রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩

ঋষিদের গবেষণায় সময় গণনা পদ্ধতি ও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে বিষয়জ্ঞান !

 ঋষিদের গবেষণায় সময় গণনা পদ্ধতি ও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে বিষয়জ্ঞান !

এই দিনে
1 বছর আগে
27 সেপ্টেম্বর, 2022 
সবাই-এর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে
সবাই
শেয়ার করেছেন : প্রণব কুমার কুণ্ডু
Niladri Kar
·
এটি সংরক্ষণ করুন এবং এটি নিরাপদ রাখুন। এরকম পোস্ট খুব কমই আসে।
ঋষিদের দ্বারা করা গবেষণায় সময় গণনা পদ্ধতি ও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে আনুষঙ্গিক বিষয়জ্ঞান !
কথা = এক সেকেন্ডের 34000তম
1 ত্রুটি = এক সেকেন্ডের 300তম
2 ত্রুটি = 1 ল্যাভ,
1টি প্রেম = 1টি মুহূর্ত
30 মুহূর্ত = 1 বিপুল,
60 Vipal = 1 মুহূর্ত
60 মুহূর্ত = 1 ঘড়ি (24 মিনিট),
2.5 ঘড়ি = 1 হোরা (ঘণ্টা)
3 হোরা = 1 প্রহর এবং 8 প্রহর 1 দিন,
24 হোরা = 1 দিন,
7 দিন = 1 সপ্তাহ
4 সপ্তাহ = 1 মাস,
2 মাস = 1 ঋতু
6টি ঋতু = 1 বছর,
100 বছর = 1 শতাব্দী
10 শতাব্দী = 1 সহস্রাব্দ,
432 সহস্রাব্দ = 1 যুগ
2 যুগ = 1 দ্বাপর যুগ,
3 যুগ = 1 ত্রেতাযুগ,
4 যুগ = সত্যযুগ
সত্যযুগ + ত্রেতাযুগ + দ্বাপরযুগ + কলিযুগ = 1 মহাযুগ
72 মহাযুগ = মন্বন্তর,
1000 মহাযুগ = 1 কল্প
1 নিত্য প্রলয় = 1 মহাযুগ (পৃথিবীতে জীবন শেষ হয় এবং তারপর শুরু হয়)
1 নৈমিতিকা প্রলয় = 1 কল্প (দেবতাদের শেষ ও জন্ম)
মহালয়া = 730 কল্প (ব্রহ্মার শেষ ও জন্ম)
সমগ্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং বৈজ্ঞানিক সময় গণনা পদ্ধতি এখানে রয়েছে যা আমাদের দেশে ভারতে তৈরি। এটি আমাদের ভারত যা আমাদের গর্ব করা উচিত।
দুই পক্ষঃ শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষ।
দুটি অয়ন: উত্তরায়ণ, দক্ষিণায়ন।
দুটি সুখ: অভ্যূদয় (জাগতিক), নিঃশ্রেয়স (মুক্তি সুখ)।
তিনটি জগত: পৃথিবী, আকাশ, পাতাল।
তিনটি গুণ: সত্ত্বগুণ, রজোগুণ, তমোগুণ।
তিনটি অবস্থা: কঠিন, তরল, বায়বীয়।
তিনটি স্তর: শুরু, মধ্য, শেষ।
তিনটি পর্যায়: শৈশব, যৌবন, বার্ধক্য।
তিনটি অবস্থা: জাগ্রত, মৃত, অচেতন।
তিনটি কাল: অতীত, ভবিষ্যত, বর্তমান।
তিনটি নাডি: ইড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্না।
তিনটি শক্তি: শারীরিক, আত্মিক, সামাজিক ।
তিনটি ঋণ: পিতৃ ঋণ, দেব ঋণ, ঋষি (আচার্য) ঋণ।
তিনটি দোষ: বাত , পিত্ত, কফ।
চার বর্ণ: ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র।
চার অবস্থা: জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি, তুরীয়।
চারটি নিয়ম: সাম, দাম, দণ্ড, ভেদ।
চারটি বেদ: ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ, অথর্ববেদ।
চার নারী: মা, স্ত্রী, বোন, কন্যা।
চার যুগ: সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপর যুগ, কলিযুগ।
চার কাল: সকাল, সন্ধ্যা, দিন, রাত।
চারটি প্রাণী: জলজ, ভূমিচর, উভচর, খেচর।
উৎপত্তিগত চারটি : অণ্ডজ, জরায়ুজ, স্বেদজ, উদ্ভিজ।
চারটি আশ্রম: ব্রহ্মচর্য, গৃহস্থ, বানপ্রস্থ, সন্ন্যাস।
চারটি খাদ্যদ্রব্য: খাদ্য, পেয়, লেহ্য, চোষ্য।
চার পুরুষার্থ : ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ।
চারটি যন্ত্র: তাত, সুশির, অবনাদ্ব, ঘন।
চারটি কোন: ঈশান, অগ্নি, নৈঋত, বায়ু।
পাঁচটি স্থূল ভূত: পৃথিবী, আকাশ, আগুন, জল, বায়ু।
পাঁচটি ইন্দ্রিয়: চোখ, নাক, কান, জিহ্বা, ত্বক।
পাঁচটি তন্মাত্রা : শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস, গন্ধ ।
পাঁচ আঙুল: বৃদ্ধাঙ্গুলি , তর্জনী, মধ্যমা, অনামিকা, কনিষ্ঠ।
পাঁচটি বায়ুঃ প্রাণ, অপান, ব্যান, সমান, উদান।
পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়: চোখ, নাক, কান, জিহ্বা, ত্বক,।
পাঁচটি কর্মেন্দ্রিয়: পায়ু , উপস্থ, হস্ত, পদ, বাক।
ছয়টি ঋতু: বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত , শীত।
ছযটি বেদাঙ্গ: শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ , জ্যোতিষ।
ছটি উপাঙ্গ: যোগ, সাংখ্য, বৈশেষিক, ন্যায়, বেদান্ত, মীমাংসা ।
ছটি দিক: পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, ঊর্ধ, অধ।
সাতটি স্বর: সা, রে, গা, মা, পা, ধ, নি।
সাতটি নোট: ষডজ, ঋষভ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত, নিষাদ।
সাত দিন: সূর্য, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি।
সাতটি মাটি: গৌশালা, ঘোড়াশাল, হাতীশাল, রাজদ্বার, বাম্বীর মাটি, নদীর সঙ্গম, পুকুর।
সাতটি মহাদেশ: জম্বুদ্বীপ (এশিয়া), প্লাক্ষদ্বীপ, শাল্মলীদ্বীপ, কুশদ্বীপ, ক্রৌঞ্চদ্বীপ, শাকদ্বীপ, পুষ্করদ্বীপ।
সাত ধাতু (শারীরিক): রস, রক্ত, মাংস, মেদ, অস্থি, মজ্জা, শুক্র।
সাতটি রঙ: কালা, বেগুনি, নীল, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল।
বেদ-জ্ঞান:-
Q.1- বেদ কাকে বলে?
উত্তর- ঐশ্বরিক জ্ঞানের গ্রন্থকে বেদ বলে।
Q.2- বেদ-জ্ঞান কে দিয়েছেন?
উত্তরঃ ইশ্বর দিয়েছেন।
Q.3- ঈশ্বর কখন বেদ-জ্ঞান দিয়েছেন?
উত্তর- সৃষ্টির আদিতে ঈশ্বর বেদ-জ্ঞান দিয়েছেন।
Q.4- ঈশ্বর কেন বেদের জ্ঞান দিয়েছেন?
উত্তর- মানুষের কল্যাণের জন্য।
Q.5- বেদ কয়টি?
উত্তর- চারটি।
1-ঋগ্বেদ
2-যজুর্বেদ
3-সামবেদ
4-অথর্ববেদ
Q.6- বেদের ব্রাহ্মণ।
বেদ ব্রাহ্মণ
1 - ঋগ্বেদ - ঐতরেয়
2 - যজুর্বেদ - শতপথ
3 - সামবেদ - আরণ্যক
4 - অথর্ববেদ - গোপথ
Q.7- বেদের কয়টি উপবেদ আছে।
উত্তর - চারটি।
বেদ উপবেদ
1- ঋগ্বেদ- আয়ুর্বেদ
2- যজুর্বেদ- ধনুর্বেদ
3 -সামবেদ - গন্ধর্ববেদ
4- অথর্ববেদ - অর্থবেদ
প্রশ্ন 8- বেদের অঙ্গ কি?
উত্তর- ছয়টি।
1 - শিক্ষা
2 - কল্প
3- ব্যাকরণ
4- নিরুক্ত
5 - ছন্দ
6 - জ্যোতিষ
Q.9- ঈশ্বর কোন ঋষিদের বেদের জ্ঞান দান করেছিলেন?
উত্তরঃ চারজন ঋষি।
বেদ ঋষি
1- ঋগ্বেদ- অগ্নি
2 - যজুর্বেদ - বায়ু
3 - সামবেদ - আদিত্য
4 - অথর্ববেদ - অঙ্গিরা
প্রশ্ন 10- ঈশ্বর কিভাবে ঋষিদের বেদের জ্ঞান দিয়েছেন?
উত্তরঃ সমাধি অবস্থায়।
Q.11- বেদের জ্ঞান কেমন?
উত্তর- সকল সত্য শাখার জ্ঞান-বিজ্ঞান।
Q.12- বেদের বিষয় কি কি?
উত্তর- চারটি।
ঋষি থিম
1- ঋগ্বেদ - জ্ঞান
2- যজুর্বেদ - কর্ম
3- সামবেদ- উপাসনা
4- অথর্ববেদ - বিজ্ঞান
Q.13- বেদে।
ঋগ্বেদে।
1- মণ্ডল - 10
2 - অষ্টক - 08
3 - সূক্ত - 1028
4 - অনুবাক - 85
5 - ঋচা - 10589
যজুর্বেদে।
1- অধ্যায়- 40
2- মন্ত্র - 1975
সামবেদে।
1- আর্চিক - 06
2 - অধ্যায় - 06
3- ঋচা - 1875
অথর্ববেদে।
1- কাণ্ড - 20
2- সূক্ত - 731
3 - মন্ত্র - 5977
Q.14- বেদ পাঠ করার অধিকার কার আছে? উত্তর- বেদ পাঠ করার অধিকার একমাত্র মানুষের।
প্রশ্ন 15- বেদে কি মূর্তি পূজার বিধান আছে?
উত্তর- হ্যাঁ। মাতা, পিতা,আচার্য, অতিথি, পতি, পত্নী ইত্যাদি জীবিত মূর্তি পূজার বিধান আছে।
Q.16- বেদে অবতারের প্রমাণ আছে কি?
উত্তর নাই।
Q.17- সবচেয়ে বড় বেদ কোনটি?
উত্তর – ঋগ্বেদ।
Q.18- বেদের উৎপত্তি কবে?
উত্তর- সৃষ্টির সূচনা থেকেই ঈশ্বরের দ্বারা বেদের উদ্ভব। অর্থাৎ ১ বিলিয়ন ৯৬ কোটি ৮ লাখ ৫৩ হাজার ১২৩বছর আগে।
Q.19- বেদ-জ্ঞানের সহায়ক দর্শন (উপাং) কয়টি এবং তাদের রচয়িতাদের নাম কী?
উত্তর-
1- ন্যায় দর্শন- গৌতম মুনি।
2- বৈশেষিক দর্শন- কণাদ মুনি।
3- যোগদর্শন - পতঞ্জলি মুনি।
4- মীমাংসা দর্শন- জৈমিনী মুনি।
5- সাংখ্য দর্শন - কপিল মুনি।
6- বেদান্ত দর্শন - ব্যাস মুনি।
Q.20- শাস্ত্রের বিষয় কী?
উত্তর- আত্মা, পরমাত্মা, প্রকৃতি, জগতের উৎপত্তি, মুক্তি মানে সকল প্রকার শারীরিক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ইত্যাদি।
Q.21- কতটি প্রামাণিক উপনিষদ আছে?
উত্তর- মাত্র এগারো।
Q.22- উপনিষদের নাম বল?
উত্তর-
01-ইশ (ঈশবাস)
02-কেন
03-কঠ
04-প্রশ্ন
05-মুন্ডক
06-মান্ডুক্য
07-ঐতরেয়া
08- তৈতিরীয়
09-চান্দোগ্য
10-বৃহদারণ্যক
11-শ্বেতাশ্বতর।
Q.23- উপনিষদের বিষয়গুলি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ বেদ থেকে।
Q.24- কর্মাণুসার চারটি বর্ণ ।
উত্তর-
1- ব্রাহ্মণ
2- ক্ষত্রিয়
3- বৈশ্য
4- শূদ্র
Q.25- চার যুগ।
1- সত্যযুগ- 17,28000 বছর ধরে নামকরণ করা হয়েছে (সত্যযুগ)।
2-ত্রেতাযুগ - 12,96000 বছর ধরে নামকরণ করা হয়েছে (ত্রেতাযুগ)।
3- দ্বাপর যুগের নাম 8,64000 বছরের।
4- কলিযুগ- 4,32000 বছরের নাম।
এ পর্যন্ত কলিযুগের 5122 বছর উপভোগ করা হয়েছে।
4,27024 বছর ভোগ করতে হবে।
পঞ্চ মহাযজ্ঞ
1- ব্রহ্ম যজ্ঞ
2- দেব যজ্ঞ
3- পিতৃ যজ্ঞ
4- বলিবৈশ্বদেব যজ্ঞ
5- অতিথি যজ্ঞ
স্বর্গ- যেখানে সুখ আছে।
নরক - যেখানে দুঃখ আছে।
শেয়ার করুন

#সনাতন_ধর্মে_নারীর_অধিকার_ও_মর্যাদা_প্রসঙ্গে_মনুসংহিতা

 #সনাতন_ধর্মে_নারীর_অধিকার_ও_মর্যাদা_প্রসঙ্গে_মনুসংহিতা

বৈদ্যিক সনাতন ধর্মে যতগুলো শাস্ত্রীয় গ্রন্থ আছে তাদের মধ্যে অন্যতম মনু স্মৃতি। এর কারণ বিবিধ তবে সারমর্মে বলা যায় তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ী ও যবনদের দ্বারা বিকৃত ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজের মতো করে অপব্যাখ্যা সৃষ্টি করাই এর প্রধান কারণ। অনেক অপপ্রচার কথিত আছে যে মনু ছিলেন নারী বিদ্বেষী এবং বিভিন্নভাবে নারীদের হেয় করেছেন। তাহলে আমরা দেখে নিই কিভাবে মিথ্যা ভ- প্রচারকরা মনু স্মৃতিকে হেয় করেছে। যদি আমরা প্রকৃত অবিকৃত মনু স্মৃতি পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে মনু স্মৃতিতে নারীকে অধিকতর উঁচু মর্যাদা দিয়েছে। এমনকি আধুনিক যুগে নারীবাদীদের গ্রন্থগুলোকে পুনঃ সংকলন করার প্রয়োজন পরে যাবে মনু স্মৃতির সমকক্ষ হওয়ার জন্য।
👉👉যত্র নার্য্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ।
যত্রৈতাস্তু ন পূজ্যন্তে সর্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ।। (মনুসংহিতা ৩/৫৬)
অর্থাৎ“যে সমাজে নারীদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা হয় সেই সমাজ উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভ করে। আর যারা নারীদের যোগ্য সম্মান করে না, তারা যতই মহৎ কর্ম করুক না কেন, তার সবই নিষ্ফল হয়ে যায়।”
এটি নারীদের প্রতি কোন চাটুকারিতা বা তোষামদি নয়। এটি এমন একটি সত্য যা নারীবিদ্বেষীদের কাছে বিষের মতো, আর নারীশক্তির মহিমা কীর্তনীয়াদের কাছে অমৃতস্বরূপ। প্রকৃতির এই নিয়ম পরিবার, সমাজ, ধর্মগোষ্ঠী, জাতি বা সমগ্র মানবতার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। যারা মনুস্মৃতিকে দোষারোপ করেন, তারা কখনোই এই শ্লোকের উদ্ধৃতি দেন না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র হিন্দুধর্ম সম্পর্কে কুৎসা প্রচারই তাদের একমাত্র কাজ। নিরপেক্ষ বিচার তাদের কাছে নেই। যেমন নিচের চমৎকার শ্লোকগুলোর কথা কোন হিন্দুধর্মের সমালোচক উল্লেখ করেন না:
👉👉 একজন পিতা, ভাই, পতি বা দেবর তাদের কন্যা, বোন, স্ত্রী বা ভ্রাতৃবধুকে মৃদুবাক্য, ভদ্র ব্যবহার ও উপহারাদি দ্বারা খুশি ও সন্তুষ্ট রাখবেন। যারা যথার্থ কল্যাণ ও উন্নতি চান, তারা নিশ্চিত করবেন যে, তাদের পরিবারের নারীরা যাতে সর্বদা খুশী থাকেন এবং কখনো দুর্দশা ভোগ না করেন”।
(মনুসংহিতা ৩/৫৫)
👉👉যে বংশে ভগিনী ও গৃহস্থের স্ত্রী (নারীকূল) পুরুষদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখিনী হয়, সেই বংশ অতি শীঘ্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আর যে বংশে স্ত্রীলোকেরা সন্তুষ্ট থাকে, সেই বংশ নিশ্চিতভাবেই শ্রীবৃদ্ধি লাভ করে”। (মনুসংহিতা ৩/৫৭)
ভেবে দেখুন, পরিবারের সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য এর চেয়ে বড় কথা আর কি হতে পারে? এখানে পুরুষতান্ত্রিকতা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। নারীকে সর্বদা সুখী রাখতে হবে -এটাই মহর্ষি মনুর নির্দেশ।
👉👉যে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখে না, সে তার সমগ্র পরিবারের জন্য দুর্দশা বয়ে আনে। আর যদি স্ত্রী পরিবারের প্রতি সুখী থাকেন, তবে সমগ্র পরিবার শোভাময় হয়ে থাকে।”
(মনুসংহিতা ৩/৬২)
👉👉যে বংশকে উদ্দেশ্য করে ভগিনী, পত্নী, পুত্রবধূ প্রভৃতি স্ত্রীলোকেরা অনাদৃত, অপমানিত বা বৈষম্যের শিকার হয়ে অভিশাপ দেন, সেই বংশ বিষপান করা ব্যক্তি ন্যায় ধন-পশু প্রভৃতির সাথে সর্বতোভাবে বিনাশপ্রাপ্ত হয়।”
(মনুসংহিতা ৩/৫৮)
👉👉 পুরুষতান্ত্রিক যে সমাজে নারীনির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার, নারীকে যথেচ্ছা সম্ভোগ, প্রহার বা তাড়িয়ে দেওয়ার বিধানও যে সমাজ অনুমোদন করে, সেই সমাজ যে ক্রমেই বিনাশপ্রাপ্ত হবে -এটাই তো স্বাভাবিক। বিশ্বের প্রতিটি নারীর ব্যক্তিগত জীবনের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গলের লক্ষ্যে, নারীর অপমান ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মহর্ষি মনু যে দৃপ্ত বাণী উচ্চারণ করেছেন, তাতে তো মনুকে বরং কট্টর নারীবাদী বলেই মনে হয়, তাই না?
“যারা ঐশ্বর্য কামনা করে, তারা স্ত্রীলোকদের সম্মান প্রদর্শন দ্বারা খুশী রাখবে এবং উত্তম অলংকার, পোশাক ও খাদ্যদ্বারা প্রীত রাখবে। স্ত্রীজাতিকে সর্বদা পবিত্র হিসেবে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করবে।”
(মনুসংহিতা ৩/৫৯)
শ্লোকটিকে খুব নারীবাদী মনে হতে পারে, তবে মহর্ষি মনু মোটেও পুরুষতান্ত্রিক বা নারীবাদী কোনটাই নন, তিনি মানবতাবাদী। মনে রাখবেন ‘মনু’ শব্দ থেকেই ‘মানব’ ও ‘মানবতা’ শব্দের উৎপত্তি।
👉👉স্ত্রী লোকেরা সন্তানাদি প্রসব ও পালন করে থাকে। তারা নতুন প্রজন্ম বা উত্তরসুরির জন্ম দেয়। তারা গৃহের দীপ্তি বা প্রকাশস্বরূপ। তারা সৌভাগ্য ও আশীর্বাদ বয়ে আনে। তারাই গৃহের শ্রী।”
(মনুসংহিতা ৯/২৬)
💥আজও ভারতবর্ষে মহর্ষি মনুর এই শ্লোক থেকেই শিক্ষা নিয়ে মেয়েদের ‘ভাগ্যশ্রী’, ‘ঘরের লক্ষ্মী’ বা ‘গৃহলক্ষ্মী’ বলা হয়।❤
👉👉প্রজন্ম থেকে প্রজন্মোন্তরে স্ত্রীরাই সকল সুখের মূল। কারণ, সন্তান উৎপাদন, ধর্ম পালন, পরিবারের পরিচর্যা, দাম্পত্য শান্তি এসব কাজ নারীদের দ্বারাই নিষ্পন্ন হয়ে থাকে।” (মনুসংহিতা ৯/২৮)
অন্যকথায়, মাতৃরূপে, কন্যারূপে, স্ত্রীরূপে, ভগ্নীরূপে কিংবা ধর্মকর্মে অংশীদাররূপে নারীরাই সকল কল্যাণের মূল উৎস বলে মহর্ষি মনু প্রতিপাদন করেছেন।
👉👉পতি ও পত্নী মৃত্যু পর্যন্ত একসাথে থাকবেন। তারা অন্য কোন জীবনসঙ্গী গ্রহণ করবেন না বা ব্যাভিচার করবেন না। এই হলো নারী-পুরুষের পরম ধর্ম।”
(মনুসংহিতা ৯/১০১)
👉👉নারী ও পুরুষ একে ভিন্ন অপরে অসম্পূর্ণ। এজন্য বেদে বলা হয়েছে ধর্মকর্ম পত্নীর সাথে মিলিতভাবে কর্তব্য”।
(মনুসংহিতা ৯/৯৬)
এই শ্লোকটির কথা একবার ভেবে দেখুন। নারী ছাড়া পুরুষ অসম্পূর্ণ একথা শুধুমাত্র হিন্দুধর্মই বলে থাকে। নারী ছাড়া পুরুষের ধর্মকর্ম সম্পূর্ণ হয় না। বৈদিক যজ্ঞ ও ধর্মপালন স্বামী-স্ত্রী যুগ্মভাবে করতে হয়, কেউ একাকী করতে পারেন না। একারণেই নারীকে বলা হয় পুরুষের ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ও ‘সহধর্মিনী’। উল্লেখ্য, মনুসংহিতাই একমাত্র ধর্মশাস্ত্র যেখানে এই বিখ্যাত কথা দুইটি অনুমোদন করা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই হিন্দুধর্মে বিবাহবিচ্ছেদ এবং বহুবিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এবার নারীদের স্বাতন্ত্রের কথায় আসা যাক। স্মর্তব্য, স্বাধীনতা মানে উচ্ছৃঙ্খলা নয়, স্বাতন্ত্র্য মানেই ঔদ্ধত্য নয়।
👉👉যে স্ত্রী দুঃশীলতা হেতু নিজে আত্মরক্ষায় যত্নবতী না হয়, তাকে পুরুষগণ ঘরে আটকে রাখলেও সে ‘অরক্ষিতা’ থাকে। কিন্তু যারা সর্বদা আপনা-আপনি আত্মরক্ষায় তৎপর, তাদের কেউ রক্ষা না করলেও তারা ‘সুরক্ষিতা’ হয়ে থাকে। তাই স্ত্রীলোকদের আটকে রাখা নিষ্ফল। স্ত্রীজাতির নিরাপত্তা প্রধানত তাদের নিজস্ব সামর্থ্য ও মনোভাবের উপর নির্ভরশীল।”
(মনুসংহিতা ৯/১২)
এই শ্লোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, নিরাপত্তার নামে নারীকে ঘরে আটকে রাখা নিষ্ফল। বিপরীতক্রমে তাকে নিরাপদ রাখতে হলে তাকে অধিকার দিতে হবে এবং সঠিক শিক্ষা-দীক্ষা প্রদান করতে হবে। নারীর সামর্থ্য ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করতে হবে, মানবিক বিকাশ সাধনে তৎপর হতে হবে, যার ফলশ্রুতিতে তারা যেন আত্মরক্ষায় তৎপর থাকেন, নিজেদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। নারী জাতি সম্পর্কে এই হলো মহর্ষি মনুর মতাদর্শ।এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় যে আমাদের গৌরবের এমন ইতিহাসের ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও আমাদের নারীরা চার দেয়ালের মাঝে অত্যাচারিত হয় নয়তো লম্পটের লালসার স্বীকার হয়। আমরা যদি আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রম রক্ষার দ্বায়িত নেবার পরিবর্তে আমরাই যদি নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি অথবা আক্রমণকারীদের প্রতিহত না করি তাহলে আমাদেরকে সাহায্য করতে আসবে!
👉👉নারী অপহরণকারীদের মৃত্যুদণ্ড হবে।”
(মনুসংহিতা ৮/৩২৩)
👉👉যারা নারী, শিশু ও গুণবান পণ্ডিতদের হত্যা করে, তাদের কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে।”
(মনুসংহিতা ৯/২৩২)
👉👉যারা নারীদের ধর্ষণ করে বা উত্যক্ত করে বা তাদের ব্যাভিচারে প্ররোচিত করে তাদের এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে তা অন্যদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে এবং কেউ তা করতে আর সাহস না পায়।”
(মনুসংহিতা ৮/৩৫২)
ইভটিজিং এখন প্রধান একটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে, যার বিরুদ্ধে কঠোর কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেই। কিন্তু ইভটিজিং, অপহরণ ও ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান কিন্তু সেই মনুর যুগ থেকেই প্রচলিত ছিল।
👉👉যদি কেউ মা, স্ত্রী বা কন্যার নামে মিথ্যা দোষারোপ করে তবে তাকে শাস্তি দিতে হবে।”
(মনুসংহিতা ৮/২৭৫)
অথচ নারীকে এই মিথ্যা দোষারোপ করেই প্রতিবছর হাজার হাজার নারীকে ‘অনার কিলিং’ করা হয়। অর্থাৎ হিন্দুধর্মের বিপরীত বিধানও অনেক সমাজে প্রচলিত আছে।
👉👉যদি কেউ কোন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া মা, বাবা, স্ত্রী বা সন্তান ত্যাগ করে, তাকে কঠিন দণ্ড দিতে হবে।”
(মনুসংহিতা ৮/৩৮৯)
👉👉যদি কোন নারীকে সুরক্ষা দেবার জন্য পুত্র বা কোন পুরুষ পরিবারে না থাকে, অথবা যদি সে বিধবা হয়ে থাকে, যে অসুস্থ অথবা যার স্বামী বিদেশে গেছে, তাহলে রাজা তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। যদি তার সম্পত্তি তার কোন বন্ধু বা আত্মীয় হরণ করে, তাহলে রাজা দোষীদের কঠোর শাস্তি দেবেন এবং সম্পত্তি ঐ নারীকে ফেরত দেবেন।”
(মনুসংহিতা ৮/২৮-২৯)
👉👉নববিবাহিতা বধূ, কন্যা এবং গর্ভবতী মহিলাদের অতিথি ভোজনের পূর্বেই ভোজন প্রদান করতে হবে।”
(মনুসংহিতা ৩/১১৪)
👉👉বাহনে বা যানে আরোহী ব্যক্তির পক্ষে বয়স্ক ব্যক্তি, ক্লান্ত ব্যক্তি, ভারবাহী ব্যক্তি, বর, রাজা, স্নাতক এবং স্ত্রীলোকদের পথ ছেড়ে দেয়া কর্তব্য।”
(মনুসংহিতা ২/১৩৮)
👉👉 অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায়, স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনায়, আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন, পুষ্টি এবং গৃহের সকল প্রকার ব্যবস্থাপনায় নারীদের স্বায়ত্তশাসন ও কর্তৃত্ব প্রদান করতে হবে।
(মনু স্মৃতি: ৯.১১)
এই শ্লোকের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, যারা মনে করত যে কোনো বৈদিক ধর্মকর্ম নারীরা করতে পারবে না তা সম্পূর্ণ ভুল ও মিথ্যা ধারণা পোষণকারী। উপরন্তু নারী পুরুষ উভয়কেই এই ধর্মীয়নুষ্ঠান পালন করতে হবে। তাই যারা দাবি করে অথবা পরামর্শ দেয় যে নারীদের বেদ অধ্যায়ন ও চর্চা করার অধিকার নেই তারা মনু ও বেদ বিরোধী। এই ধরনের অন্ধ গোঁড়ারা জাতীর দুঃখ দুর্দশার কারণ। তাই আমরা এই ধরনের মনোভাবকে কখনোই প্রশয় দেব না যা নারীদের হেয় করে।
👉👉 এমনকি দুর্বল স্বামীকেও তার স্ত্রীকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে।
(মনু স্মৃতি: ৯.৬)
👉👉নারী সর্বদা সকল প্রকার অসচ্চরিত্রতা, অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবে। কারণ নারী যখন চরিত্র হারায় তখন পুরো সমাজ ধ্বংস হয়ে যায়।
(মনু স্মৃতি: ৯.৫)
👉👉 একজন নারীকে সর্বদা নিশ্চিত হতে হবে যে সে নিরাপদে আছে। তাকে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদান করার দ্বায়িত তার পিতা, স্বামী ও পুত্রের উপর বর্তায়।(মনু স্মৃতি: ৫.১৪৯)
লক্ষ্য করে দেখুন এখানে নিরাপত্তা বলতে কিন্তু বন্দি বা চার দেয়ালের মাঝে আবদ্ধ করে রাখার কথা বলা হচ্ছে না।
👉👉 কোনো অযোগ্য ব্যক্তির কাছে জোরপূর্বক বিবাহ না দিয়ে বরং কন্যাকে অবিবাহিত রাখাই শ্রেয়।(মনু স্মৃতি: ৯.৯৮)
👉👉প্রাপ্তবয়ষ্ক হবার পরে নারী তার নিজের জীবন সঙ্গী নিজে পছন্দ করে বেছে নিতে পারবে। যদি তার পিতা-মাতা তার জন্য যোগ্য পাত্র সন্ধানে ব্যর্থ হয় তাহলে সে নিজেই নিজের পাত্র বেছে নেবে। তাই কন্যার জীবন সঙ্গী নির্ধারণ করবে তার পিতামাতা এই ধারণা মনু বিরুদ্ধ, একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক নারীর পূর্ণ অধিকার রয়েছে তার জীবনসঙ্গী বেছে নেবার। পিতামাতা বিবাহের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী নয়।
(মনু স্মৃতি: ৯.৯০-৯১)
👉👉 একজন কন্যা একজন পুত্রের সমতুল্য। তার বর্তমানে কিভাবে সম্পত্তির উপর তার অধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে।
(মনু স্মৃতি: ৯.১৩০)
👉👉মায়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর কেবল শুধুমাত্র কন্যারই অধিকার আছে।
(মনু স্মৃতি: ৯.১৩১)
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, মনুর মতে একজন কন্যার পিতার সম্পত্তির উপর তার ভাইয়ের মতো সমান অধিকার আছে এবং তার মায়ের সম্পত্তির উপর শুধুমাত্র তারই অধিকার আছে অন্য কারো নয়।
নারীর প্রতি এই বিশেষ ব্যবস্থার কারণ হচ্ছে যাতে করে নারী কোনো অবস্থায় অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সুখী আলোকিত নারীকূলই সুখী সমাজের ভিত্তি গড়ে দেয়।
👉👉 যদি কোনো ব্যাক্তির স্ত্রী অথবা সন্তান না থাকে তাহলে তার সম্পত্তি তার ভাই-বোনদের মাঝে সমান ভাগে ভাগ করে দেবে। যদি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা তার ভাই বোনদের মাঝে প্রাপ্য অংশ প্রদান করতে অস্বীকৃত জানায় তাহলে আইন অনুযায়ী সে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।
নারীর সুরক্ষা বিধান নিশ্চিত করার জন্য মনু আরও কঠোরতর শাস্তি বিধানের পরামর্শ দিয়েছেন তাদের উপর যারা নারীর সম্পত্তি হনন করার চেষ্টা করবে, এমনিকি সে তাহার নিকট আত্মীয় হলেও তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
(মনু স্মৃতি: ৯.২১২-২১৩)
এই মানবিক ভদ্রতা জ্ঞানটুকু আর কোন শাস্ত্রে আছে? Ladies First তত্ত্বটা কিন্তু তাহলে বিদেশী নয়, বরং ভারতীয় রীতি বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
ভেবে দেখুন, পথে-ঘাটে যত অনাথ শিশু দেখেন, যত নিশিকন্যা দেখেন, যত পিতৃ-মাতৃতুল্য বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাকে হাত পেতে ভিক্ষা করতে দেখেন, তাদের মাঝে কতজনকে আপনি হিন্দু দেখেছেন? হিন্দুদের মানবিক মূল্যবোধ অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয় কি? নিজেই বিচার করুন।
জয় সনাতন 🙏🙏🙏