রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

হংস [ দুই ]


হংস [ দুই ]


হংস মন্দগামী। হংসই রাজহাঁস। মরাল। সিতপক্ষ।

( এখানে  দেশিহাঁস বা স্থানীয় হাঁস বা পাতিহাঁস সম্বন্ধে বলা হচ্ছে না ! )

হংস সম্বন্ধে ঋগ্বেদে উল্লেখ আছে ! ( ঋগ্বেদ ২.৩৪৫ )।

ঋগ্বেদের বর্ণনায়, 'হংস'  'পৌরাণিক' পাখি !
সেই পাখি 'মিশ্রিত' সোমজল থেকে বিশুদ্ধ 'সোমরস' পান করত !

হংস 'অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের' বাহন ! ( ঋগ্বেদ ৪.৪৫.৪ )।

হংসেরা বর্ষার আগমনে 'বিহারের' জন্য 'মানস সরোবরে' যেত !
মানস সরোবরের পরিষ্কার জল,  সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ,  হংস-হংসীদের  জলক্রীড়ায়,  রতিক্রীড়ায়  উদ্বুদ্ধ করত !

'হংস' 'ব্রহ্মা' 'সরস্বতী' এবং 'বরুণ' দেবতাদেরও বাহন ! ( বৃহৎ সংহিতা ৫৮.৫৭ )।

বরুণদেবতা।
সমুদ্র জল বৃষ্টি ও পশ্চিমদিকের অধিদেবতা, প্রচেতা !



*  সূত্র  'বঙ্গীয় শব্দকোষ', পৃষ্ঠা ২৩১৮-৯।

হংস [ এক ]


হংস [ এক ]


হংস ( হাঁস ) বাহন হিসাবে দুজনেই ভাগ করে নিয়েছেন !

ব্রহ্মা নিয়েছেন !
সে কারণে ব্রহ্মা হংসবাহন, হংসারূঢ়, হংসরথ, ইত্যাদি !

দেবী সরস্বতীও হংস বাহন হিসাবে বেছে নিয়েছেন !
তখন তিনি হংসবাহনা, হংসবাহিনী, হংসারূঢ়া প্রভৃতি !

আকাশে ভেসে বেড়ানো হাঁসের দলকে বলে 'হংসমালা' !

হাঁসেদের রাজা  'রাজহাঁস' !

স্থূল শরীর সূক্ষ্ম শরীর কারণ শরীর


স্থূল শরীর সূক্ষ্ম শরীর কারণ শরীর


আমাদের স্থূলশরীর  সূক্ষ্মশরীর এবং  কারণশরীরও,  সময়ের সাথে সাথে,  প্রতি মুহূর্তে,  প্রতিক্ষণে,  পরিবর্তিত হচ্ছে !

 এক সময় আসে, যখন শেষ অবধি,  ঐ শরীর সমষ্টিরও নাশও  হয়ে যায়.....


জীবাত্মা, স্থূলশরীরে, সূক্ষ্মশরীরে এবং কারণশরীরে, প্রাণের সঙ্গে স্থিত থাকেন !

প্রাণ না থাকলেও,  সেখানে,  শাস্ত্রের ধারণা অনুযায়ী,  পরমাত্না সব সময়েই স্থিত থাকেন !


বাস্তবে, আমাদের স্থূল শরীর, কাজকর্ম করে।
সূক্ষ শরীর, চিন্তা করায়।
কারণশরীরে 'সমাধি' আসে।
* সূত্র  'গীতারসামৃত' পৃষ্ঠা ৪০৬।



*  সূত্র  'সাধক সঞ্জীবনী', গীতা প্রেস।

আমাদের স্বপ্ন অবস্থা


আমাদের স্বপ্ন অবস্থা


আমাদের স্বপ্ন অবস্থায়, আমাদের সূক্ষ্ম শরীরের প্রাধান্য থাকে !

কারণশরীর সঙ্গে থাকে !

স্বপ্ন অবস্থায়, স্থূল শরীর, সুপ্ত হিসাবে থাকে !

সুপ্ত।
গৌণ অর্থে, অব্যক্ত। প্রচ্ছন্ন।

স্বপ্ন।
ঘুমের মধ্যে প্রত্যক্ষবৎ অনুভূত বিষয় ! ঘুমের মধ্যে কোন বিষয়ের প্রত্যক্ষবৎ অনুভব !



*  সূত্র  'সাধক সঞ্জীবনী',  গীতা প্রেস।

আমাদের জাগ্রত অবস্থা


আমাদের জাগ্রত অবস্থা


আমাদের জাগ্রত অবস্থায়, স্থূল শরীরের প্রাধান্য থাকে !

সূক্ষ্মশরীর এবং কারণশরীরও,  সঙ্গে  থাকে !

জাগ্রত।
জাগ্রৎ। সজাগ। জেগে আছে এমন। জাগরণশীল। বিনিদ্র। ঐশশক্তি প্রদর্শক ! স্ত্রী-জাগ্রতী।

জাগ্রৎ। জীবের শব্দ ইত্যাদি বিষয় জ্ঞানের অবস্থা বিশেষ।

জাগ্রদবস্থা। গুণত্রয়াত্মক বুদ্ধির বৃত্তি বিশেষ !

জাগ্রত।
সতর্ক। সচেতন। অবহিত।

আমাদের সুষুপ্তি অবস্থা


আমাদের সুষুপ্তি অবস্থা



আমাদের 'সুষুপ্তি অবস্থা',   'কারণ শরীরেই'  হয় !

'সুষুপ্তি' আসলে 'সুষপ্ত' অবস্থা।

সুষপ্ত যেখানে গভীর নিদ্রা, সেখানে, সু-স্বপ্ + ক্ত ভাব। বি ; ক্লী।
'সুুষপ্ত অবস্থা'। 'গভীর নিদ্রা' অবস্থা।

সুষপ্ত যেখানে গভীর ভাবে  নিদ্রিত, সেখানে, সু-স্বপ্ + ক্ত কর্তৃ। বিণ।
তখন আমরা 'গভীর' 'নিদ্রা অবস্থায়' মগ্ন !

সুষুপ্তি--গাঢ় নিদ্রা। সু-স্বপ্ ( নিদ্রা যাওয়া ) + ক্তি ভাব। বি ; স্ত্রী।


'স্থূল'  বা  'সূক্ষ্ম' শরীরে,  সুষুপ্তি  অবস্থা হয় না !

সুষুপ্তিতে, স্থূলশরীর, যা 'অন্নময় কোশ', তার জ্ঞান থাকে না !

সুষুপ্তিতে,  সূক্ষ্মশরীরের,  যা  'প্রাণময় কোশ',  'মনোময় কোশ', এবং  'বিজ্ঞানময় কোশের' সমবায়, তার জ্ঞান থাকে না !
সূক্ষ্ম শরীরের মন-বুদ্ধিও 'অজ্ঞানে' লীন হয়ে যায় !

সুষুপ্তি অবস্থা,  কেবলমাত্র  'কারণ শরীরে'ই হয় !

আমাদের জাগ্রত ও স্বপ্ন অবস্থায়, সুখ দুঃখের অনুভূতি থাকে।

কিন্তু, সুষুপ্তি অবস্থায়, দুঃখ অনুভূত হয় না !

সুষুপ্তি অবস্থায়,  শুধু সুখ,  শুধু  সুখের অনুভূতি হয় !

সেই জন্যই, 'কারণ শরীর', কেবলমাত্র, "আনন্দময়", 'আনন্দময় কোশে' ভরপুর !