বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

হানা প্রাইনহালতোরোভা


      হানা প্রাইনহালতোরোভা

      ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন       প্রণব কুমার কুণ্ডু


হানা প্রাইনহালতেরোভা (১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৮-২৪ জুন, ২০১৮)
হানা প্রাইনহালতেরোভা৷ ড. দুশান জবাভিতেল-এর বাংলার ছাত্রী, শান্তিনিকেতনের এককালের বাংলার বিদ্যার্থিনী, প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাক্তন অধ্যাপিকা, অনেকগুলি বইয়ের জননী, বাংলা ভাষা শিক্ষার জন্য কয়েক খণ্ডে লেখা বইয়ের লেখক, আশাপূর্ণা দেবীর অনুবাদক, আরও কত কি৷ হানাদি গত রবিবার - পরশুদিন, ২৪ জুন ২০১৮ সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন৷
আমি চেক রিপাবলিক-এর প্রাগ শহরে চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতবিদ্যা(ইন্দেলগিস্কি)বিভাগে পড়াতে গিয়েছি বার ছয়েক৷ প্রতিবারই হানাদির সান্নিধ্যলাভ করেছি, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তাঁর বাড়িতে ভাল মন্দ রান্নার টুকিটাকির সঙ্গেও আমরা পরিচিত৷ প্রচুর আড্ডা, প্রচুর জিজ্ঞাস্য, প্রচুর কৌতুক, বাংলা ও বাঙালির জন্য এই মানুষটির অফুরান ভালবাসা আমাদের সবসময় স্পর্শ করেছে৷ ২০১১-য় বাঙালী মেয়েদের ব্রতকথা লিখছিলেন চেক ভাষায়৷ আমার স্ত্রীর সঙ্গেই লেগে রইলেন সারাক্ষণ, ব্রতকথার নানান খুঁটিনাটি জানবার জন্য৷
শুধু ২০১৩-তেই তাঁর সঙ্গে আর দেখা হয়নি৷ অসুস্থ ছিলেন৷
শেষের দিকে অসুখেই ভুগছিলেন, বিবাহবিচ্ছিন্ন হয়ে একা থাকতেন আলাদা, পায়ে একটা অসুবিধা হচ্ছিল, চলতে কষ্ট হত, আমাদের একটি ছাত্রী ক্রিস্টিনা হিমার তাঁর সঙ্গে কাজ করছিলেন যৌথভাবে জানতাম৷ ক্রিস্টিনা বা আরও ছাত্র ছাত্রী তাঁকে কিছু সহায়তাও করত তখন শুনেছিলাম৷
আমরা বাঙালী হয়েও মাতৃভাষাকে প্রতি পদেই অশ্রদ্ধা করছি৷ কিন্তু তিনি বাংলা বলবার সময় শুধু বাংলাই বলতেন, কোনও ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করতেন না৷ স্রোতের মত বাংলা বলতেন৷
খুব কম মানুষ এরকম আসেন৷ নীরবে, নিভৃতে কাজ করে যান৷ আমাদের কাছে যখন থাকেন তখন আমরা তাঁর মূল্য বুঝি না৷ কিন্তু চলে যখন যান, তখন আমাদের একেবারে নিঃস্ব করে দিয়ে যান৷ তাঁর মৃত্যুতে ক্ষতি হল আমাদের সকলের, পশ্চিমবঙ্গের, বাংলাদেশের৷ এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়৷

লাইক
মন্তব্য করুন
মন্তব্যগুলি

তিরুপতি মন্দিরের চুনি


       তিরুপতি মন্দিরের চুনি                  * চুনি : রক্তবর্ণ বহুমূল্য রত্ন, পদ্মরাগ মণি, ruby. *

       ফেসবুক থেকে         শেয়ার করেছেন            প্রণব কুমার কুণ্ডু


তিরুপতি মন্দিরে ৫০০ কোটির চুনী নাকি উধাও ! একমাত্র এই শর্ত পালিত হলেই বিগ্রহের রত্ন-অলঙ্কার সম্ভার দেখাবে তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ!!!!!
😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱😱
দীর্ঘ টালাবাহনা অনেক দিন চলছিল। মন্দিরের রত্নালংকার নাকি হাত সাফাই হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মন্দির কতৃপক্ষ সব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছিল। অবশেষে রাজি হয়েছে বিশ্বের ধনীতম মন্দির | তারা প্রদর্শন করবে সঞ্চিত অলঙ্কার ও রত্নরাজি জানিয়েছে তিরুপতি তিরুমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ | সিদ্ধান্তের নেপথ্যে সক্রিয় কর্তৃপক্ষ তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বনাম রমনা দীক্ষিতুলু দ্বৈরথ | ফলে রত্ন প্রদর্শনে রাজি মন্দির কর্তৃপক্ষ তবে যদি শাস্ত্রমতে অসুবিধে না থাকে | শাস্ত্র যদি অনুমতি দেয়‚ তবে অলঙ্কার প্রদর্শনে বাধা নেই | দীক্ষিতুলু সরব হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে | তাঁর দাবি‚ গত ২২ বছর ধরে মন্দিরের বহু মূল্যবান রত্ন একে একে উধাও হয়ে গেছে | তিনি এই নিয়ে সিবিআই তদন্তও দাবি করেছেন |
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে অনিল কুমার সিঙ্ঘলের দাবি‚ অগম শাস্ত্র অনুযায়ী মন্দিরের দেববিগ্রহের অলঙ্কার প্রদর্শনে বিধিনিষেধ আছে | তাই ভাবা হয়েছে‚ সব রত্ন ও অলঙ্কারের ত্রিমাত্রিক ছবি বানানো হবে | তারপর জাদুঘরে রাখা হবে আমজনতার দেখার জন্য | যদিও পরে বলেছেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত পরামর্শ | বাকিরা সহমত হলে তবেই এ পথে ভাবা হবে |
অন্যদিকে দীক্ষিতুলুর অভিযোগ তিরুপতি মন্দিরে নথিভূক্ত আছে একটি চুনী | কিন্তু সেটা সংগ্রহ থেকে উধাও | একইরকম একটি রত্ন সম্প্রতি জেনেভায় নীলাম হয়েছে বলে তাঁর দাবি | এই ইঙ্গিতে ক্ষুব্ধ মন্দির কর্তৃপক্ষ | তাদের বক্তব্য‚ মন্দিরের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন দেবতার রত্ন অলঙ্কার ইত্যাদি নিরাপদে রাখতে | সেখানে এ ধরণের অভিযোগ সর্বৈব ভিত্তিহীন |
যে চুনী নিয়ে দীক্ষিতুলু সরব হয়েছেন সেটি ১৯৪৫ সালে দান করেছিলেন মাইসোরের মহারাজা | বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকারও বেশি | দাবি করা হয়েছে‚ ২০০১ সালে ব্রহ্মোৎসব গরুড় উৎসবের সময় তা পড়ে ভেঙে যায় | এবং তার টুকরোগুলি রাখা আছে পেশকারের কাছে | রক্ষিত খণ্ডগুলো ওই চুনীরই‚ কোনও গোলাপি মুক্তোর নয়‚ দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষর |
ইতিমধ্যে দীক্ষিতুলু একটি প্রেস কনফারেন্স করেন | তাঁর বক্তব্য‚ ১৯৯৬ সালে অবলুপ্ত হয় মীরাসি ব্যবস্থা | মন্দিরের সম্পতি‚ দেবতার অলঙ্কার বিগ্রহ দেখভালের দায়িত্ব বর্তায় তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বা TTD-র উপর | সেই থেকেই অলঙ্কারের কোনও নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ | একটি প্ল্যাটিনামের চেন-এ লাগানো ছিল চুনীটি | বলা হয়েছে‚ বিগ্রহের গলায় সেটা পরানো ছিল | গরুড় উৎসবের সময় ভক্তরা বিগ্রহের উদ্দেশে প্রণামী ছুড়েছিলেন তাতে খণ্ডিত হয়ে যায় মূল্যবান রত্নটি | দীক্ষিতুলু মনে করেন এটি কোনও বিশ্বাসযোগ্য কারণই নয় |
তাঁর প্রশ্ন‚ পুরনো অলঙ্কার থাকতে নতুন গয়না কেন পরানো হয় বিগ্রহকে ? অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছিলেন বলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে‚ অভিযোগ দীক্ষিতুলুর | কিন্তু তাঁর দাবি‚ তিনি অন্যায় করে থাকলে তাঁকে সমুচিত সাজা দেওয়া হোক | কিন্তু সত্য সামনে আসুক |

লাইক
মন্তব্য করুন
মন্তব্যগুলি
Pranab Kumar Kundu একেই বলে হরির লুট ! ওরা আবার চোর হয় নাকি, ধ্যুৎ !
পরিচালনা করুন

ভারতীয় খাবার ?


     ভারতীয় খাবার ?

     ফেসবুক থেকে         শেয়ার করেছেন       প্রণব কুমার কুণ্ডু

আমরা অনেক খাবার ভারতীয় ভাবি,,,,,অবিশ্বাস্য! এই ১১টি খাবার ভারতীয় নয়!*
===========================
১/....শুরুতেই চমক! সুক্তো কিন্তু বাঙালি খাবার নয়। সুক্তো একান্তভাবেই পর্তুগিজ খাবার।

২/.....চা যে চিন থেকে এসেছে, তা অনেকেই জানেন।

৩/....শিঙাড়া— মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছে এই খাবার।

৪/....রাজমা-চাওলা— কী জানতেন, উত্তর ভারত? আজ্ঞে না। মেক্সিকো থেকে গুয়াতেমালা হয়ে ভারতে।

৫/....নান— রুটি ব্যাপারটাই পারস্যের একচেটিয়া। মুঘলরা এনেছিল নান।

৬/....লুচি— এই খাবারও পর্তুগিজদের হাত ধরে ভারতে এসেছে। বাঙালির নয়।

৭/.....ভাজা মিষ্টির বেশিরভাগের উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যে। সেখান থেকেই এসেছে জিলিপি।

৮/....গুড়— ভারতে গুড় এসেছে পর্তুগিজদের হাত ধরে।

৯/.....জানিয়ে রাখা যাক, গুলাব জামুন এবং লেডিকিনি কিন্তু এক বস্তু নয়। লেডিকিনি খাঁটি ভারতীয়, বাঙালি। কিন্তু গুলাব জামুন এসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। অন্য অনেক ভাজা মিষ্টির মতো এর শিকড়ও মধ্যপ্রাচ্যে।

১০/...ফিল্টার কফি এসেছে মক্কা থেকে। বাবা বুদান মক্কা থেকে কফি আনেন এ দেশে। এই কফি নীলগিরি কফি নামে বিখ্যাত।
১১/...ডাল-ভাত এসেছে নেপাল থেকে। খিচুড়িও তা-ই।


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্যগুলি
Nivedita Patnaik দারুউউউউন খ (খা) ব (বা)র !
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর1ঘন্টা
Pranab Kumar Kundu আপনার লেখার সূত্রগুলি উল্লেখ করুন । আপনি তো জলকে 'পানি' বলেন ! আপনি কী মুসলমানপন্থী ? চাইলে আপনি মধ্যপ্রাচ্যে চলে যান ! চাইলে 'মক্কা'য়ও থাকতে পারেন ! ওখান থেকেও আপনি ফেসবুকে লিখতে পারবেন ! তবে বাংলা বানানে আপনার 'ণ'-এর এবং 'ন'-এর জ্ঞান থাকতে হবে ! 'লাইক' করা অলসতা ! 'প্রত্যুত্তর'-এর যথার্থ উত্তর চাই ! 'মন্তব্য'-এর যথাযথ উত্তর দেবেন ! ইতি-- গুণমুগ্ধ প্রণব কুমার কুণ্ডু !
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর