অন্নপূর্ণা
দেবী পার্বতী, শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন, 'মা অন্নপূর্ণা' রূপে, তিনি নিজেই আবির্ভূতা হয়েছিলেন !
সেই দিন তিনি নিজেই, প্রথম বারের জন্য, হেঁসেলে গিয়েছিলেন !
কাঠ জ্বেলে, কাঠের আগুনে, অন্ন ব্যঞ্জন পায়সান্ন, রান্না করেছিলেন !
উনি তো আর পরিমাণ জানতেন না, তাই, রাঁধতে রাঁধতে, অন্নকূট পরিমাণ, রান্না করে ফেলেছিলেন !
স্বামী মহাদেবকে সেই অন্ন ইত্যাদি পেটপুরে ভোজন করিয়েছিলেন !
হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেছিলেন !
মহাদেব চেটেপুটে সব খেয়েছিলেন ! এমন কি ভুল করে কলাপাতাটাও খেয়ে ফেলেছিলেন !
তাই দেখে পার্বতী খুব হেসেছিলেন !
মহাদেবকে খাইয়ে দেবী পার্বতী এমন আপ্লুত হয়েছিলেন, যে, তিনি আর দেবী পার্বতী অবয়বে, হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, অসুর নিধনে, ফিরে যান নি !
শরীরের বর্ম-টর্মগুলোও খুলে ফেলেছিলেন !
তারপর থেকে দেবী অন্নপূর্ণা রূপেই, তিনি, হয়েছিলেন মান্যি !
অন্নপূর্ণা এমনিতে দ্বিভুজা !
তাঁর বাম হাতে সোনার অন্নপাত্র, ডান হাতে রূপোর হাতা !
শিবঠাকুর কাঁচুমাচু মুখে, তাঁর প্রসারিত ডান হাত এগিয়ে রেখেছগন, ভিক্ষা অন্ন পাবেন বলে !
তবে দক্ষিণামূর্তি সংহিতায়, অন্নপূর্ণা চতুর্ভুজা !
কাশীতে চতুর্ভুজা অন্নপূর্ণার মূর্তি, অন্নপূর্ণা মন্দিরে, প্রতিষ্ঠিতা আছেন !