সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

মশক




মশক


মশক।
মশা।
মশ।
কীট বিশেষ।
মশ্ ( শব্দ করা ) + যথাক্রমে অন্ ও অক কর্তৃ । বি. পু।


মশার উল্লেখ আছে

শক্লযজুর্বেদে  ২৪.২৯ ।

পাণিনী  ২. ১. ৪৮। উদুম্বরমশক। স্থূল মশক ।

মনু  ১. ৪০ ।



'সর্ব্বং খলস্য চরিতং মশকঃ করোতি' ! হিতোপদেশ। ১. ৮২ । তারাকুমার কবিরত্ন। পরিশোধিত সংবং  ১২৪৫।



*  সূত্র  'বঙ্গীয় শব্দকোষ', পৃষ্ঠা  ১৭৪১।
*  সুত্র  ''সরল বাঙ্গালা অভিধান', সুবলচন্দ্র মিত্র সংকলিত। পৃষ্ঠা  ১০২৭।

পর্ব পার্বণ পরব

পর্ব পার্বণ পরব


পর্ব।
দেবতার পূজা,  বা শাস্ত্রে বর্ণিত ধর্ম আচরণের জন্য,  নির্দিষ্ট দিন।

ওটাকেই বলা হয়, পার্বণ।

পরব।
সামাজিক বা ধর্মীয় উৎসব।

সংক্রান্তি তিথি
অষ্টমী তিথি
চতুর্দশী তিথি
পূর্ণিমা তিথি
অমাবস্যা তিথি  ইত্যাদির প্রতিপালনও পার্বণ।

তবে আজকাল, পর্ব পার্বণ পরব ইত্যাদি শব্দগুলি, মোটামুটিভাবে সমার্থবাচক শব্দে পরিণত হয়েছে।

এখন হিন্দুধর্মের সৎ আচরণ পালনে, তুলনামূলকভাবে,অনীহা দেখা যাচ্ছে।

হিন্দুধর্মের শিষ্টাচার, এখন কেবলমাত্র. সামাজিক এবং ধর্মীয় উৎসবে পরিণত  হয়েছে।

আঙটিসম্রাট




আঙটিসম্রাট


আমার পরিচিত একজন আঙটিসম্রাট ছিলেন !

আমি যখন তাঁকে প্রথম দেখি, তখন তিনি, নৈহাটি শহরের সাব-পোস্টাফিসে 'আউট-ডোরে'র কাজ করতেন !

তাঁর দুই হাতের সব আঙুলে ছিল গাদাগাদা আঙটিধারণ !

সোনার আঙটি। রূপোর আঙটি। পেতলের আঙটি। তামার আঙটি। সেগুলোতে সব দামি দামি 'পাথর' বসানো ! আর বেশ ভারি ভারি !

আমার কাছে তাঁর নিজের নামের কোন গুরুত্বই ছিল না !

তিনি আমার কাছে ছিলেন কেবল আঙটিসম্রাট !

আঙটি, আঙুলে অলঙ্কাররূপে পরা হয়, এমন বলয় !

তবে, আঙটিসম্রাটের আঙটিগুলো ছিল, বলতে পারেন, অলঙ্কারের বাইরেও, অলঙ্কারের চেয়েও, অনেক বেশি !

আঙটিসম্রাট, আঙটিগুলো,  তুকতাক, বশীকরণ, আর তাঁর নিজের ভালো এবং মঙ্গলকামনায় পরত !

আঙটি। অঙ্গুরীব।আংটি।

এই আঙটিসম্রাট, একদিন মালগাড়ির তলা দিয়ে লাইন পেরোতে গিয়ে, মালগাড়ির চাকায় চাকায় পিষ্ট হয়ে, অমানুষিক কষ্ট স্বীকার করে, কাটা পড়লেন !

রেল পুলিশের,  আঙটিসম্রাটের 'লাশ',  'লাশকাটাঘরে' নেবার পথে,  এবং,  মড়িঘরে',   যে ঘরে, লাশ কেটে, 'শবব্যবচ্ছেদ' করা হয়, আঙটিসম্রাটের দুই হাতের সমস্ত আঙুলের, সমস্ত  দামি দামি আঙটিগুলো,  'খোয়া' গিয়েছিল !

গার্হস্থ্য আশ্রমে



গার্হস্থ্য আশ্রমে


গার্হস্থ্য বা গার্হস্থ বলতে বোঝায় গৃহস্থাশ্রম। গৃহস্থ জীবন।

আশ্রম অর্থাৎ সংসার ত্যাগী সাধু বা তপস্বিদের আবাস। শাস্ত্রচর্চার বা সাধনার স্থান। মঠ।

সৎসঙ্গ, সাধু লোকের বা ভালো লোকের সঙ্গ বা সাহচর্য।

গার্হস্থ্য আশ্রমে, সৎসঙ্গের, স্ত্রীসংসর্গের নিয়ম আছে।

স্ত্রীসংসর্গ অর্থাৎ, স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস। সংগম।


ঋতু শুরুর দিন থেকে, ঋতুর পঞ্চম দিন, অথবা, ঋতুর ষষ্ঠ দিন  থেকে,  ঋতুর একাদশ দিন পর্যন্ত, স্ত্রীসংসর্গ অর্থাৎ, স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস, সংগম-এর  প্রশস্ত সময়।

ঋতু, স্ত্রীলোকেদের মাসিক রজস্রাব। স্ত্রীরজ।

ঋতুমতী, রজস্বলা। যার ঋতুস্রাব হয়, এমন।

ঋতুস্নান, ঋতুমতী হওয়ার পর, চতুর্থ দিনের দিন, স্নান করার সংস্কার।


সুখসঙ্গম, ধীরে ধীরে, সময় বইয়ে, করা যায় বা দেওয়া যায়।

প্রয়োজনে, প্রত্যাহার,
এবং অথবা, কুম্ভক, করা যায়।

সাবধানে চলা ভালো।




*  সূত্র :  শ্রীশ্রীগোস্বামীপ্রভুর মন্ত্রশিষ্য বরিশাল নিবাসী, প্রয়াত রসিকচন্দ্র রায়ের ডাইরী। 'মন্দির' পত্রিকা, পৌষ  ১৪১৬।