মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বুদ্ধদেব [ দুই ]






বুদ্ধদেব [ দুই ]



বুদ্ধদেব ভগবান বিষ্ণুর, নবম অবতার !
বুদ্ধদেবের পিতা শুদ্ধোদন । মাতা মায়াদেবী ।
বুদ্ধদেবের পিতৃদত্ত নাম সিদ্ধার্থ ।
অন্য নামগুলি, গৌতম,  তথাগত,  শাক্যমুনি,  শাক্যসিংহ, 
বুদ্ধদেব, গৌতম বুদ্ধ  বোধিসত্ত্ব,  প্রভৃতি ।

বোধিসত্ত্ব নাম, বুদ্ধদেবের, বুদ্ধত্বলাভের পূর্ববর্তীজন্মে ও অবস্থায়,  বুদ্ধদেবের  নাম ।

শাক্য
ক্ষত্রিয় বংশ ।

এই শাক্যকুলচূড়ামণি-ই বুদ্ধদেব।

শাক্যসিংহের বুদ্ধত্ব বা বোধিলাভের স্থান বুদ্ধগয়া ।

বুদ্ধগয়া ভারতের বিহার প্রদেশের অন্তর্গত গয়া শহরের
অদূরস্থ মাহাত্ম্যপূর্ণ স্থান ।

বুদ্ধদেব প্রদর্শিত মতবাদে বিশ্বাসীরা,  বৌদ্ধ ।

বুদ্ধগয়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর আদি নাম ছিল নৈরঞ্জনা ।
নৈরঞ্জনা নদীর কথা,  রামায়ণে বর্ণিত আছে ।
নৈরঞ্জনা এখন ফল্গু নদী ।
ফল্গু,   এখন গয়ার অন্তঃসলিলা  নদী।নদী-খুঁড়লে জল পাওয়া যায় ।

বুদ্ধদেব যে অশ্বত্থমূলে বসে,  বোধি লাভ করেছিলেন তা
বোধিদ্রুম বা বোধিবৃক্ষ ।
অশ্বত্থ গাছের তলায় তপস্যা করতে করতে বুদ্ধদেব বুদ্ধত্ব
লাভ করেছিলেন ।

বুদ্ধদেব, বর্তমান উত্তর প্রদেশের কুশীনগরে মহাপরিনির্বাণ
লাভ করেন ।

মহাপরিনির্বাণ,  বৌদ্ধমতে, সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তি
এবং মোক্ষ ।
মহাপরিনির্বাণ আবার, বুদ্ধদেবের মৃত্যুও ।

বুদ্ধদেব পালি ভাষায় উপদেশ দিতেন ।

বুদ্ধদেব সংস্কারপন্থী মানুষ ছিলেন ।

হিন্দুধর্মের প্রেক্ষিতে, তিনি অনেক যুগান্তকারী সংস্কার এনেছিলেন ।

উত্তরণ [ গদ্যরচনা ] [ তিন ]



উত্তরণ [ গদ্যরচনা ] [ তিন ]



আমি যখন তোমার শরীরের কোন অংশে, আমার  নিজের স্থান   করে নিয়েছি, তখন আমার   আমিত্বের অহংকার  ফুটে  উঠেছে !

আর  যখন  তোমার  শরীরের  কোন অংশকে, আমার নিজের,  অঙ্গসংস্পর্শে   জায়গা করে দিয়েছি, তখন আমার  মমত্ব জেগে উঠেছে !

আমিত্ব  অহংকার  মমত্ব   এসব নিয়েই, আমি  বেঁচে আছি !
তোমার  চিরন্তন সত্তার অনুভব করছি !

দেখছি   অহংবোধের আমিত্বে  থেকেও,  সার্বিক  উত্তরণের পথে,  চলে যাওয়া যায় !

উত্তরণ [ গদ্যরচনা ] [ দুই ]


উত্তরণ  [ গদ্যরচনা ] [ দুই ]




ভারতের সকল মানুষকে, নিজ নিজ কর্মফল ভোগ, কিংবা উপভোগ করার জন্য, রাজনৈতিকভাবে খণ্ডিত, দ্বিখণ্ডিত, ত্রিখণ্ডিত, বহুধা খণ্ডিত, পুরনো ভারতবর্ষের নতুন রূপ, এই ভারতের, নব ভারতের,অপৌরুষের সনাতন ধর্মের আশ্রয় নিতেই হবে।
ভারতের আধ্যাত্মিকতায়, ভারতের জীবনদর্শনে, বেদে, বেদান্তের শেষঅংশ উপনিষদের জ্ঞানভাণ্ডারের আশ্রয়, নিজেকেই খুঁটে খুঁজে নিতে হবে !
এটা কোন ধর্মান্তকরণের ব্যাপার নয় !
কোন একক ধর্মীয় বিশ্বাস, বা সম্প্রদায় ভিত্তিক,  বিশ্বাসের ব্যাপারও নয়।
এটা উত্তরণের ব্যাপার।
জীবনব্যাপী সৎসাধনার মহৎউত্তরণ !


উত্তরণ [ গদ্যরচনা ] [ এক ]


উত্তরণ [ গদ্যরচনা ] [ এক ]



উত্তরণ [ গদ্যরচনা ] [ এক ]


আমাদের বিবেক জেগে ওঠে মস্তিষ্ক থেকে।
মস্তিষ্ক বুদ্ধির আকর।
বুদ্ধিকে ভর করে বিবেক দশদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের শ্রদ্ধা জেগে ওঠে হৃদয় থেকে।
হৃদয় থেকে সশ্রদ্ধভাব আসে।
আবার ' শ্রদ্ধাবান লভ্যতে জ্ঞানম '।

বিবেক শ্রদ্ধা এবং জ্ঞান মিলেমিশে, আমরা আরো পরিপূর্ণ মানুষের দিকে, একটু একটু করে এগিয়ে যাই।
আমাদের মনুষ্যত্বের বিকাশ বিবর্ধনও, তখন, ঘটে যায়!

বিবেকের সঠিক জ্ঞানপূর্ণ বিশ্লেষণে, আমরা, ন্যায়-সত্য এবং সাম্য-অসাম্য, জানতে বুঝতে, অনুভব করতে, পারি।
আমরা সকলে ঈশ্বরের বরপুত্র হয়ে যাই।

ক্রমশ, আমাদের, আরও আরও, উত্তরণ ঘটে যায় !