ঠান,  সারা বছর ঘুরতে থাকে; এতে দেখা যায়, রমযান মাস একবার পড়ল শীত কালে, তো কয়েক বছর পরে,  সেটা গিয়ে আবার পড়লো গ্রীষ্ম কালে। মূলত চন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী বছর গোনা মানে চরম মূর্খতার পরিচয় দেওয়া, ইসলামিক প্রোগ্রামগুলো পালন করতে গিয়ে মুসলমানরা এই মূর্খের মতো কাজ করে যাচ্ছেন,  গত ১৪০০ বছর ধরে। অথচ এই তারিখটাকে ইংরেজি বা যে কোনো সৌর বর্ষের সাথে কনভার্ট করে নিলে,  কিন্তু এই ঝামেলা আর হত না। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়েই প্রতি বছর একই ধরণের ইসলামিক প্রোগ্রামগুলো তাঁরা পালন করতে পারতেন।
যা হোক, মুহম্মদের জন্মদিন ১২ রবিউল আওয়াল এবং এটা ইংরেজির ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট, রোজ,  শুক্রবার। মুসলমানরা যে শুক্রবারকে বিশেষ শ্রদ্ধা করে তার এটাও একটা কারণ । আর মুহম্মদের মৃত্যুদিন হলো ১৩ রবিউল আওয়াল, যা ইংরেজি ৮ জুন, ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ, বেলা ২ থেকে ৩ টার মধ্যে।
আজকের মূল বিষয় মুহম্মদের মৃত্যু, এবার সেই বিষয়ে নজর দেওয়া যাক।
মৃত্যুর পূর্বে মুহম্মদ ১৬ দিন ধরে,  অসুস্থ ছিলেন এবং ১৭ তম দিনে তিনি মারা যান। অসুস্থতার প্রথম ৭/৮ দিন মুহম্মদ অসুস্থ শরীরেই সব কাজ দেখাশোনা করেন, কিন্তু তার পরেই সে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এরপর মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব দেন,  আবু বকরের উপর এবং এই দায়িত্বের বলেই,  মুহম্মদের মৃত্যুর পর আবু বকর,  খলিফা নির্বাচিত হন। রোগের প্রকোপ বেড়ে চললে মুহম্মদ সব স্ত্রীর থেকে ছুটি নিয়ে আয়েশার ঘরে থাকা শুরু করেন; কারণ, মুহম্মদ বুঝতে পারছিলেন,  যে তার দিন শেষ। তাছাড়াও আয়েশা ছিলেন মুহম্মদের প্রিয় স্ত্রী, মুহম্মদ নাকি সব স্ত্রীকে সমান চোখে দেখতেন, তাহলে বিশেষ একজন আবার,  'প্রিয়' হন কেমন করে ?
দিনের পর দিন রোগের প্রকোপ বেড়ে চললে,  মুহম্মদের এক স্ত্রী উম্মে সালমা বলেন, নবীকে একটু ওষুধ খাইয়ে দেখলে হয়। এর পূর্বে, মুহম্মদের আরেক স্ত্রী মাইমুনার সৎবোন,  আবিসিনিয়া থাকার কালে, সেখানকার ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে এক ধরণের ওষুধ তৈরি করা শিখেছিলেন, যা এই ধরণের অসুখে ব্যবহার করা হত। সেই সৎবোন, আসমা,  সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সে ঐ ওষুধ বানিয়ে,  মুহম্মদকে খাইয়ে দেয়। এই সময় পুরোনো কথা মনে হওয়ায়,  আসমা, উপস্থিত মহিলাদের সাথে আবিসিনিয়ার খ্রিষ্টান এবং সেখানকার গীর্জার গল্প শুরু করে দেয়। মুহম্মদের কানে এসব যাওয়া মাত্র সে বকা দিয়ে বলে,
“এরা সেই সব লোক যারা তাদের কোনো সাধু মারা গেলে তার কবরের সমাধি তৈরি করে পূজা করে।” এরপর ইহুদি ও খ্রিষ্টানদেরকে অভিশাপ দিয়ে মুহম্মদ বলেন, “আল্লা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদেরকে ধ্বংস করুন। যারা মানুষের সমাধিকে পূজা করে,  তাদের উপর আ্ল্লার ক্রোধ বর্ষিত হোক। হে আ্ল্লা, আমার কবরকে কেউ যেন পূজা না করে। ইসলাম ব্যতীত আর কোনো ধর্ম যেন আরবে না থাকে।” (মুসলিম শরীফ, ৪৩৬৬)
খেয়াল করবেন, মুহম্মদ--- ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের উদ্দেশ্য এই অভিশাপ দিচ্ছেন এবং আরব থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করার কথা বলছেন, কিন্তু তাঁর মৃত্যুশয্যায়। একটা লোক কী পরিমাণ সাম্প্রদায়িক হলে, এবং তার মধ্যে কী পরিমান ঘৃণা থাকলে,  মৃত্যু শয্যায় কেউ এমন কথা বলতে পারে! মদীনা সনদের প্রসঙ্গ টেনে মুসলমানরা আবার এই মুহম্মদকেই বলে অসাম্প্রদায়িক !
