জানু ( দুই )
শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু
।। প্রতারক ও প্রতারণা ।।
প্রতাড়ক নেহেরু পরিবারই আজ কংগ্রেসের কলঙ্ক । জাতীয় কংগ্রেস আজ ধ্বংসপ্রায় কেবলমাত্র ঠক, প্রবঞ্চক, মিথ্যাচারী ও ক্ষমতালোভী ওই একটিমাত্র পরিবারের জন্য । আজ থেকে প্রায় ১৩২ বৎসর পূর্বের কথা । আফগানিস্তানে বাস করত এক ভয়ঙ্কর পাঠান দস্যু গাজী খান্ এই গাজী খানের চতুর্থ পূর্বসুরী সৈয়দ খান ছিল ভারতের শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের পরমমিত্র । সম্রাটের সাথে বন্ধুত্বের খাতিরেই সৈয়দ খানের মনে ভারত শাসনের বাসনা দানা বেঁধেছিল । সম্রাট তাকে ইন্দোর রাজ্যের রাজ্যভার তথা দায়িত্বভার দেবেন বলে মনস্থও করেছিলেন কিন্তু তা আর হোলো না । তার অল্প কিছু কালের মধ্যেই ইংরেজ উপনিবেশ ঘাঁটি গেড়ে বসল ভারতের বুকে ইষ্ট-ইন্ডিয়া-কোম্পানী নামে । তারা সম্রাটের কাছ থেকে দেওয়ানী লাভ করার পর, আরও দৃঢ় হল ইংরেজ আধিপত্যের ভিত্তি। সম্রাটের ক্ষমতাও ক্রমে লুপ্ত হয়ে গেলো,শুরু হলো ইংরেজ শাসন । সুযোগ সন্ধানী সৈয়দ খান তখন সম্রাটকে ছেড়ে ইস্ট-ইন্ডিয়া-কোম্পানির তোষামোদ করতে থাকল। এইভাবে চলতে চলতে চার পুরুষ কেটে গেল । ইংরেজ সাম্রাজ্যেরও অন্তিমকাল এসে উপস্থিত হল । সেইসময় ভারতের শেষ ভাইসরয় হয়ে এল লর্ড মাউন্টব্যাটেন । তখন ব্যাটেনের সাথে গাজী খানের দোস্তি ঘনিষ্ঠ হল । গাজী খানকে ব্যাটেন সাহেব তুলে আনলেন ভারতে । এই গাজী খানের তিন পুত্র প্রথম পুত্র হল ফৈজল খান, দ্বিতীয় পুত্র হল সেলিম খান আর তৃতীয় পুত্র হল মৈউন খান । প্রথম পুত্র ফৈজল খান ১৪বছর বয়সে মারা যায় । তৃতীয় পুত্র মৈউন খান মতীলাল নেহেরু নাম নিয়ে হিন্দু সেজে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর সাথে যুক্ত হয় । ওদিকে দ্বিতীয় পুত্র সেলিম খান কাশ্মীরে সেলিম আবদুল্লা নামে বসবাস করতে থাকে । তার দুই পুত্র, প্রথম পুত্র ফারুক আবদুল্লা এবং দ্বিতীয় পুত্র ওমর আবদুল্লা । মতিলাল নেহেরু ওরফে মৈউন খানের মৃত্যুর পর যখন জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হল তখন ওদিকে অর্থাৎ কাশ্মীরে কৌশলে ভাই ফারুক আবদুল্লাকে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী করে দিল । এইভাবে ইংরেজ শাসনের পরেও আমরা আরও ৫০বছর পাঠান দস্যু শাসনে কাটালাম প্রতাড়িত হয়ে । তাই হিন্দুগন, আর যাই হোক, আর ওই ছদ্মবেশী পাঠানদস্যু বংশের হাতে ভারত মাতার শাসন তুলে দিও না । জাগো, সজাগ হও, ঐক্যবদ্ধ হও । জয় মা ভবানী, জয় মহাকাল, জয় ভারত ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন