কেদারনাথজি ( গদ্য )
কেদারনাথজি
শ্রীকেদারনাথজি !
শ্রীকেদারনাথজি বিগ্রহ মহিষের পৃষ্ঠ সদৃশ, একটি কালোবর্ণের বড়ধরণের শিলাখণ্ড, লম্বা চওড়া উচ্চতা বিশিষ্ঠ।
রেলিংঘেরা মনোরম উঁচু চত্বর সমৃদ্ধ সুদৃশ্য মন্দিরে স্থাপিত।
উত্তরাখণ্ডের বদরীক্ষেত্রের অন্তর্গত, কপালী ও শিখরযুক্ত অনুপম মন্দির।
ভগবান কেদারনাথজির নামেই জায়গার পরিচয়।
যাওয়ার সময় দেওদখনি থেকে মন্দিরশীর্ষ দেখা যায়।
মন্দিরটি সূচনায় মহাভারতের পাণ্ডবদের হাতে তৈরি।
সেই হিসাবে অতি প্রাচীন মন্দির।
কুরুক্ষেত্রেরযুদ্ধ যদিও ধর্মযুদ্ধ, সেই যুদ্ধক্ষেত্রে যদিও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন, তবু যুদ্ধে আত্মীয়স্বজন, পরিবার-পরিজন, পরিচিত-অপরিচিতদের হত্যার পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য, পাণ্ডবেরা অধরা কেদারনাথজির আরাধনা করেন।
কেদারনাথজির বিগ্রহ শিবলিঙ্গের মত না হলেও, ওটাই দেবাদিদেব মহাদেবের শিবসদৃশ শিবলিঙ্গ !
কেদারনাথজির বিগ্রহে পঞ্চদশকলা বিদ্যমান !
যেখানে চন্দ্রের ষোড়শ কলা !
সূর্যের দ্বাদশ কলা !
অগ্নির দশ কলা !
কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের চৌষট্টি কলা !
মন্দিরে কেদারনাথজির দর্শন পূজন স্পর্শন আলিঙ্গন, এগুলো করতে হয়।
মহিলারা এটা মনে রাখেন ! এই প্রক্রিয়াগুলি ভালোভাবে সম্পাদন করেন।
বদরির তুলনায় কেদারে শীত বেশি।
কেদার বছরে প্রায় ছ'মাস বরফে আচ্ছাদিত থাকত।
এখন উষ্ণায়নের উষ্ণতায়, তা প্রভাবিত হচ্ছে !
শ্রীশ্রীকেদারনাথজিকে আমার অসংখ্য প্রণাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন