মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭

হাঁচি কাশি নাকঝাড়া ( গদ্য )




সাদা কথায় স্বাস্থ্য ভাবনা


হাঁচি কাশি নাকঝাড়া




হাঁচি কাশি নাকঝাড়া, রোগজীবাণু আর ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম হতে পারে !
হাঁচবার সময়, কাশবার সময়,  মুখে কাপড়চাপা  দেওয়াই উচিত।
সেটা স্বাস্থ্যসম্মত একটা  সু্প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া।
স্বাস্থ্য সম্বন্ধে আগেকার পাঠ্য পুস্তকে লেখা থাকত।
এখন আমরা অনেক এগিয়েছি, অথচ সঠিক স্বাস্থ্যবিধি পালন করছি না।

দেখবেন, কেউ আপনার মুখের সামনেই হেঁচে দিল।
কেশে গয়ের রাস্তায় ফেললো, পাশের নর্দমাতেও নয়।

নাক ঝাড়লো।
জোরে হ্যাঁচ-চো করে নিঃস্বাস ফেললো পাঁচজনের সামনে বাতাসে।

হাঁচি কাশি, নাক ছ্যাঁত-এর ক্ষুদ্রক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলো, ষ্ঠীবন-নিষ্ঠীবন, বাতাসে বাতাসে ভাসলো।

সুসভ্য দেশে, ভদ্র, বাঞ্ছিত নাগরিকদের, ওটা, ঈপ্সিত ইচ্ছা কখনই হতে পারে না !

বাড়িতে ঘরের মেঝেতে কী  কেউ,  কফ-শিকনি, নাসারন্ধ্র থেকে নির্গত শ্লেষ্মা, নাকের পোঁটা ইত্যাদি ফেলে ?
কিংবা নাকের নিচের শিকনিদানিতে ঝোলা শ্লেষ্মা, সজোরে নাকের ভেতর টেনে নিয়ে, নাসাবিলের মাধ্যমে, মুখ দিয়ে
যেখানে সেখানে ওয়াক-থু করে ?

শিশুর পোঁটা নাক চিপে বার করে নিয়ে, দেয়ালে পুঁছে দেয় !
হাতও  ঠিকমত ধোয় না।

এভাবে রোগসৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস একজনের থেকে অন্যজনে সংক্রমণ হতে পারে।

বললাম হতে পারে।
তাহলে তো রোগও হতে পারে !

কাজেই সাবধান !
এভাবে যত্রতত্র,  যেখানে সেখানে,হাঁচি কাশি নাকঝাড়া,  ফেনাযুক্ত মুখলালা,  ইত্যাদি ছড়ানো বন্ধ হোক !

ওটা অনিষ্ঠকর বদ অভ্যেস !
একজনের দেখাদেখি অন্যেরাও  শিখবে !
স্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্যবিধি সবাই মেনে চলুক।
সবার ভালো হবে।
অসুস্থতা দূরে থাকবে।




Pranab Kumar Kundu

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন