শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭

ইমামবাড়া


ইমামবাড়া



ইমামবাড়া।
বিশেষত মুসলমান শিয়া সম্প্রদায়ের,  মহরম অনুষ্ঠানের জন্য, ধর্মগৃহ !
ওখানে, তাজিয়া রাখা হয় !
ইমাম বাড়া। আরবি শব্দ।
বাংলায়, ইমামবাড়ি।
যে বাড়িতে, মহরম পর্ব, অর্থাৎ, কারবালার যুদ্ধ এবং হাসান-হোসেনের, সেই যুদ্ধে দেহ অবসানের, বিষণ্ণ উৎসব, অনুষ্ঠিত হয় !

হুগলিতে একটি ইমামবাড়া আছে !
ওটি 'শিয়া' গোষ্ঠীর অন্তভুক্ত !

তাজিয়া।
ইরাকের কারবালা নামক স্থানে, হাসান-হোসেনের যে সমাধিমন্দির আছে, তার প্রতিমা, গোঁয়ারা !

কারবালা।
বর্তমানে ইরাক দেশের অন্তর্গত, একটি শহর।
কারবালা, বা্গদাদের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
এখনকার কারবেলা, ইরাকের, কারবালা প্রদেশের রাজধানী।

মহরমের সময় শিয়া মুসলমানেরা তাজিয়া নিয়ে শোভাযাত্র বের করেন !

সুন্নি মুসলমানেরা, আমাদের হিন্দুরের মতো, রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, তাজিয়ার সেই শোভাযাত্রা দেখেন !

তাজিয়া।
'তাজিয়হ্', এই আরবি শব্দ থেকে এসেছে !

খতবা


খতবা



প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে নামাজে, বা ইদের নামাজে, ইমাম, অর্থাৎ, নামাজ পরিচালকের ভাষণ শুনতে হয় !

সেই ভাষণে, ইসলাম ধর্মের বিধিনিষেধ ইত্যাদি, স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় !

তা ছাড়া, হজরত মোহাম্মদ ও অন্যান্য মুসলমান ধর্মনেতাদের প্রতি, আনুগত্য স্বীকার করিয়ে নেওয়া হয় !

আল্লাহ'র কাছে, প্রার্থনাও জানানো হয় !

কি প্রার্থনা জানানো হয়, তা আমি জানি না, কেননা আমি মুসলমান নই, আর 'আরবি'তে প্রার্থনা জানালে, আমি তার অর্থও বুঝি না !

তবে, ফুল বেলপাতা তেজপাতা দুর্বোঘাসপাতা ইত্যাদি ছোঁড়া হয় না !

মন্ত্রও পড়া হয় না !

ওদের ইমামদের পৈতে থাকে না !

তবে মাথায় বিশেষ ধরণের টুপি থাকে !


ইমাম।
মুসলমানদের ধর্মনেতা বা ধর্মগুরু !

মুসলমানদের ধর্মগুরু থাকলেও, মুসলমানদের ধর্মশিষ্য থাকে না !

পর্যবেক্ষণ


পর্যবেক্ষণ



আমার পর্যবেক্ষণ এবং বীক্ষণ, সুন্নি সম্প্রদায়ের মোল্লারা, তাদের সম্প্রদায়ের লোকেদের, জানতেই দেয় না, যে, মুসলমানদের মধ্যে,আরেকটি সম্প্রদায়, 'শিয়া' সম্প্রদায়, আছে !
শিয়া সম্প্রদায় নাকি,সুন্নিদের পক্ষে, খতরনাক ! ক্ষতিকারক !
যদিও, দুটি সম্প্রদায়ে কাছে, তাদের সেই একই 'আল্লা' !

মোল্লা।
মুসলমান পণ্ডিত। পুরোহিত। বা ব্যবস্থাপক।
আবার পণ্ডিত মুসলমানের উপাধিবিশেষ।
যেমন, মোল্লা নাসিরুদ্দিন !

বাংলায়, 'মোল্লা' শব্দটা এসেছে, তুরকি ( তুরস্কের ) ভাষায়, 'মল্লা' শব্দটি থেকে !

আটকৌড়ে


আটকৌড়ে



আটকৌড়ে !

শিশুর জন্মের অষ্টম দিনে, অাট রকমের কড়াইভাজার জলপান !

শিশু খায় না !
খেতে পারে না !
খাওয়ার ক্ষমতাও নেই !

ধাড়িরা খায় !
চিবিয়ে চিবিয়ে, কটমট কটমট আওয়াজ তুলে খায় !
আর ঢোল বাজায় !