শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬

নৈহাটির অঙ্কের মাস্টার মশাই নলিনী বাবু

নৈহাটির অঙ্কের মাস্টার মশাই নলিনী বাবু



শ্রী নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস, সুযোগ্য সুপ্রশংসিত অঙ্কের মাস্টার মশাই !

নৈহাটির মহেন্দ্র স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেছেন, ১৯৫৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে।
রিটায়ার  করেন ১৯৯৬ সালের ৩০শে জুলাই।
তখন নলিনীবাবুর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
সুদীর্ঘ একচল্লিশ বছর পর্যন্ত স্কুলে তাঁর শিক্ষকতার জীবন।

ছাত্রদের কাছে, অভিভাবকদের কাছে, তিনি ছিলেন সম্মানীয় নলিনী বাবু।

প্রাইভেট টিউশনও করতেন।
প্রাইভেটে বি.এস.সি লেভেল পর্যন্ত, ছাত্র-ছাত্রীদের অঙ্কশাস্ত্র শিক্ষা দিতেন।
ইনজিনিয়ারিং-এর ছাত্র-ছাত্রীরাও, তাদের প্রথম বর্য চলাকালীন, তাঁর কাছে অঙ্ক শিখতে আসত।

নলিনীবাবুর মতো, অঙ্কশাস্ত্রে শিক্ষা দেওয়ার মতন শিক্ষক, বিরল !

তাঁকে সম্মান জানাচ্ছি !

নলিনীবাবুর জন্ম ১৯৩১ সালের ১লা জুলাই। মৃত্যু ২০১৫ সালের ২৫শে ডিসেম্বর, বড়দিনের দিন।

সূর্যকে নিয়ে পৌরাণিক গল্প




                                                                                      সূর্যকে নিয়ে পৌরাণিক গল্প

সূর্যের সাথে বিয়ে হয়েছিল সংজ্ঞার।

সংজ্ঞা সূর্যের তেজ সহ্য করতে পারত না !

চোখ কুঁচকে থাকত !
শরীর জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যেত !

সেই অসুবিধা দূর করতে, সংজ্ঞার বাবা ত্বষ্টা, সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করলেন !

ফলে, সংজ্ঞা সূর্যের ভীষণ তেজ থেকে, কিছুটা রেহাই পেলেন !

সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করার ফলে, এক এক ভাগে , এক এক আলাদা আলাদা 'আদিত্য'-র উদ্ভয় হল !

সূর্যকে বারো ভাগে ভাগ করার জন্য, এক এক বাংলা মাসে, এক এক আদিত্য, সূর্যের জায়গায়,  দিনের বেলায় আকাশে উদিত থাকে !

তার মধ্যে, ফাল্গুন মাসের সূর্যের অংশটার নাম, 'সূর্য'-ই থেকে যায় !

বাকি এগারো মাসের আদিত্যদের জন্য, সব আদিত্য-র ক্ষেত্রেই, আলাদা আলাদা নাম রয়েছে !

ত্বষ্টা, সুর্যের কেমন তরো শ্বশুর ছিলেন, দেখো !

শ্বশুর ত্বষ্টা কিনা, রেগে টং হয়ে, তাঁর জামাই, সূর্ষকে,  বারো ভাগে ভাগ করে ফেলল !

অমন রাগি শ্বশুর প্রাপ্তি, যদি তোমাদের মধ্যে কারো ভাগ্যে হয়, তবে তো বড়ই ঝামেলায় পড়ে যাবে !

কাজেই, এখন থেকেই সাবধানে থেকো ! ভালোভাবে দেখে শুনে শ্বশুরবাড়ি করো !


* সূত্র 'বঙ্গীয় শব্দকোষ', সাহিত্য অকাদেমি, পৃষ্ঠা ২৭২।
** 'হরিবংশ'। সংস্কৃত। ৯.৫০-৫৪ শ্লোক।
*** 'বিষ্ণুপুরাণ', ১.১৫ ১৩০-১৩২ শ্লোক। 

সূর্ষকে নিয়ে পৌরাণিক গল্প

      সূর্যকে নিয়ে পৌরাণিক গল্প

সূর্যের সাথে বিয়ে হয়েছিল সংজ্ঞার।

সংজ্ঞা সূর্যের তেজ সহ্য করতে পারত না !

চোখ কুঁচকে থাকত !
শরীর জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে যেত !

সেই অসুবিধা দূর করতে, সংজ্ঞার বাবা, ত্বষ্টা, সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করে দিলেন !

ফলে, সংজ্ঞা সূর্যের ভীষণ তেজ থেকে, কিছুটা অন্তত রেহাই পেলেন !

সূর্যকে বারো ভাগে বিভক্ত করার ফলে, এক এক ভাগে , এক এক আলাদা আলাদা 'আদিত্য'-র উদ্ভব হল !

সূর্যকে বারো ভাগে ভাগ করার জন্য, এক এক বাংলা মাসে, এক এক আদিত্য, দিনের বেলায়,  আকাশে আধিপত্য করতে থাকল ! 

তার মধ্যে, ফাল্গুন মাসের সূর্যের অংশটার নাম, 'সূর্য'-ই থেকে গেল !

বাকি এগারো মাসের আদিত্যদের জন্য, প্রত্যেক আদিত্যের, আলাদা আলাদা নাম রয়েছে !

ত্বষ্টা, সুর্যের কেমন তরো শ্বশুর ছিলেন , দেখো !

শ্বশুর ত্বষ্টা কিনা,  তার জামাই সূর্ষকে,  বারো ভাগে ভাগ করে ফেলল !

অমন শ্বশুর প্রাপ্তি, যদি তোমাদের মধ্যে কারো ভাগ্যে হয়, তবে তো ঝামেলায় পড়ে যাবে !

কাজেই, এখন থেকেই সাবধানে থেকো ! ভালোভাবে দেখেশুনে শ্বশুরবাড়ি নির্বাচন করো !


* সূত্র 'বঙ্গীয় শব্দকোষ', সাহিত্য অকাদেমি, পৃষ্ঠা ২৭২। ** 'হরিবংশ'। সংস্কৃত। ৯.৫০-৫৪ শ্লোক। *** 'বিষ্ণুপুরাণ', ১.১৫ ১৩০-১৩২ শ্লোক।