মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

পঞ্চজন


পঞ্চজন



পঞ্চজন, জনৈক অসুর।

হিরণ্যকশিপুর পুত্র সংহ্রাদের ঔরসে ক্রতুর গর্ভে, 'পঞ্চজন'-এর  জন্ম।

ঘটনাচক্রে, শ্রীকৃষ্ণ, পঞ্চজনকে বধ করেছিলেন।

সেই পঞ্চজন অসুরের অস্থি থেকে, শ্রীকৃষ্ণের বিখ্যাত  'পাঞ্চজন্য'  শঙ্খটি  তৈরি হয়েছিল।

বিশ্বকর্মা শঙ্খটি নির্মাণ করেছিলেন।

তবে বিশ্বকর্মা নিজে শঙ্খটি  'ফুঁ' দিয়ে বাজিয়ে দেখেন নি। তাতে শঙ্খটি এঁটো হয়ে যেত।

শ্রীকৃষ্ণ শঙ্খটিতে প্রথম 'ফুঁ' দিয়েছিলেন।

বিশাল আকারের শঙ্খটি, ওজনে ভারি, আওয়াজেও ভারি ! একেবারে 'গম' 'গম' করত !

শ্রীকৃষ্ণ, অসুরের হাড়ে ঠোঁট লাগিয়ে, শঙ্খটিতে 'ফুঁ' দিতেন !



দ্বারকায় প্রলয়ঙ্করী বন্যায়, শঙ্খটি আরব সাগরে ভেসে গিয়েছিল !

মহম্মদের কোন সাগরেদ, শঙ্খটি আরব সাগরের তীরে কুড়িয়ে পেয়েছিল !

সেই শঙ্খে 'ফুঁ' দিয়ে, মহম্মদের যোদ্ধা-বিপ্লবী শিষ্যরা, ভারতে মুসলিম ধর্মবিজয় এবং মুসলিমদের পক্ষে রাজ্যবিজয় করেছিল !

সহজকর্তাভজা সম্প্রদায় আউলচাঁদ [ দুই ]


সহজকর্তাভজা সম্প্রদা্য় আউলচাঁদ [দুই }



আগের [ এক ] নম্বর প্রবন্ধে, 'সহজকর্তাভজা সম্প্রদায় আউলচাঁদ  ( গদ্যরচনা )  [ এক ]', আমি 'সহজকর্তাভজা' সম্প্রদায়ের  'বহিরঙ্গ' সাধনার কথা লিখেছি !
বহিরঙ্গ। বাহ্য অঙ্গ !

কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা কি করত ?

আউলচাঁদ সম্প্রদায়ের আসলে ছিল, 'প্রেমোন্মত্ততা' !
আউল হচ্ছে, আসলে, 'আকুল' ! বিহ্বল !
এদের 'অন্তরঙ্গে" অন্যতম সাধনা ছিল, 'নারী সাধন' !

নারীসাধনে এরা ছিল সবিশেষ পটু এবং 'উদার' !

এদের পরমার্থসাধন, দুই-একটা 'নিজ' নারীসাধনে পর্যাপ্ত হত না !

প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে,  এরা বারাঙ্গনা বিহারে বেরোত, এবং 'গৃহাঙ্গনারা'ও  এদের সাধনসম্পাদনে নিয়োজিত হত !
অঙ্গনা। সুন্দরী রমণী। দেহসৌষ্ঠবসম্পন্না নারী। রমণী !

সহজকর্তাভজা সম্প্রদায়ের লোকেরা দাড়ি-গোঁফ রাখত না !

তবে মাথা ন্যাড়া করত !



* সূত্র 'বঙ্গীয় শব্দকোষ', পৃষ্ঠা ২২২।