সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮

ইসলাম এবং


   ইসলাম এবং


   ফেসবুক থেকে শেয়ার করেছেন        প্রণব কুমার কুণ্ডু

সন্ত্রাসীদের ধর্ম ইসলাম :

মুসলমান হওয়ার পর আপনি সন্ত্রাস করেন, লুঠপাট করেন, কোনো প্রব্লেম নেই। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না আমার কথা ? দেখে নিন নিচের এই হাদিস-
“একবার একজন লোক মুহম্মদের কাছে এসে বললো যে, সে জিহাদে যোগ দিয়ে লুটের মালের ভাগ পেতে ইচ্ছুক। মুহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি আল্লাহ ও তার রাসূলে বিশ্বাস করো ?লোকটি জবাব দিলো, না । মুহম্মদ তখন তাকে বললো, আগে ভুল রাস্তা ঠিক করো।” - (মুসলিম
শরীফ, ৪৪৭২)

এর মানে হলো কারো ধন-সম্পদ লুট করতে চাইলে এবং তার ভাগ পেতে চাইলে আগে মুসলমান হতে হবে। এরকম আরেকটা নিদর্শন আছে, নিচের এই হাদিসে-
“ইসলাম গ্রহণের পূর্ব মুগিরা একটা দলের লোক ছিলো, সে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালামাল লুটে নিয়ে মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহন করলো। মুহম্মদ তাকে বললো, তোমার ইসলাম গ্রহণ করা হলো, কিন্তু তোমার মালামাল গ্রহণ করা হবে না।” - (বুখারি, ৩/৫০/৮৯১)
এর মানে হলো ইসলাম গ্রহণ করে মুগিরা যদি তার সঙ্গীদেরকে হত্যা করতো এবং তাদের মালামাল লুঠ করতো তাহলে তা হতো সহীহ ইসলামিক, তখন তার আর কোনো দোষ থাকতো না। যেমন উপরের হাদিস অনুযায়ী মুহম্মদ বলেছে, লুটের মালের ভাগ পেতে চাইলে আগে ভুল রাস্তা ঠিক করো, অর্থাৎ অন্য সকল ধর্ম ছেড়ে আগে ইসলাম গ্রহন করো, তারপর লুঠপাট করো।
শুধু তাই নয়, মুহম্মদ ই যে অন্যের সম্পত্তি লুঠপাট করে খাওয়া শুরু করেছে, মুহম্মদের পূর্বে আরবে যে এই ধরণের বর্বরতা ছিলো না, তার প্রমান পাবেন নিচের এই হাদিসে-

“ইসলাম প্রবর্তনের আগে লুঠের মাল ভোগ করা বৈধ ছিলো না, কিন্তু আল্লা আমাদের দুর্দশা ও দুর্বলতা দেখে লুটের মাল ভোগ করা বৈধ করেছেন।”- ( মুসলিম হাদিস, ৪২৩৭)

তো অন্যের সম্পত্তি লুঠ করতে হলে, তাদেরকে আক্রমন করে হত্যা করতে হলে প্রথম স্টেপ হলো প্রতিবেশি অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পরিত্যাগ করা, তা না হলে মানবিকতার খাতিরেও তো তাদেরক আক্রমন করা যাবে না। সেজন্যই কাফেরদের সাথে এই বন্ধুত্ব ত্যাগের নির্দেশ আছে নিচের এই কয়েকটি কুরানিক আয়াতে-
“অবিশ্বাস্যগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু”। -(কোরান, ৪/১০১)
“হে ঈমানদারগণ, ঈমানদার লোকদের ত্যাগ করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি আল্লাহর হাতে নিজেদের বিরুদ্ধে দলিল তুলে দিতে চাও।” - ( কোরান, ৪/১৪৪)
“হে ঈমানদার লোকেরা, ইহুদি ও ঈসায়ীদের নিজেদের বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। তারা নিজেরা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহন করে, তাহলে সে তাদের মধ্যেই গন্য হবে।” - (কোরান, ৫/৫১)
“আমি তোমাদের মধ্যে ও ইহুদিদের মধ্যে কেয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা সৃষ্টি করে দিয়েছি।” - ( কোরান, ৫/৬৪)
“তোমরা যদি আমার পথে জিহাদ করার জন্য ও আমার সন্তোষ লাভের মানসে দেশ ছেড়ে ঘর হতে বের হয়ে থাকো, তাহলে আমার ও তোমাদের শত্রুদের বন্ধুরূপে গ্রহন করো না।”- (কোরান, ৬০/১)
এই ভাবে কুরানিক অর্ডারের মাধ্যমে মুসলমানদের সাথে অমুসলিমদের সম্পর্ক ত্যাগ করতে মুসলমানদেরকে বাধ্য করা হয় এবং তারপর তাদেরকে নামানো হয় জিহাদ তথা খুন-ধর্ষণ-লুঠপাটের রাস্তায়। দেখুন নিচের এই আয়াত-
“হে নবী, কাফের ও মোনাফেকদের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে জেহাদ করো এবং তাদের সম্পর্কে কঠোর নীতি অবলম্বন করো। শেষ পর্যন্ত তাদের পরিণতি হচ্ছে জাহান্নাম।”- (কোরান, ৯/৭৩)
এই জিহাদে নেমে মুসলমানরা কেনো মরতে ভয় পায় না, কেনো কোনো দ্ধিধা ছাড়াই আত্মঘাতি বোমা হামলা করে নিজেদেরকে উড়িয়ে দেয়, সেটা বুঝতে হলে দেখুন নিচের এই আয়াত-
“প্রকৃত কথা এই যে, আল্লাহ তায়ালা মুমীনদের নিকট হতে তাদের হৃদয় মন এবং মাল সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে খরিদ করে রেখেছেন। তারা আল্লার পথে মরে ও মারে।” - ( কোরান, ৯/১১১
জিহাদ না করলে যে প্রকৃত মুসলমান হওয়া যাবে না, সেই কথা বলা আছে নিচের আয়াতে-
"প্রকৃতপক্ষে মুমিন তো তারাই, যারা আল্লা ও তার রসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, অতঃপর কোনো সন্দেহ করে না এবং নিজের জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে।”- (কোরান, ৪৯/১৫)
আবার জিহাদ না করে যে কোনো মুসলমান বেহেশতেও যেতে পারবে না, সেই কথা বলা আছে নিচের আয়াতে-
“তোমরা কি মনে করেছো, তোমরা এমনিতে বেহেশতে প্রবেশ করবে ,যতক্ষণ না আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে, আর কে করে নি, তা না জানছেন ?" - ( কোরান, ৩/১৪২)
আরও দেখুন জিহাদকারীদের মর্যাদা আল্লার কাছে কেমন ?
“যারা ঈমান এনেছে, দেশত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে জিহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহর কাছে, আর তারাই সফলকাম।।- (কোরান, ৯/২০)
এই জিহাদ করতে গিয়ে মুসলমানরা যাদেরকে খুন করবে, সেই দায়ও তাদের নয়, সেই দায় স্বয়ং সন্ত্রাসী আল্লার; অবাক হইয়েন না, দেখুন নিচের এই আয়াত-
“অতএব সত্য কথা এই যে, তোমরা তাদেরকে হত্যা করো নি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি নিক্ষেপ করো নি, বরং আল্লাহই নিক্ষেপ করেছেন, আর এই কাজে মুমিনদের হাত ব্যবহার করা হয়েছে।”- (কোরান, ৮/১৭)
এই জিহাদ সন্ত্রাসে গিয়ে যারা বিজয়ী হবে তাদেরকে বলা হয় গাজী আর যারা মারা যাবে তারা শহীদ। যারা গাজী হবে তাদের জন্য পুরস্কার হলো গনিমতের মাল এবং পরাজিত জাতির উপর প্রভুত্ব, আর যারা শহীদ হবে তাদের জন্যপুরষ্কার হলো বেহেশত; আল্লা আরও বলেছে, এইভাবে মরাই নাকি মহাসাফল্য এবং এইভাবে আল্লার পক্ষ থেকে আল্লার হয়ে জিহাদের নামে পৃথিবীতে সন্ত্রাস করলে আল্লা মুসলমানদেরকে যে বিরাট পুরস্কার দেবে, সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে নিচের এই আয়াতে -
“যারা আল্লাহর পথে লড়াই করবে কিংবা নিহত হবে বা বিজয়ী হবে, তাদেরকে আমি অবশ্যই বিরাট ফল দান করবো।”- (কোরান, ৪/৭৪)
এবং এই বিরাট ফল যে কী, তা আপনারা অনেকেই জানেন, বেহেশতের ৭২ বেশ্যা, অগণিত হিজড়া গেলমান আর সুস্বাদু খাবার দাবার। হ্যাঁ, মুসলমান নামের এই সন্ত্রাসীদেরকে সন্ত্রাসীদের গড আল্লা ঠিক এরকমই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছ। এটাও যদি বিশ্বাস না হয়, দেখুন নিচে-
"তাদেরকে বলা হবে, খাও, পান কর, স্বাদ ও মজা সহকারে, তোমাদের সেই সব কাজের প্রতিফলরূপে, যা তোমরা করেছিলে।”- (কোরান, ৫২/১৯)
এখন বলেন, কোনো মুসলমানের পক্ষে কি সন্ত্রাসী না হয়ে উপায় আছে ? এমন কি কোনো অমুসলিমও যদি ইসলাম গ্রহন করে, তাকেও এই সব মানতে হবে এবং সে সন্ত্রাসী হতে বাধ্য, ঠিক এরকমই ৬ টি ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে; ৬ জন হিন্দু ছেলে ইসলাম গ্রহণ করে জঙ্গী হয়ে গেছে; মুসলিম হয়েই এরা অমুসলিমদের মেরে বেহেশতে যেতে শহীদ হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
যারা জন্মগত ভাবে মুসলিম, তারা তো সন্ত্রাসের জিন ডিএনএ তে বহন করেই এনেছে, তাদের কথা না হয় বাদ ই দিলাম, কিন্তু যে কয়েকটি হিন্দু ছেলে মাত্র কয়েকবছর আগে মুসলমান হয়েছে, তাদেরকে ভালো মানুষ বানানোর পরিবর্তে, ইসলাম শেষ পর্যন্ত তাদেরকে জঙ্গী-সন্ত্রাসী বানিয়ে ছেড়েছে, এখন আপনারাই বলেন, ইসলাম সন্ত্রাসীদের ধর্ম কি না ?
জয় হিন্দ।
From: Krishna kumar das

💜 জয় হোক সনাতনের 💜

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন