বুধবার, ২৭ জুন, ২০১৮

ড.শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়



    ড.শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়


     শেয়ার করেছেন           প্রণব কুমার কুণ্ডু




Angshuman Gangopadhyay এতে ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য  

 ফেসবুক থেকে

১৯৫৩ এর 23 এ জুন রাত ১১ টায় দমদম এয়ারপোর্টে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মৃতদেহের মাথার কাছে বসলেন যুবক শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং ..........................
******** ১১/৫/১৯৫৩ তারিখে যেদিন উনাকে কাশ্মীর সরকার গ্রেপ্তার করে বিকাল ৪.৪৫ মিনিটে তখনও পাশে ছিলেন যুবক শিষ্য শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী । ডঃ মুখার্জী শিষ্যকে বললেন তুমি দিল্লী ফিরে যাও আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে , তুমি ফিরে যাও দিল্লী *****
দমদম বিমানবন্দর হতে শববাহী গাড়িটা রওনা দিল তাঁর ভবানীপুরের পৈত্রিক বাড়ির দিকে রাত তখন ১১ টার আশেপাশে , (আজকেও ২৩ শে জুন )
ঠিক আজকের মতই 22 - ২৩ শে জুন1953 এর মাঝের রাত ২.২৫ মিনিট। চিরিদিকে নিস্তব্ধ। এই সময়ে নার্স রাজদুলারী টিকু তাঁর অজানা হাতে ডঃ মুখার্জীর মুখে একটা স্পেশাল পাউডার দিল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার করে পরিস্কার বাংলায় বলে উঠলেন ---- ওঃ !!! জ্বলে গেল , জ্বলে গেল। এই বলে তিনি নিস্তেজ হয়ে গেলেন।নার্স রাজদুলারী টিকু বুঝে গেলেন যা ঘটার ঘটে গেল।
২৩ শে জুন ভোর ৪.৩০ মিনিটে ডঃ মুখার্জীর সহযোগী শ্রী প্রেমনাথ ডোগরা, শ্রী টেকচাঁদ শর্মা জেল সুপারিন্ডেন্টের অনুমতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ঢোকেন । তখন তাদের বলা হয় তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখেন ডঃ মুখার্জীকে শুইয়ে রাখা হয়েছে সারা গায়ে বরফ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
এর পর সকালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ডাকোটা প্লেনে শ্রদ্ধেয় ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মরদেহটা আনা হল শ্রীনগর এয়ারপোর্টে তখন সকাল ১০.৪০ মিনিট। এর পর সেখানে আসেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা । তিনি উনার দেহে একটা সাদা কাশ্মীরি শাল জড়িয়ে দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ( সমস্ত পরিকল্পনাটার মাথা ছিলেন শেখ আবদুল্লা সাথ দিয়েছিলেন জহরলাল নেহেরু) এর পর প্লেনটি ইচ্ছাকৃত দেরী করে যখন কলকাতার দমদম এয়ারপোর্টের মাটি ছুঁল তখন রাত ৮.৫৫ মিনিট , ২৩ শে জুন মঙ্গলবার ১৯৫৩। আজও তাই ২৩ শে জুন ..তবে 2018
সঙ্গে সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর দুই ছেলে আর তিন ভাই ছুটে গেলেন প্লেনের ভেতরে। তাঁর দাদা জাস্টিস রাম প্রসাদ মুখার্জী ঘৃণাভরে ছুড়ে ফেলে দিলেন শেখ আব্দুল্লার দেওয়া কাশ্মীরী শালটা। তার পর তাঁর মৃতদেহটা একটা স্ট্রেচারে করে এনে তোলা হল একটা গাড়িতে। সামনে পিছনে তখন চোখের জলে অগনিত সমর্থক, গুনমুগ্ধ ভক্ত ।
রাত ১১ টায় শববাহী গাড়িটা হাজার হাজার ভক্তের মিছিলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকল। গাড়িতে উনার মাথার পাশে বসলেন উনার শিষ্য যুবক শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, বলরাজ মাধক,প্রেমনাথ ডোগরা। হাজার হাজার মানুষের মিছিলে এই বীর এগিয়ে চললেন তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ৭৭ নং , আশুতোষ মুখার্জী রোড, ভবানীপুর, কোলকাতার ঠিকানায়।
অগনিত মানুষের চোখের জলের এই মিছিল যখন তাঁর বাড়িতে পৌঁছাল তখন আর রাত নেই ভোর হয়ে গেছে পরের দিন অর্থাৎ ২৪ শে জুন বুধবার ১৯৫৩ ।
কি আশ্চর্য দেশের জন্য নিজেকে বলি দেওয়া মানুষটিকেই বাঙালি কতো সহজে ভুলে গেল !


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন