মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

রম্যরচনা


রম্যরচনা


আমার গিন্নি রান্নার গরম খুন্তি দিয়ে মারতে এল।
মারলো !

আমি পড়ে গেলাম !

আমার মুখে থুথু ছিটোল !

আমি মরে গেছি মনে করে মায়া কান্না কাঁদল !

হাতের শাঁখা ভাঙল !
নোয়া খুলে ফেললো !
সিঁথির সিঁদুর ঘষে ঘষে তুলে ফেললো !

কিছুক্ষণ পরে আমি উঠলাম !

আমার গিন্নি হাসলেন !

খুন্তিদিয়ে মারার কাটা জায়গায়, ওষুধমাখানো তুলো দিয়ে ঘসলেন !

হাঁটুর হাড়ে ব্যাণ্ডেজ বাঁধলেন !

আমাকে টেনে হিঁচড়ে হাসপাতালে ভর্তি করলেন !

সেখানে উনি আবার আমার আয়া হলেন !

ঋষভ


ঋষভ

( রম্যরচনা )

সঙ্গীতের স্বরসপ্তকের দ্বিতীয় স্বর, "ঋ" বা "রি"।

ওটা ষাঁড়ের স্বর থেকে 'টুকলিফাই' !

লোকে এখন জেনে ফেলেছে !

তাই সঙ্গীতসাধকেরা, এবার তল্পিতল্পা উঠিয়ে নিয়ে দৌড়চ্ছে !

'চ্যাঁচাচ্ছে',  'পালাই পালাই' !

অন্যরা জায়গাটা ষাঁড়ের গোবর দিয়ে নিকোচ্ছে !

খণ্ড রামায়ণের বিখণ্ড গল্প


খণ্ড রামায়ণের বিখণ্ড গল্প


ঋষ্যমূক পর্বত।

ঋষ্যমূক !

যেখানকার 'ঋষ্য' মূক, অর্থাৎ মৃগরা শান্ত !
গোঁতায় না !
ঢোঁড়ায় না !
তবে লাফালাফি দাপাদাপি করে !

ঋষ্যমূক পর্বত।
পম্পা সরোবরের নিকটবর্তী পর্বত।

বালী, মতঙ্গ মুনির শাপে 'ঋষ্যমূক' পর্বতে আসতে পারত না !

বালীর ভয়ে,   তাই, বালীর ভাই সুগ্রীব, ঐ ঋষ্যমূক পর্বতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল !

ঘটনাচক্রে, ঋষ্যমূখ পর্বতে রামের সঙ্গে সুগ্রীবের দেখা হয় ! পারস্পরিক বন্ধুত্ব হয় !
মধ্যস্থতা করে হনুমান !

এরপরে বালীবধ !
শ্রীরাম, কমজোরি সুগ্রীবকে, বালির সাথে লড়িয়ে দিয়ে, আড়াল থেকে অন্যায়ভাবে বালীকে বধ করে !

বালী।
এর রাজধানী ছিল কিষ্কিন্ধ্যা।
রমণীবিশেষের 'বালে' ( চুলে ) পতিত ইন্দ্রের বীর্য থেকে বালীর জন্ম ! সেই জন্য নাম, 'বাল' থেকে বালী !
বালী মহাবীর ছিল !

রামায়ণের গল্প এগিয়ে চলে !

রামায়ণ।
বাল্মীকি-রচিত শ্রীরামচন্দ্রের জীবনবৃতান্তমূলক সংস্কৃত মহাকাব্য !

ঋষিশ্রাদ্ধ


ঋষিশ্রাদ্ধ

( রম্যরচনা )

ঋষিশ্রাদ্ধ। মৃত ঋষির শ্রাদ্ধ কাজ।

ঋষিশ্রাদ্ধে কেবল কলাপাতা কাটা হয়, কাউকে খাওয়ানো হয় না !

হাতের 'দা'-এর কোপটা কলা গাছের কলা পাতার ওপরেই পড়ে !

উপস্থিত সবাই উপোসে মরে !

শেষে সেই কলাপাতাই টানাটানি করে !

দাঁতমুখ দিয়ে সেই কলাপাতাই কামড়াকামড়ি করে খায় !

মৃত ঋষির কমণ্ডলুটা, তবলার  মতো, চাঁটিয়ে বাজায় !