সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮

শূন্য


   শূন্য


   ফেসবুক থেকে        শেয়ার করেছেন           প্রণব কুমার কুণ্ডু



ভারত থেকে বহির্বিশ্বে শূন্যের চলন

ভারতীয় গণিতের এই রত্নখনির সন্ধান পেয়েছিল আরবেরা। পারস্যদেশের খলিফাদের রাজসভার সভাপণ্ডিত গণিতজ্ঞদের হাতে অনুদিত হয়ে টিকে গিয়েছিল এই প্রাচীন সভ্যতার গণিত-জ্ঞানভাণ্ডার। পরবর্তী সময়ে নবজাগরণের সূচনায় ল্যাটিনে অনুবাদ হয়ে এই শূন্যসহ দশমিক সংখ্যাতন্ত্র ক্রমশ প্রবেশ করেছিল ইউরোপে। সে যাত্রাপথ খুব মসৃণ ছিল, এমনটা নয়। এই কারনেই ইউরোপে এই সেদিন পর্যন্ত এইসব সংখ্যাচিহ্নদের বলত আরবিক সংখ্যাচিহ্ন। এখন অবশ্য সেই ভুল আর কেউ করেনা। ভারতের অবদান স্বীকার করে এর নতুন নাম হয়েছে হিন্দু-আরবিয় সংখ্যাচিহ্ন।
প্রাচীন ভারতে গাণিতিক শূন্যের সবচেয়ে চালু নাম ছিল ‘খ’, অর্থাৎ আকাশ অথবা গগন, অন্তরীক্ষ বা জলধরপথ, ইত্যাদি কত বিচিত্র প্রতিশব্দ – পরিভাষায় যাদের বলে ‘ভূতসংখ্যা’ (word numerals)। কেমন ছিল ভারতীয় শূন্যের আদি চেহারা? বরাহমিহিরের ‘সূর্যসিদ্ধান্তে’ বা সুবন্ধুর নাটক ‘বাসবদত্তায়’ রয়েছে শূন্যকে বিন্দুর সঙ্গে তুলনা (শূন্যবিন্দবহ্), অমরকোষের কোষকার অমরসিংহ বলেছেন, শূন্য হলো ফাঁকা, তুচ্ছ বা রিক্তক। কেউ এর নাম দিয়েছেন ‘ছিদ্র’। অন্যত্র পাওয়া যায় ‘রন্ধ্র’। নাম-মাহাত্ম্য থেকে এর আকৃতির গোল ছাঁচ সহজেই অনুমেয়। তবে শুরুতে সম্ভবত গোলের ভেতরটা ফাঁকা থাকত না, ভরাট করে দেওয়া হত। পরে কোন এক সময় থেকে, হয়ত বা সময় বাঁচাতেই সেই প্রথা উঠে যায়।
শূন্যের লিখিত প্রমান – যা পাওয়া যায়
এই ভরাট শূন্যকে লিখিত আকারে দেখা যায় বার্চ গাছের ছালে লেখা বকশালি পান্ডুলিপিতে, বর্তমানে অক্সফোর্ডের এক বিশেষ পাঠাগারে যা সংরক্ষিত রয়েছে। এর রচনার সময়কাল নিয়েও যথারীতি নানা মুনির নানা মত। কেউ একে দ্বিতীয় শতকে লেখা বলেন, তো কেউ বলেন একেবারে দ্বাদশ শতকে, অন্য অনেকে আবার এর মাঝামাঝি কোথাও। এদিকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ঘোষিত এক রেডিও-কার্বন পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী এটা নাকি কোন এক বিশেষ সময়ের রচনা নয়। সব মিলিয়ে এই বিতর্ক এখন জমজমাট।
বকশালি পান্ডুলিপিতে শূন্য
পাথরে খোদাই করা প্রাচীনতম শূন্য সংখ্যা দেখতে হলে যেতে হবে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র দুর্গে। সেখানকার চতুর্ভুজ বিষ্ণু মন্দিরের উৎকীর্ণ শিলালিপিতে দেখা যায় নবম শতাব্দীর কোন এক রাজা ভোজদেব ওই মন্দির সংলগ্ন একখণ্ড জমি দেবত্র করেছেন। যেখানে ফুলের চাষ হবে, সেই ফুল উৎসর্গ হবে ভগবান বিষ্ণুর পূজায়। জমির মাপ বোঝাতে গুপ্ত যুগের নাগরি লিপিতে লেখা ২৭০ হস্ত দৈর্ঘ্য ও ৫০ হস্ত প্রস্থের কথা, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আমাদের জানা আধুনিক শূন্যের বর্তমান চেহারার সবচেয়ে প্রাচীন লিখিত লিপির নিদর্শন। বর্তমান চেহারার লিখিত শূন্য আরও অনেক আছে, তবে তা তাম্রপত্রে খোদাই করা এবং এদের সময়কাল অপেক্ষাকৃত বেশী পুরানো হলেও এগুলোর সময়কালের দাবীর সত্যতা নিয়ে পণ্ডিতেরা একমত নন।
শূন্য থেকে জিরো
বস্তুত শুধুমাত্র ভারতীয় প্রসঙ্গে শূন্যকে সব দিক থেকে দেখাতে হলে যা লিখতে হবে, তা একটা গোটা বইয়ের উপজীব্য হতে পারে। সংস্কৃত শব্দ ‘শূন্য’ এসেছে শুনা (+যৎ প্রত্যয়) থেকে, যা মূল ধাতু ‘শ্বি’- এর পুরাঘটিত অতীত রূপ। মূল ধাতুর প্রত্যক্ষ অর্থ ছিল ‘ফুলে ওঠা ফাঁপা গহ্বর’, যে অর্থে ‘শুনম্’ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে ঋগ্বেদে, নিহত পশুদের পচনশীল ফুলে ওঠা দেহাবশেষের বর্ণনায়। সময়ের সাথে এর অর্থ বিস্তারিত হয়েছে ‘অভাব’ বোঝাতে – এমন কিছু, যা থাকার কথা ছিল কিন্তু বাস্তবে নেই! ভাষা বিজ্ঞানীরা বলেন ‘সেমান্টিক এক্সটেন্সন’। এই না থাকা, অর্থাৎ ‘নেই’, যতটা নঞর্থক, ততটাই অস্ত্যর্থক – আপাত অভাব যেন অসীম সম্ভাবনার উদ্ভাসের প্রতিক্ষায় উন্মুখ তাকে বরণ করে নিতে – যেমনটা হয় মাতৃগর্ভের শূন্যতা।
লিবের আবাচির একটি আধুনিক সংস্করন
আরবদের অনুবাদ ‘শূন্য’ শব্দের এই দার্শনিক দ্যোতনাকে ধরতে পারেনি – ভারতীয় দর্শনের আত্মার সন্ধান ছাড়া তা ধরা সম্ভবও ছিলনা। তাই আরবিয় আক্ষরিক অনুবাদে ‘শূন্য’ হয়েছিল ‘সিফ্র’ (sfr), যা শুধুই অভাব বোধের নঞর্থক প্রতিধ্বনি। পরবর্তী সময়ে ল্যাটিন অনুবাদকদের হাতে পড়ে বদলাতে বদলাতে এর নাম দাঁড়ায় সিফ্রা, সিফ্রে, জিফ্রা, জাইফ্রা ইত্যাদি নানান রকম। ইতালির পিসা অঞ্চলের ব্যবসায়ী বোনাচ্চিওর গণিতজ্ঞ ছেলে লিওনার্দো, যিনি গণিত জগতে ফিবনাচ্চি নামেই বেশী পরিচিত, তিনি ছোটবেলায় আফ্রিকার আরব উপনিবেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন ব্যবসায়ী বাবার সঙ্গে। সেখানেই আরবদের কাছে তাঁর এই সংখ্যা পদ্ধতিতে হাতেখড়ি, সঙ্গে শেখা মাত্র দশটা সংখ্যাচিহ্ন ব্যবহার করে যত বড় খুশি সংখ্যা লিখতে পারার দশমিক পদ্ধতি। বড় হয়ে ত্রয়োদশ শতকে তিনি যখন রচনা করলেন ‘লিবের আবাচি’ অর্থাৎ সংখ্যাদের বই, সেখানে তিনি বললেন আরবদের এই অসামান্য সংখ্যাতন্ত্রের কথা – তাঁর লেখনীতে জিফ্রা দাঁড়ালো ‘জেফিরাম’, ল্যাটিনে যার মানে ‘পশ্চিমের মলয় বাতাস’, খুবই হালকা, তুচ্ছ – প্রায় অনুভুতই হয় না এত মৃদু। এই জেফিরাম থেকে ভেনিসিয় কথ্য ভাষায় একদিন তৈরি হোল নতুন প্রতিশব্দ ‘জেফিরো’ – ক্রমশ ‘জেরো’, যার ইংরেজি তুতভাই হোল ‘জিরো’ – আমাদের আধুনিক শূন্য।
সংগৃহীত



রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় জগন্নাথদেবের বরফ-মূর্তি


 রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় জগন্নাথদেবের বরফ-মূর্তি


 ফেসবুক থেকে          শেয়ার করেছেন         প্রণব কুমার কুণ্ডু






Soumen Ghosh গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥

Sankar Majumdar

Jai Jagannath.

ইসলামের ঘরোয়া কাহিনি


 ইসলামের ঘরোয়া কাহিনি


ফেসবুক থেকে       শেয়ার করেছেন          প্রণব কুমার কুণ্ডু




Rupok Roy


ফাতেমার মৃত্যু ইসলামি অশান্তির এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ :

বাজারে, মুসলমানদের ওয়াজ মাহফিলের অডিও ভিডিওর কোনো অভাব নেই, সাধারণ লোকজন ইসলামের গোপন ইতিহাস জানে না ব'লে, হুজুরদের বলা ওয়াজ মাহফিলের বক্তৃতাকে সত্য বলে মনে করে, আর মনে করে ইসলাম হইলো গিয়া মহান ও শান্তির ধর্ম! কিন্তু আমার কানে যখন কোনো ওয়াজ মাহফিলের বক্তৃতা আসে, তখন বুঝতে পারি, যা বলছে তার প্রায় সবই মিথ্যা। তারপরও সেই মিথ্যাকে মুখ বন্ধ করে সহ্য করতে হয়। মুসলমানরা তাদের হিংস্রতা দিয়ে এই যে অমুসলিমদের মুখ বন্ধ রাখতে পেরেছে, এটাই হলো ইসলামের সবচেয়ে বড় শক্তি এবং ইসলামি আগ্রাসনের প্রধান ভিত্তি।

বাংলা এলাকায় সুন্নী মুসলমানদের সংখ্যা বেশি; কিন্তু এরা জানে না বা বোঝে না যে, এরা আসলে মুহম্মদের মেয়ে ফাতেমা এবং তার চাচা কাম স্বামী, আলী, যারা ছিলো মুহম্মদের অতি প্রিয়, তাদের বিরোধী শক্তির সমর্থক; কারণ, আলীর সমর্থকরাই শিয়া বলে পরিচিত এবং বাকি মুসলমানরা সুন্নী।

মুহম্মদ তার জীবদ্দশায় যে সন্ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলে, নিয়তির নির্মম পরিহাসে সেই সন্ত্রাসেরই বলি হয় মুহম্মদের সমগ্র পরিবার, যার প্রথম শিকার ছিলো মুহম্মদের মেয়ে ফাতেমা, মুসলমানরা যাকে আদর করে বলে মা ফাতেমা।

চাল-চুলোহীন দরিদ্র মুহম্মদ, তার ধোকাবাজির ইসলাম থিয়োরির মাধ্যমে, কিছু লোভী-লম্পট ও দরিদ্র বেদুইনকে, জিহাদ করলে গনিমতের মালের নামে ইহকালে নারী দেহ ভোগ ও পরাজিত অমুসলিমদের সম্পদ এবং পরকালে বেহেশতে ৭২ হুরকে অনন্তকাল ধরে দোচার ( প্রথম দুই বর্ণের স্থানান্তর হবে) লোভ দেখিয়ে, দলে টেনে একটি লুটেরা ও ডাকাত দল গঠন করে এবং তাদের লুঠপাট করা সম্পদের ২০% কমিশন খেয়ে আরবের এক শ্রেষ্ঠ ধনী এবং তার জিহাদী অনুসারীদের দ্বারা অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয়, কিন্তু মূর্খ মুহম্মদ তার এই অবৈধ সাম্রাজ্যের কোনো উত্তরাধিকারী নির্বাচন করে যায় নি, যার ফলে তার মৃত্যুর পর শুরু হয় ক্ষমতা নিয়ে কোন্দল, ষড়যন্ত্র ও দলাদলি, যার প্রথম শিকার হয় ফাতেমা।

মুহম্মদের মৃত্যুকে মহিমান্বিত করে তোলার জন্য মুসলমানরা যতই আষাঢ়ে গল্প বানাক না কেনো, প্রকৃত সত্য হচ্ছে- বিষে আক্রান্ত হয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগে মুহম্মদের মৃত্যু হয়; আর মুহম্মদের মৃত্যুর সাথে সাথে পরবর্তী খলিফা কে হবে, এই নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি শুরু হয় এবং সহজে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারায়, মুহম্মদের লাশ তিন দিন ধরে পড়ে থাকে; শেষ পর্যন্ত আবু বকর খলিফা নির্বাচিত হয় এবং আবু বকরের মেয়ে আয়েশার ঘরে মুহম্মদকে দাফন করা হয়।

আলী ছিলো মুহম্মদের ভাতিজা এবং ইসলামের পক্ষের একজন শক্তিশালী বীর। এর আগে মুহম্মদ তার চাচাতো বোন উম্মে হানি, যিনি আলীর নিজের বড় বোন এবং আবু তালিবের মেয়ে, মুহম্মদ তাকে বিয়ে করতে চাইলে, রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিয়ে প্রচলিত ছিলো না বলে আবু তালেব তা নাকচ করে দেয় এবং মুহম্মদের কুনজর উম্মে হানির থেকে সরানোর জন্য আবু তালিব তড়িঘড়ি করে দুই বারের বিধবা ৪০ বছর বয়স্কা খাদিজার সাথে মুহম্মদের বিয়ের প্রস্তাবকে স্বীকার করে নিয়ে খাদিজার সাথে মুহম্মদের বিয়ে ঘটিয়ে দেয়, ফলে আবু তালিব মুহম্মদের এক অপছন্দের ব্যক্তিতে পরিণত হয়।

এই আবু তালিবের উপর নীরব প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুহম্মদ, আলীকে তার নিজের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে এবং আলী যখন ইসলাম গ্রহণ করে, তখন তাকে নিজের হাতে রাখার জন্য প্রচলিত নীতি রীতিকে উপেক্ষা করে, স্বাভাবিক ভাবে পৃথিবীতে যা কোনো দিন ঘটে নি এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে না, তাই ঘটায়, চাচাতো ভাই আলীর সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়ে চাচা ভাতিজির পবিত্র সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রীর অশ্লীল যৌনসম্পর্কে রূপান্তরিত করে।

যা হোক, চাচাতো ভাই কাম জামাই, এই দুই দিক থেকেই আলী ছিলো মুহম্মদের পরিবারের খাস লোক, তাই আলীর এবং ফাতেমার আশা ছিলো, মুহম্মদের মৃত্যুর পর তারাই হবে ইসলামি সাম্রাজ্যের সর্ব ক্ষমতার অধিকারী এবং আলীই হবে খলিফা। কিন্তু অন্যদিকে আবু বকর, মুহম্মদের নবুয়তের শুরু থেকেই ছিলো মুহম্মদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং পরে নিজের বাচ্চা মেয়ে আয়েশাকে মুহম্মদের বিছানায় তুলে দিতে বাধ্য হয়ে হয় মুহম্মদের শ্বশুর; এছাড়াও মুহম্মদের ডাকাত বাহিনী, যাদেরকে মুসলমানরা ভালোবেসে বলে সাহাবী, তাদের মধ্যে আবু বকরই ছিলো সিনিয়র, তাই আবু বকর হয় মুহম্মদ পরবর্তী খলিফা এবং আলী ও ফাতেমা হয়ে যায় আবু বকরের শত্রু। শত্রুর সহজাত বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে ষড়যন্ত্র করা, আলী এবং ফাতেমাও তাই করছিলো আবু বকরের বিরুদ্ধে, এটা বুঝতে পেরে আলীকে শায়েস্তা করার জন্য আবু বকরের নির্দেশে উমর এবং তার অনুসারীরা হামলা করে আলীর বাড়িতে, আলীকে রক্ষা করতে তার সামনে দাঁড়ায় অন্তঃসত্ত্বা ফাতেমা; উমরের এক অনুসারী হামলা করে বসে ফাতেমার উপরই, সাথে সাথে ফাতেমার গর্ভপাত হয়ে যায় এবং তার উরু ভেঙ্গে যায়। এই ঘটনার পর আলীর পরিবার রাজশক্তির চক্ষুশূল হয়ে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করতে বাধ্য হয় এবং তিন মাস বিছানায় পড়ে থাকার পর শুকিয়ে হাড্ডিসার হয়ে ফাতেমার মৃত্যু হয়। ফাতেমার মৃত্যুর পর আবু বকরের ভয়ে কেউ তাকে দাফন করতে জানাজায় আসে নি, শেষে আলী এবং তার দু্ই ছেলে মিলে ফাতেমার দাফন করে।

অথচ এই সত্যকে চাপা দিয়ে মুসলমানরা ওয়াজে বলে- মৃত্যুর পূর্বে, নবী, ফাতেমাকে বলে গিয়েছিলো, তার অনুসারীদের মধ্যে পরকালে প্রথম যার সাথে সাক্ষাত হবে, সে হবে ফাতেমা। তাই একরাতে ফাতেমা বুঝতে পারে, তার পিতা অর্থাৎ মুহম্মদের সাথে তার সাক্ষাত আসন্ন, এরপর আলী ঘরে এলে ফাতেমা তাকে বলে আজ রাতে আমার মৃত্যু হবে, আমার মতো পর্দানশীল মহিলার লাশ অন্য কেউ দেখবে বা দাফন কালে স্পর্শ করবে, এটা হতে পারে না; তাই আপনি একাই আমার লাশ দাফন করবেন, এমনকি আমার মৃত্যুর পূর্বে আমার দুই ছেলেকেও আপনি ডাক দেবেন না; কারণ, তারা যদি জিজ্ঞেস করে, আমাদের ছেড়ে আপনি কোথায় যাচ্ছেন ? তাহলে তার জবাব আমি দিতে পারবো না। এরপর ফাতেমা মৃত্যু বরণ করে এবং আলী একাই তার লাশ দাফন করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঘটনা সম্পূর্ণ উল্টো, উমরের এক অনুসারী, ফাতেমার তলপেটে ও উরুতে আঘাত করলে ফাতেমার গর্ভপাত হয়ে যায় এবং সে অসুস্খ হয়ে শয্যাশায়ী হয় এবং আবু বকরের ভয়ে কেউ ফাতেমার জানাজায় না আসায় আলী ও তার নাবালক দুই ছেলে মিলে ফাতেমার দাফন সম্পন্ন করে, যেটা একটু আগেই বলেছি।

কিন্তু এত তাড়াতাড়ি ফাতেমার যে মরার শখ ছিলো না, তার প্রমান আছে ইসলামের ইতিহাসেই; কেননা, নবীর মৃত্যুর পর আবু বকর খলিফা হলে, ফাতেমা, একটি ফলের বাগান আবু বকরের কাছে চেয়েছিলো, যেটা ছিলো মুহম্মদের- গনিমতের মালের নামে দখল করা- ব্যক্তিগত সম্পত্তি; কিন্তু তার বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রের সংবাদ পেয়ে আবু বকর, আলী ও ফাতেমার উপর আবু বকর এতটাই ক্ষেপে ছিলো যে, নবীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও সে তা ফাতেমাকে দিতে অস্বীকার করে এবং বলে যে নবীদের কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকে না। এছাড়াও ফাতেমা যখন মৃত্যু হয়, তখন তার বয়স মাত্র ২৭ (৬০৫-৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ) এবং তার দুই ছেলে হাসান ( ৬২৪-৬৭০) ও হোসেনের (৬২৬-৬৮০) বয়স যথাক্রমে মাত্র ৮ ও ৬ বছর এবং তখন ফাতেমার স্বামী আলীর (৬০১-৬৬১) বয়স মাত্র ৩২ বছর; নিজের যুবক স্বামী এবং দুই শিশু পুত্রকে রেখে কোনো নারী কোনো অবস্থাতেই স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে স্বীকার করতে পারে না, তাছাড়া ইসলামের ইতিহাসে কারো স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করার নজিরও নেই। মুসলমানরা ওয়াজে যেভাবে ফাতেমার মৃত্যুকে বর্ণনা করে, তাতে মনে হয়ে পিতার সাথে দেখা করার জন্য ফাতেমা নিজের ইচ্ছাতেই মৃত্যু বরণ করেছে, কিন্তু বাস্তবে তার মৃত্যু স্বাভাবিকও ছিলো না, ছিলো অপঘাতে মৃত্যু, যার বর্ণনা দুইবার উপরে দিয়েছি।

যা হোক, আবু বকরের সাথে দ্বন্দ্বের ঘটনায় আয়েশাও শত্রু হয়ে যায় ফাতেমার, তাই ফাতেমার মৃত্যুর পর আয়েশাও তাকে আর দেখতে পর্যন্ত যায় নি।

এর আগে ফাতেমা ও আলীর সাথে আবু বকরের সম্পর্ক এমন তিক্ততার পর্যায়ে যায় যে নবীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি ‘ফদক’ (ফলের বাগান) কেড়ে নেয়া হয় ফাতেমা কাছ থেকে, যেটা উপরেও উল্লেখ করেছি। এই বাগানটি আসলে ছিল হিজাজের ইহুদীদের শমরুখ দূর্গ দ্বারা সংরক্ষিত যা ইহুদীদের থেকে নবীজি দখল করেছিলো। পরে এটি গণিমতের মাল হিসেবে নবী নিজের ভাগে নেয়। ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে পরে এটি কন্যা ফাতেমাকে দান করে নবী- এমনটাই দাবী হযরত ফাতেমার। কিন্তু সদ্য খলিফা নিযুক্ত হওয়া আবু বকর - নবীদের কোন উত্তোরাধিকার থাকে না- এই যুক্তিতে ফলের বাগানটি রাষ্ট্রয়ত্ব করে নেয়।

যা হোক, আবু বকর মারা যাওয়ার পর উমর এবং তার পরে ওসমান খলিফা হয় এবং শেষে হয় খলিফা হয় আলী। কিন্তু আবু বকরের মেয়ে হওয়ায় আয়েশার সাথে আলীর শত্রুতা শেষ হয় না, ইসলামি সম্রাজ্যের শাসন ক্ষমতা নিজের কব্জায় রাখার জন্য, আয়েশা, আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, এই যুদ্ধ ‘জামাল ই জঙ’ নামে পরিচিত এবং এতে প্রায় ৫০ হাজার মুসলমান মারা যায়। কথিত আছে, ‘জামাল ই জঙ’ বা উটের যুদ্ধে, যুদ্ধক্ষেত্রে রক্ত পড়ে পড়ে এত পিছলা হয়ে গিয়েছিলো যে, লোকজন তার উপর হেঁটে যেতে পারছিলো না।

এছাড়াও প্রচন্ড ক্ষমতালোভী আয়েসা বার বার বিদ্রোহের চক্রান্ত করতে থাকে । আলীর পর ইসলামি সম্রাজ্যের খলিফা হয় মুয়াবিয়া, খলিফা হয়েই আয়েশার ক্ষমতা লিপ্সাকে চিরতরে ধ্বংস করার জন্য মুয়াবিয়া এক প্ল্যান করে, শলা পরামর্শ বা সন্ধির জন্য আয়েশাকে মন্ত্রনায় ডেকে ঘরের মেঝেতে কূপ খুঁড়ে রাখে, সেই কুপে গাঁথা ছিল ধারালো তলোয়ার, কূপটি ছিলো কার্পেটে ঢাকা, আয়েসা ঘরে ঢুকতেই সেই কূপে পড়ে তার দেহ টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তারপর সেই লাশের টুকরাগুলো কোথাও নিয়ে গিয়ে মাটি চাপা দেয়, এজন্য আয়েশার কোনো কবর সৌদি আরবের কোথাও পাওয়া যায় না।

সব মিলিয়ে আয়েশা এক ভাগ্যহীনা নারীর নাম, যার ছয় বছর বয়সে ৫২ বছরের বুড়ার সাথে বিয়ে হয়েছে, ৯ বছর বয়সে ৫৫ বছরের সেই বুড়ো মুহম্মদের দ্বারা ধর্ষিতা হয়েছে। তারপর যখন তার ভরা যৌবন, সেই ১৮ বছর বয়সে সে বিধবা হয়েছে। এমনকি মুহম্মদ যেহেতু কোরানের আয়াত দিয়ে নবীর সকল স্ত্রীকে মুসলমানদের মা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে এবং নবীর মৃত্যুর পর তাদেরকে বিয়ে করা কোনো মুসলমানের জন্য জায়েজ নয় বলে ঘোষণা দিয়ে গেছে, সেহেতু আয়েশাকে কোনো মুসলমান বিয়ে করতে সাহস পায় নি, তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আয়েশাকে যৌন যন্ত্রণাময় এক বিধবার জীবন যাপন করে যেতে হয়েছে।

মুসলমানরা এসব ইতিহাসের কিছু না জেনে, নবীর প্রিয় স্ত্রীর নামে নিজেদের মেয়েদের নাম রাখে আয়েশা। কিন্তু তারা যদি আয়েশার জীবনের প্রকৃত ঘটনা জানতো, তাহলে তারা কখনোই নিজেদের মেয়েদের নাম আয়েশা তো রাখতে পারতোই না, এই নামটাকে ঘৃণা না করলেও এড়িয়ে চলতো। আয়েশার জীবনের প্রকৃত ঘটনা আমি জানি ব’লে, যখনই কোনো মুসলমান মেয়ের নাম শুনি আয়েশা, তখনই আমার মনে হয়, আয়েশার মতো দুর্ভাগ্যের জীবন যদি তোর হয়, তখন বুঝবি যন্ত্রণা কাকে বলে, আর নবীর স্ত্রীর নামে নাম রাখার মজা হাড়ে হাড়ে নয় কোষে কোষে টের পাবি।

একই কথা প্রযোজ্য ফাতেমার বেলায়ও। আগেই বলেছি ফাতেমার জীবনীকাল মাত্র ২৭ বছর। ফাতেমা যেহেতু ছিলো খাদিজার মেয়ে এবং খাদিজার যেহেতু ধন-সম্পদ ছিলো, সেহেতু ফাতেমার শৈশব কাল বেশ ভালোই কেটেছে, কিন্তু ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মুহম্মদ, মক্কা থেকে মদীনায় পালাতে বাধ্য হলে ফাতেমাও মদীনায় চলে যায়, সেখানে তাকে যথেষ্ট দারিদ্রতাকে ভোগ করতে হয়েছে; একটা হাদিসে পড়েছিলাম, ফাতেমা তার বাপ মুহম্মদকে বলছে, সে গত দুই দিন ধরে কিছু খায় নি, জবাবে মুহম্মদ বলছে, সে গত তিন দিন ধরে কিছু খায় নি। কিন্তু মদীনায় পলায়নের বছর খানেকের মধ্যেই মুহম্মদ তার ডাকাত বাহিনী গঠন করে কোরাইশদের বাণিজ্য কাফেলায় হামলা শুরু করে লুঠপাট করা আরম্ভ করে, এর ফলে মুহম্মদ ও মুসলমানদের দারিদ্রতা দূর হতে শুরু করে।

ফাতেমা একদিক থেকে বেশ সৌভাগ্যের অধিকারিণী, কারণ তার কোনো সতীন ছিলো না এবং তাকে সতীনের কোনো জ্বালা যন্ত্রণা ভোগ করে স্বামীকে ভাগ করতে হয় নি। এর কারণ ছিলো মুহম্মদের প্রতি আলীর ভয়। মুহম্মদসহ সব মুসলমানকে একের পর এক বিয়ে করতে দেখে, একবার আলীরও শখ হয় একটা বিয়ে করার। এই খবর যায় মুহম্মদের কানে, মুহম্মদ কঠোর ভাষায় বলে, যদি আলীর শখ হয় আরেকটি বিয়ে করার, তাহলে যেন সে আগে ফাতেমাকে তালাক দিয়ে দেয়; কারণ, ফাতেমার কষ্ট মানে আমার কষ্ট, আর সেটা আমি কখনোই মেনে নেবো না। এই হুমকি পেয়ে আলী, দ্বিতীয় বিয়ে করার পরিকল্পনাকে ত্যাগ করে।

এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যে মুহম্মদ নিজের মেয়ের সতীনকে সহ্য করতে পারে নি, সে একের পর এক বিয়ে করে তার স্ত্রীদেরকে নরক যন্ত্রণায় ফেলেছে কেনো ? বা মুসলমানদের এক সাথে চার স্ত্রী রাখার অধিকার দিয়ে অন্য মুসলিম নারীদেরকে সতীনের সংসারের নরক যন্ত্রণার বিধান দিয়েছে কেনো ?

কথায় বলে, সব ভালো তার শেষ ভালো যার, ফাতেমার প্রথম জীবন ভালো কাটলেও শেষ ভালোর সূত্রে ফাতেমার জীবন মোটেই ভালো ছিলো না; কারণ, হাসান হোসেনের জন্মের পর তৃতীয় সন্তান গর্ভে থাকাকালীন ফাতেমার উপর হামলা হয়, তাতে তার গর্ভপাত হয় এবং উরু ভেঙ্গে গিয়ে দীর্ঘ তিন মাস শয্যাশায়ী থাকার পর চিকিৎসা বিহীন অবস্থায় শুকিয়ে হাড্ডিসার হয়ে ফাতেমার মৃত্যু হয়, যে কথা উপরে বলেছি। এই ফাতেমা নাকি আবার ‘খাতুনে জান্নাত’ মানে ‘বেহেশতি নারীদের সর্দার’। ভালো ব্যাপার। বেহেশত তো আল্লার পতিতালয়, আর পতিতালয়ের সব মেয়েই তো হয় পতিতা, সেই হিসেবে ফাতেমাও পতিতা, সমস্যা নাই। মুসলমানদের যত ইচ্ছা হয় তত বলুক ‘খাতুনে জান্নাত ফাতেমা’, যার মানে- ফাতেমা হলো ‘পতিতাদের সর্দারনী’।

শুধু আয়েশা এবং ফাতেমার করুণ মৃত্যুই নয়, আবু বকর ছাড়া মুহম্মদসহ অন্য তিন খলিফার মুত্যু হয়েছে অপঘাতে, মুহম্মদ মরেছে বিষে আক্রান্ত হয়ে, আর অন্য তিন খলিফা মরেছে নিজেদের মধ্যে কোন্দলের শিকার হয়ে ছুরিকাঘাতে। এছাড়াও নবীর নাতি হাসান মরেছে বিষ প্রয়োগে এবং হোসেন মরেছে এজিদের হাতে নৃশংসভাবে কারবালার প্রান্তরে। আর মুহম্মদ ছাড়া এরা সবাই মরেছে মুসলমানদের হাতেই, তার মানে ইসলামি দুনিয়ায় শান্তি কখনোই ছিলো না আর পুরোনো আদর্শ অনুসরণ করে এখনও নেই; তারপরও মিথ্যার ব্যবসায়ী মুসলমানরা রাত দিন চিৎকার করে বলে যাচ্ছে- ইসলাম শান্তির ধর্ম! ইসলাম শান্তির ধর্ম!!

আসলে এই মুসলমানদের পাছায় গরম রড ঢুকিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার যে, আসলে শান্তি কাকে বলে এবং শান্তি মানে প্রকৃতপক্ষে কী, যেমন দিয়েছে বা দিচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে মায়ানমারের বৌদ্ধরা।

জয় হিন্দ।
-------------------------
ফাতেমা এবং আয়েশা সংক্রান্ত যে নতুন তথ্যগুলো এই পোস্টে দিয়েছি, সাধারণত বাংলায় এগুলো প্রচলিত নয়; কারণ, এখানের সুন্নী মুসলমানরা কৌশলে তাদের বক্তৃতা বিবৃতিতে এগুলোকে এড়িয়ে চলে বা ঢেকে রাখে, কিন্তু এই তথ্যগুলো পাওয়া যায় শিয়া লেখকদের বইয়ে, সেরকম কিছু রেফারেন্স দিলাম নিচে, যার উপর ভিত্তি করে উপরের লেখাটা লিখেছি:

ইবনে শাহর অশুব (মৃ: ৫৯৯ হি.) বর্ণনা করেছেন :
“উম্মে সালমা ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে বলল : ওহে নবী কন্যা! কিভাবে রাত কাটালেন। ফাতেমা বললেন : শোক ও দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে রাত কাটিয়েছি। শোক এই কারণে যে, প্রিয় নবীকে হারিয়েছি ও দুঃখ এই জন্য যে, তাঁর স্থলাভিষিক্তের উপর আরোপিত জুলুম। আল্লাহর কসম করে বলছি: এতে নবীর উত্তরসূরীর প্রতি অবমাননা হয়েছে (মানাকিবু অলে আবি তালিব, ২/২০৫।)।

এর মানে হলো- আলীর স্থলে আবু বকর খলিফা নির্বাচিত হওয়ায় ফাতেমা দুঃখ পেয়েছে।

আল্লামা তাবারসি (মৃ: ষষ্ট হিজরি) বর্ণনা করেছিন:
ফাদাকের (ফলের বাগান) খোৎবা সমাপ্তির পর ফাতেমা বলেছিলেন :
لَیتَنِی مِتُّ قَبلَ هینَـتِی وَ دُونَ ذِلَّتِی...
হায়, যদি এমন জুলুমের স্বীকার হবার পূর্বে মারা যেতাম! (এহতিজাজ, খন্ড ১, পৃ ১০৭)।

কাজি নোমানি মাগরিবি বর্ণনা করেছেন :
[عَن أبِی عَبدِاللهِ جَعفَرِبنِ مُحَمَّدٍ الصادِقِ‌علیه‌السّلام عَن ‌أبِیهِ‌علیه‌السّلام: قالَ:]
إنَّ رَسُولَ اللهِ‌صلّی‌الله‌علیه‌وآله أسَرَّ إلی فاطِمَة‌َعلیهاالسّلام أنَّها أولی(أوَّلُ) مَن یَلحَقُ بِهِ مِن أهلِ بَـیتِهِ فَلَمّا قُبِضَ وَ نالَها مِن القَومِ ما نالَها لَزِمَت الفِراشَ وَ نَحَلَ جِسمُها وَ ذابَ لَحمُها وَ صارَت کَالخَیالِ. *
ইমাম জাফর সাদিক আ. তাঁর পিতার কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন : রাসূল স. ফাতেমাকে চুপিসারে বললেন : তাঁর ওফাতের পর তার আহলে বাইতের মধ্য থেকে সর্ব প্রথম যে তাঁর সাথে গিয়ে মিলিত হবে, সে হল ফাতেমা আ.। অতঃপর যখন নবী স. মৃত্যু বরণ করলেন এবং তার ঘরে হামলা করে তাকে আহত করা হল, তখন তিনি শয্যাশায়ী হয়ে গেলেন, ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়লেন ও এমন ভাবে শুকিয়ে গেলেন যেন মনে হয়েছিল শুকনো কাঠি হয়ে গেছেন (দায়ায়িমুল ইসলাম, ১/২৩২)।

শেখ তুসি বর্ণনা করেন :
وَ المَشهُورُ الَّذِی لاخِلافَ فِیهِ بَـینَ الشِیعَةِ أنَّ عُمَرَ ضَرَبَ عَلی بَطنِها حَتّی أسـقَطَت...
শিয়াদের মধ্যে এ বিষয়ে প্রসিদ্ধি রয়েছে ও কোনরূপ মতপার্থক্য নেই যে, ফাতেমার পেটে ওমর এমন আঘাত হেনেছিল যে কারণে গর্ভের সন্তান পড়ে যায় (তালখিছুশ শাফি, ৩/১৫৬)।

মুহাম্মদ ইবনে জারির ইবনে রুস্তম তাবারি (মৃ: চতূর্থ হিজরি) বর্ণনা করেন:
فَلَمّا قُبِضَ رَسُولُ اللهِ‌صلّی‌الله‌علیه‌وآله وَ جَری ما جَری فِی یَومِ دُخُولِ القَومِ عَلَیها دارَها وَ إخراجِ ابنِ عَمِّها اَمِیرِالمُؤمِنِینَ ‌علیه‌السّلام وَ ما لَحِقَها مِن الرَجُلِ أسـقَطَت بِهِ وَلَداً تَماماً وَ کانَ ذلِکَ أصلَ مَرَضِها وَ وَفاتِها.
নবী স. যখন মারা গেলেন, তারপর যেদিন ফাতেমার ঘরে হামলার ঘটনা ঘটল, আমিরুল মুমিনিনকে জোরপূর্বক বের করে আনা হল এবং ঐ পুরুষের দ্বারা যে বালা ফাতেমার উপর আসল, যে কারণে তাঁর গর্ভের পূর্ণ ছেলে-সন্তানের গর্ভপাত ঘটল। আর এটাই ছিল তাঁর অসুস্থতা ও মৃত্যুর মূল কারণ (দালায়েল উল ইমামাহ/২৭)।

আল্লামা হিল্লি (মৃ: ৭২৬ হি.) বর্ণনা করেন,
وَ ضُرِبَت فاطِمَةُ‌علیهاالسّلام فَألقَت جَنِیناً اسمُهُ مُحسِنٌ...
ফাতেমাকে আ. এমন আঘাত হানা হল, যে কারণে তার গর্ভের সন্তান ‘মোহসেন’ পড়ে গেল ... (শারহুত তাজরিদ/৩৭৬)।

মুহাম্মদ ইবনে জারির ইবনে রুস্তম তাবারি (মৃ: চতূর্থ হিজরি) বর্ণনা করেন:
[عَن أبِی‌بَصِیرٍ عَن أبِی عَبدِاللهِ‌علیه‌السّلام: قالَ:]
وَ کانَ سَبَبُ وَفاتِها أنَّ قُنفُذاً مَولی عُمَرَ لَکَزَها بِنَعلِ السَیفِ بِأمرِهِ، فَأسـقَطَت مُحسِناً وَ مَرِضَت مِن ذلِکَ مَرَضاً شَدِیداً...
ইমাম আবু আব্দিল্লাহের কাছ থেকে আবু বাছির বর্ণনা করেছেন : ওমরের নির্দেশে তার ভৃত্য ‘কুনফুয’ তরবারির গিলাফ দিয়ে ফাতেমাকে আঘাত হেনেছিল, যে কারণে মুহসিনের গর্ভপাত ঘটে এবং সে কারণেই ফাতেমা আ. মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন… (দালায়েল উল ইমামাহ/৪৫)।

কাফয়ামি (মৃ: ৯০৫ হি.) বর্ণনা করেছেন :
إنَّ سَبَبَ وَفاتِهاعلیهاالسّلام هُوَ أنَّها ضُرِبَت وَ أسـقَطَت.
নিশ্চয় ফাতেমার মৃত্যুর কারণ হল: তিনি আঘাত প্রাপ্ত হলেন ও তাতে গর্ভপাত হল (মেসবাহ/৫২২)।

তাবারসি বর্ণনা করেন :
وَ حالَت فاطِمَةُ‌علیهاالسّلام بَـینَ زَوجِها وَ بَـینَهُم عِندَ بابِ البَیتِ فَضَرَبَها قُنفُذٌ بِالسَوطِ عَلی عَضُدِها، فَبَـقِیَ أثَرُهُ فِی عَضُدِها مِن ذلِکَ مِثلَ الدُملُوجِ مِن ضَربِ قُنفُذٍ إیّاها فَأرسَلَ أبوبَکرٍ إلی قُنفُذٍ إضرِبها، فَألجَـأها إلی عِضادَةِ بَـیتـِها، فَدَفَعَها فَکَسَرَ ضِلعاً مِن جَنبِها وَ ألقَت جَنِیناً مِن بَطنِها، فَلَم ‌تَزَل صاحِبَةَ فِراشٍ حَتّی ماتَت مِن ذلِکَ شَهِیدَه ...

হযরত ফাতেমা তাঁর স্বামি ও আক্রমনকারী ব্যক্তিদের মাঝে দাড়িয়ে প্রতিরোধ করেছিলেন, তখন ‘কুনফুয’ ফাতেমার উরুতে এমন আঘাত হানল যে, তার দাগ বেন্ডেজের আকার ধারণ করল। আবুবকর কুনফুযকে ফাতেমাকে মারার জন্য পাঠিয়েছিল! তাই কুনফুয ফাতেমাকে ঘর থেকে আছার দিয়ে ফেলে দিল, তখন তাঁর উরুর হাড় ভেঙ্গে গেল ও পেটের সন্তানের গর্ভপাত ঘটল। অতঃপর দীর্ঘ শহ্যাশায়ী হল এবং সে অবস্থাতেই শহীদি মৃত্যু বরণ করলেন …(এহতেজাজ, ১/৮৩)।
--------------------------------------------------------------------------------------
প্রথম বার যখন লেখাটা পোস্ট করি, তখন এক পাঠক নিচের এই কমেন্টটি করেছিলো, যাতে পাবেন, আরও কিছু তথ্য :

আবু বকরের সাথে আলির (বরং মহম্মদের বলাই ভাল) শত্রুতার আরও গভীর কারণ ছিল। নারী সম্ভোগের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাদের জন্য উদার ও প্রশস্ত ব্যবস্থা করার পরে মহম্মদের বাল্যবন্ধু ও সহচর আবু বকর মহম্মদের যুবতী কন্যা ফাতেমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। আবু বকরের এই ধৃষ্টতা সম্ভবত নবীজি মেনে নিতে পারেন নি। কিন্তু সেটা প্রকাশ না করে তিনিও পাল্টা প্রস্তাব দেন আবু বকরের ছ’বছর বয়সী শিশুকন্যা আয়েশাকে বিয়ে করার। যুবতী ফাতেমার প্রতি আবু বকর এতটাই কামাসক্ত হয়ে পরেছিলেন যে নিজের শিশুকন্যা আয়েশাকে পর্যন্ত বলি দিতে সে রাজী হয়ে গেলেন। মহান খোদার অপার মহিমায় দুই বাল্যবন্ধু সমঝতা করেন যে তাঁরা পরস্পর পরস্পরের মেয়েকে বিয়ে করবেন ! অতি সত্বর নবীজির সাথে ছ’বছর বয়সী শিশু আয়েশার শাদি মুবারক সুসম্পন্ন হল। এবার আবু বকর ফাতেমাকে বিয়ে করার জন্য তাগাদা দিতে থাকল। “এখনও আল্লার নির্দেশ পাইনি” বলে মুহম্মদ আবু বকরকে বার বার ফেরাতে থাকেন। এই করতে করতেই হঠাৎ এক সময় নিজের চাচাত ভাই আলির সাথে ফাতেমার বিয়ে দিয়ে দিলেন। মহান নবীর এই ‘পবিত্র প্রতারণা’ সেই সময় হজম করা ছাড়া আবু বকরের আর কোনও উপায় ছিল না। তাই মহম্মদের মৃত্যুর পরে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছিলেন।

From: Krishna kumar das

💜 জয় হোক সনাতনের 💜

পুনর্জন্ম ( দুই )


 পুনর্জন্ম ( দুই )


  ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন         প্রণব কুমার কুণ্ডু





পুনর্জন্ম বা জন্মান্তর কী ও কেনো ?

হিন্দু শাস্ত্র বলে, পৃথিবীতে ৮৪ লক্ষ যোনী অর্থাৎ প্রাণী। কিন্তু ইসলাম বলে ১৮ হাজার মাখলুকাত অর্থাৎ প্রাণী সংখ্যা মাত্র ১৮ হাজার। এখন এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কী বলে তা একটু কষ্ট করে জেনে নিন, বুঝতে পারবেন, কোন ধর্ম বিজ্ঞানসম্মত বা সত্য।
আলোচনার পরিসর ছোট করার স্বার্থে অন্য সকল প্রাণী বাদ দিয়ে শুধু মানুষের কথা বলি। ইসলাম মতে, রুহ বা আত্মা একই সময়ে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সেগুলোকে আল্লা সাত আসমানের উপর কোথাও মজুদ করে রেখেছে এবং ক্রমান্বয়ে সেগুলোকে আস্তে আস্তে পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে। এই তথ্যে স্পষ্ট যে সৃষ্ট সকল আত্মা বা রূহ নির্দোষ, যেহেতু কোনো পাপ বা পূন্য তাদেরকে স্পর্শ করে নি। তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, পৃথিবীতে ধনী বা ক্ষমতাশালী বা বিখ্যাত পরিবারে জন্ম নিয়ে কেউ কেনো অঢেল সুখ ও ঐশ্বর্য ভোগ করছে, আর কেউ কেনো বস্তি বা দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়ে কষ্ট ভোগ করছে ?
আবার ইসলাম মতে, ইসলামই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা বা আল্লার কাছে একমাত্র গ্রহনযোগ্য ও মনোনীত ধর্ম; তাহলে অমনোনীত অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদি বা অন্য আরো ধর্মের পরিবারে আল্লা তার সৃষ্টি করা নির্দোষ রুহগুলোকে জন্ম দিচ্ছে কেনো ? কেনো আল্লা তার অমনোনীত সকল ধর্মের পরিবারে শিশুর জন্ম দান বন্ধ করছে না বা কেনো অমনোনীত ধর্মের জাতিগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে না ? অমনোনীত ধর্মের পরিবারে শিশুর জন্ম দিয়ে, কেনো তাদেরকে আবার বলা হচ্ছে, ইসলাম গ্রহন করে না মরলে তারা বেহেশত পাবে না ? শুধু তাই নয়, অমুসলিম পরিবারে জন্ম দেওয়া মানুষগুলোকেই কেনো আল্লা আবার মুসলমানদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছে ? তাহলে একটি মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশু এবং একটি অমুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুর মধ্যে আল্লা কি বৈষম্য সৃষ্টি করে নি ? এই সব বৈষম্য থেকে কি মনে হয় না, ইসলামের আল্লা আসলে পক্ষপাতদুষ্ট এক আল্লা, যে তার সৃষ্ট সকল মানুষকে সমান চোখে দেখে না ? তাহলে এই আল্লা কিভাবে পৃথিবীর সকল মানুষের সৃষ্টি কর্তা হতে পারে ?
পুনর্জন্ম সম্পর্কে হিন্দুশাস্ত্র বলছে, মানুষের এক জন্মের পাপ পুন্যের কর্মফল অনুযায়ী পরবর্তীতে তার নতুন জন্ম হয়, যাকে জন্মান্তরও বলে। এই জন্মান্তর মানুষরূপে বা অন্য কোনো প্রাণীরূপেও হতে পারে। এই এক জন্মের কর্মফলের জন্যই পরবর্তী জন্মে ধনী বা গরীব বা ক্ষমতাশালী বা ক্ষমতাহীন এবং বিখ্যাত বা অখ্যাত পরিবারে মানুষের জন্ম হয়।
পুনর্জন্ম যে সত্য, সেটা প্রমাণ করার মতো বহু ঘটনা পৃথিবীতে আছে, যার কয়েকটি নিচে উল্লেখ করলাম এবং এই পুনর্জন্ম সম্পর্কে হিন্দুধর্মের প্রধান গ্রন্থ গীতায় স্পষ্ট করে বলা আছে এবং তাও বলা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে, এখন চিন্তা করুন, সেই ৫ হাজার বছর আগে, যখন পৃথিবীতে জ্ঞান বিজ্ঞানের অবস্থা খুবই করুণ, সেই সময় হিন্দু শাস্ত্রে কিভাবে এমন এক অব্যক্ত সত্যের কথা বলা হলো, যেটাকে খালি চোখে দেখে বা সাধারণ দৃষ্টিতে কারো বোঝা দূরে থাক, অনুমান করারই ক্ষমতা নেই এবং গীতায় এই পুনর্জন্মের কথা বলেছেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ, এই তথ্য থেকেও অবধারিতভাবে প্রমান হয় যে শ্রীকৃষ্ণই স্বয়ং ঈশ্বর এবং সর্বজ্ঞানী।
উপরের এই তথ্যের ভিত্তিতে, বাস্তবতার নিরীখে এখন বিচার করে দেখুন কোনটি সত্য বা প্রকৃত ধর্ম ?
তরবারির জোরে মুসলমানরা একটি মিথ্যাকে গত ১৪০০ বছর ধরে পৃথিবীবাসীর উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং তাতে তারা কিছুটা সফলও হয়েছে। কিন্তু এখন সবাই মিলে যদি এই মিথ্যেটাকে রোধ করা না যায়, এই মিথ্যাই একদিন সমগ্র পৃথিবীকে গ্রাস করে পৃথিবীটাকে নরক বানিয়ে ফেলবে, আর তাতে পুড়তে হবে আমার আপনার আগামী প্রজন্মকে। সুতরাং সাবধান।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম। জয় শ্রীকৃষ্ণ।
-----------------------------------------------------------------
এখন দেখুন, পুনর্জন্ম নিয়ে কী বলছে বিজ্ঞান ? (Copy paste from risingbd.com)
মানুষ কী কেবল একবার জন্মায়? নাকি বারবার ফিরে আসে পৃথিবীর কোলে? মানুষের মনে এই প্রশ্ন জমে রয়েছে সেই সুদূর অতীত থেকে। যার শেষ হয়নি এখনো। উত্তরটাও পাওয়া যায়নি ঠিকঠাক করে। তবে উত্তর পাওয়া যাক কিংবা না যাক, এ নিয়ে অনুসন্ধান কখনো থেমে থাকেনি পৃথিবীবাসীর। সবসময়েই তারা পেতে চেয়েছে তাদের প্রশ্নের উত্তর। আর তাদের এই আগ্রহকে বারবার উসকে দিয়েছে পৃথিবীর একোণ-ওকোণ থেকে নিজেদের অতীত জীবনকে মনে করতে পারা কিছু জাতিস্মর। যাদের অনেকেরই দাবী প্রায় সময়েই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে কী সত্যিই পুনর্জন্ম বলে কিছু আছে? আত্মা কী বারবার জন্ম নেয় বহু মানুষের বেশে? যদি তাই হয় তাহলে আমরা সবাইই তো এর আগে আর কেউ একজন ছিলাম। কী ছিলাম আমরা সে জন্মে? কী করে মনে করা যাবে সেটা? আসুন জেনে নিই এ প্রশ্নগুলোর সম্ভাব্য ও বৈজ্ঞানিক জবাব।
এসবের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানী ও দার্শনিকেরা সবসময়েই যেতে চেয়েছেন মৃত্যুর কাছে। মৃত্যুর পর কী হয় মানুষের সঙ্গে? মানুষের শরীরের ভেতরে যদি আত্মা থেকে থাকে তাহলে কী হয় সেই আত্মার? খুব কাছ থেকে এসব নিয়ে পরীক্ষা করে অনেকে বলেছেন একেবারে ভিন্ন কথা।
আটলান্টার ইয়ার্কস ন্যাশনাল প্রাইমেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা দুই গবেষক ব্রায়ান জি. ডায়াস ও কেরি রেসলারের গবেষণানুসারে, আদতে পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরে থাকা স্মৃতিগুলো বংশগতভাবে অন্য মানুষে প্রবাহিত হতে পারে। আর সেভাবেই একজন মানুষ জন্ম থেকেই অন্য কারো সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মনে করতে পারে। যাকে আমরা মনে করে থাকি গতজন্মের স্মৃতি। কিন্তু আসলেও কী এই গবেষকরা ঠিক? চলুন এর উত্তর জেনে আসি এই ঘটনাটি থেকে।
জার্মান থেরাপিস্ট ট্রুটজ হার্ডোর ‘চিলড্রেন হু হ্যাভ লিভড বিফোর: রিইনকারনেশন টুডে’ বইটিতে গতজন্মের কথা মনে করতে পারা কিছু শিশুকে নিয়ে কাজ করেন। আর সেখানেই তিনি জানান ড্রুজ আদিবাসী দলের একটি ছেলের কথা। শিশুটি জন্ম নিয়েছিল ভয়ংকর এক আঘাতের চিহ্ন নিয়ে।
তবে তিন বছর অব্দি কোনো কথা বলেনি সে। তিন বছর বয়স হওয়ার পর হঠাৎ একদিন সে সবাইকে জানায় যে সে আসলে অনেক দূরের একটি গ্রামের মানুষ। মৃত্যুর পর এখানে জন্মেছে সে আবার। নিজের কথার প্রমাণ হিসেবে গতজন্মে তাকে যে খুন করা হয়েছিল সেই আঘাত আর খুনীকে ধরিয়ে দেয় সে। এমনকি দেখিয়ে দেয় নিজের লাশটাও!
যদি বংশগত জীন হয় এই স্মৃতির পেছনের প্রধান হাতিয়ার তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে অনেক দূরের মানুষের কাছ থেকে সেটা কী করে এলো? কারণ সেখানে তো কোনোরকম শারিরীক সম্পর্ক থাকেনা জাতিস্মর মানুষটির তার আগের জন্মের দাবী করা ব্যক্তিটির সঙ্গে।
ঘটনাটি রায়ানের। জিম টাকার পুনর্জন্ম আর গতজন্মের স্মৃতি মনে করতে পারা শিশুদের নিয়ে তখন কাজ করছিলেন। হঠাৎ তার কাছে একটা ফোন আসে। ফোনের ওপাশ থেকে এক মহিলা কণ্ঠ জিমকে জানায় যে, তার ছেলে রায়ান গত অনেকদিন ধরে আপনমনেই অ্যাকশন, কাট ধরনের চলচিত্রের সঙ্গে জড়িত নানা কথা বলে চলেছে আপন মনে। এমনকি কিছুদিন আগে একজন ৩০ শতকের অভিনেতার নাম বলে তাকে নিজের বন্ধু বলে জানিয়েছে সে। নিজেকেও সেই ৩০ শতকের অভিনেতা জর্জের পাশে দাড়ানো আরেকটি মানুষ বলে চিনতে পেরেছে সে। ঘটনাটি শুনেই দৌড়ে রায়ানের কাছে চলে আসে জিম আর অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে সত্যিই ৩০ শতকের এক অখ্যাত ফিল্মের এক্সট্রা হিসেবে কাজ করতো রায়ান। যার তখনকার নাম ছিল মার্টিন! পরবর্তীতে নিজের মেয়েদের সঙ্গেও দেখা করে রায়ানরূপী মার্টিন।
রায়ান ছাড়াও এমন অনেক শিশুর সঙ্গে দেখা করেছেন জিম যাদের সবার বয়স ২ থেকে ৬ বছরের ভেতরে। আর তারা সবাইই এতটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিজেদের গতজন্মের কথা আর ঘটনাগুলো বলে যেতে পারে গড়গড় করে যে, যে কেউ মানতে বাধ্য হবে যে আসলেই শিশুটি জাতিস্মর। তবে এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে জিম টাকার বলেন- কোয়ান্টাম ফিজিক্সের মতে আমাদের সচেতনতার বাইরেও দৃশ্যমান পৃথিবী গড়ে উঠতে পারে। আর এই ব্যাপারে পদার্থবিজ্ঞানীরাও একমত হবেন বলে মনে করেন তিনি।
নিজের পুরো গবেষণার একটা প্যাটার্ন তৈরি করেন জিম টাকার। তবে অনেকেই অবশ্য জিমের এই পুনর্জন্মের প্যাটার্নে যথেষ্ট পরিমাণ উদাহরনের অভাব বলে মনে করেন। তবে সত্যিটা যাই হোক না কেন, জিম টাকার আর তার এই অনুসন্ধান, পৃথিবীর সবার কাছেই হয়ে তাকবে ভবিষ্যতে এ পথে আরো এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়।
-------------------------------------------------------------------------------
এবার শুনুন পুনর্জন্মের একটি সত্য ঘটনা:
উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্মীপুরে শিশুর পুনর্জন্ম হল। এই ঘটনায় গ্রামের মানুষ সকলেই স্তম্ভিত। মাত্র ৩ বছর বয়সে নিজেই নিজের পুনর্জন্মের কথা শোনাল এই শিশু। জিতন নামে এই শিশুটির মুখে এখনও ঠিকঠাক কথা ফোটেনি। কিন্তু সেই আধো আধো গলাতেই সে বলে উঠছে, ‘‘আমার বাড়ি তো ভোলাপুরে আর আমার বাবা একজন বিদেশি।’’
বাচ্চাটির মা-বাবা জানান, জিতন রীতিমতো জেদ ধরে বসেছিল যে, তাকে ভোলাপুরে বিদেশি বাবার সঙ্গে দেখা করাতে হবে। সেই মতো এই জন্মের মা-বাবাও ঠিক করে নিয়েছিলেন যেভাবেই হোক ছেলেকে আগের জন্মের পরিবারের সঙ্গে দেখা করাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখবেন না। আর নিজেদের কথাও রেখেছেন তাঁরা। আগের জন্মের পিতার সঙ্গে ছেলের দেখাও করিয়েছেন।
এক হিন্দি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ১৫ অগস্ট লক্ষ্মীপুরের মাখনগঞ্জে শিবকুমার ও রামাবতীর কোলে জন্ম নেয় জিতন। এই সন্তানের আগে শিবকুমার ও রামাবতীর একটি রেণু নামে এক মেয়েও আছে। রাখির দিন যখন দিদি রেণু জিতানের হাতে রাখি বাঁধতে যায় তখন, সে রাখি পরতে রাজি হয়নি। বরং বলে, তার বোন নাকি ভোলাপুরে থাকে, আর তার হাত থেকেই সে রাখি পরবে। মাত্র ৩ বছর বয়সি ছেলে কীভাবে এমন একটা জায়গার নাম বলছে, যেখানে সে কোনও দিন যায়নি— এই ভেবে অবাক হন জিতনের মা-বাবা।
এর পরেই ছেলের মুখে শোনা তার আগের জন্মের ‘বিদেশি বাবার’ খোঁজ শুরু করে জিতনের বাবা-মা। শেষ পর্যন্ত ভোলাপুরে সেই ব্যক্তির খোঁজ মেলে।
ভোলাপুরে সেই বিদেশি বাবার বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় জিতানকে। বিদেশি ব্যক্তিকে দেখতেই ‘‘এই তো আমার বাবা’’ বলে চিৎকার করে ওঠে জিতন। এই ‘বিদেশি’ ব্যক্তির নাম দিলীপ।
দিলীপ জানান, তাঁর ৩০ বছরের ছেলে ঠিকাদারের কাজ করতেন। ২০১২ সালে ১৭ মে দক্ষিণ ভারতের এক সমুদ্র তীরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যান। দিলীপ আরও জানান যে, বাচ্চাটি যখন তার বাড়িতে আসে তখন দিলীপের বহু জিনিস দেখে বলতে থাকে যে সেগুলি তার। কিন্তু জিতন শেষ পর্যন্ত কোন পরিবারের কাছে থাকবে সেই নিয়ে গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলছে। তবে এই শিশুটিকে নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই।
এই প্রতিবেদনটির লিঙ্ক :
https://ebela.in/…/reincarnation-of-a-child-in-uttar-prades…

From: Krishna kumar das

💜 জয় হোক সনাতনের 💜

ইসলাম এবং


   ইসলাম এবং


   ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু

সন্ত্রাসীদের ধর্ম ইসলাম :

মুসলমান হওয়ার পর আপনি সন্ত্রাস করেন, লুঠপাট করেন, কোনো প্রব্লেম নেই। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না আমার কথা ? দেখে নিন নিচের এই হাদিস-
“একবার একজন লোক মুহম্মদের কাছে এসে বললো যে, সে জিহাদে যোগ দিয়ে লুটের মালের ভাগ পেতে ইচ্ছুক। মুহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি আল্লাহ ও তার রাসূলে বিশ্বাস করো ?লোকটি জবাব দিলো, না । মুহম্মদ তখন তাকে বললো, আগে ভুল রাস্তা ঠিক করো।” - (মুসলিম
শরীফ, ৪৪৭২)

এর মানে হলো কারো ধন-সম্পদ লুট করতে চাইলে এবং তার ভাগ পেতে চাইলে আগে মুসলমান হতে হবে। এরকম আরেকটা নিদর্শন আছে, নিচের এই হাদিসে-
“ইসলাম গ্রহণের পূর্ব মুগিরা একটা দলের লোক ছিলো, সে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালামাল লুটে নিয়ে মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহন করলো। মুহম্মদ তাকে বললো, তোমার ইসলাম গ্রহণ করা হলো, কিন্তু তোমার মালামাল গ্রহণ করা হবে না।” - (বুখারি, ৩/৫০/৮৯১)
এর মানে হলো ইসলাম গ্রহণ করে মুগিরা যদি তার সঙ্গীদেরকে হত্যা করতো এবং তাদের মালামাল লুঠ করতো তাহলে তা হতো সহীহ ইসলামিক, তখন তার আর কোনো দোষ থাকতো না। যেমন উপরের হাদিস অনুযায়ী মুহম্মদ বলেছে, লুটের মালের ভাগ পেতে চাইলে আগে ভুল রাস্তা ঠিক করো, অর্থাৎ অন্য সকল ধর্ম ছেড়ে আগে ইসলাম গ্রহন করো, তারপর লুঠপাট করো।
শুধু তাই নয়, মুহম্মদ ই যে অন্যের সম্পত্তি লুঠপাট করে খাওয়া শুরু করেছে, মুহম্মদের পূর্বে আরবে যে এই ধরণের বর্বরতা ছিলো না, তার প্রমান পাবেন নিচের এই হাদিসে-

“ইসলাম প্রবর্তনের আগে লুঠের মাল ভোগ করা বৈধ ছিলো না, কিন্তু আল্লা আমাদের দুর্দশা ও দুর্বলতা দেখে লুটের মাল ভোগ করা বৈধ করেছেন।”- ( মুসলিম হাদিস, ৪২৩৭)

তো অন্যের সম্পত্তি লুঠ করতে হলে, তাদেরকে আক্রমন করে হত্যা করতে হলে প্রথম স্টেপ হলো প্রতিবেশি অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পরিত্যাগ করা, তা না হলে মানবিকতার খাতিরেও তো তাদেরক আক্রমন করা যাবে না। সেজন্যই কাফেরদের সাথে এই বন্ধুত্ব ত্যাগের নির্দেশ আছে নিচের এই কয়েকটি কুরানিক আয়াতে-
“অবিশ্বাস্যগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু”। -(কোরান, ৪/১০১)
“হে ঈমানদারগণ, ঈমানদার লোকদের ত্যাগ করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি আল্লাহর হাতে নিজেদের বিরুদ্ধে দলিল তুলে দিতে চাও।” - ( কোরান, ৪/১৪৪)
“হে ঈমানদার লোকেরা, ইহুদি ও ঈসায়ীদের নিজেদের বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। তারা নিজেরা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহন করে, তাহলে সে তাদের মধ্যেই গন্য হবে।” - (কোরান, ৫/৫১)
“আমি তোমাদের মধ্যে ও ইহুদিদের মধ্যে কেয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা সৃষ্টি করে দিয়েছি।” - ( কোরান, ৫/৬৪)
“তোমরা যদি আমার পথে জিহাদ করার জন্য ও আমার সন্তোষ লাভের মানসে দেশ ছেড়ে ঘর হতে বের হয়ে থাকো, তাহলে আমার ও তোমাদের শত্রুদের বন্ধুরূপে গ্রহন করো না।”- (কোরান, ৬০/১)
এই ভাবে কুরানিক অর্ডারের মাধ্যমে মুসলমানদের সাথে অমুসলিমদের সম্পর্ক ত্যাগ করতে মুসলমানদেরকে বাধ্য করা হয় এবং তারপর তাদেরকে নামানো হয় জিহাদ তথা খুন-ধর্ষণ-লুঠপাটের রাস্তায়। দেখুন নিচের এই আয়াত-
“হে নবী, কাফের ও মোনাফেকদের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে জেহাদ করো এবং তাদের সম্পর্কে কঠোর নীতি অবলম্বন করো। শেষ পর্যন্ত তাদের পরিণতি হচ্ছে জাহান্নাম।”- (কোরান, ৯/৭৩)
এই জিহাদে নেমে মুসলমানরা কেনো মরতে ভয় পায় না, কেনো কোনো দ্ধিধা ছাড়াই আত্মঘাতি বোমা হামলা করে নিজেদেরকে উড়িয়ে দেয়, সেটা বুঝতে হলে দেখুন নিচের এই আয়াত-
“প্রকৃত কথা এই যে, আল্লাহ তায়ালা মুমীনদের নিকট হতে তাদের হৃদয় মন এবং মাল সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে খরিদ করে রেখেছেন। তারা আল্লার পথে মরে ও মারে।” - ( কোরান, ৯/১১১
জিহাদ না করলে যে প্রকৃত মুসলমান হওয়া যাবে না, সেই কথা বলা আছে নিচের আয়াতে-
"প্রকৃতপক্ষে মুমিন তো তারাই, যারা আল্লা ও তার রসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, অতঃপর কোনো সন্দেহ করে না এবং নিজের জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে।”- (কোরান, ৪৯/১৫)
আবার জিহাদ না করে যে কোনো মুসলমান বেহেশতেও যেতে পারবে না, সেই কথা বলা আছে নিচের আয়াতে-
“তোমরা কি মনে করেছো, তোমরা এমনিতে বেহেশতে প্রবেশ করবে ,যতক্ষণ না আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে, আর কে করে নি, তা না জানছেন ?" - ( কোরান, ৩/১৪২)
আরও দেখুন জিহাদকারীদের মর্যাদা আল্লার কাছে কেমন ?
“যারা ঈমান এনেছে, দেশত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহর কাছে, আর তারাই সফলকাম।।- (কোরান, ৯/২০)
এই জিহাদ করতে গিয়ে মুসলমানরা যাদেরকে খুন করবে, সেই দায়ও তাদের নয়, সেই দায় স্বয়ং সন্ত্রাসী আল্লার; অবাক হইয়েন না, দেখুন নিচের এই আয়াত-
“অতএব সত্য কথা এই যে, তোমরা তাদেরকে হত্যা করো নি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি নিক্ষেপ করো নি, বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন, আর এই কাজে মুমিনদের হাত ব্যবহার করা হয়েছে।”- (কোরান, ৮/১৭)
এই জিহাদ সন্ত্রাসে গিয়ে যারা বিজয়ী হবে তাদেরকে বলা হয় গাজী আর যারা মারা যাবে তারা শহীদ। যারা গাজী হবে তাদের জন্য পুরস্কার হলো গনিমতের মাল এবং পরাজিত জাতির উপর প্রভুত্ব, আর যারা শহীদ হবে তাদের জন্যপুরষ্কার হলো বেহেশত; আল্লা আরও বলেছে, এইভাবে মরাই নাকি মহাসাফল্য এবং এইভাবে আল্লার পক্ষ থেকে আল্লার হয়ে জিহাদের নামে পৃথিবীতে সন্ত্রাস করলে আল্লা মুসলমানদেরকে যে বিরাট পুরস্কার দেবে, সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে নিচের এই আয়াতে -
“যারা আল্লাহর পথে লড়াই করবে কিংবা নিহত হবে বা বিজয়ী হবে, তাদেরকে আমি অবশ্যই বিরাট ফল দান করবো।”- (কোরান, ৪/৭৪)
এবং এই বিরাট ফল যে কী, তা আপনারা অনেকেই জানেন, বেহেশতের ৭২ বেশ্যা, অগণিত হিজড়া গেলমান আর সুস্বাদু খাবার দাবার। হ্যাঁ, মুসলমান নামের এই সন্ত্রাসীদেরকে সন্ত্রাসীদের গড আল্লা ঠিক এরকমই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছ। এটাও যদি বিশ্বাস না হয়, দেখুন নিচে-
"তাদেরকে বলা হবে, খাও, পান কর, স্বাদ ও মজা সহকারে, তোমাদের সেই সব কাজের প্রতিফলরূপে, যা তোমরা করেছিলে।”- (কোরান, ৫২/১৯)
এখন বলেন, কোনো মুসলমানের পক্ষে কি সন্ত্রাসী না হয়ে উপায় আছে ? এমন কি কোনো অমুসলিমও যদি ইসলাম গ্রহন করে, তাকেও এই সব মানতে হবে এবং সে সন্ত্রাসী হতে বাধ্য, ঠিক এরকমই ৬ টি ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে; ৬ জন হিন্দু ছেলে ইসলাম গ্রহণ করে জঙ্গী হয়ে গেছে; মুসলিম হয়েই এরা অমুসলিমদের মেরে বেহেশতে যেতে শহীদ হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
যারা জন্মগত ভাবে মুসলিম, তারা তো সন্ত্রাসের জিন ডিএনএ তে বহন করেই এনেছে, তাদের কথা না হয় বাদ ই দিলাম, কিন্তু যে কয়েকটি হিন্দু ছেলে মাত্র কয়েকবছর আগে মুসলমান হয়েছে, তাদেরকে ভালো মানুষ বানানোর পরিবর্তে, ইসলাম শেষ পর্যন্ত তাদেরকে জঙ্গী-সন্ত্রাসী বানিয়ে ছেড়েছে, এখন আপনারাই বলেন, ইসলাম সন্ত্রাসীদের ধর্ম কি না ?
জয় হিন্দ।
From: Krishna kumar das

💜 জয় হোক সনাতনের 💜

রথযাত্রা


   রথযাত্রা



    ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন               প্রণব কুমার কুণ্ডু



জগন্নাথ (অর্থাৎ, "জগতের নাথ" বা "জগতের প্রভু") হলেন একজন হিন্দু দেবতা। ভারতের ওড়িশা, ছত্তীসগঢ় (বস্তার অঞ্চল), পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসম, মণিপুর ও ত্রিপুরা রাজ্যে এবং বাংলাদেশে তাঁর পূজা প্রচলিত। জগন্নাথ হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণু বা তাঁর অবতার কৃষ্ণের একটি বিশেষ রূপ।তাঁকে তাঁর দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে পূজা করা হয়।
জগন্নাথের মূর্তি সাধারণত কাঠে তৈরি করা হয়। এই মূর্তির চোখদুটি বড়ো বড়ো ও গোলাকার। হাত অসম্পূর্ণ। মূর্তিতে কোনো পা দেখা যায় না। জগন্নাথের পূজাপদ্ধতিও অন্যান্য হিন্দু দেবতাদের পূজাপদ্ধতির চেয়ে আলাদা। ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরে জগন্নাথের প্রধান মন্দিরটি অবস্থিত। এই মন্দির হিন্দুধর্মের চারধামের অন্যতম।
বেদে জগন্নাথের সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই। তিনি দশাবতার অথবা বৈদিক হিন্দু দেবমণ্ডলীর সদস্যও নন।অবশ্য কোনো কোনো ওড়িয়া গ্রন্থে জগন্নাথকে বিষ্ণুর নবম অবতার রূপে বুদ্ধের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। বিষ্ণুর রূপভেদ হিসেবে জগন্নাথ এক অসাম্প্রদায়িক দেবতা। তাঁকে এককভাবে হিন্দুধর্মের কোনো একটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত করা যায় না। বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, স্মার্ত সকল শাখার অনুগামীরাই জগন্নাথকে পূজা করেন। এমনকি বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মসম্প্রদায়ের সঙ্গেও জগন্নাথের যোগ দেখানো হয়।
জগন্নাথের সবচেয়ে বিখ্যাত উৎসবটি হল রথযাত্রা। এই উৎসবের সময় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি মূল মন্দিরের (বড় দেউল) গর্ভগৃহ থেকে বের করে এনে কাঠের তৈরি তিনটি বিরাট রথে করে প্রায় ৩ কিলোমিটার (১.৯ মা) দূরে গুণ্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভক্তরাই এই রথগুলি টেনে নিয়ে যান। যেখানেই জগন্নাথ মন্দির আছে, সেখানেই এই ধরনের রথযাত্রা আয়োজিত হয়।
#ব্যুৎপত্তি
“ তাঁদের মতে, "জগন্নাথ" শব্দটি "লোকনাথ" বা "অবলোকিতেশ্বর" শব্দদুটির মতো একটি বর্গনাম। আসলে যে দেবতাকেই সর্বোচ্চ জ্ঞান করা হয়, তাঁকেই "জগন্নাথ" বলা চলে। ”
"জগন্নাথ" শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ "জগত বা ব্রহ্মাণ্ডের প্রভু"।
জগন্নাথ" কথাটি তৎপুরুষ সমাস। এটি "জগৎ" (যার মূল ধাতু "গম্‌", অর্থাৎ "[যা কিছু] চলে") এবং "নাথ" (অর্থাৎ, প্রভু বা আশ্রয়) শব্দটির সংমিশ্রণে গঠিত। অর্থাৎ, "জগন্নাথ" শব্দের অর্থ "যিনি চলমান জগতের আশ্রয় বা প্রভু"।
ওড়িয়া ভাষায় "জগন্নাথ" নাম থেকে উৎপন্ন "জগা" বা "জগবন্ধু" শব্দদুটিরও প্রচলন লক্ষ করা হয়। এছাড়া জগন্নাথের মূর্তির গড়ন অনুসারে তাঁর "কাল্য" (অর্থাৎ, "কালো দেবতা" বা "কালের দেবতা"), "দারুব্রহ্ম" (অর্থাৎ, কাষ্ঠরূপী ব্রহ্ম), "দারুদেবতা" (অর্থাৎ, কাঠের দেবতা), "চকাক্ষী", "চকাদোলা বা "চকানয়ন" (অর্থাৎ, যে দেবতার চোখ গোলাকার) নামও প্রচলিত।
কোনো কোনো গবেষকের মতে, "জগন্নাথ" শব্দটি কোনো সংস্কৃতায়িত আদিবাসী শব্দ। এই গবেষকেরা জগন্নাথকে মূলত আদিবাসী দেবতা মনে করেন। ওড়িশার আদিম আদিবাসী সরভরা ছিল বৃক্ষ-উপাসক। তারা তাদের দেবতাকে বলত "জগনাত"। সম্ভবত, এই শব্দটি থেকে "জগন্নাথ" শব্দটি এসেছে।যদিও এই সব মতবাদ সর্বজনসম্মত নয়। "দৈতাপতি" নামে পরিচিত একটি অব্রাহ্মণ পুরোহিত শ্রেণী দাবি করে, তাঁরা বিশ্ববাসু নামে এক সরভ জগন্নাথ-ভক্তের বংশধর। তাঁরা পুরীর মন্দিরের কয়েকটি প্রধান উৎসব পালন করেন এবং ঈশ্বরের পরিবার নামে পরিচিত হন।
#তাত্ত্বিক #ব্যাখা
হিন্দুদের কোনো কোনো সম্প্রদায় জগন্নাথকে বিষ্ণুর অবতার মনে করে। আবার কোনো কোনো সম্প্রদায়ে তাঁকে সকল অবতারের উৎস বিষ্ণু মনে করা হয়।মনে করা হয়, অবতারেরা সকল জাগতিক সৃষ্টির কারণ জগন্নাথের থেকে উৎসারিত। তাই রাম, কৃষ্ণ প্রমুখ অবতারের মতো জগন্নাথের কোনো জীবনবৃত্তান্ত বা লীলা নেই।
দীপ্তি রায় তাঁর প্রতাপরুদ্র দেব (ওড়িশার শেষ উল্লেখযোগ্য সূর্যবংশীয় রাজা) গ্রন্থে লিখেছেন:
"সরল দাসের মতে, বিষ্ণুর (জগন্নাথ) সকল অবতার তাঁর থেকেই উৎসারিত এবং তাঁদের লীলা অবসানের পর জগন্নাথেই বিলীন হয়ে যান। প্রতাপরুদ্র দেবের আমলে ওড়িয়া কবিরা এই ধারণা গ্রহণ করে তাঁদের বইতেই এই মতবাদ প্রচার করতেন। তাঁদের মতে, জগন্নাথ শূন্য পুরুষ, নিরাকার ও নিরঞ্জন। নীলাচলে লীলার জন্য তিনি সর্বদা উপস্থিত থাকেন;... প্রতাপরুদ্র দেবের আমলে ওড়িশার পাঁচটি বৈষ্ণব শাখা তাঁদের ধর্মগ্রন্থে জগন্নাথকে (পুরুষোত্তম) পূর্ণব্রহ্মরূপে প্রচার করেন। তাঁরাও বলেছেন, জগন্নাথের থেকেই রাম, কৃষ্ণ প্রমুখ অবতারেরা উৎসারিত হয়ে জগতে লীলা করেছেন এবং লীলার অন্তে পূর্ণব্রহ্মে লীন হয়েছেন।
জগন্নাথের মধ্যে বিষ্ণুর সকল অবতারের চিহ্ন আছে। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁকে বিষ্ণুর এক-একটি অবতারের মূর্তিতে পূজা করা হয়। বিভিন্ন প্রথা-রীতিনীতি থেকেও জগন্নাথের সঙ্গে নানা অবতারের যোগ লক্ষিত হয়। যদিও তাঁকে বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত করা হয়ে থাকে। পুরাণে আছে, বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতার কাঠের স্তম্ভ ভেঙে বেরিয়েছিলেন। তাই জগন্নাথকে দারুব্রহ্ম রূপে নৃসিংহ স্তোত্র পাঠ করে পূজা করা হয়। জগন্নাথকে এককভাবে পূজা করার সময় বলা হয় "দধিবামন"। প্রতি বছর ভাদ্র মাসে জগন্নাথকে বিষ্ণুর বামন অবতারের বেশে পূজা করা হয়। বার্ষিক রথযাত্রার সময়ও জগন্নাথকে বামন রূপে পূজা করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে তুলসীদাস পুরীতে এসে জগন্নাথকে রঘুনাথ (রাম) রূপে পূজা করেছিলেন। চৈতন্য মহাপ্রভুর সময় থেকে জগন্নাথকে কৃষ্ণের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। আবার বিষ্ণুর নবম অবতার বুদ্ধকেও জগন্নাথ মনে করা হয়। যদিও বিষ্ণুর নবম অবতার রূপে বুদ্ধের বদলে জগন্নাথকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াসটি বিতর্কিত প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, জগন্নাথ দায়িত্বশীল পুত্রের মতো তাঁর সকল মানব অবতারের বাবা-মায়ের বাৎসরিক শ্রাদ্ধকার্য করে থাকেন।
জগন্নাথ মন্দিরে ভক্তদের মধ্যে জাতিভেদ প্রথা কখনই ছিল না। হিন্দুধর্মের সকল সম্প্রদায়ে জগন্নাথের পূজা হয়। তিনি শুধু বৈষ্ণব দেবতা নন, সকল সম্প্রদায়ের দেবতা। জগন্নাথকে তান্ত্রিক ক্রিয়ার সার মনে করা হয়। শৈব ও শাক্তরা জগন্নাথকে দেবী বিমলার ভৈরব অর্থাৎ শিব মনে করেন। এমনকি জগন্নাথ মন্দিরের পূজারিরাও শাক্ত সম্প্রদায়ভুক্ত। যদিও এই মন্দিরে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রভাবই সবচেয়ে বেশি।বলরামকেও শিব ও সুভদ্রাকে দুর্গা মনে করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, ভক্তদের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য জগন্নাথ যে কোনো দেবতার রূপ ধরতে পারেন। ভাগবত পুরাণে আছে, ঋষি মার্কণ্ডেয় পুরুষোত্তম জগন্নাথ ও শিবের একত্ব প্রমাণ করেন। মহারাষ্ট্রের গণপতি ভট্ট হাতিবেশের সময় জগন্নাথকে গণেশ রূপে পূজা করেছিলেন।
#পৌরাণিক #উপাখ্যান #কাহিনি
জগন্নাথদেবকে কেন্দ্র করে দুটি জনপ্রিয় কাহিনি প্রচলিত আছে। প্রথম কাহিনি অনুসারে, কৃষ্ণ তাঁর ভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের সম্মুখে আবিভূর্ত হয়ে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাষ্ঠখণ্ড দিয়ে তাঁর মূর্তি নির্মাণের আদেশ দেন। মূর্তিনির্মাণের জন্য রাজা একজন উপযুক্ত কাষ্ঠশিল্পীর সন্ধান করতে থাকেন। তখন এক রহস্যময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কাষ্ঠশিল্পী তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন এবং মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন। সেই কাষ্ঠশিল্পী রাজাকে জানিয়ে দেন মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেন। বন্ধ দরজার আড়ালে শুরু হয় কাজ। রাজা ও রানি সহ সকলেই নির্মাণকাজের ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রতিদিন তাঁরা বন্ধ দরজার কাছে যেতেন এবং শুনতে পেতেন ভিতর থেকে খোদাইয়ের আওয়াজ ভেসে আসছে। ৬-৭ দিন বাদে যখন রাজা বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন এমন সময় আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়। অত্যুৎসাহী রানি কৌতূহল সংবরণ করতে না পেরে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। দেখেন মূর্তি তখনও অর্ধসমাপ্ত এবং কাষ্ঠশিল্পী অন্তর্ধিত। এই রহস্যময় কাষ্ঠশিল্পী ছিলেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। মূর্তির হস্তপদ নির্মিত হয়নি বলে রাজা বিমর্ষ হয়ে পড়েন। কাজে বাধাদানের জন্য অনুতাপ করতে থাকেন। তখন দেবর্ষি নারদ তাঁর সম্মুখে আবির্ভূত হন। নারদ রাজাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন এই অর্ধসমাপ্ত মূর্তি পরমেশ্বরের এক স্বীকৃত স্বরূপ।
দ্বিতীয় কাহিনিটির অবতারণা করা হয়েছিল পূর্বোল্লিখিত উপখ্যানটির ব্যাখ্যা ও সংশয় নিরসনের উদ্দেশ্যে। বৃন্দাবনে গোপীরা একদিন কৃষ্ণের লীলা ও তাঁদের কৃষ্ণপ্রীতির কথা আলোচনা করছিলেন। কৃষ্ণ গোপনে সেই সকল কথা আড়ি পেতে শুনছিলেন। কৃষ্ণভগিনী সুভদ্রাকে নিয়োগ করা হয়েছিল গোপীরা যখন কৃষ্ণের কথা আলোচনা করেন তখন কৃষ্ণ যেন তাঁদের নিকটবর্তী না হতে পারে সেদিকে নজর রাখার জন্য। কিন্তু গোপীদের কৃষ্ণপ্রীতি দেখে পরিতুষ্ট সুভদ্রা তাঁদেরই কথা শুনতে শুনতে বিমোহিত হয়ে গেলেন। দেখতে পেলেন না যে তাঁদের দুই দাদা কৃষ্ণ ও বলরাম এগিয়ে আসছেন। শুনতে শুনতে দুই ভাইয়ের কেশ খাড়া হয়ে উঠল, হাত গুটিয়ে এল, চোখদুটি বড় বড় হয়ে গেল এবং মুখে আনন্দের উচ্চ হাসির রেখা ফুটে উঠল। এই কারণেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার এইপ্রকার রূপ। বৈষ্ণবরা কৃষ্ণের এই বিমূর্ত রূপটিকে পূজা করেন।
#জগন্নাথ #মন্দির
পুরীর জগন্নাথ মন্দির ভারতের অন্যতম প্রসিদ্ধ মন্দির। জগন্নাথ-আরাধনার ইতিবৃত্ত এতই প্রাচীন যে এর কোনো ঐতিহাসিক রেকর্ড পাওয়া সম্ভব নয়। জগন্নাথ মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কলিঙ্গ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মন্দিরটি শ্রীমন্দির নামে সমধিক পরিচিত। গর্ভগৃহের মাথায় রয়েছে একটি সুউচ্চ শিখর বা চূড়া। প্রদীপ উৎসর্গের জন্য রয়েছে ফসিল হয়ে যাওয়া কাঠের একটি স্তম্ভ। মন্দিরের প্রধান দ্বার সিংহদ্বারের রক্ষক দেবতা জয় ও বিজয়। মূল প্রবেশপথের সামনে রয়েছে অরুণস্তম্ভ নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। খুরদার রাজা কোনার্কের সূর্যমন্দির থেকে এটি নিয়ে আসেন।
তিন দেবতাকে সাধারণত মন্দিরের অভ্যন্তরেই পূজা করা হয়। তবে প্রতি বছর আষাঢ় মাসে তাঁদের রাজপথে বের করে রথারূহ করে তিন কিলোমিটার দূরে মৌসিমা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময় ভক্তরা দেবতাকে গণদর্শনের সুযোগ পান। এই বিরাট বিরাট রথগুলি প্রতি বছর কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হয়। এই সুদীর্ঘ রথগুলিই ইংরেজি শব্দ 'juggernaut'-উৎস। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর কৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী রূপে পালিত হয়ে থাকে এই রথযাত্রা উৎসব। রথযাত্রার সময় সারা পৃথিবী থেকে এখানে ভক্ত সমাগম হয়। পুরীর রাজা রথের সম্মুখে রাস্তা ঝাঁট দেন।
তথ্য সৌজন্যে:চিরঞ্জীৎ দাস

#TG_সংগৃহীত