যা হোক, মুহম্মদ কবর পূজাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত করলেও সব মুসলিম দেশে এটা চলছে এখন দেদার। পীর-ফকির-দরবেশের মাজার আর কিছুই নয়, তাদের সমাধির উপর নির্মিত আস্তানা। মুসলমানরা সেই সব জায়গায় যায় এবং নিজেদের জন্য কল্যাণ কামনা করে; এমনকি কেউ মদীনা গেলেও মুহম্মদের কবর,  যাকে মুসলমানরা বলে ‘রওজা মুবারক’, তা জিয়ারত করে আসে, এগুলো আর কিছুই নয়, স্রেফ কবর পূজা, যা মুহম্মদ নিষিদ্ধ করে গেছেন। কিন্তু মুহম্মদের সকল চিন্তা ই ছিলো অবাস্তব, তাই তার এই থিয়োরিও মাঠে মারা গেছে; কারণ, মৃতের উদ্দেশ্য প্রার্থনা বা তার মাধ্যমে নিজেদের কল্যাণ কামনার জন্য,  মৃতের কবর একটি মাধ্যম,  এবং এরজন্য কবরের কাছে গিয়ে কবর পূজা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
যা হোক, মৃত্যুর দিন সকালে মুহম্মদ আর হাঁটতেই পারছিলেন না। তার চাচাতো দুই ভাই,  ফজল আর আলীর কাঁধে ভর করে মুহম্মদ কোনো রকমে,  ঘর থেকে বের হন। এই সিচুয়েশন এবং অন্য স্ত্রীদের সাথে রাত না কাটানোর জন্য ছুটি নেওয়ার বর্ণনা আছে, বুখারীর ১১ / ৬৩৪ নং হাদিসে, দেখে নিন নিচে-
আয়শা বর্ণিত--- "যখন নবী কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হলেন, তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠল,  তখন তিনি অন্য স্ত্রীদের কাছ থেকে আমার কাছে থাকার অনুমতি প্রার্থনা করলেন,  যাতে আমি তাকে সেবা করতে পারি ও সবাই তাকে অনুমতি দিল। তিনি দুইজন লোকের সাহায্যে ঘর থেকে বের হলেন,  তখন তার পা দুটো মাটিতে ছেঁচড়াচ্ছিল। তিনি আল আব্বাস ও অন্য একজন মানুষের ঘাড়ে ভর রেখে চলছিলেন। উবাইদ উল্লাহ বলল,  আমি আব্বাসকে জিজ্ঞেস করলাম যার কথা আয়শা বলেছিলেন – তুমি কি জান অন্য জন কে ছিল ? আব্বাস বলল- সে ছিল আলি ইবনে তালিব।”
মুহম্মদ প্রায় সারা জীবনই নীরোগই ছিলেন। হঠাৎ তার এই অসুস্থতার কারণ সম্পর্কে সে আয়েশাকে যা বলেছেন,  তার বর্ণনা রয়েছে- সহিহ বুখারীর ৫ / ৫৯ / ৭১৩ নং হাদিসে, দেখে নিন নিচে-
আয়শা বর্ণনা করেছেন--- রসুল তাঁর মৃত্যূশয্যায় বলতেন, “ও আয়শা, আমি খায়বারে গ্রহণ করা,  বিষ মিশানো খাবার জনিত কষ্ট,  অনুভব করছি এবং আমার মনে হচ্ছে ঘাড়ের শিরা-ধমনী সব ছিঁড়ে যাচ্ছে।”
কী পরিমান কষ্ট হলে কেউ এই কথা বলে যে, তার ঘাড়ের শিরা ও ধমনী সব ছিঁড়ে যাচ্ছে,  সেটা একবার কল্পনা করুন। মুহম্মদকে এই বিষ খাওয়ানোর ইতিহাসটা একটু বর্ণনা করা দরকার, তাহলে বুঝতে পারবেন, কে এবং কী কারণে, কোন কৌশলে, তাকে বিষ খাইয়েছিলো ?
মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার তিন বছরের মাথায়, ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে, ছাদের উপর থেকে পাথর ফেলে মুহম্মদকে তারা হত্যা করার চেষ্টা করেছিলো, মুহম্মদের সম্পূর্ণ এই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে, মুহম্মদ নাজির গোত্রের লোকজনকে মদীনা থেকে বিতাড়িত করে। এটা মিথ্যা অভিযোগ এজন্য যে, সেই সময় মুহম্মদের সাথে আরও ৩/৪ জন লোক ছিল, তারা এই ধরণের ঘটনার কোনো চেষ্টাই দেখে নি। যা হোক, মদীনা থেকে নাজির গো্ত্র বিতাড়িত হয়ে ১৩০ কি.মি দূরে খয়বরে গিয়ে বসতি স্থাপন করে। এই ঘটনার তিন বছর পর,  ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে মুহম্মদ খয়বর আক্রমণ করে এবং খয়বরের দলপতি কিনানাকে হত্যা করে তার স্ত্রী সাফিয়াকে দখল করে,  সেই রাতেই সাফিয়াকে মুহম্মদ ধর্ষণ করে। আমার এই কথার প্রমাণ পাবেন নিচের এই রেফারেন্স-
“আবু আয়ুব খাইবারের যুদ্ধের পর রাতেরবেলা হজরত মহম্মদ আর সোফিয়ার তাবু পাহারা দিয়েছিল , পরদিন সকালে মহম্মদের সঙ্গে তার দেখা হলে তিনি মহম্মদকে বলেন " রসুল , আমি আপনার জন্য সারারাত খুব চিন্তায় ছিলাম ৷ আপনি সাফিয়ার বাবাকে হত্যা করেছেন , স্বামীকে হত্যা করেছেন , পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছেন , আর আপনি সাফিয়ার সঙ্গে সারারাত এক তাবুতে কাটালেন ?! " Sira 517 , Ibn Ishaq 766 .
মুহম্মদ যখন যে জনপদ দখল করতেন, সেখানে সে এবং তার লুটেরা বাহিনী,  তিন দিন অবস্থান করে,  বিজয় উৎসব পালন করত (বুখারি, ৪/৫২/৩০০)। এই বিজয় উৎসব আর কিছুই নয়,  গনিমতে মাল হিসেবে দখল করা মেয়েদের ধর্ষণ করা,  আর থাওয়া দাওয়া করা। কোনো কোনো মুসলমান যুক্তি দেখায় গনিমতে মাল ছিল,  তৎকালীন আরবে যুদ্ধ জেতার উপহার বিশেষ, যেমন ফুটবল খেলে যে দল জেতে তা্রা একটা কাপ বা কিছু টাকা উপহার পায়, ঠিক সেইরকম। তাদের মুখে শুয়োরের গু ভরে দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখার জন্য দিলাম নিচের এই হাদিস-
“ইসলাম প্রবর্তনের আগে লুঠের মাল ভোগ করা বৈধ ছিলো না, কিন্তু আল্লা আমাদের দুর্দশা ও দুর্বলতা দেখে,  লুটের মাল ভোগ করা বৈধ করেছেন।”- (মুসলিম, ৪২৩৭)
এখানে স্পষ্ট করে বলা হল, ইসলাম প্রবর্তনের আগে আরবের লোকজন এতো অসভ্য ছিলো না,  যে তারা পরাজিতদের নারী-কন্যাদেরকে ধর্ষণ করবে,  আর তাদের মাল সম্পদকে দখল করে ভোগ করবে, মুহম্মদই এই প্রথা চালু করেছিলেন। মুহম্মদ আবার এই লুঠপাটের মালের কমিশন খেতেন,  ২০% হারে। না, এটার আমার কথা নয়, এর প্রমাণ আছে কোরানে---
“আর তোমরা জেনে রাখ,  যে, তোমরা যে গনিমতের মাল লাভ করেছো, তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ, তার রসুল এবং আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম মিসকিন ও পথিক মুসাফিরদের জন্য নির্দিষ্ট।”--- (কোরান, ৮/৪১)
আল্লার নামে গনিমতের মালের ভাগ নিলেও,  আল্লা তো এসে আর মালের ভা্গ নিতেন না, সেটা নিতেন মুহম্মদ। এছাড়াও এর আগে মুহম্মদ একাই গনিমতের সব মাল খাওয়ার চেষ্টা করেন এবং সে অনুযায়ী সে আয়াতও ডাউনলোড করেন, কিন্তু যখন সে দেখলো তার এই থিয়োরিতে কোনো মুসলমান আর যুদ্ধ করতে যাবে না, তখন তিনি,  কোরানের ৮/৪১ আয়াত ডাউনলোড করেন। কিন্তু তার আগে যে আয়াত তিনি ডাউনলোড করেন, তা হলো---“এই গনিমতের মাল তো আল্লা এবং তার রসুলের।” - ( কোরান, ৮/১)
গনিমতের মালের নামে পরাজিতদের মেয়েদেরকে ধর্ষণ,  এবং তাদের সম্পত্তি দখল করে,  তা খাওয়ার পূর্ণ পারমিশন মুসলমানদেরকে দেওয়া আছে নিচের এই আয়াতে---
“অতএব তোমরা যা কিছু ধন মাল লাভ করেছো, তা খাও, তা হালাল এবং তা পবিত্র।” --- (কোরান,৮/৬৯)
মূলত এই নারী ধর্ষণ এবং লুঠপাটের মালই ছিলো ইসলামের ড্রাইভিং ফোর্স, যার আকর্ষণে দলে দলে খুবই নিচু মানসিকতার লোকজন ইসলামে যোগ দিয়ে,  মুহম্মদের শক্তি বাড়িয়েছিলো। আমার এই কথার প্রমাণ পাবেন নিচের কোরানের এই আয়াত ও হাদিসে---
ইহুদিরা মুহম্মদকে এই কথা বলেছিলো, পরে মুহম্মদ সেটা আবার আল্লার বাণী হিসেবে ডাউনলোড করেন,
"আমাদের দৃষ্টিতে তুমি আমাদের মতো একজন মানুষ ছাড়া আর কিছু্ই নও। আমরা আরো দেখছি যে, আমাদের লোকেদের মধ্যে যারা হীন নীচ, তারাই না ভেবে, না বুঝে, তোমার পথ অবলম্বন করছে। আর আমরা এমন কোনো জিনিস দেখতে পাই না, যাতে তোমরা আমাদের অপেক্ষা বিন্দুমাত্র অগ্রসর,  বরং আমরা তো তোমাদের মিথ্যুকই মনে করি।”--- ( কোরান, ১১/২৭)
এবার দেখুন হাদিস থেকে,
“একবার একজন লোক.  মুহম্মদের কাছে এসে বললো,  যে সে জিহাদে যোগ দিয়ে লুটের মালের ভাগ পেতে ইচ্ছুক। মুহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আল্লা ও তার রসুলকে বিশ্বাস করো ? লোকটি জবাব দিলো, না। মুহম্মদ তখন বললো, আগে ভুল রাস্তা ঠিক করো।”--- (মুসলিম, ৪৪৭২)
বিজয় উৎসব আর গনিমতে মাল নিয়ে এত কথা বলার কারণ হল, মূলত--- খয়বর যুদ্ধের পর,  বিজয় উৎসবের সময়,  এই গনিমতের মাল খেতে গিয়েই, মুহম্মদ তাঁর নিজের মৃত্যুটা ডেকে আনেন।
মুসলমানরা যেমন এখনও মনে করে,  পরাজিত গোত্রের মেয়ে, রিহানা ও সাফিয়া স্বেচ্ছায় মুহম্মদের বিছানায় এসে,  তাদের কাপড় খুলে দিয়েছিলো, মুহম্মদ তাদের যোনী গর্ভে,  তাঁর বীর্য নিক্ষেপ করে,  তাদেরকে ধন্য করেছেন মাত্র। সেইরকম মুহম্মদ এবং তার ডাকাত বাহিনীরও ধারণা ছিল,  পরাজিত গোত্রের জীবিত লোকজন তাদেরকে স্বেচ্ছায় আপ্যায়ণ করে নিজদেরকে ধন্য করছে। না হলে কিছু পূর্বে যাদের স্বজনকে তারা হত্যা করেছে, তাদের পরিবেশিত খাবার তারা খায় ?
যা হোক, খয়বরের যুদ্ধের পর এক ইহুদি মহিলা, যার বাপ-ভাইকে মুহম্মদের কারণে খুন হতে হয়েছে, সে মুহম্মদ এবং তার দলবলকে খাবারের আমন্ত্রণ জানায়। সে কিছু কিছু মাংস রান্না করে এবং তার মধ্যে আগে থেকেই বিষ মিশিয়ে রাখে। মুহম্মদ একটু খেয়েই বুঝতে পারেন, যে তাতে বিষ মিশানো আছে, তাই তিনি,  সাথে সাথে,  সবাইকে,  তা খেতে নিষেধ করেন। কিন্তু একজন ঘাড়ত্যাড়ামি করে আরও কিছুটা খেলে, সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়। বাকিরা খাওয়া বন্ধ করায় প্রাণে বেঁচে যায়। এরপর মুহম্মদের নির্দেশ সেই মহিলাকে হাজির করা হলে মুহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করেন,  কেনো সে এই কাজ করেছে ? মহিলা বলে, আমি এই কাজ করেছি এজন্য যে, আপনি যদি আল্লার নবী হোন, তাহলে আপনি খাবারের পূর্বেই জেনে যাবেন যে এর মধ্যে বিষ আছে, আর যদি শুধু রাজা হোন তাহলে আপনি বিষ খেয়ে মরে গেলে আমার গোত্রের লোকজন আপনার হাত থেকে রক্ষা পাবে। (বুখারী , ৭/৭১ / ৬৬৯; ৩ /৪৭ / ৭৮৬) পরে ঐ মহিলাকে হত্যা করা হয়।
এই একটি ঘটনা থেকেই পরিষ্কার,  যে সেই সময় আরবের ইহুদি খ্রিষ্টানরা মুহম্মদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তার উপর কী রকম বিরক্ত ছিল। তারপরেও মুসলমানরা বলে,  নবীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে,  আরবের সব লোক স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। তাই যদি সত্য হয়,  তাহলে মুহম্মদকে এই বিষ দিয়ে মারার চেষ্টার ঘটনাটার দরকার কী ছিল ?
স্বল্পমাত্রায় খাওয়া এই বিষের রিয়্যাকশন শুরু হয় ৪ বছর পর, যে কথা বুখারীর ৫ / ৫৯ / ৭১৩ নং হাদিস অনুযায়ী মুহম্মদ আয়েশাকে বলেছেন,  যে, “ও আয়শা, আমি খায়বারে গ্রহণ করা বিষ মিশানো খাবার-জনিত কষ্ট অনুভব করছি,  এবং আমার মনে হচ্ছে ঘাড়ের শিরা-ধমনী সব ছিঁড়ে যাচ্ছে।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে,  আল্লার এমন প্রিয় বান্দা, যে নাকি আল্লার দোস্ত--- (সৃষ্টির সাথে সৃষ্টিকর্তার নাকি দোস্তী !) --- এই দোস্তের এমন যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু,  আল্লা দিলেন কেন,  ও কীসের জন্য ? আর আল্লা যেহেতু মুহম্মদকে এই অপশান দিয়েছিলেন যে, হয় পৃথিবীর জীবন- না হয় তার সান্নিধ্য বেছে নিতে, তাহলে মুহম্মদ কেন,  আল্লার সান্নিধ্য বেছে নিলেন, যেখানে তাঁর ভোগ ও যৌনাকাঙক্ষা তখনও শেষ হয় নি ? কেননা, মৃত্যুর সময়ও,  মুহম্মদ , আয়েশার সাথে ছিলেন, যে আয়েশার তখন মাত্র ১৮ বছর বয়স, যৌ্বনটা কেমন তা একটু কল্পনা করে নিন, সেই আয়েশার সাথে মুহম্মদ রাত কাটাতে চেয়েছেন এবং মরার সময়ও মুহম্মদ আয়েশাকে চুমু খেয়ে যাচ্ছিলেন, যাতে আয়েশা ও মুহম্মদের মুখের লালা এক হয়ে গিয়েছিলো ( বুখারি, ১৬৫০); তাহলে সেই মুহম্মদের এমন মৃত্যুকে বরণ করার দরকারটা কী ? মুহম্মদ যদি চিরদিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে তো তাঁকে দেখেই, পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে,  পৃথিবীর সকল লোক,  ইসলাম গ্রহণ করে ফেলত, পৃথিবীবাসীকে ইসলামের পতাকাতলে আনার জন্য মুসলমানদের,  ‘আল্লাহু আকবার’ বলে সস্ত্রাস করতে হত না, আর চাপাতি দিয়ে কাউকে কোপানোরও প্রয়োজন হতো না। মুহম্মদ এবং তাঁর আল্লাহ এবং মুসলমানদের প্রাণান্ত চেষ্টার পরেও, এই ১৪০০ বছরে পৃথিবীর মাত্র ২০% লোক মুসলমান। অথচ তার সন্ত্রাসের ভয়ে আরব উপদ্বীপের কিছু গোত্রপতি যখন তার কাছে এসে আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছিল,  তখন মুহম্মদ মনে করলন, যে তার কাজ শেষ হয়েছে এবং এই কথা সে ফাতেমাকে বলেও ছিলেন,  যে দুনিয়ায় তার কাজ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সত্যিই কি দুনিয়াতে তার কাজ শেষ হয়েছিল ? পৃথিবীর সকল মানুষ কি ইসলামকে গ্রহণ করেছিল  বা এই ১৪০০ বছর পর এখনও গ্রহণ করেছে ? তাহলে মুহম্মদ কেন পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন ?
