বুধবার, ২৭ জুন, ২০১৮

বেদযজ্ঞে শিবতত্ত্ব ও শক্তিতত্ত্বের প্রভাব এবং জীবের মঙ্গলসাধন।


      বেদযজ্ঞে শিবতত্ত্ব ও শক্তিতত্ত্বের প্রভাব এবং জীবের মঙ্গলসাধন।


      শেয়ার করেছেন                              প্রণব কুমার কুণ্ডু


Basuki Nath Misra গোষ্ঠীটিতে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন: 💥ALL BENGAL RSS💥রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ💥

বিশ্বমানব শিক্ষা ও বেদযজ্ঞ অভিযান(৩২৩) তারিখঃ—২৫/ ০৬/ ২০১৮
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ— বেদযজ্ঞে শিবতত্ত্ব ও শক্তিতত্ত্বের প্রভাব ও সেই শক্তির প্রভাবে জীবের মঙ্গলসাধন।

Basuki Nath Misra
।]
সৃষ্টির আদিতে যিনি নিঃস্বভাবে অবস্থিত তিনি শিব। তাঁর ইচ্ছার উদয় হল –“ বহু স্যাং প্রজায়েয়” আমি বহু হবো, জন্মগ্রহণ করবো। এই ইচ্ছা শক্তি হতেই আসে জ্ঞান- শক্তি, তা হতেই আসে ক্রিয়া- শক্তি। এই তিন শক্তির যোগের যোগে অর্থ সৃষ্টি ও শব্দ সৃষ্টি। ইচ্ছাশক্তিরূপ উপাধি বিশিষ্ট পরম শিবই শিবতত্ত্ব। উপনিষদ যাকে পরব্রহ্ম বলেছেন, তন্ত্র তাঁকেই পরমশিব বলেছেন। পরব্রহ্ম পরম শিব—নির্গুণ। সৃষ্টির ইচ্ছা জাগলেই তিনি হন সগুণ—বেদান্তের ঈশ্বর, তন্ত্রের শিব। ইনিই প্রথম বেদের তত্ত্ব। শিবের যে ইচ্ছা শক্তির কথা বলা হলো তিনিই শক্তিতত্ত্ব—আদ্যাশক্তি মহামায়া। এই শক্তি শিবনিষ্ঠ অনন্ত শক্তির সমষ্টিভূতা। শক্তি প্রধানতঃ তিন প্রকার—ইচ্ছাশক্তি, জ্ঞানশক্তি ও ক্রিয়াশক্তি। এই তিন শক্তি বিভিন্নভাবাপন্ন হয়ে শিবশক্তিরূপে প্রত্যেক প্রাণীতে প্রত্যেক বস্তুতে অবস্থিত আছেন। প্রত্যেক বস্তুতে স্বপ্রয়োজন সাধিকা শক্তিরূপে শক্তির ও বস্তু স্বরূপে শিবের অধিষ্ঠান। বস্তুতঃ শিবের ধর্মই শক্তি। অগ্নির ধর্ম যেমন দাহিকাশক্তি। শিবের প্রথম স্পন্দনে শক্তি বিকাশ প্রাপ্ত হলে, সেই শক্তি শক্তিতত্ত্ব নামে কথিত হয়। ওঁ সত্যম শিবম সুন্দরম ! ওঁ নমঃ শিবায়।
জয় বেদযজ্ঞের জয়।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন