মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

রাম সীতা লক্ষ্মণ শিব ও মায়ামৃগ


রাম সীতা লক্ষ্মণ শিব ও মায়ামৃগ

( রামায়ণের পটভূতিতে স্বকপোলকল্পিত গল্প ! )

দণ্ডকারণ্যে
মায়াবী মারীচ হলেন মায়ামৃগ !
মারীচ মৃত তারকা রাক্ষসীর পুত্র !

মায়ামৃগ সোনালি রঙের !

সীতার অনুরোধে
সেই সোনালি মায়ামৃ্গ ধরতে
রাম
মৃগটির
পিছু পিছু দৌড়লেন !

ধরতে না পেরে
মায়ামৃগের পা লক্ষ্য করে
তির ছুঁড়তে লাগলেন !

একটা তির
মায়া মৃগের বুকে গিয়ে বিঁধলো !

তাতে মায়ামৃগ
ছটফট করতে করতে
রক্তাক্ত হয়ে
মারা পড়ল !

রাম
লক্ষ্মণের সাহায্যে
মৃত মায়ামৃগটাকে আশ্রমে নিয়ে এলেন !

রাম-লক্ষ্মণ
দুজনে মিলে
হরিণটার
ছাল ছাড়ালেন !

মায়ামৃগের মাংস
টুকরো টুকরো করে
কাটলেন !

সীতা রান্না করলেন !

রাম লক্ষ্ণণ সীতা
তিনজন মিলে
জমাটি করে
মাংসের কষা-রান্না খেলেন !

মায়ামৃগের
সোনালি ছালটি
রাম

নেংটা শিবের কাছে
পাঠিয়ে দিলেন !

গোধরা


গোধরা
Facebook
Pranab Kumar
শুভদীপ গাঙ্গুলির ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে !
শেয়ার করেছন   প্রণব কুমার কুণ্ডু।
·Subhadip Ganguli
##@@@গোধরা এক অন্য ইতিহাস @@@##


গুজরাটের দাঙ্গার কথা সবাই জানে। গোধরার নাম জানে কজন?? গোধরার ট্রেন অগ্নিকাণ্ড এর খবর বিস্তারিত ভাবে বেশির ভাগ বাঙালিই জানে না। গোধরায় 2002 সালে ট্রেন অগ্নিকাণ্ডের আগে সেখানকার ইতিহাস একটু জেনে নিই। 2002 সালে প্রথম হিন্দু নিধন যজ্ঞ হয়েছিল তা কিন্তু নয়। গোধরা বরাবর ভারতবিরোধী কার্যকলাপের জন্য কুখ্যাত।
গোধরায় আগেও অনেক দাঙ্গা হয়েছে। 2002 সালের আগে 1947, 1952,1959, 1961,1967, 1972, 1974, 1980, 1983, 1989, 1990 এবং 1992 সালেও দাঙ্গা হয়।
কিছু ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিচ্ছি যাতে গোধরার মানসিকতা বুঝতে পারা যায়।
1. 1948 সাল: এই বছর 24 শে মার্চ এক দুধওয়ালাকে হত্যা করা হয় ও সাথে হিন্দুদের বাড়ি দোকান সব জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
2. 1948 সাল: এই বছর 15 ই আগস্ট ভারতীয় পতাকায় আগুন লাগানো হয়। এই জঘন্য কাজে অভিযুক্ত ছিল এক শিক্ষক ও স্থানীয় হোটেলের মালিক এম কে হুসেন সৈয়দ। ওই একি দিনে এক মুসলিম স্কুলের শিক্ষক নিরঞ্জন নটবর শাহকে বরখাস্ত করা হয়। অপরাধ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া।
3. 1965 সাল : হিন্দুদের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় হোটেল মালিক বিদানী ও ভোপা। আক্রমণ করা হয় সাব ইন্সপেক্টর রাওয়ালকে। আক্রমণকারী ছিল সিকন্দর মেওয়ান ও আবদুল আজিজ খাদা।
4. 1980 সাল: ফালিয়া সিগন্যালে 5 জনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয় যার মধ্যে 5 ও 7 বছরের দুজন শিশুও ছিল। আমিনা বিবির নেতৃত্বে ওই নৃশংস ঘটনা ঘটে। এই সেই ফালিয়া সিগন্যাল যেখানে 2002 সালে ট্রেনে আগুন লাগানো হয়।
5. 1990 সাল: এই বছর 28 শে নভেম্বর বোরওয়াদ সাফিয়া মাদ্রাসার চার হিন্দু শিক্ষককে হত্যা করা হয় যার মধ্যে 2 জন মহিলাও ছিল। এদের নাম হলো প্রবীণ শাহ, কমলেশ পাণ্ডা, প্রবীণা দাভে ও সরোজ বারোট।
ট্রেন অগ্নিকাণ্ডের ঠিক কিছুদিন আগে 15 ই ফেব্রুয়ারি, 2002 সালে গুজরাট ATS তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে এক জন তবলিঘ-ই-জামাত এর সদস্য আসাদ আহমেদ মুনশী। তাকে সুরাটের কাছে দাভেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য দুই ব্যক্তি ছিল ইনাম উল হক বানারসী ও হুসেন আহমেদ মনিয়ার। এদের কাছে 4.2 কেজি বিস্ফোরক, 9 টি 30 mm পিস্তল, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়। কোনো বড় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল বোঝাই যায়।
তবলিঘ-ই-জামাত হলো একটি মৌলবাদী সংগঠন, 1920 সালে এর প্রতিষ্ঠা হয়। এরা মুসলিম সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণ দাবি করতো।
ট্রেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা :
27 শে ফেব্রুয়ারি 2002 সালে সবরমতী ট্রেন গোধরা স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চার ঘন্টা পরে সকাল 7:43 এ পৌঁছায়। ট্রেন স্টেশন থেকে ছাড়তে শুরু করলে বারবার চেন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করা হলে এমারজেন্সি ব্রেক ব্যবহার করে ট্রেন থামানো হয়। ট্রেন থামতে 3 মিনিট সময় লাগে ও ট্রেনটি ফালিয়া সিগন্যালে এসে থেমে যায়। হাজার খানেক মানুষ ট্রেনটিকে ঘিরে আকবর এর আওয়াজ দিতে থাকে। এরি মাঝে স্লিপার কোচ S6 এ উঠে কেউ প্রায় 140 লিটার পেট্রল ঢেলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন লাগিয়ে দেয়। উন্মত্ত জনতা পাথর ছুঁড়তে থাকে। ট্রেনের জানলা দরজা দিয়ে শুধু আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসে। জীবন্ত মানুষের পুড়ে যাবার আর্তনাদ ঢাকা পড়ে যায়।
2011 সালে ফেব্রুয়ারিতে 31 জন প্রধান অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনায় ট্রায়াল কোর্ট সঙ্গে 63 জন সহযোগীকে। পূর্ব পরিকল্পিত হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে IPC এর ধারা 302 ও 120B লাগানো হয়। সঙ্গে আরো অন্য ধারা 149, 307, 323, 324, 325, 332, 395, 397 এবং 436। 11 জন যারা আগের রাতে এক মিটিং এ উপস্থিত থেকে ষড়যন্ত্র করেছিল, কোর্ট তাদের ফাঁসির সাজা শোনায়। 20 জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মোল্লারা পনরাই গুজরাটের হাইকোর্টে আপিল করে। গতকাল বিচারক সাজা শুনিযেছেন; 11 জনের মৃত্যু দণ্ড রোধ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ।। এই হল আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা!!
গোধরার এক মৌলভী হুসেন হাজী ইব্রাহিম উমরজি ও CRPF এর এক বরখাস্ত অফিসার নানু মিঁয়া ছিল এই নারকীয় ঘটনার মাস্টার মাইণ্ড। ট্রেন আসার ঘন্টা কয়েক আগে রাজ্জাক কুরকুরের গেস্ট হাউসে মজুত করে রাখা হয় 140 লিটার পেট্রল।
অনেক মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদী জির হাত রক্তে লাল বলে। তাদের একবার এই ইতিহাস পড়তে অনুরোধ করছি। আর যারা বিরোধিতা করবে তাদের দুই গালে কষে দুটো থাপ্পড় লাগালাম। আমার এই মারার কথায় যে অনুভূতি হবে রাগের সেটা হলো " সব ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া থাকবেই" । এটাই জীবনের নিয়ম। আঘাত করলে প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। মিডিয়া দেখায় না। দেখালে তাদের খবরের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। এই দেশে অখলাক খবর হয়। পুরস্কার ফিরিয়ে দেয় বুদ্ধিহীন তাঁবেদাররা। প্রতিবাদ একপেশে। প্রতিবাদ নির্বাচিত। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সবার আগে ধর্ম দেখা হয়। আক্রান্ত মুসলিম হলে সেটা উল্লেখ করা হয়। আক্রমণকারী হিন্দু হলেও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আক্রান্ত হিন্দু আর আক্রমণকারী মুসলিম হলে সবার চোখ, কান, মুখ, বুদ্ধি সবেতেই মরচে পড়ে যায়। আসলে তালা লাগিয়ে সাধারণ বুদ্ধিকে ক্রীতদাস করে রেখেছে এরা। কাজেই আমাদের এত জোরে চিৎকার করতে হবে যে ওই তালা নিজে থেকেই খুলে যাবে এক দিন।
বন্দে মাতরম
জয় হিন্দুসথান ।।
বন্দে মাতরম ।।
শুভদ্বীপ গাঙ্গুলী