রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮

রাজশেখর বসু


   রাজশেখর বসু


   ফেসবুক থেকে অংশভাগ করেছেন                    প্রণব কুমার কুণ্ডু


স্মরণ করি....
*******************************************

রাজশেখর বসু (মার্চ ১৬, ১৮৮০ - এপ্রিল ২৭, ১৯৬০) ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক, অনুবাদক, রসায়নবিদ ও অভিধান প্রণেতা। তিনি পরশুরাম ছদ্মনামে তাঁর ব্যঙ্গকৌতুক ও বিদ্রুপাত্মক কথাসাহিত্যের জন্য প্রসিদ্ধ। গল্পরচনা ছাড়াও স্বনামে প্রকাশিত কালিদাসের মেঘদূত, বাল্মীকি রামায়ণ (সারানুবাদ), কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসকৃত মহাভারত (সারানুবাদ), শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা ইত্যাদি ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্যের অনুবাদগ্রন্থগুলিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। চলন্তিকা অভিধান প্রণয়নের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিতি। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে রবীন্দ্র পুরস্কারে ও ভারত সরকার পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে আনন্দীবাঈ ইত্যাদি গল্প গ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

রাজশেখর বসু ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মার্চ বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা দার্শনিক পণ্ডিত চন্দ্রশেখর বসুর ছিলেন দ্বারভাঙ্গা রাজ-এস্টেটের ম্যানেজার। তাঁর নিবাস ছিল নদিয়া জেলার বীরনগর (উলা) গ্রামে। রাজশেখর বসু ছিলেন চন্দ্রশেখর ও লক্ষ্মীমণি দেবীর ছয় সন্তানের (শশীশেখর, গিরিন্দ্রশেখর প্রমুখ) মধ্যে দ্বিতীয়। দ্বারভাঙ্গায় তিনি শৈশবকাল অতিবহিত করেন ও বাংলা ভাষার তুলনায় হিন্দী ভাষায় পারদর্শীতা অর্জন করেন। তিনি ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বারভাঙ্গা রাজস্কুল থেকে এন্ট্রাস, ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে পাটনা কলেজ থেকে এফ.এ পাশ করেন। ফার্স্ট আর্টস পাস করার পর শ্যামাচরণ দে'র পৌত্রী মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন। তখনও এম.এস-সি কোর্স চালু না হওয়ায় ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এম.এ পরীক্ষা দেন এবং প্রথম হন।

১৯০২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে বি.এল পাশ করে মাত্র তিনদিন আইন ব্যবসায় করেছিলেন। আইন ব্যবসার তুলনায় বিজ্ঞান চর্চাতেই অধিকতর সফলতা লাভের লক্ষ্যে আচার্য স্যার প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস কোম্পানীতে ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে রাজশেখর তাঁর চাকুরী-জীবনের শুরু করেন। সেখানে তিনি একজন রাসায়নিক হিসেবে সামান্য বেতনে নিযুক্ত হন । স্বীয় দক্ষতায় অল্পদিনেই তিনি আচার্য স্যার প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও তৎকালীন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডাঃ কার্তিক বসুর প্রিয়ভাজনর হন। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঐ কোম্পানীর পরিচালক পদে উন্নীত হন। একদিকে গবেষণার কাজ, অন্যদিকে ব্যবসায় পরিচালনা -- উভয়ক্ষেত্রেই তিনি অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দেন। কেমিস্ট্রি ও ফিজিওলজির মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে তিনি এক নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। স্বাস্থ্যহানির দরুন ** খ্রিস্টাব্দে এখান থেকে অবসর নিলেও উপদেষ্টা এবং পরিচালক পদে আমৃত্যু এই কোম্পানীর সাথে যুক্ত ছিলেন। নিয়মানুবর্তিতা ও সুশৃঙ্খল অভ্যাসের জন্য তাঁর জীবন-যাপন-পদ্ধতি কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছিল।

১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসিত অবিভক্ত ভারতে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হলে তিনি তাতে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন।

রাজশেখর বসুর সাহিত্যিক কর্মজীবন শুরু হয় ১৯২০-এর দশকে। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ‘পরশুরাম’ ছদ্মনামে তিনি একটি মাসিক পত্রিকায় 'শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড' নামে ব্যঙ্গ রচনা প্রকাশ করেন। সেখানে অনেকগুলো রসরচনামূলক গল্পগ্রন্থ রচনা প্রকাশ করেন, যা তাঁকে প্রভূত জনপ্রিয়তা প্রদান করেছিল। শনিবারের চিঠি পত্রিকাতেও তিনি নিয়মিত লিখেছেন। গল্পরচনা ছাড়াও স্বনামে প্রকাশিত কালিদাসের মেঘদূত, বাল্মীকি রামায়ণ (সারানুবাদ), কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসকৃত মহাভারত (সারানুবাদ), শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা ইত্যাদি ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্যের অনুবাদগ্রন্থগুলিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় রাজশেখর বসু বিরচিত বাংলা অভিধান চলন্তিকা। এগুলি ছাড়াও লঘুগুরু, বিচিন্তা, ভারতের খনিজ, কুটির শিল্প প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থও রচনা করেছিলেন তিনি। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা মোট ২১টি। রাজশেখর বসুর সম্পূর্ণ গ্রন্থতালিকা নিচে প্রদত্ত হল:

গ্রন্থনাম বর্গ প্রকাশক প্রথম প্রকাশ (বঙ্গাব্দ)
গড্ডলিকা গল্পগ্রন্থ ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৩৩১
কজ্জলী গল্পগ্রন্থ ১৩৩৫
চলন্তিকা অভিধান সুধীরচন্দ্র সরকার(এম. সি. সরকার অ্যান্ড সনস লিমিটেড) ১৩৩৭
হনুমানের স্বপ্ন গল্পগ্রন্থ এম. সি. সরকার অ্যান্ড সনস লিমিটেড ১৩৪৪
লঘুগুরু (১৯১২) প্রবন্ধ-সংগ্রহ রঞ্জন পাবলিশিং হাউজ ১৩৪৬
কুটিরশিল্প জ্ঞান-বিজ্ঞান সংক্রান্ত গ্রন্থ বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ (বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহ - ২) ১৩৫০
কালিদাসের মেঘদূত অনুবাদ গ্রন্থ বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ ১৩৫০
ভারতের খনিজ জ্ঞান-বিজ্ঞান সংক্রান্ত গ্রন্থ বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ (বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহ - ৭) ১৩৫০

সম্মাননা ও স্বীকৃতি:
১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প গ্রন্থের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করে। আনন্দীবাঈ ইত্যাদি গল্প বইটির জন্য তিনি ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত বানান-সংস্কার সমিতি ও ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিভাষা সংসদের সভাপতিত্বও করেন রাজশেখর। ১৯৫৭-৫৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত হন তিনি। এছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি প্রদান করে। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ উপাধি প্রদান করে। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে জগত্তারিণী পদক এবং ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে সরোজিনী পদকেও ভূষিত হন।

বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় রাজশেখর বসুর দু'টি ছোটগল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। সেগুলো হলো পরশ পাথর এবং বিরিঞ্চি বাবা অবলম্বনে নির্মিত'মহাপুরুষ।
রাজশেখর বসু মৃণালিনী দেবীকে বিবাহ করেন। বসু দম্পতির এক কন্যা ছিল। তাঁর জামাই খুব অল্প বয়সে অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে; শোকে কাতর হয়ে মেয়েও একই দিনে মারা যায়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর স্ত্রী মৃণালীনি দেবীও লোকান্তরিত হন। পরবর্তী ১৮ বছর স্ত্রীবিহীন একাকী জীবনে রচিত হয় তাঁর অমূল্য সাহিত্যকর্মসমূহ। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ-দূর্দশার কথা তাঁর লেখনিতে পাওয়া যায়নি। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তিনি লেখালেখি চালিয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ২৭শে এপ্রিল দ্বিতীয় দফা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর জীবনাবসান হয়।

(সৌজন্যে:উইকিপিডিয়া)

Black Holes


                     Black Holes


                      Shared by     PRANAB KUMAR KUNDU  from Facebook.



Black Holes Could Be Interdimensional Portals To A Parallel Universe

Falling into a black hole in space could send you into a parallel universe rather than simply swallowing you up, Professor Stephen Hawking has sensationally claimed.

Giving fresh hope to those who fear humankind may one day be consumed by the galactic plug holes, the world-renowned British scientist unveiled his latest theory at a specialist conference in Stockholm, Sweden.

He said: "If you feel you are in a black hole, don’t give up. There’s a way out.”

Until now, it was the theoretical 'wormhole' that was regarded as the portal to alternative dimensions.

However, Prof. Hawking described how he has become aware of a theoretical way “by which information from matter taken into a black hole is actually returned out of them".

It is believed at the centre of a black hole is a place where gravity compresses down matter so much that the standard laws of physics no longer apply.

It was widely held that any information (such as DNA) about the physical make-up of anything going into a black hole would be lost, which is clearly impossible under the laws physicists work under.

But Hawking is convinced the information has to go somewhere - either by being zapped into a new dimension elsewhere or processed within the black hole and ending up like a hologram of itself on the outside edge of the structure.

This is where 'Hawking radiation' - the substance that comes out of a black hole and previously named after the Univesity of Cambridge academic - ends up.

Prof. Hawking spoke at the KTH Royal Institute of Technology, which is hosting the Hawking Radiation Conference, focussed on the mystery of the information paradox and what happens after something is consumed by a black hole.
https://www.express.co.uk/news/science/600893/Professor-Stephen-Hawking-black-holes-could-be-portals-to-a-PARALLEL-UNIVERSE

Clips, images credit: ESO, ESA/HUBBLE & NASA/JPL

Music credit: YouTube Audio Library
Shared publiclyView activity


চেঙ্গিস, তৈমুর ও বাবর

     
      চেঙ্গিস, তৈমুর ও বাবর

   
     ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন                        প্রণব কুমার কুণ্ডু


চেঙ্গিস, তৈমুর ও বাবর

১। সর্বদাই উপযুক্ত সেনানায়ক নির্বচন করা হত, তারা দূরবর্তী স্থানে স্বাধীন ভাবে সৈন্য পরিচালনা করতেন কিন্তু কেন্দ্রীয় রণনীতিরর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে।
২। চেঙ্গিস খানের খাস বাহীনি যারা তার সবথেকে কার্যক্ষম বাহীনি ছিল।
৩। পুরো ফৌজই অশ্বারোহী বাহিনী ছিল। তারা যে দ্রুততার সঙ্গে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত, তা সেই সময়ের নিরিখে অসাধারণ।
চেঙ্গিসের সাম্রাজ্য এডরিয়াটিক থেকে ইয়েলো সী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রাশিয়ার কিছু অঞ্চলে তার সাম্রাজ্য ২০০ বৎসর পর্যন্ত বজায় ছিল।


তৈমুরের রণ সংগঠন :
তৈমুরের সেনাবাহিনী যে রণসংগঠন অনুসরণ করত, তা ভারতে মোঘল সাম্রাজ্যের শেষ দিন অবধি পালিত হয়।
১। ভ্যানগার্ড বা অগ্রবর্তী বাহীনি (হারাবল)
২। দক্ষিণ ভাগ (বরানঘর)
৩। বাম ভাগ (জরানঘর)
৪। মধ্য ভাগ (কুল বা ঘোল)
৫। রিয়ার গার্ড বা সেনাবাহিনীর পশ্চাৎ ভাগ রক্ষাকারী বাহীনি (চণ্ডাওয়াল)
৬। এই বাহীনির সম্মুখে থাকত অশ্বারোহী তীরন্দাজ বা ঝটিকা বাহীনি / skrimishers (কারাওয়াল)
৭। অ্যাডভানস রিজার্ভ (ইলতিমিশ) এর দুটি বাহীনি যা সেনাবাহিনীর মধ্যভাগের দুইদিকে এমন অবস্থানে থাকতো যে তারাই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিত।
৮। দক্ষিণ ও বাম প্রান্তে একটি করে হালকা অশ্বারোহী বাহীনি থাকত, যা তুর্কি যুদ্ধকৌশল মতো দুই দিক থেকে শত্রুবাহীনিকে ঘিরে ফেলত। (তৌলকনামা) "the two horns of the crescent closed in the rear of the enemy".
তৈমুর যখন ভারত আক্রমণ করেন তার ১০০০ অশ্বারোহীর ৯২টি স্কোয়াড্রন (বা বাহীনি) অর্থাৎ ৯২০০০ সেনা ছিল।


বাবরের সেনা :
চেঙ্গিস আর তৈমুরের আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।
বাবরের ছিল। দু ধরনের : ১। কম দূরত্ব ও সোজা চালানোর জন্য মাসকেট। ২। বাধা অপসারণের জন্য এবং ভার্টিকাল ফায়ারিং এর জন্য বড় হাউটজার (মর্টার)। কামানগুলিকে বাবর উটের পিঠে চাপিয়ে ভারতে নিয়ে আসেন। তার এই মর্টার খুব ভারী ছিল না। একে ফর্কের উপর রেখে দাগা হত বলে একে ফালকোনেটও বলা হত।


তথ্যসুত্র : The Military History of India by Jadunath Sarkar

পলাশির যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকদের শেষ পরিণতি


  পলাশির যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকদের শেষ পরিণতি


   অংশভাগ করেছেন               প্রণব কুমার কুণ্ডু

India - ভারতবর্ষ Naveen Saini-এর সাথে। ফেসবুক থেকে

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।



ইসলাম এবং জঙ্গি সংগঠন


     ইসলাম এবং জঙ্গি সংগঠন


      অংশভাগ করেছেন                                 প্রণব কুমার কুণ্ডু



Sibgopal Banerjee        ফেসবুক


আমি ভাবছি......
পাকিস্তানে মুসলমানদের কে মারছে ?
আফগানিস্তানে মুসলমানদের কে মারছে ?
সিরিয়াতে মুসলমানদের কে মারছে ?
ইয়েমেনে মুসলমানদের কে মারছে ?
ইরাকে মুসলমানদের কে মারছে ?
লিবিয়াতে মুসলমানদের কে মারছে ?
মিশরে মুসলমানদের কে মারছে ?
সোমালিয়াতে মুসলমানদের কে মারছে ?
বালুচিস্তানে মুসলমানদের কে মারছে ?

এখন আমি ভাবছি যে যখন এই দেশগুলো ইসলামিক দেশ... তাহলে শান্তি কোথায় ???
আমি ইসলামের ওপর প্রশ্ন করছি না, কারণ সবাই জানেন যে ইসলাম একটি শান্তিপূর্ণ ধর্ম... কিন্তু শান্তি এখানে রহস্যময় ভাবে নিরুদ্দেশ... !!!

আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন, মিশর, সোমালিয়াকে কি বজরং দল বা হিন্দু মহাসভা বর্বাদ করেছে ? ওখানে দাঙ্গা করানোর জন্য কি আর. এস. এস. এর লোক গিয়েছিল ?

এ এক অদ্ভূত বিড়ম্বনা,
এখানে কিছু দেশদ্রোহীর কাছে,
ইসরত জাহান 'মেয়ে',
কানহাইয়া কুমার 'ছেলে',
দাউদ ইব্রাহিম 'ভাই',
আফজল হল 'গুরু',
কিন্তু,
ভারত 'মাতা' নয় !!!
এমনটা... কেন...... ???

বৌদ্ধ + হিন্দু = কোনো সমস্যা নেই,

হিন্দু + খ্রিস্টান = কোনো সমস্যা নেই,

হিন্দু + ইহুদী = কোনো সমস্যা নেই,

নাস্তিক + হিন্দু = কোনো সমস্যা নেই,

বৌদ্ধ + শিখ = কোনো সমস্যা নেই,

জৈন + হিন্দু = কোনো সমস্যা নেই,

শিখ + জৈন = কোনো সমস্যা নেই,

জৈন + বৌদ্ধ = কোনো সমস্যা নেই,

হিন্দু + শিখ = কোনো সমস্যা নেই,


এবার একটু মন দিন...
মুসলিম + হিন্দু = সমস্যা,

মুসলিম + শিখ = সমস্যা,

মুসলিম + বৌদ্ধ = সমস্যা,

মুসলিম + জৈন = সমস্যা,

মুসলিম + ইহুদী = সমস্যা,

মুসলিম + খ্রিস্টান = সমস্যা,

মুসলিম + নাস্তিক = সমস্যা,

মুসলিম + মুসলিম = খুবই বড় সমস্যা !


উদাহরণ দেখুন, যেখানে যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানে তারা সুখে থাকে না আর অন্যকে থাকতেও দেয় না !
দেখুন...
মুসলিম সুখে নেই গাজাতে,

মুসলিম সুখে নেই মিশরে,

মুসলিম সুখে নেই লিবিয়াতে,

মুসলিম সুখে নেই মরক্কোতে,

মুসলিম সুখে নেই ইরানে,

মুসলিম সুখে নেই ইরাকে,

মুসলিম সুখে নেই ইয়েমেনে,

মুসলিম সুখে নেই আফগানিস্তানে,

মুসলিম সুখে নেই পাকিস্তানে,

মুসলিম সুখে নেই সিরিয়াতে

মুসলিম সুখে নেই লেবাননে,

মুসলিম সুখে নেই নাইজেরিয়াতে

মুসলিম সুখে নেই কেনিয়াতে,

মুসলিম সুখে নেই সুদানে,


এখন দেখুন...
মুসলিম সেখানে সুখে আছে, যেখানে তারা সংখ্যায় কম...

মুসলিম সুখে আছে অস্ট্রেলিয়াতে,

মুসলিম সুখে আছে ইংল্যাণ্ডে,

মুসলিম সুখে আছে বেলজিয়ামে,

মুসলিম সুখে আছে ফ্রান্সে,

মুসলিম সুখে আছে ইতালিতে

মুসলিম সুখে আছে জার্মানিতে

মুসলিম সুখে আছে সুইডেনে,

মুসলিম সুখে আছে আমেরিকাতে,

মুসলিম সুখে আছে কানাডাতে,

মুসলিম সুখে আছে নরওয়েতে,

মুসলিম সুখে আছে ভারতে,

মুসলিম সুখে আছে নেপালে,

মুসলমান সেইসব দেশে সুখে আছে !
যেগুলো ইসলামিক দেশ নয়...
আর দেখুন তারা সেই দেশগুলোকেই দোষী করে যেগুলো ইসলামিক দেশ নয়...!
অথবা যেখানে মুসলিমরা নেতৃত্বে নেই...!

মুসলমানরা সবসময় সেইসব দেশকে দোষী করে যেদেশে তারা সুখে আছে...!
আর মুসলমানরা সেইসব দেশকে বদলাতে চায়... যেখানে তারা সুখে আছে !
আর বদলে সেইসব দেশের মত করতে চায়... যেখানে তারা সুখে নেই...!
আর শেষ পর্যন্ত এর জন্য লড়াই করে...! আর একেই বলে...
*ইসলামিক জিহাদ*


এখন সেইসব সংগঠনগুলোকে দেখুন...!
যার দ্বারা তারা দুনিয়া বদলাতে চায়...!

১. আইসিস = জঙ্গি সংগঠন

২. আল কায়দা = জঙ্গি সংগঠন

৩. তালিবান = জঙ্গি সংগঠন

৪. হামাস = জঙ্গি সংগঠন

৫. হিজবুল মুজাহিদিন = জঙ্গি সংগঠন

৬. **************** = জঙ্গি সংগঠন

৭. আল নুসরা = জঙ্গি সংগঠন

৮. আবু সয়াফ = জঙ্গি সংগঠন

৯. আল বদর = জঙ্গি সংগঠন

১০. মুসলিম ব্রাদারহুড = জঙ্গি সংগঠন

১১. লস্কর এ তৈয়বা = জঙ্গি সংগঠন

১২. প্যালেস্টাইন লিবারেশন ফ্রন্ট = জঙ্গি সংগঠন

১৩. হেজবুল্লাহ = জঙ্গি সংগঠন

১৪. জামাত এ ইসলামিয়া = জঙ্গি সংগঠন

১৫. আব্দুল্লা আজম ব্রিগেড = জঙ্গি সংগঠন

ইত্যাদি এবং আরো অনেক ইসলামিক জিহাদি জঙ্গি সংগঠন !

এখন এটুকু তো আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে...
'সন্ত্রাসবাদীর' 'ধর্ম' কী... ???

এবার যদি কেউ হিন্দুকে বদনাম করে......
গেরুয়া সন্ত্রাসের নামে, তাহলে......
তাকে সেখানেই......
এই তথ্যগুলো অবশ্যই শোনান......!

কেবলমাত্র এই ধরনের লোকদের জন্যই ইসলামিক জিহাদের বাড়বাড়ন্ত......!
আশ্চর্য...... ঘোর আশ্চর্য...... ?


-2:48



লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্যগুলি

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর১৪ঘন্টা
Abhijit Abhijit দাদা আপনার এই বিশ্লেষন কিন্তু মোল্লার পা চাটা কুত্তা সেকুলার হিন্দু বুঝবে না।
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর১৪ঘন্টা
Abhijit Abhijit আপনি মাঝে মাঝে কিছু অভিজ্ঞতা কথা লিখবেন অনেক কিছু শেখার আছে
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর১৪ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর১৪ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর১৪ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর১৪ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর১২ঘন্টা
Saptadipa Cable Net your post is 100% true.really you are best writer in my fb friend circle.write for truthness. best of luck friend.
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর১২ঘন্টা
Pradip Pande Right .kisu sikhar ase amader
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর১১ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৯ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৮ঘন্টা
Sujay Haldar excellent, দারুন তথ্য জানলাম
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৮ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৮ঘন্টা
Arjun Kumar Attack and take action immediate
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৮ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৮ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৭ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৭ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৬ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৬ঘন্টা
Ashoke Kumar Roysarkar নির্ভেজাল সত্য কথা
পরিচালনা করুন


লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৫ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৫ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৫ঘন্টা

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
প্রত্যুত্তর৫ঘন্টা
Pranab Kumar Kundu আপনি জানিয়েছেন

'... ইসলাম একটি শান্তিপূর্ণ ধর্ম... '

আমি দুঃখ পেয়ে

হলাম

দীর্ণ

বিদীর্ণ !
পরিচালনা করুন