বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭

শঙ্খ ২


শঙ্খ ২



শ্রীকৃষ্ণের শঙ্খ  'পাঞ্চজন্য'।
অর্জুনের  'দেবদত্ত'।
ভীমের  'পৌন্ড্র'।
মহারাজ যুধিষ্ঠিরের  'অনন্তবিজয়'।
নকুলের  'সুঘোষ।
সহদেবের  'মণিপুষ্পক'।

শঙ্খ পবিত্র বস্তু।
শঙ্খবাদন গৃহস্থের মঙ্গলকর।
অশুভনাশক।

মঙ্গলাচরণে ( মঙ্গল আচরণে )  শঙ্খধ্বনি দেয়া আমাদের সুপ্রাচীন বৈদিক প্রথা !
মঙ্গলাচরণ।
কোনো শুভ কর্মের প্রারম্ভে, সেই কর্ম,  নির্বিঘ্নে সমাপ্তির উদ্দেশ্যে, শুভ অনুষ্ঠানবিশেষ !
ওটা মঙ্গলজনক অনুষ্ঠান ! মঙ্গলিতা !
মঙ্গলোৎসবের অঙ্গ !
ব্যাপারটা মঙ্গল্য ! মাঙ্গলিক ! শুভজনক !

শঙ্খ, চলতি কথায়, শাঁখ !
শাঁখ, সামুদ্রিক প্রাণির খোলা !
সমুদ্রে পাওয়া যায় !

শঙ্খ বাজানোর কায়দা-কৌশল-দক্ষতা অবিশ্যি ভারতীয় সংস্কৃতির নিজস্ব অঙ্গ !

শঙ্খের মতো উলুধ্বনিও ( হুলুধ্বনি ) মঙ্গলদায়ক !
পুরোপুরি ভারতীয় !
উলু/হুলু।
প্রধানত পূজা-পার্বণ  বিয়ে, এবং অন্যান্য শুভকার্য প্রভৃতিতে, মূলত ভারতীয় হিন্দু নারীরা, জিব, মুখের ভেতরের 'তালু' ও কণ্ঠের বিশেষ ধরণের  'চিল্লি'  শব্দের সাথে, যে শ্রুতিমধুর অথচ কর্ণপটহ বিদীর্ণকারী,  যে উচ্চ কম্পাঙ্কের  সুউচ্চ মুখশব্দ করে !
জোঁকার ! জোকার ! ওটাই হুলুধ্বনি ! সংস্কৃতে  'জয়কার' !
হুলু, সংস্কৃতের 'হুলহুলী' শব্দের রূপান্তর !

শঙ্খ আবার বামাবর্তী ও দক্ষিণাবর্তী, এই দুই ধরণের হতে পারে !

শঙ্খের ঘূর্ণন, বামদিক অভিমুখী হলে, বামাবর্তী শঙ্খ !
শঙ্খের ঘূর্ণন দক্ষিণদিক অভিমুখী হলে, দক্ষিণাবর্তী শঙ্খ !

শ্রীকৃষ্ণের পাঞ্চজন্য শঙ্খ, দক্ষিণাবর্তী !
সেই শঙ্খের আওয়াজ ছিল, শ্রীকৃষ্ণের অনুবর্তী !



সাধু-সন্ন্যাসী


সাধু- সন্ন্যাসী



বিভিন্ন মঠ-মিশন-আশ্রমের সাধু-সন্ন্যাসিরা, বর্তমান অবস্থায়,  এখন যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পান, তার চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধার অধিকারী যদি তাঁরা পেতে পারতেন, সম্ভবত তাঁরা, অন্য কোন সুবিধাজনক পেশায় চলে যেতে পারতেন !

কেননা মানুষের চিন্তা-ভাবনায়, অভিরুচিতে, সব সময়েই, বিকল্প চিন্তা-ভাবনার অবকাশ এবং সংস্থান থেকে যায় !

শিখে নেয়া


শিখে নেয়া



একসময় আমরা দক্ষিণ-ভারত কথাটা বলতাম ! কেউ বেড়াতে গেলে,  South India  বলতাম !
আমরা জানতাম না, দক্ষিণভারত বলতে, ভারতের তামিল নাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক,  ও কেরল অঙ্গরাজ্য এবং লাক্ষাদ্বীপ ও পণ্ডিচেরি প্রশাসনিক এলাকাগুলি নিয়ে গঠিত অঞ্চলের সাধারন নাম বোঝায় !

তেমনি আমরা 'মুসলমান' কথাটি ব্যবহার করি !

আমরা মুসলমানদের দুই প্রধান গোষ্ঠী, 'শিয়া' ও 'সুন্নি'দের তফাত করতে পারি না !

ওটাও আমাদের শিখে নিতে হবে !

তবেই না আমরা 'ভারতীয়' হব !

মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭

শ্রীকৃষ্ণ ২


শ্রীকৃষ্ণ ২



শ্রীকৃষ্ণ যদিও ভগবান শ্রীবিষ্ণুর অবতার, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের হাতে থাকা সুদর্শন চক্রটি, ভগবান শ্রীবিষ্ণুর  original  সুদর্শন চক্র নয় !

শ্রীকৃষ্ণের কাছে থাকা সুদর্শন চক্রটি, খাণ্ডববনদাহনে সহায়তা করার জন্য, অগ্নিদেব, বরুণদেবের কাছ থেকে নিয়ে, শ্রীকৃষ্ণকে দিয়েছিলেন ! সঙ্গে অবিশ্যি, 'কৌমোদকী' গদাটিও দিয়েছিলেন !
শ্রীকৃষ্ণ, অগ্নিদেব-এর কাছ থেকে, সুদর্শন চক্রটি এবং কৌমোদকী গদা, উপহার হিসাবে, পেয়েছিলেন !

খাণ্ডববন দহনের আগে পর্যন্ত, কিন্তু, শ্রীকৃষ্ণের  সুদর্শন চক্র ছিল না !
তাহলে খাণ্ডববন দহনের পূর্ব পর্যন্ত, কৌমোদকী গদাও, শ্রীকৃষ্ণের হেফাজতে ছিল না !


সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭

ঋগ্বেদের নদীসমূহ


ঋগ্বেদের নদীসমূহ                     প্রবন্ধটি ভাগ করে দিলাম !                            প্রণব কুমার কুণ্ডু।

ঋগ্বেদীয় নদীসমূহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নদী হিসাবে, সপ্তসিন্ধু ("সাত নদী")  (সংস্কৃত: सप्ता सिंधू),[১],  ঋগ্বেদের স্তবগানে একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছে, এবং এর ফল,  প্রারম্ভিক বৈদিক ধর্মে অন্তর্ভুক্ত। এটি একটি পুরোনো  আদি-ইন্দো-ইরানীয় ভাযা থেকে প্রাপ্ত হতে পারে, যার একটি সমজাতীয় নাম হিসাবে, হপ্তা হেন্দুআবেস্তীয় ভাষায় যা বিদ্যমান।

পরিচ্ছেদসমূহ

পুরাণ

যজুর্বেদের একটি আবৃত্ত বিষয় হল যে ইন্দ্র বৃত্রাসুরকে (আক্ষরিক অর্থ "বাধা") হনন করেন, নদীর মুক্তিদান করেন; বৈকল্পিক শ্রুতিতে, ইন্দ্র "ভালা গুহা" ধ্বংস করে, তার মধ্যে আবদ্ধ গরু-দের মুক্তি প্রদান করেন। যদিও দুইটি শ্রুতি পৃথক,[২],  তবে নদী ও গরু প্রায়ই কাব্যিকভাবে ঋগ্বেদে পরম্পর সম্পর্কযুক্ত করা হয়, উদাহরণ হিসাবে ৩।৩৩ শ্লোকে, ভারত উপজাতির রথ ও শকট-এর দুই স্ফীত নদী পারাপারের বর্ণনা একটি উল্লেখযোগ্য গান, ৩।৩৩।১ শ্লোকে যেমন দুই উজ্জ্বল গাভী মাতা,  যারা তাদের কচি শাবকদের লেহন করছে, বিপাশা এবং সুতুদ্রি  তাদের জলের গতি মন্থর করে দিচ্ছে।[৩]

সপ্তসিন্ধু

সপ্তসিন্ধু হল সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে অনিশ্চিত বা পরিবর্তনশীল সাতটি প্রধান নদীর একটি জোট (জোটের সঠিক সদস্যদের চেয়ে সাত সংখ্যাটির অনেক বেশি গুরুত্ব রয়েছে), যা আবেস্তার সপ্তর্ষির সঙ্গে তুলনীয় (এবং পরে সাত সমুদ্রপথ এবং সাত স্থানের সঙ্গে)। আবেস্তার হপ্তা হেন্দু মোটামুটিভাবে  বৈদিক সপ্ত সিন্ধভ-এর  সঙ্গে সমান ভাবে সমার্থক বা মুখোমুখি হয়: ভেংদিদাদ-এর ১।৮-এ বর্ণিত যে ষোলটি জমির মধ্যে পঞ্চদশটি মজ্দা দ্বারা নির্মিত।[৪]

সাত নদীর পরিচয়

এটা সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার না কিভাবে সাত নদীকে গাণিতিক করার উদ্দেশ্য করা হয়। সেগুলো প্রায়ই উত্তর ভারত / বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থিত। যদি সরস্বতী  এবং পাঞ্জাবের পাঁচটি প্রধান নদী অন্তর্ভুক্ত করা হয় (সুতুদ্রি, পরুশনী, অশিকনি, বিতস্তা ও বিপাশা, আধুনিককালে সব সিন্ধুর উপনদী), দেখা যায় একটি নদী অনুপস্থিত, সম্ভবত সেটি হল কূভা (সিন্ধু একটি বিশেষ ক্ষেত্র, যার স্ত্রীলিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োগ হয়)। অন্যান্য সম্ভাবনার মধ্যে আর্জিকিয়া বা সুষমা অন্তর্ভুক্ত; ঋগ্বেদের ১০।৭৫ শ্লোকে, নদীস্তুতি সুক্ততে, সিন্ধুর পূর্ব ও পশ্চিম উভয় দিকে, এছাড়াও দশটি নদীর তালিকাও তুলনীয়। ৬।২১।১০ শ্লোকে, সরস্বতী নদীকে "সাত বোন সঙ্গে তিনি" (সপ্তস্বসা) বলে আটটি নদীর একটি জোটকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, সংখ্যা সাত ব্যক্তি সদস্যদের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ (এছাড়াও আবেস্তীয় সপ্তর্ষি, হপ্তা কর্সূয়ার / হাফ্ত্‍ কেশ্বর দেখুন), তাই সপ্তসিন্ধুর তালিকা সংশোধনীয় বা অপরিবর্তনীয় কোনটাই নয়। ঋগ্বেদের ১০।৬৪।৮ এবং ১০।৭৫।১ শ্লোকে, সাতটি নদীর তিনটি জোট উল্লেখ করা হয় ("সাতটি তিনবার বিচরিত নদী"), ৯৯টি নদীর মত। সপ্তসিন্ধু অঞ্চল পূর্বদিকে সরস্বতী দ্বারা, পশ্চিমে সিন্ধু এবং মধ্যে সুতুদ্রি, বিপাশা, অশিকনি, পরুশনী এবং বিতস্তা এই পাঁচটি দ্বারা বেষ্টিত ছিল।
সব গবেষক এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত হন না।  বই,  "ল্যন্ড অফ দি সেভেন রিভার্স"-এ, লেখক,  শ্রীসঞ্জীব সান্যাল যুক্তি দিয়েছেন যে সপ্তসিন্ধু বলতে শুধুমাত্র সরস্বতী এবং তার নিজস্ব উপনদী বোঝায়। যদি সান্যাল ঠিক হয়, সপ্তসিন্ধু অঞ্চল বলতে শুধুমাত্র হরিয়ানা এবং উত্তর রাজস্থান সহ একটি ছোট অংশ বোঝায় কিন্তু পাঞ্জাবের বেশীরভাগ এলাকা বাদ চলে যায়। তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সপ্তসিন্ধু ঋগ্বেদের ভূখণ্ডের শুধুমাত্র একটি ছোট উপবিভাগ এবং এটা বিজয়ী ভারত ত্রুত্সু উপজাতির মূল স্বদেশ হওয়ার ফলস্বরূপ এর অনুপাতহীন গুরুত্ব আহরিত হয়েছে।

ঋগ্বেদের ভূগোল


ঋগ্বেদের ভূগোল; সোয়াত এবং সমাধিক্ষেত্র এইচ সংস্কৃতির পরিমাণ নির্দেশ করা হয়েছে
একমাত্র ঋগ্বেদের নদী সনাক্তকরণই প্রথম দিকের বৈদিক সভ্যতার ভূগোল প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। নির্দিষ্ট শনাক্তকরণযুক্ত নদীকে পূর্ব আফগানিস্তান থেকে পশ্চিম গাঙ্গেয় সমভূমি পর্যন্ত প্রসারিত করুন, পাঞ্জাবের জোট অবধি (পাঁচটি জল (নদীসমূহ))। কিছু কিছু নদীর নাম ঘুরে ফিরে সাধারণ ইন্দো-ইরানীয় নদীতে প্রদর্শিত, আবেস্তীয় সমানজাতীয় নদীর নামের সাথে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সরস্বতী (আবেস্তীয় হরক্ষবাইতি, ফার্সি হারা(জ)উবতি) এবং সরযূ (ইরানীয় হরয়ু, আবেস্তীয় হরইইউম, ফার্সি হরে)।
পাঞ্জাবের কেন্দ্রীয় বৈদিক হৃদয়ভূমি থেকে পূর্বদিকে বাহিত বৈদিক সংস্কৃতি কেন্দ্রের অনেক নদীর নাম দেখা যেতে পারে যা অন্যান্য নদীতে পুনরায় প্রয়োগ করা হয়েছে। "নদীস্তুতি সুক্ত" (১০।৭৫)-কে ধন্যবাদ, যাতে নদীর একটি ভৌগোলিক ভিত্তিক তালিকা রয়েছে, ফলস্বরূপ ঋগ্বেদের সর্বশেষ ধাপের জন্য একটি পরিষ্কার ছবি স্থাপন করা সম্ভব। ঋগ্বেদে বিশিষ্ট নদী হল সিন্ধু,  পরবর্তী, সরস্বতী। ঋগ্বেদের সরস্বতী নদী সাধারণত বর্তমানের "ঘগ্গর হকরা" নদীর সঙ্গে চিহ্নিত করা হয়, যদিও "হেলমান্দ নদী" প্রথম দিকের ঋগ্বেদের তথ্য অনুযায়ী একটি সম্ভাব্য স্থান কিনা তাই নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এটা মাঝে মাঝে বৈদিক আর্যরা তাদের প্রথম আবাসস্থল সেইস্তান (এরাকোজিয়া, আবেস্তীয় হারইউয়া) থেকে অনুমিত অবস্থান, সিন্ধু সমতলের মধ্যে গান্ধার এবং পূর্ব আফগানিস্তান এবং তার পরেও পরিবর্তনের জন্যে বলে আরোপিত হয়, যদিও তেমন অবস্থান পরিবর্তনের কোন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নেই। অন্যদিকে বি॰বি॰ লাল-এর মত প্রত্নতাত্ত্বিকরা দেখিয়েছেন সিন্ধু অববাহিকা থেকে কিছু ইন্দো-আর্য গোষ্ঠীর বিপরীত পশ্চিমাভিমুখী অবস্থান পরিবর্তনের সম্ভাবনা হিসেবে এবং একই সঙ্গে উপমহাদেশের বাইরের অনুপ্রবেশের জন্য কোনো নির্দিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের অভাব।[৫]

তালিকা

নিম্নলিখিত তালিকায় ভৌগলিক প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতির সময়ে, এটা মনে রাখতে হবে যে ঋগ্বেদ রচনার সময় প্রথম দিকে এবং শেষের স্তবগানে উভয় স্থানে উপস্থিত কিছু নাম পুনরায় প্রয়োগ করা হয়েছে যা ঋগ্বেদের রচনা অনুযায়ী নতুন নদী হিসাবে গণ্য করতে হবে।

জালালাবাদের কাছাকাছি কাবুল নদী

খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত নদী

আফগানিস্তানের হরি নদী বা হরিরুদ
উত্তর পশ্চিম নদীসমূহ (সিন্ধুর পশ্চিম উপনদীসমূহ):
  • ত্রস্তম্ (গিলগিট)?
  • সুসার্তু
  • অনীতাভ (একবার তালিকাভুক্ত, ৫।৫৩।৯ তে, আফগান নদী রসা (আবেস্তীয় রঙ্ঘ/রনহা), কূভা, ক্রূমু, সরযূ (আবেস্তীয় হরইউ) সাথে)
  • রসা (সিন্ধুর উপরভাগে (প্রায় একটি কাল্পনিক নদী, আবেস্তীয় রঙ্ঘ, স্ক্যথিয়ান রা্)
  • শ্বেত্যা
  • কূভা (কাবুল), গ্রিক কফেণ
  • ক্রূমু (কুররা্ম)
  • মেহত্‍নু (গোমতী এবং ক্রূমু সহ)
  • সুবস্তু (সোয়াত) ঋগ্বেদ ৮।১৯।৩৭ এ)
  • গৌরী (পঞ্জকরা)??
  • কুসভা (কুনার)??
সিন্ধু এবং এর গৌণ পূর্বদিকের উপনদীসমূহ:
মধ্য নদীসমূহ (পাঞ্জাবের নদীসমূহ):
পূর্ব-মধ্য নদীসমূহ (হরিয়ানার নদীসমূহ):
  • সরস্বতী (ঋগ্বেদের মধ্যে উল্লেখিত সরস্বতী নদীকে বর্তমানের ঘগ্গর হকরা নদী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, যদিও প্রারম্ভিক ঋগ্বেদের সুত্রে একটি সম্ভাব্য স্থান হিসেবে অর্ঘণ্ডব নদী (হেলমান্দ নদীর একটি উপনদী) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।)
  • দ্র্শাদ্বতি, অপয় (ঋগ্বেদ ৩।২৩।৪, মহাভারত অপগা।)
পূর্ব নদীসমূহ:
অনিশ্চিত / অন্যান্য

পাদটীকা




  • e.g. RV 2.12; RV 4.28; RV 8.24

  • আরও দেখুন

    তথ্যসূত্র

    • S.C. Sharma. 1974. The description of the rivers in the Rig Veda. The Geographical Observer, 10: 79-85.
    • Michael Witzel, Tracing the Vedic dialects in Dialectes dans les litteratures Indo-Aryennes ed. Caillat, Paris, 1989, 97–265.
    • Gherardo Gnoli, De Zoroastre à Mani. Quatre leçons au Collège de France (Travaux de l’Institut d’Études Iraniennes de l’Université de la Sorbonne Nouvelle 11), Paris (1985)
    • Shrikant G. Talageri, The Rigveda, a historical analysis, Aditya Prakashan, New Delhi (chapter 4)

    অবতার কাহিনী

    মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন-এর লেখা ভাগ করে দিলাম !                                     প্রণব কুমার কুণ্ডু।



    অবতার কাহিনী



    মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন



    সনাতন ধর্মাবলম্বী শৈব বা শিবের অনুসারী, বৈষ্ণব বা বিষ্ণুর অনুসারী এবং কতিপয় সম্প্রদায়ের অনুসারীরা বিশ্বাস করে, সৃষ্টি বিনাশোন্মুখ হলে বা পৃথিবীতে অধর্ম-অনাচার-পাপ বৃদ্ধি পেলে ভগবান যুগে যুগে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং সৃষ্টিকে ধ্বংস হতে রক্ষা করেন ও মানুষকে রক্ষা এবং মোক্ষ লাভ করতে সাহায্য করেন। পৃথিবীতে অবতীর্ণ ভগবানের বিভিন্ন পার্থিব রূপই ‘অবতার’।
    ৭. “যদা যদা হি ধর্মস্য, গ্লানির ভবতি ভারত অভ্যুত্থানম অধর্মস্য তদাত্মনম সৃযামি অহম ৮. পরিত্রাণায় সাধুনাম বিন্যাস্য চ দুস্কৃতাম ধর্ম সংস্থাপনার্থায় সম্ভাবামি যুগয় যুগয়।” ভগবত গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের সপ্তম ও অষ্টম স্তোত্রে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার সখা ভারতকে (অর্জুন) বলছেন,‘যখনই পৃথিবীতে ধর্মের অবক্ষয় ঘটে, অধর্মের গ্লানি বৃদ্ধি পায়; তখনই আমি ধর্ম সংস্থাপনের জন্য এবং দুস্কৃতকারীদের বিনাশের জন্য যুগে যুগে (পৃথিবীতে) অবতীর্ণ হই।’ ‘অবতরণ করি’ বা ‘অবতীর্ণ হই’ বর্ণনা হতে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরা ‘অবতার’ অর্থে বুঝে থাকেন, স্রষ্টা বা ভগবান যুগে যুগে যুগসন্ধিক্ষণে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন বা জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, ব্রহ্মা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তথা বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেন, বিষ্ণু বিশ্বজগৎ রক্ষা করেন এবং শিব বিশ্বজগৎ ধ্বংস করেন। এই তিনে মিলে ভগবানের ত্রিমূর্তি। তিন জনের তিন গুণ- রজঃ (আবেগ/আসক্তি), সত্ত্ব (জ্ঞান/ধর্ম) ও তমঃ (অজ্ঞান/অধর্ম)। এই তিন সত্তাই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হতে পারেন। গুণভিত্তিক অবতারগণই হলেন ‘গুণাবতার’। অবতার সম্পর্কে ঋগে¦দে এই মর্মে একটি ইঙ্গিত রয়েছে, অজেয় রক্ষাকর্তা বিষ্ণু তিন পদক্ষেপে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিভ্রমণ করেন। বৈদিক ভাষ্যকাররা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বলতে ভূমণ্ডল, বায়ুমণ্ডল এবং নভোমণ্ডলের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। এই ব্যাখ্যা মতে, বিষ্ণু পৃথিবীতে অগ্নিমূর্তি, বায়ুতে বজ্র মূর্তি এবং অন্তরীক্ষে আলোকমূর্তি ধারণ করেন। কিন্তু ভাষ্যকার সায়নের মতে, ‘তিন পদক্ষেপ’ বলতে বরাহ অবতাররূপী বিষ্ণুর তিন পদক্ষেপ বোঝায়। তবে অবতার বিষয়ক সব ধারণা বা বিশ্বাস বিশ্লেষণ করলে মনে হয়, বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের বিশ্বাসই সর্বাধিক জনপ্রিয়, অর্থাৎ বিষ্ণুই যুগে যুগে অবতাররূপে পৃথিবীতে আগমন করেছেন। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের বিশ্বাস মতে, বিষ্ণুর অবতার দশজন- ‘দশাবতার’। মৎস্য অবতার শতপথ ব্রাহ্মণ এবং মৎস্য পুরাণে বলা হয়েছে, জগৎপালক বিষ্ণু সত্যযুগে মৎস্য রূপ ধারণ করে প্রথম অবতাররূপে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। মৎস্য পুরাণের কাহিনী মতে, সত্যযুগে দ্রাবিড় রাজা সত্যব্রত একজন বিষ্ণুভক্ত ছিলেন। পরে রাজা সত্যব্রতকে আদিপুরুষ মনু বলে গণ্য করা হয়। কথিত আছে, একদিন নদীতে হস্ত ধৌত করার সময় একটি ক্ষুদ্র মৎস্য পোনা মনুর হস্তোপরে উঠে এসে জীবনরক্ষার্থে আশ্রয় প্রার্থনা করে। মনু তাকে একটি ক্ষুদ্র হাঁড়িতে রেখে দেন। অচিরেই মৎস্যটির দেহাবয়ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। মনু মৎস্যটিকে হাঁড়ি থেকে পুকুরে, পুকুর থেকে নদীতে, নদী থেকে সাগরে অবমুক্ত করেন। সাগরে অবমুক্তির পর মৎস্যটি মনুকে স্বীয় পরিচয় দান করে। এই মৎস্য সাধারণ মৎস্য নন; তিনি হলেন স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু। বিমূঢ় সত্যব্রতের প্রশ্নের উত্তরে ভগবান বিষ্ণু জানালেন, মহাপ্লাবনরূপী এক মহাপ্রলয় হতে পৃথিবীকে রক্ষার জন্য তিনি মৎস্য রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন। ‘আমি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা এবং দুষ্টের দমনের জন্য পৃথিবীতে অবতরণ করেছি। এখন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে সিন্ধুর জলরাশি বৃদ্ধি পেতে পেতে সপ্তদিবসান্তে সমগ্র পৃথিবীকে জলমগ্ন করবে। তখন একটি বিশাল তরী তোমার কাছে এসে ভিড়বে।
    পরবর্তীকালে পুনঃসৃষ্টির প্রয়োজনে পশুপাখিসহ প্রাণিজগতের প্রতিটি প্রজাতির নারী-পুরুষের একটি করে জোড় নমুনা, সর্বপ্রকার বনৌষধি, সর্বপ্রকার বীজ, নাগরাজ বাসুকী এবং সাতজন ঋষিসহ ঐ তরীতে আশ্রয় গ্রহণ করে আমার জন্য অপেক্ষা করবে।’ সত্যব্রতকে এই আদেশ দান করে মহাপ্রভু বিষ্ণু হয়গ্রীবা অসুরের কবল থেকে বেদ রক্ষার্থে অন্তর্ধান করেন। প্রসঙ্গক্রমে মৎস্য পুরাণের একটি কাহিনী উল্লেখ করতে হয়। বলা হয়, মহাঅস্তিত্বের একটি ‘কল্প’ অতিবাহিত হতে ৪৩২ কোটি বছর সময় লাগে। সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার একটি দিবস একটি কল্পের সমান। একটি কল্প বা ব্রহ্মার একটি দিবস অতিবাহিত হওয়ার পর ব্রহ্মা নিদ্রাভিভূত হন। ব্রহ্মা নিদ্রাভিভূত হলে বেদচতুষ্টয় ব্যতীত অন্য সব সৃষ্টি বিলুপ্ত হয়। বেদচতুষ্টয় ব্রহ্মার দেহাভ্যন্তরে অবস্থান করে এবং সেই কারণে বেদগুলো পরিবর্তন করা যায় না ও ধ্বংস হয় না। বেদচতুষ্টয়ের মধ্যে সৃষ্টি বিষয়ক সূত্রাবলি বিদ্যমান বিধায় সৃষ্টি প্রক্রিয়া চলমান রাখার জন্য বেদ অপরিহার্য। কোন এক কল্পে নিদ্রাবিষ্ট হয়ে হাই তোলার সময় বেদচতুষ্টয় তার মুখগহ্বর হতে নিষ্ক্রান্ত হয়। ওই সময়ে হয়গ্রীবা নামের এক অসুর অমরত্ব লাভের আশায় বেদচতুষ্টয় কুক্ষিগত করে। হয়গ্রীবা অসুরের দেহ ছিল মানুষের মতো এবং মুখমণ্ডল ছিল ‘হয়’ বা অশ্বের গ্রীবার মতো। মৎস্যাবতাররূপী বিষ্ণু তখন নিদ্রার ভান করে বেদচুরির সমগ্র ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন এবং হয়গ্রীবাকে বধ করে বেদচতুষ্টয় পুনরুদ্ধার করেন। অন্য এক ভাষ্যমতে, বিষ্ণু নিজেই সাগরে ভাসমান বেদচতুষ্টয় আত্মসাৎকারী দু’জন দৈত্যের কবল হতে উদ্ধার করেন।
    মৎস্য অবতারের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে সপ্তাহান্তে পৃথিবী মহাপ্লাবনে নিমজ্জিত হয় এবং একটি বিশাল আকৃতির তরী সত্যব্রতের নিকটবর্তী হয়। বিষ্ণুর নির্দেশমতো সত্যব্রত মনু পশুপাখিসহ প্রাণিজগতের প্রতিটি প্রজাতির নারী-পুরুষের একটি করে জোড় নমুনা, সব ধরনের বনৌষধি, বীজ এবং সাতজন ঋষিসহ ওই তরীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। অতঃপর নাগরাজ বাসুকীকে রজ্জুরূপে ব্যবহার করে ওই বিশাল তরী মৎস্য অবতারের শৃঙ্গের সঙ্গে বন্ধনযুক্ত করা হয়। সত্যব্রতের তরী ব্রহ্মার এক রজনী ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ সাগরে পাড়ি জমায় এবং এইরূপে সৃষ্টির ধারা বহমান হয়। রাজা সত্যব্রত পরবর্তীকালে মনুরূপে জন্মগ্রহণ করে ভগবান বিষ্ণু কর্তৃক মৎস্য অবতাররূপে প্রদত্ত জ্ঞান মানবকল্যাণে প্রয়োগ করেন।
    প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তোরাহ্ ও খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে প্রফেট নোয়াহ্’র আমলে এবং মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফে পয়গম্বর নূহ্ আলাইহে ওয়া সাল্লামের আমলে মহাপ্লাবন এবং মহাপ্লাবন হতে সৃষ্টিকে রক্ষার জন্য পশুপাখিসহ প্রাণিজগতের প্রতিটি প্রজাতির নারী-পুরুষের একটি করে জোড় নমুনা, সব ধরনের বনৌষধি, বীজ ইত্যাদি তরীতে নিয়ে পর্বতশৃঙ্গে রাখার বিষয়টি বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। এক অর্থে মৎস্য অবতাররূপী বিষ্ণু কেবল মহাপ্লাবন হতে বিশ্ব এবং প্রাণিজগৎকেই রক্ষা করেননি, এই প্রাকৃতিক ঘটনার মাধ্যমে সমগ্র সৃষ্টির প্রতি তার মমত্ববোধ প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। কূর্ম্ম অবতার ভগবান বিষ্ণু দ্বিতীয়বারের মতো পৃথিবীতে কূর্ম্মরূপে সত্যযুগে অবতরণ করেন। যর্জুবেদান্তর্গত শতপথ ব্রাহ্মণে কূর্ম্মাবতারের প্রথম আভাস পাওয়া যায়। ওই ব্রাহ্মণে বলা হয়, ‘প্রজাপতি কূর্ম্মরূপ ধারণ করে সন্তান উৎপাদন শুরু করেন। তিনি যে কর্মই করলেন সে কর্মই সৃষ্টির রূপ ধারণ করল।’ কিন্তু এই সম্পর্কে আর কোন বিবরণ শতপথ ব্রাহ্মণে পাওয়া যায় না। পরবর্তীকালে, বিষ্ণুর কূর্ম্মরূপ ধারণ সম্পর্কে স্পষ্ট বিবরণ বরাহ পুরাণে পাওয়া যায়। এই পুরাণের প্রথম অধ্যায়ের ৭ম স্তোত্রে ভগবান বিষ্ণুর স্তব কীর্তনকালে বলা হয়, “অন্যৎ সুরাসুরমিতে ত্বৎ সমুদ্রস্য মন্থনে।
    ধৃতবানসি কৌর্ম্মেণ মন্দরং মধুসূন। অতঃপর, হে মধুসূদন! আপনি দেবাসুর-কৃত সমুদ্রমন্থনকালে কূর্ম্মরূপে মন্দর পর্বতকে পৃষ্ঠে ধারণ করিয়াছিলেন।” কূর্ম্মাবতাররূপে ভগবান বিষ্ণুর নাভী হতে নিম্ন অংশ কূর্ম্ম বা কচ্ছপরূপী ঊর্ধ্বাঙ্গ মনুষ্যরূপী। তার ওপরের বাম হাতে তিনি শঙ্খ ধারণ করে আছেন। শঙ্খ এক সামুদ্রিক প্রাণীবিশেষ। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানাদিতে ফুৎকার দ্বারা শঙ্খবাদন করে থাকেন। শঙ্খ এক বলয়ের, অস্তিত্বের, বিদ্যমানতার প্রতীক;  মঙ্গল বহন করে। ওপরের ডান হাতে বিষ্ণু বহন করে থাকেন; নাম সুদর্শনচক্র। আক্ষরিক অর্থে চক্র ক্ষুরধার অস্ত্রের প্রতীক, যে অস্ত্রের মাধ্যমে বাধাবিপত্তি দূরীভূত করে ভগবান সত্য প্রতিষ্ঠা করেন। উল্লেখ্য, দক্ষযজ্ঞে সতী দেহ ত্যাগ করলে মহাদেব সেই দেহ স্কন্ধে ধারণ করে উন্মত্তবৎ প্রলয়নৃত্য শুরু করেন। নটরাজের প্রলয়নৃত্যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ধ্বংসোন্মুখী দেখে ভগবান বিষ্ণু সুদর্শনচক্রের আঘাতে সতীর দেহ ৫১ ভাগে খণ্ডবিখণ্ড করেন এবং মহাদেবকে শান্ত করেন। সতীর খণ্ডবিখণ্ড ৫১টি অঙ্গ ৫১ পীঠস্থানে পতিত হয়। নিচের বাম হাতে ভগবান বিষ্ণু গদা ধারণ করেন; যে কারণে তার এক নাম গদাধর। বিষ্ণুর এই গদার নাম ‘কৌমদকী’, যা মনকে মদোন্মত্ত করে। বিষ্ণু গদা জ্ঞানের শক্তি ও পরাক্রমতার প্রতীক। এই গদা ভক্তদের মনকে জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত করে, অনুপ্রাণিত করে। ভক্তরা জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে মহাকালকে জয় করতে পারে। এক অর্থে মহাকালের দেবী শিবপত্নী কালীও গদার প্রতীক; কারণ তিনি সব অশুভ শক্তি বিনাশ করেন, তিনি কালজয়ী। কূর্ম্ম অবতাররূপী বিষ্ণু নিচের ডান হাতে পদ্ম ধারণ করে আছেন। পদ্ম নির্লিপ্ততা, নির্বিকারত্ব, নিরাসক্তির প্রতীক। পদ্ম কর্দমাক্ত জলে উৎপন্ন হয়, কিন্তু কর্দম কিংবা জল পদ্মফুল কিংবা পাপড়ির সৌন্দর্য বিনষ্ট করতে পারে না। পদ্ম প্রতীকের মাধ্যমে বিষ্ণু সৃষ্টিকে সর্বময় সুখ দান করেন, কিন্তু তিনি পৃথিবীর মায়ায় আবদ্ধ হন না।
    সমুদ্রমন্থনকালে অসুরদের বিপক্ষে দেবতাগণকে সহায়তা দান করার জন্য ভগবান বিষ্ণু কূর্ম্ম অবতাররূপে পৃথিবীতে অবতরণ করেন পরবর্তী কল্পে সত্যযুগে। পুরাণ কাহিনী মতে, অত্যন্ত কোপনস্বভাবের জন্য প্রসিদ্ধ মহামুনি দুর্বাসা একদা ফুলমালা হাতে যাত্রা করছিলেন, বিপরীত দিক থেকে আগাত ঐরাবত আরোহী দেবরাজ ইন্দ্রকে তিনি ফুলমালা দিয়ে স্বাগত জানান। ইন্দ্র দুর্বাসা প্রদত্ত ফুলমালা তার বাহন ঐরাবতকে প্রদান করেন। ঐরাবত ফুলমালাটি মাটিতে পদদলিত করে। দুর্বাসা এতে রুষ্ট হন এবং এই মর্মে অভিশাপ দান করেন, লক্ষ্মী ইন্দ্রকে পরিত্যাগ করবে এবং ইন্দ্রের সম্পদগৌরব বিনষ্ট হবে। ইন্দ্র তার ভুল স্বীকার করে দুর্বাসার ক্ষমাপ্রার্থী হন। দুর্বাসা তাকে এই বলে বর দান করেন, ‘ভগবান বিষ্ণু তার সহায় হবেন।’ দুর্বাসার অভিশাপের ফলে দেবী লক্ষ্মী ইন্দ্রকে পরিত্যাগ করেন। সব শক্তিমত্তা, ক্ষমতা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার দেবী হলেন লক্ষ্মী; তিনি ইন্দ্রকে পরিত্যাগ করায় দেবরাজ অসহায় ও অক্ষম হয়ে পড়েন। তার বিপক্ষ শক্তি অসুররা এই সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিল। যুদ্ধে ইন্দ্রকে পরাজিত করে অসুররা স্বর্গলোক দখল করে। ইন্দ্র ও দেবতারা অসুরদের ভয়ে স্বর্গলোক ত্যাগ করে নিরুদ্দেশে
     গমন করেন। কালক্রমে দেবকুল তাদের শৌর্যবীর্য, অমরত্ব হারিয়ে নিঃস্ব হন। “দেবান্ প্রতি বলোদ্দ্যোগং চক্রর্দ্দৈতেয়-দানবাঃ লোভাভিভূতা নিঃশ্রীকা দৈত্যাঃ সত্ত্ব বিবর্জিতাঃ শ্রিয়া বিহীনৈর্নিঃসত্ত্বৈর্দেদৈশ্চক্রুস্ততো রণম্। বিজাতাস্ত্রিদশা দৈত্যৈরিন্দ্রাদ্যাঃ শরণং যযুঃ। পিতামহং মহাভাগং হুতাশনপুরোগমাঃ। যথাবৎ কথিতো দেবৈর্ব্রহ্মা প্রাহ ততঃ সুরান্। তদনন্তর লোভাভিভূত নিঃশ্রীক সত্ববর্জিত দৈত্যসকল শ্রীহীন নিঃসত্ব দেবগণের সহিত যুদ্ধ আরম্ভ করিল এবং ইন্দ্রাদি দেবতারা দৈত্যদিগের দ্বারা বিজিত হুতাসনকে পুরোবর্তী করত মহাভাগ পিতামহের শরণ লইলেন।” (বিষ্ণু পুরাণম, নবম অধ্যায় স্তোত্র-৩০-৩৪)।
    দেবগুরু বৃহস্পতি দেবদের বিপন্ন ও বিষণ্ণতায় বিচলিত এবং দেবদের নিয়ে ভগবান ব্রহ্মার শরণাপন্ন হন। ব্রহ্মা কোন উপান্তর না দেখে শ্রীবিষ্ণুর সাহায্য প্রার্থনা করেন। বিষ্ণু দেবতাদের অভয় দান করে বলেন, তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। তাদের করণীয় কাজ হবে ক্ষীরসমুদ্র মন্থন করে অমৃতের সন্ধান করা। অমৃত পান করে দেবতারা অমর হতে পারবেন। তারা পরাশক্তিধর হবেন এবং অসুরদের পরাজিত করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু সমুদ্রমন্থন একটি বিষম কাজ; সে জন্য অসুরদের বন্ধুত্ব ও সহায়তা গ্রহণ প্রয়োজন হবে। ভগবান বিষ্ণু আরও বলেন, মন্দর পর্বতকে ক্ষীরসমুদ্র মন্থনদণ্ডরূপে এবং সর্পরাজ বাসুকীকে রজ্জুরূপে ব্যবহার করতে হবে। যথোপযুক্ত সময়ে সমুদ্রমন্থনস্থলে তার আবির্ভাব ঘটবে। জগৎপালক শ্রীবিষ্ণু আরও জানান, সমুদ্রমন্থনের ফলে লক্ষ্মীর পুনরাবির্ভাব ঘটবে এবং লক্ষ্মীর বরে দেবতাদের বিজয় নিশ্চিত হবে। ‘ইত্যুক্তা দেবদেবেন সর্ব্ব এব ততঃ সুরাঃ। সন্ধানমসুরৈঃ কৃত্বা যত্নোবন্তোহমৃতেহভবন। (পরাশর কহিলেন,) দেবাদেব এইরূপ বলিলে সুরগণ অসুরগণের সহিত সন্ধি করিয়া অমৃতের জন্য যত্নবান হইলেন।’ (বিষ্ণু পুরাণম, ৯ম অধ্যায়, স্তোত্র-৮১)। দেবগুরু বৃহস্পতি চাতুর্যের জন্য খ্যাতিমান। তিনি অসুরদের সঙ্গে এক সাক্ষাতে মিলিত হন। দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন এবং সম্মিলিতভাবে ক্ষীরসমুদ্র মন্থনে উভয় পক্ষের সম্মতি লাভে সমর্থ হন। সম্মতি প্রদানের পেছনে অসুরদের একটি প্রধান লক্ষ্য ছিল অমরত্বদানকারী অমৃত লাভ এবং ধনসম্পদ অর্জন। অসুরদের সম্মতিলাভের পর দেবতারা ক্ষীরসমুদ্রের উপাসনায় নিমগ্ন হন। দেবতা ও অসুররা সব ধরনের বনৌষধি অর্ঘ্যরূপে ক্ষীরসমুদ্রে নিক্ষেপ করেন। সমুদ্রমন্থনে দণ্ডরূপে ব্যবহারের জন্য অসুর ও দেবতারা মন্দরপর্বত পাদদেশে গমন করেন এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মন্দরপর্বত উন্মীলনে সমর্থ হন। কিন্তু মন্দরপর্বতকে স্কন্ধে বহন করে সমুদ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় বহু দেবতা ও অসুর পর্বতভারে নিহত হন। এই যাত্রায়ও বিষ্ণু আবির্ভূত হয়ে নিহত দেবতা ও অসুরদের পুনরুজ্জীবিত করেন। অতঃপর ভগবান বিষ্ণুর নির্দেশে গরুড় স্বীয় পৃষ্ঠে মন্দরপর্বত বহন করে ক্ষীরসমুদ্রে তা প্রতিস্থাপন করেন। নাগরাজ বাসুকীকে মন্দরপর্বতের চতুর্দিকে রজ্জুসম বেষ্টনীরূপে ব্যবহার করে অসুর ও দেবতারা ক্ষীরসমুদ্র মন্থন শুরু করেন। মন্থন চলাকালে অকস্মাৎ সমুদ্রতলে মন্দরপর্বতের নিমজ্জন শুরু হয়। অসহায় অসুর ও দেবতারা বিষ্ণুর কৃপা প্রার্থনা করেন। কূর্ম্মরূপ ধারণ করে বিষ্ণু সমুদ্রতল হতে মন্দরপর্বতকে সমুদ্রপৃষ্ঠে উত্তোলন করেন এবং সমুদ্রমন্থনের সুবিধার্থে মন্দরপর্বতকে স্বীয় পৃষ্ঠে ধারণ করেন। অসুর ও দেবরা আবার সমুদ্রমন্থনে লিপ্ত হন।
    নব উদ্দীপনা সহকারে ক্ষীরসমুদ্র মন্থন চলাচালে অকস্মাৎ অসুর ও দেবতারা এক নতুন বিপদের সম্মুখীন হন। সমুদ্রবক্ষ হতে উত্থিত এক ধূম্রপাহাড় অসুর ও দেবতাদের শ্বাসরোধের উপক্রম করে। তারা জানতে পারলেন, সমুদ্রমন্থনের ফলে নাগরাজ বাসুকীর মুখনিঃসৃত গরল ‘কালকুট’ সমুদ্রবক্ষে নিক্ষিপ্ত হয়ে বিষবাষ্পরূপে তাদের শ্বাসরোধ করছে। অসুর ও দেবতারা জানতেন, কালকুট বিষের তীব্রতা এত বেশি, এই বিষ পানকারীর মৃত্যু অনিবার্য; এই বিষ সমগ্র সৃষ্টিকে ধ্বংস করতে সক্ষম। ভীতসন্ত্রস্ত্র অসুর ও দেবতারা ভগবান শিবের সাহায্য প্রার্থনা করলেন। তাদের প্রার্থনায় ভগবান শিব সাড়া দিলেন। কিন্তু অসুবিধা হল, এই গরল তার পাকস্থলিতে স্থান পেলে তার নিশ্চিত মৃত্যু হবে, গরল পান না করলে সৃষ্টি বিনষ্ট হয়। ভগবান শিব স্বীয় কণ্ঠেই কালকুট বিষ ধারণ করলেন, যার ফলে তার কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। শিব হয়ে উঠলেন ‘নীলকণ্ঠ’। ‘কালকুট’ গরল হতে পরিত্রাণলাভের পর অসুর ও দেবতারা আবারও সমুদ্রমন্থনে লিপ্ত হন। মহাপ্রলয়কালে বিলুপ্ত দ্রব্যসব, যেমন মাদকতার দেবী ‘সুরা’, চন্দ্র, অপ্সরী, রম্ভা, কৌস্তভ (বিষ্ণুর অঙ্গসজ্জার মণি), শঙ্খ, উচ্চৈঃশ্রবা (স্বর্গের অশ্ব), পারিজাত (ইচ্ছাপূরণে সক্ষম বৃক্ষ), সুরভী (ইচ্ছাপূর্ণকারিণী স্বর্গের গাভী), ঐরাবত (স্বর্গের চতুঃদন্ত বিশিষ্ট হস্তী এবং ইন্দ্রের বাহন), পঞ্চজন্য (শঙ্খ), ষড়ঙ্গ (অব্যর্থ ধনু) প্রভৃতি ক্রমান্বয়ে সমুদ্রবক্ষ হতে উত্থিত হতে থাকে।
    অকস্মাৎ সমগ্র দিগন্ত উদ্ভাসিত করে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়- স্বর্গীয় মুখাবয়বের এক দেবী ক্ষীরসমুদ্রের মধ্যস্থল হতে উত্থিত হন। তার কণ্ঠে শোভা পাচ্ছিল পদ্মফুলের মালা, তার হস্তে ছিল পদ্মফুল এবং তিনি দণ্ডায়মান ছিলেন এক ফুটন্ত পদ্মফুলের ওপর। তিনি হলেন দেবী লক্ষ্মী। দেবতারা তার বন্দনায় পঞ্চমুখ হলেন, গন্ধর্ব ও অপ্সরিরা তার প্রশংসায় নৃত্যগীতে মগ্ন হলেন। হস্তিকুল তার ওুপর স্বর্গের জল বর্ষণ করলেন; তিনি গজলক্ষ্মী উপাধি পেলেন। সমুদ্র দেবতা স্বয়ং জলরাশি হতে উত্থিত হয়ে স্বীয়কন্যাকে স্বর্গের বস্ত্র ও অলংকারে ভূষিত করলেন। তার এক নাম হয়ে পড়ল ‘সমুদ্রতনয়া’। সবাই যখন লক্ষ্মীর অপরূপ রূপশোভায় মোহিত, লক্ষ্মী তখন বিষ্ণুর গলায় মাল্যদান করে বিষ্ণুবক্ষে আশ্রয় গ্রহণ করলেন। তিনি দেবতা ইন্দ্রের ওপর দৃষ্টিপাত করলেন; ইন্দ্র তার পূর্ব ঐশ্বর্য ফিরে পেলেন।
    অসুর ও দেবতাদের সমুদ্রমন্থন চলাকালে একসময় সমুদ্রবক্ষ হতে ধন্বন্ত্বরীর উত্থান ঘটে। তিনি হলেন সব ধরনের বনৌষধির আবিষ্কারক, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের জনক এবং সব রোগের নিরাময়কারী সমুদ্রবক্ষ হতে উত্থানকালে ধন্বন্ত্বরী অমৃতে পূর্ণ একটি পবিত্র পাত্র ধারণ করেছিলেন। অমৃতপানে অমরত্বলাভ করা যায়। অমৃতের সংবাদ পেয়ে অসুররা ধেয়ে এসে অমৃত পাত্র ছিনিয়ে নিলেন। ফলে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে যুদ্ধের সূচনা হয়। দেবতাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী দেখে ভগবান বিষ্ণু মোহিনীরূপ ধারণ করে অসুরদের কাছে বিবাদের কারণ জানতে চান। অমৃতই এই বিবাদের কারণ বলে অসুররা জানালে মোহিনীরূপী বিষ্ণু দেবতা ও অসুরদের দুই সারিতে বসে অমৃত পানের জন্য অপেক্ষমাণ হতে বললেন। সুন্দরী রমণীর কথায় মোহিত হয়ে অসুর ও দেবতারা সারিবদ্ধভাবে বসে পড়েন। হাতের কারসাজির মাধ্যমে মোহিনী অসুরদের অতিনেশাযুক্ত মাদক পানীয় এবং দেবতাদের অমৃত পান করান। অমৃত পান করে দেবতারা অমর ও অজেয় হন এবং অসুররা মাদক পানীয় পান করে প্রতারিত হন। অসুররা দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হলে অতি সহজেই দেবতারা অসুরদের পরাজিত করেন। কূর্ম্ম অবতাররূপে দ্বিতীয়বারের মতো পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে ভগবান বিষ্ণু এইভাবে ছলনার আশ্রয় গ্রহণের মাধ্যমে দেবতাদের অমরত্ব দান করেন এবং অসুরদের ক্ষমতা বিনাশ করেন।


    বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম

    কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ২


    কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ২



    মানুষ অহিংসক হলে, শ্রীমদ্ভাগবদ্ গীতা-র,  উদ্ভব হত না !

    শ্রীকৃষ্ণকেও,  জ্ঞান বিতরণের জন্যে,  দরকার পড়ত না !

    হিন্দুরা,  এক ধর্ম-কর্মের,  মহান পাণ্ডিত্যপূর্ণ শাস্ত্র,  হারাত !

    কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ


    কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ



    কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে,  অর্জুন, জ্ঞাতি ও বন্ধুবান্ধব নাশের ভয়ে, প্রাথমিক ভাবে, যুদ্ধ করতে অনিচ্ছুক ছিলেন !

    শ্রীকৃষ্ণ, অর্জুনকে, নানান উপদেশ দানে, অর্জুনের উদ্বেগ, প্রশমিত করেন, যুদ্ধে অণুপ্রাণিত করেন, উদ্বুদ্ধ ও উত্তেজিত করেন !

    কুরুক্ষেত্র-এর যুদ্ধ শুরু হয়েছিল !

    যুদ্ধে, ন্যায়-নীতি ও অন্যায়-নীতিহীনতা, দুইই, সমান তালে চলেছিল !

    ধর্মের নামে, পাণ্ডব পক্ষের, জয় হয়েছিল !

    কৌরবেরা ধ্বংস হয়েছিল !

    মারকুটে মারদাঙ্গা-বাজ কৃষ্ণ


    মারকুটে মারদাঙ্গা-বাজ কৃষ্ণ



    ছোটবেলাতেই কৃষ্ণ
    পুতনা
    তৃণবর্ত
    অঘ
    অরিষ্ট
    প্রভৃতি অসুর এবং অসুরীদের বধ করেছিলেন !

    কালিন্দী নদীর ( যমুনা নদীর পৌরাণিক নাম ),  জলে বাসকারী,  কালীয় নাগকে ( ভাগবতে বর্ণিত যমুনা নদীর জলে বসবাসকারী, পৌরাণিক  'নাগ'-বিশেষ ), দমন করেছিলেন !

    কৃষ্ণের পরামর্শে, গোপিনীসহ গোপেরা, ব্রজধাম ছেড়ে, অপেক্ষাকৃত ভালো জায়গায়, বৃন্দাবন-এ গিয়ে বসবাস শুরু করেন !

    কৃষ্ণ, পরবর্ততিতে, কংসের ধনুর্যজ্ঞে গিয়ে, বিরাট বলশালী পাগলা হাতি, মল্লদের ( কুস্তিগির, পালোয়ান ), প্রাণবধ
    করেন !

    সেই সময়ে, মামা,  'কংস'-কেও, হত্যা করেন !

    কৃষ্ণ ছিলেন, মারকুটে, মহা মারদাঙ্গা-বাজ !

    তবে কৃষ্ণের কোন বরফাট্টাই ছিল না !

    কৃষ্ণ


    কৃষ্ণ



    ছোটবেলায় শ্রীকৃষ্ণ গরু চরাতেন !
    গোবর সংগ্রহ করে, তা ঘেঁটে, ঘুঁটে দিতেন !
    গোচোনা খেতেন !
    তাতে নাকি, শ্রীকৃষ্ণের, শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকত !
    অনেক ধরণের অসুখ-বিসুখ করত না !

    ছোটবেলা থেকেই, শ্রীকৃষ্ণের শারিরীক শক্তি, দুষ্টুবুদ্ধি, ও সৌন্দর্ষ ছিল অসামান্য !
    তাই ছোট হলেও, সবাই কৃষ্ণকে  করতেন মান্য !
    তবে শ্রীকৃষ্ণের গায়ের রঙ ছিল, কালো !
    ঐ কালো রঙই শ্রীরাধিকার আর গোপিণীদের মন-পছন্দ ছিল !
    কৃষ্ণের সাথে, কালো তমাল বা তমালক গাছের,  ভালো,  যোগসূত্র ছিল !
    তখন  'তমাল প্রচুর দেশ',  আমাদের এদিককার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার,  'তমলুক'-এর, খুব নামডাক ছিল !

    কৃষ্ণের সাথে গোপিনীরা, উন্মুক্ত বনাঞ্চলেই থাকতেন !
    তাদের ঘরের বা মনের দরজায়, খিল দেবার কোন ব্যবস্থা, বা, ব্যবস্থাপক ছিল না !
    দুগ্ধবতী গাভিদের দুধ, তাঁরা, সবাই মিলে, হৈ-চৈ করে,  দোহাতেন !
    তারপর গরম গরম টাটকা,  সেই দুধ,  তাঁরা, একসঙ্গেই বসে বসে খেতেন !
    আর খুব মজা করতেন ! মজা লুটতেন !                  

    রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

    শ্রীকৃষ্ণ


    শ্রীকৃষ্ণ



    শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার !
    বিষ্ণুর অবতার বরিষ্ঠ !
    বিষ্ণুর অবতারদের মধ্যে, কৃষ্ণ অনেক পেছনে !
    ভাগবত মতে, বিষ্ণুর  ২০তম  অবতার শ্রীকৃষ্ণ !
    আবার, শ্রীবলরামও, বিষ্ণুর অষ্টম অবতার বলে,  কোথাও কোথাও উল্লেখ আছে !
    কোথাও কোথাও বা, আলাদা ভাবে, বলরাম-এর মন্দিরও আছে !

    দ্বাপর যুগের শেষের দিকে, ভাদ্র মাসের রোহিণী নক্ষত্রে, কৃষ্ণপক্ষীয় অষ্টমী তিথিতে,  শ্রীকৃষ্ণের জন্ম !

    ইসলাম ধর্ম


    ইসলাম ধর্ম



    ইসলাম ধর্মমতে, তাঁদের কোন মানুযের,  মানবজীবন একটাই,  এবং তা একবারই আসে !
    তাঁদের পুনরায় দেহধারণ বা পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই !
    তবে যার যার কিয়ামতের দিন, তাকে তাকে, আল্লাহ কর্তৃক পুনরুত্থিত করা হবে ও আল্লাহ তাঁদের বিচার করবেন !
    পুনরুত্থিত অবস্থায়, যার যার কৃতকর্মের ওপর ভিত্তি করে, তার তার, বিচারের প্রতিদান, আল্লাহ দেবেন, যা অনন্ত কালের জন্য বলবৎ থাকবে !

    আমাকে যদি বলতে দেয়া হয়, তবে আমি বলব, ক্ষণকালের জন্যে হলেও, আল্লাহর হেফাজতে থেকে, তাঁদের পুনরুত্থান হবে বা তাঁদের জ্ঞান ফিরে আসবে... তারপর বিচারের ফয়সালা জেনে নিয়ে, অনন্তকাল, অর্থাৎ, অসীম কালের গহ্বরে, আল্লার হেফাজতেই,  তারা থেকে যাবে...

    কিয়ামত বা কেয়ামত।
    ইসলামি মতে, সমাধি থেকে মৃতের পুনরুত্থান। মহাবিচারক কর্তৃক মৃতদের পাপপুণ্যের বিচার। ওটাই শেষ বিচার। এবং ওটাই শেষ।

    কিয়ামত বা কেয়ামত। আরবি শব্দ, 'কি'য়ামৎ'।

    সূত্র : 'আকাশতথ্য' ( internet )। উইকিপিডিয়া।

    বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

    চৈতালি চৌধুরির পোস্ট


    চৈতালি চৌধুরির পোস্ট

    Chaitali Chowdhury is remembering the past.

    মনটা কেমন হালকা লাগছে,/ মনে হচ্ছে জীবনে কোনো চিন্তা নেই ভাবনা নেই,/ মেঘলা আকাশে মাঝে মাঝে শরতের মেঘ উঁকি দিচ্ছে-/ আজ খুব ছাদে যেতে ইচ্ছে করছে! খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মেঘের সাথে খেলতে ইচ্ছা করছে, - /সেই ছোটবেলার মতো! /মেঘ রোদ্দুর বৃষ্টি আর আকাশের সাথে আমিও লুকোচুরি খেলব/প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেবো,/ ছোটবেলার মতন চিৎকার করে বলব , 'বাপী টুটি' /কিন্তু তা যে হওয়ার নয়, বাপীও বুড়ো হয়ে গেছে আর আমিও বড়ো হয়ে গেছি!


    মন্তব্য করুন

    শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭

    পাথর ছোঁড়া


    পাথর ছোঁড়া



    পাথর ছোঁড়া
    লাদাখে !
    পাকিস্তানি বাহিনী
    আর ভারতীয়  বাহিনীর
    মধ্যে !

    পাথর ছোঁড়া
    ডোকলামে !
    চীনা সৈন্য
    আর ভারতীয় সৈন্যের
    মধ্যে !

    পাথর ছোঁড়া
    কলকাতায় !
    পুলিশ আর
    জনসাধারণের
    মধ্যে !

    পাথর ছোঁড়া
    মক্কায় !
    হজে গিয়ে !
    ওটা
    net practice !

    একতরফা ছোঁড়া !
    ছোঁড়াছুঁড়ি নয় !
    উল্টোদিক থেকে
    পাল্টা পাথর ছোঁড়ার জন্য
    কেউ থাকে না !

    শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭

    হনুমান


    হনুমান



    হনুমান
    সপ্ত চিরজীবির অন্যতম !
    হনুমান নমঃ নমঃ !

    হনুমান
    ঋক
    যজুঃ
    ও সামবেদে
    পণ্ডিত !
    কথাটা একদম ঠিক !

    তবে অথর্ব বেদ না জানাতে, ভেঙ্গে গিয়েছিল, হনুমানের দম্ভ !

    হনুমান, ব্যাকরণে বিদ্বান !

    বাজে কথা উনি বলতেন না !

    হনুমান বাক্যরচনায় পটু !

    হনুমান কথা বলতে পারতেন !

    তবে হনুমান যে হনুমান, তা তিনি জানতেন !

    বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭

    আমার নয় প্রকার পূজা


    আমার নয় প্রকার পূজা



    ১। জল পূজা !
    ২। চন্দন পূজা !
    ৩। পুষ্প পূজা !
    ৪। ধূপ পূজা !
    ৫। প্রদীপ পূজা !
    ৬। ফল পূজা !
    ৭। অক্ষত পূজা !
    ৮। নৈবেদ্য পূজা !
    ৯। পূজার পূজা !

    ধর্মভাবনা


    ধর্মভাবনা

    শ্রীগোপীনাথ কবিরাজের, ' বিশুদ্ধবাণী ', প্রথমখণ্ড-এর বক্তব্য অনুযায়ী.....



     সাধনের তত্ত্ব ও প্রক্রিয়া

     অজপা সাধনের তত্ত্ব ও প্রক্রিয়া সম্বন্ধে মহাজনগণ গুরুপরম্পরা অনুসৃত পদ্ধতির বশবর্তী হইয়া বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ হইতে বিভিন্ন প্রকার বিবরণ প্রকাশিত করিয়াছেন। সাধকের যোগ্যতা ও অধিকারগত বৈশিষ্ট্য হইতে বিচার করিলে বুঝিতে পারা যায় যে ইহাদের প্রত্যেকের সার্থকতা আছে।

    অজাপা কুণ্ডলিনী হইতে উদ্ভূত প্রাণধারিণী প্রাণবিদ্যারূপে যোগিসমাজে পরিচিত। শ্যেনপক্ষী যেমন ঊর্ধ্ব আকাশে উড্ডীন হইলেও গুণবদ্ধ থাকিলে নিম্নে পৃথিবীর দিকে আকৃষ্ট হয় তদ্রূপ প্রাণ ও অপানের ক্রিয়ার বশীভূত জীব ঊর্ধ্বদিকে ও অধোদিকে গতিলাভ করিয়া থাকে। কোন কোন আচার্য্য বলেন, ‘তৎ’ পদবাচ্য পরমাত্মা হংসবিদ্যার প্রথম অবয়ব ‘হ’কার দ্বারা বর্ণিত হন এবং ‘তং’ পদবাচ্য প্রত্যক চৈতন্য অথবা খেচরী বীজ দ্বিতীয় অবয়ব ‘সঃ’ কার দ্বারা দ্যোতিত হয়। প্রাণিমাত্রের হৃদয়ে যে অব্যাকৃত আকাশ আছে তাহাতে লিঙ্গ-শরীর বিদ্যমান রহিয়াছে। উহার প্রতি লোমভাবে হংসের গতি হইয়া থাকে। শাস্ত্রে আছে—‘সঃকারো ধ্যায়তে জন্তুর্হংকারো জায়তে ধ্রুবম্‌’। ‘সঃ’ অথবা জীব নিজের জীবত্ব পরিহার করিলে সোহং শব্দের লক্ষ্য প্রত্যক্‌ আত্মার সহিত অভিন্ন পরমাত্মা ভিন্ন অপর কিছু নহে। যে সাধক নিজের আত্মাকে ধ্যান করিয়া থাকে, তাহার পক্ষে ‘হ’-কারাত্মক পরমাত্মভাবের প্রাপ্তি সুলভ হয়। দ্বিতীয় মতে, হংস বলিতে প্রত্যক্‌ আত্মা অথবা ব্যষ্টি-তুরীয় বুঝিতে হইবে এবং পরমহংস শব্দে পরমাত্মা অথবা সমষ্টি-তুরীয়কে বুঝাইয়া থাকে। ব্যষ্টি-তুরীয় ও সমষ্টি-তুরীয় পরস্পর যুক্ত হইলে হংসযোগ নিষ্পন্ন হয়। ইহাই অজপার তত্ত্ব। তৃতীয় মতে, সাধকের প্রজ্ঞা ও সাধনশক্তির তারতম্য অনুসারে অজপা তত্ত্ব সম্বন্ধে বিভিন্ন প্রকার দৃষ্টি অঙ্গীকৃত হইয়া থাকে। মন্দপ্রজ্ঞ মধ্যপ্রজ্ঞ এবং উত্তমপ্রজ্ঞ সাধকের দৃষ্টি যে ভিন্ন তাহা অধোলিখিত বিবরণ হইতে স্পষ্টই বুঝিতে পারা যাইবে। যাহার জ্ঞানশক্তি উজ্জ্বল নহে, যে অতি সূক্ষ্মতত্ত্ব গ্রহণ করিতে পারে না, তাহার নাম মন্দপ্রজ্ঞ। এই প্রকার সাধক ‘হ’কার দ্বারা পুরুষ এবং ‘স’-কার দ্বারা প্রকৃতি এই দুইটি ধারণা করিয়া থাকে। সুতরাং তাহার দৃষ্টিতে হংসযোগ বলিতে পুরুষ ও প্রকৃতির যোগ বুঝায়। কিন্তু যাহার প্রজ্ঞা অপেক্ষাকৃত তীক্ষ্ণ, অর্থাৎ যে মধ্যপ্রজ্ঞ, তাহার দৃষ্টি অনুসারে ‘হ’কার অপানের সঞ্চার এবং ‘স’কার প্রাণের সঞ্চার বুঝাইয়া থাকে। মুখ্য প্রাণ যখন পরাঙ্খুখভাবে আবর্ত্তিত্ত হয় তখন তাহাকে প্রাণ না বলিয়া অপান বলা হয়। সুতরাং হংস বিদ্যার রহস্য মধ্যম সাধকের দৃষ্টি অনুসারে প্রাণ ও অপানের সংযোগ ভিন্ন অপর কিছু নহে। কিন্তু যে সাধক উত্তম প্রজ্ঞাসম্পন্ন তাহার দৃষ্টি আরও সূক্ষ্ম। সে প্রকৃতি পুরুষের সম্বন্ধ অথবা প্রাণ ও অপানের সম্বন্ধ পরিহার করিয়া আত্ম স্বরূপের দিকে লক্ষ্য করিয়া থাকে। এই সাধক অজপা মন্ত্রের পূর্ব্বভাগ ‘অহং’কে জীবাত্মার বাচক এবং উত্তরভাগ ‘সঃ’কে শক্তিবাচক বলিয়া ধারণা করিয়া থাকে।
    অধিকার ভিন্ন বলিয়া অজপা জপের বিধানও ভিন্ন। নিম্নাধিকারী তালু, ওষ্ঠ প্রভৃতি দৈহিক উচ্চারণ-যন্ত্রের ব্যাপারের দ্বারা অজপা-জপ সম্পাদন করে। এই সকল সাধকের চিত্ত সম্পূর্ণভাবে সংস্কৃত বা শোধিত নহে। তাই ইহারা দেহগত ক্রিয়াকে আশ্রয় না করিয়া জপ সাধন করিতে পারে না। কিন্তু যাহারা মধ্যম অধিকারী তাহাদের চিত্তসংস্কার অধিক। এইজন্য তাহাদের পক্ষে অজপা জপ করিবার জন্য তালু প্রকৃতির কোন প্রকার ক্রিয়া আবশ্যক হয় না। তাহাদের অধিকার উচ্চ বলিয়া তাহাদের বিধানও ভিন্ন। 

    শ্রীগোপীনাথ কবিরাজের ‘বিশুদ্ধবাণী’ (১ম খণ্ড) থেকে.....
     
     
     
    ' বর্তমান ', ১৭/০৮/২০১৭ থেকে সংগৃহীত !

    মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭

    নাস্তিক


    নাস্তিক



    ফেসবুকের বন্ধু !

    আপনার  profile-এ  আপনি লিখেছেন, " মানুষের ধর্ম মানবতা " !
    বাকিটা আপনি দেখান নি, আমিও পড়তে পারি নি !

    আপনি আপনার  profile-এ   লিখেছেন,
    " BEWARE OF GOD " !
    অর্থ, to be on one's guard !
    সতর্ক হওয়া !
    অর্থাৎ, ঈশ্বর থেকে সতর্ক হওয়া !

    আপনি, নাস্তিক হলে, ঈশ্বর থেকে সতর্ক হ্ওয়ার প্রয়োজন লাগবে না !

    মানুষের ধর্ম মানবতা !
    মানবতায় যেহেতু ঈশ্বরের প্রয়োজন পড়ে না, তাই আপনি নাস্তিক্য ধর্মকেই মেনে নিয়েছেন !

    মনে হচ্ছে, আপনি  bevue  করে ফেলেছেন !
    হয়তো  Blunder    করে ফেলেছেন !
    সম্ভবত ওটা বিষম ভুল !

    ধর্ম


    ধর্ম



    ধর্ম।
     কেউ কাউকে বোঝাতে পারে না !
    নানান দিক থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয় !
    তথ্য বিশ্লেষণ করে, নিজেকে বুঝে নিতে হয় !
    আগে জানুন, ধর্ম কী !
    আপনি যদি হিন্দু হন, চারিদিকে যা দেখছেন, তা কি ধর্ম ?
    তথ্য বিশ্লেষণ করুন !
    যদি মনে হয়, ধর্ম, তবে তা মেনে চলুন !

    সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭

    ছেঁন্দাপাথর


    ছেঁন্দাপাথর



    ছেঁন্দাপাথর।
    বাঁকুড়া জেলার রানিবাঁধ ব্লকের একটা জায়গা !
    এক সময় ছেঁদাযুক্ত বিশেয পাথর পাওয়া যেত !
    বলেছিলেন বাঁকুড়াবাসী শ্রী অলোক প্রামাণিক !

    তবে ছেঁন্দাপাথরে যে ক্ষুদিরাম গিয়েছিলেন, তা আমি জানতাম না !
    ২৪ বছর আমি বাঁকুড়ায় ছিলাম, ক্ষুদিরামের ব্যাপারে কেউ আমাকে বলেনও নি !
    রানিবাঁধে আমি গিয়েছি !
    তবে ছেঁন্দাপাথর আমার দেখা হয় নি !

    গান্ধিজির অহিংসা ২


    গান্ধিজির অহিংসা ২



    আমার যতটুকু বিভিন্ন শাস্ত্রপাঠ, তার বিশ্লেষণ, তার ওপর ভিত্তি করে আমার একটি ছোট্ট কবিতা,  'গান্ধিজির অহিংসা' লেখা !

    আমার যা বিশ্বাস, আমি তা সত্য বলে মানি !

    কবিতাটি এখানে তুলে দিলাম !
    গান্ধিজির অহিংসা


    গান্ধিজির অহিংসা নীতি
    জৈনধর্মের
    এবং জৈনধর্মাবলম্বিদের
    কাছ থেকে নেওয়া !

    অহিংসা গান্ধিজির নিজস্ব
    মতবাদ নয় !
    গান্ধিজি কিন্তু
    জৈনধর্মাবলম্বী ছিলেন না !



    আমার ধারণায়, শ্রেষ্ঠ আদি ও অকৃত্রিম ধর্ম, জৈন ধর্ম !

    জৈনধর্ম ও জৈন দর্শন বড়ই মজাদার !

    জৈন ধর্ম ঈশ্বর মানে না !
    ফলে ধর্ম নিয়ে, বিভিন্ন ধরণের ধান্দাবাজিও ওদের মধ্যে নেই !

    দেব-দেবীদের নামে, পুরোহিতদের শোষণও নেই !

    জৈন ধর্ম একটি ভারতীয় ধর্ম !

    ফেসবুকে ভীমরতি !


    ফেসবুকে ভীমরতি !



    আধুনিক-মনস্ক চিন্তাশীল  খোকা-খুকিরা,  ফেসবুকে একটা শব্দ ব্যবহার করছেন, সেটা  'ভীমরতি' ; সেটি আবার 'বয়স্ক'-এর সাথে জুড়ে দিচ্ছেন !

    ভীমরতির আভিধানিক অর্থ
    ১। বার্ধক্যজনিত ঈষৎ বুদ্ধিভ্রংশ বা খ্যাপামি !
    ২। ( মূলঅর্থ ) ৭৭ বছর ৭ মাস বয়সের সপ্তম রা্ত্রি ! [ বর্তমানে যদিও এই অর্থ অপ্রচলিত ! ] ।

    কিন্তু, কথ্য ভাষায়, ( colloquial language-এ ), ভীমরতি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়, তা মোটেই প্রশংসাজনক নয় !

    বাড়ির বয়স্ক-বয়স্কাদের উদ্দেশ্যে, ঐ বিশেষ্য পদটি, বিশেষণ পদ হিসাবে ব্যবহার করে দেখুন, তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী !

    চলতি কথায়, ভীমরতি, ( সংস্কৃতে সম্ভবত ভীমরথী ), শব্দটির ব্যবহার মোটেই শিষ্টতার পরিচায়ক নয় !

    ভীমরতি-তে, 'ভীম'  এবং 'রতি , দুটি শব্দ রয়েছে !

    ভীম।
    ভীষণ। ভয়ঙ্কর। প্রচণ্ড।

    রতি।
    মৈথুন। রমণ। যা আসলে হতে পারে, রতিক্রিয়া !
    আসক্তি। অনুরাগ।
    চিত্তের অনুকূল বিষয়ের প্রতি প্রবল আসক্তি ও আকর্ষণজনিত আকুলতা ! বিহ্বলতা !
    সংস্কৃতে, 'রম' ধাতু + 'তি' প্রত্যয় !

    সেই হিসাবে, যত্রতত্র, 'ভীমরতি'র ব্যবহার, শোভন নয় !

    ভীমরতি, একটি শোভন শব্দ নয় !

    আমার সদুপদেশ, শব্দটি না নিজের বাড়ির বয়স্ক-বয়স্কাদের প্রতি প্রয়োগ করা উচিত, না বাড়ির বাইরের কোন ব্যক্তির ওপর প্রয়োগ করা উচিত !

    আশাকরি, বালখিল্য-'বালখিল্যা'-রা, এ বিষয়ে সচেতন হবেন !

    চোখে সামনে ফেসবুকের পাতা খোলা আছে। হাতে আছে যন্ত্র। সুতরাং বিষধর বা বিষহীন সাপের মন্ত্র উগড়ে লাভ নেই !

    ইংরেজিতে,  collocate বলে একটা শব্দ আছে, এটি একটি  verb.। অর্থ,  to place together,। একত্র স্থাপন করা। সন্নিবিষ্ট করা। ( of words to place together, side by side,  in a way,  characteristic of a language. )।

    যেমন, ব্যবহার করুন,   weak tea, but never feeble tea !

    তেমন, 'ভীম' এবং 'রতি' !

    রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭

    কলিযুগে ২


    কলিযুগে ২



    ধার্মীকভাব
    সততা
    মানসিক পরিচ্ছন্নতা
    সহ্যশক্তি
    সঙ্গমশক্তি
    আয়ু
    শারীরিক ক্ষমতা
    স্মৃতিশক্তি
    প্রভৃতি সবই
    কমবে  !

    বাড়বে
    অরাজকতা !

    কলিযুগে


    কলিযুগে



    ছলনা
    মিথ্যাবলা
    ভোগসুখ
    আলস্য
    হিংসা
    দীনতা
    ধর্ষণ প্রভৃতি
    সবই বাড়বে
    কলিযুগে !

    কমবে
    টাকার দাম !

    হিন্দুধর্মের ঈশ্বর


    হিন্দুধর্মের ঈশ্বর



    ব্রহ্মাণ্ড ও তার উপাদানগুলি সর্বদাই সতত বিদ্যমান !
    তবে  permutation-combination process-এ, বিনিময়-বিন্যাসে এবং সংযুক্তি-বিযুক্তিতে ও গুণফলে-ভাগফলে,   তার রূপান্তর ঘটতে পারে !

    ব্রহ্মাণ্ডেই রয়েছে,  আত্মা, চৈতন্য, আকাশ-মহাকাশ, কাল-মহাকাল, 'গতি',  going passage, goal,  move, movement, motion, speed, velocity, vibration, kinetics, dynamics, activity, acceleration, retardation,  কর্ম, নিষ্কর্ম,  ইত্যাদি !

    ব্রহ্মাণ্ডে,  ব্রহ্মাণ্ডের সকল উপাদান, ও, কর্ম, পরিচালিত হয়,  বিশ্বজনীন মহান প্রাকতিক বিধান অনুসারে !

    ওটাকে,  হিন্দুধর্ম,  ঈশ্বর-পরমেশ্বর ইত্যাদি বলে গর্ব করেন ! ভুল বোঝান !

    আসলে,  হিন্দুধর্মের ঈশ্বর-পরমেশ্বর প্রভৃতি, অলৌকিক নন !

    আসলে, হিন্দুধর্মের, ঈশ্বর-পরমেশ্বর ইত্যাদি ধারণাগুলি, প্রাকৃতিক !

    জৈন ধর্ম


    জৈন ধর্ম



    জৈন ধর্মে, আত্মরক্ষার জন্য, হিংসা বা যুদ্ধ মেনে নেওয়া হয় !
    তবে, শান্তিপূর্ণ সমাধান সূত্র না পাওয়া গেলে, তবেই, সেগুলির প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয় !

    ওটা ভারত সরকারের বিদেশ নীতি !
    ওটার পেছনে, জৈন ধর্মের প্রেরণা রয়েছে !

    জৈন ধর্মে হিংসা অহিংসা


    জৈন ধর্মে হিংসা অহিংসা



    কোন রকম আবেগের তাড়নায়, কোনো জীবিত প্রাণীকে, হত্যা করাই, জৈন ধর্মে, হিংসা !

    এই ধরণের কাজ থেকে, দূরে থাকাই, জৈন ধর্মে, অহিংসা !

    প্রাণিদের মধ্যে, একমাত্র, শকুনেরাই, অহিংসক ! ওরা জীবিত প্রাণী, বধ করে না ! মরে গেলে, তবেই খায় !

    শকুন আসলে মৃত জীবজন্তু ভোজনকারী, বৃহদাকার পাখিবিশেষ !

    শকুন দূরগমনে সমর্থ ! দূরদর্শনে সমর্থ !

    কেউ কেউ বলেন, শকুন, শুভ-অশুভ ফলসূচক পাখি !


    শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭

    শায়েস্তা


    শায়েস্তা


    আটশো বছরের
    মুসলমানি শাসন
    আমরা কাটিয়ে
    উঠেছি !

    তারপর চলেছিল
    দুশো বছরের
    ইংরেজদের শাসন
    এবং শোষণ !

    আমরা এখন
    ভালো মুসলমানদের
    সাথে
    আছি !

    তবে ভারতবিদ্বেষী
    জঙ্গিদের
    ভারত সরকার
    শায়েস্তা করবে !

    গান্ধিজি


    গান্ধিজি



    গান্ধিজিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিন, তিনি হিন্দু কিনা !

    গান্তিজি বলেছিলেন, " হ্যাঁ, আমি তাই ! "

    " তা ছাড়া, আমি এজন খ্রিস্টান,
    একজন মুসলিম,
    একজন বৌদ্ধ,
    এবং একজন ইহুদি ! "

    গান্ধিজির জবাব ছিল চটজলদি !

    তাহলে তো গান্ধিজি,
    ২০ % হিন্দু ছিলেন !
    ২০ % খ্রিস্টান ছিলেন !
    ২০ % মুসলিম ছিলেন !
    ২০ % বৌদ্ধ ছিলেন !
    ২০ % ইহুদি ছিলেন !

    গান্ধিজি কিন্তু বলেন নি, যে তিনি জৈন ছিলেন !

    যদিও গান্ধিজি নিরামিষাশী ছিলেন !





    জিনচন্দ্রসূরি


    জিনচন্দ্রসূরি



    জিনচন্দ্রসূরি !
    বিখ্যাত জৈন আচার্য।

    ভারত সম্রাট আকবর, জিনচন্দ্রসূরির গুণাবলীতে মুগ্ধ হয়ে, বর্তমান গুজরাতের কাম্বে উপসাগরে, মৎস্য শিকার, ও, আষাঢ় মাসে আটদিন, জীবহত্যা নিষেধ করেছিলেন !

    সম্রাট আকবর তো নিশ্চিত ভাবে, মুসলমান ছিলেন !



    * সূত্র : ' সরল বাঙ্গালা অভিধান ', - সুবল চন্দ্র মিত্র সংকলিত। পৃষ্ঠা ৫৫৭।

    বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭

    আধ্যাত্মিকতার দিকে এগোনো,,,


    আধ্যাত্মিকতার দিকে এগোনো...



    আথ্যাত্মিকতার দিকে এগোনো...
    তপস্যা
    স্বাধ্যায়
    ঈশ্বর-প্রণিধান
    যোগ
    এবং যোগর অষ্ট অঙ্গের অনুষ্ঠান !

    আধ্যাত্মিকতার দিকে এগোনো...
    পূজা-উপাসনা
    ভজন-সাধন
    অন্তর্যোগ-বহির্যোগ
    জ্ঞানমার্গের অনুশীলন
    ভক্তিমার্গের প্রচেষ্টা !

    আধ্যাত্মিকতার দিকে এগোনো...
    নৈতিক জীবনের উৎকর্ষ সাধন !

    লৌকিক কর্ম
    সেবা কর্ম
    দান কর্ম
    ধর্ম কর্ম !
    এগুলো সবই কর্মের অন্তর্গত !

    কিন্তু কর্ম নয়
    আধ্যাত্মিকতার সোপান !

    নরকের গল্প


    নরকের গল্প



    জনৈক দিদিমনি স্বর্গে যাবেন কিনা জানিনা !
    সেটা ভগবানের ব্যাপার !

    ভারতীয় সনাতন হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী,  মানুষের জন্য স্বর্গের সংখ্যা মাত্র একটি ! মানুষের জন্য কিন্তু নরকের সংখ্যা ছিয়াশিটি !

    তবে দিদিমণির পার্ষদরা,  বেশির ভাগই হয়তো,   নরকে যাবেন ! নরকে গিয়েও,  তাঁরা হয়তো,   নরক-গুলজার করবেন !

    আর তাঁদের সাপোর্টার-রা সব নরকে গিয়ে, তাঁদের মাথায়, সাদা আর নীল রঙের,  ব্যাঙের ছাতা মেলে ধরবেন !

    নরক


    নরক



    মানুষরা বেশির ভাগই পাপী ! তাই মাত্র একটা স্বর্গ আছে ! কিন্তু নরকের সংখ্যা আছে,  ছিয়াশি-টি !
    নরকগুলো কিন্তু সব ভারতের বাইরে !
    পাকিস্তানে ! অধুনা চিনেও !

    এখন পশ্চিমবঙ্গেও নরক !

    পশ্চিমবঙ্গে, নরকে নরকে,  নরক-গুলজার !

    নর্মদা নদী ২


    নর্মদা নদী ২



    নর্মদা নদী !
    পবিত্রতায় চ্যাম্পিয়ন !

    গঙ্গা নদী, একদিন তাঁর পবিত্রতা হারাবে !

    নিম্ন গঙ্গায়, এখনই, গঙ্গা তাঁর পবিত্রতা হারাতে চলেছে.....

    কিন্তু, নর্মদা নদী, তাঁর পবিত্রতা, চিরকাল অক্ষুণ্ণ রাখবে !

    নর্মদা নদীতীর থেকে, অনেক সংগৃহীত, নির্দিচ্ট আকারের শিলাখণ্ডগুলি, শিবলিঙ্গস্বরূপে ব্যবহৃত ও পূজিত হয় !

    নর্মদা নদী


    নর্মদা নদী



    এক সময়ে যোগিগণ নর্মদা নদীতীরে বাস করতেন !
    সেখানকার জলবায়ু সমভাবাপন্ন !
    বাসের পক্ষে উপযোগী !
    সেই নমর্দা নদীই, রেবা নদী !
    নর্মদা নদী, বিন্ধ্যপর্বত থেকে উৎপন্ন !

    রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

    ব্যাজস্তুতি


    ব্যাজস্তুতি



    ব্যাজস্তুতি !
    নিন্দাস্থলে স্তুতি !
    আবার স্তুতিস্থলে নিন্দাও
    ব্যাজস্তুতি !

    ব্যাজস্তুতি !
    নিন্দাচ্ছলে স্তুতি  !
    আবার স্তুতিচ্ছলে নিন্দাও
    ব্যাজস্তুতি !

    ব্যাজস্তুতি যখন
    আলংকারিক শব্দ
    তখন ওটার নাম
    ব্যাজস্তুতি অলংকার !

    ব্যাজস্তুতি অলংকার
    একটি
    অতিপরিচিত
    অর্থালংকার !

    মহাভাব ২


    মহাভাব ২

    মহাভাব

    ভাব।
    মানসিক অবস্থা।অভিপ্রায়। স্বভাব। প্রকৃতি। প্রীতি-প্রণয়- সুসম্পর্ক। অন্তরের কথা। চিন্তা।  ভাবমগ্নতা। অবেগ। অনুভূতির গভীরতা বা অধিক্য। হৃদয়াবেগ। emotion !
    ভাব। সদ্ভাব !
    কাম-ক্রোধ ইত্যাদির চিত্তবিকার !

    মহাভাব।
    প্রেম ভক্তি প্রভৃতির চরম অবস্থা।

    মহাভাব দুই প্রকার।
    ১। রূঢ়।
    ২। অধিরূঢ়।

    রূঢ়।
    ব্যুৎপত্তিবর্হিভূত, প্রসিদ্ধ, অর্থপ্রকাশক শব্দ। প্রকৃতিপ্রত্যয়-এর অপেক্ষায় না থেকে, শব্দবোধক শব্দ ! বিপরীত,  'যৌগিক' শব্দ !

    অধিরূঢ়।
    আরোহণ করেছে, এমন।
    আরূঢ়।
    অধিরূঢ়। অধিরূঢ় ভাব ! সেটা সম্ভবত, একটা বিকার !
    অধিরূঢ় মহাভাব ! রূঢ় অধিরূঢ় ভাব !
    অধি-। অব্যয় ! উপসর্গ। উপরি। অধিরোহন। অধিকার। আধিপত্য।  অধিষ্ঠেত !
    অধি-। রোহণ। শ্রয়ণ। আশ্রয়। ধারণ।

    অধিরূঢ় মহাভাব অাবার দুই রকমের।
    ১। মোদন।
    ২। মাদন।

    মোদন।
    হ্লাদিনী শক্তির পরমা বৃত্তি।
    মোদন সর্বশ্রেষ্ঠা।
    হ্লাদিনী। আহ্লাদযুক্তা। আনন্দদায়িনী। হর্ষদায়িনী।

    এই মোদন, শ্রীরাধা ভিন্ন, অন্য কোথাও দেখা যায় নি !

    প্রবিশ্লেষ দশায়, এই মোদনকে, মোহন বলে।
    প্র-। উৎকর্ষ প্রসিদ্ধি আধিক্য ব্যাপকতা প্রভৃতির সূচক, উপসর্গবিশেষ।
    বিশ্লেষ। অসংযোগ। বিচ্ছেদ।

    মোহন।
    সন্মোহন। মুগ্ধ  করা।  মুগ্ধকারী। চিত্তাকর্ষক। মনোহর।
    মোহনে, বিরহ ইত্যাদির জন, সাত্ত্বিকভাব, ফুটে ওঠে !
    মোহন। মোহজনক। মোহজনন। মোহকর। বিস্ময়কর। কখনো বিভ্রমজনক ! কখনও বা মোহিত !
    মোহন, বৈষ্ণবসাহিত্যে, অধিরূঢ় ভাবের একতর !
    মোহন,  কখনো বা মায়া !
    মো্হনভাবে ভ্রমের ন্যায় অদ্ভুত বৈচিত্রী দশা !

    এই মোহন, যখন অনির্বচনীয় গতি প্রাপ্ত হয়, তখন, ভ্রম ও অতি বিচিত্র দশা প্রাপ্ত হয় !

    তখন একে বলে দিব্যোন্মাদ !

    দিব্যোন্মাদ।
    দিব্যোন্মাদ, স্বর্গীয় ভাবের আবেশে বিভোরতা ! ঐশ্বরিক ভাবে উন্মত্ততা ! শ্রীকৃষ্ণের বিরহে উন্মত্ত অবস্থা ! এমন কি অন্যতেও শ্রীকৃষ্ণভ্রম !
    দিব্যোন্মাদ দশায়, ভ্রমময় চেষ্টা ও প্রলাপময় বা্ক্য প্রয়োগ ইত্যাদি দেখা যায় !

    উদ্‌ঘূর্ণা ও চিত্রজল্প ইত্যাদি ভেদে, দিব্যোন্মাদ বহু্প্রকার !

    উদ্‌ঘৃর্ণা।
    উদ্- = প্রাবল্য।
    ঘূর্ণা। ঘূর্ণি। পাক। ঘোরা।

    চিত্রজল্প।
    বাক্যবিশেষ।
    সুহৃদের দর্শনে,  অতিপ্রিয় ব্যক্তির,  গূঢ় নানা ভাববিশিষ্ট,  তীব্র উৎকণ্ঠাপূর্ণ,  জল্পকে ( বাক্যকে ) চিত্রজল্প বলে !
    চিত্রজল্প, নানা ভাব ও বৈচিত্রযুক্ত চমৎকারজনক বাক্যবিশেষ !

    চিত্রজল্প দশ প্রকার !
    ১। প্রজল্প
    ২। পরিজল্পিত
    ৩। বিজল্প
    ৪। উজ্জল্প
    ৫। সংজল্প
    ৬। অবজল্প
    ৭। অভিল্পিত
    ৮।আজল্প
    ৯। প্রতিজল্প
    ১০। সুজল্প

    মাদন।
    মত্ততা। হর্ষ। গর্ব। হয়তো ইন্দ্রিয়মোহও !
    মাদন মদন !
    মাদন, নিজেই,  বৈষ্ণবসাহিত্যৈ, আবার,   অধিরূঢ় নামক মহাভাব বিশেষ !
    তখন, অধিরূহ মহাভাব, অন্য দুই প্রকারেরও হতে পারে !
    সম্ভোগে, 'মদন', বিরহে, 'মোহন' !
    মাদন। হর্ষোৎপাদন। প্রীণন।

    প্রীণন।
    তৃপ্তিকর।
    তৃপ্তিজনক।
    তৃপ্তিজনন।

    .....প্রীণিতে প্রীণিতং জগৎ.....

    মদন।
    অনুরাগ হেতু পীড়া।
    কামার্তি !

    দশা।
    অবস্থা।




    * সূত্র :' 'শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত',  গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ১৮২।
    * সূত্র : 'বঙ্গীয় শব্দকোষ। 



















































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































    মহাভাব

    ভাব।
    মানসিক অবস্থা।অভিপ্রায়। স্বভাব। প্রকৃতি। প্রীতি-প্রণয়- সুসম্পর্ক। অন্তরের কথা। চিন্তা।  ভাবমগ্নতা। অবেগ। অনুভূতির গভীরতা বা অধিক্য। হৃদয়াবেগ। emotion !
    ভাব। সদ্ভাব !
    কাম-ক্রোধ ইত্যাদির চিত্তবিকার !

    মহাভাব।
    প্রেম ভক্তি প্রভৃতির চরম অবস্থা।

    মহাভাব দুই প্রকার।
    ১। রূঢ়।
    ২। অধিরূঢ়।

    রূঢ়।
    ব্যুৎপত্তিবর্হিভূত, প্রসিদ্ধ, অর্থপ্রকাশক শব্দ। প্রকৃতিপ্রত্যয়-এর অপেক্ষায় না থেকে, শব্দবোধক শব্দ ! বিপরীত,  'যৌগিক' শব্দ !

    অধিরূঢ়।
    আরোহণ করেছে, এমন।
    আরূঢ়।
    অধিরূঢ়। অধিরূঢ় ভাব ! সেটা সম্ভবত, একটা বিকার !
    অধিরূঢ় মহাভাব ! রূঢ় অধিরূঢ় ভাব !
    অধি-। অব্যয় ! উপসর্গ। উপরি। অধিরোহন। অধিকার। আধিপত্য।  অধিষ্ঠেত !
    অধি-। রোহণ। শ্রয়ণ। আশ্রয়। ধারণ।

    অধিরূঢ় মহাভাব অাবার দুই রকমের।
    ১। মোদন।
    ২। মাদন।

    মোদন।
    হ্লাদিনী শক্তির পরমা বৃত্তি।
    মোদন সর্বশ্রেষ্ঠা।
    হ্লাদিনী। আহ্লাদযুক্তা। আনন্দদায়িনী। হর্ষদায়িনী।

    এই মোদন, শ্রীরাধা ভিন্ন, অন্য কোথাও দেখা যায় নি !

    প্রবিশ্লেষ দশায়, এই মোদনকে, মোহন বলে।
    প্র-। উৎকর্ষ প্রসিদ্ধি আধিক্য ব্যাপকতা প্রভৃতির সূচক, উপসর্গবিশেষ।
    বিশ্লেষ। অসংযোগ। বিচ্ছেদ।

    মোহন।
    সন্মোহন। মুগ্ধ  করা।  মুগ্ধকারী। চিত্তাকর্ষক। মনোহর।
    মোহনে, বিরহ ইত্যাদির জন, সাত্ত্বিকভাব, ফুটে ওঠে !
    মোহন। মোহজনক। মোহজনন। মোহকর। বিস্ময়কর। কখনো বিভ্রমজনক ! কখনও বা মোহিত !
    মোহন, বৈষ্ণবসাহিত্যে, অধিরূঢ় ভাবের একতর !
    মোহন,  কখনো বা মায়া !
    মো্হনভাবে ভ্রমের ন্যায় অদ্ভুত বৈচিত্রী দশা !

    এই মোহন, যখন অনির্বচনীয় গতি প্রাপ্ত হয়, তখন, ভ্রম ও অতি বিচিত্র দশা প্রাপ্ত হয় !

    তখন একে বলে দিব্যোন্মাদ !

    দিব্যোন্মাদ।
    দিব্যোন্মাদ, স্বর্গীয় ভাবের আবেশে বিভোরতা ! ঐশ্বরিক ভাবে উন্মত্ততা ! শ্রীকৃষ্ণের বিরহে উন্মত্ত অবস্থা ! এমন কি অন্যতেও শ্রীকৃষ্ণভ্রম !
    দিব্যোন্মাদ দশায়, ভ্রমময় চেষ্টা ও প্রলাপময় বা্ক্য প্রয়োগ ইত্যাদি দেখা যায় !

    উদ্‌ঘূর্ণা ও চিত্রজল্প ইত্যাদি ভেদে, দিব্যোন্মাদ বহু্প্রকার !

    উদ্‌ঘৃর্ণা।
    উদ্- = প্রাবল্য।
    ঘূর্ণা। ঘূর্ণি। পাক। ঘোরা।

    চিত্রজল্প।
    বাক্যবিশেষ।
    সুহৃদের দর্শনে,  অতিপ্রিয় ব্যক্তির,  গূঢ় নানা ভাববিশিষ্ট,  তীব্র উৎকণ্ঠাপূর্ণ,  জল্পকে ( বাক্যকে ) চিত্রজল্প বলে !
    চিত্রজল্প, নানা ভাব ও বৈচিত্রযুক্ত চমৎকারজনক বাক্যবিশেষ !

    চিত্রজল্প দশ প্রকার !
    ১। প্রজল্প
    ২। পরিজল্পিত
    ৩। বিজল্প
    ৪। উজ্জল্প
    ৫। সংজল্প
    ৬। অবজল্প
    ৭। অভিল্পিত
    ৮।আজল্প
    ৯। প্রতিজল্প
    ১০। সুজল্প

    মাদন।
    মত্ততা। হর্ষ। গর্ব। হয়তো ইন্দ্রিয়মোহও !
    মাদন মদন !
    মাদন, নিজেই,  বৈষ্ণবসাহিত্যৈ, আবার,   অধিরূঢ় নামক মহাভাব বিশেষ !
    তখন, অধিরূহ মহাভাব, অন্য দুই প্রকারেরও হতে পারে !
    সম্ভোগে, 'মদন', বিরহে, 'মোহন' !
    মাদন। হর্ষোৎপাদন। প্রীণন।

    প্রীণন।
    তৃপ্তিকর।
    তৃপ্তিজনক।
    তৃপ্তিজনন।

    .....প্রীণিতে প্রীণিতং জগৎ.....

    মদন।
    অনুরাগ হেতু পীড়া।
    কামার্তি !

    দশা।
    অবস্থা।




    * সূত্র :' 'শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত',  গীতা প্রেস, পৃষ্ঠা ১৮২।
    * সূত্র : 'বঙ্গীয় শব্দকোষ। 



































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































































    এই মোহন যখন, অনির্বচনীয় গতি প্রাপ্ত হয়, তখন, ভ্রম ও অতি বিচিত্র দশা প্রাপ্ত হয়।

    তখন একে বলে, দিব্যোন্মাদ।

    দিব্যোন্মাদ, স্বর্গীয় ভাবের আবেশে বিভোরতা। ঐশ্বরিক ভাবে, উন্মত্ততা। শ্রীকৃষ্ণের বিরহে, উন্মত্ত অবস্থা। এমন কি, অন্যতেও, শ্রীকৃ্ষ্ণভ্রম।
    দিব্যোন্মাদ। মোহন ভাবে, ভ্র্রমের ন্যায়, অদ্ভুত দশা।

    উদ্‌ঘূর্ণা ও চিত্রজল্প ইত্যাদি ভেদে, দিব্যোন্মাদ বহু প্রকারের।

    উদঘূর্ণা।
    উদ্। প্রাবল্য।
    ঘূর্ণা।
    ঘূর্ণি। পাক। ঘোরা।

    চিত্রজল্প।
    বাক্যবিশেষ।
    সুহৃদের দর্শনে, অতিপ্রিয় ব্যক্তির, গূঢ়, নানা ভাব বিশিষ্ট,তীব্র উৎকণ্ঠাপূর্ণ জল্পকে ( বাক্যকে, চিত্রজল্প বলে।
    চিত্রজল্প, নানা ভাব  ও বৈচিত্রযুক্ত, চমৎকারজনক বাক্য বিশেষ।
    চি্রজল্প দশ প্রকার।
    ১। প্রজল্প।
    ২। পরিজল্পিত।
    ৩। বিজল্প।
    ৪। উজ্জল্প।
    ৫। সংজল্প।
    ৬। অবজল্প।
    ৭। অভিজল্পিত।
    ৮। আজল্প।
    ৯। প্রতিজল্প।
    ১০। সুজল্প।

    .

    দিব্যোন্মাদ দশায়, ভ্রমময় চেষ্টা ও প্রলাপময় বাক্য ইতাদি প্রয়োগ, দেখা যায়।
















































































































































































































































    এই মোহন যখন, অনির্বচনীয় গতি প্রাপ্ত হয়, তখন, ভ্রম ও অতি বিচিত্র দশা প্রাপ্ত হয়।

    তখন একে বলে, দিব্যোন্মাদ।

    দিব্যোন্মাদ, স্বর্গীয় ভাবের আবেশে বিভোরতা। ঐশ্বরিক ভাবে, উন্মত্ততা। শ্রীকৃষ্ণের বিরহে, উন্মত্ত অবস্থা। এমন কি, অন্যতেও, শ্রীকৃ্ষ্ণভ্রম।
    দিব্যোন্মাদ। মোহন ভাবে, ভ্র্রমের ন্যায়, অদ্ভুত দশা।

    উদ্‌ঘূর্ণা ও চিত্রজল্প ইত্যাদি ভেদে, দিব্যোন্মাদ বহু প্রকারের।

    উদঘূর্ণা।
    উদ্। প্রাবল্য।
    ঘূর্ণা।
    ঘূর্ণি। পাক। ঘোরা।

    চিত্রজল্প।
    বাক্যবিশেষ।
    সুহৃদের দর্শনে, অতিপ্রিয় ব্যক্তির, গূঢ়, নানা ভাব বিশিষ্ট,তীব্র উৎকণ্ঠাপূর্ণ জল্পকে ( বাক্যকে, চিত্রজল্প বলে।
    চিত্রজল্প, নানা ভাব  ও বৈচিত্রযুক্ত, চমৎকারজনক বাক্য বিশেষ।
    চি্রজল্প দশ প্রকার।
    ১। প্রজল্প।
    ২। পরিজল্পিত।
    ৩। বিজল্প।
    ৪। উজ্জল্প।
    ৫। সংজল্প।
    ৬। অবজল্প।
    ৭। অভিজল্পিত।
    ৮। আজল্প।
    ৯। প্রতিজল্প।
    ১০। সুজল্প।

    .

    দিব্যোন্মাদ দশায়, ভ্রমময় চেষ্টা ও প্রলাপময় বাক্য ইতাদি প্রয়োগ, দেখা যায়।