শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

শিবলিঙ্গ কাবা এবং নবি সংবাদ





শিবলিঙ্গ  কাবা এবং নবি সংবাদ




প্রণব কুমার কুণ্ডু


   







    শিবলিঙ্গ  কাবা এবং নবি সংবাদ




     ফেসবুক থেকে        শেয়ার করেছেন       প্রণব কুমার কুণ্ডু


শিবলিঙ্গের পূজা ও হজরে আসোয়াদের চুমু

হিন্দুদের শিবলিঙ্গের পূজা করা নিয়ে মুসলমানদের টিটকারি, হাসি-মশকরা ও ছিঃ ছিক্কারের অভাব নেই, কেউ কেউ তো সরাসরি হিন্দুদেরকে “লিঙ্গ পূজারী” বলেও অভিহিত করে থাকে; যেন শিবলিঙ্গের পূজা করে হিন্দুরা এক মহা অপরাধ করে ফেলেছে! শুধু তাই নয় এ ব্যাপারে তাদের রিয়্যাকশন দেখলে মনে হয় শিবের লিঙ্গ মুসলমানদের ঘরে ঘরে ঢুকে মুসলিম মেয়েদের কুমারী যোনীকেও ছিন্ন ভিন্ন করে দিচ্ছে, তাই তাদের সকল চেষ্টা- যেভাবেই হোক এই লিঙ্গকে ঠেকাতেই হবে।
ব্যাকরণে লিঙ্গ শব্দের আভিধানিক অর্থ চিহ্ন বা প্রতীক; যেমন স্ত্রী লিঙ্গ বা যোনী হচ্ছে স্ত্রীর প্রতীক, পুংলিঙ্গ বা নুনু হচ্ছে পুরুষের প্রতীক, তেমনি শিবলিঙ্গ হচ্ছে শিবের প্রতীক। শিব হলো হিন্দু সমাজের প্রধান এবং আদি তিন দেবতার একজন। এজন্যই বলা হয় দেবাদিদেব মহাদেব। রামায়ণ যুগেরও আগে, বিভিন্ন কারণে যেখানে শিবের জটিল মূর্তি তৈরি করে পূজা করা সম্ভব হয় নি, সেখানে, অপেক্ষাকৃত নির্মাণ পদ্ধতি সহজ বলে শিবের পাষাণ প্রতীক হিসেবে শিবলিঙ্গের পূজার প্রচলন হয়। এককথায় শিবলিঙ্গ হচ্ছে, শিবের মঙ্গলময় মূর্তির পাষাণ প্রতীক, এটা যৌনতার কোনো প্রতীক নয়; কিন্তু সাধারণভাবে লিঙ্গ শব্দের অর্থ যেহেতু পেনিস বা নুনু, সেহেতু শিবের প্রতীক হিসেবে প্রথমে তৈরি হওয়া- মাটির উপর প্রোথিত একটি পাথরের দণ্ডকে- মানুষ আস্তে আস্তে শিবের নুনু হিসেবে কল্পনা করে নিয়েছে এবং শিবের মাথায় ঢালা জল যাতে মন্দিরকে নোংরা না করতে পেরে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় পড়ে, তার জন্য তৈরি করা শিব লিঙ্গের নিচের অংশটাকে স্ত্রী যোনী হিসেবে ভেবে নিয়েছে।
এখন আকৃতির দিক থেকেও দেখা যাক, শিবলিঙ্গ বলে যাকে বলা হয়, সেটা প্রকৃতপক্ষে মানুষের লিঙ্গের মতো কোনো বাস্তব লিঙ্গ কি না ?
শিবলিঙ্গের নিচের অংশকে যদি স্ত্রী যোনী বলে ধরা হয়, আর উপরের দণ্ডটাকে পুংলিঙ্গ, তাহলে স্ত্রী যোনীর মধ্যে কিন্তু পুংলিঙ্গটা প্রবিষ্ট অবস্থায় থাকতো, যৌনক্রিয়ার সময় যে সিচুয়েশনটা হয় আর কি; এমন হলে শিবলিঙ্গের উপরের দিকে কিন্তু অণ্ডকোষ জাতীয় কোনো কিছুর একটা সাইন থাকতো, সেখানে কি সেরকম কিছু আছে ? না নাই। তাহলে এটাকে আপনি বাস্তব স্ত্রী ও পুরুষের লিঙ্গের সমষ্টি বলে ভাবছেন কেনো এবং কিভাবে ?
আবার নিচের অংশটাকে বাদ দিয়ে শুধু উপরের দণ্ডটাকে যদি বাস্তব লিঙ্গ বলে ধরা হয়, তাহলে সেই দণ্ডের আকৃতিটাও কি বাস্তব লিঙ্গের মতো ? একটি উত্থিত লিঙ্গের আকার আকৃতি কেমন হয়, সেটা সবাই জানেন; লিঙ্গের মাথা অর্থাৎ লিঙ্গমনি থাকে স্ফিত বা মোটা এবং লিঙ্গমনির সাথে লিঙ্গের নিচের অংশ, যেটাকে লিঙ্গদণ্ড বলা যেতে পারে, তার আকৃতিগত পার্থক্য বেশ স্পষ্ট; শিবলিঙ্গ বলে যা বোঝানো হয়, সেটা কি সেই রকম ? মোটেও না। তাহলে শিবলিঙ্গকে বাস্তব লিঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করছেন আপনি কোন যুক্তিতে ?
শিবলিঙ্গ বলে যেটাকে আমরা জানি বা দেখি, সেটা যে প্রকৃতপক্ষে পুরুষের নুনু বা স্ত্রী যোনী নয় বা এদের সমষ্টি নয়, আশা করছি সেটা উপরের আলোচনা থেকে সবার কাছে স্পষ্ট হয়েছে। তারপরও যেহেতু, ভুল এবং বিকৃত প্রচারের ফলে, অধিকাংশ লোক এটাকে পুংলিঙ্গ এবং স্ত্রী যোনীর সমষ্টি মনে করে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকেও এবার আলোচনা করে দেখা যাক যে, এর মধ্যে আসলে খারাপ কিছু আছে কিনা ?
পুরুষের লিঙ্গ এবং স্ত্রী যোনী, যাদের ভূমিকা, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকূলের সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য। এই সৃষ্টিকার্য বর্তমানে প্রকাশ্যে লজ্জাকর ব্যাপার হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটা অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মানের বিষয়। কারণ, এই সৃষ্টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আমাদের জন্ম এবং এর উপরেই টিকে রয়েছে পৃথিবী এবং আমাদের তথা তাবৎ প্রাণীকূলের ভবিষ্যৎ ও আশা-আকাঙ্ক্ষা।
যে মূর্খ মুসলমানরা লিঙ্গ পূজা ব’লে হিন্দুদের শিবলিঙ্গের বিষয়টিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, তাদের মনে রাখা উচিত যে, তাদের বাবা মা পরস্পরের লিঙ্গ পূজা করেছিলো বলেই তাদের জন্ম হয়েছে এবং মুখে যতই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করুক, তাদেরকেও আবার এই লিঙ্গ পূজা করতেই হবে, এক কথায় বলতে গেলে মানুষের জীবনের সকল আশা-আকাঙ্ক্ষার ও জীবন আচরণের কেন্দ্রবিন্দুই হচ্ছে এই লিঙ্গ। তাই যার লিঙ্গ নেই বা যে নপুংসক, প্রকৃতপক্ষে তার জীবনের কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই এবং জীবনের কোনো উদ্দেশ্যও নেই।
প্রকৃতপক্ষে লিঙ্গ হচ্ছে পৃথিবীতে সৃষ্টি ও শক্তির প্রতীক; কারণ প্রাণীজগতের টিকে থাকা নির্ভর করছে সম্পূর্ণরূপে এই লিঙ্গের কার্যকারিতার উপর। তাই প্রাচীন প্রতিটি সভ্যতা সৃষ্টিকে উর্বর রাখার জন্য লিঙ্গের পূজা বা উপাসনা করেছে এবং যেহেতু হিন্দুধর্মবিশ্বাস পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন জীবিত ধর্মবিশ্বাস, সেহেতু সেই ধর্মে সৃষ্টি ও শক্তির প্রতীকরূপে এই শ্রদ্ধা-উপাসনা যদি থেকেই থাকে, তাতে অবাক হওয়ার কী আছে ?
প্রাচীন কথা না হয় বাদ ই দিলাম, এই আধুনিক যুগেও জাপানের মতো উন্নত বুদ্ধিবৃত্তির দেশে লিঙ্গ উৎসব হচ্ছে। মূলত এই উৎসব একটি শিন্তো ধর্মীয় উৎসব, যার মাধ্যমে প্রজনন শক্তি বৃদ্ধির জন্য বন্দনা করা হয়। এই লিঙ্গ উৎসবের কয়েকটি ছবি পোস্টের সাথে যুক্ত কের দিয়েছি, নিশ্চয় দেখছেন, পোস্টের শেষে সেই উৎসব সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানতে পারবেন। মুসলমানদেরকে জিজ্ঞেস করছি, আপনার কি মনে হয়, জাপানিরা কি মুসলমানদের চেয়েও স্টুপিড জাতি ?
মূলত লিঙ্গের পূজা, লিঙ্গের উপাসনা বা লিঙ্গ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সৃ্ষ্টিকার্যকে চালু রাখার জন্য প্রজনন শক্তির বন্দনা করা। এই শক্তির বন্দনা তো এখন মুসলমানদের করা উচিত; কারণ, তাদের উদ্দেশ্যই হলো জনসংখ্যা বাড়িয়ে পৃথিবী দখল করা। এজন্য ইসলামে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিষেধ, বন্ধ্যা নারীকে বিয়ে করা নিষেধ (সুনান আবু দাউদ, ১১/২০৪৫), এমনকি হস্তমৈথুন করাও করাও নিষেধ (কোরান, সূরা নুর ৩৩)। কারণ হস্তমৈথুন করলে বীর্যের অপচয় হবে, মুহম্মদের উদ্দেশ্য ছিলো সেই বীর্য কোনো না কোনো নারীর গর্ভে পড়ুক, যাতে সে গর্ভবতী হয় এবং মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
এখন একটু চিন্তা করুন তো, যে মুহম্মদ হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ করে গেছে সে কি কখনো হস্তমৈথুন করে নি ? ২৫ বছর বয়সে সে প্রথম খাদিজার যোনীর দেখা পায়, তার আগে কমপক্ষে ১২/১৩ বছর সে কিভাবে নিজেকে কন্ট্রোল করেছে ? যদি মুহম্মদ নিজেকে কন্ট্রোল করে না থাকে তাহলে তার সামনে দুটো পথ খোলা ছিলো, হয় তার চাচাতো বোন, বাল্য প্রেমিকা উম্মে হানি অথবা অন্য কোনো পুরুষের সাথে সমকামিতা। কারণ ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো পুরুষের পক্ষে নিজেকে সেক্সুয়ালি কন্ট্রোল করা অসম্ভব। তাছাড়াও হাদিসে মুহম্মদের যে কামুকতার পরিচয় পাই, তাতেও সে যে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত হস্তমৈথুন না করে থেকেছে, এটাও অবিশ্বাস্য মনে হয়। কারণ, মুসলমানদের নবী মুহম্মদ তো ছিলো এক মহা লিঙ্গ পূজারী। প্রাপ্ত তথ্য মতে, মুহম্মদ ২৩ জন মেয়ের লিঙ্গকে পূজা করেছে। প্রতিদিন সে ১১ জনের সাথে সেক্স করতো (বুখারি, ১/৫/২৬৮)। আয়েশার বর্ণনা করা বোখারি শরীফের একটি হাদিস মতে, নবীর কাছে প্রিয় ছিলো তিনটি জিনিস- নারী, মধু ও সুগন্ধি। বুখারির, ১/৫/২৬৮ নং হাদিসে আছে, নবীর যৌন ক্ষমতা ছিলো ৩০ জন পুরুষের সমান। এই হাদিসগুলো কি মুহম্মদের লিঙ্গ পূজার শ্রেষ্ঠত্বকে প্রমান করে না ?
সকল মুসলমানের জন্য ইসলামের বিধান হলো চার বউ এক সাথে রাখা যাবে(কোরান, ৪/৩)। এই চার বউকে সেক্সুয়ালি সন্তুষ্ট রাখা কি চাট্টিখানি কথা ? তাহলে পৃথিবীতে প্রকৃত লিঙ্গপূজারী কারা ?
পৃথিবীর কোনো সভ্য মানুষ এখন আর চার কেনো, ২ বউ নিয়েও সংসার করার কথা চিন্তা করে না, কিন্তু ইসলাম তো সভ্য নয়, তার উপর আবার ইসলামের বিধান চিরকালীন, এই দিক থেকেও তো মুসলমানরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লিঙ্গ পূজারী জাতি; কারণ, তাদের সামনে সুযোগ আছে এক সাথে একই বিছানায় কমপক্ষে ৪ টি স্ত্রীর লিঙ্গকে পূজা করার, এর সাথে যদি বাড়ির কাজের মেয়ে থাকে তাহলে তো তা বোনাস-কারণ, ইসলামে দাসীদের ভোগ করাও জায়েজ (কোরান, ৭০/২৯-৩০, ২৩/৫-৬)। এভাবে, যে ইসলামে যৌনতার কোনো নীতি নৈতিকতা নেই, সেই ইসলামের অনুসারী মুসলমানরা আবার হিন্দুদের শিবলিঙ্গের পূজা নিয়ে ছিঃ ছিক্কার করে! লজ্জায় তো মুসলমানদের এ ব্যাপারে কথা বলাই উচিত নয়। অবশ্য লজ্জা তো থাকে মানুষের, মুসলমানদের লজ্জা থাকবে কেনো, পৃথিবীর কোথায়, কোন মুসলমান, কবে মানুষ- যারা গনিমতের মালের নামে অমুসলিম নারী ধর্ষণ এবং তাদের ধন-সম্পদ লুঠ করে খাওয়াকে হালাল বলে মনে করে !
বাস্তবে পৃথিবীতে যৌনতার জন্য লিঙ্গ পূজা না করে কোনো মানুষের উপায় নেই, সে স্ত্রী হোক বা পুরুষ; এতক্ষণ সে সব নিয়েই লেকচার দিলাম। কিন্তু এবার দেখাচ্ছি হিন্দুরা যে শ্রদ্ধা ভক্তি নিয়ে শিবলিঙ্গের পূজা করে, সেরকম শ্রদ্ধাভক্তি নিয়ে মুসলমানরাও কোনো পাথরের পূজা করে কিনা ?
মক্কেশ্বর বা কবলেশ্বর শিবের মন্দির, যার বর্তমান নাম কাবা, তার সাথে হজরে আসোয়াদ নামে একটি কালো পাথর লটকানো আছে, যে পাথরটাকে মুসলমানরা, হজ করতে গিয়ে চুমু খেয়ে থুতুতে থুতুতে ভরিয়ে তোলে। হজরে আসোয়াদের ছবি সব সময় আমরা ঝুলানো অবস্থায় দেখি, এবার এটাকে কল্পনায় ভূমির উপর স্থাপন করে দেখুন, এটা আসলে ভগ্ন শিবলিঙ্গের নিচের অংশ যা স্ত্রী যোনির মতো দেখতে। আর এটাতো ঐতিহাসিক সত্য যে কাবা ছিলো একটি মন্দির এবং তাতে ৩৬০টি দেব দেবীর মূর্তি ছিলো, এখানেও শিবলিঙ্গের পূজা হতো। কোনো কারণে উপরের দণ্ডটি ভেঙ্গে গেলে এটাকে মন্দিরের বাইরে বের করে রাখা হয়, এটি ই হলো ইসলামের হজরে আসোয়াদ।
এখন কী মনে হচ্ছে, লিঙ্গ পূজা শুধু হিন্দুরাই করে, না মুসলমানরাও করে ? পূজা মানে ভক্তি বা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। তাই হজরে আসোয়াদ নামের কালো পাথরকে চুমু খেয়ে মুসলমানরাও স্ত্রী লিঙ্গ বা স্ত্রী যোনীর পূজা করে, যা লিঙ্গ পূজারই নামান্তর।
এখানে আর একটি ব্যাপার লক্ষ্যণীয়, চুমু হচ্ছে প্রচণ্ড ঘণিষ্ঠতা তথা যৌনতার একটি অংশ। লিঙ্গ পূজা বলা হলেও, হিন্দুদের পূজা প্রার্থনায় কিন্তু যৌনতার কোনো নামগন্ধ নেই, সেখানে শুধুই শ্রদ্ধাবনত আত্মসমর্পন। অন্যদিকে যোনি সদৃশ হজরে আসোয়াদে চুমু মানে যে কী এবং সেটা কোন দৃশ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়, সেটা একবার ভাবুন। এছাড়াও মুসলমানদের নবী মুহম্মদ ছিলো একজন প্রচন্ড যৌন উন্মাদ ব্যক্তি। উপরের দুটি হাদিসে সে কথা উল্লেখ করেছি। মুহম্মদের যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য জিবরাইল ফেরেশতা নাকি মুহম্মদকে আরক এনে খাওয়াতো(Ibn Sa’d's Kitab Tabaqat Al-Kubra, Volume 8, Page 200)।
এই মুহম্মদ এমনই যৌন উন্মাদ ছিলো যে, তার কাছে বয়স ও সম্পর্ক নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল নারী-শিশু-বৃদ্ধা ছিলো ভোগের বস্তু। মুহম্মদ যেমন নাতনী সম ৬ বছরের আয়েশাকে রেহাই দেয় নি, তেমনি রেহাই দেয় নি পুত্রবধূ জয়নবকে, অন্যান্যদের কথা না হয় বাদ ই দিলাম। এই মুহম্মদ একবার মদীনা থেকে মক্কায় হজ করতে এসে মায়মুনা নামের এক নারীকে হজের পোষাক পরা অবস্থায় বিয়ে করে, সেই অবস্থাতেই সে মায়মুনার সাথে সেক্সও করে (বুখারি, ৯৩৯)। হজ যদি মুহম্মদের কাছে পবিত্র কোনো ব্যাপার হতো এবং এর মধ্যে ঐশ্বরিক কোনো বিষয় থাকতো তাহলে কি মুহম্মদ এটা করতে পারতো ? হজ শেষ করে কি মুহম্মদ এই বিয়েটা করতে পারতো না, অথবা মায়মুনাকে মদীনায় নিয়ে গিয়ে ? অথবা এই ৬০ বছর বয়সে তার আবার বিয়ে করার ই বা দরকার কী ? ঘরে কি তার বউ এর অভাব ছিলো ? আসলে এই ঘটনাটা প্রমান করে যে মুহম্মদ ছিলো এক বিশ্ব কামুক। মুহম্মদ নামের এই যৌন উন্মাদের মূর্খ অনুসারী মুসলমানরা হিন্দুদের শ্রদ্ধাবনত পূজা প্রার্থনাকে যে অশ্লীল লিঙ্গের পূজা হিসেবে বিবেচনা করবে, তাতে আর আশ্চর্যের কি !
সবচেয়ে বড় কথা হলো, মুসলমানরা যখন কালো পাথরে গিয়ে চুমু খায় তখন সেটা এবাদত, আর হিন্দুরা যখন সেই পাথরকে একটা শৈল্পিক রূপ দিয়ে তাতে ফুল চন্দন দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়, তখন সেটা মূর্তিপূজা, কুফরি, শিরক। চিন্তার ভণ্ডামী বোধহয় একেই বলে।
জয় হিন্দ।
-----------------------------------------------------------------------------
উপরে যেসব রেফারেন্স দিয়েছি সেগুলো দেখে নিন নিচে-
জাপানের লিঙ্গ উৎসব :
প্রতিবছর বসন্ত কালে কানাগাওয়া কেন এর কাওয়াসাকিতে অবস্থিত কানামারা মন্দির (ওয়াকামিয়া হাচিমাঙ্গু মন্দির) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে কানামারা মাৎসুরি (লৌহ-লিঙ্গ মেলা)। মূলত এটি একটি শিন্তো ধর্মীয় উৎসব, যার মাধ্যমে প্রজনন শক্তি বৃদ্ধির জন্য বন্দনা করা হয়। এদো যুগে (১৬০৩-১৮৬৭), বারবণিতারা যৌণ ব্যাধি সিফিলিস থেকে রক্ষা পাবার জন্য, ঘটা করে এই মেলা উদযাপন করতো। বর্তমানে, মরণব্যাধি এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রমে, ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে এই মেলা। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, বর্তমানে প্রচন্ড জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মেলাটি। শুধু জাপান নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও আলোচিত হচ্ছে কানামারা মাৎসুরি।২০০৮ সালের ৬ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলো কানামারা মাৎসুরি। মেলার দিন মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের স্থান পর্যন্ত ছিলোনা। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
চার স্ত্রী = “তবে তোমাদের অভিরুচি অনুসারে দুই, তিন বা চার জন নারীর পাণি গ্রহণ করবে।”- (কোরান, ৪/৩)
দাসী ভোগ = যারা নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, নিজেদের স্ত্রী কিংবা স্বীয় মালিকানাধীন স্ত্রীলোক (দাসী) ছাড়া, যাদের হতে সংরক্ষিতা না রাখায় তাদের প্রতি কোনো তিরস্কার বা ভর্ৎসনা নাই।- (কোরান, ৭০/২৯-৩০, ২৩/৫-৬)
"আল্লাহর পাঠানো খাবার খেয়ে নবীর যৌন শক্তি বৃদ্ধি।" (Ibn Sa’d's Kitab Tabaqat Al-Kubra, Volume 8, Page 200)
বুখারি, ১/৫/২৬৮ = মুহম্মদের ছিলো ৩০ পুরুষের যৌনশক্তি-
বুখারি, ১/৫/২৬৮ = নবীজী দিনে এবং রাতে পর্যায়ক্রমে ১১ জন বিবির সাথে সংগম করতেন।
“হজের পোষাক পরা অবস্থায় মুহম্মদ মায়মুনাকে বিয়ে করে এবং তার সাথে সেক্স করে।”– (বুখারি, ৯৩৯)
মুসলমানদের অবিবাহিত থাকা নিষেধ :
উম্মতদের মধ্যে কেউ বিয়ে শাদী না করতে চাইলে নবী বলতো, ওরা কি সব পাগল হয়ে গেছে ? অথচ আমি নামাজ করি, ঘুমাই, রোজা রাখি, রোজা বন্ধ করি, এবং বেশ কয়েকজন স্ত্রীলোককেও বিয়ে করেছি। যারা আমার সুন্নত মানবে না, তাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।- মুসলিম, ৩২৩৬
ব্রহ্মচর্য রক্ষা করাকে নবী মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।- মুসলিম, ৩২৩৯
আমার উম্মতদের মধ্যে সেই শ্রেষ্ঠ, যার সর্বাপেক্ষা অধিক সংখ্যক পত্নী আছে।- তাবাকাত, ভলিউম ২, পৃষ্ঠা- ১৪৬
জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিষেধ :
মালিক ইবনে ইয়াসার বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি নবীকে বললো, একটা উচ্চ বংশের সুন্দরী মেয়ে আছে, কিন্তু সে বন্ধ্যা। আমি কি তাকে বিয়ে করতে পারি ? নবী বললেন, না। সে নবীর কাছে আবার এলে নবী তাকে নিষেধ করলেন। সে তৃতীয়বার এলে নবী তাকে বললো, সেই মেয়েদের বিয়ে করো, যারা প্রেমময়ী ও উৎপাদন শীল। কারণ, আমি তোমাদের দিয়ে সংখ্যায় অন্যদের পরাস্ত করবো।– ( সুনান আবুব দাউদ, ১১/২০৪৫)
হস্তমৈথুন নিষেধ : যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন।- (কোরান, সূরা নুর ৩৩)
বিয়ে করার তাগিদ :
আল্লাহ্র নবী (সঃ) বলেন,
“হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্ত্রী সঙ্গম ও বিবাহ খরচে সমর্থ, সে যেন বিবাহ করে! কারণ টা অধিক দৃষ্টি-সংযতকারী এবং অধিক যৌনাঙ্গ রক্ষাকারী, যেহেতু তা এর জন্য (খাসী করার মত) কাম দমন কারীর সমান।” (বুখারী, মুসলিম)
মুহম্মদের সেক্স মেশিনসমূহ:
খাদিজা,
সাউদা,
আয়েশা,
উম্মে সালমা,
হাফসা,
জুয়াইরিয়া,
উম্মে হাবিবা,
সাফিয়া,
মায়মুনা বিনতে হারিথ,
ফাতিমাহ,
কুত্যাইলা বিনতে কায়েস,
সানা বিনতে সুফিয়া,
জয়নব বিনতে খুজাইমা,
শারাফ বিনতে খলিফাহ,
গাজিয়া বিনতে জাবির
এই কয়জন মৃত্যু পর্যন্ত নবীর স্ত্রী ছিলো।
এদের মধ্যে যুদ্ধবন্দিনী ছিলো তিন জন, একজন ছিলো মুহম্মদের পালিত পুত্র জায়েদের স্ত্রী, আর একজন ছিলো ৬ বছরের শিশু, আয়েশা।
বিভিন্ন কারণে মুহম্মদ যাদের বিয়ের পরপরই তালাক দিয়েছিলো, সেই ৫ জনের নাম হলো:
আসমা বিনতে নোমান,
মুলায়কা বিনতে দাউদ,
আল শানবা বিনতে আমর,
আল আলিয়াহ,
আমর বিনতে ইয়াজিদ।
শুধু বিয়ে করলে এবং তালাক দিলেই হবে না, মুসলমানদের কিছু উপপত্নী বা রক্ষিতা বা যৌনদাসী রাখাও কর্তব্য। কেননা, মুহম্মদ যৌনদাসী হিসেবে রেখেছিলো ৩ জনকে। তাদের নাম হলো -
মারিয়া,
রিহানা,
খাওলা বিনতে হুয়াইল।
এতজনের সঙ্গে শুয়েও মুহম্মদের নারী তৃষ্ণা মিটছিলো না। তাই সে আরও ৪ জনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো, কিন্তু কেনো কারণে বিয়ে গুলো হয় নি। এরা হলো-
উম্মে হানি,
দুবাহ বিনতে আমির,
উম্মে হাবিব বিনতে আল আব্বাস,
জামারা বিনতে আল হারিথ।
💜 জয় হোক সনাতনের 💜

মন্তব্যগুলি

ঠগি সংবাদ


ঠগি সংবাদ




প্রণব কুমার কুণ্ডু                                                                 
প্রণব কুমার কুণ্ডু

 









ফেসবুক থেকে     শেয়ার করেছেন       প্রণব কুমার কুণ্ডু





Masum Al Ikram Dhaka, Bangladesh-এ রযেছেন।



প্রচণ্ড শীতের রাত। এমন শীতে নির্জন গ্রামের পথ দিয়ে যেতে গা ঝমঝম করে। ভয় হয়। তবুও মনে সাহস নিয়ে পথিক এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। কিছু দূর যেতেই মানুষের গলার আওয়াজ পেয়ে পথিকের মন খুশি হয়ে গেলো। কাছে গিয়ে দেখে একদল তীর্থ যাত্রী যাচ্ছে। তীর্থ যাত্রীরা পথিককে অভয় দিয়ে তাদের দলে নিয়ে নিলো। রাতে তারা বেশ আয়োজন করে খাবার খেলো। পথিক খুব খুশি এবং সে সাথে বিধাতার কাছে কৃতজ্ঞ এই শীতের রাতে তাকে এমন আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য। খাওয়া-দাওয়া শেষে একজন বলল, যা কেউ বাসন মেজে আয়। কথাটা বলতেই একজন উঠে গিয়ে পথিকের পা জড়িয়ে ধরলো। আরেকজন হাত দুটা শক্ত করে ধরলো। আরেকজন বড় রুমালে রুপার মুদ্রা পেচিয়ে পথিকের গলায় ফাঁস দেয়। নিমিষের মাঝেই মানুষটা হারিয়ে গেলো পৃথিবী থেকে। এ রকম লাখ লাখ লোক পথ চলতে চলতে হারিয়ে যেত সারা জীবনের জন্য। সময়টা বড় অন্ধকার। ভারতবর্ষে তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মোটে আসন গেড়ে বসেছে। সপ্তদশ শতকের শেষদিকে ভারতজুড়ে তখন অস্থিরতা, আশঙ্কা। এর মধ্যেই উধাও হয়ে যেতে থাকল অনেকে। কিন্তু কারা এসব পথচলতি যাত্রীদের গুম করে ফেলছে? তারা কারা?
তারা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকরতম গোপন খুনিদের দল ঠগি। জানা যায় বাংলায় তাদের আগমন ঘটে ১২৯০ সালের দিকে। ফিরোজ শাহর ইতিহাস গ্রন্থ হতে জানা যায়, ১২৯০ এর সুলতানী শাসনের সময় প্রায় হাজার খানেক ঠগ ধরা পরে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সুলতান তাদের কোনো রকম সাজা না দিয়ে দিল্লীতে ফিরে না আসার শর্তে, অনেকটা আপ্যায়নের সাথে নৌকায় তুলে দিয়ে ভাটির দেশে- তথা এই বাংলায় পাঠিয়ে দেয়। আর তারপর থেকেই বাংলার জলে-স্থলে, মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে পরে এই খুনির দল। বাংলায় ঠগিদের ইতিহাসের সূত্রপাত সম্ভবত এখান থেকেই।
ঠগিরা ব্যবসায়ী, তীর্থযাত্রীর কিংবা সৈন্যের ছদ্মবেশে ভ্রমণ করত। এদেরই লোকজন গোপনে বাজার কিংবা সরাইখানা থেকে পথযাত্রীদের সম্বন্ধে খুঁটিনাটি তথ্য জোগাড় করত। তারপর সুকৌশলে সেই যাত্রীদের সঙ্গে মিশে যেত এবং যাত্রাবিরতিতে হত্যাকাণ্ড ঘটাত। একজন যাত্রীকে খুন করত তিনজনের একটি দল। একজন মাথা ঠেলে দিত, অন্যজন ফাঁস পরাত, আরেকজন পা চেপে ফেলে দিত। কেউ পালিয়ে গেলেও রক্ষা নেই, কাছেপিঠেই ওঁত পেতে থাকত ঠগিদের অন্য কোনো দল। ঠগিদের খুনের অস্ত্রটা ছিল বেশ অবাক করার মতো। অতি সাধারণ, কিন্তু সাংঘাতিক কার্যকর। এক ফালি হলদে কাপড়ের টুকরো। দুই ভাঁজে ভাঁজ করলে মাত্র ৩০ ইঞ্চি। ১৮ ইঞ্চির মাথায় একটা গিট। তাতে একটা রুপোর টাকা বা তামার ডবল পয়সা বাঁধা। নিপুণ ঘাতকের হাতে সেটাই হয়ে উঠে অব্যর্থ মরণ ফাঁস। ভৃপ্রকৃতি এবং পরিবহণ ব্যবস্থাভেদে বিভিন্ন অঞ্চলে ঠগিদের কার্যপ্রণালী এবং হত্যা করার ধরণ ভিন্ন ছিল। যেমন বাংলার ঠগিরা প্রধানত নৌপথেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত। নদীর ঠগিরা সাধারণত তাদের হাতে পড়া হতভাগ্যদের মাথা পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করত। তবে ঠগিরা সবাইকে হত্যা করত না। যেমন- ভিক্ষুক, সংগীতজ্ঞ, নৃত্যশিল্পী, ঝাড়ুদার, তেল বিক্রেতা, কাঠমিস্ত্রি, কামার, বিকলাঙ্গ, কুষ্ঠরোগী, গঙ্গাজলবাহক ও নারীদের হত্যা নিষেধ ছিল। তবে ব্যবসায়ীদের স্ত্রীদের হত্যা করা হতো।
বছরের সব সময় তারা খুন করত না। এমনিতে তারা সাধারণ গেরস্তের মতোই জীবনযাপন করত। বিশেষ একটা সময়, সাধারণত বর্ষার পর পরই তারা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেত। পথিকদের হত্যা করে তাদের সর্বস্ব লুট করে নেয়াই ছিল তাদের জীবিকার মাধ্যম, পেশা। তারা কিন্তু এই হত্যাকে কখনও পাপ হিসেবে দেখেনি, মা ভবানীকে (কালি মা) খুশি করার উদ্দেশ্যে তারা এই হত্যাকে উৎসর্গ করতো।
ঠগিরা দল ভারী করত বংশপরম্পরায়। ঠগির ছেলেকেও সে নিয়ে আসত এই পেশায়। তবে সেটা সাবালক হওয়ার পর। তার আগ পর্যন্ত তাকে দলে রাখা হতো কিন্তু কিছু করতে দেওয়া হতো না।
সব ঠগিদের দলেই একজন দলনেতা বা সর্দার থাকত। দলনেতাকে বলা হতো জমাদার। সবাই তাকে মেনে চলত। শিকার করার পর যা পাওয়া যেত তা সবাই সমানভাগে ভাগ করে নিত। এমনকি দলে কেউ অনুপস্থিত থাকলেও তার ভাগ ঠিকমতো পেয়ে যেত। ঠগিদের প্রধান তীর্থক্ষেত্র ছিল পশ্চিমবাংলার ’কালিঘাট’ ও বিন্ধ্যাচলের ’ভবানী মন্দির’। যদিও ঠগিরা ছিল মূলত কালির উপাসক তবে ঠগিদের মধ্যে মুসলমান লোকও ছিল। আরবে হজ্জ পালনকারীদের পথপ্রদর্শক (মুয়াল্লেম)-এর বেশে তারা বাংলার জেলাসমূহে আসত এবং ধনীদের অত্যাবশ্যকীয় হজ্জ পালনে উদ্বুদ্ধ করত। তাদের পরিচালনায় তারা হজ যাত্রা শুরু করলে ঠগীরা তাদের খুন ও তাদের মালামাল লুণ্ঠন করত।
এভাবেই চলছিল তাদের গোপন কীর্তিকলাপ। আরও হয়তো অনেক বছরই চলত, যদি উইলিয়াম স্লিম্যান নামের একজন না থাকত। কাকতালীয়ভাবেই ঠগিদের একটা দলের সন্ধান পেয়ে গিয়েছিলেন এই ইংরেজ রাজকর্মচারী। পরে দেখা যায় কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়েছে। ঠগিদের সম্বন্ধে ব্রিটিশ সরকার প্রথম জানতে পারে ১৮১২ সালে। রাজ্যের নানা স্থানে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার সংবাদ ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। কর্তৃপক্ষ প্রথম প্রথম বিষয়টি আমলে নেয়নি, ভেবেছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ১৮১২ সালের দিকে গঙ্গার ধারে একটি গণকবরে একত্রে প্রায় ৫০টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। গণকবরটি পরীক্ষা করে দেখা গেল, মৃতদেহগুলো যাতে ভালো করে মাটির সঙ্গে মিশে যায় সেজন্য অত্যন্ত সচেতনভাবে কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, হাড়ের সন্ধিস্থলগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে, যাতে পচন প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হয় ও কবর ফুলে না ওঠে এবং মৃতদেহগুলো শেয়ালে না খায়। এসব বিচার-বিশ্লেষণ করে ব্রিটিশ তদন্ত দল ও কর্তৃপক্ষ অনুমান করে গণহত্যার পেছনে রয়েছে একদল সঙ্গবদ্ধ খুনি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ঠগি নামে এক গোষ্ঠীর কথা। ১৯৩৩ সালে উইলিয়াম শ্লিমানের নাতি জেমস শ্লিমানের লেখায় জানা যায়, একজন ঠগি মাসে গড়ে ৮-১০ জনকে খুন করত। সে হিসেবে প্রায় ২০ লক্ষেরও অধিক মানুষ এই ঠগিদের শিকার হয়েছিল বলে অনেক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যা অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। কারণ বাহরাম বলে এক নিষ্ঠুর ঠগির নিজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৯৩১ জন মানুষকে সে খুন করেছিল বলে দাবি করে এবং পরবর্তীতে ঐ নাম গিনেস বুক অব রেকর্ডে ওঠে। সে আরেক গল্প। তৎকালীন বেঙ্গল আর্মি অফিসার কর্নেল উইলিয়াম শ্লিমানের সে সময় ঠগি খুঁজতে গা উজাড় করে দেন। ১৮৩০ থেকে ১৮৪১ সালের মধ্যেই প্রায় তিন হাজার ৭০০ ঠগি ধরা পড়ে। তাদের প্রায় সবাইকে পরে ঝুলতে হয় ফাঁসিতে, যে ফাঁস দিয়ে তারা মেরেছিল লাখ লাখ পথিককে।

সুত্র
- টাইমস অফ ইন্ডিয়া
- উইকিপিডিয়া
- ঠগি, শ্রী পান্থ।


কোনো স্বয়ংক্রিয় বিকল্প পাঠ্য উপলব্ধ নেই৷

মুসলিমদের জন্য ভারত ভাগ হয়েছিল।



মুসলিমদের জন্য ভারত ভাগ হয়েছিল।




প্রণব কুমার কুণ্ডু








প্রণব কুমার কুণ্ডু




মুসলিমদের জন্য ভারত ভাগ হয়েছিল।

জ্রওহরলাল নেহেরু আর মহাত্মা গান্ধির,  অত্যধিক আগ্রহের জন্য, ভারত ভাগ হয়েছিল !

সেই 'মুসলিম'-রাই, মুসলিম ঐতিহ্য সূত্রে,  অন্তত তিনজন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল।

ভারতের হিন্দুরা,  তার জন্য কি,  প্রায়শ্চিত্ত করেছিল ?


সেই ঐতিহ্যসূত্রের মুসলিম প্রধানমন্ত্রীর একজন, ভারতকে 'ধর্মনিরপেক্ষতা'র ফাঁদে ফেলে, 'সেক্যুলার' বানিয়েছিল !

একজন আবার, তামাম কাশ্মীরে, অদ্ভূত ধারা, ৩৭০ ধারা, লাগু করেছিল !

আরও অদ্ভূত ধারা, তামাম কাশ্মীরে,  ৩৫-এ ধারা, এনেছিল !

যারা ঐ দুইটি 'ধারা' আনতে সহযোগীতা করেছিল, তারা কি সবাই, সৎ ভারতীয় ছিল ?