মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

জানবার কথা ৪


জানবার কথা ৪

শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু       ফেসবুক থেকে।

আপনি জানেন কি
সনাতন ধর্মের ওঁ শব্দের এর উৎপত্তি ও তাৎপর্য???
👉 শিব পুরাণ মতে ওঁ ধ্বনি হতে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে। তাই সনাতন(হিন্দু) ধর্মে ওঁ ধ্বনির গুরুত্ব সর্বোচ্ছ।
ওঁ প্রণবধ্বনি। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ধ্বনিশ্রেষ্ঠ। যে কোনও মন্ত্রের অগ্রে সে উচ্চারিত হয়। আবার নিরালম্ব ওঁকার উচ্চারণকারীর সামনে খুলে দিতে পারে অনন্তকে। ওঁ-কে নিয়ে কেবল ভারতীয়রাই ভাবেননি। এই ধ্বনিকে নিয়ে ভেবেছে পশ্চিম গোলার্ধ, ভেবেছে নাসা-র মতো বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থাও। আজ পর্যন্ত ওঁ ধ্বনির রহস্য পুরোপুরি উন্মোচিত নয়। সত্যি বলতে, তা হওয়াও সম্ভব নয়। এই ধ্বনির মধ্যে ডুবে রয়েছে:--  সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের রহস্য।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ওঁ-সংক্রান্ত ৫টি তথ্য।
১. ওঁ ধ্বনি থেকেই অন্য যাবতীয় ধ্বনি উচ্চারিত হতে পারে। ধ্বনি উচ্চারিত হয় কণ্ঠ, মুখগহ্বর এবং ওষ্ঠের প্রয়োগে। ওঁ, যা-- অ-উ-ম- এর সমাহার, তা উচ্চারিত হয় তিনটি ক্ষেত্র থেকেই। অ কণ্ঠে, উ মুখগহ্বরে এবং ম ওষ্ঠে ধ্বনিত হয়।
২. ওঁ-কার ঈশ্বরের সকল নামের প্রতিনিধি স্বরূপ ও তার শ্রেষ্ঠ নাম। বেদ,উপনিষদ, গীতা ও অন্যান্য সনাতনশাস্ত্রে সর্বত্রই ওঁ-কারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
৩. ওঁ উচ্চারিত হওয়ার পরে এক নৈঃশব্দ সৃষ্ট হয়। একে ‘তূরীয়’ বলা হয়। যা অনন্ত চৈতন্যের প্রতীক।
৪. ‘মাণ্ডুক্য উপনিষদ’ অনুযায়ী এই ত্রিধ্বনি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে বর্ণনা করে।
৫. ওঁ— লিখিত আকারেও একইভাবে তিনটি সময় অবস্থাকে জানায়। তলার বৃহত্তর কুণ্ডলীটি জাগ্রত অবস্থার, মধ্যেরটি স্বপন অবস্থার এবং উপরেরটি সুষুপ্তির প্রতীক। আর সবার উপরে অবস্থিত বিন্দুটি তূরীয় অবস্থাকে ব্যক্ত করে।
,👇👇👇👇👇
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন,
তিনি সকল অক্ষরের মধ্যে ওঁ কার।-
এই সম্পর্কে গীতায় (৭ অধ্যায় /৮ নং শ্লোক) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,
“আমি জলের রস, চন্দ্র-সূর্যের কিরণ,
বেদের ওঁ(প্রণব), আকাশে শব্দ ও মানুষের মধ্য পুরুষত্ব রূপে বিরাজ করি।”
☞ ওঁ - মানে হচ্ছে পরম ব্রহ্ম। একক কোনো দেবতাকে নির্দেশ কিংবা প্রতীক নয়। সাক্ষাত ব্রহ্মের প্রতীক ওঁ। তবে মনে রাখবেন ওঁ এবং ঔঁ এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ঔঁ বলতে ত্রিদেবকে(ব্রহ্মা,বিষ্ণু মহেশ্বর) বুঝায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন