সোমবার, ১৮ জুন, ২০১৮

চৈতালি চৌধুরীর ছবি ( দুই )



চৈতালি চৌধুরীর ছবি          ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু


Chaitali Chowdhury           তার প্রোফাইল ছবি আপডেট করেছেন৷

ভারতে মুসলমানি ইতিহাস



ভারতে মুসলমানি ইতিহাস              শেয়ার করেছেন              প্রণব কুমার কুণ্ডু


Rudra Prasad Mukherjee গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥



সতর্কীকরণ পোষ্ট →→→→→

↓→হিন্দুদেরকে বলছি, কখনো কোনো
মুসলমানকে বলবেন না ঈদ মোবারক
কারণ, আপনি যদি মুসলমানদেরকে
ঈদের শুভেচ্ছা জানান, সেটা হবে-
আমাদের পূর্বপুরুষের উপর মুসলমানরা
যে হাজার বছর ধরে অত্যাচার
নির্যাতন চালিয়েছে, হাজার হাজার
মন্দির এবং বিগ্রহ ভেঙ্গেছে, কোটি
কোটি হিন্দুকে খুন করেছে, কোটি কোটি
হিন্দু নারীক গনিমতে মাল হিসেবে বন্দী
করে ধর্ষণ করেছে, যৌনদাসী হিসেবে
বাজারে বিক্রি করেছে, জোর করে
তাদের গর্ভে মুসলমানের বাচ্চার জন্ম
দিয়েছে- তাদের প্রতি
বিশ্বাসঘাতকতা।
যাদের এই সব ইতিহাস জানা নেই, তাদের
জন্য খুব সংক্ষিপ্তভাবে মুসলমানদের
হাজার বছরের দুঃশাসনের সেই ইতিহাসের
কয়েকটি তুলে ধরলাম, এগুলো পড়ুন,
জানুন আর বিবেচনা করুন কোনো
মুসলমানকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো
আপনার উচিত কি না ?
মুহম্মদ বিন কাশেম, ৭১১ সালে, সিন্ধু
দখল করার পর, যেসব হিন্দু পুরুষ
মুসলমান হতে চায় নি, তাদেরকে হত্যা
করে, প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার হিন্দু
নারীকে ক্রীতদাসী হিসেবে বন্দী করে
বাগদাদে পাঠায় এবং সকল মন্দিরের
মূর্তিকে ভেঙ্গে ফেলে সেগুলোকে
মসজিদে রূপান্তরিত করে ।
১০০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ নভেম্বর,
গজনীর সুলতান মাহমুদ, প্রথমবার
ভারত আক্রমন করে প্রায় ১৫ হাজার
হিন্দুকে হত্যা করে, প্রায় ৫ লক্ষ
হিন্দু নর-নারীকে ক্রীতদাস হিসেবে
বন্দী ক'রে কাবুলে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে
বিক্রি করে ।পরে আরো ১৭ বার
ভারত আক্রমন করে গুজরাটের
সোমনাথ মন্দির লুট করে এবং প্রায়
২০ লক্ষ স্বর্ণ মুদ্রা কাবুলে নিয়ে
যায়, সেই সাথে মন্দিরে পাথরের
মূর্তিগুলো ভেঙ্গে নিয়ে গিয়ে মসজিদের
সিঁড়ি বানায়। এসব ঘটনায় কত হিন্দুর
প্রাণ যে গিয়েছে এবং কত হিন্দু নারী
বন্দী হয়ে যে ক্রীতদাসীর জীবন
কাটাতে বাধ্য হয়েছে তার কোনো হিসেব
নেই।তবে অনুমান করা হয়, সুলতান
মাহমুদের হাতে প্রায় ১৫ লক্ষ হিন্দু
নিহত হয়েছে এবং ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ
নারী, বন্দী হয়ে যৌনদাসীত পরিণত
হয়েছিলো।
১১৯৪ খ্রিষ্টাব্দে, মহম্মদ ঘোরী ও
কুতুবুদ্দিন, রাজা জয়চাঁদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধের সময় এত হিন্দুকে হত্যা করে যে
তাদের কাটা মাথা এক সাথে জড়ো করায়
ছোট খাটো তিনটা পাহাড় হয়ে যায় এবং
এতে তারা এত লুটের মাল পায় যে,
সেগুলো দেখতে দেখতে তাদের চোখ
ক্লান্ত হয়ে যায়। এর পর কাশিতে এই
দুইজন প্রায় ১ হাজার মন্দির ধ্বংস
করে।
১১৯৬ খ্রিষ্টাব্দে এই কুতুবুদ্দিন,
গোয়ালিয়র দুর্গ আক্রমন করে প্রায়
১ লাখ হিন্দুকে হত্যা করে এবং সমস্ত
মন্দিরধ্বংস করে সেগুলোকে মসজিদ ও
মাদ্রাসায় পরিণত করে।
১১৯৭ সালে গুজরাট আক্রমন করে
কুতুব প্রায় ৫০ হাজার হিন্দুকে হত্যা
করে এবং ২০ হাজার হিন্দুকে দাস
হিসেবে বন্দী করে; এতে তাদের হাতে
এত পরিমান লুটের মাল আসে যা তারা
কল্পনাও করে নি।
১২০২ সালে কুতুব কালিঞ্জর দুর্গ
আক্রমন করে প্রায় ৫০ হাজার
হিন্দুকে ক্রীত দাস হিসেবে বন্দী করে,
সমস্ত মন্দিরকে মসজিদে পরিণত করে
এবং এত হিন্দুকে হত্যা করে যে
হিন্দুদের রক্তে মাটি পিচের মতো কালো
হয়ে যায়।
বখতিয়ার কিলজি, ১২০৪ সালে
সমস্ত বৌদ্ধকে হত্যা করে নালন্দা
বিশ্ববিদ্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে
ধ্বংস করে।
আলাউদ্দিন খিলজি, গুজরাট আক্রমন
করে রাতের বেলা ঘুম থেকে ডেকে তুলে
এত হিন্দু হত্যা করেছিলো যে, হিন্দুদের
রক্ত নদীর স্রোতের মতো বয়ে
গিয়েছিলো। এছাড়াও এই খিলজি,
সোমনাথ মন্দির আক্রমন করে শুধু
টাকা পয়সাই লুটই করে নি, মূর্তি গুলো
ভেঙ্গে নিয়ে গিয়ে দিল্লির জামে
সমজিদের সামনে ফেলে রেখেছিলো, যাতে
মুসলমানরা নামাজ পড়তে মসজিদে
যাওয়ার সময় সেগুলো পায়ে মাড়িয়ে
যেতে পারে।
মুহম্মদ বিন তুঘলকের প্রিয় শখ ছিলো,
তার দরবারে কোনো মুসলমান, সৌজন্য
সাক্ষাত করতে এলেই তাকে কিছু হিন্দু
মেয়ে উপহার দেওয়া, যাতে তারা তাদের
নিয়ে গিয়ে ভোগ করতে পারে। আর
সভাসদরা তো হিন্দু মেয়েদের নিয়মিত
উপহার পেতোই। এই হিন্দু মেয়েগুলো যে
জোর করেতুলে আনা এবং এরা আমাদের
ই পূর্বপুরুষের মা-বোন-মেয়ে।
ফিরোজ শাহ, জোর করে তুলে আনা
হিন্দু মেয়েদের শুধু ধর্ষণ করেই মজা
পেতো না, তাদের যোনী দ্বারে গরম
লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া, যোনী দ্বার
সেলাই করে দেওয়া এবং স্তন কেটে
ফেলা ছিলো তারনিত্য দিনের শখ। এই
ফিরোজ শাহ ১৩৬০ সালে উড়িষ্যা
আক্রমন করে পুরী শহর লুট করে,
জগন্নাথ মন্দিরে সমস্ত মূর্তি ভেঙ্গে
সমুদ্রে ফেলে দেয় এবং তার ভয়ে একটা
দ্বীপে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১ লাখ
২০ হাজার হিন্দুকে কেটে সমুদ্রে
ভাসিয়ে দেয়।
তৈমুর লং, হনুমানগড় আক্রমন করে
প্রায় ১০ হাজার হিন্দুকে হত্যা করে,
এরপরসিরসা আক্রমন করে প্রায় ২
হাজার জাঠ হিন্দুকে হত্যা করে এবং
তাদের নারী ও শিশুকে ক্রীতদাস হিসেবে
বন্দী করে। এরপর দিল্লির নিকটে
লোনি শহরে হিন্দু মুসলমানের একত্রে
বাস হওয়ায়, মুসলমানদেরবাদ দিয়ে বেছে
বেছে হিন্দুদের হত্যা করে। শেষে দিল্লি
আক্রমন করার পূর্বে বন্দী হওয়া
প্রায় ১লক্ষ হিন্দুকে একদিনের মধ্যে
হত্যা করে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়।
বাবর, রাজপুত রাজা সংগ্রাম সিংহের
সাথে যুদ্ধের সময় প্রায় ১ লক্ষ হিন্দু
সৈনিক এবং আরো প্রায় ১লক্ষ
সাধারণ হিন্দুকে হত্যা করে। এই বাবরই
অযোধ্যার রাম মন্দির ধ্বংস করে
বাবরি মসজিদ বানানোর সময় বন্দী
হিন্দুদের গলা কেটে রক্ত সংগ্রহ করে
সেই রক্ত, জলের পরিবর্তে চুন
সুড়কির সাথে মিশিয়ে মসজিদের ইট
গাঁথে।
সম্রাট আকবর, আকবর দ্য লম্পট,
মীনা বাজার বসিয়ে হিন্দু মেয়েদের
বেচতো এবং এই আকবরের হেরেমে যে
প্রায় ৫ হাজার মেয়ে ছিলো, তারাসবাই
ছিলো হিন্দু। এই আকবর চিতোর দুর্গ
দখল করার সময় এত হিন্দুকে হত্যা
করেছিলো যে, তাদেরকে গণনা করা
সম্ভব ছিলো না, শেষে তাদের গলার
পৈতা খুলে এনেগণনা করে দেখা গেলো
মোট ওজন সাড়ে ৭৪ মন। কত লক্ষ
হিন্দুকে হত্যা করলে তাদের পৈতার
ওজন সাড়ে ৭৪ মন হতে পারে, একবার
কল্পনা করুন।
নাচনেওয়ালি আনার কলির
বিশ্বপ্রেমিক জাহাঙ্গীরের আমলে
বিভিন্নভাবে কয়েকলক্ষ হিন্দুকে হত্যা
করা হয়।
ঔরঙ্গজেব, শাজাহানের মেয়ে কাম
উপপত্নী জাহানারার মসজিদের সিঁড়ির
নিচে দেবতাদের ভাঙ্গা মূর্তি ফেলে
রাখতো, যাতেমুসলমানরা মসজিদে
যাওয়ার সময় সেগুলো পায়ে মাড়িয়ে
মসজিদে উঠতে পারে। এছাড়াও
ঔরঙ্গজেব, তার শাসনকালে, মোট
১৮৫ টি মন্দির ধ্বংস করে এবং
পাথরের মূর্তিগুলোকে ভেঙ্গে খোয়া
করে দিল্লির জামে মসজিদের ছাদ ঢালাই
দেয় ।

শিবলিঙ্গ



শিবলিঙ্গ


Bijan Banerjee          ফেসবুক             শেয়ার করেছেন             প্রণব কুমার কুণ্ডু


কিছু বিশেষ কথা শিবলিঙ্গ নিয়ে।
------------------------------------------------
শিবলিঙ্গ অনেক রকমের হয়, নর্মদেশ্বর, বাণেশ্বর, স্ফটিক লিঙ্গ, পারদলিঙ্গ, রত্নলিঙ্গ, ধাতুলিঙ্গ, মৃন্ময়লিঙ্গ ইত্যাদি। এর মধ্যে বাণেশ্বর ও নর্মদেশ্বর শ্রেষ্ঠ, সহস্তে নির্মিত শিবলিঙ্গও খুব ভালো, অভাবে পাথর ও ধাতু নির্মিত শিবলিঙ্গে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে পূজার বিধিও প্রচলিত।
গুরু, সাধু, সন্ন্যাসী, ব্রাহ্মণের হাত থেকে প্রাপ্ত শিলা শ্রেষ্ঠ, অর্থের বিনিময়ে ক্রীত শিলা মধ্যম, কুড়িয়ে পাওয়া শিলা অল্প ফলদায়ক বলে শাস্ত্রে কথিত।
বাণেশ্বরশিবলিঙ্গ -- নর্মদার বাণকুণ্ডে প্রাপ্ত শিলা বাণেশ্বর, কেউ কেউ অধুনা লুপ্ত ধাবড়ীকুণ্ডে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন শিলাকে বাণেশ্বর বলে থাকেন। এই উভয় প্রকার শিবলিঙ্গই সুদুর্লভ ও সাক্ষাৎ মহেশ্বর রূপে কথিত।
নর্মদেশ্বর শিবলিঙ্গ -- নর্মদা নদীজলে প্রাপ্ত শিলামাত্রই নর্মদেশ্বর নামে পরিচিত। শিব নিজ কন্যা নর্মদার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে বর দিয়েছিলেন যে, যে সকল পাথর নর্মদার জলস্পর্শ পাবে তাই শিবলিঙ্গরূপে পূজিত হবে। নর্মদার সকল শিলা শিবলিঙ্গ হলেও পূজ্য নয়। আকৃতিহীন, কর্কশ, ফাটা ইত্যাদি শিলা শিরঃপীড়া, মনস্তাপ, ব্যাধি ও বিঘ্নকারক। তাই এই শিবলিঙ্গ গ্রহণের সময় উক্ত লক্ষণগুলো ত্যাগ করে মসৃণ, সুডৌল, লিঙ্গাকৃতি, সুলক্ষণাক্রান্ত শিলা সংগ্রহ করাই ভালো। এই রকম শিবলিঙ্গও সাক্ষাৎ মহেশ্বর, এবং এতে স্বতঃসিদ্ধ ভাবে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত, তাই এতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, আবাহন বা বিসর্জন হয় না।
স্ফটিক শিবলিঙ্গ -- বহু গুণান্বিত এই শিবলিঙ্গে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে নিত্য পূজা করলে শুদ্ধ জ্ঞানের উদয় হয় ও অন্যান্য বহু শুভ ফলদান করে।
পারদ শিবলিঙ্গ -- পারদের সঙ্গে শাস্ত্রে কথিত কিছু ওষধি মিশিয়ে বিধি অনুযায়ী শিবলিঙ্গ তৈরী করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে পূজা করলে অর্থলাভ, গ্রহদোষ নিবারণ করে ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। এই শিবলিঙ্গ পূজার অনন্ত মহিমা হলেও সধবা ও কুমারী স্ত্রীলোকের পক্ষে পারদলিঙ্গ পূজা নিষিদ্ধ অনিষ্টকর।
শ্বেতবর্ণ শিবলিঙ্গ -- ব্রাহ্মণ, ব্রহ্মচারী, বিদ্যার্থী ও তপস্বীগণের পূজ্য এই লিঙ্গ। এই লিঙ্গের পূজার ফলে জ্ঞান, ভক্তি, প্রজ্ঞা, মেধা, বিদ্যা, তপস্যা, ব্রহ্মচর্য লাভ হয়।
রক্তবর্ণ শিবলিঙ্গ -- লাল, খয়েরী, উজ্জ্বল মধুর মতো রঙ বিশিষ্ট এই শিবলিঙ্গ ক্ষত্রিয়দিগের পূজ্য। এই লিঙ্গের পূজার ফলে শক্তি, তেজ, পরাক্রম, বিজয় ও প্রভুত্বশক্তি লাভ হয়। অপমৃত্যু নাশ করে।
পীতবর্ণ শিবলিঙ্গ -- এই লিঙ্গ সাধারণত ঈষৎ কালচে হলুদ রঙের হয়। এই লিঙ্গ বৈশ্যগণের পূজ্য। এই লিঙ্গের পূজার ফলে ব্যাবসা বৃদ্ধি, অর্থলাভ, চাষাবাদ, ভূমিলাভ, সম্পত্তি বৃদ্ধি পায়।
কৃষ্ণবর্ণ শিবলিঙ্গ -- স্ত্রী, শূদ্র ইত্যাদি সকল জাতির পূজ্য এই শিবলিঙ্গ সকল দুঃখ কষ্ট সন্তাপ দূর করে, গ্রহদোষ নিবারণ করে।
মধুপিঙ্গলা শিবলিঙ্গ -- সন্ন্যাসীর পূজ্য এই শিবলিঙ্গে মধুর মতো উজ্জ্বল খয়েরী ও পিঙ্গল এই দুই বর্ণের মিশ্রণ দেখা যায়, এই লিঙ্গ মোক্ষদায়ক ও বৈরাগ্যদায়ক।
অর্ধনারীশ্বর শিবলিঙ্গ -- আধা সাদা আর আধা লাল রঙের এই শিবলিঙ্গ। সাদা অংশ মহাদেব ও লাল অংশ মাতা পার্বতীর প্রতীক। এই লিঙ্গের পূজার ফলে শিব ও শক্তি উভয়েই প্রসন্ন হন।
হরিহর শিবলিঙ্গ -- আধা সাদা রঙের ও আধা কালো রঙের। সাদা অংশ মহাদেব ও কালো অংশ শ্রীহরির প্রতীক। এই লিঙ্গের পূজার ফলে শিব ও বিষ্ণু উভয়েই প্রসন্ন হন।
নীলকণ্ঠ শিবলিঙ্গ -- সাদা রঙের শিবলিঙ্গের মধ্যে কালো বিন্দু। এই লিঙ্গের পূজার ফলে ব্যাধিনাশ হয়।
ব্রাহ্মীলিঙ্গ -- সাদা রঙের মধ্যে লাল বর্ণ, এই লিঙ্গের পূজার ফলে ব্রহ্মা সন্তুষ্ট হন। বেদজ্ঞান ও বিভিন্ন বিদ্যায় পারদর্শিতা লাভ হয়।
ঐন্দ্রলিঙ্গ -- এই লিঙ্গে বজ্র চিহ্ন থাকে, এই লিঙ্গের পূজার ফলে রাজতুল্য সম্মান লাভ হয়।
রামেশ্বর শিবলিঙ্গ -- বালি ও মাটি জমাট বেঁধে এই লিঙ্গ সৃষ্টি হয়, ঈষৎ ভঙ্গুর, সিলিকা যুক্ত, ধনুক চিহ্নিত এই লিঙ্গ বৈষ্ণবলিঙ্গ। এই লিঙ্গের পূজার ফলে ভক্তি ও মুক্তি লাভ হয়।
রত্নেশ্বর শিবলিঙ্গ -- এই লিঙ্গ পূজা করে ইন্দ্র ও কুবের অতুল ঐশ্বর্য লাভ করেন। এই শিবলিঙ্গের সর্বাঙ্গে ছোট ছোট রঙিন পাথরের টুকরো রত্নের মতো সাজানো থাকে।
রাক্ষস লিঙ্গ -- খড়গাকৃতি, চ্যাপ্টা সূচালো এই লিঙ্গ মোক্ষদায়ক, কিন্তু বিঘ্নকারক,অশুভ।
ঊর্ধলিঙ্গ -- এই শিবলিঙ্গের নীচের দিকে গোল ও উপরের দিকে ক্রমশ সূচালো হয়, এই লিঙ্গ মোক্ষদায়ক।
আগ্নেয়লিঙ্গ -- উজ্জ্বল লাল রঙের এই লিঙ্গ শীতকালেও কিছুটা উষ্ণ বোধ হয়।
চন্দ্রমৌলীশ্বর -- সাদা চন্দ্রের চিহ্ন বিদ্যমান।
বায়ুলিঙ্গ -- এই শিবলিঙ্গ ধূম্রবর্ণ হয়। বলদায়ক।
আকাশলিঙ্গ -- এই শিবলিঙ্গ অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শিবলিঙ্গ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ॐ, 卐, ত্রিশূল, জটা, ত্রিপুণ্ড ইত্যাদি শুভ চিহ্নযুক্ত লক্ষণ শ্রেষ্ঠ মানা হয়। কর্কশ, ভাঙা, অমসৃণ লক্ষণ শিবলিঙ্গ ত্যাগ করা উচিত।
---------------------------------------------
ছবি : প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন কিছু শুভ লক্ষণযুক্ত নর্মদেশ্বর শিবলিঙ্গ




-------------------------------------------------------------------------------------------------




Pranab Kumar Kundu
Pranab Kumar Kundu সূত্র উল্লেখ করলে ভালো্ হত !

খতনা






খতনা
Rupok Roy        ফেসবুক             প্রণব কুমার কুণ্ডু
 

খতনা ও কুরবানির প্রকৃত ইতিহাস:

নবী ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী সারা মিশর ভ্রমণকালে, মিশরের রাজা তাদেরকে হাজেরা নামের এক দাসী উপহার দেয়। উপহার হিসেবে দাসী ! চিন্তা করুন। নবী মুহম্মদ যে দাসীদের ভোগ করতে বলেছে এবং সে নিজে তার উপহারপ্রাপ্ত দাসী মারিয়ার পেটে ইব্রাহিম নামের এক পুত্রের জন্ম দিয়েছিলো- সেটা কিন্তু এমনি এমনি না; এটা এক সুদীর্ঘ উত্তরাধিকার। যা হোক দাসী হাজেরার প্রতি ইব্রাহিমের অতিরিক্ত আগ্রহ দেখে, সারা, হাজেরার সাথে ইব্রাহিমের বিয়েই দিয়ে দেয় অথবা ইসমাইল নিজেই হাজেরাকে বিয়ে করে ফেলে, যেটা সারাকে মেনে নিতে হয়। কিন্তু স্বামীকে ভাগ করার কিছুদিনের মধ্যেই সারার মধ্যে হাজেরার প্রতি ঈর্ষা জেগে উঠে, হাজেরার সন্তান হওয়ার পর এই ঈর্ষা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠে এবং সারা, ইব্রাহিমকে বাধ্য করে, হাজেরা ও তার পুত্র ইসমাইলকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে। শেষ পর্যন্ত ইব্রাহিম, ইসমাইল ও হাজেরাকে অল্প কিছু খাদ্য-পানীয় দিয়ে মরুভূমির মধ্যে রেখে আসে এবং সারাকে কথা দেয় সে কোনোদিন ইসমাইল ও হাজেরাকে দেখতে পর্যন্ত যাবে না।
কাহিনী দেখে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিমের উপর সারার যথেষ্ট প্রভাব ছিলো এবং ইব্রাহিম ছিলো সারার বশীভূত। না হলে কী কারণে সদ্যজাত শিশুপুত্রসহ যুবতী স্ত্রীকে কেউ মরুভূমির মধ্যে রেখে আসবে ? কিন্তু যুবতী স্ত্রী ও শিশু পুত্রের চিন্তায় ইব্রাহিমের আর ঘুম হয় না। গোপনে সে তাদের দেখতে যায়, এই খবর সারার কাছে পৌঁছলে সারা ইব্রাহিমের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তখন ইব্রাহিম বলে, '‌আমি যদি হাজেরা ও ইসমাইলকে দেখতে গিয়ে থাকি এবং সেটা যদি তুমি প্রমাণ করতে পারো - বর্তমানে আমরা যেমন এই রকম অবস্থায় বলি, কান কেটে ফেলবো; ঠিক তেমনি ইব্রাহিম বলেছিলো -আমার লিঙ্গ কেটে ফেলবো'। সারাও দমবার পাত্রী নয়, অনুচরের মাধ্যমে সে ঠিকই প্রমাণ করে যে, ইব্রাহিম, হাজেরা ও ইসমাইলকে দেখতে মরুভূমিতে গিয়েছিলো। এরকম চাক্ষুষ প্রমাণে অপমানিত হয়ে ইব্রাহিম নিজের হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে নিজের লিঙ্গ কেটে ফেলতে উদ্যত হয়, তখন সারা কিছুটা কনসিডার করে বলে, ঠিক আছে, পুরোটা কাটতে হবে না, কিন্তু তুমি যে আমার সাথে মিথ্যা বলে প্রতারণা করেছো, তার সাক্ষ্য স্বরূপ তোমাকে ওটার কিছু অংশ কাটতে হবে। তার পর ইব্রাহিম নিজের লিঙ্গের অগ্রচর্ম কেটে ফেলে ও পরে যখন ইসমাইলকে বাড়িতে আনতে সমর্থ হয় তখন ইসমাইলেরও লিঙ্গঅগ্রচর্ম কেটে পরবর্তী বংশধরদের সবার এরূপ করার নির্দেশ দেয়। এক লেজকাটা শেয়ালের অন্য সবার লেজাকাটার চেষ্টা আর কি।এই কারণেই ইব্রাহিম পরবর্তী মুসা ও ঈসার অনুসারীরা খতনা করে যাচ্ছে। আসলে এটা এক স্ত্রীর সাথে তার স্বামীর বিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন।
যা হোক, লিঙ্গ কাটতে বাধ্য হওয়ার পর স্ত্রী ও পুত্রের চিন্তায় ইব্রাহিম আরো ছটফট করতে থাকে এবং ঘুমের মাঝে উল্টা পাল্টা স্বপ্ন দেখতে থাকে, যেটা খুবই স্বাভাবিক। আগে থেকেই নবী হিসেবে ইব্রাহিমের কিছু পরিচিতি ছিলো এবং সে যে আল্লার নাম ভাঙিয়ে কিছু বললে, লোকে সেটা বিশ্বাস করবে, তাও সে বুঝতে পেরেছিলো। তাই এই স্বপ্নকে হাতিয়ার করেই ইব্রাহিম, সারাকে বোকা বানিয়ে ইসমাইল ও হাজেরাকে বাড়িতে নিয়ে আসার ফন্দি আঁটে। ঘুম থেকে জেগে হঠাৎ হঠাৎ বলতে থাকে, আল্লা আমাকে আমার প্রিয় জিনিস কুরবানি করতে বলেছে। এরপর একের পর এক উট, দুম্বাসহ নানা কিছু কুরবানি করা হয়, কিন্তু ইব্রাহিমের স্বপ্ন দেখা আর থামে না। আল্লাও বলে না ইব্রাহিমের প্রিয় জিনিসের নাম আর ইব্রাহিমও তা বুঝতে পারে না। আসলে এসবের মাধ্যমে ফাইনাল কথা প্রকাশ করার আগে ইব্রাহিম একটু পরিবেশ তৈরি করছিলো আর কি। শেষে ইব্রাহিম সারাকে বলে আমার পুত্র ইসমাইল ই আমার সবচেয়ে প্রিয়, তাকেই কুরবানি করবো। সারা চিন্তা করে দেখে, এতে তো ভালোই হবে; ইসমাইল মরলে তার তো কোনো ক্ষতি হবে না, উল্টো তার সতীন হাজেরা কষ্ট পাবে। তাই সারা তাতে সম্মতি দেয় এবং ইব্রাহিম গিয়ে ইসমাইল ও হাজেরাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে। বাড়িতে আনার আগেই হাজেরা ও ইসমাইলকে ইব্রাহিম সব প্ল্যান খুলে বলে। এর ফলে কুরবানির প্রসঙ্গ উঠতেই ইসমাইল এক বাক্যে রাজি হয়ে যায় এবং তাকে তাড়াতাড়ি কুরবানি করতে বলে, আর হাজেরাও চুপ থাকে।
এখানে একটি বিষয় চিন্তা করুন; সদ্যজাত শিশু সন্তানসহ যে হাজেরাকে তার স্বামী মরুভুমির মধ্যে নির্বাসন দিয়েছিলো, সেই স্বামী এখন তার সন্তানকে খুন করতে নিয়ে যাচ্ছে, আর হাজেরা কিছু বলছে না, আগে থেকে সব পরিকল্পনার কথা জানা না থাকলে কোন মেয়ে বা মায়ের পক্ষে এই সময় চুপ থাকা সম্ভব ? এরপর ইব্রাহিম, ইসমাইলকে কুরবানি করতে নিয়ে যায়, চোখ বেঁধে তার গলায় তলোয়ার চালায়, কিন্তু গলা কাটে না, রাগে সেই তলোয়ার ছুঁড়ে ফেলে দিলে পাথর টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এমন গাঁজাখুরি ঘটনা বাস্তবে কেউ কোনোদিন শুনেছেন ? এমন কাহিনী শুধু মিথ্যার ভাণ্ডার ইসলামেই সম্ভব। শেষ পর্যন্ত আল্লা ইব্রাহিমের কুরবানি কবুল করে এবং ইসমাইলের জায়গায় ইব্রাহিমের ই একটা দুম্বা কুরবানি হয়ে যায়। ঐ সময় ঐ দুম্বা কোথা থেকে আসবে ? আসলে আগে থেকেই এক চাকরের মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা করে রেখে পরিকল্পনা মতো বাড়ি থেকে দূরে একটা মাঠের মধ্যে এই নাটক মঞ্চস্থ করার ব্যবস্থা করেছিলো ইব্রাহিম। এমনও তথ্য পাওয়া যায়, কিছু লোক ইব্রাহিমের চালাকির ঘটনাটা বুঝে যায়, তাদের মুখ বন্ধ করার জন্যই ঐ দুম্বার তিন ভাগের দুই ভাগ মাংস তাদের ঘুষ দেওয়া হয় এবং এক ভাগ ইব্রাহিম নিজের ভাগে রাখে।এজন্যই কুরবানির মাংস এখনও তিনভাগে ভাগ হয় এবং দুই ভাগ বিলিয়ে দেওয়া হয়।
শেষে মুসার একটা গল্প। মুসা আল্লার প্রিয় নবী নয়, তারপরও ¬মুসার সাথে কথা বলার জন্য আল্লা পৃথিবীতে কোনো এক পাহাড়ের উপর নাকি নেমে আসতো। আর মুহম্মদ আল্লার প্রিয় নবী হওয়া সত্ত্বেও মুহম্মদকে আল্লার দেখা পাওয়ার জন্য বোরাক নামক এক কাল্পনিক প্রাণীতে চড়ে সাত আসমান ডিঙিয়ে আল্লার কাছে যেতে হয়েছিলো। যা হোক,এই মুসার কাছে আল্লা নাকি একবার দুটো চোখ চেয়েছিলো। মুসা কারো কাছ থেকে সেই চোখ সংগ্রহ করতে না পেরে আল্লার কাছে ফিরে গিয়ে বলেছিলো, কোথাও তো চোখ পেলাম না। উত্তরে আল্লা বলেছিলো, তোমার নিজের কাছেই তো দুটো চোখ আছে, তুমি অন্য কোথাও খুঁজতে গেলে কেনো ?
এই গল্প এজন্যই বললাম যে, প্রিয় জিনিস বলতে ইব্রাহিমের কাছে তার পুত্রের প্রাণের কথাই কেনো মনে হলো ? মানুষের কাছে কোনটা বেশি প্রিয় ? নিজের প্রাণ না পুত্রের প্রাণ ?
জয় হিন্দ।
From: Krishna kumar das


💜 জয় হোক সনাতনের 💜


তথ্য


তথ্য

তথ্য শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু


সেনগুপ্ত বাসুদেব রায়চৌধুরী       এতে ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য


#বিশেষ_তথ্য...

তথ‍্য: ইন্টারনেট থেকে পাওয়া...

#আজকের_দিনে_১৮ই_জুন_১৯৩১_সালে_আলিপুর_সেন্ট্রাল_জেল_থেকে_শ্রদ্ধেয়_দীনেশ_গুপ্ত_তাঁর_বৌদিকে_চিঠিতে_লিখেছিলেন

‘ভারতবাসী আমরা নাকি বড় ধর্মপ্রবণ। ধর্মের নামে ভক্তিতে আমাদের পণ্ডিতদের টিকি খাড়া হইয়া উঠে। তবে আমাদের মরণের এত ভয় কেন? বলি, ধর্ম কি আছে আমাদের দেশে? যে দেশে দশ বছরের মেয়েকে পঞ্চাশ বৎসরের বৃদ্ধ ধর্মের নামে বিবাহ করিতে পারে, সে দেশে ধর্ম কোথায়? সে দেশের ধর্মের মুখে আগুন। যে দেশে মানুষকে স্পর্শ করিলে মানুষের ধর্ম নষ্ট হয়, যে দেশের ধর্ম আজই গঙ্গার জলে বিসর্জন দিয়া নিশ্চিন্ত হওয়া উচিত। সবার চাইতে বড় ধর্ম মানুষের বিবেক। সেই বিবেককে উপেক্ষা করিয়া আমরা ধর্মের নামে অধর্মের স্রোতে গা ভাসাইয়া দিয়াছি। একটা তুচ্ছ গোরুর জন্য, না হয় একটু ঢাকের বাদ্য শুনিয়া আমরা ভাই ভাই খুনোখুনি করিয়া মরিতেছি। এতে কি ভগবান আমাদের জন্য বৈকুণ্ঠের দ্বার খুলিয়া রাখিবেন, না খোদা বেহস্তে আমাদিগকে স্থান দিবেন?’     

চাঁদ দুটুকরো

    Pranab Kumar Kundu   রূপক রায়ের ফেসবুকের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷



    মুহম্মদ কর্তৃক আঙ্গুলের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডন : ইসলামের এক মহা মিথ্যা
    কোরানের সূরা কমর এর ১ নং আয়াতে স্পষ্ট করে লিখা আছে, "চাঁদ দ্বি-খণ্ডিত হয়েছে", এবং হাদিস থেকে জানা যায় মুহম্মদের আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে এবং তার আঙ্গুলের ইশারাতেই চাঁদ আবার জোড়া লেগেছে। চিন্তা করুন, এতবড় একটা ঘটনার প্রমান শুধু কোরান ! যে কোরানের পাতায় পাতায় ভুল আর মিথ্যা ?
    ইসলামের বর্ণনা মতে, এটা মাত্র ১৪০০ বছর আগের ঘটনা, অথচ পৃথিবীর আর কেউ সেই ঘটনা দেখলো না ? কোনো দেশ থেকে সেই ঘটনা আর দেখাই গেলো না ? কেনো চাঁদ কি শুধু মুহম্মদের ঘর থেকেই দেথা যেতো, না চাঁদ মুহম্মদের ঘরের নিজস্ব সম্পদ, যে চাঁদের কিছু হলে অন্য কেউ তা লাইভ দেখতে বা জানতে পারবে না ?
    কথায় বলে, আকাশে উঠিলে চাঁদ দেখে সবাই। তার মানে আকাশের চাঁদকে একসাথে কোটি কোটি মানুষ দেখতে পায়, এই চাঁদ নিয়ে যদি কোনো ঘটনা ঘটে সেটা এক সাথে বহু মানুষ দেখবে এটাই স্বাভাবিক। তাহলে মুহম্মদের এই চন্দ্র দ্বিখণ্ডন, মুহম্মদ এবং তার কয়েকজন সাহাবী ছাড়া কেউ দেখলো না কেনো ? এ্রই রকম অলৌকিক ঘটনা যদি মুহম্মদের থাকতো, তাহলে তাকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আর তরবারি নিয়ে ঘুরতে হতো না, আর ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বেড়াতে হতো না, ইসলাম প্রতিষ্ঠা বা জিহাদের নামে মানুষ হত্যা করতে হতো না, তার এই ক্ষমতা দেখেই মুহম্মদের জীবদ্দশাতেই শুধু আরব নয়, সারা পৃথিবীর লোক ইসলাম গ্রহন করে ফেলতো।
    মুহম্মদের এই চাঁদ দ্বিখণ্ডণকে ভিত্তি করে মুসলিম সমাজ কর্তৃক বহুলভাবে প্রচারিত একটি মিথ্যা গল্প হলো, আমেরিকার নীল আর্মস্ট্রং তার চন্দ্র অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসে ইসলাম গ্রহন। এর কারণ হিসেবে তারা বলে, নবী আঙ্গুলের ইশারায় যে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছিলো, যে কথা কোরানে লেখা আছে, নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়ে চাঁদের সেই জোড়া দেখতে পেয়েছিলো এবং সে চাঁদে আজানও শুনতে পেয়েছিলো, এজন্যই সে পৃথিবীতে এসে ইসলামকেই একমাত্র সত্য ধর্ম বলে মনে করে মুসলমান হয়ে যায়।
    কিন্তু এই গল্পের মধ্যেই লুকিয়ে আছে গল্পটিকে মিথ্যা প্রমান করার অস্ত্র এবং সেটা হলো চাঁদে তো কোনো বাতাস নেই, তাহলে আর্মস্ট্রং বাতাস ছাড়া আজান শুনলো কিভাবে ? এই তথ্যটিই প্রমান করে যে, আর্মস্ট্রং এর আজান শোনার গল্পটি পুরো মিথ্যা এবং তার ইসলাম গ্রহনের ঘটনাটিও মিথ্যা। তারপরও মুসলমানরা যেহেতু মিথ্যার জাহাজ এবং সারা বিশ্ব ব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রচার শুরু করে নীল আর্মস্ট্রং এর তথাকথিত ইসলাম গ্রহনের ঘটনা, সেহেতু নাসা থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় যে, চন্দ্র অভিযানের সময় চাঁদে আজান শোনার মতো কোনো ঘটনা ঘটে নি এবং নীল আর্মস্ট্রং এর ইসলাম গ্রহনের ঘটনাও সত্য নয়।
    এছাড়াও মহাকাশে ভাসমান গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহের চরিত্র সম্পর্কে যাদের সামান্য ধারণা আছে, তারা এটা কমন সেন্স থেকেই বুঝবে যে চাঁদকে পরিচালনা করা পৃথিবীর কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, চাঁদকে কোনোভাবে যদি দ্বিখণ্ডিত করা যায়, তাহলে তা তার কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়বে এবং পৃথিবীর সাথে তার ভাঙ্গা অংশের ধাক্কাসহ নানা ঘটনা ঘটিয়ে মহাকাশে ধ্বংস হয়ে যাবে।
    আশা করছি, মুহম্মদ কর্তৃক চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করার যে মিথ্যা গল্প, তার অসারতা সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
    জয় হিন্দ।
    From: Krishna kumar das
    💜 জয় হোক সনাতনের 💜

অযোধ্যার রামমন্দিরের ইতিহাস



     অযোধ্যার রামমন্দিরের ইতিহাস


Rupok Roy     ফেসবুক         শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু


অযোধ্যার রাম মন্দিরের রক্তাক্ত ইতিহাস:
রাম মন্দির নির্মিত হয় একাদশ শতাব্দীতে অর্থাৎ ১ হাজার থেকে ১১শ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। এটা আমার মত নয়, প্রত্নতত্ত্ববিদদের মত।
১৫২৬ সালে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে ইবরাহিম লোদীকে পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর, দিল্লি দখল করে। এরপর মুসলমান শাসকদের যে চিরাচরিত প্রথা, ক্ষমতা দখল করেই ইসলামের ঝাণ্ডা উড়ানো এবং অমুসলিমদের উপাসনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে মসজিদ বানানো বা তাকে মসজিদে রূপান্তরিত করা, বাবর সেদিকে নজর দেয়। এজন্য বাবরের নির্দেশে তার সেনাপতি মীর বাকি খাঁ, ১৫২৭/২৮ সালে অযোধ্যা আক্রমন ক'রে প্রথমে কিছু হিন্দুকে হত্যা করে এবং বাকিদের বন্দী করে। এরপর ভারতের প্রধান রাম মন্দির, যা রামের জন্মভূমি অযোধ্যাতেই অবস্থিত, সেটার উপরের অংশ ভেঙ্গে ফেলে এবং মন্দিরের মূল ভিত্তির উপরেই মসজিদ তৈরি করে, যেটা বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত। এই মসজিদ তৈরি করার সময়, যেসব হিন্দুদেরকে বন্দী করে রাখা হয়েছিলো, তাদের গলা কেটে প্রথমে একটি পাত্রে সেই রক্ত সংগ্রহ করা হয় এবং তারপর জলের পরিরর্তে চুন-সুড়কির সাথে সেই রক্ত মিশিয়ে মন্দিরের মূল ভিতের উপরই ইটের পর ইট গেঁথে মসজিদ নির্মান করা হয়। তাই ইসলামি প্রথাসম্মত মসজিদ এটা নয়, ইসলামের বিজয় অভিযানে হিন্দুদের মনোবল ভাঙতে যত্রতত্র অসংখ্য মন্দির ভেঙ্গে যেমন বিজয় স্মারক নির্মিত হয়েছিলো, বাবরি মসজিদও তেমনি বাবরের একটা বিজয় স্মারক। একইভাবে বাবর সম্ভল ও চান্দেরীর মন্দির ভেঙ্গে তাকে মসজিদে রূপান্তরিত করে এবং গোয়ালিয়রের নিকটবর্তী জৈন মন্দির ও বিগ্রহ ধ্বংস করে।
বাবর যে রাম মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ বানিয়েছে, এর ঐতিহাসিক প্রমান হলো, বাবরের আমলেই হিন্দুরা ২১ বার লড়াই করেছিলো মন্দির উদ্ধারের জন্য। বাবর যদি মন্দির না ভেঙ্গে পৃথক একটি জায়গায় মসজিদ নির্মান করতো, তাহলে কি হিন্দুরা সম্রাট নির্মিত মসজিদকে ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে মন্দির স্থাপন করার জন্য ২১ বার লড়াই করার মতো দুঃসাহস দেখাতো ? আর এরকম দুঃসাহস দেখালে বাবর কি হিন্দুদের অস্তিত্ব তার সাম্রাজ্যে রাখতো ? এরপর হুমায়ূনের রাজত্বকালে ১০ বার এবং আকবরের রাজত্বকালে ২০ বার হিন্দুরা রামজন্মভূমিতে মন্দির উদ্ধারের জন্য লড়াই করে। শেষে আকবর একটি আপোষ নিষ্পত্তি করে মসজিদের পাশেই রাম মন্দির নির্মানের অনুমতি দেয় এবং ছোট একটি মন্দির নির্মিত হয়। এসব উল্লেখ আছে, আকবরের শাসন কালের ইতিহাস "দেওয়ান-ই-আকবরি" তে। ওখানে মন্দির যদি না ই থাকতো তাহলে, হিন্দুরা এতবার লড়াই কেনো করলো, কেনো এইসব লড়াই এর ইতিহাস মুঘল ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হলো আর কেনোই বা আকবর একটি আপোষ মীমাংসা করে মন্দির নির্মানে অনুমতি দিলো ?
যা হোক, আকবর মন্দির নির্মানে অনুমতি দেওয়ায় এবং মসজিদের পাশে একটি মন্দির নির্মিত হওয়ায় জাহাঙ্গীর এবং শাজাহানের আমলে এ নিয়ে কোনো লড়াই সংগ্রাম হয় নি। কিন্তু ঔরঙ্গজেবের সেটা সহ্য হলো না। সে একটি বাহিনী পাঠায় ঐ মন্দির ধ্বংস করার জন্য। ১০ হাজার লোক নিয়ে বৈষ্ণব দাস মহারাজ নামে এক সাধু, ঔরঙ্গজেবের এই বাহিনীকে প্রতিরোধ করে, ফলে সেবার মন্দির রক্ষা পায়। এরপর আরো কয়েক বার ঔরঙ্গজেব মন্দির ধ্বংসের জন্য তার বাহিনী পাঠায়, কিন্তু প্রতিবারই হিন্দু এবং শিখগুরু গোবিন্দ সিংহের নেতৃত্বে শিখরা মিলে মন্দিরকে রক্ষা করে বা দখলকৃত মন্দিরকে আবার উদ্ধার করে। কিন্তু ঔরঙ্গজেব দমবার পাত্র ছিলো না। মুঘল সৈন্যরা এক রমজান মাসের সপ্তম দিনে হঠাৎ আক্রমন করে আকবরের সময়ে মসজিদের পাশে নির্মিত হওয়া ঐ রাম মন্দিরকে ভেঙ্গে ফেলে এবং হিন্দুরা বাধা দিতে এলে প্রায় ১০ হাজার হিন্দুকে হত্যা করে। মুঘলদের আরেক ইতিহাসের বই আলমগীর নামায় এই ঘটনার উল্লেখ আছে।
এরপর ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় হনুমান গড়ির মোহন্ত উদ্ভব দাস, অস্ত্র হাতে নিয়ে রামজন্মভূমিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। সেই সময় অযোধ্যার নবাব ফরমান আলীর মুসলিম সৈন্যদের সাথে হিন্দুদের যুদ্ধ হয়। শেষে নবাব একটি ফরমান জারি ক'রে একটি প্রাচীর ঘেরা জায়গায় মন্দির নির্মান ও পূজা উপাসনার অনুমতি দিয়ে যুদ্ধের অবসান ঘটায় এবং হিন্দু ও মুসলমান সৈন্যরা মিলিতভাবে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহে অংশ নেয়। মূলত নবাব এই আপোষ করতে বাধ্য হয়েছিলো সিপাহী বিদ্রোহে হিন্দু ও মুসলিম সৈন্যের একত্রিত করার স্বার্থে| কিন্তু সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে এইসব কিছুই জলে যায়। ইংরেজরা ঐ রাম জন্মভূমিরই একটি তেঁতুল গাছে অনেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারে এবং নবাবের ফরমান ইংরেজরা বাতিল করে দেয়; ফলে আবারও হিন্দুরা ঐ স্থানে পূজা-প্রার্থনার অধিকার হারায়। শুধু তাই নয়, ইংরেজরা ঐ তেঁতুল গাছটিকেও সমূলে উপড়ে ফেলে।
এরপর ১৯১২ সালে হিন্দুরা নির্মোহী আখড়ার সন্ন্যাসীদের নেতৃত্বে বহু প্রাণের বিনিময়ে জন্মভূমির একাংশ উদ্ধার করে এবং বাকি অংশ উদ্ধারের জন্য লড়াই হয় ১৯৩৪ সালে। এরপরই ইংরেজরা অযোধ্যার ঐ স্থানে হিন্দু মুসলমান সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়। সেই থেকেই বাবরি মসজিদে কেউ নামাজ পড়ে নি। ফৈজাবাদ কালেক্টরির রেকর্ডে লিপিবদ্ধ আছে এসব ইতিহাস। ভাঙার সময় বাবরি মসজিদ ছিলো যে একটি পরিত্যক্ত মসজিদ, তা জঙ্গল ও গাছপালায় ভরা এবং ক্ষয়ে যাওয়া মসজিদের দেয়ালের ছবি দেখে তা সহজেই বোঝা যায়।
১৫২৭ সাল থেকে হিন্দুরা রাম মন্দির উদ্ধারের জন্য লড়াই করেছে বা চেষ্টা করেছে, ছোট বড় মিলিয়ে মোটামুটি ৭৬ বার। ৭৭ তম বারের প্রচেষ্টায় ১৯৯২ সালে, বিজেপির নেতৃত্বে হিন্দুরা- দখল, রূপান্তর ও অসহিষ্ণুতার প্রতীক বাবরি মসজিদকে ধুলায় মিশিয়ে দেয়। কিন্তু এই শেষ বারের প্রচেষ্টাও ছিলো প্রায় সোয়া ২ বছরের। বিজেপির সমর্থনে হিন্দুরা প্রথম ২০ সেপ্টম্বর, ১৯৯০ সালে জনসংকল্প দিবস পালন করে। এরপর বহু জেল জরিমানা হুমকি ধামকিকে অগ্রাহ্য করে কিছু প্রাণের বিনিময়ে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালে ভেঙে ফেলে বাবরি মসজিদ। তাই এই ৬ ডিসেম্বর হিন্দুদের কাছে "শৌর্য দিবস" হিসেবে বিবেচিত ও পরিচিত ।
কিন্তু মন্দির এখনও নির্মান হয় নি। তাই লড়াই এখনও শেষ হয় নি। এ লড়াই ততদিন চলবে, যতদিন না রামের জন্মভূমিতে রাম মন্দিরের চূড়া কমপক্ষে তিন মাইল দূর থেকে দেখা না যায় এবং মুসলিম দুঃশাসনের আমলে, ভারতে, মন্দিরের উপর নির্মিত সমস্ত মসজিদ, ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া না যায়।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রী রাম। জয় শ্রীকৃষ্ণ।
From: Krishna kumar das


💜 জয় হোক সনাতনের 💜

রূপক রায়-এর কলাম



রূপক রায়-এর কলাম


ঈদ মানে আনন্দ, না ঈদ মানে গান ?
সারা বছরের কথা না হয় বাদ ই দিলাম, ঈদের মধ্যে মুসলমানদের গান প্রীতি দেখলে তো মনে হয় ঈদ মানে গান, সেটাও আবার হিন্দু গান। হিন্দু গান বললাম একারণে যে, হিন্দুদের যে ভাষা সেটাই তো হিন্দি, তাই হিন্দি গান মানেই হচ্ছে হিন্দুদের গান। এছাড়াও কিছু বাংলা গান হয়তো কিছু লোকে শুনে বা বাজায়; কিন্তু বাঙ্গালি মুসলমানরা যেসব গান বানায়, ২/১টি ছাড়া সেসব তো অখাদ্য; তাই বাংলা গান বলতেও তো বোঝায় কোলকাতার বাঙ্গালি মানে বাঙ্গালি হিন্দুদের গান; যেসব গান লাউড স্পিকারে উচ্চস্বরে বাজিয়ে, নেচে-কুন্দে মুসলমানরা ঈদ উযদযাপন করে। কিন্তু গান তো ইসলামে নিষিদ্ধ, এছাড়াও গান হলো হিন্দু সংস্কৃতির অংশ, তাহলে ঈদ উদযাপনের জন্য মুসলমানরা গান বাজায় কেনো ? গানের মাধ্যমে ঈদ তো হিন্দুয়ানিতে ভরে যায় বা হিন্দু কালচার দ্বারা ঈদ প্লাবিত হয়ে ভেসে যায়।
এ ব্যাপারে হেফাজতে ইসলাম- যারা বাংলাদেশে কোনো হিন্দুয়ানি কালচার দেখতে চায় না, চায় না কোনো মূর্তি রাখতে বা হতে দিতে চায় না পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা- তাদের বক্তব্য কী ?
ইসলাম একটি কালেক্টেড বা জোড়া-তালি দেওয়া ধর্ম, অর্থাৎ পৃথিবীতে আগে থেকে প্রচলিত ধর্মগুলো থেকে এটা ওটা নিয়ে ইসলামকে বানানো হয়েছে, তারপরও বাস্তবতাকে অস্বীকার করায় এবং বাস্তব উপাদানগুলো ইসলামে অন্তর্ভুক্ত না করায়, এটি একটি অবাস্তব মতবাদে পরিণত হয়েছে।
এই অবস্থায় ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে যতই দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হোক না কেনো, সেই চেষ্টা বৃথা; কারণ, সমাজ চলে বাস্তবতার ভিত্তিতে, আর সেই বাস্তবতা বলে যেকোনো আনন্দ উৎসবের জন্য গান-বাজনা প্রয়োজন; আর সেই গান-বাজনা, যা হিন্দু কালচারের অংশ, সেই হিন্দু কালচারকে অবলম্বন করে মুসলমানদেরকে তাই তাদের আনন্দ পূর্ণ করতে হচ্ছে, তাহলে ঘটনাটা কী দাঁড়ালো বা ইসলাম থাকলো কোথায় ?
সারারাত হোটেলে গিয়ে পতিতাবৃত্তি করে সকালে বোরকা হিজাব পড়ে মুখ ঢেকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলেই যেমন সতী সাধ্বী হওয়া যায় না; তেমনি সারা বছর, অডিও ভিডিও গান দেখে ও শুনে, নেচে-কুন্দে আনন্দ উপভোগ ক’রে, ঈদের দিন সকালে পাঞ্জাবি টুপি প’ড়ে মুসলমান সেজে ঈদের নামাজ পড়লেই মুসলমান হওয়া যায় না। এরপর আবার সেই ঈদের দিন যদি গান বাজনা বাজিয়ে আনন্দ ফুর্তি করা হয়, তাহলে কী আর মুসলমানিত্ব থাকে ?
মুসলমানগণ, জবাব আছে ?
শুধু গান নয়, ইসলামে যে সকল প্রকার শিল্পচর্চা নিষিদ্ধ সেসব বিষয় জানতে হলে পড়ুন নিচের এই প্রবন্ধটি-
মুসলমানদের সনাতন ধর্ম চর্চা বনামহিন্দু ধর্মের পূর্ণাঙ্গতা :
গান-বাজনা, সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের অঙ্গ, যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু মুসলমানরা অবাধে গান বাজনার চর্চা করছে, শুনছে। বর্তমানে গান-বাজনা ছাড়া মুসলমানদের যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান এবং ঈদের আনন্দ মাটি। তাহলে ইসলামে যে গান বাজনা হারাম, তার বাস্তবতা কোথায় ? এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত কয়েকটি হাদিস দেখে নিন :
"বানর আর শুকর মানেই যারা পূর্বে বাদ্যযন্ত্র বাজাতো।" (বোখারি-৭/৬৯/৪৯৪)
“গান মানুষের অন্তুরে মুনাফেকির জন্ম দেয় যেমন পানি শস্য উৎপাদন করে।”- (মিশকাত শরীফ, ৪১১)
“আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল সাব্যস্ত করবে।” – (সহীহ বুখারী, ৫৫৯০)
এই কথাটা একবার ভাবুন তো, আপনি যদি গান করেন, তাহলে কার কী ক্ষতি করছেন, যে তাকে নিষিদ্ধ করতে হবে ?
নাচও সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের একটা অঙ্গ। কিন্তু অনেক মুসলমান এখন নাচের চর্চা করছে। তাছাড়া নাচ দেখে না বা দেখতে পছন্দ করে না, এমন মুসলমান বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাহলে ইসলামে নাচ নিষিদ্ধের বাস্তবতা কোথায় ? নাকি ইসলামই সম্পূর্ণ একটি অবাস্তব ধর্ম ?
দেখে নিন নাচ সম্পর্কিত দুটি হাদিস :
“একদিন হযরত আয়েশা (রা.) এর নিকট বাজনাদার নুপুর পরে কোনো বালিকা আসলে আয়েশা রা. বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবেনা। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ঘরে ঘণ্টি (নূপুর) থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।”- (সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদীস : ৫২৩৭)
সহীহ মুসলিমের ২১১৪ নং হাদিসে বলা আছে, “ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হল শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।”
কবিতা লিখা, ছবি আঁকা, ছবি তোলা, ভাস্কর্য তথা মূর্তি নির্মান হিন্দু ধর্মের একটা প্রধান বিষয়, যা মুসলমানদের জন্য মহাপাপ। কিন্তু বর্তমানের মুসলমানরা ছবি আঁকছে না ? ছবি তুলছে না ? সিনেমা টিভিতে অভিনয় করছে না ? সিনেমা বানাচ্ছে না ? টিভি চ্যানেল খুলে ব্যবসা করছে না, ধর্ম প্রচার করছে না ? নাকি ছবি তোলা ইসলামে হারামে হালাল হলেও ছবির বাক্স টিভির মাধ্যমে ধর্ম প্রচার করা হালাল ? এছাড়াওসংখ্যায় অল্প হলেও মুসলমানদের কেউ কেউ ভাস্কর্য শিল্পের সাথে জড়িত নয় ?
ইসলামের সোল এজেন্ট সৌদি আরব, পাসপোর্টে ছবি ছাড়া, হাজীদেরকে আরবে ঢুকতে দেবে ? ইসলাম বিরোধী- ছবি তোলা চর্চা করে ও তাকে প্রশ্রয় দিয়ে সৌদি আরব ইসলামের চর্চা করছে না হজের নামে ব্যবসা করছে ? বর্তমানে মুসলমানরা কি পাসপোর্টের জন্য ছবি না তুলে পার্থিব বেহেশত- ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায়, বৈধভাবে ঢুকতে পারবে ? ইসলামে ছবি তোলা নিষিদ্ধ হওয়ায়, এই প্রশ্ন কি তোলা যায় না যে ইসলাম একটি সম্পূর্ণ অবাস্তব ধর্ম ?
উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো সবই সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের চর্চার বিষয়। অথচ মুসলমানরা অবাধে এসব চর্চা করে চলেছে, আর নিজেদেরকে পরিচয় দিচ্ছে মুসলমান হিসেবে! ভণ্ডামী আর কাকে বলে ? যাদের কাছে মনে হচ্ছে আমি এসব অযথা ই বলছি, কোরান হাদিস থেকেতাদের জন্য কয়েটি রেফারেন্স:
"আর কবিদের কথা ! তাদের পেছনে চলে বিভ্রান্ত লোকেরা। তোমরা কি দেখো না যে, প্রতিটি প্রান্তরে তারা বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে মরে, এবং এমন সব কথা বার্তা বলে, যা তারা নিজেরা করে না"। (কোরান-২৬/২৩,২৪,২৫)
"মাথা ভর্তি কবিতার চেয়ে পেট ভর্তি পুঁজ উত্তম।" (বোখারি, ৮/৭৩/১৭৫)
"যে ঘরে কুকুর ও ছবি আছে, সেই ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।"
"নিশ্চয় জানিও আল্লার নিকটে তথা আখেরাতে সর্বাধিক কঠিন আজাব হবে ছবি তৈরি কারকদের।"
"যদি কেহ জীবজন্তুর ছবি অংকন করা হারাম জানা সত্ত্বেও উহা অংকন করে তবে সে কাফের হইয়া যায়।"
উপরের বলা কথাটি আবারও বলতে হচ্ছে, ছবি তুলে বা ছবি এঁকে, আপনি কার পাকা ধানে মই দিচ্ছেন যে, তাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে ?
জন্মসূত্রেই প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনো বিষয়ের প্রতিভা নিয়ে জন্মায়। সুযোগ ও পরিবেশের অভাবে কেউ তার সেই প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে, কেউপারে না। কিন্তু প্রতিটি মানুষ তার প্রকৃতি প্রদত্ত প্রতিভার আলোকে কিছুটা আলোকিত হবেই এবং তা হয় ই। কিন্তু যখন কোনো মুসলমান, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এবং ইসলামি জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে জানতে পারে যে, এই সবসুকুমার বৃত্তির শিল্পচর্চা ইসলামে হারাম, তখন সে দ্ধিধাদ্বন্দ্বে পড়ে এবং পাপবোধে বা অপরাধবোধে ভুগতে থাকে। এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে ভুগতে কেউ কেউ ঐ সব শিল্পের চর্চা তথা কবিতা লিখা, ছবি তোলা, ছবি আঁকা, ভাস্কর্য নির্মান, গান-বাজনা, নাচ ইত্যাদি ছেড়ে দেয়; আর কেউ ইসলামের এই সব নিষেধাজ্ঞাকে ফালতু মনে করে ঐ ব শিল্পের চর্চা চালিয়ে যায়। কিন্তু কোরান হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে, ঐসব শিল্পচর্চা শিরকি, অর্থাৎ জেনে বুঝে কোনো মুসলমান ঐ সব কাজ করলে, সে আর মুসলমান থাকবে না, সে হবে জাহান্নামী। তাই যেসব মুসলমান ইসলামি নাম ধারণ করে ঐসব শিল্পের চর্চা করে, তারা একটা পাপবোধ বা অপরাধবোধে ভুগবেই। এজন্য আমি বলি কি, মনে পাপবোধ নিয়ে এসব করার কী দরকার ? নাম চেঞ্জ করে বা না করে সনাতন হিন্দু ধর্ম পালন করে এসব করলে মনেও শান্তি পাবেন, আর এসব শিল্পচর্চায় আকাশচুম্বী সাফল্যও পাবেন। মনে দ্বিধা নিয়ে কোনো কাজে কি চুড়ান্ত সাফল্য পাওয়া যায় ?
অনেক হুর লোভী বান্দা, আমার পোস্টে কমেন্ট করে ইসলামের পক্ষে সাফাই গায়, তাদেরকে বলছি- ইসলামের পক্ষে সওয়াল করতে হলে আগে প্রকৃত মুসলিম হয়ে আমার সাথে তর্ক করতে আসবি। শুধু ইসলামি নাম বহন করলেই মুসলমান হওয়া যায় না। আমার পোস্টে কমেন্ট করার আগে, গান শোনা ছাড়বি, গান গাওয়া ছাড়বি, ছবি আঁকা ছাড়বি, ছবি তোলা ছাড়বি, সিনেমা-টিভি দেখা ছাড়বি, নাচবি না, নাচ দেখা ছাড়বি, প্যান্ট-শার্ট-কোর্ট-টাই-বেল্ট পড়বি না; কারণ, ওটা ইহুদি-নাসারাদের কালচার, কোনোদিন দাড়ি কাটবি না, কোনোদিন হস্তমৈথুন করবি না, প্রস্রাব করার পর ইটের টুকরা বা পাথর দিয়ে লিঙ্গের আগা মুছতে মুছতে যাকে বলে কুলুপ করা, তা করতে করতে চল্লিশ কদম হাঁটবি আর কাশি দিবি, পায়খানা করার পর আগে কাপড় দিয়ে পাছা মুছে নিয়ে তারপর পা্নি ইউজ করবি, বাড়ির মেয়েদের কোনোদিন স্কুল কলেজে পাঠাবি না, ঘরের বাইরে তাদেরকে একা ছাড়বি না, বাইরে গেলে পাহারাদার হয়ে তাদের সাথে যাবি, কখনো কোনো খেলাধুলা করবি না; কারণ, ইসলামে বিছানায় মেয়েদের সাথে খেলা ছাড়া সকল প্রকার খেলাধুলা হারাম, বিশেষ করে দাবা তো খেলবি ই না। ২৫ বছর বয়সে প্রথমে ৪০ বছরের বিধবা ২/৩ সন্তানের মাকে বিয়ে করবি, তার পর ৫০ বছর বয়সে ৬ বছরের মেয়েকে বিয়ে করবি, পুত্রবধূকে বিয়ে করে নবীর সুন্নাত পূর্ণ করার জন্য একটা দত্তক পুত্র নিবি, তারপর সেই পুত্রকে নিজেরে ফুফাতো বোনের সাথে বিয়ে দিয়ে, তাদের আবার তালাক ঘটিয়ে সেই পুত্রবধূকে বিয়ে করবি, আর নিজের বউকেও তালাক দিয়ে বাপের সাথে বিয়ে দিতে পারিস; জিহাদের নামে অকারণে অমুসিলমদের সম্পদ লুঠ করার জন্য তাদেরকে খুন করতে ও তাদের মেয়েদেরকে ধর্ষণ করার পরামর্শ অবশ্য দেবো না; কারণ, তাহলে তোকে সোজা জেলে যেতে হবে, নবীর অন্যান্য সুন্নত পালন করার তখন আর চান্স পাবি না।
আরো অনেক আছে, আপাতত এই কয়টাই বললাম, এগুলো পালন করে যদি প্রকৃত মুসলমান হতে পারিস, তাহলেতর্ক করার জন্য আমার পোস্টে এসে কমেন্ট করবি। আর যদি এগুলো পালন করতে না পারিস তাহলে তুই হিন্দু, আর নিজে হিন্দু হয়ে আরেক হিন্দুর সাথে তর্ক বিতর্ক কেনো করতে আসবি ? রাত দিন ২৪ ঘন্টা হিন্দু কালচার পালন করবি, আর নিজেকে মুসলিম ভাববি, এই ভণ্ডামী এখন ছাড়
উপরে যেগুলোর কথা উল্লেখ করলাম সেগুলো পালন করতে না পেরে, হিন্দু কালচারগুলো, যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তার চর্চা মুসলমানরা করতে বাধ্য হয়ে তারা নিজেরাই এটা প্রমান করছে যে, ইসলাম সম্পূর্ণ একটি অবাস্তব ধর্ম। মুখে মুসলমানরা যতই বলুক যে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান; বাস্তবে হিন্দুদের কাছ থেকে এই বিষয়গুলি ধার না করে সমাজে তাদের চলবার উপায় নেই।
"পক্ষান্তরে হিন্দু সমাজে এবং হিন্দু ধর্মে- এমন কোনো বিষয় নেই যে, তা ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্ম থেকে ধার করা।তাই ইসলাম নয়, হিন্দুধর্মই মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।"
আমার এই কোট করা কথাটি গভীরভাবে ভেবে দেখবেন, হিন্দু ধর্ম নিয়ে যদি আপনার কোনো হীনম্মন্যতা থাকে, তাহলে তা দূর হয়ে যাবে।
তাই এ কথা জোর দিয়ে বলতে পারি যে, অন্য কোনো ধর্ম নয়, হিন্দু তথা সনাতন ধর্মই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ধর্ম এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এজন্যই স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন,
"গর্বের সাথে বলো আমি হিন্দু।"
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম। জয় শ্রীকৃষ্ণ।

From: Krishna kumar das

💜 জয় হোক সনাতনের 💜