দেশ ভাগ,গভর্নর জেনারেল, ও কিছু কথা
শেয়ার করেছেন :- প্রণব কুমার কুণ্ডু
প্রণব কুমার কুণ্ডু
দেশ ভাগের সময় বেশ কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল যার দিকে ইতিহাসবেত্তারা নজর দেননা। যেমন ধরুন, ব্রিটিশ ইন্ডিয়াকে ভাগ করে ভারত আর পাকিস্তান দুটো দেশের জন্ম হয়। আর এই দুই দেশের জন্য দুই গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হলেন জিন্না সাহেব নিজেই। অথচ ভারতে কোনো দেশীয় নেতা সেই পোস্ট নিলেন না। তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন হলেন স্বাধীন (আসলে স্বাধীন না, ডোমিনিয়ন) ভারতের প্রথম গভর্ণর জেনারেল।
এ তো গেল ভৌগোলিক আর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ভাগ। মিলিটারি ভাগ হয়েছিল ভৌগোলিক পজিশন দেখে। যেমন এয়ার ফোর্স স্টেশন লাহোর আর এয়ার ফোর্স স্টেশন আম্বালা। প্রথমটা পাকিস্তানে, পরেরটা ভারতে। আর্মি রেজিমেন্ট যেহেতু ধর্ম বা জাতি ভিত্তিক তাই তারাও সহজেই ভাগ হয়ে গেল। বালোচ রেজিমেন্ট চলে গেল পাকিস্তানে, শিখ রেজিমেন্ট ইন্ডিয়াতে।
ব্রিটিশ চলে যাওয়ার পরে আর্মি ভাগ হলেও অনেক ব্রিটিশ অফিসার তাদের রেজিমেন্টের সাথে বেশ কিছুদিন থেকে গেছিলেন। পাকিস্তান আর্মির প্রথম ‘কম্যান্ডার ইন চীফ’ ছিলেন জেনারেল মেসার্ভে, ইন্ডিয়ান আর্মির কম্যান্ডার ইন চীফ ছিলেন জেনারেল রব লকহার্ট।
দেশ ভাগের সময় একটা নতুন পোস্ট তৈরি হয়েছিল, তাকে বলা হত ‘সুপ্রীম কম্যান্ডার অফ ইন্ডিয়া এন্ড পাকিস্তান’। ফিল্ড মার্শাল স্যার ক্লাউড একিনলক সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন ১৯৪৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।
দেশ ভাগের সময় একটা নতুন পোস্ট তৈরি হয়েছিল, তাকে বলা হত ‘সুপ্রীম কম্যান্ডার অফ ইন্ডিয়া এন্ড পাকিস্তান’। ফিল্ড মার্শাল স্যার ক্লাউড একিনলক সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন ১৯৪৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।
দুই দেশের কম্যান্ডার ইন চীফ সমান্তরাল ভাবে ‘সুপ্রীম কম্যান্ডার অফ ইন্ডিয়া এন্ড পাকিস্তান’ কে রিপোর্ট করতেন, আর সেই ‘সুপ্রীম কম্যান্ডার শুধুমাত্র ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেনকেই রিপোর্ট করতেন। মানে পাকিস্তান আর্মি চীফ রিপোর্ট করতেন ইন্ডিয়ার গভর্নর জেনারেলকে। ওদিকে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল জিন্না সাহেবের হুকুম শোনার কেউ ছিল না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন