শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

জনৈক অরুণ মাজী

জনৈক অরুণ মাজী


অরুণ মাজী                  শেয়ার করেছেন                প্রণব কুমার কুণ্ডু।

-
উত্তর ধ্বংসমূলক। কিন্তু প্রশ্ন সৃষ্টিমূলক। উত্তর বুদ্ধির অন্তিমযাত্রা। কিন্তু প্রশ্ন, নতুন সৃষ্টির আনন্দ। উত্তর- মানুষকে বিশেষ কোন বেড়াজালে বেঁধে ফেলে। কিন্তু প্রশ্ন, মানুষকে অসীম আকাশে উড়ার জন্য তাকে পাখা যোগায়।
-
ব্যাপারটা তোমরা বুঝলে না। তাই না ? ধরো আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম- ঈশ্বর আছেন ? তুমি বললে- হ্যাঁ, আছেন।
-
তোমার উত্তরের অর্থ কি ? তোমার উত্তরের অর্থ হলো- ঈশ্বরের প্রকৃতি সম্বন্ধে, আরও নতুন কিছু জিনিস তুমি যে খুঁজতে পারতে, সে সব কিছু খুঁজতে, তুমি আর কখনো যাবে না। তোমার উত্তর, তোমার নতুন কিছু খোঁজার- বাধা হয়ে দাঁড়ালো।
-
তুমি যদি বলতে, "আমি ঈশ্বর খুঁজছি"। তখন তার অর্থ হতো- তুমি এখনো নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করে চলেছো। ঈশ্বর খুঁজতে গিয়ে তুমি কি কি অনির্বচ্চনীয় জিনিস আবিস্কার করছো ?

১. দিনের পর রাত, রাতের পর দিন। জন্ম শেষে মৃত্যু, তারপর আবার জন্ম। সবই যেন নিখুঁত এক অঙ্কের মতো। অঙ্ক কারা সৃষ্টি করে ? যাদের বুদ্ধি আছে, তারা। তাহলে মহাবিশ্বে যে এতো কঠিন কঠিন অঙ্ক, সে সব অঙ্ক কোন বুদ্ধিমান শক্তি সৃষ্টি করেছেন ?
-
২. দুর্ঘটনার কারণে যদি মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়, তাহলে মহাবিশ্বে এতো জটিল জটিল অঙ্কের জন্ম হলো কি করে ?
-
৩. ভাইরাস অতীব ক্ষুদ্র এক জীব ! সে কি করে, তার কোটি কোটি কোটি গুণ বড়, আস্ত একটা মানুষকে মেরে ফেলতে পারে ! কি এই ভাইরাস ? কোথা থেকে পায় সে তার মারণ ক্ষমতা ? ইত্যাদি সব প্রশ্ন।

তবে কবিসাহেব, উপকারী ভাইরাসও আছে !
-
এইধরণের উল্টাপাল্টা প্রশ্ন, তুমি নিজে নিজেকে করছো, আর সৃষ্টির অপরূপ রূপ- তোমার চোখের সামনে ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে। মনে মনে তখন তুমি কি ভাবছো ? আহাঃ সৃষ্টির কি অপরূপ রূপ আজ দেখলাম !
-
কিন্তু তুমি যদি নিজেকে আস্তিক বা নাস্তিক ধরে নাও, তাহলে তুমি সৃষ্টির অপরূপ রূপ কখনো আবিষ্কার করতে পারবে না। সেজন্যই, অরুণ মাজী নিজেকে, না-নাস্তিক না-আস্তিক বলে !  সে আস্তিকও নয়, আবার নাস্তিকও নয়। সে ঈশ্বরকে পূজাও করে ; আবার কখনো কাখনো সে-ঈশ্বরের দাড়িতে, রক্ত চোষা উকুন ছেড়ে দেয়।
-
তবুও বলছি- ঈশ্বর আমার খুব কাছের মানুষ। আজ আমি যা হয়েছি, সবই তার কল্যাণে। আমি বিশ্বাস করি- ঈশ্বর আমাকে মস্তিস্ক দিয়েছেন, তার কারণ- উনি চান, আমি আমার চিন্তা শক্তিকে আকাশ সমান উঁচুতে নিয়ে যাই। ঈশ্বর যদি আমাকে আকাশ সমান উঁচু না-ই দেখতে চাইবেন, তাহলে উনি ঈশ্বর কেন ? কোন পিতা যদি তার সন্তানকে আকাশ সমান উঁচু না-ই দেখতে চাইবেন, তাহলে উনি পিতা কেন ?
-
দেখলে ? প্রশ্ন নিজেই কেমন ঈশ্বরের এক স্বরূপ। সেজন্যই তোমাদেরকে বলি-
বড় হতে চাও ? তাহলে প্রশ্ন করো।
মহান হতে চাও ? তাহলে প্রশ্ন করো।
মালবিকাকে ভালোবাসতে চাও ? তাহলে প্রশ্ন করো।
ঈশ্বর লাভ করতে চাও ? তাহলে প্রশ্ন করো।
-
তোমাদেরকে, কানে কানে একটা কথা বলবো ?
-
"ঈশ্বর খোঁজার জন্য, পাওয়ার জন্য নয়।"
-
অরুণ মাজীার লেখা নীচে লিঙ্কে পড়ুন- 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন