সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮

পুনর্জন্ম ( দুই )


 পুনর্জন্ম ( দুই )


  ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন         প্রণব কুমার কুণ্ডু





পুনর্জন্ম বা জন্মান্তর কী ও কেনো ?

হিন্দু শাস্ত্র বলে, পৃথিবীতে ৮৪ লক্ষ যোনী অর্থাৎ প্রাণী। কিন্তু ইসলাম বলে ১৮ হাজার মাখলুকাত অর্থাৎ প্রাণী সংখ্যা মাত্র ১৮ হাজার। এখন এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কী বলে তা একটু কষ্ট করে জেনে নিন, বুঝতে পারবেন, কোন ধর্ম বিজ্ঞানসম্মত বা সত্য।
আলোচনার পরিসর ছোট করার স্বার্থে অন্য সকল প্রাণী বাদ দিয়ে শুধু মানুষের কথা বলি। ইসলাম মতে, রুহ বা আত্মা একই সময়ে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সেগুলোকে আল্লা সাত আসমানের উপর কোথাও মজুদ করে রেখেছে এবং ক্রমান্বয়ে সেগুলোকে আস্তে আস্তে পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে। এই তথ্যে স্পষ্ট যে সৃষ্ট সকল আত্মা বা রূহ নির্দোষ, যেহেতু কোনো পাপ বা পূন্য তাদেরকে স্পর্শ করে নি। তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, পৃথিবীতে ধনী বা ক্ষমতাশালী বা বিখ্যাত পরিবারে জন্ম নিয়ে কেউ কেনো অঢেল সুখ ও ঐশ্বর্য ভোগ করছে, আর কেউ কেনো বস্তি বা দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়ে কষ্ট ভোগ করছে ?
আবার ইসলাম মতে, ইসলামই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা বা আল্লার কাছে একমাত্র গ্রহনযোগ্য ও মনোনীত ধর্ম; তাহলে অমনোনীত অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদি বা অন্য আরো ধর্মের পরিবারে আল্লা তার সৃষ্টি করা নির্দোষ রুহগুলোকে জন্ম দিচ্ছে কেনো ? কেনো আল্লা তার অমনোনীত সকল ধর্মের পরিবারে শিশুর জন্ম দান বন্ধ করছে না বা কেনো অমনোনীত ধর্মের জাতিগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে না ? অমনোনীত ধর্মের পরিবারে শিশুর জন্ম দিয়ে, কেনো তাদেরকে আবার বলা হচ্ছে, ইসলাম গ্রহন করে না মরলে তারা বেহেশত পাবে না ? শুধু তাই নয়, অমুসলিম পরিবারে জন্ম দেওয়া মানুষগুলোকেই কেনো আল্লা আবার মুসলমানদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছে ? তাহলে একটি মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশু এবং একটি অমুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুর মধ্যে আল্লা কি বৈষম্য সৃষ্টি করে নি ? এই সব বৈষম্য থেকে কি মনে হয় না, ইসলামের আল্লা আসলে পক্ষপাতদুষ্ট এক আল্লা, যে তার সৃষ্ট সকল মানুষকে সমান চোখে দেখে না ? তাহলে এই আল্লা কিভাবে পৃথিবীর সকল মানুষের সৃষ্টি কর্তা হতে পারে ?
পুনর্জন্ম সম্পর্কে হিন্দুশাস্ত্র বলছে, মানুষের এক জন্মের পাপ পুন্যের কর্মফল অনুযায়ী পরবর্তীতে তার নতুন জন্ম হয়, যাকে জন্মান্তরও বলে। এই জন্মান্তর মানুষরূপে বা অন্য কোনো প্রাণীরূপেও হতে পারে। এই এক জন্মের কর্মফলের জন্যই পরবর্তী জন্মে ধনী বা গরীব বা ক্ষমতাশালী বা ক্ষমতাহীন এবং বিখ্যাত বা অখ্যাত পরিবারে মানুষের জন্ম হয়।
পুনর্জন্ম যে সত্য, সেটা প্রমাণ করার মতো বহু ঘটনা পৃথিবীতে আছে, যার কয়েকটি নিচে উল্লেখ করলাম এবং এই পুনর্জন্ম সম্পর্কে হিন্দুধর্মের প্রধান গ্রন্থ গীতায় স্পষ্ট করে বলা আছে এবং তাও বলা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে, এখন চিন্তা করুন, সেই ৫ হাজার বছর আগে, যখন পৃথিবীতে জ্ঞান বিজ্ঞানের অবস্থা খুবই করুণ, সেই সময় হিন্দু শাস্ত্রে কিভাবে এমন এক অব্যক্ত সত্যের কথা বলা হলো, যেটাকে খালি চোখে দেখে বা সাধারণ দৃষ্টিতে কারো বোঝা দূরে থাক, অনুমান করারই ক্ষমতা নেই এবং গীতায় এই পুনর্জন্মের কথা বলেছেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ, এই তথ্য থেকেও অবধারিতভাবে প্রমান হয় যে শ্রীকৃষ্ণই স্বয়ং ঈশ্বর এবং সর্বজ্ঞানী।
উপরের এই তথ্যের ভিত্তিতে, বাস্তবতার নিরীখে এখন বিচার করে দেখুন কোনটি সত্য বা প্রকৃত ধর্ম ?
তরবারির জোরে মুসলমানরা একটি মিথ্যাকে গত ১৪০০ বছর ধরে পৃথিবীবাসীর উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং তাতে তারা কিছুটা সফলও হয়েছে। কিন্তু এখন সবাই মিলে যদি এই মিথ্যেটাকে রোধ করা না যায়, এই মিথ্যাই একদিন সমগ্র পৃথিবীকে গ্রাস করে পৃথিবীটাকে নরক বানিয়ে ফেলবে, আর তাতে পুড়তে হবে আমার আপনার আগামী প্রজন্মকে। সুতরাং সাবধান।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম। জয় শ্রীকৃষ্ণ।
-----------------------------------------------------------------
এখন দেখুন, পুনর্জন্ম নিয়ে কী বলছে বিজ্ঞান ? (Copy paste from risingbd.com)
মানুষ কী কেবল একবার জন্মায়? নাকি বারবার ফিরে আসে পৃথিবীর কোলে? মানুষের মনে এই প্রশ্ন জমে রয়েছে সেই সুদূর অতীত থেকে। যার শেষ হয়নি এখনো। উত্তরটাও পাওয়া যায়নি ঠিকঠাক করে। তবে উত্তর পাওয়া যাক কিংবা না যাক, এ নিয়ে অনুসন্ধান কখনো থেমে থাকেনি পৃথিবীবাসীর। সবসময়েই তারা পেতে চেয়েছে তাদের প্রশ্নের উত্তর। আর তাদের এই আগ্রহকে বারবার উসকে দিয়েছে পৃথিবীর একোণ-ওকোণ থেকে নিজেদের অতীত জীবনকে মনে করতে পারা কিছু জাতিস্মর। যাদের অনেকেরই দাবী প্রায় সময়েই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে কী সত্যিই পুনর্জন্ম বলে কিছু আছে? আত্মা কী বারবার জন্ম নেয় বহু মানুষের বেশে? যদি তাই হয় তাহলে আমরা সবাইই তো এর আগে আর কেউ একজন ছিলাম। কী ছিলাম আমরা সে জন্মে? কী করে মনে করা যাবে সেটা? আসুন জেনে নিই এ প্রশ্নগুলোর সম্ভাব্য ও বৈজ্ঞানিক জবাব।
এসবের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানী ও দার্শনিকেরা সবসময়েই যেতে চেয়েছেন মৃত্যুর কাছে। মৃত্যুর পর কী হয় মানুষের সঙ্গে? মানুষের শরীরের ভেতরে যদি আত্মা থেকে থাকে তাহলে কী হয় সেই আত্মার? খুব কাছ থেকে এসব নিয়ে পরীক্ষা করে অনেকে বলেছেন একেবারে ভিন্ন কথা।
আটলান্টার ইয়ার্কস ন্যাশনাল প্রাইমেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা দুই গবেষক ব্রায়ান জি. ডায়াস ও কেরি রেসলারের গবেষণানুসারে, আদতে পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরে থাকা স্মৃতিগুলো বংশগতভাবে অন্য মানুষে প্রবাহিত হতে পারে। আর সেভাবেই একজন মানুষ জন্ম থেকেই অন্য কারো সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মনে করতে পারে। যাকে আমরা মনে করে থাকি গতজন্মের স্মৃতি। কিন্তু আসলেও কী এই গবেষকরা ঠিক? চলুন এর উত্তর জেনে আসি এই ঘটনাটি থেকে।
জার্মান থেরাপিস্ট ট্রুটজ হার্ডোর ‘চিলড্রেন হু হ্যাভ লিভড বিফোর: রিইনকারনেশন টুডে’ বইটিতে গতজন্মের কথা মনে করতে পারা কিছু শিশুকে নিয়ে কাজ করেন। আর সেখানেই তিনি জানান ড্রুজ আদিবাসী দলের একটি ছেলের কথা। শিশুটি জন্ম নিয়েছিল ভয়ংকর এক আঘাতের চিহ্ন নিয়ে।
তবে তিন বছর অব্দি কোনো কথা বলেনি সে। তিন বছর বয়স হওয়ার পর হঠাৎ একদিন সে সবাইকে জানায় যে সে আসলে অনেক দূরের একটি গ্রামের মানুষ। মৃত্যুর পর এখানে জন্মেছে সে আবার। নিজের কথার প্রমাণ হিসেবে গতজন্মে তাকে যে খুন করা হয়েছিল সেই আঘাত আর খুনীকে ধরিয়ে দেয় সে। এমনকি দেখিয়ে দেয় নিজের লাশটাও!
যদি বংশগত জীন হয় এই স্মৃতির পেছনের প্রধান হাতিয়ার তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে অনেক দূরের মানুষের কাছ থেকে সেটা কী করে এলো? কারণ সেখানে তো কোনোরকম শারিরীক সম্পর্ক থাকেনা জাতিস্মর মানুষটির তার আগের জন্মের দাবী করা ব্যক্তিটির সঙ্গে।
ঘটনাটি রায়ানের। জিম টাকার পুনর্জন্ম আর গতজন্মের স্মৃতি মনে করতে পারা শিশুদের নিয়ে তখন কাজ করছিলেন। হঠাৎ তার কাছে একটা ফোন আসে। ফোনের ওপাশ থেকে এক মহিলা কণ্ঠ জিমকে জানায় যে, তার ছেলে রায়ান গত অনেকদিন ধরে আপনমনেই অ্যাকশন, কাট ধরনের চলচিত্রের সঙ্গে জড়িত নানা কথা বলে চলেছে আপন মনে। এমনকি কিছুদিন আগে একজন ৩০ শতকের অভিনেতার নাম বলে তাকে নিজের বন্ধু বলে জানিয়েছে সে। নিজেকেও সেই ৩০ শতকের অভিনেতা জর্জের পাশে দাড়ানো আরেকটি মানুষ বলে চিনতে পেরেছে সে। ঘটনাটি শুনেই দৌড়ে রায়ানের কাছে চলে আসে জিম আর অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে সত্যিই ৩০ শতকের এক অখ্যাত ফিল্মের এক্সট্রা হিসেবে কাজ করতো রায়ান। যার তখনকার নাম ছিল মার্টিন! পরবর্তীতে নিজের মেয়েদের সঙ্গেও দেখা করে রায়ানরূপী মার্টিন।
রায়ান ছাড়াও এমন অনেক শিশুর সঙ্গে দেখা করেছেন জিম যাদের সবার বয়স ২ থেকে ৬ বছরের ভেতরে। আর তারা সবাইই এতটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিজেদের গতজন্মের কথা আর ঘটনাগুলো বলে যেতে পারে গড়গড় করে যে, যে কেউ মানতে বাধ্য হবে যে আসলেই শিশুটি জাতিস্মর। তবে এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে জিম টাকার বলেন- কোয়ান্টাম ফিজিক্সের মতে আমাদের সচেতনতার বাইরেও দৃশ্যমান পৃথিবী গড়ে উঠতে পারে। আর এই ব্যাপারে পদার্থবিজ্ঞানীরাও একমত হবেন বলে মনে করেন তিনি।
নিজের পুরো গবেষণার একটা প্যাটার্ন তৈরি করেন জিম টাকার। তবে অনেকেই অবশ্য জিমের এই পুনর্জন্মের প্যাটার্নে যথেষ্ট পরিমাণ উদাহরনের অভাব বলে মনে করেন। তবে সত্যিটা যাই হোক না কেন, জিম টাকার আর তার এই অনুসন্ধান, পৃথিবীর সবার কাছেই হয়ে তাকবে ভবিষ্যতে এ পথে আরো এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়।
-------------------------------------------------------------------------------
এবার শুনুন পুনর্জন্মের একটি সত্য ঘটনা:
উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্মীপুরে শিশুর পুনর্জন্ম হল। এই ঘটনায় গ্রামের মানুষ সকলেই স্তম্ভিত। মাত্র ৩ বছর বয়সে নিজেই নিজের পুনর্জন্মের কথা শোনাল এই শিশু। জিতন নামে এই শিশুটির মুখে এখনও ঠিকঠাক কথা ফোটেনি। কিন্তু সেই আধো আধো গলাতেই সে বলে উঠছে, ‘‘আমার বাড়ি তো ভোলাপুরে আর আমার বাবা একজন বিদেশি।’’
বাচ্চাটির মা-বাবা জানান, জিতন রীতিমতো জেদ ধরে বসেছিল যে, তাকে ভোলাপুরে বিদেশি বাবার সঙ্গে দেখা করাতে হবে। সেই মতো এই জন্মের মা-বাবাও ঠিক করে নিয়েছিলেন যেভাবেই হোক ছেলেকে আগের জন্মের পরিবারের সঙ্গে দেখা করাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখবেন না। আর নিজেদের কথাও রেখেছেন তাঁরা। আগের জন্মের পিতার সঙ্গে ছেলের দেখাও করিয়েছেন।
এক হিন্দি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ১৫ অগস্ট লক্ষ্মীপুরের মাখনগঞ্জে শিবকুমার ও রামাবতীর কোলে জন্ম নেয় জিতন। এই সন্তানের আগে শিবকুমার ও রামাবতীর একটি রেণু নামে এক মেয়েও আছে। রাখির দিন যখন দিদি রেণু জিতানের হাতে রাখি বাঁধতে যায় তখন, সে রাখি পরতে রাজি হয়নি। বরং বলে, তার বোন নাকি ভোলাপুরে থাকে, আর তার হাত থেকেই সে রাখি পরবে। মাত্র ৩ বছর বয়সি ছেলে কীভাবে এমন একটা জায়গার নাম বলছে, যেখানে সে কোনও দিন যায়নি— এই ভেবে অবাক হন জিতনের মা-বাবা।
এর পরেই ছেলের মুখে শোনা তার আগের জন্মের ‘বিদেশি বাবার’ খোঁজ শুরু করে জিতনের বাবা-মা। শেষ পর্যন্ত ভোলাপুরে সেই ব্যক্তির খোঁজ মেলে।
ভোলাপুরে সেই বিদেশি বাবার বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় জিতানকে। বিদেশি ব্যক্তিকে দেখতেই ‘‘এই তো আমার বাবা’’ বলে চিৎকার করে ওঠে জিতন। এই ‘বিদেশি’ ব্যক্তির নাম দিলীপ।
দিলীপ জানান, তাঁর ৩০ বছরের ছেলে ঠিকাদারের কাজ করতেন। ২০১২ সালে ১৭ মে দক্ষিণ ভারতের এক সমুদ্র তীরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যান। দিলীপ আরও জানান যে, বাচ্চাটি যখন তার বাড়িতে আসে তখন দিলীপের বহু জিনিস দেখে বলতে থাকে যে সেগুলি তার। কিন্তু জিতন শেষ পর্যন্ত কোন পরিবারের কাছে থাকবে সেই নিয়ে গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলছে। তবে এই শিশুটিকে নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই।
এই প্রতিবেদনটির লিঙ্ক :
https://ebela.in/…/reincarnation-of-a-child-in-uttar-prades…

From: Krishna kumar das

💜 জয় হোক সনাতনের 💜

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন