বুধবার, ২৭ জুন, ২০১৮

তিতুমির এবং অন্যান্য কথা



     তিতুমির এবং অন্যান্য কথা


    শেয়ার করেছেন                   প্রণব কুমার কুণ্ডু



Sibgopal Banerjee         ফেসবুক


।। ইতিহাস ও কিছু কথা, যা রুঢ় ও কঠোর নির্ম্মম বাস্তব ।।

তিতুমীরের ডায়রি
সেপ্টেম্বর মাস, 1831 সাল। বারাসত জেলার বাদুড়িয়ার অন্তর্গত নারকেলবেড়িয়া গ্রাম। পঞ্চাশ বিঘা নিস্কর জমির মালিক মৈজুদ্দিন বিশ্বাসের জমিতে অজস্র বাঁশ দিয়ে বুরুজ তৈরী হল।
23/10/1831: এক বিরাট ওয়াজে জিহাদ ঘোষণা হল। প্রাথমিক লক্ষ্য বৃটিশ শাসন ও হিন্দু জমিদারদের উচ্ছেদ, কারন শরিয়ৎ বিপন্ন। 23/10/1831 থেকে 06/11/1831 পর্যন্ত মৌলভীরা কেল্লাতেই আটকে থেকে পরিকল্পনা চুড়ান্ত করল।
28/10/1831: বসিরহাটের দারোগা বারাসতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জানালেন জমিদার কৃষ্ণদেবের ওখানে তিতুমীরের অনুগামীরা গোহত্যা করতে চলেছে।
06/11/1831 : পুঁড়োর বাজারে 500 জেহাদী তিতুমীরের প্রধান সেনাপতি গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে মহেশ চন্দ্র ঘোষের একটা গরু ছিনিয়ে নিয়ে মন্দিরের সামনে কেটে বিগ্রহে গোরক্ত মাখায়। গরুটিকে চার টুকরো করে পুঁড়োর বাজারের চার কোণে টাঙ্গিয়ে দিল।
07/11/1831 : ইচ্ছামতীর অপর পারে পৌঁছাল জেহাদীরা। দুটি ষাঁড় মেরে ভোজ হল। তারপর তাদের আক্রমণে লাউঘাট্টি বাজারে নিহত হলেন জমিদার তনয় দেবনাথ রায়। ফকির মিস্কিন শাহ এই জয়কে আল্লাহর জয় বলে ঘোষণা করলেন। তিতু ঘোষণা করলেন তিনি দার-উল-ইসলামের ইমাম, তাঁকেই খাজনা দিতে হবে। জোর করে তোলা আদায় শুরু হল।
14/11/1831 : শেরপুর গ্রামে ইয়ার মহম্মদের বাড়ী আক্রমণ করল তিতু বাহিনী। ইয়ার মহম্মদের বিধবা কন্যা মুক্তবকে জোর করে বিয়ে করল তিতুর অনুগামী মহীবুল্লা। কনিষ্ঠা কন্যা কুমারী খুরমাকে অপহরণ ও বিয়ে করল কালু মিঞা।
16/11/1831 : ইন্ডিয়া গেজেট লিখল , রামচন্দ্রপুর গ্রামে হিন্দুদের মুখে জোর করে গোমাংস গুঁজে দেওয়া হচ্ছে।
তিতুমীরের উত্থানে হিন্দু শূণ্য এবং নির্বিবাদী মুসলিম শূণ্য হতে থাকল অঞ্চল।
আলেকজান্ডার সাহেব তিতুর বিরুদ্ধে যাত্রা করলেন। বসিরহাট থানার দারোগা রামরাম চক্রবর্তীকে অপহরণ করল গোলাম মাসুম। বাঁশের কেল্লার মধ্যে হত্যা করা হল তাকে ইসলাম গ্রহণে অনিচ্ছুক হওয়ায়।
প্রথম দফার যুদ্ধে আলেকজান্ডার পরাজিত হয়ে পালালেন।
19/11/1831 : আলেকজান্ডার, সাদারল্যান্ড ও ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বে বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করল ইংরেজ সৈন্য। এক ইংরেজ সৈন্য মেক্কানকে হত্যা করে তার দেহ বল্লমে গেঁথে সামনে রেখে গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে প্রতিরোধ করল তিতু বাহিনী।
যুদ্ধ ..... যুদ্ধ ..... যুদ্ধ ......
তিতু সমেত জনা পঞ্চাশ জেহাদী নিহত, আহত জা ত্রিশ, 250 জন প্রায় ইংরেজদের হাতে বন্দী। ইংরেজ পক্ষে হতাহত 17।
জেহাদীদের বিচারের পর গোলাম মাসুমের মৃত্যুদন্ড হল, একুশ জনের যাবজ্জীবন কারাবাস, নয় জনের সাত বছরের, নয় জনের ছয় বছরের, ষোল জনের পাঁচ বছরের, চৌত্রিশ জনের তিন বছরের, বাইশ জনের দুই বছরের কারাদন্ড। বাকীদের নির্দোষ বলে ছেড়ে দেওয়া হল। ফটিক নামক এক হিন্দুকেও কেল্লা থেকে ধরা হয়েছিল, মানসিক ভারসাম্যহীন বলে সে মুক্তি পেল।
গোলাম মাসুমকে জনসমক্ষে বাঁশের কেল্লার সামনে ফাঁসি দেওয়া হল।
এই ভাবে বাংলার বুকে শরিয়ৎ চালু করার চক্রান্ত নির্মূল করা হল।
সেকুলার ঐতিহাসিকদের বদান্যতায় এই জেহাদী জঙ্গী তিতুমীর আজ শহীদের মর্যাদা পায়!!!
থুঃ থুঃ থুঃ
আপনারা যদি "বাঁশের কেল্লা" সার্চ করেন, দেখবেন জঙ্গী মানসিকতার ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ পাবেন। তারাই প্রকৃত তিতুমীরকে চেনে এবং জানে; ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়।
তিতুমীর স্বাধীনতা সংগ্রামী? না কি জেহাদী?
হাতে গরম প্রমান দিচ্ছি। ফেসবুকে "বাঁশের কেল্লা" লিখে সার্চ করুন। জামাতি জঙ্গী ভাবধারা প্রচারের পেজ দেখবেন শুধুই। আমি আপনি ভুল জানি, আমাদের ভুল শেখান হয়েছে। তিতুমীর স্বাধীনতা সংগ্রামী হলে "বাঁশের কেল্লা" জাতীয়তাবাদী পেজ হত। স্বদেশ প্রেমের প্রচার হত সেখানে। কিন্তু আপনি না জানলেও জামাতিরা তিতুমীরকে বিলক্ষন চেনে, তাই বাঁশের কেল্লাকে সামনে রেখে জেহাদ চালায়। তারাই প্রকৃত তিতুমীরকে চেনে এবং জানে; ভাবধারায় অনুপ্রাণিত
২ ।। সেদিন ছিল কোজাগরী পূর্ণিমা। ওরা এলো, এসে বলল আমাদের ধর্ম আমাদের ছেড়ে দিতে হবে। কারন এখন নাকি এই জমিতে খালি ওদেরই অধিকার। ওরা আমাদের খুন করল, আমাদের মেয়েদের ধর্ষন করল। আমরা পালিয়ে এলাম আমাদের সাত পুরুষের ভিটে নোয়াখালি ছেড়ে। যারা পালাতে পারলনা তারা খুন হোল, তারপরে ধর্মান্তরিত হোল। মেয়েরা ধর্ষিত হোল, তারপরে খুন হোল। এমনকি মেয়ে কম পরলে কোন কোন মেয়ে খুন হওয়ার পরেও ধর্ষিত হোল।
তারপরে একজন এলেন, হাতে লাঠি, পরনে ধুতি, খালি গা। দুই শিষ্যার কাধে ভর দিয়ে তিনি এলেন। এসে আমাদের বোঝালেন, "ওরা ভুল করেছে। ওদের ক্ষমা করে দাও। তোমরা ভুলে যাও ওরা যা করেছে তা। তোমরা ওদের বাধা দিওনা। বাধা দিলে ওরা আরও ক্রুদ্ধ হবে। তাতে সম্প্রীতি বিঘ্নিত হবে"।
আমরা বুঝলাম তার কথা। বুঝে ছেড়ে দিলাম আমাদের জমি, আকাশ, আমাদের স্মৃতি, আমাদের আত্মসম্মান।
এর আগে যেদিন কোলকাতায় মিটিং হয়েছিল, একটা বড় মিটিং। সেখানে নাকি লাখে লাখে লোক হয়েছিল। সেখানে নেতারা বলল, এই দেশ নাকি খালি ওদের। আমাদের কোন অধিকার নেই। সেই শুনে ওরা আমাদের উপরে ঝাপিয়ে পরল। বাড়ি বাড়ি ঢুকে আমাদের মেয়েদের ধর্ষন করল। খুন করল আমাদের বাড়ির বাচ্ছা, বুড়োদের। আমরা বাচার জন্য মরিয়া হয়ে পাল্টা দিলাম। তখন আবারও সেই তিনি এলেন। হাতে লাঠি, খালি গা, পরনে ধুতি। দুই শিষ্যার কাধে হাত দিয়ে সেবারেও তিনি এসেছিলেন। এসে বললেন আমাদের নাকি খুব অন্যায় হয়েছে। আমাদের উচিত হয়নি ওদের বাধা দেওয়া। ওতে ওরা রেগে গেছে। তাই নাকি আর কোন উপায় নেই দেশভাগ হবে। আমরা বুঝলাম তার কথা। আমরা বুঝলাম দেশভাগ আমাদের দোষেই হয়েছে। ওদের তো কোন দোষ ছিলনা। তারপরেও যেটুকু বোঝার বাকী ছিল তা বোঝানোর চেষ্টা চলছে গত সত্তর বছর ধরে। পাছে আমরা বুঝতে না পারি। তাই আমাদের বোঝানো হয় দেশভাগের জন্য দায়ী জিন্নাহ নয়, গান্ধী নন, নেহেরু নয়। দেশ ভাগের জন্য দায়ী শ্যামা প্রসাদ মূখার্জী।
ইতিহাস তো বরাবরই জয়ী পক্ষের মোসাহেবদের লেখা একগুচ্ছ মিথ্যা। তাই আমাদের এসবই বোঝানো হচ্ছে বারেবারে।
তারপরে আবার ওরা বোঝাতে এল যে কালিয়াচকে কিছু হয়নি। দেগঙ্গায় আমরা বাড়িঘর ছাড়া হইনি। ক্যানিঙে আমাদের বাড়িতে আগুন লাগেনি। ওরা আমাদের বোঝালো কোথাও কিচ্ছু হয়নি। সব ঠিক আছে।
আমরা দেখলাম বাংলাদেশ, পাকিস্তানে আস্তে আস্তে হিন্দু কমে গেল। আর যারা আমাদের তাড়িয়ে দিয়ে বলেছিল, আমাদের ওখানে কোন স্থান নেই, তারাই আবার আমাদের বেচে থাকা জায়গাটুকুতেও এসে অধিকার ফলাচ্ছে। আমাদের চোখ রাঙাচ্ছে। ধূলাগড়ে আবার আমাদের মেয়েরা ধর্ষিত হোল, আমাদের বাড়িতে আগুন লাগল। ওরা এলো, এসে আমাদের বোঝালো ওসব আমাদের দোষেই হয়েছে। কারন আমাদের উচিত হয়নি ওদের ধর্মীয় শোভাযাত্রা থেকে থেকে কেউ আমাদের মেয়েদের দিকে অশ্লীল ইঙ্গিত করলে তার প্রতিবাদ করা। ধর্মীয় শোভাযাত্রা অতি পবিত্র জিনিষ। আমরা বুঝলাম আমাদের দোষ, তাই আমরা চুপ করে গেলাম।
এরপর আমরা ভাবলাম আমরাও আর ভুল করবনা। ধর্মীয় পবিত্র কাজই করব। আমরা রামনবমীর শোভাযাত্রা করব। রানীগঞ্জে সেই শোভাযাত্রার উপরে আক্রমন হোল।ওরা আবার এলো এসে আমাদের বোঝাল যে ধর্মীয় শোভাযাত্রা খুবই অপবিত্র ব্যাপার। আমাদের সংস্কৃতিতে এসব মানায়না। আমরা বললাম মহরমের সময় যে তোমরা বললে ধর্মীয় শোভাযাত্রা পবিত্র কাজ।আর আমাদের যে লোকগুলো মারা গেল। তার বিচার? ওরা বলল, "চুপ চুপ, ইমাম সাহেবের পুত্র মারা গেছেন। ওনাকে দেখ উনি কিন্তু প্রতিশোধের কথা বলছেননা"। তখন আমরা বললাম সে তো মহেশ রাউতের মাও বলছেনা প্রতিশোধের কথা। কিন্তু বিচার কেন চাইবনা? ওরা বোঝাল এসবের বিচার হওয়া সম্ভব নয়। কারন ইমাম সাহেবের পুত্র মারা গেছেন। আমরা বললাম তা ইমাম সাহেবের পুত্রেও মৃত্যুরও বিচার করুন। ওরা বলল, "চুপ চুপ।এসব নিয়ে বেশী খোচাখুচি না করাই ভালো।এতে ওরা রেগে যাবে।" আমরাও চুপ করে বুঝে গেলাম।
আমরা আমাদের সরস্বতী পুজো করতে গেলাম। সরস্বতী পুজো, বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বাঙালির প্রেমের দিন। ওরা বলল বন্ধ করতে হবে। আমরা রুখে দাড়ালাম বন্ধ করবনা বলে। ওরা তখন আবার এলো এসে আমাদের বোঝাল যে এসব পুজো আচ্চা খুব খারাপ ব্যাপার। ইংলিশে যাকে বলে রিগ্রেসিভ। আমরা বুঝলাম। বললাম ঠিক আছে আর পুজো হবেনা। আমাদের পুজো বন্ধ হোল, সে জায়গায় ওদের নতুন পরব শুরু হোল। আমরা যখন জিজ্ঞেস করলাম এটা কেন? ওরা কেন ধর্মের উপরে উঠবেনা? তখন ওরা বলল না না ধর্ম তো ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারিনা। আর ধর্ম অতি পবিত্র ব্যাপার, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। আমরা বুঝলাম কারুর ধর্ম বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা তার ব্যক্তিগত অধিকারে হস্তক্ষেপ করা। আমরাও তাই আর কিছু না বলে চুপ করে গেলাম।
তারপরে আমরা দেখলাম আমাদের দেব দেবী নিয়ে নানান কার্টুন আকা হোল। আমরা তাই দেখে রেগে গেলাম। তখন ওরা আমাদের এসে বোঝাল ধর্ম ব্যাপারটাই খারাপ। তাই তাকে নিয়ে মজা করে করে তার গুরুত্ব নষ্ট করে দেওয়াটাই উচিত। আমরাও বললাম, হ্যা ঠিক ঠিক। ধর্ম না থাকলে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হতোনা। আমাদের নিজের বাড়ি, নিজের পুকুর, নিজের জমি, নিজেদের আকাশ, বাতাস ছেড়ে আসতে হতোনা।
তারপরে আমরা দেখলাম একটা বাচ্ছা ছেলের নাম দিয়ে ধর্মীয় কিছু চরিত্রকে নিয়ে কিছু কার্টুন আকা হোল। ওরা তার বদলায় থানা আক্রমন করে বাচ্ছা ছেলেটাকে খুন করতে চাইল। আমাদের বাড়ি পোড়াল। আমরা যখন পাল্টা দিতে শুরু করলাম, তখন আবার ওরা আমাদের বোঝাল ভুল আমাদেরই। আমাদের উচিত হয়নি ওদের ধর্ম নিয়ে কিছু বলা। ওরা পিছিয়ে আছে এখনও আমাদের থেকে তাই আমাদের ওদের কিছু বলা উচিত নয়।আমরা বললাম বলবনা। ওরা স্লোগান তুলল, "আর্য জাতি ভারত ছাড়ো"।
আমরা দেখলাম সত্তর বছর ধরে ধরে একটু একটু করে বাংলাদেশ থেকে হিন্দু কমে গেল। ওরা ফটোশপে সিঁদুর মুছে দিয়ে আমাদের বোঝাল কিছুই হয়নি। আমরা যখন বললাম হিন্দুরা আমাদের এখানে চলে আসুক। আমাদের এখানে ওদের জায়গা করে দেওয়া হোক। ওরা আমাদের বোঝাল সব বাংলাদেশের সব হিন্দুদের জায়গা দিতে গেলে আমাদের এখানে জায়গা কমে যাবে। তারপরে একদিন রোহিঙ্গারা এলো। আমরা বললাম, ওদের আসতে দিওনা।ওরা এলে আমাদের জায়গা কমে যাবে। তখন ওরা বলল, এদের জন্যই তো আমরা জায়গা বাঁচিয়ে রেখেছি। নাও তুমি আরেকটু জায়গা ছাড়ো তো। ওদের জন্য আরেকটু জায়গা লাগবে। আমরা বললাম ওদের তাহলে বাংলাদেশে পাঠাও। ওরা তো নিজেদের জন্যই আমাদের থেকে বাংলাদেশ নিয়েছিল। তখন ওরা আমাদের বলল, ওখানে এখন ভূমিসংস্কার চলছে। তাই ওখানে ওদের উপরে চাপ দেওয়া যাবেনা। আমাদেরই আরেকটু জায়গা ছাড়তে হবে।
আজ পশ্চিম বঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস। আজকের দিনে আবারও চিনে নিন আপনার আশপাশেই ঘাপটি মেরে থাকা সেই দালালদের যারা বাঙালি হিন্দুদের জমি, জল, আকাশ, বাতাস বেচতে চায় বিদেশী পুজিবাদী ধর্মীয় শক্তির কাছে। ওদের চিনে নিন, ঐ দালালদের নির্মূল করুন আমার আপনার সমাজ থেকে। ওদের চিনে নিন, যারা আপনার আমার স্বপ্নের সমাধির উপরে নিজেদের সৌধ গড়ে তুলতে চায়। ঘৃণা করুন সেই দালালদের, ছুড়ে ফেলুন ওদের সমাজ থেকে।
৩ ।। ১৯৫৩ এর 23 এ জুন রাত ১১ টায় দমদম এয়ারপোর্টে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মৃতদেহের মাথার কাছে বসলেন যুবক শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং ..........................
******** ১১/৫/১৯৫৩ তারিখে যেদিন উনাকে কাশ্মীর সরকার গ্রেপ্তার করে বিকাল ৪.৪৫ মিনিটে তখনও পাশে ছিলেন যুবক শিষ্য শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী । ডঃ মুখার্জী শিষ্যকে বললেন তুমি দিল্লী ফিরে যাও আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে , তুমি ফিরে যাও দিল্লী *****
দমদম বিমানবন্দর হতে শববাহী গাড়িটা রওনা দিল তাঁর ভবানীপুরের পৈত্রিক বাড়ির দিকে রাত তখন ১১ টার আশেপাশে ।
22 - ২৩ শে জুন1953 এর মাঝের রাত ২.২৫ মিনিট। চিরিদিকে নিস্তব্ধ। এই সময়ে নার্স রাজদুলারী টিকু তাঁর অজানা হাতে ডঃ মুখার্জীর মুখে একটা স্পেশাল পাউডার দিল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার করে পরিস্কার বাংলায় বলে উঠলেন ---- ওঃ !!! জ্বলে গেল , জ্বলে গেল। এই বলে তিনি নিস্তেজ হয়ে গেলেন।নার্স রাজদুলারী টিকু বুঝে গেলেন যা ঘটার ঘটে গেল।
২৩ শে জুন ভোর ৪.৩০ মিনিটে ডঃ মুখার্জীর সহযোগী শ্রী প্রেমনাথ ডোগরা, শ্রী টেকচাঁদ শর্মা জেল সুপারিন্ডেন্টের অনুমতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ঢোকেন । তখন তাদের বলা হয় তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখেন ডঃ মুখার্জীকে শুইয়ে রাখা হয়েছে সারা গায়ে বরফ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
এর পর সকালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ডাকোটা প্লেনে শ্রদ্ধেয় ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মরদেহটা আনা হল শ্রীনগর এয়ারপোর্টে তখন সকাল ১০.৪০ মিনিট। এর পর সেখানে আসেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা । তিনি উনার দেহে একটা সাদা কাশ্মীরি শাল জড়িয়ে দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ( সমস্ত পরিকল্পনাটার মাথা ছিলেন শেখ আবদুল্লা সাথ দিয়েছিলেন জহরলাল নেহেরু) এর পর প্লেনটি ইচ্ছাকৃত দেরী করে যখন কলকাতার দমদম এয়ারপোর্টের মাটি ছুঁল তখন রাত ৮.৫৫ মিনিট , ২৩ শে জুন মঙ্গলবার ১৯৫৩।
সঙ্গে সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর দুই ছেলে আর তিন ভাই ছুটে গেলেন প্লেনের ভেতরে। তাঁর দাদা জাস্টিস রাম প্রসাদ মুখার্জী ঘৃণাভরে ছুড়ে ফেলে দিলেন শেখ আব্দুল্লার দেওয়া কাশ্মীরী শালটা। তার পর তাঁর মৃতদেহটা একটা স্ট্রেচারে করে এনে তোলা হল একটা গাড়িতে। সামনে পিছনে তখন চোখের জলে অগনিত সমর্থক, গুনমুগ্ধ ভক্ত ।
রাত ১১ টায় শববাহী গাড়িটা হাজার হাজার ভক্তের মিছিলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকল। গাড়িতে উনার মাথার পাশে বসলেন উনার শিষ্য যুবক শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, বলরাজ মাধক,প্রেমনাথ ডোগরা। হাজার হাজার মানুষের মিছিলে এই বীর এগিয়ে চললেন তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ৭৭ নং , আশুতোষ মুখার্জী রোড, ভবানীপুর, কোলকাতার ঠিকানায়।
অগনিত মানুষের চোখের জলের এই মিছিল যখন তাঁর বাড়িতে পৌঁছাল তখন আর রাত নেই ভোর হয়ে গেছে পরের দিন অর্থাৎ ২৪ শে জুন বুধবার ১৯৫৩ ।
কি আশ্চর্য দেশের জন্য নিজেকে বলি দেওয়া মানুষটিকেই বাঙালী কতো সহজে ভুলে গেলো !!!!
৪ ।। তারপর এল বহু আবার এক ভয়াবহ দিন । ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হলে,,শুরু হয় হিন্দু ও শিখ দের উপর অমানবিক অত্যাচার! হাজার হাজার হিন্দু ও শিখ তরুণী ধর্ষিত হয়....
জ্বালিয়ে দেয় হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা...খুন করা হয় নিরীহ নিষ্পাপ হিন্দু-শিখদের!
উদ্বাস্তু হয়ে প্রান হাতে নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়!
ওপার বাংলাতে ও একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয় বাঙালী হিন্দুদের!
যে মুসলীম লীগের মুসলীরা ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করলো... পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে হিন্দু ও শিখ দের বিতাড়িত করলো....
এর পরেও কেন বহু মুসলীম ভারতে থেকে গেল? কেন গেল না পাকিস্থানে?
কই হিন্দুস্থান থেকে তো মুসলীম দের অত্যাচার করে পাকিস্তান বা বাংলাদেশে বিতাড়িত করা
হয়নি!
সেই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পেশয়ার,, করাচী সহ বহু জায়গায় ভেঙে দেওয়া হল বহু মন্দির গুরুদুয়ার!
বাংলাদেশের ঢাকা,, কুমিল্লা,, ফরিদপুর ,, বরিশালে বহু মন্দির ভাঙা হয়েছে!
যা এখনো চলছে!
কই ভারতে তো একটাও মসজিদ,, কিংবা গির্জা ভাঙা হয়নি!
বাংলাদেশে মুসলমানদের চাপে পড়ে,,
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রনবানন্দের আশ্রমের নাম থেকে ভারত শব্দ টি বাদ দিয়ে নাম রাখা হয় প্রনবমঠ!
(ভারত কথাটিতে বাংলাদেশী মৌলবাদী দের প্রবল আপত্তি!)
স্বামীজী বলেছেন :- হিন্দুদের একআত্মা হয়ে পশ্চিমি পরাধীনতার দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে হবে!
স্বামীজী এও বলেছেন :- হিন্দুদের গৌরব গাঁথা কাহিনী মনে রাখার সাথে সাথে ৭০০ বছরের লাঞ্ছিত হিন্দুদের যন্ত্রনার কথা ভুললে চলবে না!
ভারতবর্ষ হিন্দু রাষ্ট্র হয়েও তকমা লাগানো হল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের! ............. কিন্তু কেন?
হিন্দুরা সংখ্যাগুরু হয়েও সংখ্যালঘুদের লালচক্ষুর ভয়ে আজও তটস্থ কেন?
যে মুসলীমরা এদেশের আইন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ..... নিজেদের ধর্মের শরীয়াতি আইন কে প্রাধান্য দেয়!......তারা কী ভাবে নবাবী তোয়াজ পায়? কী করে একদেশে দুটি আইন হতে পারে? মুসলীম দুষ্কৃতীদের কে কেন তার অপরাধ বারবার আড়াল করা হয়?
অনেক সময় এরা ভয়ঙ্কর অপরাধ করেও,, ইসলামি প্রবল চাপে আইন দূর্বল হয়ে শাস্তি লঘু করা হয়েছে! এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে!
উত্তর খুঁজতে লাগুন!
জিন্নার মুসলীম লীগ পাকিস্তান বাটোয়ারার পরে...হায়দ্রাবাদ,কেরল,সালেম,আগ্রার মুসলীমরা পাকিস্তানে অন্তঃভুক্ত হওয়ার আর্জি জানায়!
তখন জিন্না বলে :-#তোমাদের_মনে_যে_বিদ্রোহের#আগুনের_স্ফুল্কি_জ্বলছে_তা_দাউদাউ_করে জ্বলে উঠে আর এক পাকিস্তানের জন্ম হবে!
কোন পথে এগোচ্ছে ভারতবর্ষ?
APT রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে মুসলমান বৃদ্ধির হার হিন্দুদের থেকে ৩৭% বেশী!
অর্থাৎ দূর্বিসহ সঙ্কটের কালো অাঁধার আবার হিন্দুস্থানে আসতে চলেছে!
আগে মুসলীমরা বলত.... হাত মে বিড়ি / মুখ মে পাম /লড়কে লেঙ্গে পাকিস্থান /
আর এখন মুসলীমরা বলছে ---#লড়কে_লিয়া_পাকিস্তান
#অব_হসকে_লেঙ্গে_হিন্দুস্থান!
ভাবুন ---
আরও ভাবুন......
রাজনিতীর স্বার্থ ছেড়ে.....
এই বিপদ থেকে কী হিন্দুস্থান পরিত্রান পাবে?
৫ ।। প্রত্যেক হিন্দুকে এটি পড়ান
হাফিজ সঈদের ফতোয়া...
যদি আপনার কাছে একটুও সময় থাকে, তবে পাকিস্তান থেকে আসা এই চিঠিটি অবশ্যই পড়ুন যা ভারতের ৩.৫ লাখ ওয়াহাবী মসজিদে প্রতি জুম্মাবারে পড়া হয় । আর আপনি না পড়লেও আপনার নিষ্পাপ সন্তানদের অবশ্যই পড়ান যাতে তারা বাকী জীবনটা নিরীহ হয়ে না কাটায় !
উর্দু ফার্সী পত্রের অনুবাদ
786
পয়গাম - এ - ইসলাম
আপনাদের সকলকে অনুরোধ যে আমরা ভারতে ৮০০ বছর শাসন করেছি । এখনও আমাদের শাসন চলে কিন্তু সরাসরি নয় । সমস্ত রাজনৈতিক দল ও তাদের কাফের নেতারা আমাদের ইশারায় চলে । আমরা আজ মাদ্রাসা, মসজিদ, হজের জন্য সরকার থেকে টাকা পাই ।
২০০৪ ও ২০০৯ এর নির্বাচনে হিন্দুদের দল বিজেপি হেরে যায় কিন্তু আমাদের শাসন সম্পূর্ণ হবে যখন পুরো ভারত ইসলামের পতাকাতলে আসবে । খুব শীঘ্রই আমাদের মুজাহিদরা সাদা দাড়িওয়ালা গুজরাতিকে হত্যা করবে এবং হিন্দুদের শেষ ভরসাও আমাদের রাস্তা থেকে সরে যাবে !
তাই সকল মুসলমানের কর্তব্য লড়াইয়ের জন্য তৈরী থাকা । তার জন্য অস্ত্রচালনা ছাড়াও বোমা তৈরী শিখুন এবং কোরানের ২৪ টি আয়াত রোজ পড়ুন ও সেই অনুযায়ী কাফেরদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের হত্যা করা, জ্বালিয়ে দেওয়ার কাজ করুন । তাদের লুঠ করুন এবং তাদের মেয়েদের পালিয়ে নিয়ে গিয়ে শাদি করুন । যদিও এসব ৭০ বছর ধরে চলছে । কিন্তু এখন পুরো জোর লাগান যখন লড়াইয়ের জন্য ISI ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন হুকুম দেবে ।
প্রত্যেক মুসলমানের দ্বিতীয় কলমা রোজ পড়া উচিৎ । তা হল - হাঁসকে লিয়া হ্যায় পাকিস্তান ঔর লড়কে লেঙ্গে হিন্দুস্তান ।
১. বিজনোর ইউপি ফর্মুলা : এখানে মুসলমান যুবকরা হিন্দুদের সাথে দোস্তি করে নিজের ঘরে ডেকে এনে মছলি, মুর্গা খাওয়ায় ও তারপর কাফেরদের ঘরে তাদের মেয়েদের ফাঁসায় । এই মেয়েরা মুসলমানদের মালও খাওয়ায় ও টাকাও দেয় । অনেক কাফের মেয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে নেয় । বাহ আল্লাহ তেরা শুক্র হ্যায় !
২. বোতল ফর্মুলা : গরিব বস্তিতে কাফেরদের মদ খাইয়ে নামর্দ বানাও আর তাদের মেয়েদের সাথে ফুর্তি কর । ৯ কোটি হিন্দু তো মুসলমানদের সাথে আছে আর তাদের মেয়েরাও আরামসে মুসলমানের কবজায় এসে যায় ।
৩. চুরি ডাকাতি : কাফেরদের ঘরে ধোঁকা দিয়ে চুরি কর, তাদের ক্ষেতের ফসল কেটে নাও, তাদের পশুও চুরি কর ।G
৪. শহরি ফর্মুলা (১) : মুসলমান বুদ্ধি লাগাও, নিজের ছোট ছেলেদের কাফেরদের ঘরে কাজে ঢোকাও । ২৫/২৫ সন্তান কীভাবে বড়ো করবে, ৮/১০ বছর পর ছেলেরা জওয়ান হয়ে কাফের মেয়েদের সাথে দোস্তি করবে এবং ফূর্তির সাথে টাকাও কামাবে ।
শহরি ফর্মুলা (২) : মুসলমান যুবকরা চাকর, ড্রাইভার, খানসামা, রাঁধুনি, মালি, দারোয়ান হিসাবে হিন্দু সেজে কাজে ঢোক এবং সুযোগ পেলেই উপরের ব্যাপারগুলো প্রয়োগ কর । এছাড়াও কাফেরদের গাড়ি, স্কুটার চুরি করা যেতে পারে । শহরের ইমামের কাছে সব ওস্তাদের খবর পাওয়া যাবে । কাফের যখন জানতে পারবে তখন সে চাকরি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বউই তখন আপত্তি করবে । অনেকবার বউরা মুসলমানের সাথে পালিয়ে গেছে । অনেক মুসলমান চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেবার পরও দিনের বেলায় কাফেরের বাড়িতে ফূর্তি করে, টাকাও মারে । আল্লাহ কা শুক্রিয়া তুনে হিন্দুকো অন্ধা বনাকর রখা । হিন্দু টাকা কামানো ছাড়া কিছু ভাবে না । এটা ইসলামের জয় ।
জিহাদ : জিহাদের লড়াইয়ে মুসলমান শহীদ হলে জন্নত পাবে, বেঁচে থাকলে হিন্দুস্তানের কাফেরদের সম্পত্তি লাভ করবে, হিন্দু মেয়েও পাবে । যেমনটা হয়েছে পাকিস্তান, কাশ্মীর, বাংলাদেশে । জিহাদের জন্য সিমির ২ লাখ, আল কায়দার ১ লাখ জওয়ান তৈরী আছে । এখন আমরা ২০ কোটি, এছাড়াও ৫ কোটি বাংলাদেশি যার মধ্যে ১ লাখ মুজাহিদ । তাই ঘাবড়ানোর কারণ নেই । হিন্দুস্তানের মিলিটারিতে প্রচুর মুসলমান হিন্দু নামে আছে । পুলিশেও প্রচুর মুসলমান আছে এবং সময় আসলে তারা কাফেরদের দোজখে পাঠাবে ।
সাধারণ হিন্দুদের মনে মুসলমানদের সম্বন্ধে নরম মনোভাবের কারণ উপরে বলা বিষয়গুলি । কআরব দেশগুলো থেকে অনেক অর্থ ভারতে আসছে । বিহারে চীন ও বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার এ কে ৪৭ এসে গেছে । তাই লালকেল্লায় ইসলামের পতাকা শীঘ্রই উড়বে ।
আরব দেশগুলোতে হিন্দু মেয়েদের নার্স, আয়া হিসাবে আরো পাঠাতে থাকুন । ভালো মাইনের লোভে গরীব ঘরের মেয়েরা খুশি হয়ে আরব যায় এবং সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়াতে খুবই সাহায্য করে ।
হিন্দু মেয়েদেরকে বিয়ে : হিন্দু মেয়েদের নিয়ে এসে ২ দিন না খাইয়ে রেখে তারপর ভালো খেতে দাও । তার খৎনা অবশ্যই করাও । যদি মেয়ের বাড়ি কোর্ট কেস করে তাহলে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার আগে ৫০-৬০ হাতিয়ার দেখাও ও ভয় পাইয়ে দাও । তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিলে খুন করে দেওয়ার ভয় দেখাও ।
হরিয়াণার মুসলমানদের কীর্তি : গাঁধীর দয়ায় মেওয়াতের মুসলমানরা পাকিস্তান যায়নি । গত ১৫ বছরে ৪০ লাখ মুসলমান বিহার, ইউপি, রাজস্থানে এসে বসে যায় । ৭০% তো হিন্দু নামে থাকছে ও ওপরের বিষয়গুলি প্রয়োগ করছে ।
বাল্লা হু ফাকবর
কাটা খেজুর হাফিজ হুজুর থেকে
সংগৃহিত
[6/25, 8:52 AM] Sib Gopal: জানেন কি এবার আপনার পকেটের মাত্র ১ টাকা আবার টুকরো করে দিতে পারবে পাকিস্তানকে, চোখে সর্ষেফুল দেখবে চীন ★ (জনস্বার্থে প্রচারিত)
.
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার এবার এনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য একটি নতুন স্কিম। যার পোশাকি নাম হলো "Indian Army Battle Casualties and Weapon Purchase"। ভাবছেন তো আপনার পকেটে পড়ে থাকা মাত্র ১ টাকার সাথে এই স্কিমের সম্পর্কটা ঠিক কি ??? এবার খুলে বলি :
.
বেশ কিছুদিন যাবত বহু দেশপ্রেমী ভারতীয়, প্রধানমন্ত্রীকে এমন একটি প্রকল্প চালু করার জন্য অনুরোধ করেছেন যাতে তারা সরাসরি তাদের ডোনেসান ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রদান করতে পারে। অবশেষে ভারত সরকার চালু করতে চলেছে এই "Indian Army Battle Casualties and Weapon Purchase" স্কিমটি, যাতে একটি ওপেন ব্যাঙ্ক একাউন্ট জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সেই একাউন্টটিতে আপনার আমার মত সাধারণ নাগরিক ১ টাকা থেকে শুরু করে সাধ্যমত টাকা জমা করতে পারবেন যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্র ক্রয় ও অপ্রত্যাশিত যুদ্ধের খরচ হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
.
এবার এই প্রকল্পটির সার্থকতা হলো : বর্তমানে আমাদের দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৩০কোটি। এদের মধ্যে যদি ১০০কোটি জনগন তাদের দৈনিক রোজগারের ১টাকাও এই ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা করে তবে প্রতিদিন জমা টাকা হবে ১০০কোটি আর মাসিক জমা টাকার পরিমান হবে ৩০০০ কোটি এবং বার্ষিক জমার পরিমান দাঁড়াবে ৩৬০০০ কোটি যা আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সম্পূর্ন ডিফেন্স বাজেটের থেকেও বেশি।
.
এই টাকায় ১ বছরে ভারত কিনতে পারবে ৩৫০ কোটি টাকা দামের ১০৩ টি শুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান অথবা ১৩৫ কোটি টাকা দামের ২৬৭ টি কমব্যাট হেলিকপ্টার অথবা ৬০ কোটি টাকা দামের ৪০০ টি আব্রাহাম ট্যাঙ্ক অথবা ১৮ কোটি টাকা দামের ২০০০ টি ব্রহ্মোস মিসাইল। ৫ বছরে ভারতীয় সেনার শক্তি কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে একবার ভাবুন!
.
একটু ভেবে দেখুন প্রতিদিন আমরা কত টাকা ফালতু নস্ট করছি, আর তার মধ্যেই মাত্র ১ টাকা বাঁচিয়ে এই তহবিলে দান করলে ভারত অচিরেই হয়ে উঠবে এক বিশ্বশক্তি। কারন আপনার দেওয়া এই টাকা সরাসরি যাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে। তাই আসুন ভারত সরকারের এই প্রকল্পটিকে সফল করি এবং ভারতকে প্রতিষ্ঠিত করি বিশ্বশক্তি রূপে।
.
প্রত্যেক ভারতীয় প্রতিমাসে অন্তত ১০০ টাকা জমা করলে বছরে এই টাকার পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। ভাবতে পারছেন আমেরিকা পর্যন্ত কেঁপে যাবে। নিচে সেই ব্যাঙ্ক একাউন্টটির ডিটেলস্ দেওয়া হলো :-
Bank Details:
SYNDICATE BANK
A/C NAME: ARMY WELFARE FUND BATTLE CASUALTIES
A/C NO: 90552010165915
IFSC CODE: SYNB0009055
SOUTH EXTENSION BRANCH,
NEW DELHI.
.
.
৭ ।। 👉যে ব‍্যক্তি রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেওয়ালে পেচ্ছাব করে সে ও জিজ্ঞাসা করে আচ্ছা দিন কবে আসবে।
👉বিদ্যুৎ চুরি করা মৌলা পুছে আচ্ছা দিন কব আয়েগা
👉যেখানে সেখানে নোংরা ফেলে সেও জিজ্ঞেস করে আচ্ছা দিন কবে আসবে
👉অফিসে 12 টায় এসে 3 টেয় বাড়ি যাওয়া কর্মচারী বলে কবে আচ্ছা দিন আসবে।
👉ট‍্যাক্স চুরি করা ব‍্যক্তি জিগায় আচ্ছা দিন কবে আসবে
👉দেশ সে গদ্দারি করা নেতা বলে কই তোদের আচ্ছা দিন।
👉
লড়কি ছেঁড়নে বালেভি বলে আচ্ছা দিন কবে আসবে।
👉জন গন মন গাওয়ার সময় কথা বলা শিক্ষক বলে আচ্ছা দিন কবে আসবে।
👉যে স্কুলে বাচ্চাদের পাঠায়না তারাও বলে আচ্ছা দিন কবে আসবে।
👉ঘুষখোর অফিসার, অসহায় রোগীর পকেট ফাকা করা ডাক্তার জিজ্ঞাসা করে কবে আসবে আচ্ছে দিন।
👉মৌলানা চার্চ বিশপ সবাই বলছে আচ্ছে দিন কবে আসবে।
👉সিগন্যাল তোড়নে বালা ড্রাইভারও আচ্ছা দিন কবে।
👉টুকলি করা ছাত্রও বলে কব আয়েগা আচ্ছে দিন।
👉বুকে আফজলের ছবি নেওয়া আজাদী গ‍্যাঙ ও বলছে আচ্ছে দিন কবে আসবে🤔
💥নিজেকে যদি না বদলাতে পারো তবে আচ্ছা দিনের কথা ভুলে যাও।
দেশ বদলাবে আপনার আচরনে উপদেশে নয়।
কংগ্রেস 55 লাখ 87 হাজার149 কোটি টাকার দেনা রেখে গেছে।
যার সুদ বছরে পড়ে 4 লাখ
27 হাজার কোটি।
মানে মাসে = 35 হাজার 584 কোটি
দিনে= 1 হাজার186 কোটি
ঘন্টায়= 49 কোটি
মিনিটে 81 লাখ!
প্রতি সেকেন্ডে 1,35,000
ভাবুন দেশকে লূঠ করে কংগ্রেস কতবড় উপকার করেছে।
পুরানো ঋনের সুদের জন্যে দেশকে প্রতি সেকন্ডে এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার কোটি টাকা ব‍্যয় করতে হচ্ছে।এতো সহজে আচ্ছে দিন চলে আসবে?
🌲
এরজন্য নিজেকে ও কিছু ত‍্যাগ স্বীকার করতে হয়।
কি করতে পারেন আপনি এর জন্যে? শুধু একটু দেশীয় প্রডাক্ট ব‍্যবহার করে আপনি দেশের টাকা বাইরে যাওয়া আটকাতে পারেন।এটা করতে পারলে আমরা ক‍্যাপিটাল ডেফিসিট কমাতে পারব।বিদেশি মুদ্রার তুলনায় টাকার দাম বাড়বে।
121 কোটি লোকের 10% মানুষ যদি প্রতিদিন 10 টাকার জুস খায় 3600 কোটি ব‍্যয় হয়।
এই টাকার কোক পেপসি খেলে 3600 কোটি বাইরে যায়।
এই কোকাকলা পেপসি রোজ সাত হাজার কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে।
এই 7000 কোটি টাকা আপনাদের কাছে অনুরোধ দেশের কৃষদের দিন।আখের রস ফলের জুস পান করে।
ভাবুন মাত্র 10% মানুষ দেশের কতটা পরিবর্তন করতে পারেন।
"কৃষক আত্মহত্যা আর করবেনা।
ফলের রসের কারবারেও এক হাজার মানুষের রোজগার হবে।দশ টাকার জুস পাঁচ টাকায় পাবেন।
🌹রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করুন স্বদেশী ব‍্যবহার করুন।
.
শুধু মাত্র 90দিন ভারতের 130 কোটি মানুষ যদি বিদেশী বস্তু না ব‍্যবহার করে তবে আমদের দেশ সবচেয়ে ধনী দেশ হতে পারে।।ডলারের তুলনায় টাকা মজবুত হবে।
আমাদের সবথেকে বড় শক্তি 💪আমাদের জনসংখ্যা।
🏵️🏵️
বাদাম 900 টাকা কিলো / গুটখা 4300 টাকা
*কাজু 800 টাকা কিলো/ সিগারেট 5000 টাকা
শুদ্ধ ঘি 600 টাকা কিলো / তামাক 1700 টাকা
*আপেল 100-150 টাকা কিলো / সুপাড়ি 600 টাকা
*দুধ 50 টাকা লিটার/ মদ 560 টাকা
এরপরও আমরা বলি এতো জিনিসের দাম ভালো খাবার খাব কি করে ?
দেশের অবস্থা খারাপ নয় আমাদের স্বভাব খারাপ।
🍀🍀🍀
2019 মধ্যে 130 কোটি নাগরিকের কাছে এই মেসেজ যদি পৌঁছে দেওয়া যায়..... বাকিটা বন্ধুরা ঠিক করুন। সেয়ার করুন কপি পেষ্ট করুন যা ইচ্ছে করুন।
🌺🌼🌷🌼
ভারত মাতার জয়
বন্দেমাতরম
জয় হিন্দ🌺
৮ ।। ইন্ডিয়ন আর্মীর এক কর্নেলের মেসেজ । অনুগ্রহ করে পড়ুন এবং শীঘ্রই পরিচিতদের মধ্যে শেয়র করুন । Thank you 🙏
দয়া করে এখন কাশ্মীরে বেড়াতে যাবেন না ।
অমরনাথ যাত্রাও এখন করবেন না -
2018 / 2019 /2020
আমি একজন সেনাবাহিনীর কর্মচারী - আধিকারিক ।
​আপনি যদি দু-চার বছর অমরনাথ যাত্রা না করেন, আপনার মৃত্যু হয়ে যাবে না ।
আমরা নিজেরাই আমাদের কাশ্মীর, অমরনাথ যাত্রার মাধ্যমে কাশ্মীরীদের আয়ের স্ত্রোত তৈরি করে দিচ্ছি আর ঐ কাশ্মীরীরাই আমাদের BSF, SRPF, IAS, IPS কর্মচারিদের আক্রমণ করছে । তারা আমাদের সেনার ওপর পাথর ছুঁড়ছে, আমাদের সেনার বিরোধ করছে, তারা সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে কাশ্মীরে ধর্মশালা স্থাপন প্রতিরোধ করে আসছে ,,,
মাত্র দু-বছর কাশ্মীর বয়কট করুন ,,, ’স্বাধীনতা’-র নামে সমস্ত অরাজকতা য়াসিন মলিক ও গিলানির তাঁবুতে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে । তখন আমরা দেখব, পাকিস্তান আর চীন ঐ কাশ্মীরীদের মদদ করতে কতটা এগিয়ে আসে ।
দয়া করে এখন দু-বছর কাশ্মীর বেড়াতে যাবেন না ,,,
শিমলা যান, দার্জিলিঙ যান, কেরল , কন্যাকুমারি, ঊটি,ওড়িষা, উত্তরাখন্ড, গুজরাত যেখানে খুশি বেড়াতে যান ,,,
কিন্তু কাশ্মীর যাওয়া মানেই হবে উগ্রপন্থীদের শক্তিশালী হতে সাহায্য করা ,,,
Kashmir Emporium গুলো থেকে কোনও জিনিষ কিনবেন না ,
রাস্তাঘাটে, বাড়ির দরজায় আসা কাশ্মীরীদের বিক্রি করা কোনও জিনিস কিনবেন না।
দেশের স্বার্থে দয়া করে ন্যুনতম দু-বছর এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন এবং দেখুন ,,,
কাশ্মীরে উগ্রপন্থার সমস্ত পরিদৃশ্য বদলে যাবে ।
এই সঙ্গেই এই মেসেজটি ফরওয়র্ড করে অনুগ্রহ করে যারা নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করে দেশের জন্য কাশ্মীরে কর্তব্যপালন করছে সেই সেনাবাহিনীর urgency কে সম্মান জানান ।
এই মেসেজটি আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ুক - কোনও ইমেজ নয়, কোনও ভিডিও বা Jokes নয়, দু-একদিন সর্বক্ষণ এই মেসেজটিই ফরওয়র্ড করুন ।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন