সাঁওতাল বিদ্রোহ
শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
ব্রিটিশ সরকার তথা কোম্পানির লোকজন, দেশীয় কর্মকর্তা এবং মহাজন গণ ছলে বলে কৌশলে এদেশের শাসনভার হস্তক্ষেপ করার পর নিজের অমানুষিক লোভ চরিতার্থ করার জন্য মুলত আদিবাসী মানুষের উপর পৈশাচিক অত্যাচার করতেও পিছুপা হইনি।
ফলে মুর্শিদাবাদ , বীরভূম ও ভাগলপুর ১,৩৬,৬০১ বর্গমাইল এলাকার হতদরিদ্র আদিবাসী গণ গর্জে উঠেছিল অন্যায় এবং শোষণের বিরুদ্ধে।
ইতিহাসের পাতায় যা 'সাঁওতাল বিদ্রোহ' নামে পরিচিত হলেও আসলে টা ছিল কৃষক বিদ্রোহ।
এই বিদ্রোহের পেছনে শাসকের নারিলোলুপ চরিত্র , সুদ, খাজনা বৃদ্ধি ও পৈশাচিক অত্যাচার দায়ী ছিল।
১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন। সিধু-কানুর ডাকে প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল একত্রিত হয় ভাগনাদিহি গ্রামে। সেদিন তাঁরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন।
বিদ্রোহের রূপ ক্রমে ৫০ হাজারে পৌঁছই।
সবাই শপথ নেয়, জমিদার মহাজন, ইংরেজ শাসক, পুলিশ-পাইক-পেয়াদা আর জজ ম্যাজিস্ট্রেটদের নিপীড়ন ও দাসত্ব সহ্য করবে না। সে সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয় খাজনা না দেওয়ার। বিদ্রোহী কণে।ঠ সবাই স্লোগান দিতে থাকে, ‘জমি চাই, মুক্তি চাই’।
পরিস্থিতি ইংরেজ শাসকদের নাগালের বাইরে চলে যাওয়াই দেশীয় সুবিধা ভোগী জমিদারগণ (বর্ধমানের রাজা, মুর্শিদাবাদের নবাব ফেরদুণ জা ও দেওয়ান প্রসন্ন নারায়ণ দেব , লালগোলার রাজা, ভাগলপুরের জমিদার, কান্দির রাজা, হেতাম পুরের জমিদার, রানী রাসমণি)
প্রত্যক্ষ মদতে ৫০ হাজার সাঁওতাল গণের মধ্যে ২৫ হাজার বিদ্রোহী প্রাণ দেয়।
ফলে মুর্শিদাবাদ , বীরভূম ও ভাগলপুর ১,৩৬,৬০১ বর্গমাইল এলাকার হতদরিদ্র আদিবাসী গণ গর্জে উঠেছিল অন্যায় এবং শোষণের বিরুদ্ধে।
ইতিহাসের পাতায় যা 'সাঁওতাল বিদ্রোহ' নামে পরিচিত হলেও আসলে টা ছিল কৃষক বিদ্রোহ।
এই বিদ্রোহের পেছনে শাসকের নারিলোলুপ চরিত্র , সুদ, খাজনা বৃদ্ধি ও পৈশাচিক অত্যাচার দায়ী ছিল।
১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন। সিধু-কানুর ডাকে প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল একত্রিত হয় ভাগনাদিহি গ্রামে। সেদিন তাঁরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন।
বিদ্রোহের রূপ ক্রমে ৫০ হাজারে পৌঁছই।
সবাই শপথ নেয়, জমিদার মহাজন, ইংরেজ শাসক, পুলিশ-পাইক-পেয়াদা আর জজ ম্যাজিস্ট্রেটদের নিপীড়ন ও দাসত্ব সহ্য করবে না। সে সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয় খাজনা না দেওয়ার। বিদ্রোহী কণে।ঠ সবাই স্লোগান দিতে থাকে, ‘জমি চাই, মুক্তি চাই’।
পরিস্থিতি ইংরেজ শাসকদের নাগালের বাইরে চলে যাওয়াই দেশীয় সুবিধা ভোগী জমিদারগণ (বর্ধমানের রাজা, মুর্শিদাবাদের নবাব ফেরদুণ জা ও দেওয়ান প্রসন্ন নারায়ণ দেব , লালগোলার রাজা, ভাগলপুরের জমিদার, কান্দির রাজা, হেতাম পুরের জমিদার, রানী রাসমণি)
প্রত্যক্ষ মদতে ৫০ হাজার সাঁওতাল গণের মধ্যে ২৫ হাজার বিদ্রোহী প্রাণ দেয়।
#মুর্শিদাবাদের নবাব মীরজাফরের বংশধর ফেরাদুন জা সাঁওতাল বিদ্রোহের সময় তার দেওয়ানের সাহায্য করতে ৫০ টি হাতি পাঠিয়েছিলেন। এ বিষয় সংক্রান্ত নথি আজও হাজারদুয়ারী তে আছে। শুধু নবাব নন লালগোলা রাজা মহেন্দ্র নারায়ন Ayasli Eden কে ৮০জন বাছাই করা লাঠিয়াল পাঠিয়েছিলেন। এই সকল কাজের মধ্য দিয়ে নিজ জমিদারি ও বংশধর দের সুরক্ষা করেছিলেন।
এদিকে কোম্পানি ,জমিদার, মহাজনদের নিশ্চিহ্ন করতে সিধু, কানু, চান্দু ও ভৈরব এক হয়ে আন্দোলন শুরু করে।
তারা জমিদার ও মহাজনদের বাড়িঘর লুট করে।
মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু অংশ ও বীরভূমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সাঁওতালদের নিজ শাসন কায়েম হয়।
আতঙ্কিত কোম্পানি বিদ্রোহ দমনের সিদ্ধান্ত নেয়।
তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট টু গুড সাহেব বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।
তিনি সৈন্যদল নিয়ে মুর্শিদাবাদের আরঙ্গাবাদ ও ধুলিয়ানের দিকে এগিয়ে যান সপ্তম পদাতিক বাহিনী নিয়ে এবং মহেশপুরের কাছে সাঁওতালদের যুদ্ধে হারিয়ে দেন।
এই যুদ্ধে সাঁওতালদের তিনজন নেতা গুরুতর আহত হয় এবং বন্দী হন।
সাঁওতাল বিদ্রোহ দমনে বহরমপুর ব্যারাক এর সেপাইদের প্রাধান্য দেওয়া হয় এ ছিল।
কোম্পানি সিধু কানুদের গ্রাম ভাগনা দিহি পুড়িয়ে দেয়।
বিদ্রোহ দমনের কাজে বিপুল পরিমাণ খাদ্য কান্দি অঞ্চল থেকে গৃহীত হয়।
অরূপ চন্দ্র এ বিষয়ে লিখেছেন --
#এই বিদ্রোহ দমনে নবাব পেরিত ৫০টি হাতিকে পাগল করে সাঁওতাল বসতি তে ছেড়ে দেওয়া হয় এর ফলে হাতির পায়ের নিচে পড়ে মারা যায়
যুদ্ধে বন্দী সিধু , কানু কে জঙ্গিপুর এ আনা হয়।
বিচারে জঙ্গিপুর কোর্টে ফাঁসির রায় হয়।
তারা জমিদার ও মহাজনদের বাড়িঘর লুট করে।
মুর্শিদাবাদ জেলার কিছু অংশ ও বীরভূমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সাঁওতালদের নিজ শাসন কায়েম হয়।
আতঙ্কিত কোম্পানি বিদ্রোহ দমনের সিদ্ধান্ত নেয়।
তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট টু গুড সাহেব বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।
তিনি সৈন্যদল নিয়ে মুর্শিদাবাদের আরঙ্গাবাদ ও ধুলিয়ানের দিকে এগিয়ে যান সপ্তম পদাতিক বাহিনী নিয়ে এবং মহেশপুরের কাছে সাঁওতালদের যুদ্ধে হারিয়ে দেন।
এই যুদ্ধে সাঁওতালদের তিনজন নেতা গুরুতর আহত হয় এবং বন্দী হন।
সাঁওতাল বিদ্রোহ দমনে বহরমপুর ব্যারাক এর সেপাইদের প্রাধান্য দেওয়া হয় এ ছিল।
কোম্পানি সিধু কানুদের গ্রাম ভাগনা দিহি পুড়িয়ে দেয়।
বিদ্রোহ দমনের কাজে বিপুল পরিমাণ খাদ্য কান্দি অঞ্চল থেকে গৃহীত হয়।
অরূপ চন্দ্র এ বিষয়ে লিখেছেন --
#এই বিদ্রোহ দমনে নবাব পেরিত ৫০টি হাতিকে পাগল করে সাঁওতাল বসতি তে ছেড়ে দেওয়া হয় এর ফলে হাতির পায়ের নিচে পড়ে মারা যায়
যুদ্ধে বন্দী সিধু , কানু কে জঙ্গিপুর এ আনা হয়।
বিচারে জঙ্গিপুর কোর্টে ফাঁসির রায় হয়।
তথ্যসূত্র:
১,স্বাধীনতা আন্দোলনে মুর্শিদাবাদ
Subhashis Majumder
Subhashis Majumder
২, সিপাহী যুদ্ধে বহরমপুর
কমল বন্দ্যোপাধ্যায়
কমল বন্দ্যোপাধ্যায়
৩, বাংলার হাজার বছরের কৃষক বিদ্রোহ এবং মুর্শিদাবাদ
অরূপ চন্দ্র
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন