মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

জানবার কথা ৩


জানবার কথা

শেয়ার করেছেন              প্রণব কুমার কুণ্ডু, ফেসবুক থেকে

Ramprasad Goswami

REALITY CHECK

ধন্যি ধর্ম নেড়েপেক্ষতা

ভারতবর্ষের হাজার বছরের গোলামি অনেক ভারতীয়দের রক্তে মিশে গেছে । গান্ধী পরিবারের প্রতি পূর্ণ সমর্পণ তারই ইঙ্গিত বহন করে । এমনকি রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ , আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, বিচারপতি, আমলা ও মিডিয়াও এই দোষে দুষ্ট । স্বাধীনতার (সমঝোতা) সময় ভারতে তিনটি বিচার ধারা ছিল ।
এগুলো হল কংগ্রেসের পরিবারবাদ ,
বিপ্লবী ও সংঘপরিবারদের জাতীয়তাবাদ
ও বামপন্থীদের দেশদ্রোহীতাবাদ।
স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে, কংগ্রেস,  গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষতাকে, পরিবার ও রাজনৈতিক স্বার্থে লালন করে এসেছে যা বর্তমানে এক ভয়ংকর ব্যাধি হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে বিরাজ করছে।
এটাই হল গান্ধীব্যাধী বা ধর্ম নেড়েপেক্ষতা।
সোজা কথায় বলে তুষ্টিকরণ।
কংগ্রেসের দেখাদেখি বামপন্থী সহ অন্যান্য দলগুলিও এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে আসছে ।
এই ধর্ম নেড়েপেক্ষতার কিছু নিদর্শন দেখা যাক ।

এই ধর্ম নেড়েপেক্ষতার প্রথম নিদর্শন পাওয়া যায় স্বাধীনতার প্রাক্কালে । ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েও অবশিষ্ট (উচ্ছিষ্ট ) ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ হয় । কিন্ত ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু করেনি। মোপলা, নোয়াখালী ও কোলকাতা হিন্দু নিধনে গান্ধীর নির্বিষ প্রতিক্রিয়া এই ধর্ম নেড়েপেক্ষতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বর্তমানে ইহা ব্যপক আকার ধারণ করেছে । ভারতে কুড়ি কোটি মানুষও সংখ্যালঘুর মর্যাদা পায় । হিন্দুদের তীর্থকর দিতে হয়, মুসলিমরা হজ সাবসিডি পায় ।
মন্দিরগুলোকে আয়কর দিতে হয়, মসজিদ বা চার্চদের দিতে হয় না।

দেওয়ালীতে বাজি ফাটলে দূষণ হয়, বড়দিনে হয় না ।
অমরনাথে মন্ত্র ও জয়ধ্বনিতে শব্দদূষণ হয়, আজানে হয় না ।
গঙ্গাতে অস্থি বা প্রতিমা বিসর্জন করলে গঙ্গার জলদূষণ হয়, বুঁচড়খানা রক্তমিশ্রিত জলে হয় না।
কেদারনাথ শিব লিঙ্গের দুগ্ধাভিষেক করা যাবে না , জয় শ্রীরাম বলা যাবে না, বিদ্যালয়ে রামায়ণ, মহাভারত, গীতা পড়ানো যাবে না, কুরান হাদিস পড়ানো যাবে। শনি মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার সাম্যের প্রশ্ন, আর হাজী আলি দরগার ক্ষেত্রে আস্থার বিষয় আদালতের কাছে ।

প্রদুম্ন মার্ডার কেশের আসামী নাবালক হলেও সাবালকের মত কেশ চলবে। কিন্তু নির্ভয়া রেপ ও মার্ডার কেশের আসামী নাবালক আফরোজ বিশেষ ধর্মের বলে বেকসুর খালস।
বীরভূমের পূজার ধর্ষণকারী হাফিজুল ও পুরুলিয়ার লক্ষী সহিসের ধর্ষণকারী কোয়েম আনসারি বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
রাজস্থানে মৃত লাভজেহাদী আফরাজুলের পরিবার 5 লক্ষ টাকা ও চাকুরি পায়,কেরলে জেহাদীদের হাতে নিহত বাঁকুড়ার হেমন্ত রায় কিছু পায় না।
ফেসবুকে কাবা অবমাননার দায়ে নাবালক সৌভিক সরকার আজো জেলে ।
আর ফিদা হোসেনের নগ্ন সরস্বতী ও নগ্ন ভারত মাতার ছবি শিল্পের স্বাধীনতার মর্যাদা পায় ।
বামেরা তার সমর্থনে কোলকাতায় হস্তবন্ধন করে এবং তসলিমাকে মেরে তাড়ায়।
রাজস্থানের প্রতিবাদে যাদবপুরে ভারতের ম্যাপ ও পতাকা পোড়ান হয় ।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জঙ্গি আফজল গুরুর সমর্থনে জে এন ইউ তে বামপন্থীদের ভারতবিরোধী শ্লোগান ধর্ম নেড়েপেক্ষতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ । জুলফিকার ও বুড্ঢা ইন এ ট্রাফিক জ্যাম এ বিরোধ সংগত , কিন্ত পদ্মাবতী ও এস দুর্গার বিরোধ গণতন্ত্র হত্যার সামিল ।
কৈরানা, কালিয়াচক, বসিরহাট, ধূলাগড় জ্বললেও মিডিয়া তা দেখতে পায় না ।
কিন্তু ইউ পি বা হরিয়ানাতে কেউ কিছু বললে, ঘন্টাখানেক কয়েকদিন চলতে থাকে ।

রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য 300 বছরের মন্দির ভাঙ্গা যায় কিন্ত দিল্লীর মত জায়গাতে রেল প্লাটফর্মের মাঝে মাজার থাকে বা নামাজের জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকে।
হিন্দু শ্রাইন বোর্ডের মাথায় এক মুসলিমকে বসানো কিন্ত হজ কমিটিতে কোন হিন্দুকে রাখা হয় না।
মন্দিরের টাকায় মসজিদের সংস্কার হয়, আর ঐ মসজিদের ইমাম ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মাথা মুড়ানোর ফতোয়া জারি করে ।
50% এর নাম করে সমস্ত মুসলিম ছাত্রদের বৃত্তির টাকা দেওয়া হয় কিন্ত গরীব মেধাবী হিন্দু ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়া হয় না।
কাশ্মীরী পন্ডিতদের দুঃখ কেউ দেখতে পায় না, কিন্ত রোহিঙ্গাদের দুঃখে চোখের জল ফেলে।
বিবেকানন্দ, নেতাজি , শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিরা সম্মান পান না , হিন্দু নিধনকারি খিলজী , টিপু সুলতান , বাবর পূজিত হয় ।

অযোধ্যাতে মন্দির নির্মাণের জন্য একজন হিন্দু আইনজীবি দাড়ায় ।
সেখানে মসজিদ নির্মাণের জন্য 50 জন হিন্দু আইনজীবি দাড়ায় ।
প্রকাশ্যে গোহত্যার সমর্থনে গোমাংস ভক্ষণ করে, তারাই আবার বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে ডাক পায় । এরা হিন্দু বিদ্বেষীই নয়, ভারত বিদ্বেষীও বটে । এইসমস্ত ধর্মনেড়েপেক্ষ , ধান্দাবাজ বরাহনন্দনরা আর যাইহোক ভারতীয় হতে পারে না । এদের মুখোশ খুলে দিতে হবে , নইলে ভারতবর্ষে 47এর পুনরাবৃত্তি হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন