শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২

নেহেরু ও কমলা নেহেরু

 

ফটোর কোনো বিবরণ নেই।
ভদ্র মহিলা জওহরলাল নেহরুর স্ত্রী কমলা নেহেরু।,টিবি রোগে আক্রান্ত হবার কারণে উত্তরখন্ড আলমোড়ার পাহাড়ি এলাকার হাসপাতালে ছেড়ে এসেছিলেন। টিবি হবার পর ও কমলা নেহেরু 10 বছর বেঁচে ছিলেন কিন্তু জওহরলাল বিদেশ ভ্রমণ করলেও এক দিনের জন্যও স্ত্রী কে দেখতে যান নি!!নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জানার পর কমলা নেহেরুকে দেখতে যান এবং উন্নত মানের চিকিৎসার জন্য সেই সময় 70 হাজার টাকা জোগাড় করে ভালো হাসপাতালে ভর্তি করান ।কিন্তু কমলা নেহেরু মনের দিক থেকে ভেঙে পরেছিলেন। কমলা নেহেরুর মৃত্যুর 10দিন আগে নেতাজী জওহরলাল কে খবর দিয়েছিলেন তবুও তিনি যাননি, অবশেষে মৃত্যু হলেও তার শেষকৃত্য সম্পূর্ণ করার জন্যও যান নি, অবশেষে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কমলা নেহেরুর অন্তিম কাজ শেষ করেছিলেন।।

ইতিহাস এর পাতা থেকে আজ এগুলো উধাও হয়ে গেছে।

তথ্যসূত্র -M O MATHAI এর লেখা, নেহেরুর কীর্তি
Pranab Kumar Kundu
1টি কমেন্ট
2 বার শেয়ার করা হয়েছে
লাইক করুন
কমেন্ট করুন
শেয়ার করুন
1টি কমেন্ট

কোরান


কোরানের আল্লা





কোরান





কাঠমোল্লা এর ব্লগ

কোরানের আল্লাহই আসলে..... 

লিখেছেন: কাঠমোল্লা — বুধ, 09/20/2017 - 13:12


প্রতিটা ধর্মে দেখা যায় , শুভ শক্তির আধার সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর , আর অপশক্তির আধার শয়তান বা এ জাতীয় কেউ। কোরানে সেই ইশ্বরকে আল্লাহ নামে ডাকা হয়েছে। এখন কোরান পড়লে আল্লাহর যে চরিত্র বা কাজ কর্ম দেখি , তাতে দ্ব্যর্থহীন ভাবে প্রমাণিত হয় যে , এই আল্লাহই আসলে শয়তান। যেমন - আল্লাহ হবে ন্যায়বান , সমদর্শী , ন্যায় বিচারক , দয়ালু ইত্যাদি। কিন্তু কোরানের আল্লাহকে দেখা যায় , সে নির্মম নিষ্ঠুর কুটিল অনৈতিক এবং এমন কি অপরাধ কার্যক্রমের দোসর- যা আসলে শয়তানের বৈশিষ্ট্য হবে। নিচে বিভিন্ন পয়েন্ট দেখান হলো , কেন আল্লাহই আসলে শয়তান।

১। দাসপ্রথা নিশ্চিতভাবেই একটা অমানবিক ,অনৈতিক বিধান। কোরান সেই দাসপ্রথাকে বহাল রেখে বলেছে - দাসীদের সাথে যৌনসঙ্গম করা যাবে, যেমন ---
সুরা মুমিনুন- ২৩: ৫-৬: এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।

২। অসহায় নারী ধর্ষণ নিশ্চিতভাবেই একটা সীমাহীন অমানবিক ও বর্বর কাজ। কোরান সেই বিধান চালু করেছে , যেমন ----
দুধপান অধ্যায় ::সহিহ মুসলিম :: খন্ড ৮ :: হাদিস ৩৪৩২

উবায়দুল্লাহ ইবন উমর ইবন মায়সারা কাওয়ারীরী (র)......।আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সা) হুনায়নের যুদ্ধের সময় একটি দল আওতাসের দিকে পাঠান । তারা শক্রদলের মুখোমুখী হয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করে জয়লাভ করে এবং তাদের অনেক কয়েদী তাদের হস্তগত হয় । এদের মধ্য থেকে বন্দিনী নারীদের সাথে সহবাস করা রাসুলুল্লাহ (সা) -এর কয়েকজন সাহাবী যেন না জায়িয মনে করলেন, তাদের মুশরিক স্বামী বর্তমান থাকার কারণে । আল্লাহ তায়ালা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন "এবং নারীর মধ্যে তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধ্বা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ-, অর্থাৎ তারা তোমাদের জন্য হালাল, যখন তারা তাদের ইদ্দত পূর্ণ করে নিবে(নিসা-৪:২৪)"।*******

৩। চুরি ডাকাতি একটা অনৈতিক ও অপরাধ মূলক কাজ। কোরান বলেছে সেই চুরি ডাকাতি হলো পবিত্র জিহাদ , আর লুট করা মালামাল গণিমতের মাল হিসাবে ভাগাভাগি করতে হবে। যেমন -

সুরা বাকারা - ২: ২১৭ নং আয়াতটা নাজিল হয়েছিল মুহাম্মদ কর্তক অসময়ে একটা ডাকাতিকে বৈধ করতে। সেই ডাকাতির মালামাল কিভাবে বন্টন করতে হবে , সেটা বলা আছে সুরা আনফালে।

৪। মিথ্যা কথা বলা বা প্রতারণা করা নিশ্চিতভাবেই একটা অনৈতিক ও অপরাধ মূলক কাজ। কিন্তু কোরান বলেছে আল্লাহ নিজেই মহা প্রতারক, আর মুসলমানরা প্রয়োজনে মানুষকে প্রতারণা করতে পারবে। যেমন --

সুরা - ইমরান - ৩: ৫৪: বরং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও প্রতারণা করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম চক্রান্তকারী।
সুরা রাদ - ১৩: ৪২: তাদের পূর্বে যারা ছিল, তারা চক্রান্ত করেছে। আর সকল চক্রান্ত তো আল্লাহর হাতেই আছে। তিনি জানেন প্রত্যেক ব্যক্তি যা কিছু করে। কাফেররা জেনে নেবে যে, পর জীবনের আবাসস্থল কাদের জন্য রয়েছে।

৫। পরকীয়া নিশ্চিতভাবেই একটা অনৈতিক কাজ। কোরানের আল্লাহ তার নবীকে পরকীয়া করার বিধান দিয়েছে। মুহাম্মদ জায়েদের স্ত্রী জয়নাবের প্রেমে পড়ে- এটা একটা পরকীয় ও অনৈতিক কাজ। কোরানের আল্লাহ আয়াত নাজিল করে , অত:পর মুহাম্মদ ও জয়নাবের মধ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করে।

৬। শুধুমাত্র বিশ্বাস না করার কারণে কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বা হত্যা করা নিশ্চিতভাবেই একটা জঘন্য অপরাধের কাজ, হিংস্রতা ও নিষ্ঠুরতা। কিন্তু কোরানের আল্লাহ বলছে ,তাকে যদি কেউ বিশ্বাস না করে , তাহলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাকে হত্যা করতে হবে। যেমন ---
সুরা তাওবা -৯:৫: অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সুরা তাওবা -৯: ২৯: তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসুল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
আরও বহু বৈশিষ্ট্য আছে , যার দ্বারা দেখা যাবে , কোরানের আল্লাহর যে সব বৈশিষ্ট্য বর্তমান , তা হুবহু শয়তানের বৈশিষ্টের অনুরূপ। তাই দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায় , কোরানের আল্লাহই আসলে....।



ফেসবুক থেকে : প্রণব কুমার কুণ্ডু।