মোহাম্মদ রফি
শেয়ার করেছেন প্রণব কুমার কুণ্ডু।
#জন্মদিনে_স্মরণ_করি.....
এখনো দিল্লি কিংবা মুম্বাই অথবা কলকাতার পান দোকান থেকে শুরু করে অভিজাত রেস্তোরাঁয়, খাবারের দোকানে কিংবা রাস্তায় চলা অসংখ্য ট্যাক্সিতে ভালোবাসায় প্রতিদিন বেজে ওঠেন মোহাম্মদ রফি৷ তিনি কখনো পুরোনো হওয়ার নন। ফুরিয়ে যাওয়ার নন। এই বছরে, কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর জন্মবার্ষিকী।
এক সাক্ষাৎকারে লতা মুঙ্গেশকর, মোহাম্মদ রফি সম্পর্কে পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন, ‘এক শ বছরেও মোহাম্মদ রফির মতো কণ্ঠ আর আসবে না৷’
তখনো ভাগ হয়নি ভারতবর্ষ। লাহোরে এক গানের অনুষ্ঠান চলছিল। কয়েক হাজার শ্রোতা-দর্শক হাজির সে অনুষ্ঠানে ৷ গাইবেন সেসময়ের জনপ্রিয়তম গায়ক কুন্দন লাল সায়গল ৷ হঠাৎ শোনা গেল শব্দযন্ত্র নষ্ট। গান শুরু করতে দেরি হবে। হাজারো দর্শক মঞ্চের সামনে বসা। আয়োজকদের একজন প্রস্তাব করলেন, রফি তো গানটান করে, যতক্ষণ মাইক্রোফোন ঠিক না হয়, ততক্ষণ ও-ই নাহয় গান করুক! তরুণ মোহাম্মদ রফি তখন ভলান্টিয়ার ৷ প্রস্তাবটা পেয়ে লুফেও নিলেন। খালি গলায় সেই কয়েক হাজার দর্শক-শ্রোতার সামনে দুটি গান গেয়েও ফেললেন। অনুষ্ঠানের সেই হাজারো শ্রোতা শান্ত হয়ে শুধু সে গান শুনলেনই না; মঞ্চে রফির কাছে তাঁদের একের পর এক গান গাওয়ার অনুরোধ আসতেই থাকল।
পরবর্তী জীবনে অতুলনীয় ভালোবাসা ও জনপ্রিয়তায় ধন্য মোহাম্মদ রফির শিল্পীজীবন যেন এক আশ্চর্য-সুন্দর রূপকথা ৷ ‘বাহারও ফুল বরসাও’, ‘ইয়ে দুনিয়া ইয়ে মেহফিল’, ‘গুলাবি আঁখে’ এমনি কত শত গান, কত ছবিকেই না এসব গান সুপারহিট করেছে!
মোহাম্মদ রফির জন্ম ১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবে। অমৃতসরের কাছে একটি ছোট গ্রাম কোটলা সুলতান সিং, সেই গ্রামের বাসিন্দা হাজি আলি মোহাম্মদের সন্তান রফির ডাকনাম ছিল ‘ফিকু’। গ্রামের ফকিরদের গান শুনে ছোটবেলায় সুরের মায়ায় মন ভরে গিয়েছিল তাঁর। ১৯৩৫ সালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে লাহোরে চলে আসেন রফির বাবা। রফির বড় ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন আবদুল হামিদ নামে একজন। কিশোর রফির গান তাঁকে আলোড়িত করেছিল। তাঁরই অনুপ্রেরণাতে গান শিখতে শুরু করেন মোহাম্মদ রফি। ওস্তাদ আবদুল ওয়াহিদ খান, পণ্ডিত জীবন লাল মাট্টু এবং ফিরোজ নিজামীর কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নেন রফি।
মোহাম্মদ রফি ১৯৪৪ সালে মুম্বাই যান। সেখানেই পরিচয় সংগীত পরিচালক শ্যাম সুন্দরের সঙ্গে। ‘গাঁও কি গৌরী’ ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ হয় তাঁর। সে সময়কার বিখ্যাত গায়ক জি এম দুররানীর সঙ্গে হিন্দি সিনেমার জন্য প্রথম গান গাইলেন রফি। গানটি ছিল ‘আজি দিল হো কাবু মে’। ১৯৪৪ সালে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল।
১৯৪৪ সালেই প্রথমবারের মতো নওশাদের সংগীত পরিচালনায় গান করেন রফি। ‘পাহেলে আপ’ ছবির জন্য ‘হিন্দুস্থান কে হাম হায়’ গানটি গান তিনি। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয় নওশাদ-রফির পথচলা। এই জুটি উপহার দিয়েছেন অসাধারণ সব গান।
‘লায়লা মজনু’, ‘শাহজাহান’, ‘জুগনু’, ‘কাশ্মীর কি কলি’-একের পর এক ছবিতে গান করেন রফি। কে এল সায়গল, নূরজাহানের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের সঙ্গে সে সময় গান করেছেন তিনি।
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বলিউডে রফি ছিলেন ব্যস্ততম প্লেব্যাক গায়ক। সে সময়ের নামকরা সংগীত পরিচালক নওশাদ, ওপি নায়ার, শংকর জয়কিষাণ, শচীন দেব বর্মণ, মদন মোহন, রওশান— এদের সকলের সুরেই গান করেছেন রফি। বিশেষ করে নওশাদের সুরে গান গেয়ে রফি হয়ে ওঠেন সংগীতের আকাশে উজ্জ্বলতম তারকা।
মোহাম্মদ রফির একটা বিশেষ গুণ ছিল। তিনি অন্যের কণ্ঠস্বর নকল করতে পারতেন। ফলে তিনি যে অভিনেতার জন্য প্লেব্যাক করতেন তাঁর মতো কণ্ঠস্বরেই গানটি গাইতে পারতেন। এ জন্য প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে দিলীপ কুমার, দেবানন্দ, রাজকাপুরসহ সেরা সব নায়কদের জন্য গান করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। ‘পিয়াসা’, ‘কাগজ কি ফুল’, ‘কালা বাজার’, ‘কালা পানি’, ‘গাইড’-এর মতো সুপারহিট সব ছবিতে এস ডি বর্মণের সুরে গান গেয়েছেন তিনি। ষাটের দশকে লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে রফির ডুয়েট (দ্বৈত সংগীত) দারুণ জনপ্রিয় হয়।
ষাটের দশকে শাম্মী কাপুর ও ‘জুবিলি হিরো’খ্যাত রাজেন্দ্র কুমারের জন্য শংকর জয়কিষাণের সুরে তুমুল জনপ্রিয় সব গানে প্লেব্যাক করেন তিনি। ‘বসন্ত বাহার’, ‘প্রফেসর’, ‘জংলি’, ‘সুরাজ’, ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’, ‘লাভ ইন টোকিও’, ‘দিল এক মন্দির’, ‘দিল আপনা আউর প্রীত পারায়া’, ‘জব পেয়ার কিসিসে হোতা হায়’ এর মতো সুপার ডুপার হিট ছবিতে রফির গান দারুণ সমাদৃত হয়। ‘আব হ্যায় দাসতান তেরি ইয়ে জিন্দেগি’, ‘চাহে কোই মুঝে জংলি কাহে’ ইত্যাদি গান দর্শকদের মুখে মুখে ফেরে।
সংগীত পরিচালক রাভির সুরে ‘নীল কমল’ ছবিতে গান গেয়ে ১৯৬৮ সালে সেরা গায়ক হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পান মোহাম্মদ রফি।
রফি সবচেয়ে বেশি গান করেছেন লক্ষীকান্ত-পেয়ারেলাল জুটির সংগীত পরিচালনায়। ৩৬৯টি গান করেছেন তিনি এই জুটির সুরে। এই জুটির সুরে ‘দোস্তি’ ছবিতে ‘চাহুঙ্গা ম্যায় তুঝে সাঁঝ সাভেরে’ গানটি গেয়ে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান তিনি।
বাংলাভাষাতেও বেশ কিছু জনপ্রিয় গান রয়েছে মোহাম্মদ রফির কণ্ঠে। ‘ওরে মনকে এমন দাগা দিয়ে’, ‘ওই দূর দিগন্ত পারে’, ‘নাই বা পরিলে আজ মালা চন্দন’, ‘কথা ছিল দেখা হবে’, ‘এ জীবনে যদি আর কোনো দিন’, ‘নওল কিশোর’, ‘কালো কলেবর কানহাই’, ইত্যাদি গান এখনো শ্রোতাদের মন ভরায়।
তাঁর কণ্ঠে নজরুল সংগীত ‘আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন’ গায়কিতে আজও অনন্য।
লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর জুটি এক অবিস্মরণীয় সাফল্য আর খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছিল ৷ লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে রফির সম্পর্ক ছিল শ্রদ্ধা-ভালোবাসা-রঙ্গ-রসিকতার এক অপূর্ব মিশ্রণ ৷ লতা মুঙ্গেশকর বিশ্বাস করতেন, রফি যেকোনো বয়সের নায়কের জন্যই গাইতে পারতেন ৷ শুধু তাই নয়, লতা মনে করতেন, রফি অসাধারণ একজন গাইয়ে ছাড়াও আচার-আচরণে-ভাবনায় যেন স্বয়ং ঈশ্বরেরই এক প্রতিনিধি ৷
১৯৮০ সালের ৩১ জুলাই মাত্র ৫৫ বছর বয়সে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর।
এক সাক্ষাৎকারে লতা মুঙ্গেশকর, মোহাম্মদ রফি সম্পর্কে পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন, ‘এক শ বছরেও মোহাম্মদ রফির মতো কণ্ঠ আর আসবে না৷’
তখনো ভাগ হয়নি ভারতবর্ষ। লাহোরে এক গানের অনুষ্ঠান চলছিল। কয়েক হাজার শ্রোতা-দর্শক হাজির সে অনুষ্ঠানে ৷ গাইবেন সেসময়ের জনপ্রিয়তম গায়ক কুন্দন লাল সায়গল ৷ হঠাৎ শোনা গেল শব্দযন্ত্র নষ্ট। গান শুরু করতে দেরি হবে। হাজারো দর্শক মঞ্চের সামনে বসা। আয়োজকদের একজন প্রস্তাব করলেন, রফি তো গানটান করে, যতক্ষণ মাইক্রোফোন ঠিক না হয়, ততক্ষণ ও-ই নাহয় গান করুক! তরুণ মোহাম্মদ রফি তখন ভলান্টিয়ার ৷ প্রস্তাবটা পেয়ে লুফেও নিলেন। খালি গলায় সেই কয়েক হাজার দর্শক-শ্রোতার সামনে দুটি গান গেয়েও ফেললেন। অনুষ্ঠানের সেই হাজারো শ্রোতা শান্ত হয়ে শুধু সে গান শুনলেনই না; মঞ্চে রফির কাছে তাঁদের একের পর এক গান গাওয়ার অনুরোধ আসতেই থাকল।
পরবর্তী জীবনে অতুলনীয় ভালোবাসা ও জনপ্রিয়তায় ধন্য মোহাম্মদ রফির শিল্পীজীবন যেন এক আশ্চর্য-সুন্দর রূপকথা ৷ ‘বাহারও ফুল বরসাও’, ‘ইয়ে দুনিয়া ইয়ে মেহফিল’, ‘গুলাবি আঁখে’ এমনি কত শত গান, কত ছবিকেই না এসব গান সুপারহিট করেছে!
মোহাম্মদ রফির জন্ম ১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবে। অমৃতসরের কাছে একটি ছোট গ্রাম কোটলা সুলতান সিং, সেই গ্রামের বাসিন্দা হাজি আলি মোহাম্মদের সন্তান রফির ডাকনাম ছিল ‘ফিকু’। গ্রামের ফকিরদের গান শুনে ছোটবেলায় সুরের মায়ায় মন ভরে গিয়েছিল তাঁর। ১৯৩৫ সালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে লাহোরে চলে আসেন রফির বাবা। রফির বড় ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন আবদুল হামিদ নামে একজন। কিশোর রফির গান তাঁকে আলোড়িত করেছিল। তাঁরই অনুপ্রেরণাতে গান শিখতে শুরু করেন মোহাম্মদ রফি। ওস্তাদ আবদুল ওয়াহিদ খান, পণ্ডিত জীবন লাল মাট্টু এবং ফিরোজ নিজামীর কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নেন রফি।
মোহাম্মদ রফি ১৯৪৪ সালে মুম্বাই যান। সেখানেই পরিচয় সংগীত পরিচালক শ্যাম সুন্দরের সঙ্গে। ‘গাঁও কি গৌরী’ ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ হয় তাঁর। সে সময়কার বিখ্যাত গায়ক জি এম দুররানীর সঙ্গে হিন্দি সিনেমার জন্য প্রথম গান গাইলেন রফি। গানটি ছিল ‘আজি দিল হো কাবু মে’। ১৯৪৪ সালে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল।
১৯৪৪ সালেই প্রথমবারের মতো নওশাদের সংগীত পরিচালনায় গান করেন রফি। ‘পাহেলে আপ’ ছবির জন্য ‘হিন্দুস্থান কে হাম হায়’ গানটি গান তিনি। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয় নওশাদ-রফির পথচলা। এই জুটি উপহার দিয়েছেন অসাধারণ সব গান।
‘লায়লা মজনু’, ‘শাহজাহান’, ‘জুগনু’, ‘কাশ্মীর কি কলি’-একের পর এক ছবিতে গান করেন রফি। কে এল সায়গল, নূরজাহানের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের সঙ্গে সে সময় গান করেছেন তিনি।
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বলিউডে রফি ছিলেন ব্যস্ততম প্লেব্যাক গায়ক। সে সময়ের নামকরা সংগীত পরিচালক নওশাদ, ওপি নায়ার, শংকর জয়কিষাণ, শচীন দেব বর্মণ, মদন মোহন, রওশান— এদের সকলের সুরেই গান করেছেন রফি। বিশেষ করে নওশাদের সুরে গান গেয়ে রফি হয়ে ওঠেন সংগীতের আকাশে উজ্জ্বলতম তারকা।
মোহাম্মদ রফির একটা বিশেষ গুণ ছিল। তিনি অন্যের কণ্ঠস্বর নকল করতে পারতেন। ফলে তিনি যে অভিনেতার জন্য প্লেব্যাক করতেন তাঁর মতো কণ্ঠস্বরেই গানটি গাইতে পারতেন। এ জন্য প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে দিলীপ কুমার, দেবানন্দ, রাজকাপুরসহ সেরা সব নায়কদের জন্য গান করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। ‘পিয়াসা’, ‘কাগজ কি ফুল’, ‘কালা বাজার’, ‘কালা পানি’, ‘গাইড’-এর মতো সুপারহিট সব ছবিতে এস ডি বর্মণের সুরে গান গেয়েছেন তিনি। ষাটের দশকে লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে রফির ডুয়েট (দ্বৈত সংগীত) দারুণ জনপ্রিয় হয়।
ষাটের দশকে শাম্মী কাপুর ও ‘জুবিলি হিরো’খ্যাত রাজেন্দ্র কুমারের জন্য শংকর জয়কিষাণের সুরে তুমুল জনপ্রিয় সব গানে প্লেব্যাক করেন তিনি। ‘বসন্ত বাহার’, ‘প্রফেসর’, ‘জংলি’, ‘সুরাজ’, ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’, ‘লাভ ইন টোকিও’, ‘দিল এক মন্দির’, ‘দিল আপনা আউর প্রীত পারায়া’, ‘জব পেয়ার কিসিসে হোতা হায়’ এর মতো সুপার ডুপার হিট ছবিতে রফির গান দারুণ সমাদৃত হয়। ‘আব হ্যায় দাসতান তেরি ইয়ে জিন্দেগি’, ‘চাহে কোই মুঝে জংলি কাহে’ ইত্যাদি গান দর্শকদের মুখে মুখে ফেরে।
সংগীত পরিচালক রাভির সুরে ‘নীল কমল’ ছবিতে গান গেয়ে ১৯৬৮ সালে সেরা গায়ক হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পান মোহাম্মদ রফি।
রফি সবচেয়ে বেশি গান করেছেন লক্ষীকান্ত-পেয়ারেলাল জুটির সংগীত পরিচালনায়। ৩৬৯টি গান করেছেন তিনি এই জুটির সুরে। এই জুটির সুরে ‘দোস্তি’ ছবিতে ‘চাহুঙ্গা ম্যায় তুঝে সাঁঝ সাভেরে’ গানটি গেয়ে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান তিনি।
বাংলাভাষাতেও বেশ কিছু জনপ্রিয় গান রয়েছে মোহাম্মদ রফির কণ্ঠে। ‘ওরে মনকে এমন দাগা দিয়ে’, ‘ওই দূর দিগন্ত পারে’, ‘নাই বা পরিলে আজ মালা চন্দন’, ‘কথা ছিল দেখা হবে’, ‘এ জীবনে যদি আর কোনো দিন’, ‘নওল কিশোর’, ‘কালো কলেবর কানহাই’, ইত্যাদি গান এখনো শ্রোতাদের মন ভরায়।
তাঁর কণ্ঠে নজরুল সংগীত ‘আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন’ গায়কিতে আজও অনন্য।
লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর জুটি এক অবিস্মরণীয় সাফল্য আর খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছিল ৷ লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে রফির সম্পর্ক ছিল শ্রদ্ধা-ভালোবাসা-রঙ্গ-রসিকতার এক অপূর্ব মিশ্রণ ৷ লতা মুঙ্গেশকর বিশ্বাস করতেন, রফি যেকোনো বয়সের নায়কের জন্যই গাইতে পারতেন ৷ শুধু তাই নয়, লতা মনে করতেন, রফি অসাধারণ একজন গাইয়ে ছাড়াও আচার-আচরণে-ভাবনায় যেন স্বয়ং ঈশ্বরেরই এক প্রতিনিধি ৷
১৯৮০ সালের ৩১ জুলাই মাত্র ৫৫ বছর বয়সে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর।
●মোহাম্মদ রফির ৫ অজানা তথ্য :
১. ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী ও সাদাসিধে মানুষ। গান গেয়ে অনেক জায়গায় পারিশ্রমিকও নেননি। ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কারণে অনেক সিনেমায় বিনা পারিশ্রমিকেও গান করেছেন। চ্যারিটি শোতে অংশ নিয়েছেন এবং গরিব অসহায় শিল্পীদের কল্যাণে দান করেছেন প্রচুর অর্থ।
২. স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন। বাড়ি এবং স্টুডিওতেই ছিল তাঁর মূল বিচরণ। বলিউডের বিলাসী পার্টিগুলোতে খুব কম দেখা যেত তাঁকে। তাঁর বিনোদন ছিল ক্যারাম ও ব্যাডমিন্টন খেলায় এবং ঘুড়ি ওড়ানোতে।
৩. মোহাম্মদ রফি তাঁর ক্যারিয়ারে মোট হাফ ডজন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। জীবনে তিনি একবারই পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন তিনি।
৪. কিংবদন্তি এই প্লেব্যাক গায়ক প্রায় ২৮ হাজার গান গেয়েছিলেন। হিন্দি ছাড়াও বাংলা, অহমিয়া, কোনকানি, ভোজপুরি, উড়িয়া, পাঞ্জাবি, মারাঠি, সিন্ধি, কন্নড়, গুজরাটি, তেলেগু, মাগাহি, মৈথিলি, উর্দু ইত্যাদি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, ইংরেজি, ফারসি, স্প্যানিশ এবং ডাচ ভাষাতেও গান করেছেন রফি।
৫. ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর মুম্বাইতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রফি। পরিবারের সবাইকে তিনি নিয়ে চলে আসেন ভারতে। কিন্তু তাঁর স্ত্রী কিছুতেই ভারতে আসতে রাজি হননি। কারণ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তিনি হারিয়েছিলেন বাবা-মাকে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছিল রফির।
১. ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন বিনয়ী ও সাদাসিধে মানুষ। গান গেয়ে অনেক জায়গায় পারিশ্রমিকও নেননি। ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কারণে অনেক সিনেমায় বিনা পারিশ্রমিকেও গান করেছেন। চ্যারিটি শোতে অংশ নিয়েছেন এবং গরিব অসহায় শিল্পীদের কল্যাণে দান করেছেন প্রচুর অর্থ।
২. স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন। বাড়ি এবং স্টুডিওতেই ছিল তাঁর মূল বিচরণ। বলিউডের বিলাসী পার্টিগুলোতে খুব কম দেখা যেত তাঁকে। তাঁর বিনোদন ছিল ক্যারাম ও ব্যাডমিন্টন খেলায় এবং ঘুড়ি ওড়ানোতে।
৩. মোহাম্মদ রফি তাঁর ক্যারিয়ারে মোট হাফ ডজন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। জীবনে তিনি একবারই পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন তিনি।
৪. কিংবদন্তি এই প্লেব্যাক গায়ক প্রায় ২৮ হাজার গান গেয়েছিলেন। হিন্দি ছাড়াও বাংলা, অহমিয়া, কোনকানি, ভোজপুরি, উড়িয়া, পাঞ্জাবি, মারাঠি, সিন্ধি, কন্নড়, গুজরাটি, তেলেগু, মাগাহি, মৈথিলি, উর্দু ইত্যাদি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, ইংরেজি, ফারসি, স্প্যানিশ এবং ডাচ ভাষাতেও গান করেছেন রফি।
৫. ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর মুম্বাইতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রফি। পরিবারের সবাইকে তিনি নিয়ে চলে আসেন ভারতে। কিন্তু তাঁর স্ত্রী কিছুতেই ভারতে আসতে রাজি হননি। কারণ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তিনি হারিয়েছিলেন বাবা-মাকে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছিল রফির।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন