রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

পার্বতী


পার্বতী



দক্ষকন্যা সতী। 

তাঁর পরের জন্ম, হিমাচলের কন্যা, দেবী পার্বতী !

পার্বতীর অন্য নাম, উমা দেবী !

অম্বিকা, ভবানী প্রভৃতি নামেও, পার্বতী খ্যাতা !



* সূত্র : 'শ্রীরামচরিতমানস', পৃষ্ঠা ৯৭।



ভগবান শংকর-এর সমাধি


ভগবান শংকর-এর সমাধি



ভগবান শংকর, সমাধিতে মগ্ন হতেন !

সাতাশি হাজার দিব্য বছর জুড়ে, শংকর ভগবান, সমাধিতে মগ্ন ছিলেন !

এর পরে ব্রহ্মা, দক্ষকে, প্রজাপতি পদে নিয়োগ করলেন !

তারও বহু পরে, দক্ষকন্যা সতীকে, শংকর ভগবান বিবাহ করলেন !

তারপর শংকর ভগবান, সংসারী হয়ে, সেই অর্থে, তপস্যা ছেড়ে দিলেন !



* সূত্র :  'শ্রীরামচরিতমানস', গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ৮৭।

কিং কোবরা


কিং কোবরা


বাংলা উইকি থেকে পোস্টটি  শেয়ার করেছেন      শ্রীপ্রণব কুমার কুণ্ডু।

https://bn.wikipedia.org/s/yz1

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শঙ্খচূড়
KINGCOBRA.jpg


বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Reptilia
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: Serpentes
পরিবার: Elapidae
গণ: Ophiophagus
প্রজাতি: O. hannah
দ্বিপদী নাম
Ophiophagus hannah
ক্যান্টর, ১৮৩৬
Distribution O. hannah.png

শঙ্খচূড়, পদ্ম গোখরা, রাজ গোখরা (ইংরেজি: King Cobra) (বৈজ্ঞানিক নাম: Ophiophagus hannah) হচ্ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বিষধর সাপ। যার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৫.৬ মিটার (১৮.৫ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে।[১] এটি মূলত সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার বনাঞ্চল জুড়ে দেখা যায়। ইংরেজি নামে কোবরা শব্দটি থাকলেও এটি কোবরা বা গোখরা নয়। এটি সম্পূর্ণ আলাদা গণের একটি সাপ। এই সাপের আকার পর্যবেক্ষণ এবং ফণার পেছনের অংশ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গোখরার সাথে এটির পার্থক্য খুব সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। গোখরার তুলনায় শঙ্খচূড় আকৃতিতে যথেষ্ট পরিমাণ বড়। এর ফণার পেছনে প্রচলিত গোখরা বা খড়মপায়া গোখরার মতো চশমা বা গোক্ষুর আকৃতি চিহ্ন থাকে না। শঙ্খচূড়ের গণের নাম হচ্ছে Ophiophagus, যার আক্ষরিক অর্থ "সাপ খাদক", এবং প্রাথমিকভাবে এটি অন্যান্য সাপ ভক্ষণ করেই তার খাদ্য চাহিদা মেটায়। যেসকল সাপ এটি ভক্ষণ করে তার মধ্যে আছে র‌্যাট সাপ, এবং ছোট আকৃতির অজগর। এছাড়াও অন্যান্য বিষধর সাপও এটি ভক্ষণ করে, যেমন: ক্রেইট, গোখরা, এবং নিজ প্রজাতিভুক্ত অন্যান্য ছোট সাপ। এই সাপের বিষ মূলত নিউরোটক্সিক, অর্থাৎ এটির বিষ আক্রান্ত প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে। শঙ্খচূড়ের একটি সাধারণ দংশন-ই যেকোনো মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট।[২] এর কামড়ের ফলে সৃষ্ট মৃত্যু হার প্রায় ৭৫%।[২][৩][৪] বাংলাদেশের সুন্দরবনের গভীরে এই সাপ দেখতে পাওয়া যায়।[৫]
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৬]
পরিচ্ছেদসমূহ  [লুকিয়ে রাখুন]
প্রজনন
সম্পর্কিত প্রজাতি
বাসস্থান ও বিচরণ
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
প্রজনন[সম্পাদনা]
ডিম পাড়ার আগে স্ত্রী শঙ্খচূড় তা শরীর পাকিয়ে কুণ্ডুলী তৈরি করে, এবং তা মৃত পাতা ব্যবহার করে উঁচু ঢিপির মতো তৈরি করে। পরবর্তীকালে সেখানে ২০ থেকে ৪০টির মতো ডিম পাড়ে। কুন্ডুলী পাকানো দেহটি ইউকিউবেটররের মতো কাজ করে। বাচ্চা ফোটার আগ পর্যন্ত শঙ্খচূড় তাঁর ঢিপিটিকে বিরামহীনভাবে পাহারা দিতে থাকে, এবং কোনো প্রাণী যেনো কাছে আসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখে।[৭]
ঢিপির মধ্যে প্রায় ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ডিমগুলোকে তা দেওয়া হয়। বাচ্চা ফোটার পর তা নিজে নিজেই ডিমের খোলস ভেঙে বেরিয়ে যায় এবং নিজেই নিজের শিকার খুঁজতে থাকে, এজন্য মাকে তাঁর নিজের বাচ্চা ভক্ষণ করতে হয় না।[৮] শিশু শঙ্খচূড়ের দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ৫৫ সেন্টিমিটার এবং এদের বিষ প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মৃত্যুঘাতী।
সম্পর্কিত প্রজাতি[সম্পাদনা]
শঙ্খচূড় এলাপিডি পরিবারভুক্ত একটি সাপ। ইউরোপ ও এন্টার্কটিকা ব্যতীত এই পরিবারে সারা পৃথিবীতে প্রায় ২০০-এর বেশি প্রজাতি দেখা যায়। এদের সবগুলোই বিষধর, এবং এদের সবারই ছোট, স্থায়ী বিষদাঁত রয়েছে। কিন্তু অঞ্চলভেদে এদের মধ্যে বাসস্থান, আচরণ, এবং বর্ণ ও গঠনগত অনেক পার্থক্য দেখা যায়। এলাপিডি পরিবারভুক্ত চারটি খুবই প্রচলিত সাপ হচ্ছে কোরাল সাপ, ডেথ অ্যাডার, ব্ল্যাক মাম্বা, এবং শঙ্খচূড়।
বাসস্থান ও বিচরণ[সম্পাদনা]
শঙ্খচূড় ভারত উপমহাদেশের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার(বারমা), কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে বেশি পরিমাণে দেখা যায় । এটি ঘন জঙ্গল ও উঁচুভূমিতে বিশেষ করে হ্রদ ও স্রোতস্বিনী পরিবেশে থাকতে বেশি পছন্দ করে[১][৯]।এই সব এলাকায় বন নিধন ও আন্তর্জাতিক প্রাণী চোরাচালানের জন্য শঙ্খচূড়ের প্রজাতি দিন দিন বিলুপ্তির পথে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
↑ ঝাঁপ দাও: ক খ Mehrtens, John (১৯৮৭)। Living Snakes of the World। New York: Sterling। আইএসবিএন 0806964618।
↑ ঝাঁপ দাও: ক খ Capula, Massimo; Behler (১৯৮৯)। Simon & Schuster's Guide to Reptiles and Amphibians of the World। New York: Simon & Schuster। আইএসবিএন 0671690981। |coauthors= প্যারামিটার অজানা, উপেক্ষা করুন (সাহায্য)
ঝাঁপ দাও ↑ "Ophitoxaemia (venomous snake bite)"। সংগৃহীত ২০০৭-০৯-০৫।
ঝাঁপ দাও ↑ Sean Thomas। "One most Dangerous Snakes in the World"। সংগৃহীত ২০০৭-০৯-০৫। "mortality varies sharply with amount of venom involved, most bites involve nonfatal amounts"
ঝাঁপ দাও ↑ সুন্দরবনের প্রাণী বৈচিত্র — প্রথম আলো
ঝাঁপ দাও ↑ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫০৮
ঝাঁপ দাও ↑ Piper, Ross (2007). Extraordinary Animals: An Encyclopedia of Curious and Unusual Animals. Westport, Conn.: Greenwood Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩১৩-৩৩৯২২-৬.
ঝাঁপ দাও ↑ National Geographic Program 17 May 2009
ঝাঁপ দাও ↑ Miller, Harry (সেপ্টেম্বর ১৯৭০)। "The Cobra, India's 'Good Snake'"। National Geographic 20: 393–409।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
Real Audio format of a King Cobra hissing
উইকিপ্রজাতির সম্পর্কিত তথ্যে রয়েছে: Ophiophagus hannah
উইকিমিডিয়া কমন্সে শঙ্খচূড় সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
বিষয়শ্রেণীসমূহ: আইইউসিএন লাল তালিকার সংকটাপন্ন প্রজাতিএলাপিডিবাংলাদেশের সরীসৃপভারতের সরীসৃপসাপ
পরিভ্রমণ বাছাইতালিকা

 পৃষ্ঠায় শেষ পরিবর্তন হয়েছিল ২০:৩১টার সময়, ১০ জুলাই ২০১৭ তারিখে।