মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নেতাজি ( দুই )


নেতাজি ( দুই )


 বর্তমানের খবর


 শেয়ার করেছেন       প্রণব কুমার কুণ্ডু


নাম না করে গান্ধী-নেহরু পরিবারকে তোপ মোদির

একটি পরিবারকে বড় করতে
নেতাজিকে ছোট করা হয়েছে

সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি, ২১ অক্টোবর: একটি ‘পরিবার’কে বড় করতে গিয়েই নেতাজির মতো ব্যক্তিত্বকে ছোট করা হয়েছে। নেতাজির অবদানকে ভোলানোর চেষ্টা হয়েছে। সুভাষচন্দ্র বসুর স্বপ্নের আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে আজ এভাবেই নাম না করে নেহরু-গান্ধী পরিবারের কড়া সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে একটি মাত্র পরিবারকে বড় করে দেখাতে গিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, বাবাসাহেব আম্বেদকরের মতো দেশের সুযোগ্য সন্তানদের ছোট করা হয়েছে, একইভাবে নেতাজির অবদানকেও ভোলানোর চেষ্টা হয়েছে।’
নেতাজি ভক্তদের আবেগ এবং দেশপ্রেমকে আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেতাজির দেখানো পথই আমরা অনুসরণ করে চলছি। সুভাষচন্দ্র বসুর স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।’ নেতাজিকে আজাদ হিন্দ সরকারের প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দিয়ে মোদি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু নেতাজির স্বপ্নের ভারত এখনও গড়ে ওঠেনি। আমাদের সরকার সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারত গড়ে তোলাই আমাদের সংকল্প।’
নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দেন, নেতাজি যেভাবে দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিতে পারতেন, আমাদের সরকারও তেমনই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে। বলেন, ‘সুভাষচন্দ্র বসুর রানি ঝাঁসি বাহিনীর মতো আমরাও যুদ্ধের ময়দানে লড়াকু মহিলাদের জায়গা করে দিয়েছি। ভবিষ্যতেও আমরা সাহসী পদক্ষেপ নেব। আমাদের যে আক্রমণ করবে, তাদের দ্বিগুণ শক্তিতে জবাব দেব। যেকোনও মূল্যে আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’

১৯৪৪ সালের ১৪ এপ্রিল মণিপুরের মৈরাংয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে নেতাজি প্রতিষ্ঠিত আজাদ হিন্দ বাহিনীর পতাকা উড়েছিল। নেতাজি স্বপ্ন দেখেছিলেন, একদিন লালকেল্লাতেও উড়বে অখণ্ড স্বাধীন ভারতের পতাকা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পতাকা উড়েছে ঠিকই, কিন্তু ভারতের অখণ্ডতা অক্ষত থাকেনি। তাই আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনের অন্যতম প্রধান আয়োজক তথা নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসুর অনুরোধে লালকেল্লার প্রাচীরে নয়, দুর্গের মধ্যে যেখানে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাদের রাখা হয়েছিল, সেই তিন নম্বর বারাকের সামনে প্রধানমন্ত্রী উত্তোলন করলেন তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা। মাথায় পরলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের টুপি।

মোদি বললেন, ‘নেতাজি বিভাজনের রাজনীতি করতেন না। সমানাধিকারের সম্মান দিতেন। অখণ্ড ভারতই ছিল তাঁর স্বপ্ন। তাই জীবন বাজি রেখে তিনি ভারতমাতার মুক্তির লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
যে ব্রিটিশ রাজত্বে সূর্য কখনও অস্ত যেত না, নেতাজি সেখানে কেবল আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠনই করেননি। আজাদ হিন্দ সরকারের নিজস্ব ব্যাঙ্ক ছিল, মুদ্রা ছিল, ডাকটিকিট ছিল। ছিল ভারতীয় ভাবনায় দেশ গড়ার পরিকল্পনা।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও ব্রিটিশদের চশমাতেই দেখা হয়েছে। তৈরি হয়েছে পরিকল্পনা। তাই আজ যদি নেতাজির পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতীয় ভাবনায় দেশ গড়া হত, পরিস্থিতি অন্যরকম হত।
কেবল স্বরাজ নয়, সুরাজ্যও প্রয়োজন।
আমরা সেই ভারত গড়ব। মন্তব্য করেন মোদি।
আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী এদিন নেতাজির নামে সরকারি সম্মানও ঘোষণা করেন। চাণক্যপুরিতে জাতীয় পুলিস সংগ্রহশালার উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী ওই সম্মানের কথা ঘোষণা করেন। পরে লালকেল্লার অনুষ্ঠানেও সেকথা জানিয়ে মোদি বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যেসব পুলিস কর্মী, তা সে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিমেরই হোক বা রাজ্যের, যাঁরা জীবন বাজি রেখে উদ্ধারকাজ করেন, তাঁদের নেতাজির নামে ওই জাতীয় সম্মান দেওয়া হবে।

লালকেল্লার মধ্যে আজাদ হিন্দ বাহিনীর একটি সংগ্রহশালারও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি সেটি উদ্বোধন হবে বলে জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা।

প্রণব কুমার কুণ্ডু









লালকেল্লার অনুষ্ঠানে এদিন চন্দ্র বসুর পাশাপাশি নেতাজি পরিবারের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্চে ছিলেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর নবতিপর সেনা লালতি রাম, হীরা সিং, আমির লালের মতো ব্যক্তিত্ব।
নেতাজিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার তাঁরা যেমন প্রশংসা করেন, দর্শক আসন থেকেও ওঠে ‘মোদি’ ‘মোদি’ স্লোগান।

দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী


দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী

প্রণয় কুমার কুণ্ডু












ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন             প্রণব কুমার কুণ্ডু




দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী


   

Communism: The Cancer


    Communism: The Cancer



প্রণব কুমার কুণ্ডু












                ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন :             প্রণব কুমার কুণ্ডু






Ashutosh Jha গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥

 
15 ই মার্চ 1943 সালে তৎকালীন #ব্রিটিশ_হোম_অফিসার রেজিনাল্ড ম্যাক্সওয়েলকে #CPI_সাধারন_সম্পাদক PC Joshi র লেখা চিঠির মাধ্যমে দেওয়া স্বীকারোক্তি, 120 পাতার দেওয়া জবানীতে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে "স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী কার্যকলাপ ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলন" এর বিরোধীতা করে ব্রিটিশদের হয়ে কমিউনিস্টদের পূর্ণ সহযযোগিতার কথা৷


ভেলু নাচিয়ার


   প্রণব কুমার কুণ্ডু










ভেলু নাচিয়ার


 ফেসবুক থেকে      শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু



*ইতিহাসে উপেক্ষিতা*

রানি লক্ষ্মীবাই কত বীর বিক্রমে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন , তার বর্ণনা ইতিহাস বইয়ের পাতায়-পাতায় । কত সিনেমা , বই তাঁকে নিয়ে ।

কিন্তু প্রথম যে রানি ব্রিটিশদের হারিয়ে নিজরাজ্য পুনরুদ্ধার করেছিলেন , তাঁকে যেন ভুলেই গিয়েছে সকলে ।

নাম তাঁর #রানি_ভেলু_নাচিয়ার ।
তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা প্রদেশের রাজা রামনাদ সেলামুথু সেতুপতির কন্যা এই ভেলু ।
পুত্রসন্তান না থাকায় রাজা মেয়ে ভেলুকেই সমরবিদ্যা , ঘোড়ায় চড়া , তিরন্দাজি শিখিয়েছিলেন ।
বিজ্ঞানচর্চা থেকে শুরু করে ইংরেজি , ফরাসি এবং উর্দুতেও পারদর্শী ছিলেন ভেলু । ষোল বছর বয়সে ভেলুর বিয়ে হয় শিবগঙ্গাই মন্নার মুথুভাদুগনাথুরের সঙ্গে । #ভেলাচি নামে তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও হয় ।
১৭৭২-এ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যুদ্ধ করে শিবগঙ্গা দখল করে এবং ভেলুর স্বামীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে ।

কোনোরকমে ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন ভেলু এবং আশ্রয় নেন নিন্দুগলের জঙ্গলে । কিন্তু নিজের রাজ্য ফিরে পাওয়ার এবং স্বামীর হত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়ার চিন্তা তাঁকে রাতে ঘুমাতে দিতনা ।
তিলে তিলে একটি শক্তিশালী গেরিলা বাহিনী তৈরী করেন তিনি । দীর্ঘ আট বছর পর নিজের সেনা এবং মহিশুরের সুলতান #হায়দার_আলীর সহায়তায় তিনি আক্রমণ করেন শিবগঙ্গাই । তাঁর পালিত কন্যা #কুইল্লী সারা শরীরে দাহ্য তেল মেখে গায়ে আগুন ধরিয়ে ব্রিটিশ অস্ত্রাগারে ঢুকে তাদের অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করে দেন ।

ভারতের ইতিহাসে কুইল্লীই প্রথম মানববোমা ।

যুদ্ধে ব্রিটিশদের হারিয়ে নিজের রাজ্য ভেলু পুনরুদ্ধার করেন ।
ভেলুর অন্য পালিত কন্যা #উদইয়ালও ব্রিটিশের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে প্রাণত্যাগ করেন । দুই মেয়ের স্মরণে ভেলু শুধুমাত্র মেয়েদের নিয়ে রাজ্যে একটি সেনাবাহিনী তৈরি করেন ।
ভারতের প্রথম মহিলা সেনাবাহিনীও হাতেকলমে এটিই ।
১৭৭৬-এ অসুস্থতার কারণে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রানি ভেলু নাচিয়ার । কিন্তু জীবনের শেষ দিন অবধি বুক দিয়ে আগলেছেন শিবগঙ্গাই কে ।
এই বীরাঙ্গনাকে ইতিহাস মনে রাখেনি ।
তাঁর বীরগাথাও তাই দেশবাসীর কাছে থেকে গিয়েছে অজানা ।

(তথ্যসূত্র- *ইতিহাসে উপেক্ষিতা , অংশুমিত্রা দত্ত , আনন্দমেলা পুজো সংখ্যা ২০১৮ এবং Google )