মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯
পুত্রবধূসম রম্ভাকে নিয়ে জড়িত রাবণের গল্প।
পুত্রবধূসম রম্ভাকে নিয়ে জড়িত রাবণের গল্প।
পুত্রবধূসম রম্ভাকে নিয়ে জড়িত রাবণের গল্প।
কুবেরপুত্র নলকুবেরের অভিশাপ।
অলক্ষ্যে সীতা !
রম্ভা ছিল রাবণের পুত্রবধূ তুল্য।
রম্ভা অপ্সরাবিশেষ।
রামায়ণ মতে সমুদ্রমন্থন থেকে অপ্সরাদের উৎপত্তি।
রম্ভোরু।
কলাগাছের মতো সুপুষ্ট ও সুন্দর ঊরুবিশিষ্ঠা নারী।
রম্ভার ছিল ঐধরণের সুন্দর ঊরু।
রম্ভা, কুবেরপুত্র নলকুবেরের পত্নী ছিল।
এক দিন রাবণ, পুত্রবধূসম রম্ভাকে অন্যায় ভাবে সহযোগে প্রবৃত্ত হয়েছিল, সেই কারণে রাবণের প্রতি কুবেরের পুত্র নলকুবেরের অভিশাপ ছিল।
যদি রাবণ কামার্ত হয়ে কোন স্ত্রীলোকের অনিচ্ছায়, তার প্রতি বলপ্রয়োগ করে উপভোগের চেষ্টা করে, তবে রাবণের মাথা শত ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ এক এক মাথা দশ দশ ভাগে বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে।
নলকুবেরের জ্যাঠা রাবণের প্রতি, ভাইপো নলকুবেরের এই ছিল অভিশাপ।
নলকুবের ধর্মেকর্মে ছিলেন, ব্রাহ্মণ, বাহুবলে ছিলেন, ক্ষত্রিয়, ক্রোধে ছিলেন, অগ্নি, আর ক্ষমায় ছিলেন পৃথিবী।
ঐ অভিশাপের জন্য সীতা বেঁচে গিয়েছিলেন।
তা না হলে, সীতা রাবণের দ্বারা ধর্ষিতা হতেন। এবং বলা তো যায় না, হয়তো, সেক্ষেত্রে, ধর্ষণে ধর্ষণে, রক্তক্ষরণে রক্তক্ষরণে, সীতা মারাও পড়তে পারতেন।
তবে দণ্ডকারণ্যের পঞ্চবটী বনের কুটির থেকে, রাবণের সীতা হরণের সময়, রাবণ কিন্তু সীতাকে স্পর্শ করে, এবং রাবণের সঙ্গে যেতে অনিচ্ছুক সীতাকে, 'শারীরিক ভাবে' বলপ্রয়োগ করেছিল !
রাবণের পিতা বিশ্রবা মুনি। মাতা রাক্ষসী কৈকসী।
কুবেরের পিতাও বিশ্রবা মুনি, তবে মাতা দেববর্ণিনী।
রাবণ ও কুবের ছিলেন, বৈমাত্রেয় ভাই।
প্রণব কুমার কুণ্ডু
লেবেলসমূহ:
পুত্রবধূসম রম্ভাকে নিয়ে জড়িত রাবণের গল্প।
সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৯
লঙ্কার রাবণরাজার যমদেব দর্শন
লঙ্কার রাবণরাজার যমদেব দর্শন
* সূত্র : বাল্মীকি রামায়ণ। পৃষ্ঠা ৮৯৩, হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য অনুদিত।
রাবণ রাজা সাক্ষাৎ 'মৃত্যু'র মুখোমুখি হয়ে, প্রেতরাজ যমকে দেখেছিলেন।
যমের হাতে পাশ।
চোখ লাল।
জিব বিদ্যুতের মতো লকলকে, তীক্ষ্ণ ও তেজি। দেখতে অতিমাত্রায় ভয়ানক।
চুলগুলো খাড়া খাড়া।
সাপ ও বিছে গায়ের লোম।
দাঁতগুলো অস্বাভাবিক এবং ভয়ানক।
সারা গা জ্বালা ধরায়।
যমের দিকে দৃষ্টিপাত করা যায় না।
তবে যম যুদ্ধে পিছপা হন না।
যম পাপের দণ্ডদাতা।
রাবণরাজা সেই যমকে নাকি যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন !
প্রণব কুমার কুণ্ডু
লেবেলসমূহ:
লঙ্কার রাবণরাজার যমদেব দর্শন
প্রণব কুমার কুণ্ডু বৃদ্ধ বয়সে
লেবেলসমূহ:
প্রণব কুমার কুণ্ডু বৃদ্ধ বয়সে
সুকুমার রায়
সুকুমার রায়
সুকুমার রায়।
কালাজ্বর ( Visceral Leishmaniasis ) নামক মারাত্মক আসুখে মারা গিয়ে ছিলেন।
কালাজ্বর, যা লিশম্যানিয়াসিস রোগের কয়েকটি প্রকারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর।
লিশম্যানিয়া ( Protozooan Parasites of the Genus Leishmania donovani ) গণভুক্ত একপ্রকার পরজীবী প্রোটোজোয়া ( Protozoa ) কালাজ্বর রোগটি ঘটায় এবং বেলেমাছির ( Sandfly ) কামড়ের দ্বারা রোগটি ছড়ায়।
পরজীবীগুলো মানুষের যকৃত-এ, প্লীহা-য়, অস্থিমজ্জা-য় সংক্রমণ ঘটায়।
কালাজ্বরের লক্ষণ :-
কালাজ্বরের লক্ষণ হোল জ্বর, তা ছাড়া, ছাড়া ছাড়া জ্বর, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমা, শরীরে সৃষ্টি হওয়া ক্ষত-ঘা, দৈহিক অবসাদ, রক্তাপ্লতা, গায়ের চামড়া কালচে হওয়া এবং যকৃত ও প্লীহার আকার-আয়তন বৃদ্ধি প্রভৃতি।
প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসক, ড: উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী, যিনি তৎকালীন বৃটিশ সরকারের কাছ থেকে, রায়বাহাদুর এবং স্যার উপাধি পেয়েছিলেন, কালাজ্বরের চিকিৎসার ওষুধ, ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কার করেন।
মৃত্যুর নয় দিন পরে, সুকুমার রায়ের প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছিল।
কালাজ্বরে সুকুমার রায় ভুগেছিলেন, তাঁর ৩৪ বৎসর বয়স থেকে, ৩৬ বৎসর বয়স পর্যন্ত।
ইউ রায় এন্ড সন্স থেকে ১৯২৩ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর তাঁর প্রথম বই, নমসেন্স ছড়ার সংকলন, 'আবোল তাবোল' প্রকাশিত হয়।
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন, সুকুমার রায়ের বাবা।
প্রণব কুমার কুণ্ডু
রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯
প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি
প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি
প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি :-
রত্নগিরি
বিক্রমশিলা
জগদ্দলা
পুষ্পগিরি
ওদান্তপুরী
সোমপুরা
নালন্দা
তক্ষশীলা
ভলাভি
প্রভৃতি।
লেবেলসমূহ:
প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)