মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শরৎ চ্যাটুজ্যে


শরৎ চ্যাটুজ্যে

শেয়ার করেছেন, ফেসবুক থেকে, প্রণব কুমার কুণ্ডু।

শরৎচন্দ্র মারা গেছেন প্রায় আশী বছর আগে। এখন ওনাকে নিয়ে কিছু খুলাখুলি আলোচনা হতেই পারে। শরৎচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ , দুজনে এমন মাপের মানুষ, যাদের নিয়ে বহু লোক সারা জীবন পড়াশোনা করে গিয়েছেন। তবে রবীন্দ্রনাথের পড়ুয়া সংখ্যা আমার মনেহয় বিশ্বে সর্বাধিক। এত বেশী বিদেশী ভাষাভাষী, একক একজন লেখককে নিয়ে পড়াশোনা করেননি।
শরৎচন্দ্রের সঙ্গে পাঠকের সম্পর্কটা ওয়ান ইজ টু ওয়ান। মাঝে না ছিল কোন প্রচার, না ছিল বিজ্ঞাপন। বাঁধা ছিল বিস্তর, তার উপর,পথের দাবী, বাজেয়াপ্ত হলে, সাধারন মানুষ, শরৎ চন্দ্র সম্পর্কে ভয় পেয়ে গেলো। লোকের মূখে মূখে শরৎ চন্দ্র বাংলার কোনে কোনে পৌছে গেলেন।
এখন জানতে ইচ্ছে করে উনি মানুষ হিসাবে কেমন ছিলেন?
আমি শরৎ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্যাম সুন্দর বন্দোপাধ্যায় কে খুব কাছ থেকে দেখার সূযোগ পেয়েছি। উনি শরৎ চন্দ্রকে দেবতা জ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন।বাংলায় ডক্টরেট করেন শরৎ চন্দ্রের উপর লিখে। ওনার একটি বই শরৎ চেতনা। বইটির একটি কপি, আমার মা কে উপহার দিয়েছিলেন। আমার মা ও বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন।
বইটি পড়ে আমি শরৎ চন্দ্রের ব্যক্তিগত জীবন কিছু জানতে পারি। ডঃ শ্যাম সুন্দর বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ঐ, শরৎ চেতনা, ই একটু ঘষে মেজে ওনার ডক্টরেট ডিগ্রী হয়েছিলো।
শরৎ চন্দ্র ও রবি ঠাকুরের একটু বিবাদ হয়, পথের দাবীকে অবৈধ ঘোষনা করা নিয়ে। রবি ঠাকুর এক পত্র দেন শরৎ চন্দ্রকে। বিষয়টা পথের দাবী প্রকাশে ওনার আপত্তি। শরৎ চন্দ্র একটু কড়া জবাব দেন।তবে পত্রবাহক শরতের পত্র বিশ্বকবিকে দেন নি।
এ সম্পর্কে শ্যাম সুন্দর ব্যানার্জীর বক্তব্য - বাপ জ্যাঠার বিবাদে সন্তানের কথা বলা অনুচিত।
শরত মারা গেলে, ব্রাহ্ম সমাজের মূখপাত্র, এক লাইন খবর ছাপে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নামক এক লেখক পরলোকে।
শরতের চরিত্রহীন, প্রকাশিত হলে, রবি ঠাকুরের উক্তি - এত দিনে চরিত্রহীনের চরিত্র বোঝা গেলো। উত্তরটা শরত দেন, ভ্রাতা ও ভগিনী মিলনে যে বালকের সৃষ্টি, তাহা টিকিলো না,টিকিতে পারেনা।রবি ঠাকুর ও তার বোন একটি পত্রিকা প্রকাশের চেষ্টা করে, যা কয়েক সংখ্যার পর, বন্ধ হয়ে যায়। নাম বালক।
শরত বর্মায় ১৯০৬ সালে শান্তি দেবীকে বিয়ে করেন, তার একটি পুত্র সন্তান হয়। দুজনে প্লেগে ১৯০৮ এ মারা যায়।
দুঃখে উনি ফিরে আসেন। তারপর হাওড়ায় মোক্ষদা,উনি নাম দেন হিরন্ময়ী, নামে এক মহিলার সঙ্গে থাকেন, ১৯১০.থেকে।তখন ওনার বয়স চৌত্রিশ। ওনাকে নাকি বিয়েই করেন নি।তবে এক নিষ্ঠভাবে ভালোবেসেছিলেন, সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
শরত বাবুর সঙ্গে বিপ্লবীদের গোপন যোগাযোগ ছিলো।উনি দেশপ্রেমী বিপ্লবীদের সমর্থন করায় অনেকে ওনাকে সমালোচনা করতো।উনি নোবেল পাননি। অথচ বহু নোবেল জয়ী ওনার ধারে কাছে আসে কিনা, সন্দেহ আছে।১৯৭৫ নাগাদ দেশ পত্রিকায়, সাহিত্যে নোবেল লরিয়েট দের লেখা, ধারাবাহিক প্রকাশিত হতো, পড়ে যতটুকু বুঝেছি,, শরতচন্দ্র কারুর থেকে কম নন। তবে পথের দাবীর একটি লাইন মনে আছে - সাপটা তোমাকে অকারনে ছোবল মারিবেনা, উহা ইংল্যান্ড হইতে আসে নাই।
সমালোচক রা শরতচন্দ্রকে দুশ্চরিত্র, খারাপ পাড়ার খদ্দের বলতেও ছাড়েন নি। এসম্পর্কে শরতের বক্তব্য, যাকে ভালোবাসিনা, তাকে ভোগ করার কথা চিন্তাও করিনা।
ওনার মত স্পষ্টবাদী মানুষকে ভরসা করা যেতেই পারে। হয়তো গিয়ে মদ্যপান করতেন। সম্পর্ক তৈরী করলে, ওনার লেখায় প্রকাশ পেতো।
মৃত্যুর পর সম্পত্তি ছিলো সামান্য। বই লিখেও ঠকে গেছেন। এনারা বাঙালীকে শুধু দিয়েই গেছেন। বিনিময় নেননি কিছুই।পাঠকের শ্রদ্ধাটাই এনাদের সেরা পাওনা

Soumen Dutta খুব সুন্দর পোস্ট। ধন্যবাদ
পরিচালনা করুন



Laboni Kundu রামের সুমতি...মেজদিদি....চন্দ্রনাথ,...অরক্ষনাীয়া....গগৃহদাহ ---- পড়ার সময় যখন কেঁদে ফেলি তখন অন্তঃস্থলের সাম্রাজ্যের সম্রাট তিনি., নোবেল সেখানে তুচ্ছ ,...
পরিচালনা করুন



Prince Nandy শ্রদ্ধেয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশি কিছু বলার ধৃষ্টতা আমার নেই,তবে বাংলা সাহিত্যে কথা সম্রাট একজনই ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন; ওঁনার 'ইন্দ্রনাথ ও শ্রীকান্ত' যে বয়সে পড়েছিলাম,সেটা ইন্দ্রনাথের মতোই দামাল বয়স ছিল,গল্পটা পড়ার সময় নিজেকে ইন্দ্রনাথ আর বাস্তবে সেই কাজগুলো করছি সেটাই মনে হত l লেখকের জয় তো এখানেই, যে পাঠককে গল্পের চরিত্রের সাথে মিলিয়ে দিতে পারে
1

সনাতন ধর্ম


সনাতন ধর্ম

শেয়ার করেছেন, ফেসবুক থেকে, প্রণব কুমার কুণ্ডু।

Sanatan Dharma / সনাতন ধর্ম
দেব-দেবী তত্ত্ব ও মূর্ত্তিপূজার যৌক্তিকতা- ( ১ থেকে ৫ )
দেব-দেবী তত্ত্ব ও মূর্ত্তিপূজার যৌক্তিকতা-১
বেদ বলছে, “ঈশ্বরস্য প্রতিমা নাস্তি”।
ঈশ্বরকে অন্য কোন কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। প্রতিমা মানে তুলনা। মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য বলেছেন,-
“দ্যোততে ক্রীড়তে যস্মাদুদ্যতে দ্যোততে দিবি।
তস্মাদ্দেব ইতি প্রোক্তঃ স্তূয়তে সর্ব দেবতৈঃ”।।
অর্থাৎ যার দ্বারা সৃষ্টি-স্থিতি-লয় একীভূত হয় তাকেই ‘দেব’ নামে অভিহিত করা হয়। আসলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে যা কিছু হয়েছে, হচ্ছে ও হবে তার জন্যে বিশেষ বিশেষ ক্রিয়া ব্রহ্মেরই মানস ক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। ব্রহ্মের এই এক এক ধরণের অভিব্যক্তিকে এক একটা ‘দেব’ বলা হয়।
তন্ত্র বলছে, আত্মার যে অভিস্ফুরণ অনুদেহে ও অনুমানসে অজস্রভাবে হয়ে চলেছে ও সেই অভিব্যক্তিগুলো যাতে ভাল ভাবে হতে পারে সেই জন্যে মানুষের শরীরে অজস্র স্নায়ুতন্তু (nerves) রয়েছে। এই অভিব্যক্তিগুলির বাহক হিসেবে মানুষের এক একটা স্নায়ুতন্তুকে এক একটা ‘দেব’ বলা যায়।
-------------------------------------
দেব-দেবী তত্ত্ব ও মূর্ত্তিপূজার যৌক্তিকতা-২
এ তো যোগশাস্ত্র বা তন্ত্রের ব্যাপার। সাধারণতঃ দেব-দেবী বলতে যা বোঝায় মুখ্যতঃ তারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। যেমন,-
১) লৌকিক দেব-দেবী,
২) পৌরাণিক দেব-দেবী,
৩) বৈদিক দেব-দেবী ও
৪) তান্ত্রিক দেব-দেবী।
১) লৌকিক দেব-দেবীঃ
যেখানে যে জিনিসের ভয়, তা থেকে বাঁচবার জন্যে সেখানকার সাধারণ মানুষ ভয় ও অজ্ঞতার কারণে সেই সম্পর্কিত কোন দেবী বা দেবতার কল্পনা করে। এদের লৌকিক দেব-দেবী বলা হয়। এই লৌকিক দেব-দেবীদের পরিচিতি ও প্রভাব সেই বিশেষ অঞ্চলেই সাধারণতঃ সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন,- যেখানে সাপের ভয়, সেখানকার মানুষ সাপের ভয় থেকে বাঁচাবার জন্যে একটি দেবীকে কল্পনা করলো- ‘মনসা’।
দক্ষিণ বাঙলায় সমুদ্রের কাছে কুমীরের উপদ্রব রয়েছে, দক্ষিন চব্বিশ পরগনায় সুন্দরবন এলাকায় বাঘের উপদ্রব রয়েছে সুতরাং দেবতা তৈরী হলেন- ‘কালু রায়’, ‘দক্ষিন রায়’।
দক্ষিন রায়কে সন্তুষ্ট রাখলে বাঘে খাবে না, বাঘ হামলা করবে না। তেমনি ভয়ের চোটে তৈরী হ’ল ‘বনবিবি’।
বনে ঢোকার আগে তার পূজা দিলে বিপদ হবে না। এই ভাবে অজস্র দেব-দেবী তৈরী হ’ল। এই সব দেবতার অস্তিত্বও স্বীকার করতে হয়, কারণ-এক একটা অভিব্যক্তিকেই বলা হচ্ছে এক একটা দেবতা।
এখানে এই লৌকিক দেবী-দেবতারা তৈরী হলেন ভয় থেকে। এখন এই সব দেবী-দেবতার মহিমা প্রচার না হলে তো লোকে তাকে মানবে না। তাই লেখা হল পদ্ম পুরাণ, লেখা হ’ল মনসা মঙ্গল, লেখা হ’ল পদ্মাবতী কাব্য, আরও কত কিছু। বেহুলা-লখীন্দরের গল্প তৈরী করে বোঝানো হলো যে এ দেবীটি যে-সে নয়। একে তুষ্ট রাখতে না পারলে নানান ধরণের বিপদ হবে। শুধু তাই নয়, এই দেবী-দেবতাদের মধ্যে মানুষের মত পারস্পরিক লড়াই আছে, ঝগড়া আছে, রেষারেষিও আছে, কামড়া-কামড়িও আছে।
এই লৌকিক দেব-দেবীর অধিকাংশের মন্ত্রগুলো একেবারে আধুনিক ভাঙ্গা সংস্কৃতে তৈরী, আবার কোথাও সংস্কৃতও নয়, স্থানীয় ভাষায় পুজাপাঠ হয়। যেমন-সত্য নারায়ণের পাঁচালী, লক্ষ্মীর পাঁচালী, দক্ষিণ রায়ের পাঁচালী আছে। সংস্কৃত মন্ত্র জোটেনি, তাই বাংলা পাঁচালীতেই কাজ সারা হয়। আবার এক অংশের লৌকিক দেব-দেবীকে অন্য অংশের লোকেরা জানেও না।
--------------------------------------
দেব-দেবী তত্ত্ব ও মূর্ত্তিপূজার যৌক্তিকতা-৩
২) পৌরাণিক দেব-দেবীঃ
পৌরাণিক দেব-দেবীদের সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আগেই জানতে হবে পুরাণ কাকে বলে। সংস্কৃত সাহিত্যকে মোটামুটি চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।যেমন,- ইতিকথা, ইতিহাস, কাব্য ও পুরাণ।
‘ইতিকথা’ মানে ইতি কথ্যতে অর্থাৎ এই রকমই বলা হয়েছে। ঘটনার পঞ্জীকরণের নাম ‘ইতিকথা’ ইংরেজীতে History, অর্থাৎ যেমনটি ঘটেছে তারই পঞ্জীকরণ, তারই রেকর্ড। তাতে ভাল-মন্দের কোন প্রশ্নই নেই।
আর ‘ইতিহাস’ হ’ল- ‘ইতি হসতি ইত্যর্থে ইতিহাস’ অর্থাৎ ইতিকথার যে অংশগুলো থেকে মানুষের কল্যাণ হয়, সেই অংশগুলোর নাম ‘ইতিহাস’।
ইতিহাসের কোন ইংরেজী প্রতিশব্দ নেই। যেমন- চৈতন্য চরিতামৃতম, মহাভারত। আজকাল স্কুল-কলেজে ছেলেমেয়েদের ইতিকথা পড়ানো হয়, ইতিহাস পড়ানো হয় না।
কাব্য হ’ল – ‘বাক্যং রসাত্মকং কাব্যং’।
ঘটনাটা সত্যই হোক বা মিথ্যাই হোক, যদি তা রসাত্মক হয়, রসযুক্ত হয়, তাকে বলা হয় কাব্য।

আর পুরাণ হলো- ঘটনাটা সত্য নয়, কিন্তু লোক শিক্ষার উপাদান রয়েছে, Educative value রয়েছে। যেমন- রামায়ণ। এক একটা চরিত্র ঠিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এক একটা চরিত্রের মধ্যে থেকে এক এক ধরণের লোক শিক্ষা আমরা পাচ্ছি। পুরাণের মূল্যটা ওই লোক শিক্ষাতেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে ঘটনাটা সত্য নয়। বর্তমান যুগেও এমন অনেক উপন্যাস আছে, অনেক নাটক আছে, যাতে লোক শিক্ষার পুরো উপাদান রয়েছে। কিন্তু সেই নাটকের চরিত্রগুলো তো আর বাস্তব নয় বা সেই চরিত্রগুলোকে নিয়ে ফুল বিল্বপত্র দিয়ে পুজা করাও চলে না। মূর্ত্তি গড়ে ষোড়শপচারে পূজা করাও যায় না, তা করতে গেলে মস্ত বড় একটা ভুল হয়ে যাবে। এই ধরণের ভুলকে সংস্কৃতে ‘প্রমাদ’ বলে অর্থাৎ যার গোড়াতে ভুল, মাঝে ভুল আর শেষেও ভুল। গোড়াতেই ভুল কারণ চরিত্রগুলোই তো কাল্পণিক, যদিও লোক শিক্ষার জন্যে মহৎ উদ্দেশ্যেই তৈরী করা হয়েছে।
-----------------------------------------
দেব-দেবী তত্ত্ব ও মূর্ত্তিপূজার যৌক্তিকতা-৪
কথিত আছে, এই ধরণের আঠারটি পুরাণ ব্যাসদেব লিখেছিলেন। এই পুরাণগুলি লেখার পরে ব্যাসদেব বলেছেন,-
“রূপ রূপবিবর্জিতস্য ভবতো যদ্ধানেন কল্পিতম্‌।
স্তুত্যাহনির্বচনীয়তাহখিল গুরো দূরীকৃত্য যন্ময়া।।
ব্যাপিত্বং চ নিরাকৃতং ভগবতো যৎতীর্থ যাত্রাদিনা।
ক্ষন্তব্যং জগদীশো তদ্বিকলতাদোষত্রয়ং মৎকৃতম্‌”।।
“রূপ রূপবিবর্জিতস্য ভবতো যদ্ধানেন কল্পিতম্‌”।
ব্যাসদেব বলছেন,- হে পরমপুরুষ, তুমি রূপাতীত, তোমার কোন রূপ নেই। আমি তোমার রূপের বর্ননা করে অন্যায় করেছি। আমি তোমার ধ্যান মন্ত্র রচনা করতে গিয়ে তোমাকে নানান রূপের বন্ধনে আবদ্ধ করেছি।কোথাও বলেছি তিন চোখ, কোথাও বলেছি পঞ্চমুখ, কোথাও বলেছি চার হাত ইত্যাদি। এ ধরণের বলাটাই আমার প্রথম অন্যায় হয়ে গেছে।

“স্তুত্যাহনির্বচনীয়তাহখিল গুরো দূরীকৃত্য যন্ময়া”।
গুণাতীত সত্তার গুণের বর্ননা করা যায় না অথচ স্তুতি করতে গেলে বলতে হচ্ছে – তুমি এই করেছ, ওই করেছ; তুমি এই করতে পার, ওই করতে পার ইত্যাদি। অর্থাৎ স্তুতি করতে গিয়ে যাঁর গুণের শেষ নেই তাঁকে গুণের বাঁধনে বেঁধে ফেলা হচ্ছে। তাঁর অনির্বচনীয়তাকে খণ্ডিত করে ফেলা হচ্ছে। তাই ব্যাসদেব বললেন, এটা আমার দ্বিতীয় অপরাধ।

“ ব্যাপিত্বং চ নিরাকৃতং ভগবতো যৎতীর্থ যাত্রাদিনা”।
যিনি সর্বব্যাপী সত্তা, যিনি সর্বানুস্যূত, সবকিছুতেই সাক্ষীরূপে স্থিত তাঁর সম্বন্ধে এই স্থানটিতে তিনি মাখন খেয়েছিলেন, এই খানে তিনি গঙ্গাস্নান করেছিলেন এইসব বলে তাঁকে বিশেষ দেশের বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলেছি, এটা আমার তৃতীয় অপরাধ।
“ক্ষন্তব্যং জগদীশো তদ্বিকলতাদোষত্রয়ং মৎকৃতম্‌”।
তাই সবশেষে পুরাণকার ব্যাসদেব পরমপুরুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন- হে জগদীশ আমার এই চিত্ত বিকলতা প্রসূত অপরাধত্রয়কে তুমি ক্ষমা করো।
---------------------------------
দেব-দেবী তত্ত্ব ও মূর্ত্তিপূজার যৌক্তিকতা-৫
মানুষের কল্পনা প্রসুত এইসব দেব-দেবীর মূর্ত্তি গড়ে তার পূজা করে মানুষ মুক্তি বা মোক্ষ পেতে পারে না। তাই ভগবান শিব বলে গেছেন-
“মনসা কল্পিতা মূর্ত্তিঃ নৃণাং চেন্মোক্ষসাধনী।
স্বপ্ন লব্ধেন রাজ্যেন রাজানঃ মানবাস্তথা”।।
অর্থাৎ কোন মানুষ যদি স্বপ্নে মনে মনে একটা রাজ্য তৈরী করে, আর মনে মনেই সেই রাজ্যের একটি রাজ প্রাসাদে, মনের তৈরী একটি স্বর্ণ সিংহাসনে উপবেশন করে; সেক্ষেত্রে স্বপ্নকালে সে রাজা হ’ল সত্যি- কিন্তু আসলে সে কি রাজা হ’ল? ঘুম ভাঙ্গার পর সে দেখে যে বাস্তব জগতে সে ছেঁড়া মাদুরে ছেঁড়া কাঁথা জড়িয়ে ঘুমোচ্ছিল।

স্বপ্ন লব্ধ রাজ্যের রাজা হওয়া যেমন উদ্ভট, অবাস্তব জিনিস, ঠিক তেমনই মানুষের কল্পিত মূর্ত্তির কাছে মুক্তি-মোক্ষ পাবার আশা আসলে শুধু দুরাশা নয়, আগা গোড়াই হতাশা।
\কারণ, ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছেন, মানুষ সৃষ্টি করেছে মূর্ত্তি। তাই মানুষের সৃষ্ট মূর্ত্তি তাকে অর্থাৎ মানুষকে তার স্রষ্টার কাছে পৌঁছে দিতে পারে না।

জানবার কথা ৫


জানবার কথা ৫

শেয়ার করেছেন               প্রণব কুমার কুণ্ডু, ফেসবুক থেকে


-- দক্ষিণ এশিয়া --

• প্রস্তর যুগ 70000--3300 খৃঃ পূঃ

• মেহেরগড় 7000--3300 খৃঃ পূঃ

• হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়ো সভ্যতা 3300--1700 খৃঃ পূঃ

• হরপ্পা সংস্কৃতি 1700--1300 খৃঃ পূঃ 

• বৈদিক যুগ 1500--500 খৃঃ পূঃ

• লৌহ যুগ 1200--300 খৃঃ পূঃ

• ষোড়শ মহাজনপদ 700--300 খৃঃ পূঃ

• মগধ সাম্রাজ্য 545 খৃঃ পূঃ

• মৌর্য সাম্রাজ্য 321--184 খৃঃ পূঃ

• মধ্যকালীন রাজ্যসমূহ 250 খৃঃ পূঃ

• চোল সাম্রাজ্য 250 খৃঃ পূঃ

• সাতবাহন সাম্রাজ্য 230 খৃঃ পূঃ

• কুষাণ সাম্রাজ্য 60--240 খৃঃ

• গুপ্ত সাম্রাজ্য 280--550 খৃঃ

• পাল সাম্রাজ্য 750--1174 খৃঃ

• রাষ্ট্রকূট 753--982 খৃঃ
-- ইসলামের ভারত বিজয় --

• সুলতানী আমল 1206--1596 খৃঃ

• দিল্লী সালতানাত 1206--1526 খৃঃ 

• দাক্ষিণাত্যের সুলতান 1490--1596 খৃঃ

• হৈসল সাম্রাজ্য 1040--1346 খৃঃ

• কাকতীয় সাম্রাজ্য 1083--1323 খৃঃ

• আহমন সাম্রাজ্য 1228-- 1826 খৃঃ

• বিজয়নগর সাম্রাজ্য 1336--1646 খৃঃ

• মুঘল সাম্রাজ্য 1526--1858 খৃঃ

• মারাঠা সাম্রাজ্য 1674--1818 খৃঃ

শিখ রাষ্ট্র 1716--1849 খৃঃ

• শিখ সাম্রাজ্য 1799--1849 খৃঃ

• বৃটিশ ভারত 1758--1947 খৃঃ

• ভারত ভাগ 1947--বর্তমান।


জানবার কথা ৪


জানবার কথা ৪

শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু       ফেসবুক থেকে।

আপনি জানেন কি
সনাতন ধর্মের ওঁ শব্দের এর উৎপত্তি ও তাৎপর্য???
👉 শিব পুরাণ মতে ওঁ ধ্বনি হতে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে। তাই সনাতন(হিন্দু) ধর্মে ওঁ ধ্বনির গুরুত্ব সর্বোচ্ছ।
ওঁ প্রণবধ্বনি। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ধ্বনিশ্রেষ্ঠ। যে কোনও মন্ত্রের অগ্রে সে উচ্চারিত হয়। আবার নিরালম্ব ওঁকার উচ্চারণকারীর সামনে খুলে দিতে পারে অনন্তকে। ওঁ-কে নিয়ে কেবল ভারতীয়রাই ভাবেননি। এই ধ্বনিকে নিয়ে ভেবেছে পশ্চিম গোলার্ধ, ভেবেছে নাসা-র মতো বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থাও। আজ পর্যন্ত ওঁ ধ্বনির রহস্য পুরোপুরি উন্মোচিত নয়। সত্যি বলতে, তা হওয়াও সম্ভব নয়। এই ধ্বনির মধ্যে ডুবে রয়েছে:--  সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের রহস্য।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ওঁ-সংক্রান্ত ৫টি তথ্য।
১. ওঁ ধ্বনি থেকেই অন্য যাবতীয় ধ্বনি উচ্চারিত হতে পারে। ধ্বনি উচ্চারিত হয় কণ্ঠ, মুখগহ্বর এবং ওষ্ঠের প্রয়োগে। ওঁ, যা-- অ-উ-ম- এর সমাহার, তা উচ্চারিত হয় তিনটি ক্ষেত্র থেকেই। অ কণ্ঠে, উ মুখগহ্বরে এবং ম ওষ্ঠে ধ্বনিত হয়।
২. ওঁ-কার ঈশ্বরের সকল নামের প্রতিনিধি স্বরূপ ও তার শ্রেষ্ঠ নাম। বেদ,উপনিষদ, গীতা ও অন্যান্য সনাতনশাস্ত্রে সর্বত্রই ওঁ-কারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
৩. ওঁ উচ্চারিত হওয়ার পরে এক নৈঃশব্দ সৃষ্ট হয়। একে ‘তূরীয়’ বলা হয়। যা অনন্ত চৈতন্যের প্রতীক।
৪. ‘মাণ্ডুক্য উপনিষদ’ অনুযায়ী এই ত্রিধ্বনি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে বর্ণনা করে।
৫. ওঁ— লিখিত আকারেও একইভাবে তিনটি সময় অবস্থাকে জানায়। তলার বৃহত্তর কুণ্ডলীটি জাগ্রত অবস্থার, মধ্যেরটি স্বপন অবস্থার এবং উপরেরটি সুষুপ্তির প্রতীক। আর সবার উপরে অবস্থিত বিন্দুটি তূরীয় অবস্থাকে ব্যক্ত করে।
,👇👇👇👇👇
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন,
তিনি সকল অক্ষরের মধ্যে ওঁ কার।-
এই সম্পর্কে গীতায় (৭ অধ্যায় /৮ নং শ্লোক) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,
“আমি জলের রস, চন্দ্র-সূর্যের কিরণ,
বেদের ওঁ(প্রণব), আকাশে শব্দ ও মানুষের মধ্য পুরুষত্ব রূপে বিরাজ করি।”
☞ ওঁ - মানে হচ্ছে পরম ব্রহ্ম। একক কোনো দেবতাকে নির্দেশ কিংবা প্রতীক নয়। সাক্ষাত ব্রহ্মের প্রতীক ওঁ। তবে মনে রাখবেন ওঁ এবং ঔঁ এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ঔঁ বলতে ত্রিদেবকে(ব্রহ্মা,বিষ্ণু মহেশ্বর) বুঝায়।

জানবার কথা ৩


জানবার কথা

শেয়ার করেছেন              প্রণব কুমার কুণ্ডু, ফেসবুক থেকে

Ramprasad Goswami

REALITY CHECK

ধন্যি ধর্ম নেড়েপেক্ষতা

ভারতবর্ষের হাজার বছরের গোলামি অনেক ভারতীয়দের রক্তে মিশে গেছে । গান্ধী পরিবারের প্রতি পূর্ণ সমর্পণ তারই ইঙ্গিত বহন করে । এমনকি রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ , আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, বিচারপতি, আমলা ও মিডিয়াও এই দোষে দুষ্ট । স্বাধীনতার (সমঝোতা) সময় ভারতে তিনটি বিচার ধারা ছিল ।
এগুলো হল কংগ্রেসের পরিবারবাদ ,
বিপ্লবী ও সংঘপরিবারদের জাতীয়তাবাদ
ও বামপন্থীদের দেশদ্রোহীতাবাদ।
স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে, কংগ্রেস,  গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষতাকে, পরিবার ও রাজনৈতিক স্বার্থে লালন করে এসেছে যা বর্তমানে এক ভয়ংকর ব্যাধি হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে বিরাজ করছে।
এটাই হল গান্ধীব্যাধী বা ধর্ম নেড়েপেক্ষতা।
সোজা কথায় বলে তুষ্টিকরণ।
কংগ্রেসের দেখাদেখি বামপন্থী সহ অন্যান্য দলগুলিও এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে আসছে ।
এই ধর্ম নেড়েপেক্ষতার কিছু নিদর্শন দেখা যাক ।

এই ধর্ম নেড়েপেক্ষতার প্রথম নিদর্শন পাওয়া যায় স্বাধীনতার প্রাক্কালে । ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েও অবশিষ্ট (উচ্ছিষ্ট ) ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ হয় । কিন্ত ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু করেনি। মোপলা, নোয়াখালী ও কোলকাতা হিন্দু নিধনে গান্ধীর নির্বিষ প্রতিক্রিয়া এই ধর্ম নেড়েপেক্ষতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বর্তমানে ইহা ব্যপক আকার ধারণ করেছে । ভারতে কুড়ি কোটি মানুষও সংখ্যালঘুর মর্যাদা পায় । হিন্দুদের তীর্থকর দিতে হয়, মুসলিমরা হজ সাবসিডি পায় ।
মন্দিরগুলোকে আয়কর দিতে হয়, মসজিদ বা চার্চদের দিতে হয় না।

দেওয়ালীতে বাজি ফাটলে দূষণ হয়, বড়দিনে হয় না ।
অমরনাথে মন্ত্র ও জয়ধ্বনিতে শব্দদূষণ হয়, আজানে হয় না ।
গঙ্গাতে অস্থি বা প্রতিমা বিসর্জন করলে গঙ্গার জলদূষণ হয়, বুঁচড়খানা রক্তমিশ্রিত জলে হয় না।
কেদারনাথ শিব লিঙ্গের দুগ্ধাভিষেক করা যাবে না , জয় শ্রীরাম বলা যাবে না, বিদ্যালয়ে রামায়ণ, মহাভারত, গীতা পড়ানো যাবে না, কুরান হাদিস পড়ানো যাবে। শনি মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার সাম্যের প্রশ্ন, আর হাজী আলি দরগার ক্ষেত্রে আস্থার বিষয় আদালতের কাছে ।

প্রদুম্ন মার্ডার কেশের আসামী নাবালক হলেও সাবালকের মত কেশ চলবে। কিন্তু নির্ভয়া রেপ ও মার্ডার কেশের আসামী নাবালক আফরোজ বিশেষ ধর্মের বলে বেকসুর খালস।
বীরভূমের পূজার ধর্ষণকারী হাফিজুল ও পুরুলিয়ার লক্ষী সহিসের ধর্ষণকারী কোয়েম আনসারি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
রাজস্থানে মৃত লাভজেহাদী আফরাজুলের পরিবার 5 লক্ষ টাকা ও চাকুরি পায়,কেরলে জেহাদীদের হাতে নিহত বাঁকুড়ার হেমন্ত রায় কিছু পায় না।
ফেসবুকে কাবা অবমাননার দায়ে নাবালক সৌভিক সরকার আজো জেলে ।
আর ফিদা হোসেনের নগ্ন সরস্বতী ও নগ্ন ভারত মাতার ছবি শিল্পের স্বাধীনতার মর্যাদা পায় ।
বামেরা তার সমর্থনে কোলকাতায় হস্তবন্ধন করে এবং তসলিমাকে মেরে তাড়ায়।
রাজস্থানের প্রতিবাদে যাদবপুরে ভারতের ম্যাপ ও পতাকা পোড়ান হয় ।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জঙ্গি আফজল গুরুর সমর্থনে জে এন ইউ তে বামপন্থীদের ভারতবিরোধী শ্লোগান ধর্ম নেড়েপেক্ষতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ । জুলফিকার ও বুড্ঢা ইন এ ট্রাফিক জ্যাম এ বিরোধ সংগত , কিন্ত পদ্মাবতী ও এস দুর্গার বিরোধ গণতন্ত্র হত্যার সামিল ।
কৈরানা, কালিয়াচক, বসিরহাট, ধূলাগড় জ্বললেও মিডিয়া তা দেখতে পায় না ।
কিন্তু ইউ পি বা হরিয়ানাতে কেউ কিছু বললে, ঘন্টাখানেক কয়েকদিন চলতে থাকে ।

রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য 300 বছরের মন্দির ভাঙ্গা যায় কিন্ত দিল্লীর মত জায়গাতে রেল প্লাটফর্মের মাঝে মাজার থাকে বা নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকে।
হিন্দু শ্রাইন বোর্ডের মাথায় এক মুসলিমকে বসানো কিন্ত হজ কমিটিতে কোন হিন্দুকে রাখা হয় না।
মন্দিরের টাকায় মসজিদের সংস্কার হয়, আর ঐ মসজিদের ইমাম ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মাথা মুড়ানোর ফতোয়া জারি করে ।
50% এর নাম করে সমস্ত মুসলিম ছাত্রদের বৃত্তির টাকা দেওয়া হয় কিন্ত গরীব মেধাবী হিন্দু ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়া হয় না।
কাশ্মীরী পন্ডিতদের দুঃখ কেউ দেখতে পায় না, কিন্ত রোহিঙ্গাদের দুঃখে চোখের জল ফেলে।
বিবেকানন্দ, নেতাজি , শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিরা সম্মান পান না , হিন্দু নিধনকারি খিলজী , টিপু সুলতান , বাবর পূজিত হয় ।

অযোধ্যাতে মন্দির নির্মাণের জন্য একজন হিন্দু আইনজীবি দাড়ায় ।
সেখানে মসজিদ নির্মাণের জন্য 50 জন হিন্দু আইনজীবি দাড়ায় ।
প্রকাশ্যে গোহত্যার সমর্থনে গোমাংস ভক্ষণ করে, তারাই আবার বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে ডাক পায় । এরা হিন্দু বিদ্বেষীই নয়, ভারত বিদ্বেষীও বটে । এইসমস্ত ধর্মনেড়েপেক্ষ , ধান্দাবাজ বরাহনন্দনরা আর যাইহোক ভারতীয় হতে পারে না । এদের মুখোশ খুলে দিতে হবে , নইলে ভারতবর্ষে 47এর পুনরাবৃত্তি হবে।

জানবার কথা ২


জানবার কথা ২

শেয়ার করেছেন             প্রণব কুমার কুণ্ডু
Ramprasad Goswami Subir Ganguly এর পোস্ট শেয়ার করেছেন৷

Subir Ganguly 24টি নতুন ফটো যোগ করেছেন — Jaydeep Karmakar-এর সাথে।
ALL HINDUS THROUGHOUT THE WORLD SHOULD READ THIS ARTICLES.
Indian National Congress is the Muslim political party in India and it is justified.
So Indian National Congress, a Muslim Party in disguise of Hindus. This is justified.
See the flow chart of Nehru family.
Indira Gandhi is Muslim by blood.
Indira Gandhi also Muslim by marriage.
Rajib Gandhi is Muslim by blood.
Sanjay Gandhi also Muslim by blood.
Rahul Gandhi is Muslim by blood.
Priyanka Gandhi also Muslim by blood.
Barun Gandhi is Muslim by blood.
So this concept is justified.
So after British regime again indirectly Muslims are ruling the country.
রাহুল গান্ধী কংগ্রেস দলে যুক্ত আর বরুণ গান্ধী বিজেপিতে ( হিন্দুত্ববাদী দলে )। রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী চক্রান্ত করে বলে দেয় নি তো বরুণ গান্ধীকে ( Muslim by blood ) যে ও ( বরুণ গান্ধী ) যেন বিজেপি তে যোগদান করে।
জহরলাল নেহরু হিন্দু বিবাহ আইন 1955 প্রবর্তন করেন কিন্তু মুসলিম দের জন্য কোন বিবাহ আইন করেন নাই।
এই আইনে হিন্দু equivalent = হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসী
এর জন্য হিন্দু দের জনসংখ্যা কমপক্ষে 20 কোটি কমে গেছে ও ভবিষ্যতেও ক্রমাগত কমতে থাকবে ।
এছাড়া বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ও পারসী দের সংখ্যাও অপেক্ষিক ভাবে কমে যাবে ।
Latest জনগণনার ফলাফল দেখলেই এইগুলো বোঝা যায় ।
কিন্তু মুসলিম রা বহু বিবাহ করবার জন্য মুসলিম দের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
সঞ্জয় গান্ধী 1975 এ নাসাবন্দী করবার জন্য কমপক্ষে দশ কোটি হিন্দু কমে গেছে ।
জহরলাল নেহরু 370 ধারা করে পরোক্ষ ভাবে কাশ্মীর মুসলিম দের দিয়ে দিয়েছেন।
সুতরাং এরা হিন্দু দের পরোক্ষ ভাবে ধ্বংস করবার চেষ্টা করে গেছেন।
কোরান পড়লেই বুঝবেন যে মুসলিমরা এইরকম ছলচাতুরী ও ছলনা করে যাকে বলে আলতাকিয়া।
নেহেরু বা গান্ধী পরিবার যদি সত্যি সত্যি হিন্দু হত তবে ভারতবর্ষের এতটা সর্বনাশ করত না । কারণ ভারতবর্ষে তো হিন্দুর সংখ্যা বেশী । ওরা ভারতবর্ষকে ইসলামিক দেশে পরিণত করবার চেষ্টা করছে ধীরে ধীরে, যাতে কেউ বুঝতে না পারে ।
সুতরাং জহরলাল মুসলিম নেহরুর করা সংবিধান এর জন্য হিন্দুরা ভারতবর্ষের থেকে একহাজার বছর পরে হলেও বিলুপ্ত হয়ে যাবে ।
জহরলাল নেহরু মনে মনে নিজে ভাল করে জানত যে ওনি মুসলমান । এটা মুসলিম দের আল তাকিয়া বা ছলনা, কোরানে লেখা আছে, পড়লেই বুঝবেন ।
জহরলাল নেহরু যদি ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতাটাকে কব্জা করতে পারে তবে ধীরে ধীরে ভারতবর্ষেকে ইসলামিকরনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে।
সুতরাং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে গান্ধীর সাহায্য নিয়ে সরিয়ে দেওয়া হল।
আবার জহরলাল নেহরু বল্লভভাই প্যাটেল কে কায়দা করে সরিয়ে নিজে প্রধানমন্ত্রী হল।
বল্লভভাই প্যাটেল 14 টা ভোট এবং জহরলাল নেহেরু মাত্র 2 টা ভোট পান। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর সাহায্য নিয়ে জহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী হন।
হিন্দু রাও বোকার মতন মেনে নিল। একবার ভাবলনা যে জহরলাল নেহরু আসলে কোন ধর্মের?
সারা পৃথিবীতে নেহরু বলে কোন পদবিই নেই ব্রাহ্মণদের মধ্যে, হিন্দু দের মধ্যে ।
জহরলাল নেহরুর স্ত্রী কমলা নেহেরুর সঙ্গে, প্রায় 13 বছরের ছোট ফিরোজ গান্ধীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। See internet for details.
সেই ফিরোজ গান্ধী প্রায় জোর করেই খুব তাড়াতাড়ি কমলা নেহেরু ও জহরলাল নেহরুর একমাত্র মেয়ে ( যদিও মুসলিম by blood ) ইন্দিরা গান্ধীকে প্রেমের ফাঁদে ( love jihad ) ফেলে বিবাহ করে নেন। এবং ভারতবর্ষের রাজনীতির মুল স্রোতে ইসলামের বা মুসলিম বীজ বা শিকড় পাকাপাকি ভাবে ঢুকিয়ে দিয়ে যান।
ইন্দিরা গান্ধী ও ফিরোজ গান্ধীর একমাত্র সন্তান রাজীব গান্ধীর জন্ম হয় । এরপর কিন্তু ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর বিচ্ছেদ হয়ে যায় ।
আর্থ্যাৎ ফিরোজ গান্ধীর আসল কাজ ছিল একজন হিন্দুর ছদ্মবেশে মুসলিম বংশধর এর জন্ম দেওয়া । এবার সবাই বুঝতে পারছেন মুসলিম দের লাভ জিহাদের আসল উদ্দেশ্যে কি?
এখনও সারা পৃথিবীতে এইরকম ঘটনা ঘটে চলেছে । আরো details এ লাভ জিহাদ analysis পরে বেরোবে ।
এরপর হিন্দু দের ধ্বংসের কাজগুলো তো ওই গান্ধী নামধারী ছদ্মবেশী মুসলিম বংশধররাই করে দেবে ।
রাজীব গান্ধী সুপ্রীম কোর্টের তিন তালাক বাতিল এর পক্ষে রায় বাতিল করে দেয়, মুসলিম দের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য । রাম মন্দিরের সমাধান করতে চেষ্টা করেন নাই। শ্রীলঙ্কাতে তামিল হিন্দু দের against এ সেনা পাঠান।
সুতরাং ইন্দিরা গান্ধী কে কোন হিন্দু বিবাহ করবার আগেই একজন মৌলবাদী মুসলিম প্রায় জোর করেই বিবাহ করে নিল এবং ভারতবর্ষের রাজনীতিতে মুসলিম দের শিকড় ঢুকিয়ে দিল।
সুতরাং blood refinement টাও দেখা জরুরী ।
সুতরাং কংগ্রেস হল মুসলিম দের পার্টি । একমাত্র গান্ধী ( মুসলিম ) পরিবার কে eliminate করে দিলেই কংগ্রেস প্রকৃত ভারতীয় দল হয়ে উঠবে।
আবার সঞ্জয় গান্ধী চক্রান্ত করে নাসাবন্দী করে হিন্দু দের সংখ্যা কমিয়ে দেয়।
ইন্দিরা গান্ধী 1975 এ ভারতবর্ষের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ কথাটা যুক্ত করল।
এই ধর্মনিরপেক্ষ টা হল মুসলিম দের রক্ষাকবচ।
সুতরাং মুসলিমরা যত অপরাধ, সন্ত্রাস, ধর্মান্তরিত ,দাঙ্গা বা ধর্ষণ করুক না কেন আপনি তো জানতেই পারবেন না আসল ঘটনা।
কারণ " মুসলিম " কথাটাই তো খবরের কাগজে বা টিভি চ্যানেল গুলো তে বলতে পারবে না ।
সুতরাং মুসলিম দের সমস্ত অপরাধ ঢেকে রাখার জন্যেই ধর্মনিরপেক্ষতা কথাটা সংবিধানে যোগ করা হয়। ভারতবর্ষের সংবিধান ইচ্ছে করে হিন্দু বিরোধী করে রাখা হয়েছে জহরলাল নেহেরুর নির্দেশ অনুসারে ।
এইভাবে চক্রান্ত করেই মুসলিমরা সারা পৃথিবীতে 57 টা দেশ দখল করে নিয়েছে ।
কংগ্রেস মুসলিম দল বলেই বিগত 70 বছর ধরে রামমন্দির করতে দেয় নাই।
মনে রাখবেন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল তামিল ব্রাহ্মণ নরসীমা রাওয়ের আমলে।
রাজীব গান্ধী ( Muslim by blood ) থাকলে পারতেন না ।
যদিও বাবড়ি মসজিদ ও ভারতবর্ষের এবং পৃথিবীর বেশিরভাগ মসজিদই মন্দির/ বৌদ্ধ মঠ/ চার্চ বা গীর্জা ভেঙ্গে তৈরী করা ।
সুতরাং আপনারা ভাবুন হিন্দু দের করণীয় কি ?
exponent/political:love-affairs-of-indira-gand
Last two photos
Pakistani P M Bhutto & Indian P M Indira Gandhi, after 1971 bloody war between India vs Pakistan.
Next / last photo - Benzir Bhutto and Rahul Gandhi and Priyanka Gandhi in 1984
এই ছবি গুলো প্রমাণ করে যে গান্ধী পরিবার আসলে হিন্দুর ছদ্মবেশে মুসলিম পরিবার।
আবার,
জহরলাল নেহরু & শেখ আবদুল্লা /
সঞ্জয় গান্ধী & ওমর আবদুল্লা /
ফারুক আবদুল্লা , রাজীব গান্ধী , বরুণ গান্ধী /
ওমর আবদুল্লা ও রাহুল গান্ধী
এদের চেহারা বা Facebook cutting গুলো দেখলেই একটা সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় ।
আসলে এদের সবার মধ্যেই রক্তের সম্পর্ক আছে ।
পাকিস্তানি মুসলিম দের চেহারার সাথেও এদের মচেহারা মেলান, দেখবেন কতটা সাদৃশ্য আছে ।
মুসলিম রা সবাই মিলে অখন্ড ভারতবর্ষেকে ভাগ করে নিতে চায় ।
সুতরাং কংগ্রেসের রাশ যদি কোন মুসলিমের হাতে থাকে তবে হিন্দু রা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ।
আমরা কেউ বুঝতেও পারব না ।
এইজন্যই এখন অনেকে বলে হিন্দু দের পরিবার পরিকল্পনা ত্যাগ করা উচিত ।
প্রত্যেক হিন্দু দের কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি সন্তান দরকার ।হিন্দু দের বহু বিবাহ দরকার ।
হিন্দু দের ব্রহ্মচর্য পুরোপুরি ত্যাগ করা উচিত ।
জহরলাল নেহরু মনে মনে জানত যে সে নিজে আসলে মুসলিম ।
কংগ্রেস ও ভারতবর্ষের কমুনিষ্টরা মিলে ভারতবর্ষের ইতিহাস বিকৃত করেছে ।
কমুনিষ্ট পার্টি তৈরী করে একজন বাংলাদেশি মৌলবাদী মুসলিম মুজফফর আহমেদ ।
মুসলিম রা তো নাস্তিক দের পছন্দ করে না, ঘৃণা করে তবে কেন মুসলিম রা ভারতবর্ষের কমুনিষ্ট পার্টি তৈরী করে? এটাই মুসলিম দের ছলনা ।
জহরলাল নেহরুই ভারতবর্ষে কমুনিষ্ট দের নিয়ে এসেছিল ।