আধুনিক বিজ্ঞান ভারতের প্রাচীন হিন্দু জ্ঞানের সামান্য উদাহরণ মাত্র: জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার, মহান বিজ্ঞানী
ভারত দেশ নিজের প্রাচীন সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জন্য বিশ্বে সবথেকে
বড়ো স্থানের অধিকারি। ভারতের ঋষি, মুনি ও সাধু সন্ন্যাসীরা বার বার
জ্ঞানের আলোয় বিশ্বকে আলোকিত করেছে। এক সময় যখন ভারত পরাধীন ছিল সেই সময়েও
স্বামী বিবেকানন্দের মতো মহান আত্মা জন্ম নিয়ে হিন্দু সংস্কৃতির অসীম শক্তি
দিয়ে বিশ্বকে পথ দেখিয়েছেন। আর এই কারণে ভারতের প্রতি …
ভারত সেই দেশ যা বিশ্বকে গুনতে শিখিয়েছে, গণিত শিখিয়েছে। আজ পুরো বিশ্বে যে নির্মাণকার্য হয় তার মূল ভিত্তি ত্রিকোণমিতি গণিত। এই গণিত ভারতের মহর্ষি আর্যভট্ট বিশ্বকে শিখিয়েছেন। আজও মহর্ষি ভাস্করাচার্য এর লেখা গণিত বই লীলাবতী বিশ্ববিখ্যাত। হিন্দু সংস্কৃতি, সনাতন ধর্মের মধ্যে যে কি অনন্ত শক্তি রয়েছে তা বার বার পুরো বিশ্বকে হতবাক করে। এই কারণেই হয়তো বেদ, উপনিষদের উপর মন্তব্য করতে গিয়ে মহান বিজ্ঞানী এরভিন শ্রোডিঙার বলেছিলেন, কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর সমস্ত তথ্য হাজার হাজার বছর ধরে ভারতীয় গ্রন্থে রয়েছে।
একইভাবে, এটম বোমার জনক হিসেবে পরিচিত মহান বিজ্ঞানী জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার (Julius Robert Oppenheimer) বলেছিলেন- “আমরা আধুনিক ভৌতিক বিজ্ঞানে যা কিছু পায় তা প্রাচীন হিন্দু জ্ঞানের উদাহরণ মাত্র।” জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার কোয়ান্টাম মেকানিসক ও কোয়ান্টাম থিয়োরীর উপর অনেক গবেষণা চালিয়েছিলেন।
More in ভারতবর্ষ :
জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার সংস্কৃত ভাষা শিখেছিলেন এবং গীতার সম্পূর্ণ
অধ্যয়ন করেছিলেন। মেক্সিকোতে প্রথমবার এটোমিক টেস্টের বিস্ফোরণ দেখার পর
ওপেনহেইমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন। উনি বলেন, আমরা হিন্দু শাস্ত্র
ভাগবত গীতার একটা শ্লোক মনে পড়ছে যেখানে ভগবান কৃষ্ণ নিজের আসল স্বরূপ
দেখিয়ে অর্জুনকে বলেছনে যে আমি অধর্মের বিনাশ করতে আসা মহাকাল।জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার এখানে হিন্দুদের ধার্মিক পুস্তক গীতার ১১ তম অধ্যায়ের ৩২ তম শ্লোকের কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, মহাভারতে ব্রমহাস্ত্র এর উল্লেখ পাওয়া যায় যা বর্তমানের পরমাণু বোমার সমকক্ষ বলে মনে করা হয়। ওপেনহেইমার নিজেও এই সম্ভবনার উপর বিশ্বাস করতেন। পরমাণু বোমা পরীক্ষণের পর এক ইউনিভার্সিটিতে উনাকে প্রশ্নঃ করা হয়েছিল যে এটাই কি বিশ্বে প্রথম পারমানবিক বোমার পরীক্ষণ?
উত্তরে জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার বলেছিলেন আধুনিক যুগে এটাই প্রথম পরীক্ষণ। ওপেনহেইমারের এই উত্তর এটার দিকে ইঙ্গিত করেছিল যে ব্রমহাস্ত্ররূপী পরমাণু বোমার ব্যাবহার আগেও হয়েছে। ওপেনহেইমার গীতার প্রতি এতটাই প্রেম করতেন যে উনি সকলকে গীতা পড়ার কথা বলতেন এবং নিজের কাছেও এক কপি গীতা রাখতেন।
বিশেষ: India Rag এর কিছু পাঠক পাঠিকারা এই ধরনের লেখা প্রকাশের আবেদন করেছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এই ধরণের আরো লেখা প্রকাশ করার সিধান্ত নিয়েছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন