বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭

শ্রাদ্ধ



শ্রাদ্ধ

শেয়ার করেছেন    প্রণব কুমার কুণ্ডু।

Prasanta Kumar Mondal     Binod Saradar এবং অন্যান্য 109 জন এর সঙ্গে আছেন।

শ্রাদ্ধ্যকর্ম হল ব্রাহ্মণ্য ধান্দাবাজিঃ--

মৃত পিতামাতার শ্রাদ্ধে,  ব্রাহ্মণ পুরোহিত,  আপনাকে দিয়ে যে মন্ত্রপাঠ করায়,  সে মন্ত্রের অর্থ জানেন কী ? সমস্ত শাস্ত্রগ্রন্থে এরা মানুষকে জাতের নামে হীন,নীচ প্রতিপন্ন করেছে, শ্রাদ্ধ্যেও তার ব্যাতিক্রম হয় নি।শ্রাদ্ধের মন্ত্রের অর্থ না জেনে,  ব্রাহ্মণ পুরোহিতের কথায়,  বোকা যজমান,  কেমন নিজেকে,  এবং নিজের জন্মদাতা পিতা- মাতাকে গালাগালি করে দেখুন।

“পাপহম পাপকর্মাহম পাপাত্মা পাপসম্ভবা
ত্রাহিমাম কৃপাদেবা স্মরণাগতা বাৎসল্য”।
অর্থ হল--  আমি পাপী, আমি পাপ কর্মের ফল, আমার আত্মা পাপী, আমার দ্বারা পাপই সম্ভব, হে দেব ! কৃপা করে স্মরণাগতকে আশ্রয় দিন।
আপনি কেন পাপী ? কোন পাপ কাজ আপনি করেছেন ? আপনার পিতা-মাতার পাপকর্মের ফলে কী আপনার জন্ম ? তাই কী? আপনি যদি কাল্পনিক আত্মায় বিশ্বাস করেন, সে আত্মা পাপী হল কিভাবে ? আপনার থেকে কী সব পাপই উৎপন্ন হবে ?

শাস্ত্র অনুযায়ী,  দেবদেবী,  ব্রাহ্মণের মুখ দিয়ে খায়, ব্রাহ্মণের মুখ দিয়ে কথা বলে।সাধারণ মানুষ ডাকলেও আসবে না, খাবেও না্, কথাও বলবে না।আবার শ্রাদ্ধ করলে,  মৃত পিতৃপুরুষগণ,  ব্রাহ্মণের কথায় ওঠাবসা করে।ব্রাহ্মণের কথায় তারা আসবে এবং ব্রাহ্মণের কথায় তারা উত্তর পুরষদের প্রচুর দান করবে।মানুষের এমন অন্ধবিশ্বাস এবং এমন নির্লজ্জ পুরোহিত তন্ত্র পৃথিবীর কোনো ধর্মে নেই।

ব্রাহ্মণদের সৃষ্ট দেবদেবীরা,  ব্রাহ্মণের কথায় সাড়া দেয়, কেবল ব্রাহ্মণের সাথে কথা বলে, ব্রাহ্মণ খাদ্য চিবিয়ে দিলে তবে খায় এবং ব্রাহ্মণের কথায় যজমানকে সবকিছু দান করে।বিনিময়ে ব্রাহ্মণ যজমানের দেত্তয়া সামান্য কিছু নিয়ে সন্তুষ্ঠ হয়।এমন মহান হৃদয় ভারতীয় ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের।নিজের জন্য তবু দেবতাদের কাছে এরা কিছুই চায় না।বোকা যজমানদের এমন মিথ্যাবুলি শিখিয়েছে,  ব্রাহ্মণ পুরোহিত।বোকা যজমানরা জানে না,  যে, ব্রাহ্মণের তৈরী জড় পদার্থের পুতুল দেবদেবী,  শুধুই তাদেরকে ঠকানোর জন্য।যজমানরা কি কোনো দিন ব্রাহ্মণ পুরোহিতকে জিজ্ঞাসা করেছেন? যে আপনারা শুধু আমাদের জন্য দেবদেবীর কাছে প্রার্থনা করেন কেন? আর আমাদের দেওয়া অল্প সম্পদে সন্তুষ্ট হন কেন? আপনারা দেবদেবীর কাছে নিজেরা ইচ্ছামত চেয়ে নেন না কেন? দেবদেবীর কাছে চাইলে যদি সব পাওয়া যেত,  তাহলে তো আর আপনাদের অভাব থাকতো না।এমন সরল প্রশ্নটি যজমানরা কেন করেন না?বাবা,মায়ের মৃত্যূর তাঁদের আত্মা-প্রেতাত্মা ও ব্রাহ্মণের কথায় নাকি উঠবোস করেন, এমন দাবি ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের।
দেবদেবীরা যেমন ব্রাহ্মণের উচ্ছিষ্ট খায়,  আত্মা-প্রেতাত্মারাও নাকি ব্রাহ্মণের উচ্ছিষ্ট খেয়ে ধন্য হয়। ভূ-দেবতা সেজে এরা জীবিত মানুষকে উচ্ছিষ্ট খাইয়েছে,  আর মৃত্যূর পর তার প্রেতাত্মাকেও উচ্ছিষ্ট খাওয়ায়। কেন খাবে না ? সমস্ত দেবদেবী যদি ব্রাহ্মণ পুরোহিতের চিবিয়ে দেওয়া উচ্ছিষ্ট খেয়ে ধন্য হয়, মানুষ খাবে না কেন ? এমন জঘন্য বিশ্বাস হিন্দুদের।
সারা জীবন বাড়ীতে এসে হাজর-বাজর মন্ত্র আউড়ে,  যে ব্রাহ্মণ দেবদেবীর কাছ থেকে একটা পয়সা আদায় করে দিতে পারেনি, সেই বাড়ীর ছেলে আবার ঐ ব্রাহ্মণ পুরোহিতের কাছে ছুটছে,  মৃত বাবা/মাকে স্বর্গে পাঠানোর জন্য।এর থেকে
হাস্যকর আর কী হতে পারে। বোকা যজমানারা আর কবে বুঝবে, এসব দেবদেবী কাল্পনিক, আর কর্মফল, আত্মা, প্রেতাত্ম, জন্মান্তরবা্দ,স্বর্গ,নরক,  সব ব্রাহ্মণ পুরোহিতের ধানদাবাজি।শ্রাদ্ধে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মন্ত্রবলে মৃতের পূর্বপুরষরা দলে দলে আসবে,  আর প্রচুর ধনসম্পদ দান করবে,  মৃতের সন্তানদের।এমন বিশ্বাস কী পৃথিবীর কোন ও সভ্য মানুষ করে?
চার্বাক পন্ডিত মাধবাচার্য বলেছেন--- “স্বর্গ-নরক নেই, পারলৌকিক আত্মা নেই,বর্ণাশ্রমিক ক্রিয়া,  নিষ্ফলা।অগ্নিহোত্র তিনবেদ (ঋক,সাম ও যজু), ত্রিদণ্ড, ছাইভস্ম লেপন, বুদ্ধিহীন ও পৌরুষহীন, নিষ্কর্মা মানুষের জীবিকার উপায় মাত্র”।

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন--- “মৃত্যূর পর মানুষ স্বর্গে যায় এটা কল্পনা মাত্র।সজ্জন ব্যক্তি মৃত্যূর পর স্বর্গে গিয়ে অনন্ত সুখময় জীবন যাপন করে--- এ ধারনা স্বপ্ন মাত্র।স্বর্গ ও নরক এসব আদিম ধারণা”।(বাণী ও রচনা-দশম খন্ড-পৃষ্ঠা ১৫৯)।
তাই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান নয়,শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান করুন।নাপিত,ব্রাহ্মণ নয়,আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে।

বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গা

'হিন্দু'-র পোস্ট, সকলের সাথে,  ভাগ করেছেন                      প্রণব কুমার কুণ্ডু
রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী হামলা করে যাচ্ছে রাখাইনে আর অসহায় নিরাপরাধ সাধারণ লোকদের হত্যা করছে !
শুধু শুধুই কি মায়ানমারের বৌদ্ধরা ক্ষেপেছে ঐ জংঙ্গি রোহিঙ্গাদের সাথে ?

অন্যান্য কোন মুসলিম দেশ,  এই সমস্ত রোহিঙ্গাদের নিতে চায় না --- এমনকি,  মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াও,  স্পষ্ট করে "না" করে দিয়েছে !
সুতরাং কেবলমাত্র নিরীহ ৫% রোহিঙ্গা,  যাদের নারী-শিশু-বৃদ্ধদের রক্ষা করা,   মানবিক দ্বায়িত্ব,   আর বাকি ৯৫% সন্ত্রাসী বর্বর রোহিঙ্গাদের শাস্তি দেয়া উচিৎ,  ওদের কৃতকর্মের জন্যে....







-1:13




-4:46

72

বাঙালির ভূতচর্চা


বাঙালির ভূতচর্চা





বাঙালির ভূতচর্চা            শেয়ার করেছেন            প্রণব কুমার কুণ্ডু




প্রথম পাতা   ব্লগ
বাঙালির ভূতচর্চা, পর্ব ১: প্ল্যানচেটে সেদিন কোন ভূত এসেছিল
দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় ।


ইউরোপে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অন্য ভুবন’ নিয়ে চর্চার সূত্রপাত হয়েছিল উনিশ শতকের মাঝামাঝি, কয়েক দশকের মধ্যেই সেই চর্চা আটলান্টিকের অন্য পারে আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ইংল্যান্ডে প্রেততত্ত্বের গবেষকদের মধ্যে ছিলেন দেশের সেরা বুদ্ধিজীবীরা, কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন খ্যাতিমান অধ্যাপক— হেনরি  সিজউইক,  ফ্রেডারিক মায়ার্স ও এডমন্ড গুরনি। এঁদের আগ্রহে ১৮৮২ সালে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সোসাইটি অফ সাইকিক রিসার্চ, সংক্ষেপে এসপিআর। নিয়মিত নিজেদের গবেষণা আদান-প্রদানের জন্য সোসাইটি একটি মাসিক পত্রিকাও প্রকাশ করতো। অচিরেই সোসাইটি অফ সাইকিক রিসার্চ-এর খ্যাতি এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকাতেও এর শাখা খোলা হয়। এই সমিতির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন কবি লর্ড টেনিসন, সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন, জন রাসকিন, ‘আ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’-এর স্রষ্টা লুইস ক্যারল, এবং এক ঝাঁক বৈজ্ঞানিক— স্যর উইলিয়াম ক্রুক্স, লর্ড রলে, জে জে টমসন এবং ইংল্যান্ডের দুই প্রধানমন্ত্রী— গ্ল্যাডস্টোন ও আর্থার বালফুর। বিদগ্ধ মহলে এই সমিতির এতটাই সুনাম ছিল যে, সিগমন্ড ফ্রয়েড তাঁর মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে যুগান্তকারী গবেষণা প্রথম এঁদের জার্নালেই প্রকাশ করেছিলেন।

হেনরি  সিজউইক,  ফ্রেডারিক মায়ার্স ও এডমন্ড গুরনি
আমাদের দেশের আজকের যুক্তিবাদীদের মতো এঁরা 'সব বুজরুকি' বলে উড়িয়ে না দিয়ে ভূত, প্রেততত্ত্ব, জন্মান্তর, জাতিস্মর, ইত্যাদির মূলে কোনও সত্য রয়েছে কি না তা জানতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তাঁদের জ্ঞাতব্য ছিল ধর্ম যখন অস্তিত্বের বিভিন্ন রহস্যের সমাধানে অসমর্থ, তখন এ ব্যাপারে প্রেতযোনিদের সাহায্য নিলে কেমন হয়? আমাদের চিন্তার ইতিহাসে প্রথম অলৌকিক ও অতীন্দ্রিয় ঘটনার বৈজ্ঞানিক গবেষণার সূত্রপাত তখনই।
কিন্তু ঠিক কিভাবে কাজ করত এই সমিতি? প্রধানত গুর্নি আর মায়ার্স কোথাও কোনও বিচিত্র ঘটনার খবর পেলেই অকুস্থলে হাজির হয়ে ঘটনার সত্যতা নিরূপণ করতেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতেন এবং তার পর যুক্তি-বুদ্ধির আলোকে তাকে বিশ্লেষণ করতেন। তাঁদের উৎসাহ আর কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আমরা পেয়েছি দু’টি মহাগ্রন্থ— ‘The Phantasms of the Living’ এবং ‘Human Personality  and its Survival of Bodily Death’। বইদু’টি এখনও গবেষণার জন্য এযুগেও খুবই কাজে লাগে, কারণ অসংখ্য তথ্যে ঠাসা এগুলি। কিন্তু লেখায় সরসতা বড় কম, পড়তে পড়তে মনে হয় যেন থানার দারোগার রিপোর্ট পড়ছি ।
এতটা সংগঠিতভাবে না হলেও উনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতা শহরেও মৃতের সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয়েছিল। ইতিহাস বলছে, ১৮৬৩ সালে কলকাতায় যখন প্রথম প্রেতচক্র অনুষ্ঠিত হয়, তখনও সোসাইটি অফ সাইকিক রিসার্চ রয়েছে ভবিষ্যতের গর্ভে। প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন এক বিখ্যাত মানুষ, বেঙ্গল লাইব্রেরির মুখ্য গ্রন্থাগারিক প্যারীচাঁদ মিত্র। বাংলা সাহিত্যের ছাত্র ও অনুরাগীদের মনে পড়বে, ইনিই টেকচাঁদ ঠাকুর ছদ্মনামে উনিশ শতকের সাড়া জাগানো বই ‘আলালের ঘরের দুলাল’ লিখেছিলেন। প্রেতচর্চায় তাঁর আগ্রহের কারণ ১৮৬০ সালে তাঁর স্ত্রীবিয়োগ। অকস্মাৎ মনের মানুষটিকে হারিয়ে তিনি বিশেষ কাতর হয়ে পড়েছিলেন এবং বিদেশ থেকে প্রেততত্ত্বের বই আনিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। বেরিনি নামে এক ফরাসি বিশেষজ্ঞের রচনা থেকে তিনি প্লানচেট মারফৎ আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় জানতে পারেন এবং এর পরে নিয়মিত চক্রে বসে প্ল্যানচেট করার সঠিক পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছিলেন। মনে হয়, তাঁর প্ল্যানচেট গবেষণার ফল ভালই হয়েছিল। কারণ গল্প আছে, তাঁর মৃতা স্ত্রী নাকি প্রত্যহ দু’বেলা তাঁর স্বামীর আহারের তদারক করে যেতেন এবং রান্নায় নুন-মিষ্টি কমবেশি হলে পূত্রবধূদের উপরে চোটপাটও করতেন ।

সঞ্জীবচন্দ্র ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ওই সময়েই কলকাতা থেকে খুব বেশি দূরে নয়, যদিও এখন বাংলাদেশের অঙ্গ, যশোহর টাউনে, একটি সান্ধ্য প্রেতচক্র গড়ে উঠেছিল, যার সদস্য ছিলেন অনেক সরকারি কর্মচারী। দু’জন বিখ্যাত মানুষ— নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র ও সাহিত্যিক তথা বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই প্রেতচক্রে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। ‘নীলদর্পণ’ ও ‘পালামৌ’-র স্রষ্টারা অবশ্য কোনও মৃত্যুশোক ভুলতে বা আধ্যাত্মিক গবেষণা করতে আসর জমাতেন না। প্ল্যানচেট ছিল এঁদের কাছে নিছক বিনোদন। এক সন্ধ্যায় প্ল্যানচেটের আসরে একটি আত্মার আগমনে শহরে খুবই হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। চক্রধারীরা দাবি করলেন, বিনা আহ্বানেই হাজির হয়েছিলেন কবি জন মিল্টনের আত্মা এবং নিজের মিল্টনত্ব প্রমাণ করার জন্য ল্যাটিনে এক পিস কবিতাও লিখে দিয়েছিলেন।  চক্রধারীরা কেউই  ল্যাটিন  জানতেন না, তাই তাঁরা তখনকার মতো কিছুই না বুঝে ভূতকে প্রচুর সাধুবাদ দিয়ে বিদায় দিয়েছিলেন। ক’দিন পরে অবশ্য এক ল্যাটিন বিশারদকে লেখাটা দেখানো হয় এবং তিনি পড়ে বলেন— কবিতাটি অতি নিম্নশ্রেণীর, তাতে নাকি ব্যকরণের ভুলও রয়েছে। ‘অ্যারিওপ্যাজেটিকা’-র লেখকের কলম থেকে এমন কবিতা বেরোনো নিঃসন্দেহে বিস্ময়ের। চক্রধারীরা তখন খুশি হয়ে প্রচার করেন, মিলটন না হলেও একটা কোনো আত্মা অবশ্যই এসেছিল, নইলে ল্যাটিন ভাষায় লিখলো কে?

যশোহরের আড্ডার এক নিয়মিত সদস্য ছিলেন রাজকৃষ্ণ মিত্র। শোনা যায় পরিবারের কয়েকটি প্রিয়জনকে হারানোর পরে তিনি প্রেতচর্চা শুরু করেন। তাঁর প্রেতচর্চার বৈশিষ্ট্য হল— তিনি প্রতিটি কথোপকথন আদ্যোপান্ত লিখে রাখতেন। সেই লিখনগুলি তিনি ১৮৮২ প্রকাশ করেছিলেন  'শোকবিজয় ' নাম দিয়ে। এর আগে কোনও ভারতীয় ভাষায় এরকম বই লেখার নজির নেই। দুর্ভাগ্য, বইটি অনেকদিন ধরেই অপ্রাপ্য ।
যশোহরের আড্ডায় বঙ্কিমচন্দ্র কখনও যাননি, তবে ভূতে তাঁর বিশ্বাস ছিল মনে হয়, কারণ পরিণত বয়সে তিনি তাঁর নাতিদের নিজের অলৌকিক অভিজ্ঞতার গল্প বলতেন। তাঁর অসমাপ্ত উপন্যাস—  'নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী' শেষ করতে পারলে একখানা জমাটি ভূতের গল্প পাওয়া যেতো ।  মৃত্যুর পরেও এক নাতির মাধ্যমে তিনি একটি উপন্যাস লিখেছিলেন বলে তাঁর দৌহিত্র দাবী করেছিলেন, কিন্তু ব্যাপারটি যথাযথ ভাবে অনুসন্ধান করা হয়নি বলে এ সম্বন্ধে সঠিক কিছু বলা যায় না ।
(ক্রমশ)

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭

জানুন


জানুন

কলকাতা  ২৪/৭-এর লিঙ্ক-এর অংশবিশেষ,  তারিখ ২৬শে নভেম্বর ২০১৭,   শেয়ার করেছেন,   প্রণব কুমার কুণ্ডু ।

সৌজন্যে              রামপ্রসাদ গোস্বামী !



মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন৷ মুনমুন সেন, অভিনয় জীবন শেষ করে এখন বাঁকুড়া থেকে ভারতের লোকসভার সাংসদ৷ দেব, ঘাটাল থেকে লোকসভার সাংসদ৷ দেবশ্রী রায়, তাপস পাল, শতাব্দী রায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, কবির সুমন, অর্পিতা ঘোষ, সন্ধ্যা রায় প্রতিবাদের পুরষ্কার পেয়েছেন৷ ব্রাত্য বসু ও ইন্দ্রনীল সেন তো এখন মমতা সরকারের মন্ত্রী৷ তালিকায় রয়েছেন শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী সহ আর অনেক বড় বড় নাম৷ মমতা হাত ধরে ক্ষমতার কেন্দ্রে এসেছেন অনেকেই৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ‘শ্রী’ পুরস্কার নিয়েছেন আরও অনেকে৷

রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭

দাস্যভক্তি


দাস্যভক্তি



মধ্বের
দাস্যভক্তি যোগ !

শ্রীবিষ্ণুর পূজা-বন্দনা
শ্রীবিষ্ণুর সেবা
তিলকধারণ
শ্রীবিষ্ণুস্তোত্র শ্রবণ
শ্রীবিষ্ণুমন্ত্র মনন
শ্রীবিষ্ণুর নাম-জপ
স্বাধ্যায়
শ্রীবিষ্ণুর ধ্যান
শ্রীবিষ্ণুর ভজন
ইত্যাদি !

এসবই নাকি, মুক্তির উপায় !

আমি তো ওসব করতে পারব না !

আমি নিরুপায় !


বৈষ্ণব সাহিত্যে পঞ্চবিধ ভেদ


বৈষ্ণব সাহিত্যে পঞ্চবিধ ভেদ



১। ঈশ্বরে ও জীবে ভেদ।
২ । ঈশ্বরে ও জড়বস্তুতে ভেদ।
৩। জীবে জীবে ভেদ।
৪ । জীবে ও জড়বস্তুতে,  বা চেতনে এবং অচেতনে, ভেদ।
৫ । এক জড়বস্তু হতে, অন্য জড় বস্তুতে, এবং সেইগুলোর বিভাগসমূহে  ( classifications-এ ) ভেদ।

এই পঞ্চবিধ ভেদ, বা, পঞ্চবিধ স্বাতন্ত্র্য, নষ্ট করে, অভেদ বা একত্ব তন্ত্র।



* সূত্র :  স্বামী সুন্দরানন্দের  'যোগচতুষ্টয়'।

জতীয় সঙ্গীত  জাতীয় পতাকা



Pranab Kumar Kundu বন্দেমাতরম-ই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হওয়া উচিত ছিল ! না-হওয়ার পেছনে, কেবলমাত্র মুসলিম তোষণ ! একশ্রেণির মুসলমান আবার আল্লার দোহাই দিয়ে, ভারতের জাতীয়-সঙ্গীত গাইতেই চায় না ! কী নিষ্ঠুর চেতনা ! ঐ একই কারণে, গেরুয়া-রঙ, ভারতের জাতীয় পতাকার, রঙ হল না ! জয় জয় মুসলিম তোষণের জয় হো ! জয় জয় জয় হো ! আল্লাহ'র জয় হো !

শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

বিনাপুঁজির ব্যবসা


বিনাপুঁজির ব্যবসা



পূজারি ব্রাহ্মণদের, বিনাপুঁজির ব্যবসায়, লোক ঠকানোর উপকরণগুলি

আত্মা
প্রেতাত্মা
স্বর্গ
নরক
পাপ
পুণ্য
আশীর্বাদ
অভিশাপ
জন্মান্তরবাদ
অবতারবাদ
দোষকাটানো
পূজা
অর্চনা
বিবাহ
শ্রাদ্ধ, প্রভৃতি প্রভৃতি.....

মহম্মদ


মহম্মদ           শেয়ার করেছেন          প্রণব কুমার কুণ্ডু



নবী মুহাম্মদ ও তার পুত্রবধু জয়নাবের প্রেম কাহিনী:  ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ট প্রেম কাহিনী।

লিখেছেন: কাঠমোল্লা —

নবী মুহাম্মদ ছিলেন সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ , বিজ্ঞানী , হেন তেন বহু কিছু। কিন্তু কেউ কখনও শোনে নি নবী মুহাম্মদ ছিলেন,  সর্বশ্রেষ্ট রোমান্টিক প্রেমিকও। তার প্রেমের কাছে রোমিও-জুলিয়েট , লাইলি -মজনু এসবও ফেল। কিন্তু ওয়াজ/ইসলামী জলসায় কোন আলেম মুহাম্মদকে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট প্রেমিক হিসাবে প্রচার করে না।কেন করে না ? লজ্জায় নাকি অন্য কারণে ? তাঁরা কি জানেন না, মুহাম্মদ তার পুত্রবধু জয়নাবের সাথে এমন কঠিন প্রেম করেছিলেন, যার জন্যে খোদ আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল,  আর আল্লাহক-ই  শেষ পর্যন্ত ঘটকালি করতে হয় মুহাম্মদ ও তার পুত্রবধু জয়নাবের বিয়ের জন্যে ?

মুহাম্মদ ও তার পুত্রবধু জয়নাবের প্রেমের সূত্রপাত যেভাবে হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ:

জায়েদ ছিল মুহাম্মদের পালিত পুত্র,  যাকে মুহাম্মদ ৫ বছর বয়স থেকেই নিজ পুত্র জ্ঞানে লালন পালন করেছিলেন এবং সমাজে ঘোষণা দিয়েছিলেন,  তাঁর নাম জায়েদ ইবনে মুহাম্মদ অর্থাৎ মুহাম্মদের পূত্র জায়েদ। যুবক বয়েসে মুহাম্মদ নিজেই জায়েদকে জয়নাবের সাথে বিয়ে দেন। একদিন মুহাম্মদ জায়েদের বাড়িতে যান , তখন জায়েদ বাড়িতে ছিলেন না। মুহাম্মদ দরজার ফাক দিয়ে ঘরে উকি মারেন , তখন জয়নাব যে কোন কারণে প্রায় নগ্ন অবস্থায় ছিলেন যা মুহাম্মদের ইমানদন্ডকে উত্থিত করে দেয়, সেই সাথে তার হৃদয়ে প্রবল ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। মুহাম্মদ চলে যাওয়ার সময় বলতে থাকেন- "কার মন কখন আল্লাহ পরিবর্তন করে দেয় সেটা বোঝা দায়"। বিষয়টা জয়নাব ঠিকই বুঝতে পারেন। জায়েদ ঘরে আসার সাথে সাথে জয়নাব বিষয়টা তাকে বলে , জায়েদ ঠিকই বুঝতে পারে যে মুহাম্মদ জয়নাবের প্রেমে পড়েছে। কাল বিলম্ব না করে , জায়েদ মুহাম্মদের কাছে ছুটে যায়, আর বলে , যদি মুহাম্মদ তাকে বিয়ে করতে চায়, তাহলে সে তাকে তালাক দেবে। জায়েদ জানত , মুহাম্মদ তখন মদিনার সর্বেসর্বা , সেই মুহাম্মদ জয়নাবের প্রেমে পড়েছে , তখন জায়েদের জয়নাবকে তালাক দিয়ে, মুহাম্মদের সাথে বিয়ে দেয়া ছাড়া তার আর গত্যন্তর ছিল না।

(সুত্র: আল তাবারি, পৃষ্ঠা নং-৪ , ৮ম খন্ড- সাইট: http://kalamullah.com/tabari.html)

কিন্তু পালিত পুত্রবধুর স্ত্রীকে বিয়ে করাটা সেই তখনকার আরবেও একটা খুব অনৈতিক ও খারাপ কাজ বলে গণ্য করা হত। কারণ পালিত পুত্রকে,  আরবরা নিজের পুত্র হিসাবেই গণ্য করত। সুতরাং সেটাকে থামাতে, দয়াল আল্লাহ সাথে সাথেই আয়াত নাজিল করে পাঠান----

সুরা আহযাব- ৩৩: ০৪: ---------------****
আল্লাহ তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন।

আহযাব-৩৩:০৫:
তোমরা তাঁদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত।
যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে,  তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে,  ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
অর্থাৎ পালিত পুত্র কোন পুত্র নয়। তাই পালিত পুত্রের স্ত্রীকে শ্বশুর বিয়ে করতে পারবে। এর পর যথারীতি জায়েদ জয়নাবকে তালাক দিল , তালাক না দিয়ে তার উপায় ছিল না। কারণ,  দ্বীন দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট মানুষ ও নবী মুহাম্মদ তার পূত্রবধুর প্রেমে পড়েছেন , তিনি,  বিরহ যন্ত্রনায় কাতর, তা দেখে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠছে, আল্লাহ পর্যন্ত ব্যাতিব্যস্ত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আয়াত নাজিল করছেন।কিন্তু বিয়ের পরেও লোকজনের কানাঘুষা বন্দ করা গেল না। লোকজন মুহাম্মদ সম্পর্কে আড়ালে আবডালে নানা কথা বলতে লাগল , বলতে লাগল - এই মুহাম্মদ তো দেখি লুইচ্চা ! যে নাকি তার পুত্রবধুকেও ছাড়ে না ! মুহাম্মদের এই মারাত্মক বিপদে আল্লাহর আরশ আবার কেঁপে উঠল, কাল বিলম্ব না করে সাথে সাথেই আল্লাহ তার গদি রক্ষার্থে আয়াত পাঠিয়ে দিয়ে,  মুহাম্মদকে ঠান্ডা করল ও বর্বর আরবদের মুখ ভোতা করে দিল ---
সুরা আহযাব- ৩৩: ৩৭: আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ পাক প্রকাশ করে দেবেন,  আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন,  অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে।
মুহাম্মদ বলেছিলেন , জায়েদ , তুমি তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই রাখ। কিন্তু আল্লাহর ইচ্চা ভিন্ন। আল্লাহ তো জানে , মুহাম্মদ জয়নাবের প্রেমে পড়েছিল, জয়নাবের নগ্ন শরীর নিয়ে লীলা খেলা করার জন্যে মুহাম্মদ উন্মাদ হয়ে গেছিল। কিন্তু মুহাম্মদ সেটা কাউকে লজ্জা শরমের কারণে বলতে পারছিল না। কিভাবে বলবে- মুহাম্মদ কি কাউকে বলতে পারত - আমি আমার পুত্রবধু জয়নাবের প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। এর চাইতে লজ্জা শরমের কথা কি আর হতে পারে ? সুতরাং মুহাম্মদ যে লোক দেখান ভাবে জায়দকে তার স্ত্রী জয়নাবকে কাছে রাখতে বলেছিল , সেটা বুঝতে তো আর বিশাল বিজ্ঞানী হওয়া লাগে না , বিশেষ করে সবজান্তা আল্লাহর তো সেটা বুঝতে মোটেই সমস্যা নেই। আর সেজন্যেই মুহাম্মদ ও জয়নাবের প্রেম কাহিনীর সফল পরিণতির জন্যে আল্লাহ,  দিন নাই রাত নাই , একের পর এক আয়াত পাঠিয়ে গেছেন।
তার মানে দেখা যাচ্ছে নবী মুহাম্মদ ও তার পূত্রবধু জয়নাবের এই প্রেম কাহিনীর শুভ পরিণতির জন্যে খোদ আল্লাহকেও মহা পেরেশানিতে পড়তে হয়েছে,  এবং তাঁকেই এই ঘটকালী করতে হয়েছে। যে প্রেম কাহিনীর পরিণতি দিতে খোদ আল্লাহকেও ব্যাতিব্যস্ত হতে হয়ে , তাকে ঘটকালি করতে হয় , তার চাইতে শ্রেষ্ট প্রেম কাহিনী কি দুনিয়ার ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টা আছে ?

ফেসবুকে ইস্টিশন

প্রকাশিত লেখা ও মন্তব্যের দায় একান্তই সংশ্লিষ্ট লেখক বা মন্তব্যকারীর, ইস্টিশন কর্তৃপক্ষ এজন্য কোনভাবেই দায়ী নন। লেখকের এবং মন্তব্যকারীর লেখায় অথবা প্রোফাইলে পরিষ্কারভাবে লাইসেন্স প্রসঙ্গে কোন উল্লেখ না থাকলেও,  স্ব-স্ব লেখার এবং মন্তব্যের সর্বস্বত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট লেখক বা মন্তব্যকারী কর্তৃক সংরক্ষিত থাকবে। লেখকের বা মন্তব্যকারীর অনুমতি বা সূত্রোল্লেখ বা কৃতজ্ঞতা স্বীকার ব্যতিরেকে লেখার বা মন্তব্যের আংশিক বা পূর্ণ অংশ কোন ধরনের মিডিয়ায় পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না।


Sharddhaya


shardhhadya




Sharddhaya


Prasanta Kumar Mondal            Binod Saradar and other 108 are with him.


Shared by      Pranab kumar kundu


The work of Brahmana Dhandabaji:

Do you know the meaning of the mantra that the Brahmin priests have given to you in the mourning of dead parents? In all scriptures, these people have been humiliated, lowered, have not been excused in the name of the caste, and have not had any distinction. Seeing the meaning of Shraddha's mantra, fool and deceit of your own father and mother by the Brahmin words.
"Pampham sinfulness sinfulness of sinfulness
trhimam krupadabeba memorialism"
The meaning is = I am a sinner, I am the result of sin, my soul is sinner, sin is possible by me, I will give grace to the remembrance. Why are you sinners? Have you done any sin? What is your birth because of your parents' sin? So what if you believe in the mythical spirit, how is that soul sinner? What sin will arise from you?
According to the scriptures, the deities eat with the mouth of the Brahmin, speak with the mouth of the Brahmin. Even ordinary people will not call them, they will neither eat nor speak. If the child is grieving, then the dead parent will rise in the words of Brahmin. They will come in Brahman's words and they will donate plenty of the northern men in the words of Brahmin There is no such belief in man of such blind faith and such a shameless priest.
Deities of Brahmins respond to Brahmin's words, only talking to Brahmin, if Brahmin chews food, then he eats and gives everything to Yajman in the words of Brahmin. In return, Brahmin gives a lot of Yajman's satisfaction with something. That is the great heart of Indian Brahmin priests. They do not want anything. Brahman priest taught such lies to the ignorant people. The magicians do not know that the deities of the Brahmins are made to deceive them only, do they ever ask the Brahmin priest? Why do you pray to God only for us, and why are you satisfied with the little resources given to us? Why do not you want to ask for it? If all were available to the gods, then you would not have lacked them. Why do not the simple question that Yajmana do? The death of the father, the mother, or the spirit of the Brahmin,
As gods and goddesses eat leftovers of Brahmin, they are blessed with the soul-spirits and the Brahmins leftovers. They have sacrificed leftover living beings, and after eating their gods, they also eat leftovers. Who do not eat? If all the gods are blessed by eating the leftovers of the Brahmin priest, why do not people eat? Such a horrific belief that Hindus
The son of the house, who was unable to earn a penny from the Brahmin goddess, came to the house during the whole of the Hazara mantra, to send the deceased father / mother to the Brahmin priest. To be ridiculous than this can happen. These gods and goddesses are fictional and karmas, souls, ghosts, birthstones, heaven and hell, all the Brahmin priests, Dhandabaji. Brahmin Urohitera mantras come in groups, and the rich will give the deceased the deceased purbapurasara santanaderaemana What is faith in the world and the civilized man?
Charvak Pandit Madhvacharya said, "There is no heaven and hell, there is no supernatural spirit, and there is no action of disgusting." Anganhiothra Tirtha (Rig, Sham and Jaju), Triadanda, Chhavash Leopan, Anusless and Innocent,
Swami Vivekananda said, "It is only imagined that people will go to heaven after death. Only a person who lives in eternal life after death dies in a world of eternal happiness." (Text and Composition-10, page 159)
So do not pay tribute to Shraddhumanthan, show respect. Napita, not Brahmin, with relatives.

Barai Asima's Post

Barai Asima's Post



Barai Asima                 Shared by  Pranab Kumar Kundu

বানসালি ভাই,  হিম্মত থাকলে নবির আয়শা কে নিয়ে ফিল্ম বানান, নবিজির পালিত পুত্র, জায়নাব-এর বউ নিয়ে ফ্লিম বানান । 
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রেম কাহিনী হবে ।

Help Center Facebook


Help Center Facebook

Hi Pranab Kumar Kundu, how can we help?

leave
Return to Facebook
Home
Using Facebook
Managing Your Account
Privacy and Safety
Policies and Reporting
envelopeSupport Inbox
Creating an Account
Friending
Add Friends
Finding Friends and People You May Know
Control Who Can Friend and Follow You
Upload Your Contacts to Facebook
Unfriending or Blocking Someone
Your Home Page
Messaging
Photos
Videos
Pages
Groups
Events
Payments
Apps
Facebook Mobile and Desktop Apps
Accessibility
What is blocking and how do I block someone?
Computer Help
Mobile Help additional tabs menu
share Share Article
When you block someone they will no longer be able to do things such as tag you or see things you post on your timeline. If you're friends, blocking will also unfriend them.

To block someone:
Click  at the top right of any Facebook page.
Click Privacy Shortcuts
Click How do I stop someone from bothering me?
Enter the name of the person you want to block and click Block
Select the specific person you want to block from the list that appears and click Block again
People will not be notified when you block them.
If you can't find someone using this method, try going to the person's profile and selecting Block from the  menu on their cover photo.
Was this information helpful?

Yes/No
Related Articles
What is unblocking and how do I unblock someone?
How do I control who can see what's on my profile and timeline?
When I post something, how do I choose who can see it?
What's the Privacy Checkup and how can I find it?
What if I can't find the person I want to block?
app-facebook
Facebook © 2017

বাংলা
About
Ad Choices
Terms & Policies
Privacy
Create Ad
Cookies
Careers
Create Page

জনৈক অরুণ মাজী

জনৈক অরুণ মাজী


অরুণ মাজী                  শেয়ার করেছেন                প্রণব কুমার কুণ্ডু।

-
উত্তর ধ্বংসমূলক। কিন্তু প্রশ্ন সৃষ্টিমূলক। উত্তর বুদ্ধির অন্তিমযাত্রা। কিন্তু প্রশ্ন, নতুন সৃষ্টির আনন্দ। উত্তর- মানুষকে বিশেষ কোন বেড়াজালে বেঁধে ফেলে। কিন্তু প্রশ্ন, মানুষকে অসীম আকাশে উড়ার জন্য তাকে পাখা যোগায়।
-
ব্যাপারটা তোমরা বুঝলে না। তাই না ? ধরো আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম- ঈশ্বর আছেন ? তুমি বললে- হ্যাঁ, আছেন।
-
তোমার উত্তরের অর্থ কি ? তোমার উত্তরের অর্থ হলো- ঈশ্বরের প্রকৃতি সম্বন্ধে, আরও নতুন কিছু জিনিস তুমি যে খুঁজতে পারতে, সে সব কিছু খুঁজতে, তুমি আর কখনো যাবে না। তোমার উত্তর, তোমার নতুন কিছু খোঁজার- বাধা হয়ে দাঁড়ালো।
-
তুমি যদি বলতে, "আমি ঈশ্বর খুঁজছি"। তখন তার অর্থ হতো- তুমি এখনো নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করে চলেছো। ঈশ্বর খুঁজতে গিয়ে তুমি কি কি অনির্বচ্চনীয় জিনিস আবিস্কার করছো ?

১. দিনের পর রাত, রাতের পর দিন। জন্ম শেষে মৃত্যু, তারপর আবার জন্ম। সবই যেন নিখুঁত এক অঙ্কের মতো। অঙ্ক কারা সৃষ্টি করে ? যাদের বুদ্ধি আছে, তারা। তাহলে মহাবিশ্বে যে এতো কঠিন কঠিন অঙ্ক, সে সব অঙ্ক কোন বুদ্ধিমান শক্তি সৃষ্টি করেছেন ?
-
২. দুর্ঘটনার কারণে যদি মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়, তাহলে মহাবিশ্বে এতো জটিল জটিল অঙ্কের জন্ম হলো কি করে ?
-
৩. ভাইরাস অতীব ক্ষুদ্র এক জীব ! সে কি করে, তার কোটি কোটি কোটি গুণ বড়, আস্ত একটা মানুষকে মেরে ফেলতে পারে ! কি এই ভাইরাস ? কোথা থেকে পায় সে তার মারণ ক্ষমতা ? ইত্যাদি সব প্রশ্ন।

তবে কবিসাহেব, উপকারী ভাইরাসও আছে !
-
এইধরণের উল্টাপাল্টা প্রশ্ন, তুমি নিজে নিজেকে করছো, আর সৃষ্টির অপরূপ রূপ- তোমার চোখের সামনে ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে। মনে মনে তখন তুমি কি ভাবছো ? আহাঃ সৃষ্টির কি অপরূপ রূপ আজ দেখলাম !
-
কিন্তু তুমি যদি নিজেকে আস্তিক বা নাস্তিক ধরে নাও, তাহলে তুমি সৃষ্টির অপরূপ রূপ কখনো আবিষ্কার করতে পারবে না। সেজন্যই, অরুণ মাজী নিজেকে, না-নাস্তিক না-আস্তিক বলে !  সে আস্তিকও নয়, আবার নাস্তিকও নয়। সে ঈশ্বরকে পূজাও করে ; আবার কখনো কাখনো সে-ঈশ্বরের দাড়িতে, রক্ত চোষা উকুন ছেড়ে দেয়।
-
তবুও বলছি- ঈশ্বর আমার খুব কাছের মানুষ। আজ আমি যা হয়েছি, সবই তার কল্যাণে। আমি বিশ্বাস করি- ঈশ্বর আমাকে মস্তিস্ক দিয়েছেন, তার কারণ- উনি চান, আমি আমার চিন্তা শক্তিকে আকাশ সমান উঁচুতে নিয়ে যাই। ঈশ্বর যদি আমাকে আকাশ সমান উঁচু না-ই দেখতে চাইবেন, তাহলে উনি ঈশ্বর কেন ? কোন পিতা যদি তার সন্তানকে আকাশ সমান উঁচু না-ই দেখতে চাইবেন, তাহলে উনি পিতা কেন ?
-
দেখলে ? প্রশ্ন নিজেই কেমন ঈশ্বরের এক স্বরূপ। সেজন্যই তোমাদেরকে বলি-
বড় হতে চাও ? তাহলে প্রশ্ন করো।
মহান হতে চাও ? তাহলে প্রশ্ন করো।
মালবিকাকে ভালোবাসতে চাও ? তাহলে প্রশ্ন করো।
ঈশ্বর লাভ করতে চাও ? তাহলে প্রশ্ন করো।
-
তোমাদেরকে, কানে কানে একটা কথা বলবো ?
-
"ঈশ্বর খোঁজার জন্য, পাওয়ার জন্য নয়।"
-
অরুণ মাজীার লেখা নীচে লিঙ্কে পড়ুন- 


শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭

মোহাম্মদ


মোহাম্মদ



Ramprasad Goswami        Krishna Kumar Das এর পোস্ট শেয়ার  করেছেন৷

শেয়ার করেছেন                  প্রণব কুমার কুণ্ডু। 
Krishna Kumar Das
মুসলমানদের মতে- পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, মুহম্মদের এমন যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু কেন ?
মুসলমানরা ইসলামের যে কয়টি বিষয় খুব যত্ন করে গোপন রেখেছে,  তার মধ্যে একটি হল,  মুহম্মদের মৃত্যুর ঘটনা। এ বিষয়ে তাঁরা যেটুকু জানেন বা তাঁদের যেটুকু জানানো হয়,  এবং এর ভিত্তিতে তারা যা বলেন, তা হলো---  খয়বরের যুদ্ধের পর,  নবী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাতেই তার মৃত্যু হয়। যদিও মুহম্মদের মৃত্যুকে যতটা মহিমান্বিত করে তোলা যায়, মুসলমানরা তা করে তোলেন এবং তার মৃত্যুর দিনকে সম্মান জানিয়ে বলেন,  ‘ওফাত দিবস’।
এছা্ড়াও মুহম্মদের মৃত্যু সম্পর্কে মুসলমানরা বলেন, আল্লা নবীকে বলেছেন, আল্লার সান্নিধ্য অথবা দুনিয়াকে বেছে নিতে। মুহম্মদ আল্লার সান্নিধ্যকে বেছে নিয়েছেন। আরও বলা হয়, মৃত্যুর দিন জিব্রাইল এসে নবীকে জানান,  যে মৃত্যুর ফেরেশতা আযরাইল তার ঘরের দরজায় এসে দাঁড়িয়ে আছে এবং ঘরে ঢোকার জন্য আপনার অনুমতি প্রার্থনা করছে। নবী অনুমতি দিলে আযরাইল ঘরে ঢুকে নবীকে বলে, “আপনি অনুমতি দিলে আপনার আত্মাকে নিয়ে যাবো,  আর যদি বলেন,  তো রেখে যাবো।” এমন সময় পাশে থাকা জিব্রাইল বলে উঠে, “হে মুহম্মদ, আল্লা আপনার সঙ্গ লাভ করার জন্য খুবই ব্যাকুল হয়ে আছেন।” এই কথা শুনে নবী আযরাইলকে বলেন, “আপনার উপর যে আদেশ আছে তা পালন করুন।” এরপর জিব্রাইল ও আযরাইল, দু'জনেই,  নবীকে সালাম দিয়ে বিদায় নেন এবং নবী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এসবই গালগল্প, কারণ,  ফেরেশতা ও নবীর মধ্যে হওয়া এইসব কথাবার্তা, কেউই শোনেন নি।
মুহম্মদের মৃত্যু দিন সম্পর্কেও অধিকাংশ মুসলমান সঠিক তথ্য জানেন না। তারা মনে করে ১২ রবিউল আওয়াল হলো নবীর মৃত্যুর দিন এবং এই দিনই তার জন্ম দিন এবং একই দিনে জন্ম ও মৃত্যুকেও তারা মুহম্মদের জীবনের একটা ঐশ্বরিক ঘটনা হিসেবে তুলে ধরেছেন, যেন এটা খুবই অসাধারণ একটা ঘটনা, যা একমাত্র আল্লার প্রিয় বান্দা মুহম্মদের ক্ষেত্রেই ঘটেছে।
কিন্তু এরকম ঘটনা খুঁজলে সারা পৃথিবীতে অন্তত কয়েক হাজার পা্ওয়া যাবে, যা তাদের প্রকৃত জন্ম ও মৃ্ত্যু দিন, মুহম্মদের জন্ম দিনের সাথে মিলিয়ে বানানো মৃত্যু দিন নয়।
এখানে আরও একটা ব্যাপার বোঝবার মতো যে, মুহম্মদের জন্ম ও মৃত্যু দিন যদি একই দিনও হয়, অর্থাত ১২ রবিউল আওয়াল হলেও তা কিন্তু সৌরজগতের হিসেব মতে এক নয়। কারণ, হিজরি সালের হিসেব হয় চন্দ্র মতে, আর চন্দ্রের বছর ৩৬৫ দিনে নয়, ৩৫৪ দিনে। তার মানে হল,  পৃথিবী সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে যে বছর পূর্ণ করে, হিজরি সালে,  তার বছর পূর্ণ করে,  ১১ দিন আগেই। একারণে হিজরি সালের মাস অনুযায়ী হিসেব করলে ঋতুর কোনো ঠিক ঠিকানা থাকে না, এই হিজরি সালের চক্করে পড়েই মুসলমানদের দুই ঈদ সহ যে কোনো ইসলামিক অনুষ্ঠান,  সারা বছর ঘুরতে থাকে; এতে দেখা যায়, রমযান মাস একবার পড়ল শীত কালে, তো কয়েক বছর পরে,  সেটা গিয়ে আবার পড়লো গ্রীষ্ম কালে। মূলত চন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী বছর গোনা মানে চরম মূর্খতার পরিচয় দেওয়া, ইসলামিক প্রোগ্রামগুলো পালন করতে গিয়ে মুসলমানরা এই মূর্খের মতো কাজ করে যাচ্ছেন,  গত ১৪০০ বছর ধরে। অথচ এই তারিখটাকে ইংরেজি বা যে কোনো সৌর বর্ষের সাথে কনভার্ট করে নিলে,  কিন্তু এই ঝামেলা আর হত না। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়েই প্রতি বছর একই ধরণের ইসলামিক প্রোগ্রামগুলো তাঁরা পালন করতে পারতেন।
যা হোক, মুহম্মদের জন্মদিন ১২ রবিউল আওয়াল এবং এটা ইংরেজির ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট, রোজ,  শুক্রবার। মুসলমানরা যে শুক্রবারকে বিশেষ শ্রদ্ধা করে তার এটাও একটা কারণ । আর মুহম্মদের মৃত্যুদিন হলো ১৩ রবিউল আওয়াল, যা ইংরেজি ৮ জুন, ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ, বেলা ২ থেকে ৩ টার মধ্যে।
আজকের মূল বিষয় মুহম্মদের মৃত্যু, এবার সেই বিষয়ে নজর দেওয়া যাক।
মৃত্যুর পূর্বে মুহম্মদ ১৬ দিন ধরে,  অসুস্থ ছিলেন এবং ১৭ তম দিনে তিনি মারা যান। অসুস্থতার প্রথম ৭/৮ দিন মুহম্মদ অসুস্থ শরীরেই সব কাজ দেখাশোনা করেন, কিন্তু তার পরেই সে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এরপর মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব দেন,  আবু বকরের উপর এবং এই দায়িত্বের বলেই,  মুহম্মদের মৃত্যুর পর আবু বকর,  খলিফা নির্বাচিত হন। রোগের প্রকোপ বেড়ে চললে মুহম্মদ সব স্ত্রীর থেকে ছুটি নিয়ে আয়েশার ঘরে থাকা শুরু করেন; কারণ, মুহম্মদ বুঝতে পারছিলেন,  যে তার দিন শেষ। তাছাড়াও আয়েশা ছিলেন মুহম্মদের প্রিয় স্ত্রী, মুহম্মদ নাকি সব স্ত্রীকে সমান চোখে দেখতেন, তাহলে বিশেষ একজন আবার,  'প্রিয়' হন কেমন করে ?
দিনের পর দিন রোগের প্রকোপ বেড়ে চললে,  মুহম্মদের এক স্ত্রী উম্মে সালমা বলেন, নবীকে একটু ওষুধ খাইয়ে দেখলে হয়। এর পূর্বে, মুহম্মদের আরেক স্ত্রী মাইমুনার সৎবোন,  আবিসিনিয়া থাকার কালে, সেখানকার ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে এক ধরণের ওষুধ তৈরি করা শিখেছিলেন, যা এই ধরণের অসুখে ব্যবহার করা হত। সেই সৎবোন, আসমা,  সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সে ঐ ওষুধ বানিয়ে,  মুহম্মদকে খাইয়ে দেয়। এই সময় পুরোনো কথা মনে হওয়ায়,  আসমা, উপস্থিত মহিলাদের সাথে আবিসিনিয়ার খ্রিষ্টান এবং সেখানকার গীর্জার গল্প শুরু করে দেয়। মুহম্মদের কানে এসব যাওয়া মাত্র সে বকা দিয়ে বলে,
“এরা সেই সব লোক যারা তাদের কোনো সাধু মারা গেলে তার কবরের সমাধি তৈরি করে পূজা করে।” এরপর ইহুদি ও খ্রিষ্টানদেরকে অভিশাপ দিয়ে মুহম্মদ বলেন, “আল্লা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদেরকে ধ্বংস করুন। যারা মানুষের সমাধিকে পূজা করে,  তাদের উপর আ্ল্লার ক্রোধ বর্ষিত হোক। হে আ্ল্লা, আমার কবরকে কেউ যেন পূজা না করে। ইসলাম ব্যতীত আর কোনো ধর্ম যেন আরবে না থাকে।” (মুসলিম শরীফ, ৪৩৬৬)
খেয়াল করবেন, মুহম্মদ--- ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের উদ্দেশ্য এই অভিশাপ দিচ্ছেন এবং আরব থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করার কথা বলছেন, কিন্তু তাঁর মৃত্যুশয্যায়। একটা লোক কী পরিমাণ সাম্প্রদায়িক হলে, এবং তার মধ্যে কী পরিমান ঘৃণা থাকলে,  মৃত্যু শয্যায় কেউ এমন কথা বলতে পারে! মদীনা সনদের প্রসঙ্গ টেনে মুসলমানরা আবার এই মুহম্মদকেই বলে অসাম্প্রদায়িক !
যা হোক, মুহম্মদ কবর পূজাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত করলেও সব মুসলিম দেশে এটা চলছে এখন দেদার। পীর-ফকির-দরবেশের মাজার আর কিছুই নয়, তাদের সমাধির উপর নির্মিত আস্তানা। মুসলমানরা সেই সব জায়গায় যায় এবং নিজেদের জন্য কল্যাণ কামনা করে; এমনকি কেউ মদীনা গেলেও মুহম্মদের কবর,  যাকে মুসলমানরা বলে ‘রওজা মুবারক’, তা জিয়ারত করে আসে, এগুলো আর কিছুই নয়, স্রেফ কবর পূজা, যা মুহম্মদ নিষিদ্ধ করে গেছেন। কিন্তু মুহম্মদের সকল চিন্তা ই ছিলো অবাস্তব, তাই তার এই থিয়োরিও মাঠে মারা গেছে; কারণ, মৃতের উদ্দেশ্য প্রার্থনা বা তার মাধ্যমে নিজেদের কল্যাণ কামনার জন্য,  মৃতের কবর একটি মাধ্যম,  এবং এরজন্য কবরের কাছে গিয়ে কবর পূজা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
যা হোক, মৃত্যুর দিন সকালে মুহম্মদ আর হাঁটতেই পারছিলেন না। তার চাচাতো দুই ভাই,  ফজল আর আলীর কাঁধে ভর করে মুহম্মদ কোনো রকমে,  ঘর থেকে বের হন। এই সিচুয়েশন এবং অন্য স্ত্রীদের সাথে রাত না কাটানোর জন্য ছুটি নেওয়ার বর্ণনা আছে, বুখারীর ১১ / ৬৩৪ নং হাদিসে, দেখে নিন নিচে-
আয়শা বর্ণিত--- "যখন নবী কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হলেন, তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠল,  তখন তিনি অন্য স্ত্রীদের কাছ থেকে আমার কাছে থাকার অনুমতি প্রার্থনা করলেন,  যাতে আমি তাকে সেবা করতে পারি ও সবাই তাকে অনুমতি দিল। তিনি দুইজন লোকের সাহায্যে ঘর থেকে বের হলেন,  তখন তার পা দুটো মাটিতে ছেঁচড়াচ্ছিল। তিনি আল আব্বাস ও অন্য একজন মানুষের ঘাড়ে ভর রেখে চলছিলেন। উবাইদ উল্লাহ বলল,  আমি আব্বাসকে জিজ্ঞেস করলাম যার কথা আয়শা বলেছিলেন – তুমি কি জান অন্য জন কে ছিল ? আব্বাস বলল- সে ছিল আলি ইবনে তালিব।”
মুহম্মদ প্রায় সারা জীবনই নীরোগই ছিলেন। হঠাৎ তার এই অসুস্থতার কারণ সম্পর্কে সে আয়েশাকে যা বলেছেন,  তার বর্ণনা রয়েছে- সহিহ বুখারীর ৫ / ৫৯ / ৭১৩ নং হাদিসে, দেখে নিন নিচে-
আয়শা বর্ণনা করেছেন--- রসুল তাঁর মৃত্যূশয্যায় বলতেন, “ও আয়শা, আমি খায়বারে গ্রহণ করা,  বিষ মিশানো খাবার জনিত কষ্ট,  অনুভব করছি এবং আমার মনে হচ্ছে ঘাড়ের শিরা-ধমনী সব ছিঁড়ে যাচ্ছে।”
কী পরিমান কষ্ট হলে কেউ এই কথা বলে যে, তার ঘাড়ের শিরা ও ধমনী সব ছিঁড়ে যাচ্ছে,  সেটা একবার কল্পনা করুন। মুহম্মদকে এই বিষ খাওয়ানোর ইতিহাসটা একটু বর্ণনা করা দরকার, তাহলে বুঝতে পারবেন, কে এবং কী কারণে, কোন কৌশলে, তাকে বিষ খাইয়েছিলো ?
মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার তিন বছরের মাথায়, ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে, ছাদের উপর থেকে পাথর ফেলে মুহম্মদকে তারা হত্যা করার চেষ্টা করেছিলো, মুহম্মদের সম্পূর্ণ এই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে, মুহম্মদ নাজির গোত্রের লোকজনকে মদীনা থেকে বিতাড়িত করে। এটা মিথ্যা অভিযোগ এজন্য যে, সেই সময় মুহম্মদের সাথে আরও ৩/৪ জন লোক ছিল, তারা এই ধরণের ঘটনার কোনো চেষ্টাই দেখে নি। যা হোক, মদীনা থেকে নাজির গো্ত্র বিতাড়িত হয়ে ১৩০ কি.মি দূরে খয়বরে গিয়ে বসতি স্থাপন করে। এই ঘটনার তিন বছর পর,  ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে মুহম্মদ খয়বর আক্রমণ করে এবং খয়বরের দলপতি কিনানাকে হত্যা করে তার স্ত্রী সাফিয়াকে দখল করে,  সেই রাতেই সাফিয়াকে মুহম্মদ ধর্ষণ করে। আমার এই কথার প্রমাণ পাবেন নিচের এই রেফারেন্স-
“আবু আয়ুব খাইবারের যুদ্ধের পর রাতেরবেলা হজরত মহম্মদ আর সোফিয়ার তাবু পাহারা দিয়েছিল , পরদিন সকালে মহম্মদের সঙ্গে তার দেখা হলে তিনি মহম্মদকে বলেন " রসুল , আমি আপনার জন্য সারারাত খুব চিন্তায় ছিলাম ৷ আপনি সাফিয়ার বাবাকে হত্যা করেছেন , স্বামীকে হত্যা করেছেন , পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছেন , আর আপনি সাফিয়ার সঙ্গে সারারাত এক তাবুতে কাটালেন ?! " Sira 517 , Ibn Ishaq 766 .
মুহম্মদ যখন যে জনপদ দখল করতেন, সেখানে সে এবং তার লুটেরা বাহিনী,  তিন দিন অবস্থান করে,  বিজয় উৎসব পালন করত (বুখারি, ৪/৫২/৩০০)। এই বিজয় উৎসব আর কিছুই নয়,  গনিমতে মাল হিসেবে দখল করা মেয়েদের ধর্ষণ করা,  আর থাওয়া দাওয়া করা। কোনো কোনো মুসলমান যুক্তি দেখায় গনিমতে মাল ছিল,  তৎকালীন আরবে যুদ্ধ জেতার উপহার বিশেষ, যেমন ফুটবল খেলে যে দল জেতে তা্রা একটা কাপ বা কিছু টাকা উপহার পায়, ঠিক সেইরকম। তাদের মুখে শুয়োরের গু ভরে দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখার জন্য দিলাম নিচের এই হাদিস-
“ইসলাম প্রবর্তনের আগে লুঠের মাল ভোগ করা বৈধ ছিলো না, কিন্তু আল্লা আমাদের দুর্দশা ও দুর্বলতা দেখে,  লুটের মাল ভোগ করা বৈধ করেছেন।”- (মুসলিম, ৪২৩৭)
এখানে স্পষ্ট করে বলা হল, ইসলাম প্রবর্তনের আগে আরবের লোকজন এতো অসভ্য ছিলো না,  যে তারা পরাজিতদের নারী-কন্যাদেরকে ধর্ষণ করবে,  আর তাদের মাল সম্পদকে দখল করে ভোগ করবে, মুহম্মদই এই প্রথা চালু করেছিলেন। মুহম্মদ আবার এই লুঠপাটের মালের কমিশন খেতেন,  ২০% হারে। না, এটার আমার কথা নয়, এর প্রমাণ আছে কোরানে---
“আর তোমরা জেনে রাখ,  যে, তোমরা যে গনিমতের মাল লাভ করেছো, তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ, তার রসুল এবং আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম মিসকিন ও পথিক মুসাফিরদের জন্য নির্দিষ্ট।”--- (কোরান, ৮/৪১)
আল্লার নামে গনিমতের মালের ভাগ নিলেও,  আল্লা তো এসে আর মালের ভা্গ নিতেন না, সেটা নিতেন মুহম্মদ। এছাড়াও এর আগে মুহম্মদ একাই গনিমতের সব মাল খাওয়ার চেষ্টা করেন এবং সে অনুযায়ী সে আয়াতও ডাউনলোড করেন, কিন্তু যখন সে দেখলো তার এই থিয়োরিতে কোনো মুসলমান আর যুদ্ধ করতে যাবে না, তখন তিনি,  কোরানের ৮/৪১ আয়াত ডাউনলোড করেন। কিন্তু তার আগে যে আয়াত তিনি ডাউনলোড করেন, তা হলো---“এই গনিমতের মাল তো আল্লা এবং তার রসুলের।” - ( কোরান, ৮/১)
গনিমতের মালের নামে পরাজিতদের মেয়েদেরকে ধর্ষণ,  এবং তাদের সম্পত্তি দখল করে,  তা খাওয়ার পূর্ণ পারমিশন মুসলমানদেরকে দেওয়া আছে নিচের এই আয়াতে---
“অতএব তোমরা যা কিছু ধন মাল লাভ করেছো, তা খাও, তা হালাল এবং তা পবিত্র।” --- (কোরান,৮/৬৯)
মূলত এই নারী ধর্ষণ এবং লুঠপাটের মালই ছিলো ইসলামের ড্রাইভিং ফোর্স, যার আকর্ষণে দলে দলে খুবই নিচু মানসিকতার লোকজন ইসলামে যোগ দিয়ে,  মুহম্মদের শক্তি বাড়িয়েছিলো। আমার এই কথার প্রমাণ পাবেন নিচের কোরানের এই আয়াত ও হাদিসে---
ইহুদিরা মুহম্মদকে এই কথা বলেছিলো, পরে মুহম্মদ সেটা আবার আল্লার বাণী হিসেবে ডাউনলোড করেন,
"আমাদের দৃষ্টিতে তুমি আমাদের মতো একজন মানুষ ছাড়া আর কিছু্ই নও। আমরা আরো দেখছি যে, আমাদের লোকেদের মধ্যে যারা হীন নীচ, তারাই না ভেবে, না বুঝে, তোমার পথ অবলম্বন করছে। আর আমরা এমন কোনো জিনিস দেখতে পাই না, যাতে তোমরা আমাদের অপেক্ষা বিন্দুমাত্র অগ্রসর,  বরং আমরা তো তোমাদের মিথ্যুকই মনে করি।”--- ( কোরান, ১১/২৭)
এবার দেখুন হাদিস থেকে,
“একবার একজন লোক.  মুহম্মদের কাছে এসে বললো,  যে সে জিহাদে যোগ দিয়ে লুটের মালের ভাগ পেতে ইচ্ছুক। মুহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আল্লা ও তার রসুলকে বিশ্বাস করো ? লোকটি জবাব দিলো, না। মুহম্মদ তখন বললো, আগে ভুল রাস্তা ঠিক করো।”--- (মুসলিম, ৪৪৭২)
বিজয় উৎসব আর গনিমতে মাল নিয়ে এত কথা বলার কারণ হল, মূলত--- খয়বর যুদ্ধের পর,  বিজয় উৎসবের সময়,  এই গনিমতের মাল খেতে গিয়েই, মুহম্মদ তাঁর নিজের মৃত্যুটা ডেকে আনেন।
মুসলমানরা যেমন এখনও মনে করে,  পরাজিত গোত্রের মেয়ে, রিহানা ও সাফিয়া স্বেচ্ছায় মুহম্মদের বিছানায় এসে,  তাদের কাপড় খুলে দিয়েছিলো, মুহম্মদ তাদের যোনী গর্ভে,  তাঁর বীর্য নিক্ষেপ করে,  তাদেরকে ধন্য করেছেন মাত্র। সেইরকম মুহম্মদ এবং তার ডাকাত বাহিনীরও ধারণা ছিল,  পরাজিত গোত্রের জীবিত লোকজন তাদেরকে স্বেচ্ছায় আপ্যায়ণ করে নিজদেরকে ধন্য করছে। না হলে কিছু পূর্বে যাদের স্বজনকে তারা হত্যা করেছে, তাদের পরিবেশিত খাবার তারা খায় ?
যা হোক, খয়বরের যুদ্ধের পর এক ইহুদি মহিলা, যার বাপ-ভাইকে মুহম্মদের কারণে খুন হতে হয়েছে, সে মুহম্মদ এবং তার দলবলকে খাবারের আমন্ত্রণ জানায়। সে কিছু কিছু মাংস রান্না করে এবং তার মধ্যে আগে থেকেই বিষ মিশিয়ে রাখে। মুহম্মদ একটু খেয়েই বুঝতে পারেন, যে তাতে বিষ মিশানো আছে, তাই তিনি,  সাথে সাথে,  সবাইকে,  তা খেতে নিষেধ করেন। কিন্তু একজন ঘাড়ত্যাড়ামি করে আরও কিছুটা খেলে, সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়। বাকিরা খাওয়া বন্ধ করায় প্রাণে বেঁচে যায়। এরপর মুহম্মদের নির্দেশ সেই মহিলাকে হাজির করা হলে মুহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করেন,  কেনো সে এই কাজ করেছে ? মহিলা বলে, আমি এই কাজ করেছি এজন্য যে, আপনি যদি আল্লার নবী হোন, তাহলে আপনি খাবারের পূর্বেই জেনে যাবেন যে এর মধ্যে বিষ আছে, আর যদি শুধু রাজা হোন তাহলে আপনি বিষ খেয়ে মরে গেলে আমার গোত্রের লোকজন আপনার হাত থেকে রক্ষা পাবে। (বুখারী , ৭/৭১ / ৬৬৯; ৩ /৪৭ / ৭৮৬) পরে ঐ মহিলাকে হত্যা করা হয়।
এই একটি ঘটনা থেকেই পরিষ্কার,  যে সেই সময় আরবের ইহুদি খ্রিষ্টানরা মুহম্মদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তার উপর কী রকম বিরক্ত ছিল। তারপরেও মুসলমানরা বলে,  নবীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে,  আরবের সব লোক স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। তাই যদি সত্য হয়,  তাহলে মুহম্মদকে এই বিষ দিয়ে মারার চেষ্টার ঘটনাটার দরকার কী ছিল ?
স্বল্পমাত্রায় খাওয়া এই বিষের রিয়্যাকশন শুরু হয় ৪ বছর পর, যে কথা বুখারীর ৫ / ৫৯ / ৭১৩ নং হাদিস অনুযায়ী মুহম্মদ আয়েশাকে বলেছেন,  যে, “ও আয়শা, আমি খায়বারে গ্রহণ করা বিষ মিশানো খাবার-জনিত কষ্ট অনুভব করছি,  এবং আমার মনে হচ্ছে ঘাড়ের শিরা-ধমনী সব ছিঁড়ে যাচ্ছে।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে,  আল্লার এমন প্রিয় বান্দা, যে নাকি আল্লার দোস্ত--- (সৃষ্টির সাথে সৃষ্টিকর্তার নাকি দোস্তী !) --- এই দোস্তের এমন যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু,  আল্লা দিলেন কেন,  ও কীসের জন্য ? আর আল্লা যেহেতু মুহম্মদকে এই অপশান দিয়েছিলেন যে, হয় পৃথিবীর জীবন- না হয় তার সান্নিধ্য বেছে নিতে, তাহলে মুহম্মদ কেন,  আল্লার সান্নিধ্য বেছে নিলেন, যেখানে তাঁর ভোগ ও যৌনাকাঙক্ষা তখনও শেষ হয় নি ? কেননা, মৃত্যুর সময়ও,  মুহম্মদ , আয়েশার সাথে ছিলেন, যে আয়েশার তখন মাত্র ১৮ বছর বয়স, যৌ্বনটা কেমন তা একটু কল্পনা করে নিন, সেই আয়েশার সাথে মুহম্মদ রাত কাটাতে চেয়েছেন এবং মরার সময়ও মুহম্মদ আয়েশাকে চুমু খেয়ে যাচ্ছিলেন, যাতে আয়েশা ও মুহম্মদের মুখের লালা এক হয়ে গিয়েছিলো ( বুখারি, ১৬৫০); তাহলে সেই মুহম্মদের এমন মৃত্যুকে বরণ করার দরকারটা কী ? মুহম্মদ যদি চিরদিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে তো তাঁকে দেখেই, পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে,  পৃথিবীর সকল লোক,  ইসলাম গ্রহণ করে ফেলত, পৃথিবীবাসীকে ইসলামের পতাকাতলে আনার জন্য মুসলমানদের,  ‘আল্লাহু আকবার’ বলে সস্ত্রাস করতে হত না, আর চাপাতি দিয়ে কাউকে কোপানোরও প্রয়োজন হতো না। মুহম্মদ এবং তাঁর আল্লাহ এবং মুসলমানদের প্রাণান্ত চেষ্টার পরেও, এই ১৪০০ বছরে পৃথিবীর মাত্র ২০% লোক মুসলমান। অথচ তার সন্ত্রাসের ভয়ে আরব উপদ্বীপের কিছু গোত্রপতি যখন তার কাছে এসে আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছিল,  তখন মুহম্মদ মনে করলন, যে তার কাজ শেষ হয়েছে এবং এই কথা সে ফাতেমাকে বলেও ছিলেন,  যে দুনিয়ায় তার কাজ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সত্যিই কি দুনিয়াতে তার কাজ শেষ হয়েছিল ? পৃথিবীর সকল মানুষ কি ইসলামকে গ্রহণ করেছিল  বা এই ১৪০০ বছর পর এখনও গ্রহণ করেছে ? তাহলে মুহম্মদ কেন পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন ?
নাকি বাস্তব কথা এই যে, পৃথিবী একদিন সবাইকেই ছেড়ে যেতে হয়, আর এটাই হলো মানুষের জীবনের শেষ ঘটনা। আর এই শেষটা যার ভালো, তার সারাজীবনই ভালো ছিল বলে,  মনে করা হয়। এজন্যই বলা হয়, সব ভালো যার, শেষ ভালো তার। কিন্তু মুহম্মদের শেষটা ভালো হয় নি, এ থেকে এটা প্রমাণ হয় যে, মুহম্মদের জীবনযাত্রার ধরণ আসলে ভাল ছিলো না। সত্যিই তো তাই, মুহম্মদের কারণে তার মদীনা জীবনের ১০ বছরে কমপক্ষে ১ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে, অসংখ্য লোক হয়েছে নিজ দেশ ও ভিটে মাটি ছাড়া। প্রকৃতি নামের ঈশ্বর কি তার বিচার করবে না ? মুহম্মদের এই যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু এই কথাও প্রমাণ করে,  যে আসলে আল্লা বলে কেউ নেই, যদি আল্লা বলে কেউ থাকতেন,  তাহলে তার প্রিয় বান্দার এমন করুণ মুত্যু হতো না।
জয় হিন্দ।
------------------------------------------------------------------------------
উপরে যে রেফারেন্স গুলো দিয়েছি, সেগুলো দেখতে চাইলে দেখুন নিচে-
মুসলিম শরীফ, ৪৩৬৬ --- একমাত্র মুসলমান ছাড়া ইহুদি খ্রিষ্টান সবাইকে আমি আরব ছাড়া করব।
বুখারী , ৭ /৭১ / ৬৬৯ ---  তোমরা কি এই বকরীর মধ্যে,  বিষ মিশ্রিত করেছ ?  তারা বললঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ  কিসে তোমাদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে? তারা বললোঃ  আমরা চেয়েছি, যদি আপনি (নবুওয়াতের দাবীতে) মিথ্যাবাদী হন, তবে আমরা আপনার থেকে মুক্তি পেয়ে যাব। আর যদি আপনি (সত্য) নবী হন, তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করবে না।
সহিহ বুখারী, ৩ /৪৭ / ৭৮৬ --- আবদুল্লাহ ইবন আবদুল ওয়াহাব (রঃ) ......... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহূদী মহিলা নবী (সাঃ) এর খিদমতে বিষ মিশানো বকরী নিয়ে এলো। সেখান থেকে কিছু অংশ তিনি খেলেন এবং (বিষক্রিয়া টের পেয়ে) মহিলাকে হাজির করা হল। তখন বলা হল, আপনি কি একে হত্যার আদেশ দিবেন না ? তিনি বললেন, না। আনাস (রাঃ) বলেন নবী (সাঃ) এর (মুখ গহবরের) তালুতে আমি বরাবরই বিষ ক্রিয়ার আলামত দেখতে পেতাম।
বুখারি, ৪/৫২/৩০০ --- আবুল তালহা হতে বর্ণিত, নবীজী যখন কোনো সম্পদ্রায়কে দখল করতেন, তিনি তাদের শহরে তিন দিন কাটাতেন।
বুখারি, ১৬৫০ --- আল্লার রসুল,  আমার পালার দিন,  আমার আমার ঘরে,  আমার বুকে মাথা রেখে,  মারা গেছেন এবং অন্তিম সময় তার লালা ও আমার লালা মেশামেশি হয়ে গিয়েছিলো।



মানুষ


মানুষ


নন্দিনী দেববর্মার পোস্ট         শেয়ার করেছেন                     প্রণব কুমার কুণ্ডু

লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
মন্তব্য করুন

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭

সিলেট ভাগ


সিলেট ভাগ

সাতচল্লিশে সিলেট কীভাবে পাকিস্তানের অংশ হল?

আবুল কালাম আজাদ
বিবিসি বাংলা
১৭ অগাস্ট ২০১৭

শেয়ার করেছেন                   প্রণব কুমার কুণ্ডু।

শেয়ার করুন ফেসবুকে।
শেয়ার করুন টুইটারে।
শেয়ার করুন Messenger-এ।
শেয়ার করুন ইমেইল-এ।
শেয়ার করুন। শেয়ার করুন।

বাংলা ও আসামের সীমান্ত যেভাবে ভাগ হয়েছিল।

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ করে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও,  প্রশ্ন ওঠে, আসামের অংশ, সিলেটের ভাগ্যে কী হবে।

মুসলমান আর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারতকে ভাগ করার যে দায়িত্ব পড়েছিল লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ওপর।
১৯৪৭র ৩রা জুন এক ঘোষণায় তিনি সিলেটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব দেন স্থানীয় জনসাধারণের কাঁধে। সিদ্ধান্ত হলো গণভোট অনুষ্ঠানের।

এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ই জুলাই সিলেটে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৫ জন। ভোট দিয়েছিল ৭৭ শতাংশ মানুষ।

২৩৯ টি ভোটকেন্দ্রে বড় কোনো ঝামেলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছিল বলেই জানা যায়।

 ১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইনের ধারা ৩ অনুযায়ী সিলেটে গণভোট সংক্রান্ত কার্যক্রমের বৈধতা দেয়া হয়েছে।

সিলেটের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য গণভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দেশভাগের সময় ৫ম শ্রেণীর ছাত্র জকিগঞ্জের মোহাম্মদ নুরউদ্দীনের মনে রয়েছে সেই ভোটের কথা। মোহাম্মদ নূরউদ্দীন তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছিলেন করিমগঞ্জের প্রাথমিক স্কুলে।

ভোটে করিমগঞ্জের মানুষও আসাম ছাড়ার রায় দিলেও, করিমগঞ্জের কিছু অংশ,  র‍্যাডক্লিফ লাইনে ভারতের আসামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

"আমরা বাইরাইয়া মিছিল দিছি করিমগঞ্জে। মসজিদ যেখানে ছিল,  সেখানে স্লোগান নাই। এইভাবে করছি। ভোটে আমরা করিমগঞ্জকেও পাইছি। এই যে সাড়ে তিন থানা গেল সবটা পাইছি। কিন্তু আমাদের নেতাদের অভাবেই কংগ্রেস বড়লাটের লগে মিল করিয়া নিয়া গেছে।"

কুশিয়ারা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে নূরউদ্দীন বলেন, তার নানা বাড়ী, ভগ্নীপতিসহ অনেক আত্মীয়ের বাড়ী পড়ে যায় করিমগঞ্জে আর তারা থাকেন পূর্ব বাংলায় বর্তমান জকিগঞ্জ এলাকায়।
"আত্মীয়স্বজন সবাই থাইকা গেছে। ইন্ডিয়ায় থাকছে। এখনো আছে। আমরার যাওয়া আসা নাই। তারাও আসে না।"


সিলেটের গণভোট দেখেছেন মাহতাবউদ্দীন আহমেদও। মনে করে বলেন সেই কিশোর বয়সে বড়দের সঙ্গে পাকিস্তানের পক্ষে কী স্লোগান দিতেন তারা।
"মুসলীম লীগের মার্কা কী- কুড়াল ছাড়া কী, পাকিস্তান জিন্দাবাদ-লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান, কায়দে আজম জিন্দাবাদ এইগুলা স্লোগান ছিল।"

মাহতাবউদ্দীন জানান ভোটের প্রচারে সিলেটে মুসলিম লীগের বড় নেতারা এসেছেন। তার মনে আছে সিলেটের শাহী ইদগায়ে মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহও এসেছিলেন।

দাবি করলেন গণভোটের প্রচারে এসে করিমগঞ্জে তাদের বাড়ীতে একবেলা খেয়েছিলেন তৎকালীন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১২জন কর্মী।

"কংগ্রেসের মার্কা ছিল ঘর আর মুসলীম লীগের ছিল কুড়াল।

হিন্দুদের মধ্যে নমোশূদ্ররা ছিল মুসলীম লীগের পক্ষে।

আলেমদের একদল ছিল কংগ্রেসি। হুসেইন আহমেদ মাদানী উনি আর ওনার একটা গ্রুপ ছিল কংগ্রেসি।"

র‍্যাডক্লিফ লাইন কিন্তু সিলেটের মানুষের কাছে বিতর্কিতই রয়ে গেছে।

দেশভাগের ইতিহাসে সিলেটের গণভোট এক বিরল ঘটনা। এই ভোটে জয়ী হতে মুসলীম লীগের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালায়। সিলেটের জনগণকে পাকিস্তানের পক্ষে ভোটদিতে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল মুসলীম লীগ।

পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেয়া ফরজ ঘোষণা করে ফতোয়াও জারি করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ে উল্লেখ রয়েছে গণভোটের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান পাঁচশো কর্মী নিয়ে কলকাতা থেকে সিলেট এসেছিলেন।
শেখ মুজিব লিখেছেন,  শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুরোধে, হিন্দু রায়বাহাদুর আর.পি. সাহা,  একাধিক লঞ্চ সিলেটে পাঠিয়েছিলেন মুসলীম লীগের পক্ষে। লিখেছেন সিলেটে গণভোটে জয়লাভ করে তারা আবার কলকাতা ফিরে যান।
শিক্ষাবিদ ও সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলীম সাহিত্য সংসদের সভাপতি,  অধ্যাপক মো. আব্দুল আজিজ,  তখন ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র।
তিনি বলেন, "মুসলমানদের জন্য গণভোট পরিচালনার জন্য একটা রেফারেন্ডাম বোর্ড হয়। সেই বোর্ডের সভাপতি হলেন আব্দুল মতিন চৌধুরী নামে একজন প্রবীণ নেতা। যিনি এককালে জিন্নাহ সাহেবের খুব ঘনিষ্টজন ছিলেন। আর সেক্রেটারি হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হাফিজ,  যিনি বর্তমান অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবের বাবা।"

সিলেটের শিক্ষাবিদ মো. আব্দুল আজিজ
তার কথায় সিলেটে ৬০ ভাগ মুসলিম থাকা সত্ত্বেও মুসলমানদের একটি অংশ কংগ্রেসপন্থী হওয়ায় ভোটের প্রচার প্রচারণার প্রয়োজন হয়।
"পাকিস্তানের পক্ষে পড়লো ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৯ ভোট আর ভারতে যোগদানের পক্ষে পড়লো ১ লাখ ৮৪ হাজার ৪১ ভোট। মুসলীম লীগ ৫৫ হাজার ৫শ ৭৮ ভোট বেশি। এজন্য সিলেটিরা গর্ব অনুভব করতো যে আমরা বাই চয়েস পাকিস্তানে আসছি।"
১৯৪৭-এ সিলেটের ঐতিহাসিক গণভোটেই ঠিক হয় পূর্ব পাকিস্তানের একাংশের মানচিত্র।
কিন্তু গণভোটের রায় না মেনে মানচিত্রে দাগ কেটে করিমগঞ্জের কিছু অংশ ভারতকে দিয়ে দেয়ায় সিলেটের মানুষের কাছেও চির বিতর্কিত হয়ে যায় র‍্যাডক্লিফ লাইন।