শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০

ঈশ্বর দেবতা ভগবান ও লেখক

 ঈশ্বর দেবতা ভগবান ও লেখক



আমরা সনাতন ধর্মের অনেক মানুষ আছি যারা আজও পর্যন্ত ঈশ্বর দেবতা ও ভগবানকে এক বলে মনে করে থাকি । কিন্তু আমাদের সেই ধারণাটা কতটা সঠিক বা ভুল তা আজ জেনে নেওয়া যাক, আসুন দেখে নেবো শাস্ত্র কি বলছে -
ঈশ্বর ::: যাহার গুণ, কর্ম ও স্বরূপ একমাত্র সত্য, যিনি চেতন মাত্র বস্তু তথা যিনি অদ্বিতীয়, সর্বশক্তিমান, নিরাকার, সর্বব্যাপক, অনাদি এবং অনন্ত আদি সত্য গুণ যুক্ত, যিনি স্বভাবত অবিনাশী, জ্ঞানী, আনন্দময়, শুদ্ধ, ন্যায়কারী, দয়ালু এবং জন্মরহিত, জগতের উৎপত্তি, স্থিতি ও প্রলয় তথা সর্ব জীবের পাপ পুণ্যের যথাযথ ফল দান করা যাহার স্বাভাবিক কর্ম তিঁনি ঈশ্বর । প্রমান স্বরূপ যজুর্বেদ - ৪০/৮ মন্ত্র , অথৰ্ববেদ - ১৩/৪/২ মন্ত্র , এমনকি ঈশ্বরের যে কোনো প্রতিকৃতি বা মূর্তি নেই তা যজুর্বেদ - ৩২/৩ মন্ত্রে উল্লেখ হয়েছে ।
আবার গীতার - ১৩/১৫ শ্লোকে বলছে -
সর্বেন্দ্রিয়গুণাভাসং সর্বেন্দ্রিয়বিবর্জিতম্ ৷
অসক্তং সর্বভৃচ্চৈব নির্গুণং গুণভোক্তৃ চ ৷৷
অর্থ : সেই পরমাত্মা সমস্ত ইন্দ্রিয়ের প্রকাশক তথাপি তিঁনি সমস্ত ইন্দ্রিয় বিবর্জিত , যদিও তিঁনি সকলের পালক তথাপি তিঁনি সম্পূর্ণ অনাসক্ত , তিঁনি জড়া প্রকৃতির গুণের অতীত তথাপি তিঁনি সমস্ত গুণের ঈশ্বর ।
আবার গীতার - ১৩/১৮ শ্লোকে বলছে -
জ্যোতিষামপি তজ্জ্যোতিস্তমসঃ পরমুচ্যতে ৷
জ্ঞানং জ্ঞেয়ং জ্ঞানগম্যং হৃদি সর্বস্য বিষ্ঠিতম্ ৷৷
অর্থ : "তিনি (পরমাত্মা ) সকল জ্যোতির স্বরূপ, তিনি তমসার অতীত, তিনি জ্ঞান ,আবার তিনিই জ্ঞেয়, তিনিই জ্ঞানগম্য তিনিই সকলের হৃদয়ের মধ্য স্থলে আছেন।"

দেবতা ::: দেবতার অর্থ হল -যার দিব্য গুণ আছে এবং যার দিব্য গুণের দ্বারা এই জীব জগৎ চলছে তাকেই দেবতা বলে , অর্থাৎ পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু, সূর্য্য প্রভৃতি এই ভাবে মোট ৩৩ টি দেবতা আছে যথা - ৮ বসু , ১১ রুদ্র , ১২ আদিত্য , ইন্দ্র ও প্রজাপতি , এর মধ্যে ৩২ টি জড় দেবতা ও ১ টি চেতন ( জীবাত্মা ) দেবতা । প্রমান স্বরূপ যজুর্বেদ - ১৪/৩১ মন্ত্র এবং শতপথ ব্রাহ্মণ - ১৪/৫ শ্লোক

শেয়ার করেছেন : - প্রণব কুমার কুণ্ডূ






















প্রণব কুমার কুণ্ডূ

ওপরের লেখায়, সংশোধন এইরকম হতে পারে : - ৩৩টির মধ্যে '২৩'টি জড় দেবতা ! ১০টি চেতন দেবতা ! লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন !






ভগবান ::: ভজ সেবায়াম এই ধাতুর সাথে বতুপ প্রত্যয় যোগে ভগবান শব্দ হয়েছে ,বিশ্ব ব্ৰহ্মান্ডে যার সমান ভজনা করার মত কেহই নাই তিনি ভগবান । ৬ টি গুণ থাকলে ভগবান হওয়া যায়, যথা - ঐশ্বর্য্য, ধর্ম, যশ, শ্রী, বৈরাগ্য, এবং মোক্ষ লাভের ইচ্ছা । এই ৬ টি গুণের অধিকারী যে কোনো ব্যক্তি অর্থাৎ আপনি আমি যে কেউ "ভগবান" হতে পারি । আবার পরমাত্মাকেও ভগবান বলা যেতে পারে।
তাহলে আশা করছি বোঝা গেছে যে ঈশ্বর, দেবতা ও ভগবান সব আলাদা আলাদা কেহই এক নয় ।
ফটোর কোনো বর্ণনা নেই।
10
লাইক করুন
কমেন্ট করুন
শেয়ার করুন

ইউবিআই ব্যাঙ্ক, নৈহাটি শাখা

 ইউবিআই ব্যাঙ্ক, নৈহাটি শাখা



প্রণব কুমার কুণ্ডূ






প্রণব কুমার কুণ্ডূ


করোনা আবহের মধ্যেই, নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ইউবিআই ব্যাঙ্কে গেলাম, গত ৩০/০৯/২০২০।


গেটের, গেটম্যান, বল্ল, হাত পাতুন !


হাত পাতলুম।

কিন্তু কেন ? হাতে থুতু দিয়ে দেবেনা তো !


দেখলাম, একটা হাতপাত্র থেকে, পাম্প করে জলের মতো কিছু একটা, বেশ কিছুটা, আমার দুই হাতের তালুতে দিয়ে একদম ভিজিয়ে দিল।

জিজ্ঞাসা করলাম, কি দিলেন ?

কথা বললো না !

দেখলাম, আমার দুই হাতের তালু জলে থৈ থৈ।

বল্লাম, হাত মুছব, একটা কিছু দিন।

'কিছু নেই' জবাব দিল।

কেন ব্যাঙ্ক হাত মোছার জন্য, টাউয়েল রাখে না?


জবাবে আমাকে যা বল্ল, তাতে  ভদ্রভাষায় গালাগালি দেওয়া হয়। ভদ্রলোক চেঁচামেচি করতে লাগল। ব্যাঙ্কের অন্যান্য গ্রাহকদের জড়ো করে আমাকে গালমন্দ দিতে লাগল। ভদ্রলোক কিন্তু তার পরিচিতি আমাকে দিলেন না !

তবে আমি যা বুঝলাম,তাতে তিনি ঐ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার নন, দারোয়ান নন বা পাহারাদার নন, অথবা অন্য কোন স্ট্যাফও নন !

তাই আমার মনে হল, উনি ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের নৈহাটি শাখা নিয়োজিত হয়তো একজন ডেসপ্যারেট মানুষ !

আমার আরো মনে হয়েছে, যে তরলটি হাতে দেওয়া হচ্ছে, তা জলভেজাল দেওয়া কোন তরল !