মুহম্মদ কর্তৃক আঙ্গুলের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখণ্ডন : ইসলামের এক মহা মিথ্যা
কোরানের সূরা কমর এর ১ নং আয়াতে স্পষ্ট করে লিখা আছে, "চাঁদ দ্বি-খণ্ডিত হয়েছে", এবং হাদিস থেকে জানা যায় মুহম্মদের আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে এবং তার আঙ্গুলের ইশারাতেই চাঁদ আবার জোড়া লেগেছে। চিন্তা করুন, এতবড় একটা ঘটনার প্রমান শুধু কোরান ! যে কোরানের পাতায় পাতায় ভুল আর মিথ্যা ?
ইসলামের বর্ণনা মতে, এটা মাত্র ১৪০০ বছর আগের ঘটনা, অথচ পৃথিবীর আর কেউ সেই ঘটনা দেখলো না ? কোনো দেশ থেকে সেই ঘটনা আর দেখাই গেলো না ? কেনো চাঁদ কি শুধু মুহম্মদের ঘর থেকেই দেথা যেতো, না চাঁদ মুহম্মদের ঘরের নিজস্ব সম্পদ, যে চাঁদের কিছু হলে অন্য কেউ তা লাইভ দেখতে বা জানতে পারবে না ?
ইসলামের বর্ণনা মতে, এটা মাত্র ১৪০০ বছর আগের ঘটনা, অথচ পৃথিবীর আর কেউ সেই ঘটনা দেখলো না ? কোনো দেশ থেকে সেই ঘটনা আর দেখাই গেলো না ? কেনো চাঁদ কি শুধু মুহম্মদের ঘর থেকেই দেথা যেতো, না চাঁদ মুহম্মদের ঘরের নিজস্ব সম্পদ, যে চাঁদের কিছু হলে অন্য কেউ তা লাইভ দেখতে বা জানতে পারবে না ?
কথায় বলে, আকাশে উঠিলে চাঁদ দেখে সবাই। তার মানে আকাশের চাঁদকে একসাথে কোটি কোটি মানুষ দেখতে পায়, এই চাঁদ নিয়ে যদি কোনো ঘটনা ঘটে সেটা এক সাথে বহু মানুষ দেখবে এটাই স্বাভাবিক। তাহলে মুহম্মদের এই চন্দ্র দ্বিখণ্ডন, মুহম্মদ এবং তার কয়েকজন সাহাবী ছাড়া কেউ দেখলো না কেনো ? এ্রই রকম অলৌকিক ঘটনা যদি মুহম্মদের থাকতো, তাহলে তাকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আর তরবারি নিয়ে ঘুরতে হতো না, আর ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বেড়াতে হতো না, ইসলাম প্রতিষ্ঠা বা জিহাদের নামে মানুষ হত্যা করতে হতো না, তার এই ক্ষমতা দেখেই মুহম্মদের জীবদ্দশাতেই শুধু আরব নয়, সারা পৃথিবীর লোক ইসলাম গ্রহন করে ফেলতো।
মুহম্মদের এই চাঁদ দ্বিখণ্ডণকে ভিত্তি করে মুসলিম সমাজ কর্তৃক বহুলভাবে প্রচারিত একটি মিথ্যা গল্প হলো, আমেরিকার নীল আর্মস্ট্রং তার চন্দ্র অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসে ইসলাম গ্রহন। এর কারণ হিসেবে তারা বলে, নবী আঙ্গুলের ইশারায় যে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছিলো, যে কথা কোরানে লেখা আছে, নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়ে চাঁদের সেই জোড়া দেখতে পেয়েছিলো এবং সে চাঁদে আজানও শুনতে পেয়েছিলো, এজন্যই সে পৃথিবীতে এসে ইসলামকেই একমাত্র সত্য ধর্ম বলে মনে করে মুসলমান হয়ে যায়।
কিন্তু এই গল্পের মধ্যেই লুকিয়ে আছে গল্পটিকে মিথ্যা প্রমান করার অস্ত্র এবং সেটা হলো চাঁদে তো কোনো বাতাস নেই, তাহলে আর্মস্ট্রং বাতাস ছাড়া আজান শুনলো কিভাবে ? এই তথ্যটিই প্রমান করে যে, আর্মস্ট্রং এর আজান শোনার গল্পটি পুরো মিথ্যা এবং তার ইসলাম গ্রহনের ঘটনাটিও মিথ্যা। তারপরও মুসলমানরা যেহেতু মিথ্যার জাহাজ এবং সারা বিশ্ব ব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রচার শুরু করে নীল আর্মস্ট্রং এর তথাকথিত ইসলাম গ্রহনের ঘটনা, সেহেতু নাসা থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় যে, চন্দ্র অভিযানের সময় চাঁদে আজান শোনার মতো কোনো ঘটনা ঘটে নি এবং নীল আর্মস্ট্রং এর ইসলাম গ্রহনের ঘটনাও সত্য নয়।
এছাড়াও মহাকাশে ভাসমান গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহের চরিত্র সম্পর্কে যাদের সামান্য ধারণা আছে, তারা এটা কমন সেন্স থেকেই বুঝবে যে চাঁদকে পরিচালনা করা পৃথিবীর কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, চাঁদকে কোনোভাবে যদি দ্বিখণ্ডিত করা যায়, তাহলে তা তার কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়বে এবং পৃথিবীর সাথে তার ভাঙ্গা অংশের ধাক্কাসহ নানা ঘটনা ঘটিয়ে মহাকাশে ধ্বংস হয়ে যাবে।
আশা করছি, মুহম্মদ কর্তৃক চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করার যে মিথ্যা গল্প, তার অসারতা সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
জয় হিন্দ।
From: Krishna kumar das
💜 জয় হোক সনাতনের 💜
💜 জয় হোক সনাতনের 💜
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন