শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

রূপক রায়ের কলাম ( চোদ্দো )


রূপক রায়ের কলাম ( চোদ্দো )

ফেসবুক থেকে        শেয়ার করেছেন           প্রণব কুমার কুণ্ডু



প্রণব কুমার কুণ্ডু












পৌরাণিক কাহিনীগুলো আসলে কী ?
পুরাণে বেশ কিছু চরিত্রকে খারাপ হিসেবে, অর্থাৎ ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে; এদের মধ্যে প্রধান হলো ইন্দ্র এবং ইন্দ্রের সাথে রয়েছে সূর্য পত্নী- সংজ্ঞা, রাহু, কেতু, মঙ্গল, রাহু-কেতুর মা সিমহিকা, নরকাসুর, অন্ধক, জলন্ধর, প্রহ্লাদের বাবা হিরণ্যকশিপু, অসুরদের গুরু শুক্রাচার্য এবং অসংখ্য অসুর; এদের মধ্যে ইন্দ্র হলো দেবরাজ, অর্থাৎ সে দেবতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত, অন্যরা দেবতাদের শত্রু অসুর; এই অসুরদের ভিলেন চরিত্র নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই, কিন্তু দেবতা হয়েও ইন্দ্রের ভিলেনের মতো চরিত্র কেনো, এই প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত জবাব অনেকের কাছেই নেই, তাই ইন্দ্রের চরিত্র প্রসঙ্গে হিন্দুরা, মুসলমানদের কাছে হেয় হয়, ইন্দ্রের প্রসঙ্গ তুললেই হিন্দুদের মুখের কথা হারিয়ে যায়।
এই সমস্যা থেকে আপনি তখনই মুক্তি পাবেন, যখন জানবেন যে পৌরাণিক কাহিনীগুলো আসলে কী ?
পৌরাণিক কাহিনীগুলো হলো পৃথিবীর সকল ঘটনার সার সংক্ষেপ; অর্থাৎ পৃথিবীতে এমন ঘটনা ঘটে নি বা ভবিষ্যতে ঘটবে না, যেগুলো কোনো না কোনো ইঙ্গিত পুরাণে নেই। পুরাণের ঘটনাগুলো কাল্পনিক এবং এই কাল্পনিক ঘটনাগুলোর মাধ্যমে পুরাণ রচয়িতা মুনি ঋষিরা মানুষকে এই শিক্ষা দিয়ে গেছেন যে, কোন পরিস্থিতিতে কোন ব্যবস্থা নিতে হবে বা কোন ব্যবস্থা নিলে কোন পরিস্থিতিকে এড়ানো যাবে।
মানুষের জীবনে নানা ঘটনা ঘটে থাকে, এগুলোর কিছু ঘটায় ভালো মানুষেরা, কিছু ঘটায় খারাপ মানুষেরা; এভাবে জগতে মানুষ দুই প্রকার- ভালো ও খারাপ; ভালো মানুষেরা দেব বা দেবতা স্বভাবের, আর খারাপ মানুষগুলো অসুর স্বভাবের। সৃষ্টির শুরু থেকেই এই দুই শ্রেণীর মানুষ পৃথিবীতে আছে এবং সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত তা থাকবে।
গল্প-সিনেমায় যেমন নায়কের ক্ষমতার প্রকাশ ঘটানোর জন্য ভিলেনদেরক দুর্ধর্ষ খারাপ হিসেবে তুলে ধরা হয়, তেমনি পৌরাণিক কাহিনীগুলোর গল্পকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং দেবতাদের ক্ষমতার প্রকাশ দেখানোর জন্য ইন্দ্রসহ কিছু চরিত্রকে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেমন কৃষ্ণের সাথে ইন্দ্রের যদি শত্রুতা না থাকতো এবং কৃষ্ণ যদি ইন্দ্রের পূজা বন্ধ করতে উদ্যোগী না হতো, তাহলে কিন্তু পৃথিবীবাসী কৃষ্ণের গোবর্ধন পর্বত উত্তোলনের লীলা কখনোই দেখতে পেতো না এবং মানুষ, কৃষ্ণের এই ক্ষমতার প্রদর্শন থেকে বঞ্চিত হতো; আমরা কৃষ্ণের গোবর্ধন পর্বত উত্তোলনের ঘটনার কথা জানি শুধু ইন্দ্রের কারণে।
একইভাবে স্বর্গীয় বা দেব-দেবীদের কাহিনীর মধ্যে দেবরাজ ইন্দ্রকে ভিলেন হিসেবে তুলে ধরে তাকে দিয়ে নানারকম দুষ্কর্ম করানোর কারণ হচ্ছে অন্যান্য দেব-দেবীর সাথে তার দ্বন্দ্ব ঘটিয়ে সেই সব দেব-দেবীর ক্ষমতার প্রকাশ ঘটানো।
এছাড়াও ইন্দ্র কিছু খারাপ ঘটনা ঘটিয়েছে দেবতাদের ভালোর জন্যই, যেমন- গৌতমের স্ত্রী অহল্যার সাথে সেক্স, যদিও হিন্দুধর্ম বিদ্বেষীরা একে ধর্ষণ বলতেই মজা পায়. কিন্তু আসল ঘটনা হলো- গৌতম মুনি তার তপস্যার ফলে এমন শক্তি অর্জন করতে যাচ্ছিলো, যে শক্তি দিয়ে সে স্বর্গ অধিকার করতে পারতো, যদি গৌতম মুনি এটা করতে পারতো, তাহলে দেবতাদের বাসস্থান ও অস্তিত্ব বিপন্ন হতো; তাই স্বর্গের রাজা হিসেবে ইন্দ্রকে গৌতম মুনির ছদ্মবেশে ঐ ঘটনা ঘটাতে হয়, যাতে গৌতম মুনি ক্রোধিত হয় এবং ক্রোধের বশে অভিশাপ বাণী উচ্চারণ করতে বাধ্য হয়, যার ফলে গৌতম মুনির ঐ তপস্যার শক্তি ব্যর্থ হয় এবং দেবতারা তাদের বাসস্থান রক্ষা করতে সমর্থ হয়। ইন্দ্রের এই দুষ্কর্ম বা কর্মের পেছনে যে সকল দেবতার সমর্থন ছিলো, তার প্রমান হলো গৌতম মুনির অভিশাপে ইন্দ্র তার পুরুষত্ব হারালে সকল দেবতা মিলে তার পুরুষত্ব আবার ফিরিয়ে দেয়। "দেবরাজ ইন্দ্রের অহল্যা ধর্ষণ! প্রকৃত ঘটনাটা কী ?" নামে আমার এক পোস্টে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আছে, সেটা যারা পড়েছেন, তারা বিষয়টি জানেন, আর যারা এখনও সেটা পড়েন নি, সেটা পড়ে ঘটনার মূল কারণ জানবেন বলে আশা রাখি।
হিন্দুধর্ম বিদ্বেষীরা আরেকটা অভিযোগ করে যে, বিষ্ণু, জলন্ধরের স্ত্রী বৃন্দাকে ধর্ষণ করেছে; পোরাণিক কাহিনী মতে এই ঘটনাটির ডিটেইলস হলো-
শিবের মস্তকস্থিত ক্রোধ অগ্নিরূপে সমুদ্রের জলে নিক্ষিপ্ত বা পতিত হলে, তা থেকে এক পুত্রের জন্ম হয়, যাকে সমুদ্রের দেবতা লালন পালন করে বড় করে, এই পুত্রের নামই জলন্ধর। যৌবনে পদার্পন করলে জলন্ধর, শিবের স্ত্রী বলে কল্পিত পার্বতীকে কামনা করে, কিন্তু এতে যে বিপদ আছে, সেটাও জলন্ধর ভালো করেই জানতো, তাই সে প্ল্যান করে কালনেমী দানবের কন্যা বৃন্দাকে বিয়ে করে, যে বৃন্দার উপর এই বর ছিলো যে, সে যতদিন তার সতীত্বকে রক্ষা করতে পারবে, ততদিন তার স্বামীর মৃত্যু হবে না। বৃন্দাকে বিয়ের করার পর জলন্ধর যখন নিশ্চিত হলো যে কেউ তাকে হত্যা করতে পারবে না, তখন সে ইচ্ছে মতো দেবতা ও দানবদের উপর অত্যাচার শুরু করলো, তার এই অত্যাচার থেকে সকলকে রক্ষা করার জন্য, বিষ্ণু, জলন্ধরের রূপ ধরে বৃন্দার কাছে যায় এবং বৃন্দাকে স্পর্শ করে তার সতীত্ব নাশ করে, এর ফলেই শিব , জলন্ধরকে হত্যা করতে সমর্থ হয়। বৃন্দা যখন বিষ্ণূর এই ছদ্মবেশের ঘটনা জানতে পারে, তখন সে বিষ্ণুকে পাথরে পরিণত হওয়ার অভিশাপ দেয়, যার ফলে বিষ্ণু শালগ্রাম শিলায় পরিণত হয়, যাকে নারায়ণ শিলাও বলা হয়। কিন্তু বৃন্দা যখন অন্যান্য দেবতার নিকট থেকে জলন্ধরকে হত্যার আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারে, তখন বৃন্দা, বিষ্ণুকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করে দেয় এবং প্রাণ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বিষ্ণু, বৃন্দাকে এই আশীর্বাদ দেয় যে, তার দেহত্যাগের পর তার চিতার ছাইভস্ম থেকে এক গাছের জন্ম হবে, যার নাম হবে তুলসী, যার মধ্যে স্বয়ং তিনি অর্থাত বিষ্ণু বাস করবেন এবং গাছ রূপেই তুলসী জগতে পূজিতা হবেন; এরপর বৃন্দা নিজেকে জ্বলন্ত চিতায় আহুতি দিয়ে নিজের প্রাণ ত্যাগ করে, যার চিতার ছাই থেকে অনেকগুলো তুলসী গাছের জন্ম হয় এবং এক বনে পরিণত হয়, যেই বনের নাম বৃন্দাবন। বৃন্দার বন বলেই আসলে কৃষ্ণের বাল্যলীলার ঐ স্থানের নাম বৃন্দাবন।
এই ভাবে দেবতারা যে দু একটি ঘটনা ঘটিয়েছে, সাধারণ দৃষ্টিতে যেগুলোকে খারাপ বলে অনেকে মনে করে, সেগুলো ঘটানোর পেছনে আসলে ছিলো কোনো মহৎ উদ্দেশ্য, সেই ব্যাপারগুলোকে না বুঝে, হিন্দুধর্ম বিদ্বেষীরা তো বটেই, আমাদের হিন্দুদের মধ্যেও অনেকে মন্তব্য করে যে- ইন্দ্রের চরিত্র তো খারাপ, বিষ্ণু অমন কাজ কেনো করলো ? ইত্যাদি ইত্যাদি। আর মুসলমানরা ডাইরেক্ট বলে ইন্দ্র ও বিষ্ণু ধর্ষক, এছাড়াও তারা কোনো ক্লু পেলেই দেব-দেবীদের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে ছাড়ে না। কিন্তু তারা এটা বোঝে না যে মুহম্মদের চরিত্রের মতো দেব-দেবীদের চরিত্র ঐতিহাসিক নয়, তাই মুহম্মদের ধর্ষণের সাথে, দেবতাদের ধর্ষণে অনেক পার্থক্য আছে। কারণ, মুহম্মদ যাদেরকে ধর্ষণ করেছে, সেগুলো বাস্তব, কিন্তু দেবতারা যাদেরকে ধর্ষণ করেছে বলে বলা হয়, সেগুলো শুধুই গল্প, সেই ঘটনাগুলো কখনোই বাস্তব পৃথিবীতে ঘটে নি; কিন্তু এই কাহিনীগুলোর মধ্যে রয়েছে কোনো না কোনো শিক্ষা; তাই এগুলোর মূল রহস্য বুঝতে পারলে মানুষের মঙ্গল নিশ্চিত।
শুরুতেই বলেছি, পৌরাণিক কাহিনীগুলো হলো পৃথিবীর সকল ঘটনার সার সংক্ষেপ, পৃথিবীতে যেমন খুন ধর্ষণ অপহরণসহ নানা অপরাধের ঘটনা রয়েছে, তেমনি পৌরাণিক কাহিনীগুলোতেও পৃথিবীর ঘটনার প্রতীকী হিসেবে এই ঘটনাগুলো রয়েছে। কেননা, আমাদের মুনি ঋষিরা তো আর মুহম্মদের মতো মূর্খ বা অবাস্তব চিন্তাধারার মানুষ ছিলো না যে, ভালো কাজের দায় শুধু আল্লার উপর বর্তাবে, আর খারাপ কাজের দায় শয়তানের উপর? আর এই একটি তথ্যের ভিত্তিতেই যে আল্লার সর্বশক্তিমানত্ব খারিজ হয়ে যায়, সেটা মূর্খ মুসলমানেরা বুঝবে কিভাবে ? কেননা, ভালো কাজের মালিক আল্লা, আর খারাপ কাজের মালিক শয়তান হলে, আল্লা সবকিছুর নিয়ন্ত্রক এবং সবকিছুর স্রষ্টা হয় না, তাহলে এই আল্লা সর্বশক্তিমান হয় কিভাবে ? কিন্তু হিন্দুর ঈশ্বর জগতের ভালো মন্দ সবকিছুকেই স্বীকার করে, এজন্যই তিনি গীতায় বলেছেন, জগতের সবকিছুই আমি বা এমন কিছু নেই যা আমি নই, দুর্যোধনও আমি আবার অর্জুনও আমি।
হিন্দুধর্ম হলো বাস্তবতার ধর্ম এবং বাস্তবতাকে স্বীকার করে বলেই হিন্দুধর্ম কোনো কিছুকেই অস্বীকার করে না। আর বাস্তবতার প্রতিফলন হলো পৌরাণিক কাহিনীগুলো, তাই পৌরাণিক কাহিনীগুলোতে খুন-ধর্ষণ-অপহরণের মতো ঘটনাগুলো এসেছে, অসুররা যে খুন-ধর্ষণ-অপহরণের মতো ঘটনা ঘটাবে তাতে তো কোনো সন্দেহ বা সমস্যা নেই, কিন্তু দেবতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ইন্দ্র যখন এই ধরণের ঘটনা ঘটায় তখন, খালি চোখে কিছু প্রশ্ন তোলাই যায়, সেটা হলো- দেবরাজ ইন্দ্র এই ধরণের ঘটনা ঘটাবে কেনো ?
দেবরাজ ইন্দ্র হলো পৃথিবীর খল রাজাদের প্রতীক, যারা দেবতার মতো শক্তিশালী কিন্তু মন দুষ্টবুদ্ধিতে পূর্ণ। খল রাজারা যেমন নিজের রাজ্য বাঁচাতে অনেকে নানারকম ছলা করা করে এবং ভোগ বিলাস করতে ছাড়ে না, ইন্দ্রের চরিত্রও তেমন।
তাই পৌরাণিক দেবতাদেরকে, তাদের কিছু কর্মের জন্য, যারা তাদেরকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখে বা তাদের সমালোচনা করে; তারা আসলে হিন্দুধর্মের সামগ্রিকতাকে বুঝে না বা সেটাকে উপলব্ধি করতে পারে না; তাই তারা দেবতাদের সমালোচনা করে তাদের মূর্খতাকে প্রকাশ করে মাত্র।
আশা করছি দেব-দেবীদের গল্পগুলো যে আসলে কী এবং সেগুলো কেনো লিখা হয়েছিলো, সেই বিষয়টা আমার পাঠক বন্ধুদেরকে বোঝাতে পেরেছি।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜

রূপক রায়-এর কলাম ( তেরো )


রূপক রায়-এর কলাম ( তেরো )
ফেসবুক থেকে       শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু





প্রণব কুমার কুণ্ডু








রাজকুমার রাজবংশী,
ছাগলটা কে, সেটা একটু পরই বুঝতে পারবে।
কাম ত্যাগ বলতে ভগবান কামের ভোগ বাসনা ত্যাগ করতে বলেন নি, কামকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলে অবৈধ বা অনুচিত কামের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
সেক্স, ভগবানের নাম নিয়ে সন্তান উৎপাদনের জন্য করা উচিত, এতে আমার কোনো দ্বিমত নেই।
কিন্তু স্ত্রীর দেহ ভোগ করার জন্য সেক্স করা পাপ, এটা কোথায় লিখা আছে ?
নারীরও যে শরীরের চাহিদা আছে, এটা কি বোঝো ? নারীরা লজ্জা ও জড়তার কারণে নিজের চাহিদার কথা সব সময় মুখ ফুটে বলে না, কিন্তু মাসের পর মাস যে স্বামী তার স্ত্রীর যৌন চাহিদা মেটায় না, সেই নারী ই বিপথে পা বাড়ায় এবং পরিবার, সমাজ ও সংসারকে কলঙ্কিত করে, এটা বোঝার মতো বাস্তব বুদ্ধি কি তোমার আছে ? এই বাস্তব বুদ্ধি যদি তোমার না থাকে, তাহলে তুমি তোমার বিশ্বাস- স্ত্রীর দেহ ভোগ করার জন্য সেক্স করা পাপ- নিয়ে থাকো, অন্যদিকে তোমার স্ত্রী অন্যের বিছানায় গিয়ে সময় কাটাক বা তোমার বিছানাতেই অন্যকে ডেকে আনুক, আর এসব বিষয় কানাকানি হয়ে তোমরা প্রতিবেশিরা তোমায় হিজড়া বলুক, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
চৈতন্যদেবের আদর্শ তো রাত্রিবেলা চুপি চুপি ঘুমন্ত স্ত্রীকে বিছানায় রেখে, স্ত্রী ও মায়ের দায়িত্ব পালন না ক'রে সংসার থেকে পালিয়ে যাওয়া; তার ভক্তদের ৯৯% সংসারে থেকে হরিভক্তি করবে কেনো ? আবার শুনি চৈতন্যদেব নাকি বলে গেছে সন্ন্যাস কলি যুগের জন্য নয়, তাহলে বাকি ১ % চৈতন্য ভক্তই বা সন্ন্যাস নিয়ে হরিনাম প্রচার করবে কেনো ? এখানে আরেকটা প্রশ্ন, চৈতন্যদেব যদি বলে যান যে, সন্ন্যাস কলিযুগের জন্য নয়, তাহলে তিনি কেনো সন্ন্যাস নিয়ে সংসার ত্যাগ করেছিলেন, তিনি কি সত্যযুগের মানুষ ?
শ্রীকৃষ্ণকে আমি ঈশ্বর মানি না, এটা তোমার মাথায় ঢুকলো কিভাবে ? শ্রীকৃষ্ণের ঈশ্বরত্ব প্রমাণ করার জন্য এবং তার চরিত্রকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য গত চার বছরে আমি যে পরিশ্রম করেছি, সেটা আজ পর্যন্ত বাংলার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান করে নি, এটা আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি। আর শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে আমি যত পোস্ট লিখেছি, সেটা তুমি যেকোনো একদিন সারাদিন পড়েও শেষ করতে পারবে না। আমার চেয়ে তুমি শ্রীকৃষ্ণকে বেশি জানো, না বেশি বড় ভক্ত যে শ্রীকৃষ্ণ বিষয়ে আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছো ?
তোমার কমেন্টের পরে Hriday Chowdhury নামের এক বলদা কমেন্ট করেছে,
"ভগবান দৃষ্টিপাত করা মাত্রই গর্ভ সঞ্চার হয়।"
নিশ্চয় এই জ্ঞান সে অশ্লীল ও বিকৃত পুরাণগুলো থেকে অর্জন করেছে, যেখানে কৃষ্ণের ১৬১০৮ স্ত্রীর কথা বলা হয়েছে এবং প্রত্যেক স্ত্রীর ১০টি ছেলে এবং ১টি মেয়ে হিসেবে ১,৭৭,১৮৮ জন সন্তানের কথা বলা হয়েছে; এটা যে বিশ্বাস করে তাকে তো ঐ থিয়োরি বিশ্বাস করতেই হবে যে, "ভগবান দৃষ্টিপাত করা মাত্রই গর্ভ সঞ্চার হয়"।কারণ, এই হিসেবে প্রতিদিন কৃষ্ণের সন্তান জন্ম নিতো প্রায় ২০/২৫ জন, একটা লোকের পক্ষে সেক্স করে তো আর এত সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়; তাই ঐ ধরণের আজগুবী বিশ্বাস। আর কৃষ্ণ সম্পর্কে এতটুকু জ্ঞান নিয়ে হৃদয় এবং তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গো আমার সাথে ডিবেট করতে চায়, আমার সম্পর্কে যারা জানে এবং যারা আমার টোটাল লেখার সাথে পরিচিত, তারা এটা শুনলেই তো হেসে ফেলবে।
শুনরে মূর্খের দল, শ্রীকৃষ্ণের একজন মাত্র স্ত্রী ছিলো, তিনি রুক্মিণী এবং তাদের একজনই সন্তান ছিলো- নাম প্রদ্যুম্ন। এর বাইরে কৃষ্ণের স্ত্রী ও সন্তান সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়, সবই মিথ্যা প্রচার, আর এগুলো আমি তথ্য প্রমাণ যুক্তি সহ অনেক আগেই ফেসবুকে পাবলিশ করে দিয়েছি, যারা এগুলো পড়েছে, তারা জানে আমার নলেজ সম্পর্কে, তোরা এসব বিষয়ে ঘেউ ঘেউ করিস, কারণ, সেই পোস্টগুলো পড়ার সৌভাগ্য তোদের হয় নি। তাই কৃষ্ণ সম্পর্কে প্রকৃত সত্য জানিস না এবং আমার কৃষ্ণ প্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলিস।
হৃদয় নামের বলদা আরো বলেছে, রুক্মিণী ও কৃষ্ণ নাকি যৌন জীবন যাপন করে নি !
তোদের চৈতন্যদেব যেমন হিজড়া, বিয়ে করে বউকে ছেড়ে পালিয়ে যায়, তেমনি শ্রীকৃষ্ণকেও মনে করিস নাকি ?
আচ্ছা, একটা কথা বল তো, বিয়ে করা বৈধ স্ত্রীর সাথে সেক্স করলে তোদের এত আপত্তি কিসের ? নাকি ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের বর্ণনা মতো- রাধা ও কৃষ্ণের তথাকথিত পরকীয়া প্রেম ও যৌনলীলাকেই তোরা সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চাস ?
বেওয়ারিশ কুত্তার মতো ঘেউ ঘেউ না করে, ঠিক ঠাক যুক্তি দিয়ে উত্তরগুলো দিস।
জয় হিন্দ।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