রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬

সূর্য থেকে দিব্যাস্ত্র

সূর্য থেকে দিব্যাস্ত্র




সূর্যের সাথে বিয়ে হয়েছিল সংজ্ঞার।

সংজ্ঞা সূর্যের তেজ সহ্য করতে পারত না !

চোখ কুঁচকে থাকত !
শরীর জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যেত !

সেই অসুবিধা দূর করতে, সংজ্ঞার বাবা ত্বষ্টা, সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করলেন !

ফলে, সংজ্ঞা সূর্যের ভীষণ তেজ থেকে, কিছুটা রেহাই পেলেন !

সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করার ফলে, এক এক ভাগে , এক এক আলাদা আলাদা 'আদিত্য'-র উদ্ভব হল !

সূর্যকে বারো ভাগে ভাগ করার জন্য, এক এক বাংলা মাসে, এক এক আদিত্য, সূর্যের জায়গায়,  দিনের বেলায় আকাশে উদিত থাকে !

তার মধ্যে, ফাল্গুন মাসের সূর্যের অংশটার নাম, 'সূর্য'-ই থেকে যায় !

বাকি এগারো মাসের আদিত্যদের জন্য, সব আদিত্য-র ক্ষেত্রেই, আলাদা আলাদা নাম রয়েছে !


কিন্তু এত করেও সংজ্ঞার সমস্যাটা মেটানো গেল না !

সূর্যের তেজ অত্যধিক রয়েই গেল !

তেজের জন্য, সংজ্ঞার পক্ষে,  স্বামী সূর্যের ঘর করা সম্ভব হচ্ছিল না !

তাই সংজ্ঞা, স্বামী সূর্যের ঘর ছেড়ে চলে গেলেন !

প্রথমে পিতৃগৃহে গেলেন।

কিন্তু পিতা ভৎর্সনা করায়, শেষে 'উত্তরকুরু' বলে এক পৌরাণিক জায়গায় চলে গেলেন !


খবর পেয়ে সংজ্ঞার বাবা,  ত্বষ্টা আবার সূর্যকে নিয়ে পড়লেন !

ত্বষ্টা এবার শাণযন্ত্র দিয়ে বারবার প্রচণ্ড রকমে  ঘষে ঘষে সেই 'বারোভাগের একভাগ সূর্য'-কে আরো ক্ষীণ ও মৃদুতেজা করে দিলেন !

বারবার প্রচণ্ড রকম ঘষার ফলে ,  বারবার শাণযন্ত্র ব্যবহার করার ফলে, সূর্যের বেশ কিছু অংশ ছিন্ন হয়ে বেরিয়ে গেল !

ত্বষ্টা, সূর্যের সেই বিচ্ছিন্ন হওয়া অংশগুলো সংগ্রহ করে, সেগুলো দিয়ে দক্ষতার সাথে, বিষ্ণুর চক্র, শিবের ত্রিশূল, এবং অন্য অনেক দেবতাদের অস্ত্র বানিয়ে দিলেন !

বিষ্ণু, 'চক্র' পেয়ে ত্বষ্টাকে 'বর' দিলেন। শিব, ত্রিশূল পেয়ে ত্বষ্টাকে আশীর্বাদ করলেন ! অন্যান্য দেবতারাও, যাঁরা দিব্যাস্ত্র পেলেন, ত্বষ্টাকে শুভেচ্ছা জানালেন !

সূর্যের ছিন্ন অংশগুলি থেকে, এইভাবে, বিষ্ণুর চক্র, শিবের ত্রিশূল, এবং অন্য দেবতাদের  বিভিন্ন দিব্যাস্ত্র তৈরি করা, একটি পৌরাণিক কাহিনী ! পুরাণের গল্প !

সূর্য সংজ্ঞা ছায়া ও ত্বষ্টা'র পৌরাণিক গল্প

                                                                                   সূর্য সংজ্ঞা ছায়া ও ত্বষ্টা'র পৌরাণিক গল্প

সূর্যের সাথে বিয়ে হয়েছিল সংজ্ঞার।

সংজ্ঞা সূর্যের তেজ সহ্য করতে পারত না !

চোখ কুঁচকে থাকত !
শরীর জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যেত !

সেই অসুবিধা দূর করতে, সংজ্ঞার বাবা ত্বষ্টা, সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করলেন !

ফলে, সংজ্ঞা সূর্যের ভীষণ তেজ থেকে, কিছুটা রেহাই পেলেন !

সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করার ফলে, এক এক ভাগে , এক এক আলাদা আলাদা 'আদিত্য'-র উদ্ভব হল !

সূর্যকে বারো ভাগে ভাগ করার জন্য, এক এক বাংলা মাসে, এক এক আদিত্য, সূর্যের জায়গায়,  দিনের বেলায় আকাশে উদিত থাকে !

তার মধ্যে, ফাল্গুন মাসের সূর্যের অংশটার নাম, 'সূর্য'-ই থেকে যায় !

বাকি এগারো মাসের আদিত্যদের জন্য, সব আদিত্য-র ক্ষেত্রেই, আলাদা আলাদা নাম রয়েছে !


কিন্তু এত করেও সংজ্ঞার সমস্যাটা গেল না !

সূর্যের তেজ অত্যধিক রয়েই গেল !

তেজের জন্য, সংজ্ঞার পক্ষে,  স্বামী সূর্যের ঘর করা সম্ভব হচ্ছিল না !

তাই সংজ্ঞা,  স্বামী সূর্যের ঘর ছেড়ে চলে গেলেন !
প্রথমে পিতৃগৃহে গেলেন। পিতা ভৎর্সনা করায়, শেষে 'উত্তরকুরু' বলে এক পৌরাণিক জায়গায় চলে গেলেন !


খবর পেয়ে সংজ্ঞার বাবা,  ত্বষ্টা আবার সূর্যকে নিয়ে পড়লেন ! ত্বষ্টা এবার শাণযন্ত্র দিয়ে ঘষে ঘষে সেই 'বারোভাগের একভাগ সূর্য'-কে আরো ক্ষীণ ও মৃদুতেজা করে দিলেন !

তখন সূর্য নিজেই  উত্তরকুরু গিয়ে,  সংজ্ঞাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এলেন !


সূর্যের অবিশ্যি ছায়া নামে আরেকজন স্ত্রী ছিলেন !

সংজ্ঞা ফিরে আসাতে, দুই পত্নী নিয়ে, সূর্য, সুখে ঘর-সংসার করতে লাগলেন !

সংজ্ঞা'র সন্তানেরা,  শ্রাদ্ধদেব ও যম এই দুই পুত্র আর এক কন্যা যমুনা !

ছায়ার সন্তানেরা, দুই পুত্র সাবর্ণি ও শনি এবং এক কন্যা তপতী !

সন্তানদের বাবা অবিশ্যি, বারোভাগে ভাগ হওয়া এবং শাণযন্ত্র দিয়ে  ঘষে ঘষে আরো ক্ষীণ ও মৃদুতেজা হওয়া , 'নতুন' 'সূর্য' !



* সূত্র  'বঙ্গীয় শব্দকো-এর প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডের বিভিন্ন অংশ।