বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৮

মান্না দের গৃহ বন্দিত্ব



   মান্না দের গৃহ বন্দিত্ব


   ফেসবুক থেকে           শেয়ার করেছেন                প্রণব কুমার কুণ্ডু


শেষ জীবনে মান্না দে...॥
মুম্বাই ছেড়ে যাবার সময় মান্না দে বলেছিলেন,' ছোট মেয়ে সুমিতা বেঙ্গালুরুতে কিছু কাজ-টাজ করতে চায়। তাই আমরাও চলে যাচ্ছি। ওকে তো আমরা একা ছেড়ে দিতে পারিনা'।
তারপর ?
আরতি মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন 'দিনের পর দিন ফোন করেছি। বেজে গেছে শুধু। কেউ ফোন ধরতো না। একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়িকা শুনলাম মান্নাদার জন্মদিনে ওর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে শেষমেশ বাড়িতে ঢুকতে না পেরে জানালা থেকে শুভেচ্ছা আর প্রণাম জানিয়ে চলে আসেন'। কেন ??
যে মান্না দে ভোরবেলা রেওয়াজ ছাড়া ভাবতেই পারতেন না শেষ জীবনে তার কাছে একটা হারমোনিয়াম পর্যন্ত ছিলনা !!!!
মান্না দের বহু গানের মিউজিক আরেঞ্জার হিসেবে কাজ করেছেন শান্তনু বসু। স্ত্রী সুলোচনার মৃত্যুর পর মান্না দে একদিন ফোন করলেন তাকে,' সুলুকে উৎসর্গ করে কয়েকটা গান করব ঠিক করেছি। তোমার হেল্প চাই'। তারপরেই বললেন,' দেখো,এই সময় আমার গানতো খরচা করে কেউ করবেনা। তুমি আমাকে বলো,আমি যদি আটটা গান করি,কত খরচ হতে পারে'?
ভাবা যায় ?
শেষ পর্যন্ত অবশ্য মহুয়া লাহিড়ী এগিয়ে এসেছিলেন সেই রেকর্ড করার জন্য। এই রেকর্ডের কাজেই বেঙ্গালুরু পৌঁছে শান্তনু বসু ফোন করলেন মান্নাদেকে, তিনি জিজ্ঞেস করলেন,'কাল তুমি কখন আসবে?' একটু অবাক হয়ে শান্তনু বসু বললেন,'দাদা আমি তো আজই আপনার সঙ্গে গান নিয়ে বসবো বলেই দুপুরে চলে এলাম। আমি যদি পাঁচটা-ছটা নাগাদ যাই'। একটু ইতস্তত হয়ে মান্না দে জবাব দিলেন,'আজ তো চুমু (ছোট মেয়ে সুমিতা) কাজে চলে যাবে। তুমি কাল এসো'।
শান্তনু বসু বললেন,'কাউকে লাগবেনা দাদা। আমি আর আপনি হলেইতো হবে'। তিনি তাও বললেন 'অসুবিধে আছে'। শান্তনু বসু নিশ্চুপ। এবার তিনি নিজেই অস্বস্তির সঙ্গে বললেন 'আমাকে তো তালাবন্ধ করে চাবি নিয়ে ও কাজে চলে যায়। আবার রাত বারোটা সাড়ে বারোটা নাগাদ আসে'। স্তম্ভিত শান্তনু বসু বললেন 'দাদা, এভাবে'!! 'আর বোলো না,আর বোলো না। আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল, আর বাঁচতে ইচ্ছে করেনা '। বলেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন মান্না দে।
ইনি সেই মান্না দে যিনি নিজের সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন আমাদের গান শোনাতে। ইনি সেই মান্না দে যিনি উপমহাদেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গায়কদের একজন!!
কে জানে শেষ জীবনে কার কি লেখা আছে 

কোরানের নির্দেশ










কোরানের নির্দেশ


কোরআন-এর চারটি বাণী

অজানা তথ্য   তার প্রথম পোস্ট                                        
ফেসবুক থেকে  শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু

����জিহাদি গ্রন্থ কোরানের কিছু শান্তির বাণী �����


অমুসলিম বনাম মুসলিম এর প্রতি আল্লার আচার আচরণ ।


সুরা আন নিসা।

4:89)

ﻭَﺩُّﻭﺍْ ﻟَﻮْ ﺗَﻜْﻔُﺮُﻭﻥَ ﻛَﻤَﺎ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍْ ﻓَﺘَﻜُﻮﻧُﻮﻥَ ﺳَﻮَﺍﺀ ﻓَﻼَ ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭﺍْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀ ﺣَﺘَّﻰَ ﻳُﻬَﺎﺟِﺮُﻭﺍْ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮْﺍْ ﻓَﺨُﺬُﻭﻫُﻢْ ﻭَﺍﻗْﺘُﻠُﻮﻫُﻢْ ﺣَﻴْﺚُ
 ﻭَﺟَﺪﺗَّﻤُﻮﻫُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﺘَّﺨِﺬُﻭﺍْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻭَﻻَ ﻧَﺼِﻴﺮًﺍ
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।


(4:90)

ﺇِﻻَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺼِﻠُﻮﻥَ ﺇِﻟَﻰَ ﻗَﻮْﻡٍ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻢ ﻣِّﻴﺜَﺎﻕٌ ﺃَﻭْ ﺟَﺂﺅُﻭﻛُﻢْ ﺣَﺼِﺮَﺕْ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫُﻢْ ﺃَﻥ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻧَﻜُﻢْ ﺃَﻭْ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﺍْ ﻗَﻮْﻣَﻬُﻢْ ﻭَﻟَﻮْ ﺷَﺎﺀ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻟَﺴَﻠَّﻄَﻬُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓَﻠَﻘَﺎﺗَﻠُﻮﻛُﻢْ ﻓَﺈِﻥِ ﺍﻋْﺘَﺰَﻟُﻮﻛُﻢْ ﻓَﻠَﻢْ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻛُﻢْ ﻭَﺃَﻟْﻘَﻮْﺍْ ﺇِﻟَﻴْﻜُﻢُ ﺍﻟﺴَّﻠَﻢَ ﻓَﻤَﺎ ﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻟَﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺳَﺒِﻴﻼً
কিন্তু যারা এমন সম্প্রদায়ের সাথে মিলিত হয় যে, তোমাদের মধ্যে ও তাদের মধ্যে চুক্তি আছে অথবা তোমাদের কাছে এভাবে আসে যে, তাদের অন্তর তোমাদের সাথে এবং স্বজাতির সাথেও যুদ্ধ করতে অনিচ্ছুক। যদি আল্লাহ ইচ্ছে করতেন, তবে তোমাদের উপর তাদেরকে প্রবল করে দিতেন। ফলে তারা অবশ্যই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করত। অতঃপর যদি তারা তোমাদের থেকে পৃথক থাকে তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের সাথে সন্ধি করে, তবে আল্লাহ তোমাদের কে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ দেননি।


(4:91)

ﺳَﺘَﺠِﺪُﻭﻥَ ﺁﺧَﺮِﻳﻦَ ﻳُﺮِﻳﺪُﻭﻥَ ﺃَﻥ ﻳَﺄْﻣَﻨُﻮﻛُﻢْ ﻭَﻳَﺄْﻣَﻨُﻮﺍْ ﻗَﻮْﻣَﻬُﻢْ ﻛُﻞَّ ﻣَﺎ ﺭُﺩُّﻭَﺍْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻔِﺘْﻨِﺔِ ﺃُﺭْﻛِﺴُﻮﺍْ ﻓِﻴِﻬَﺎ ﻓَﺈِﻥ ﻟَّﻢْ ﻳَﻌْﺘَﺰِﻟُﻮﻛُﻢْ ﻭَﻳُﻠْﻘُﻮﺍْ ﺇِﻟَﻴْﻜُﻢُ ﺍﻟﺴَّﻠَﻢَ ﻭَﻳَﻜُﻔُّﻮَﺍْ ﺃَﻳْﺪِﻳَﻬُﻢْ ﻓَﺨُﺬُﻭﻫُﻢْ ﻭَﺍﻗْﺘُﻠُﻮﻫُﻢْ ﺣَﻴْﺚُ ﺛِﻘِﻔْﺘُﻤُﻮﻫُﻢْ ﻭَﺃُﻭْﻟَـﺌِﻜُﻢْ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺳُﻠْﻄَﺎﻧًﺎ ﻣُّﺒِﻴﻨًﺎ
এখন তুমি আরও এক সম্প্রদায়কে পাবে। তারা তোমাদের কাছেও স্বজাতির কাছেও এবং নির্বিঘ্ন হয়ে থাকতে চায়। যখন তাদেরকে ফ্যাসাদের প্রতি মনোনিবেশ করানো হয়, তখন তারা তাতে নিপতিত হয়, অতএব তারা যদি তোমাদের থেকে নিবৃত্ত না হয়, তোমাদের সাথে সন্ধি না রাখে এবং স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত না রাখে, তবে তোমরা তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে প্রকাশ্য যুক্তি-প্রমাণ দান করেছি।


(4:92)

ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻤُﺆْﻣِﻦٍ ﺃَﻥ ﻳَﻘْﺘُﻞَ ﻣُﺆْﻣِﻨًﺎ ﺇِﻻَّ ﺧَﻄَﺌًﺎ ﻭَﻣَﻦ ﻗَﺘَﻞَ ﻣُﺆْﻣِﻨًﺎ ﺧَﻄَﺌًﺎ ﻓَﺘَﺤْﺮِﻳﺮُ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ ﻣُّﺆْﻣِﻨَﺔٍ ﻭَﺩِﻳَﺔٌ ﻣُّﺴَﻠَّﻤَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻫْﻠِﻪِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﻳَﺼَّﺪَّﻗُﻮﺍْ ﻓَﺈِﻥ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦ ﻗَﻮْﻡٍ ﻋَﺪُﻭٍّ ﻟَّﻜُﻢْ ﻭَﻫُﻮَ ﻣْﺆْﻣِﻦٌ ﻓَﺘَﺤْﺮِﻳﺮُ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ ﻣُّﺆْﻣِﻨَﺔٍ ﻭَﺇِﻥ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦ ﻗَﻮْﻡٍ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻣِّﻴﺜَﺎﻕٌ ﻓَﺪِﻳَﺔٌ ﻣُّﺴَﻠَّﻤَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻫْﻠِﻪِ ﻭَﺗَﺤْﺮِﻳﺮُ ﺭَﻗَﺒَﺔٍ ﻣُّﺆْﻣِﻨَﺔً ﻓَﻤَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺠِﺪْ ﻓَﺼِﻴَﺎﻡُ ﺷَﻬْﺮَﻳْﻦِ ﻣُﺘَﺘَﺎﺑِﻌَﻴْﻦِ ﺗَﻮْﺑَﺔً ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻠِﻴﻤًﺎ ﺣَﻜِﻴﻤًﺎ
মুসলমানের কাজ নয় যে, মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে। যে ব্যক্তি মুসলমানকে ভূলক্রমে হত্যা করে, সে একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং রক্ত বিনিময় সমর্পন করবে তার স্বজনদেরকে; কিন্তু যদি তারা ক্ষমা করে দেয়। অতঃপর যদি নিহত ব্যক্তি তোমাদের শত্রু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং যদি সে তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে রক্ত বিনিময় সমর্পণ করবে তার স্বজনদেরকে এবং একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে। অতঃপর যে ব্যক্তি না পায়, সে আল্লাহর কাছ থেকে গোনাহ মাফ করানোর জন্যে উপর্যুপুরি দুই মাস রোযা রাখবে। আল্লাহ, মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।


মন্তব্যগুলি
Pranab Kumar Kundu
Pranab Kumar Kundu   একটু সরল বাংলা করে বুঝিয়ে বলুন ! আমার বদ্ধ জ্ঞানলোক উন্মিলিত করুন !