নাকি বাস্তব কথা এই যে, পৃথিবী একদিন সবাইকেই ছেড়ে যেতে হয়, আর এটাই হলো মানুষের জীবনের শেষ ঘটনা। আর এই শেষটা যার ভালো, তার সারাজীবনই ভালো ছিল বলে,  মনে করা হয়। এজন্যই বলা হয়, সব ভালো যার, শেষ ভালো তার। কিন্তু মুহম্মদের শেষটা ভালো হয় নি, এ থেকে এটা প্রমাণ হয় যে, মুহম্মদের জীবনযাত্রার ধরণ আসলে ভাল ছিলো না। সত্যিই তো তাই, মুহম্মদের কারণে তার মদীনা জীবনের ১০ বছরে কমপক্ষে ১ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে, অসংখ্য লোক হয়েছে নিজ দেশ ও ভিটে মাটি ছাড়া। প্রকৃতি নামের ঈশ্বর কি তার বিচার করবে না ? মুহম্মদের এই যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু এই কথাও প্রমাণ করে,  যে আসলে আল্লা বলে কেউ নেই, যদি আল্লা বলে কেউ থাকতেন,  তাহলে তার প্রিয় বান্দার এমন করুণ মুত্যু হতো না।
জয় হিন্দ।
------------------------------------------------------------------------------
উপরে যে রেফারেন্স গুলো দিয়েছি, সেগুলো দেখতে চাইলে দেখুন নিচে-
মুসলিম শরীফ, ৪৩৬৬ --- একমাত্র মুসলমান ছাড়া ইহুদি খ্রিষ্টান সবাইকে আমি আরব ছাড়া করব।
বুখারী , ৭ /৭১ / ৬৬৯ ---  তোমরা কি এই বকরীর মধ্যে,  বিষ মিশ্রিত করেছ ?  তারা বললঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ  কিসে তোমাদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে? তারা বললোঃ  আমরা চেয়েছি, যদি আপনি (নবুওয়াতের দাবীতে) মিথ্যাবাদী হন, তবে আমরা আপনার থেকে মুক্তি পেয়ে যাব। আর যদি আপনি (সত্য) নবী হন, তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করবে না।
সহিহ বুখারী, ৩ /৪৭ / ৭৮৬ --- আবদুল্লাহ ইবন আবদুল ওয়াহাব (রঃ) ......... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহূদী মহিলা নবী (সাঃ) এর খিদমতে বিষ মিশানো বকরী নিয়ে এলো। সেখান থেকে কিছু অংশ তিনি খেলেন এবং (বিষক্রিয়া টের পেয়ে) মহিলাকে হাজির করা হল। তখন বলা হল, আপনি কি একে হত্যার আদেশ দিবেন না ? তিনি বললেন, না। আনাস (রাঃ) বলেন নবী (সাঃ) এর (মুখ গহবরের) তালুতে আমি বরাবরই বিষ ক্রিয়ার আলামত দেখতে পেতাম।
বুখারি, ৪/৫২/৩০০ --- আবুল তালহা হতে বর্ণিত, নবীজী যখন কোনো সম্পদ্রায়কে দখল করতেন, তিনি তাদের শহরে তিন দিন কাটাতেন।
বুখারি, ১৬৫০ --- আল্লার রসুল,  আমার পালার দিন,  আমার আমার ঘরে,  আমার বুকে মাথা রেখে,  মারা গেছেন এবং অন্তিম সময় তার লালা ও আমার লালা মেশামেশি হয়ে গিয়েছিলো।



মানুষ


মানুষ


নন্দিনী দেববর্মার পোস্ট         শেয়ার করেছেন                     প্রণব কুমার কুণ্ডু

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
মন্তব্য করুন